তোমার মনে হয়তো অনেক প্রশ্ন আসে, অনেক সন্দেহ। আমারও আসে। বিশ্বাসের পথে চলতে গেলে এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু বাইবেল আমাদের শেখায়, সন্দেহকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং এটা আমাদের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করার একটা সুযোগ।
কিভাবে? পবিত্র আত্মার সাহায্য চাও। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো। তার বাক্য ধ্যান করো। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোর উপর আস্থা রাখো। আমাদের বিশ্বাস কেবল চোখে দেখা জিনিসের উপর নির্ভর করে না, বরং ঈশ্বর আমাদের জন্য যা রাখেন তার উপর আস্থা রেখেই আমরা চলতে পারি।
দেখো, বাইবেলে দাউদের কথা লেখা আছে। তিনিও তার সন্দেহ, তার অন্তরের যন্ত্রণার কথা খোলাখুলি বলেছেন। তার জীবন আমাদের শেখায়, সন্দেহ কোনো অতিক্রম করা যায় না এমন প্রাচীর নয়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ও তার বাক্য ধ্যানের মাধ্যমে এই সন্দেহকে আমরা শক্তিতে পরিণত করতে পারি।
কিন্তু সে বিশ্বাসপূর্বক যাচ্ঞা করুক, কিছু সন্দেহ না করুক; কেননা যে সন্দেহ করে, সে বায়ুতাড়িত বিলোড়িত সমুদ্র-তরঙ্গের তুল্য।
তখনই যীশু হাত বাড়াইয়া তাঁহাকে ধরিলেন, আর তাঁহাকে কহিলেন, হে অল্পবিশ্বাসী, কেন সন্দেহ করিলে?
পরে তিনি থোমাকে কহিলেন, এই দিকে তোমার অঙ্গুলি বাড়াইয়া দেও, আমার হাত দুইখানি দেখ, আর তোমার হাত বাড়াইয়া দেও, আমার কুক্ষিদেশের মধ্যে দেও; এবং অবিশ্বাসী হইও না, বিশ্বাসী হও।
আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, এই লোকেরা কত কাল আমাকে অবজ্ঞা করিবে? এবং আমি ইহাদের মধ্যে যে সকল চিহ্ন-কার্য করিয়াছি, তাহা দেখিয়াও ইহারা কত কাল আমার প্রতি অবিশ্বাসী থকিবে?
পরে লোকেরা শমূয়েলকে কহিল, কে বলিয়াছে, শৌল কি আমাদের উপরে রাজা হইবে? সেই লোকদিগকে আন, আমরা তাহাদিগকে বধ করি।
এ কে যে জ্ঞান বিনা মন্ত্রণাকে গুপ্ত রাখে? সত্য, আমি তাহাই বলিয়াছি, যাহা বুঝি নাই, যাহা আমার পক্ষে অদ্ভুত, আমার অজ্ঞাত।
যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে, আর সন্দেহ না কর, তবে তোমরা কেবল ডুমুরগাছের প্রতি এইরূপ করিতে পারিবে, তাহা নয়, কিন্তু এই পর্বতকেও যদি বল, ‘উপড়িয়া যাও, আর সমুদ্রে গিয়া পড়,’ তাহাই হইবে।
তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলিয়া; কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যদি তোমাদের একটি সরিষা-দানার ন্যায় বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পর্বতকে বলিবে, ‘এখান হইতে ঐখানে সরিয়া যাও,’
আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে কেহ এই পর্বতকে বলে, ‘উপড়িয়া যাও, আর সমুদ্রে গিয়া পড়,’ এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যাহা বলে, তাহা ঘটিবে, তবে তাহার জন্য তাহাই হইবে।
তাহাতে যিহূদীরা তাঁহাকে ঘেরিয়া বলিতে লাগিল, আর কত কাল আমাদের প্রাণ দোলায়মান রাখিতেছ? তুমি যদি খ্রীষ্ট হও, স্পষ্ট করিয়া আমাদিগকে বল।
অমনি সেই বালকের পিতা চেঁচাইয়া অশ্রুপাতপূর্বক বলিয়া উঠিল, বিশ্বাস করিতেছি, আমার অবিশ্বাসের প্রতীকার করুন।
ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?
আর ভক্তির নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, ইহা সর্বসম্মত, যিনি মাংসে প্রকাশিত হইলেন, আত্মাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হইলেন, দূতগণের নিকট দর্শন দিলেন, জাতিগণের মধ্যে প্রচারিত হইলেন, জগতে বিশ্বাস দ্বারা গৃহীত হইলেন, সপ্রতাপে ঊর্ধ্বে নীত হইলেন।
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমি কি তোমাকে বলি নাই যে, যদি বিশ্বাস কর, তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখিতে পাইবে? তখন তাহারা পাথরখানি সরাইয়া ফেলিল।
তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, হে অল্পবিশ্বাসীরা, কেন ভীত হও? তখন তিনি উঠিয়া বায়ু ও সমুদ্রকে ধমক্ দিলেন; তাহাতে মহাশান্তি হইল।
ভ্রাতৃগণ, দেখিও, পাছে অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাহারও মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর হইতে সরিয়া পড়।
আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই, তথাপি তিনি বিশ্বস্ত থাকেন; কারণ তিনি আপনাকে অস্বীকার করিতে পারেন না।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা সাহায্যের জন্য মিসরে নামিয়া যায়, অশ্বগণে বিশ্বাস করে, রথের বাহুল্য প্রযুক্ত রথে নির্ভর করে, অশ্বারোহিগণ অতি বলবান বলিয়া তাহাদের উপরে নির্ভর করে, কিন্তু ইস্রায়েলের পবিত্রতমের দিকে চাহে না, এবং সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে না।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;
তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
কিন্তু বিনা বিশ্বাসে প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়; কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন, এবং যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, তিনি তাহাদের পুরস্কারদাতা।
তথাপি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি লক্ষ্য করিয়া অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করিলেন না; কিন্তু বিশ্বাসে বলবান হইলেন,
ঈশ্বরের গৌরব করিলেন এবং নিশ্চয় জানিলেন, ঈশ্বর যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা সফল করিতে সমর্থও আছেন।
কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর।
তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
যে সময়ে আমার ভয় লাগে, আমি তোমাতে নির্ভর করিব।
ঈশ্বরে আমি তাঁহার বাক্যের প্রশংসা করিব; আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না; মাংসপিণ্ড আমার কি করিতে পারে?
যখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না, কেননা তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, তোমার পাঁচনী ও তোমার যষ্টি আমাকে সান্ত্বনা করে।
যাহারা তোমার নাম জানে, তাহারা তোমাতে বিশ্বাস রাখিবে; কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার অন্বেষণকারীদিগকে পরিত্যাগ কর নাই।
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
তোমরা চিরকাল সদাপ্রভুতে নির্ভর রাখ; কেননা সদাপ্রভু যিহোবাতেই যুগসমূহের শৈল।
কিন্তু যীশু সেই কথা শুনিতে পাইয়া সমাজ-গৃহের অধ্যক্ষকে কহিলেন, ভয় করিও না, কেবল বিশ্বাস কর।
মনুষ্য যাহা সহ্য করিতে পারে, তাহা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি ঘটে নাই; আর ঈশ্বর বিশ্বাস্য; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা ঘটিতে দিবেন না, বরং পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করিয়া দিবেন, যেন তোমরা সহ্য করিতে পার।
আমি জীবিতদের দেশে সদাপ্রভুর মঙ্গলভাব দেখিব, এমন বিশ্বাস যদি না করিতাম, [তবে আমার কি হইত]?
সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাক; সাহস কর, তোমার অন্তঃকরণ সবল হউক; হাঁ, সদাপ্রভুরই অপেক্ষায় থাক।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
কেননা যে কেহ যাচ্ঞা করে, সে গ্রহণ করে; এবং যে অন্বেষণ করে, সে পায়; আর যে আঘাত করে, তাহার জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
আর তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?
দেখ, ঈশ্বর আমার পরিত্রাণ; আমি সাহস করিব, ভীত হইব না; কেননা সদাপ্রভু যিহোবা আমার বল ও গান; তিনি আমার পরিত্রাণ হইয়াছেন।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
অতএব আমরা সাহসপূর্বক বলিতে পারি, “প্রভু আমার সহায়, আমি ভয় করিব না; মনুষ্য আমার কি করিবে?”
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
দুইটি চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি বিনা তাহাদের একটিও ভূমিতে পড়ে না।
ফিলিপ ও বর্থলময়, থোমা ও করগ্রাহী মথি, আল্ফেয়ের পুত্র যাকোব ও থদ্দেয়,
কিন্তু তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে।
অতএব ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।
আর প্রেরিতেরা প্রভুকে কহিলেন, আমাদের বিশ্বাসের বৃদ্ধি করুন।
প্রভু কহিলেন, একটি সরিষাদানার মত বিশ্বাস যদি তোমাদের থাকে, তবে ‘তুমি সমূলে উপড়িয়া গিয়া সমুদ্রে রোপিত হও’ এই কথা সুকামীন গাছটিকে বলিলে এ তোমাদের কথা মানিবে।
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
যীশু তাহাদিগকে বলিলেন, আমিই সেই জীবন-খাদ্য। যে ব্যক্তি আমার কাছে আইসে, সে ক্ষুধার্ত হইবে না, এবং যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে তৃষ্ণার্ত হইবে না, কখনও না।
ঈশ্বর আমাদের পক্ষে আশ্রয় ও বল। তিনি সঙ্কটকালে অতি সুপ্রাপ্য সহায়।
তোমরা ক্ষান্ত হও; জানিও, আমিই ঈশ্বর; আমি জাতিগণের মধ্যে উন্নত হইব, আমি পৃথিবীতে উন্নত হইব।
বাহিনীগণের সদাপ্রভু আমাদের সহবর্তী; যাকোবের ঈশ্বর আমাদের উচ্চদুর্গ। [সেলা]
অতএব আমরা ভয় করিব না- যদ্যপি পৃথিবী পরিবর্তিত হয়, যদ্যপি পর্বতগণ টলিয়া সমুদ্রের গর্ভে পড়ে।
তোমরা যদি আমাতে থাক, এবং আমার বাক্য যদি তোমাদের মধ্যে থাকে, তবে তোমাদের যাহা ইচ্ছা হয়, যাচ্ঞা করিও, তোমাদের জন্য তাহা করা যাইবে।
প্রেমে ভয় নাই, বরং সিদ্ধ প্রেম ভয়কে বাহির করিয়া দেয়, কেননা ভয় দণ্ডযুক্ত, আর যে ভয় করে, সে প্রেমে সিদ্ধ হয় নাই।
আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব; কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?
সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।
সতত আনন্দ কর;
অবিরত প্রার্থনা কর;
সর্ববিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ইহাই তোমাদের উদ্দেশে ঈশ্বরের ইচ্ছা।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।
আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।
‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’
কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতু আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।
তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সেই বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,
কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
কারণ যাহা কিছু ঈশ্বর হইতে জাত, তাহা জগৎকে জয় করে; এবং যে জয় জগৎকে জয় করিয়াছে, তাহা এই, আমাদের বিশ্বাস।
হে লোক সকল, সতত তাঁহাতে নির্ভর কর, তাঁহারই সম্মুখে তোমাদের মনের কথা ভাঙ্গিয়া বল; ঈশ্বরই আমাদের আশ্রয়। [সেলা]
চোর আইসে, কেবল যেন চুরি, বধ ও বিনাশ করিতে পারে; আমি আসিয়াছি, যেন তাহারা জীবন পায় ও উপচয় পায়।
সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ, ও মম রক্ষাকর্তা, মম ঈশ্বর, মম দৃঢ় শৈল, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণশৃঙ্গ, মম উচ্চদুর্গ।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
অতএব কল্যকার নিমিত্ত ভাবিত হইও না, কেননা কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিত হইবে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।
তোমরা তাঁহাকে না দেখিয়াও প্রেম করিতেছ; এখন দেখিতে পাইতেছ না, তথাপি তাঁহাতে বিশ্বাস করিয়া অনির্বচনীয় ও গৌরবযুক্ত আনন্দে উল্লাস করিতেছ,
এবং তোমাদের বিশ্বাসের পরিণাম, অর্থাৎ আত্মার পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইতেছ।
বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
তোমরা যাহারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করিতেছ, আমি তোমাদিগকে এই সকল কথা লিখিলাম, যেন তোমরা জানিতে পার যে, তোমরা অনন্ত জীবন পাইয়াছ।
তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার দাসের রবে কর্ণপাত করে? যে অন্ধকারে চলে যাহার দীপ্তি নাই, সে সদাপ্রভুর নামে বিশ্বাস করুক, আপন ঈশ্বরে নির্ভর দিউক।
তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন, কখনও ধার্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে আপন বিশ্বাসভূমি করে, এবং তাহাদের দিকে না ফিরে, যাহারা অহঙ্কারী ও মিথ্যা পথে ভ্রমণ করে।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
তুমি যখন জলের মধ্য দিয়া গমন করিবে, আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকিব; যখন নদ-নদীর মধ্য দিয়া গমন করিবে, সেই সকল তোমাকে মগ্ন করিবে না; যখন অগ্নির মধ্য দিয়া চলিবে, তুমি পুড়িবে না, তাহার শিখা তোমার উপরে জ্বলিবে না।
বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা, বলিয়া ডাকি।
আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তাহা প্রাণের নোঙ্গরস্বরূপ, অটল ও দৃঢ়, এবং তিরস্করিণীর ভিতরে যায়।
তাঁহাতেই আমরা তাঁহার উপরে বিশ্বাস দ্বারা সাহস, এবং দৃঢ় প্রত্যয়পূর্বক উপস্থিত হইবার ক্ষমতা, পাইয়াছি।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনি নিজ বিপুল দয়া অনুসারে মৃতগণের মধ্য হইতে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা, জীবন্ত প্রত্যাশার নিমিত্ত আমাদিগকে পুনর্জন্ম দিয়াছেন,
অক্ষয়, বিমল ও অজর দায়াধিকারের নিমিত্ত দিয়াছেন; সেই দায়াধিকার স্বর্গে তোমাদের নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে;
তখন তিনি সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিলেন, আর সদাপ্রভু তাঁহার পক্ষে তাহা ধার্মিকতা বলিয়া গণনা করিলেন।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যবর্তী; সেই বীর পরিত্রাণ করিবেন, তিনি তোমার বিষয়ে পরম আনন্দ করিবেন; তিনি প্রেমভরে মৌনী হইবেন, আনন্দগান দ্বারা তোমার বিষয়ে উল্লাস করিবেন।
তিনিই এত বড় মৃত্যু হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিয়াছেন ও উদ্ধার করিবেন; আমরা তাঁহাতেই প্রত্যাশা করিয়াছি যে, ইহার পরেও তিনি উদ্ধার করিবেন;
কিন্তু ঈশ্বরের কাছে নাই; কেননা শাস্ত্রে কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল।”
ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কার্য আরম্ভ করিয়াছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত তাহা সিদ্ধ করিবেন।
আমি সদাপ্রভুর বিষয়ে বলিব, ‘তিনি আমার আশ্রয়, আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহাতে নির্ভর করিব’।
আমি কি তোমাকে আজ্ঞা দিই নাই? তুমি বলবান হও ও সাহস কর, মহাভয়ে ভীত কি নিরাশ হইও না; কেননা তুমি যে কোন স্থানে যাও, সেই স্থানে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সহবর্তী।