শয়তান আর তার দলবল নিয়ে বাইবেলে অনেক কথা বলা আছে। মাঝে মাঝে ওরা ভয়ংকর আর শক্তিশালী মনে হলেও, মনে রাখতে হবে ঈশ্বরের বানীতে সবসময় যীশু খ্রীষ্টের জয় আর তাঁর অপার শক্তির কথাই বলা হয়েছে।
বাইবেল আমাদের শেখায় যে, ঈশ্বর যেকোনো অশুভ শক্তির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং যীশু তাঁর নামে আমাদেরকেও দুষ্ট আত্মাদের উপর কর্তৃত্ব দিয়েছেন।
ইফিষীয় ৬:১২ পদে বলা আছে, "কারণ আমাদের যুদ্ধ রক্ত-মাংসের মানুষের বিরুদ্ধে নয়, বরং কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে, ক্ষমতার বিরুদ্ধে, এই অন্ধকার জগতের শাসকদের বিরুদ্ধে, এবং স্বর্গীয় স্থানে থাকা দুষ্ট আত্মাদের বিরুদ্ধে।"
আমরা জানি আমরা একটা আধ্যাত্মিক জগতে বাস করি, যদিও আমাদের চোখে সেটা সবসময় দেখা যায় না। তাই বুঝতে হবে আমাদের লড়াই মানুষের সাথে নয়, বরং সেইসব দুষ্ট আত্মাদের সাথে যারা তাদের বন্দী করে রাখে, যারা তাদের চিন্তাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বাইবেল বলে, "শয়তানকে প্রতিরোধ কর, তাহলে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।" খ্রীষ্টের দেহ হিসেবে আমাদের মনে রাখতে হবে, ঈশ্বর আমাদেরকে দুষ্ট আত্মাদের তাড়ানোর জন্য সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই ভয় পেও না। পবিত্রতার বর্ম পরিধান করো এবং যীশুর শক্তিশালী নামে শয়তান এবং তার দলবলকে তাড়িয়ে দাও।
অন্ধকারের যেকোনো আক্রমণের সময় মনে রেখো, ঈশ্বরের বানীতে আমরা শক্তি পেতে পারি। ঈশ্বর আমাদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং শত্রুর প্রলোভন ও আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রও দিয়েছেন।
দুষ্ট আত্মারা আধ্যাত্মিকভাবে বাস্তব হলেও, আমাদের তাদের ভয় পাওয়া উচিত নয়। বরং আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি এবং তাঁর শক্তিকে আঁকড়ে ধরতে হবে।
আর সন্ধ্যা হইলে লোকেরা অনেক ভূতগ্রস্তকে তাঁহার নিকটে আনিল, তাহাতে তিনি বাক্য দ্বারাই সেই আত্মাগণকে ছাড়াইলেন, এবং সকল পীড়িত লোককে সুস্থ করিলেন;
কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদের মধ্যে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে।
পরে তিনি আপনার বারো জন শিষ্যকে নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদিগকে অশুচি আত্মাদের উপরে ক্ষমতা দিলেন, যেন তাঁহারা তাহাদিগকে ছাড়াইতে, এবং সর্বপ্রকার রোগ ও ব্যাধি আরোগ্য করিতে পারেন।
পরে সেই সত্তর জন আনন্দে ফিরিয়া আসিয়া কহিল, প্রভু, আপনার নামে ভূতগণও আমাদের বশীভূত হয়।তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, আমি শয়তানকে বিদ্যুতের ন্যায় স্বর্গ হইতে পতিত দেখিতেছিলাম।দেখ, আমি তোমাদিগকে সর্প ও বৃশ্চিক পদতলে দলিত করিবার, এবং শত্রুর সমস্ত শক্তির উপরে কর্তৃত্ব করিবার ক্ষমতা দিয়াছি। কিছুতেই কোন মতে তোমাদের হানি করিবে না;তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প; অতএব শস্যক্ষেত্রের মালিকের নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।তথাপি আত্মারা যে তোমাদের বশীভূত হয়, ইহাতে আনন্দ করিও না; কিন্তু তোমাদের নাম যে স্বর্গে লিখিত আছে, ইহাতেই আনন্দ কর।
তাহারা বলিদান করিল ভূতগণের উদ্দেশে, যাহারা ঈশ্বর নয়, দেবগণের উদ্দেশে, যাহাদিগকে তাহারা জানিত না, নূতন, নবজাত দেবগণের উদ্দেশে, যাহাদিগকে তোমাদের পিতৃগণ ভয় করিত না।
আর আধিপত্য ও কর্তৃত্ব সকল দূর করিয়া দিয়া ক্রুশেই সেই সকলের উপরে বিজয়-যাত্রা করিয়া তাহাদিগকে স্পষ্টরূপে দেখাইয়া দিলেন।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে।
এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
তিনি প্রবল রবে ডাকিয়া কহিলেন, ‘পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল; সে ভূতগণের আবাস, সমস্ত অশুচি আত্মার কারাগার, ও সমস্ত অশুচি ও ঘৃণার্হ পক্ষীর কারাগার হইয়া পড়িয়াছে।
তাহাতে মন্দ-আত্মারা বিনতি করিয়া তাঁহাকে কহিল, যদি আমাদিগকে ছাড়ান, তবে ঐ শূকর-পালে পাঠাইয়া দিউন।
বৎসেরা, তোমরা ঈশ্বর হইতে এবং উহাদিগকে জয় করিয়াছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যবর্তী, তিনি জগতের মধ্যবর্তী ব্যক্তি অপেক্ষা মহান।
তখন একজন ভূতগ্রস্ত তাঁহার নিকটে আনীত হইল, সে অন্ধ ও গোঁগা; আর তিনি তাহাকে সুস্থ করিলেন, তাহাতে সেই বোবা কথা কহিতে ও দেখিতে লাগিল।
তাহারা ভূতদের আত্মা, নানা চিহ্ন-কার্য করে; তাহারা জগৎ সমুদয়ের রাজাদের নিকটে গিয়া সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সেই মহাদিনের যুদ্ধার্থে তাহাদিগকে একত্র করে।
তাহাতে দুষ্ট আত্মা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিল, যীশুকে আমি জানি, পৌলকেও চিনি, কিন্তু তোমরা কে?তখন যে ব্যক্তি দুষ্ট আত্মাবিষ্ট, সে তাহাদের উপরে লাফ দিয়া পড়িল, দুই জনকে পরাজিত করিয়া তাহাদের উপরে এমন বল প্রকাশ করিল যে, তাহারা উলঙ্গ ও ক্ষত-বিক্ষত হইয়া সেই গৃহ হইতে পলায়ন করিল।
তাহাতে তিনি নানা প্রকার রোগে পীড়িত অনেক লোককে সুস্থ করিলেন, এবং অনেক ভূত ছাড়াইলেন, আর তিনি ভূতদিগকে কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা তাঁহাকে চিনিত।
পরে লোকেরা এক সঙ্গে দৌড়াইয়া আসিতেছে দেখিয়া যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকাইয়া কহিলেন, হে বধির গোঁগা আত্মা, আমিই তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হও, আর কখনও ইহার মধ্যে প্রবেশ করিও না।
সপ্তাহের প্রথম দিবসে যীশু প্রত্যুষে উঠিলে প্রথমে সেই মগ্দলীনী মরিয়মকে দর্শন দিলেন, যাঁহা হইতে তিনি সাতটি ভূত ছাড়াইয়াছিলেন।
যখন অশুচি আত্মা মনুষ্য হইতে বাহির হইয়া যায়, তখন জলবিহীন নানা স্থান দিয়া ভ্রমণ করতঃ বিশ্রামের অন্বেষণ করে; কিন্তু না পাইয়া বলে, আমি যেখান হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি, আমার সেই গৃহে ফিরিয়া যাই।পরে আসিয়া তাহা মার্জিত ও শোভিত দেখে।তখন সে গিয়া আপনা হইতে দুষ্ট অপর সাতটা আত্মাকে সঙ্গে লইয়া আইসে, এবং তাহারা সেই স্থানে প্রবেশ করিয়া বাস করে; তাহাতে সেই মনুষ্যের প্রথম দশা হইতে শেষ দশা আরও মন্দ হয়।
আর তিনি একটা ভূত ছাড়াইয়াছিলেন, সে গোঁগা। ভূত বাহির হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তাহাতে লোকেরা আশ্চর্য জ্ঞান করিল।
পরে তিনি অন্য পারে গাদারীয়দের দেশে গেলে দুই জন ভূতগ্রস্ত লোক কবর স্থান হইতে বাহির হইয়া তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইল; তাহারা এত বড় দুর্দান্ত ছিল যে, ঐ পথ দিয়া কেহই যাইতে পারিত না।আর দেখ, তাঁহারা চেঁচাইয়া উঠিল, বলিল, হে ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি নিরূপিত সময়ের পূর্বে আমাদিগকে যাতনা দিতে এখানে আসিলেন?তখন তিনি হাত বাড়াইয়া তাহাকে স্পর্শ করিলেন, কহিলেন, আমার ইচ্ছা, তুমি শুচিকৃত হও; আর তখনই সে কুষ্ঠরোগ হইতে শুচিকৃত হইল।তখন তাহাদের হইতে কিছু দূরে বৃহৎ এক শূকর-পাল চরিতেছিল।তাহাতে মন্দ-আত্মারা বিনতি করিয়া তাঁহাকে কহিল, যদি আমাদিগকে ছাড়ান, তবে ঐ শূকর-পালে পাঠাইয়া দিউন।তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, চলিয়া যাও। তখন তাহারা বাহির হইয়া সেই শূকর-পালে প্রবেশ করিল; আর দেখ, সমুদয় শূকর মহাবেগে ঢালু পাড় দিয়া দৌড়াইয়া গিয়া সমুদ্রে পড়িল, ও জলে ডুবিয়া মরিল।তখন পালকেরা পলায়ন করিল, এবং নগরে গিয়া সমস্ত বিষয়, বিশেষতঃ সেই ভূতগ্রস্তদের বিষয় বর্ণনা করিল।আর দেখ, নগরের সমস্ত লোক যীশুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য বাহির হইয়া আসিল, এবং তাঁহাকে দেখিয়া আপনাদের সীমা হইতে চলিয়া যাইতে বিনতি করিল।
সে অনেক দিন পর্যন্ত এইরূপ করিতে থাকিল। কিন্তু পৌল বিরক্ত হইয়া মুখ ফিরাইয়া সেই আত্মাকে কহিলেন, আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হইয়া যাও; তাহাতে সেই দণ্ডেই সে বাহির হইয়া গেল।
পরে তাঁহারা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে উপস্থিত হইলেন।কারণ আমরা অনেকগুলি আছি। পরে সে অনেক বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদিগকে সেই অঞ্চল হইতে পাঠাইয়া না দেন।সেই স্থানে পর্বতের পার্শ্বে এক বৃহৎ শূকরপাল চরিতেছিল।আর তাহারা বিনতি করিয়া কহিল, ঐ শূকরগুলির মধ্যে প্রবেশ করিতে আমাদিগকে পাঠাইয়া দিউন।তিনি তাহাদিগকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই অশুচি আত্মারা বাহির হইয়া শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করিল; তাহাতে সেই শূকর-পাল, কমবেশ দুই সহস্র শূকর, মহাবেগে দৌড়াইয়া ঢালু পাড় দিয়া সমুদ্রে গিয়া পড়িল, এবং সমুদ্রে ডুবিয়া মরিল।তখন যাহারা সেইগুলিকে চরাইতেছিল, তাহারা পলায়ন করিয়া নগরে ও পল্লীতে পল্লীতে গিয়া সংবাদ দিল। তখন কি ঘটিয়াছে, দেখিবার জন্য লোকেরা আসিল;এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখে, সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তি, যাহাকে বাহিনী-ভূতে পাইয়াছিল, সে কাপড় পরিয়া সুবোধ হইয়া বসিয়া আছে;তাহাতে তাহারা ভয় পাইল। আর ঐ ভূতগ্রস্ত লোকটির ও শূকর-পালের ঘটনা যাহারা দেখিয়াছিল, তাহারা তাহাদিগকে সমস্ত বৃত্তান্ত বলিল।তখন তাহারা আপনাদের সীমা হইতে প্রস্থান করিতে তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল।পরে তিনি নৌকায় উঠিতেছেন, এমন সময়ে যে ব্যক্তিকে ভূতে পাইয়াছিল, সে তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তাঁহার সঙ্গে থাকিতে পারে।কিন্তু তিনি তাহাকে অনুমতি দিলেন না, বরং কহিলেন, তুমি বাটীতে তোমার আত্মীয়গণের নিকটে চলিয়া যাও, এবং প্রভু তোমার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছেন, ও তোমার প্রতি যে কৃপা করিয়াছেন, তাহা তাহাদিগকে জ্ঞাত কর।তিনি নৌকা হইতে বাহির হইলে তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি কবর-স্থান হইতে তাঁহার সম্মুখে আসিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল।তখন সে প্রস্থান করিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছিলেন, তাহা দিকাপলিতে প্রচার করিতে লাগিল; তাহাতে সকলেই আশ্চর্য জ্ঞান করিল।
আর তিনি স্থলে নামিলে ঐ নগরের একজন ভূতগ্রস্ত লোক সম্মুখে উপস্থিত হইল; সে অনেক দিন হইতে কাপড় পরিত না, ও গৃহে বাস করিত না, কিন্তু কবরে থাকিত।যীশুকে দেখিবামাত্র সে চিৎকার করিয়া উঠিল, এবং তাঁহার সম্মুখে পড়িয়া উচ্চ রবে কহিল, হে যীশু, পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সহিত আমার সমপর্ক কি? আপনাকে বিনতি করি, আমাকে যাতনা দিবেন না।কারণ তিনি সেই অশুচি আত্মাকে লোকটির মধ্য হইতে বাহির হইয়া যাইতে আজ্ঞা করিলেন; কেননা ঐ আত্মা দীর্ঘকাল অবধি তাহাকে ধরিয়াছিল, আর শৃঙ্খল ও বেড়ী দ্বারা বদ্ধ হইয়া রক্ষিত হইলেও সে বন্ধন ছিঁড়িয়া ভূতের বশে নির্জন স্থানে চালিত হইত।যোহানা, যিনি হেরোদের বিষয়াধ্যক্ষ কূষের স্ত্রী, এবং শোশন্না ও অন্য অনেক স্ত্রীলোক ছিলেন; তাঁহারা আপন আপন সমপত্তি হইতে তাঁহাদের পরিচর্যা করিতেন।যীশু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার নাম কি? সে কহিল, বাহিনী; কেননা অনেক ভূত তাহার মধ্যে প্রবেশ করিয়াছিল।পরে তাহারা তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল, যেন তিনি তাহাদিগকে রসাতলে চলিয়া যাইতে আজ্ঞা না দেন।সেই স্থানে পর্বতের উপরে বৃহৎ এক শূকর পাল চরিতেছিল; তাহাতে ভূতগণ তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদিগকে শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করিতে অনুমতি দেন; তিনি তাহাদিগকে অনুমতি দিলেন।তখন ভূতগণ সেই লোকটি হইতে বাহির হইয়া শূকরগুলির মধ্যে প্রবেশ করিল, তাহাতে সেই পাল বেগে ঢালু পাড় দিয়া দৌড়াইয়া গিয়া হ্রদে পড়িয়া ডুবিয়া মরিল।এই ঘটনা দেখিয়া, যাহারা সেইগুলিকে চরাইতেছিল, তাহারা পলায়ন করিল, এবং নগরে ও পল্লীতে পল্লীতে সংবাদ দিল।তখন কি ঘটিয়াছে, দেখিবার জন্য লোকেরা বাহির হইল, এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখিল, যে লোকটি হইতে ভূতগণ বাহির হইয়াছে, সে কাপড় পরিয়া ও সুবোধ হইয়া যীশুর চরণ তলে বসিয়া আছে; তাহাতে তাহারা ভয় পাইল।আর যাহারা দেখিয়াছিল, তাহারা সেই ভূতগ্রস্ত কিরূপে সুস্থ হইয়াছিল, তাহা তাহাদিগকে বলিল।তাহাতে গেরাসেনীদের প্রদেশের চারিদিকের সমস্ত লোক তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া যান; কেননা তাহারা মহাভয়ে আক্রান্ত হইয়াছিল, তখন তিনি নৌকায় উঠিয়া ফিরিয়া আসিলেন।আর যাহা হইতে ভূতগণ বাহির হইয়াছিল, সেই লোকটি প্রার্থনা করিল, যেন তাঁহার সঙ্গে থাকিতে পারে;কিন্তু তিনি তাহাকে বিদায় করিয়া কহিলেন, তুমি তোমার গৃহে ফিরিয়া যাও, এবং তোমার নিমিত্ত ঈশ্বর যে যে মহৎ কার্য করিয়াছেন, তাহার বৃত্তান্ত বল। তাহাতে সে চলিয়া গিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছেন, তাহা নগরের সর্বত্র প্রচার করিতে লাগিল।
সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য করি নাই?
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
তখন তাহাদের সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল;সে চেঁচাইয়া কহিল, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন?আমি জানি, আপনি কে; ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি। তখন যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, চুপ কর, উহা হইতে বাহির হও।তাহাতে সেই অশুচি আত্মা তাহাকে মুচড়াইয়া ধরিয়া উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করিয়া তাহার মধ্য হইতে বাহির হইয়া গেল।
তখন ঐ সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাঁহাকে অশুচি ভূতের আত্মায় পাইয়াছিল;সে উচ্চরবে চেঁচাইয়া কহিল, আহা, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন? আমি জানি আপনি কে, ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।তখন যীশু তাহাকে ধম্কাইয়া কহিলেন, চুপ্ কর, এবং উহা হইতে বাহির হও, তখন সেই ভূত তাহাকে মাঝখানে ফেলিয়া দিয়া তাহা হইতে বাহির হইয়া গেল,তাহার কোন হানি করিল না। তখন সকলে চমৎকৃত হইল, এবং পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল, এ কেমন কথা? ইনি ক্ষমতায় ও পরাক্রমে অশুচি আত্মাদিগকে আজ্ঞা করেন, আর তাহারা বাহির হইয়া যায়।
কিন্তু ফরীশীরা তাহা শুনিয়া কহিল, এই ব্যক্তি আর কিছুতে নয়, কেবল ভূতগণের অধিপতি বেল্সবূলের দ্বারাই ভূত ছাড়ায়।
আর দেখ, ঐ অঞ্চলের একজন কনানীয় স্ত্রীলোক আসিয়া এই বলিয়া চেঁচাইতে লাগিল, হে প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমার প্রতি দয়া করুন, আমার কন্যাটি ভূতগ্রস্ত হইয়া অত্যন্ত ক্লেশ পাইতেছে।
শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও।ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।
পরে যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে সেই ভূত তাহাকে ছাড়িয়া গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড অবধি সুস্থ হইল।
পরে তাঁহারা লোকসমূহের নিকটে আসিলে এক ব্যক্তি তাঁহার কাছে আসিয়া জানু পাতিয়া কহিল,প্রভু, আমার পুত্রের প্রতি দয়া করুন, কেননা সে মৃগীরোগগ্রস্ত, এবং অত্যন্ত ক্লেশ পাইতেছে, কারণ সে বার বার আগুনে ও বার বার জলে পড়িয়া থাকে।আর আমি আপনার শিষ্যদের নিকটে তাহাকে আনিয়াছিলাম, কিন্তু তাঁহারা তাহাকে সুস্থ করিতে পারিলেন না।যীশু উত্তর করিয়া কহিলেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকিব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব? তোমরা উহাকে এখানে আমার কাছে আন।পরে যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে সেই ভূত তাহাকে ছাড়িয়া গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড অবধি সুস্থ হইল।
একদিন আমরা সেই প্রার্থনা-স্থানে যাইতেছিলাম, এমন সময়ে দৈবজ্ঞ আত্মাবিষ্ট এক দাসী আমাদের সম্মুখে পড়িল; সে ভাগ্য-কথন দ্বারা তাহার কর্তাদের বিস্তর লাভ জন্মাইত।সে পৌলের এবং আমাদের পশ্চাৎ চলিতে চলিতে চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, এই ব্যক্তিরা পরাৎপর ঈশ্বরের দাস, ইহাঁরা তোমাদিগকে পরিত্রাণের পথ জানাইতেছেন।সে অনেক দিন পর্যন্ত এইরূপ করিতে থাকিল। কিন্তু পৌল বিরক্ত হইয়া মুখ ফিরাইয়া সেই আত্মাকে কহিলেন, আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হইয়া যাও; তাহাতে সেই দণ্ডেই সে বাহির হইয়া গেল।
তোমরা তোমাদের পিতা দিয়াবলের, এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা; সে আদি হইতেই নরঘাতক, সত্যে থাকে নাই, কারণ তাহার মধ্যে সত্য নাই। সে যখন মিথ্যা বলে, তখন আপনা হইতেই বলে, কেননা সে মিথ্যাবাদী ও তাহার পিতা।
আর তাঁহার জনরব সমুদয় সুরিয়া দেশে ব্যাপিল; এবং নানা প্রকার রোগ ও ব্যাধিতে ক্লিষ্ট সমস্ত পীড়িত লোক, ভূতগ্রস্ত ও মৃগীরোগী ও পক্ষাঘাতী লোক সকল, তাঁহার নিকটে আনীত হইল, আর তিনি তাহাদিগকে সুস্থ করিলেন।
আর যাহারা বিশ্বাস করে, এই চিহ্নগুলি তাহাদের অনুবর্তী হইবে; তাহারা আমার নামে ভূত ছাড়াইবে, তাহারা নূতন নূতন ভাষায় কথা কহিবে, তাহারা সর্প তুলিবে,
তাহারা বাহিরে যাইতেছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ত গোঁগাকে তাঁহার নিকটে আনিল।ভূত ছাড়ান হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তখন লোক সকল আশ্চর্য জ্ঞান করিয়া কহিল, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায় নাই।কিন্তু ফরীশীরা বলিতে লাগিল, ভূতগণের অধিপতি দ্বারা সে ভূত ছাড়ায়।
আর অনেক লোক হইতে ভূতও বাহির হইল, তাহারা চিৎকার করিয়া কহিল, আপনি ঈশ্বরের পুত্র; কিন্তু তিনি তাহাদিগকে ধমক্ দিয়া কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা জানিত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
আর ইহা আশ্চর্য নয়, কেননা শয়তান আপনি দীপ্তিময় দূতের বেশ ধারণ করে।সুতরাং তাহার পরিচারকেরাও যে ধার্মিকতার পরিচারকদের বেশ ধারণ করে, ইহা মহৎ বিষয় নয়; তাহাদের পরিণাম তাহাদের ক্রিয়ানুসারে হইবে।
আর অশুচি আত্মা যখন মনুষ্য হইতে বাহির হইয়া যায়, তখন জলবিহীন নানা স্থান দিয়া ভ্রমণ করতঃ বিশ্রামের অন্বেষণ করে, কিন্তু তাহা পায় না।তখন সে বলে, আমি যেই স্থান হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি, আমার সেই গৃহে ফিরিয়া যাই; পরে সে আসিয়া তাহা শূন্য, মার্জিত ও শোভিত দেখে।তখন সে গিয়া আপনা হইতেও দুষ্ট অপর সাত আত্মাকে সঙ্গে লইয়া আইসে, আর তাহারা সেই স্থানে প্রবেশ করিয়া বাস করে; তাহাতে সেই মনুষ্যের প্রথম দশা হইতে শেষ দশা আরও মন্দ হয়। এই কালের দুষ্ট লোকদের প্রতি তাহাই ঘটিবে।
আর সেই মহানাগ নিক্ষিপ্ত হইল; ইহা সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা যায়, সে সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, এবং তাহার দূতগণও তাহার সঙ্গে নিক্ষিপ্ত হইল।
আর দেখ, ঐ অঞ্চলের একজন কনানীয় স্ত্রীলোক আসিয়া এই বলিয়া চেঁচাইতে লাগিল, হে প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমার প্রতি দয়া করুন, আমার কন্যাটি ভূতগ্রস্ত হইয়া অত্যন্ত ক্লেশ পাইতেছে।কিন্তু তিনি তাহাকে কিছুই উত্তর দিলেন না। তখন তাঁহার শিষ্যেরা নিকটে আসিয়া তাঁহাকে নিবেদন করিলেন, ইহাকে বিদায় করুন, কেননা এ আমাদের পিছনে পিছনে চেঁচাইতেছে।তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষ ছাড়া আর কাহারও নিকটে আমি প্রেরিত হই নাই।কিন্তু স্ত্রীলোকটি আসিয়া তাঁহাকে প্রণাম করিয়া বলিল, প্রভু, আমার উপকার করুন।তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, সন্তানদের খাদ্য লইয়া কুকুরদের কাছে ফেলিয়া দেওয়া ভাল নয়।তাহাতে সে কহিল, হাঁ, প্রভু, কেননা কুকুরেরাও আপন আপন কর্তাদের মেজ হইতে যে গুঁড়াগাঁড়া পড়ে, তাহা খায়।তখন যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, হে নারি, তোমার বড়ই বিশ্বাস, তোমার যেমন ইচ্ছা, তেমনি তোমার প্রতি হউক। আর সেই দণ্ড অবধি তাহার কন্যা সুস্থ হইল।
পরে তিনি সেই বারো জনকে একত্রে ডাকিয়া তাঁহাদিগকে সমস্ত ভূতের উপরে, এবং রোগ ভাল করিবার জন্য, শক্তি ও কর্তৃত্ব দিলেন;
বরং পরজাতিগণ যাহা যাহা বলিদান করে, তাহা ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করে, ঈশ্বরের উদ্দেশে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা নয় যে, তোমরা ভূতদের সহভাগী হও।প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করিতে পার না; প্রভুর মেজ ও ভূতদের মেজ, তোমরা এই উভয় মেজের অংশী হইতে পার না।
কারণ তখনই একজন স্ত্রীলোক, যাহার একটি মেয়ে ছিল, আর তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল, তাঁহার বিষয় শুনিতে পাইয়া আসিয়া তাঁহার চরণে পড়িল।স্ত্রীলোকটি গ্রীক, জাতিতে সুর-ফৈনীকী। সে তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল, যেন তিনি তাহার কন্যার ভূত ছাড়াইয়া দেন।তিনি তাহাকে কহিলেন, প্রথমে সন্তানেরা তৃপ্ত হউক, কেননা সন্তানদের খাদ্য লইয়া কুকুরদের কাছে ফেলিয়া দেওয়া ভাল নয়।কিন্তু স্ত্রীলোকটি উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিল, হাঁ, প্রভু, আর কুকুরেরাও মেজের নিচে ছেলেদের খাদ্যের গুঁড়াগাঁড়া খায়।তখন তিনি তাহাকে বলিলেন, এই বাক্য প্রযুক্ত চলিয়া যাও, তোমার কন্যার ভূত ছাড়িয়া গিয়াছে।ফরীশীগণ ও যিহূদীরা সকলে প্রাচীনদের পরমপরাগত বিধি মান্য করায় ভাল করিয়া হাত না ধুইয়া আহার করে না।পরে সে গৃহে গিয়া দেখিতে পাইল, কন্যাটি শয্যায় শুইয়া আছে, এবং ভূত বাহির হইয়া গিয়াছে।
তাহাতে তাহারা যে ছাগদের অনুগমনে ব্যভিচার করিয়া আসিতেছে, তাহাদের উদ্দেশে আর বলিদান করিবে না। ইহা তাহাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি হইবে।
পীড়িতদিগকে সুস্থ করিও, মৃতদিগকে উত্থাপন করিও, কুষ্ঠীদিগকে শুচি করিও, ভূতদিগকে ছাড়াইও; তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।
আর যিরূশালেমের চারিদিকের নগরসমূহ হইতেও অনেক লোক রোগীদিগকে এবং অশুচি আত্মা দ্বারা ক্লিষ্ট ব্যক্তিদিগকে লইয়া সমাগত হইত, আর তাহারা সকলেই সুস্থ হইত।
তখন সদাপ্রভুর আত্মা শৌলকে ত্যাগ করিয়াছিলেন, আর সদাপ্রভু হইতে এক দুষ্ট আত্মা আসিয়া তাঁহাকে উদ্বিগ্ন করিতে লাগিল।
আর তিনি আপন পুত্রকে অগ্নির মধ্য দিয়া গমন করাইলেন, ও গণকতা ও মোহকের ব্যবহার করিতেন, এবং ভূতড়িয়াদিগকে ও গুনিনদিগকে রাখিতেন। তিনি সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে বহুল কদাচরণ করিয়া তাঁহাকে অসন্তুষ্ট করিলেন।
আর যখন তাহারা তোমাদিগকে বলে, তোমরা ভূতড়িয়া ও গুনিনদের নিকটে, যাহারা বিড় বিড় ও ফিসফিস করিয়া বকে, তাহাদের নিকটে অন্বেষণ কর, [তখন তোমরা বলিবে,] প্রজাগণ কি আপনাদের ঈশ্বরের কাছে অন্বেষণ করিবে না? তাহারা জীবিতদের জন্য কি মৃতদের কাছে [অন্বেষণ করিবে]?
কিন্তু পারস্য-রাজ্যের অধ্যক্ষ একুশ দিন পর্যন্ত আমার প্রতিকূলে দাঁড়াইলেন। পরে দেখ, প্রধান অধ্যক্ষদের মধ্যে মীখায়েল নামক একজন আমার সাহায্য করিতে আসিলেন; আর আমি সেই স্থানে পারস্যের রাজগণের কাছে রহিলাম।
কিন্তু ফরীশীরা তাহা শুনিয়া কহিল, এই ব্যক্তি আর কিছুতে নয়, কেবল ভূতগণের অধিপতি বেল্সবূলের দ্বারাই ভূত ছাড়ায়।তাহাদের চিন্তা জানিয়া তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, যে কোন রাজ্য আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তাহা উচ্ছিন্ন হয়; এবং যে কোন নগর কিম্বা পরিবার আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তাহা স্থির থাকিবে না।আর শয়তান যদি শয়তানকে ছাড়ায়, সে ত আপনারই বিপক্ষে ভিন্ন হইল; তবে তাহার রাজ্য কি প্রকারে স্থির থাকিবে?আর আমি যদি বেল্সবূলের দ্বারা ভূত ছাড়াই, তবে তোমাদের সন্তানেরা কাহার দ্বারা ছাড়ায়? এই জন্য তাহারাই তোমাদের বিচারকর্তা হইবে।কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা মন্দ-আত্মা ছাড়াই, তবে ত ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে আসিয়া পড়িয়াছে।
আর যে স্বর্গদূতেরা আপনাদের আধিপত্য রক্ষা না করিয়া নিজ বাসস্থান ত্যাগ করিয়াছিল, তাহাদিগকে তিনি মহাদিনের বিচারার্থে ঘোর অন্ধকারের অধীনে অনন্তকালীন শৃঙ্খলে বদ্ধ রাখিয়াছেন।
কারণ ঈশ্বর পাপে পতিত দূতগণকে ক্ষমা করেন নাই, কিন্তু নরকে ফেলিয়া বিচারার্থে রক্ষিত হইবার জন্য অন্ধকারের কারাকূপে সমর্পণ করিলেন।
সেই সকলেতে তোমরা পূর্বে চলিতে, এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কর্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য করিতেছে, সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলিতে।
আর শান্তির ঈশ্বর ত্বরায় শয়তানকে তোমাদের পদতলে দলিত করিবেন। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হউক।
কারণ অশুচি আত্মাবিষ্ট অনেক লোক হইতে সেই সকল আত্মা উচ্চৈঃস্বরে চেঁচাইয়া বাহির হইয়া আসিল, এবং অনেক পক্ষাঘাতী ও খঞ্জ সুস্থ হইল;
এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না।আর তাহারা আপন আপন নরহত্যা, আপন আপন কুহক, আপন আপন ব্যভিচার ও আপন আপন চৌর্যবৃত্তি হইতেও মন ফিরাইল না।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা গিয়া সেই শৃগালকে বল, দেখ, অদ্য এবং কল্য আমি ভূত ছাড়াইতেছি, ও আরোগ্য সাধন করিতেছি, এবং তৃতীয় দিবসে সিদ্ধকর্মা হইব।
পরে তিনি বামদিকে স্থিত লোকদিগকেও বলিবেন, ওহে শাপগ্রস্ত সকল, আমার নিকট হইতে দূর হও, দিয়াবলের ও তাহার দূতগণের জন্য যে অনন্ত অগ্নি প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার মধ্যে যাও।
যেন তুমি তাহাদের চক্ষু খুলিয়া দেও, যেন তাহারা অন্ধকার হইতে জ্যোতির প্রতি, এবং শয়তানের কর্তৃত্ব হইতে ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসে, যেন আমাতে বিশ্বাস করণ দ্বারা পাপের মোচন ও পবিত্রীকৃত লোকদের মধ্যে অধিকার প্রাপ্ত হয়।’
শ্যামাঘাস সেই পাপাত্মার সন্তানগণ; যে শত্রু তাহা বুনিয়াছিল, সে দিয়াবল; ছেদনের সময় যুগান্ত; ছেদকেরা স্বর্গদূত।
সে আসিতেছে, এমন সময়ে ঐ ভূত তাহাকে ফেলিয়া দিল, ও ভয়ানক মুচড়াইয়া ধরিল। কিন্তু যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমক্ দিলেন, বালকটিকে সুস্থ করিলেন, ও তাহার পিতার কাছে তাহাকে সমর্পণ করিলেন।
আমরা জানি, যে কেহ ঈশ্বর হইতে জাত, সে পাপ করে না, কিন্তু যে ঈশ্বর হইতে জাত, সে আপনাকে রক্ষা করে, এবং সেই পাপাত্মা তাহাকে স্পর্শ করে না।
যখন কেহ সেই রাজ্যের বাক্য শুনিয়া না বুঝে, তখন সেই পাপাত্মা আসিয়া, তাহার হৃদয়ে যাহা বপন করা হইয়াছিল, তাহা হরণ করিয়া লয়; এ সেই, যাহা পথের পার্শ্বে উপ্ত।
শিমোন, শিমোন, দেখ, গমের ন্যায় চালিবার জন্য শয়তান তোমাদিগকে আপনার বলিয়া চাহিয়াছে;কিন্তু আমি তোমার নিমিত্ত বিনতি করিয়াছি, যেন তোমার বিশ্বাসের লোপ না হয়; আর তুমিও একবার ফিরিলে পর তোমার ভ্রাতৃগণকে সুস্থির করিও।
কারণ, আমরা, বিশেষতঃ আমি পৌল, একবার ও দুইবার, তোমাদের কাছে যাইতে বাঞ্ছা করিয়াছিলাম, কিন্তু শয়তান আমাদের বাধা দিল।
আমাদের প্রভু যীশুর পরাক্রম সহকারে তাদৃশ্য ব্যক্তিকে মাংসের বিনাশার্থে শয়তানের হস্তে সমর্পণ করিতে হইবে, যেন প্রভু যীশুর দিনে আত্মা পরিত্রাণ পায়।
আর একদিন ঈশ্বরের পুত্রগণ সদাপ্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইবার জন্য উপস্থিত হইলে তাঁহাদের মধ্যে শয়তানও সদাপ্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইবার জন্য উপস্থিত হইল।কিন্তু তিনি তাঁহাকে কহিলেন, তুমি একটা মূঢ়া স্ত্রীর মত কথা কহিতেছ। বল কি? আমরা ঈশ্বর হইতে কি মঙ্গলই গ্রহণ করিব, অমঙ্গল গ্রহণ করিব না? এই সকলেতে ইয়োব আপন ওষ্ঠাধরে পাপ করিলেন না।পরে ইয়োবের প্রতি ঘটিত ঐ সকল বিপদের কথা তাঁহার তিন জন মিত্রের কর্ণগোচর হইলে তাঁহারা প্রত্যেকে আপন আপন স্থান হইতে আসিলেন; তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্দদ ও নামাথীয় সোফর একপরামর্শ হইয়া তাঁহার সহিত শোক ও তাঁহাকে সান্ত্বনা করিবার জন্য তাঁহার নিকটে আগমন করিতে স্থির করিলেন।পরে তাঁহারা দূর হইতে চক্ষু তুলিয়া দেখিলেন, কিন্তু তাঁহাকে চিনিতে পারিলেন না, তাহাতে তাঁহারা উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিলেন, এবং প্রত্যেকে আপন আপন বস্ত্র ছিঁড়িয়া আপন আপন মস্তকের উপরে আকাশের দিকে ধুলা ছড়াইতে লাগিলেন।পরে সাত দিন ও সাত রাত্রি তাঁহার সহিত ভূমিতে বসিয়া থাকিলেন, তাঁহাকে কেহ কিছুই কহিলেন না; কারণ তাঁহারা দেখিলেন, তাঁহার যাতনা অতি কঠোর।সদাপ্রভু শয়তানকে কহিলেন, তুমি কোথা হইতে আসিলে? শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর করিয়া কহিল, আমি পৃথিবী পর্যটন ও তথায় ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিয়া আসিলাম।সদাপ্রভু শয়তানকে কহিলেন, আমার দাস ইয়োবের প্রতি কি তোমার মন পড়িয়াছে? কেননা তাহার তুল্য সিদ্ধ ও সরল, ঈশ্বরভয়শীল ও কুক্রিয়াত্যাগী লোক পৃথিবীতে কেহই নাই; সে এখনও আপন সিদ্ধতা রক্ষা করিতেছে, যদিও তুমি অকারণে তাহাকে বিনষ্ট করিতে আমাকে প্রবৃত্ত করিয়াছ।শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর করিয়া কহিল, চর্মের জন্য চর্ম, আর প্রাণের জন্য লোক সর্বস্ব দিবে।কিন্তু তুমি একবার হস্ত বিস্তার করিয়া তাহার অস্থি ও মাংস স্পর্শ কর, সে অবশ্য তোমার সম্মুখেই তোমাকে জলাঞ্জলি দিবে।সদাপ্রভু শয়তানকে কহিলেন, দেখ, সে তোমার হস্তগত; কেবল তাহার প্রাণ থাকিতে দিও।পরে শয়তান সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে বাহির হইয়া ইয়োবের আপাদমস্তকে আঘাত করিয়া দুষ্ট স্ফোটক জন্মাইল।
কিন্তু তিনি মুখ ফিরাইয়া পিতরকে কহিলেন, আমার সম্মুখ হইতে দূর হও, শয়তান, তুমি আমার বিঘ্নস্বরূপ; কেননা যাহা ঈশ্বরের, তাহা নয়, কিন্তু যাহা মনুষ্যের, তাহাই তুমি ভাবিতেছ।
ফলতঃ নাসরতীয় যীশুর কথা, কিরূপে ঈশ্বর তাঁহাকে পবিত্র আত্মাতে ও পরাক্রমে অভিষেক করিয়াছিলেন; তিনি হিতকার্য করিয়া বেড়াইতেন, এবং দিয়াবল কর্তৃক পীড়িত সকল লোককে সুস্থ করিতেন; কারণ ঈশ্বর তাঁহার সহবর্তী ছিলেন।
আর তাহাদের ভ্রান্তিজনক দিয়াবল “অগ্নি ও গন্ধকের” হ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল, যেখানে ঐ পশু ও ভাক্ত ভাববাদীও আছে; আর তাহারা যুগপর্যায়ের যুগে যুগে দিবারাত্র যন্ত্রণা ভোগ করিবে।
যে পাপাচরণ করে, সে দিয়াবলের; কেননা দিয়াবল আদি হইতে পাপ করিতেছে, ঈশ্বরের পুত্র এই জন্যই প্রকাশিত হইলেন, যেন দিয়াবলের কার্য সকল লোপ করেন।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
কেননা ভাক্ত খ্রীষ্টেরা ও ভাক্ত ভাববাদীরা উঠিবে, এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন ও অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ দেখাইবে যে, যদি হইতে পারে, তবে মনোনীতদিগকেও ভুলাইবে।
কিন্তু আশঙ্কা হইতেছে, পাছে সর্প যেমন আপন ধূর্ততায় হবাকে প্রতারণা করিয়াছিল, তেমনি তোমাদের মন খ্রীষ্টের প্রতি সরলতা ও শুদ্ধতা হইতে ভ্রষ্ট হয়।
আর শয়তানও যদি আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তবে তাহার রাজ্য কি প্রকারে স্থির থাকিবে? কেননা তোমরা বলিতেছ, আমি বেল্সবূলের দ্বারা ভূত ছাড়াই।
এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখে, সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তি, যাহাকে বাহিনী-ভূতে পাইয়াছিল, সে কাপড় পরিয়া সুবোধ হইয়া বসিয়া আছে;
যোহন তাঁহাকে কহিলেন, হে গুরু, আমরা এক ব্যক্তিকে আপনার নামে ভূত ছাড়াইতে দেখিয়াছিলাম, আর তাহাকে বারণ করিতেছিলাম, কারণ সে আমাদের পশ্চাদ্গমন করে না।কিন্তু যীশু কহিলেন, তাহাকে বারণ করিও না কারণ এমন কেহ নাই, যে আমার নামে পরাক্রম-কার্য করিয়া সহজে আমার নিন্দা করিতে পারে।
তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেবতা অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি তাহাদের প্রতি উদয় না হয়।
আর দেখ, তাঁহারা চেঁচাইয়া উঠিল, বলিল, হে ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি নিরূপিত সময়ের পূর্বে আমাদিগকে যাতনা দিতে এখানে আসিলেন?
তিনি সেই নাগকে ধরিলেন; এ সেই পুরাতন সর্প, এ দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ]; তিনি তাহাকে সহস্র বৎসর বদ্ধ রাখিলেন,
আর আমি যদি বেল্সবূলের দ্বারা ভূত ছাড়াই, তবে তোমাদের সন্তানেরা কাহার দ্বারা ছাড়ায়? এই জন্য তাহারাই তোমাদের বিচারকর্তা হইবে।
কিন্তু লোকে নিদ্রা গেলে পর তাঁহার শত্রু আসিয়া ঐ গমের মধ্যে শ্যামাঘাসের বীজ বপন করিয়া চলিয়া গেল।
সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে, এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তৎসমুদয়ের উপরে পদান্বিত করিলেন।
যাহারা অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়ায় বসিয়া আছে, তাহাদের উপরে দীপ্তি দিবার জন্য, আমাদের চরণ শান্তিপথে চালাইবার জন্য।
এইরূপে সেই পশুর সাক্ষাতে যে সকল চিহ্ন-কার্য করিবার ক্ষমতা তাহাকে দত্ত হইয়াছে, তদ্দ্বারা সে পৃথিবী-নিবাসীদের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবী-নিবাসীদিগকে বলে, ‘যে পশু খড়্গ দ্বারা আহত হইয়াও বাঁচিয়াছিল, তাহার এক প্রতিমা নির্মাণ কর।’
আর তিনি মহা তূরীধ্বনি সহকারে আপন দূতগণকে প্রেরণ করিবেন; তাঁহারা আকাশের এক সীমা অবধি অন্য সীমা পর্যন্ত চারি বায়ু হইতে তাঁহার মনোনীতদিগকে একত্র করিবেন।
আর ঈশ্বর পৌলের হস্ত দ্বারা অসামান্য পরাক্রম-কার্য সাধন করিতেন;এমন কি, তাঁহার গাত্র হইতে রুমাল কিম্বা গামছা পীড়িত লোকদের নিকটে আনিলে ব্যাধি তাহাদিগকে ছাড়িয়া যাইত, এবং দুষ্ট আত্মারা বাহির হইয়া যাইত।
যীশু পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হইয়া যর্দন হইতে ফিরিয়া আসিলেন, এবং চল্লিশ দিন পর্যন্ত সেই আত্মার আবেশে প্রান্তরের মধ্যে চালিত হইলেন,কেননা লেখা আছে, ‘তিনি আপন দূতগণকে তোমার বিষয়ে আজ্ঞা দিবেন, যেন তাঁহারা তোমাকে রক্ষা করেন;’আর ‘তাঁহারা তোমাকে হস্তে করিয়া তুলিয়া লইবেন, পাছে তোমার চরণে প্রস্তরের আঘাত লাগে।’যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, উক্ত আছে, “তুমি আপন ঈশ্বর প্রভুর পরীক্ষা করিও না”। আর সমস্ত পরীক্ষা সমাপন করিয়া দিয়াবল কিয়ৎকালের জন্য তাঁহার নিকট হইতে চলিয়া গেল।তখন যীশু আত্মার পরাক্রমে গালীলে ফিরিয়া গেলেন, এবং তাঁহার কীর্তি চারিদিকের সমুদয় অঞ্চলে ব্যাপিল।আর তিনি তাহাদের সমাজ-গৃহে সমাজ-গৃহে উপদেশ দিয়া সকলের দ্বারা গৌরবান্বিত হইতে লাগিলেন।আর তিনি যেখানে পালিত হইয়াছিলেন, সেই নাসরতে উপস্থিত হইলেন, এবং আপন রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে সমাজ-গৃহে প্রবেশ করিলেন, ও পাঠ করিতে দাঁড়াইলেন।তখন যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক তাঁহার হস্তে সমর্পিত হইল, আর তিনি পুস্তকখানি খুলিয়া সেই স্থান পাইলেন, যেখানে লেখা আছে,“প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুদান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য,প্রভুর প্রসন্নতার বৎসর ঘোষণা করিবার জন্য”। আর দিয়াবল দ্বারা পরীক্ষিত হইলেন। সেই সকল দিন তিনি কিছুই আহার করেন নাই; পরে সেই সকল দিন শেষ হইলে ক্ষুধিত হইলেন।
আমি জানি, তুমি কোথায় বাস করিতেছ, সেখানে শয়তানের সিংহাসন রহিয়াছে। আর তুমি আমার নাম দৃঢ়রূপে ধারণ করিতেছ, আমার বিশ্বাস অস্বীকার কর নাই; আমার সেই সাক্ষী, আমার সেই বিশ্বস্ত লোক আন্তিপা যখন তোমাদের মধ্যে তথায় নিহত হইয়াছিল, যেখানে শয়তান বাস করে, তখনও বিশ্বাস অস্বীকার কর নাই।
পিতারা, তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ যিনি আদি হইতে আছেন, তোমরা তাঁহাকে জান। যুবকেরা, তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করিয়াছ।
আমি নিবেদন করিতেছি না যে, তুমি তাহাদিগকে জগৎ হইতে লইয়া যাও, কিন্তু তাহাদিগকে সেই পাপাত্মা হইতে রক্ষা কর।
এবং তাঁহার ইচ্ছা সাধনের নিমিত্ত প্রভুর দাসের দ্বারা দিয়াবলের ফাঁদ হইতে জীবনার্থে ধৃত হইয়া চেতনা পাইয়া বাঁচে।
পথের পার্শ্বে যাহারা, তাহারা এমন লোক, যাহাদের মধ্যে বাক্য-বীজ বুনা যায়; আর যখন তাহারা শুনে, তৎক্ষণাৎ শয়তান আসিয়া, তাহাদের মধ্যে যাহা বপন করা হইয়াছিল, সেই বাক্য হরণ করিয়া লইয়া যায়।
আর ঈশ্বরের সেই পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করিও না, যাঁহার দ্বারা তোমরা মুক্তির দিনের অপেক্ষায় মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছ।
কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদের মধ্যে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে।কারণ ইহারই নিমিত্ত আমরা পরিশ্রম ও প্রাণপণ করিতেছি; কেননা যিনি সমস্ত মনুষ্যের, বিশেষতঃ বিশ্বাসীবর্গের ত্রাণকর্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রত্যশা করিয়া আসিতেছি।তুমি এই সকল বিষয় আজ্ঞা কর ও শিক্ষা দেও।তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করিতে দিও না; কিন্তু বাক্যে, আচার ব্যবহারে, প্রেমে, বিশ্বাসে ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসিগণের আদর্শ হও।আমি যত দিন না আইসি, তুমি পাঠ করিতে এবং প্রবোধ ও শিক্ষা দিতে নিবিষ্ট থাক।তোমার অন্তরস্থ সেই অনুগ্রহ-দান অবহেলা করিও না, যাহা ভাববাণী দ্বারা প্রাচীনবর্গের হস্তার্পণ সহকারে তোমাকে দত্ত হইয়াছে।এই সকল বিষয়ে চিন্তা কর, এই সকলে একনিষ্ঠ হও, যেন তোমার উন্নতি সকলের প্রত্যক্ষ হয়।আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এই সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কপটতায় ঘটিবে, যাহাদের নিজ বিবেক তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে।তাহারা বিবাহ নিষেধ করে, এবং বিবিধ খাদ্যের ব্যবহার নিষেধ করে, যাহা যাহা ঈশ্বর এই অভিপ্রায়ে সৃষ্টি করিয়াছেন, যেন, যাহারা বিশ্বাসী ও সত্যের তত্ত্ব জানে, তাহারা ধন্যবাদপূর্বক ভোজন করে।
প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে; তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে,
আর ঈশ্বরের বাক্য ব্যাপিয়া গেল, এবং যিরূশালেমে শিষ্যদের সংখ্যা অতিশয় বৃদ্ধি পাইতে লাগিল; আর যাজকদের মধ্যে বিস্তর লোক বিশ্বাসের বশবর্তী হইল।
তাহারা ঈশ্বরের এই বিচার জ্ঞাত ছিল যে, যাহারা এইরূপ আচরণ করে, তাহারা মৃত্যুর যোগ্য, তথাপি তাহারা তদ্রূপ আচরণ করে, কেবল তাহা নয়, কিন্তু তদাচারী সকলের অনুমোদন করে।
এবং যাঁহারা দুষ্ট আত্মা কিম্বা রোগ হইতে মুক্ত হইয়াছিলেন, এমন কয়েক জন স্ত্রীলোক ছিলেন, মগ্দলীনী নাম্নী মরিয়ম, যাঁহা হইতে সাতটি ভূত বাহির হইয়াছিল,
আর স্বর্গে যুদ্ধ হইল; মীখায়েল ও তাঁহার দূতগণ ঐ নাগের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। তাহাতে সেই নাগ ও তাহার দূতগণও যুদ্ধ করিল,কিন্তু জয়ী হইল না, এবং স্বর্গে তাহাদের স্থান আর পাওয়া গেল না।আর সেই মহানাগ নিক্ষিপ্ত হইল; ইহা সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা যায়, সে সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, এবং তাহার দূতগণও তাহার সঙ্গে নিক্ষিপ্ত হইল।
আর শিমোন যখন দেখিল, প্রেরিতদের হস্তার্পণ দ্বারা পবিত্র আত্মা দত্ত হইতেছেন, তখন সে তাঁহাদের নিকটে টাকা আনিয়া কহিল,আমাকেও এই ক্ষমতা দিউন, যেন আমি যাহার উপরে হস্তার্পণ করিব, সে পবিত্র আত্মা পায়।আর কয়েক জন ভক্ত লোক স্তিফানের কবর দিলেন, ও তাঁহার নিমিত্ত মহাবিলাপ করিলেন।কিন্তু পিতর তাহাকে বলিলেন, তোমার রৌপ্য তোমার সঙ্গে বিনষ্ট হউক, কেননা ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়া ক্রয় করিতে মনস্থ করিয়াছ।এই বিষয়ে তোমার অংশ কি অধিকার কিছুই নাই; কারণ তোমার হৃদয় ঈশ্বরের সাক্ষাতে সরল নয়।অতএব তোমার এই দুষ্টতা হইতে মন ফিরাও; এবং প্রভুর কাছে বিনতি কর, কি জানি, তোমার হৃদয়ের কল্পনার ক্ষমা হইলেও হইতে পারে;কেননা আমি দেখিতেছি, তুমি কটুভাবরূপ পিত্তে ও অধর্মরূপ বন্ধনে পড়িয়া রহিয়াছ।
কিন্তু প্রধান স্বর্গদূত মীখায়েল যখন মোশির দেহের বিষয়ে দিয়াবলের সহিত বাদানুবাদ করিলেন, তখন নিন্দাযুক্ত নিষপত্তি করিতে সাহস করিলেন না, কিন্তু কহিলেন, প্রভু তোমাকে ভর্ৎসনা করুন।
সদাপ্রভু ঈশ্বরের নির্মিত ভূচর প্রাণীদের মধ্যে সর্প সর্বাপেক্ষা খল ছিল। সে ঐ নারীকে কহিল, ঈশ্বর কি বাস্তবিক বলিয়াছেন, তোমরা এই উদ্যানের কোন বৃক্ষের ফল খাইও না?
আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।
সেই বলবান ব্যক্তি যখন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকিয়া আপন বাটী রক্ষা করে, তখন তাহার সমপত্তি নিরাপদে থাকে।কিন্তু যিনি তাহা হইতে অধিক বলবান, তিনি আসিয়া যখন তাহাকে পরাজিত করেন, তখন তাহার সর্বাঙ্গরক্ষক যে সজ্জায় তাহার ভরসা ছিল, তাহা হরণ করিয়া লন, ও তাহার লুঠ দ্রব্য বিতরণ করেন।
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
পরে তিনি আমাকে যিহোশূয় মহাযাজককে দেখাইলেন; ইনি সদাপ্রভুর দূতের সম্মুখে দাঁড়াইয়াছিলেন, আর তাঁহার বিপক্ষতা করিবার জন্য শয়তান [বিপক্ষ] তাঁহার দক্ষিণে দাঁড়াইয়াছিল।বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, সেই দিন তোমরা প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীকে দ্রাক্ষালতার তলে ও ডুমুরবৃক্ষের তলে নিমন্ত্রণ করিবে।তখন সদাপ্রভু শয়তানকে কহিলেন, শয়তান, সদাপ্রভু তোমাকে ভর্ৎসনা করুন; হাঁ, যিনি যিরূশালেমকে মনোনীত করিয়াছেন, সেই সদাপ্রভু তোমাকে ভর্ৎসনা করুন; এই ব্যক্তি কি অগ্নি হইতে উদ্ধৃত অর্ধদগ্ধ কাষ্ঠস্বরূপ নয়?
সদাপ্রভু কহিলেন, কিসে? সে কহিল, আমি গিয়া তাহার সমস্ত ভাববাদীর মুখে মিথ্যাবাদী আত্মা হইব। তখন তিনি কহিলেন, তুমি তাহাকে মুগ্ধ করিবে, কৃতকার্যও হইবে; যাও, সেইরূপ কর।
আমি যখন প্রতিদিন ধর্মধামে তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখন আমার বিরুদ্ধে হস্ত বিস্তার কর নাই; কিন্তু এই তোমাদের সময় এবং অন্ধকারের অধিকার।
তৎকালে পৃথিবীতে মহাবীরগণ ছিল, এবং তৎপরেও ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাদের নিকটে গমন করিলে তাহাদের গর্ভে সন্তান জন্মিল, তাহারাই সেকালের প্রসিদ্ধ বীর।
পরে ঈশ্বর হইতে সেই আত্মা যখন শৌলের কাছে আসিত, তখন দায়ূদ বীণা লইয়া আপন হস্তে বাজাইতেন; তাহাতে শৌল সুস্থির হইতেন, উপশম পাইতেন, এবং সেই দুষ্ট আত্মা তাঁহাকে ছাড়িয়া যাইত।
তোমার মধ্যে যেন এমন কোন লোক পাওয়া না যায়, যে পুত্র বা কন্যাকে অগ্নির মধ্য দিয়া গমন করায়,যে মন্ত্র ব্যবহার করে, বা গণক, বা মোহক, বা মায়াবী, বা ঐন্দ্রজালিক, বা ভূতড়িয়া, বা গুনিন বা প্রেতসাধক।কেননা সদাপ্রভু এই সকল কার্যকারীকে ঘৃণা করেন; আর সেই ঘৃণার্হ কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে অধিকারচ্যুত করিবেন।
পরে পঞ্চম দূত তূরী বাজাইলেন, আর আমি স্বর্গ হইতে পৃথিবীতে পতিত একটি তারা দেখিলাম; তাহাকে অগাধলোকের কূপের চাবি দত্ত হইল।আর বৃশ্চিকের ন্যায় তাহাদের লেজ ও হুল আছে; এবং পাঁচ মাস মনুষ্যদের হানি করিতে তাহাদের ক্ষমতা ঐ লেজে রহিয়াছে।ঐ পঙ্গপালের রাজা অগাধলোকের দূত, তাহার নাম ইব্রীয় ভাষায় আবদ্দোন, ও গ্রীক ভাষায় তাহার নাম আপল্লুয়োন [বিনাশক]।প্রথম সন্তাপ গত হইল; দেখ, ইহার পরে আরও দুই সন্তাপ আসিতেছে।পরে ষষ্ঠ দূত তূরী বাজাইলেন, আর আমি ঈশ্বরের সম্মুখস্থ স্বর্ণবেদির চারি শৃঙ্গ হইতে এক বাণী শুনিতে পাইলাম;উহা সেই ষষ্ঠ তূরীধারী দূতকে কহিল, ইউফ্রেটিস মহানদীর সমীপে যে চারি দূত বদ্ধ আছে, তাহাদিগকে মুক্ত কর।তখন মনুষ্যজাতির এক তৃতীয়াংশকে বধ করিবার জন্য যে চারি দূতকে সেই দণ্ড ও দিন ও মাস ও বৎসরের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছিল, তাহারা মুক্ত হইল।ঐ অশ্বারোহী সৈন্যের সংখ্যা দুই সহস্র লক্ষ; আমি তাহাদের সেই সংখ্যা শুনিলাম।আর দর্শনে আমি সেই অশ্বগণ ও তদারোহী ব্যক্তিদিগকে এইরূপ দেখিতে পাইলাম, তাহাদের বুকপাটা অগ্নিময় ও নীলবর্ণ ও গন্ধকময়, এবং অশ্বগণের মস্তক সিংহ-মস্তকের ন্যায়, ও তাহাদের মুখ হইতে অগ্নি, ধূম ও গন্ধক বাহির হইতেছে।ঐ তিন আঘাত দ্বারা, তাহাদের মুখ হইতে নির্গত অগ্নি, ধূম ও গন্ধক দ্বারা, এক তৃতীয়াংশ মনুষ্য হত হইল।কেননা সেই অশ্বদের শক্তি তাহাদের মুখে ও তাহাদের লেজে; কারণ তাহাদের লেজ সর্পের তুল্য এবং মস্তকবিশিষ্ট; তদ্দ্বারাই তাহারা হানি করে।তাহাতে সে অগাধলোকের কূপ খুলিল, আর ঐ কূপ হইতে বৃহৎ ভাটির ধূমের ন্যায় ধূম উঠিল; কূপ হইতে উত্থিত সেই ধূমে সূর্য ও আকাশ অন্ধকারাবৃত হইল।এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না।আর তাহারা আপন আপন নরহত্যা, আপন আপন কুহক, আপন আপন ব্যভিচার ও আপন আপন চৌর্যবৃত্তি হইতেও মন ফিরাইল না।পরে ঐ ধূম হইতে পঙ্গপাল বাহির হইয়া পৃথিবীতে আসিল, আর তাহাদিগকে পৃথিবীস্থ বৃশ্চিকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা দত্ত হইল।আর তাহাদিগকে বলা হইল, পৃথিবীস্থ তৃণের কি হরিদ্বর্ণ শাকের কি কোন বৃক্ষের হানি করিও না, কেবল সেই মনুষ্যদেরই হানি কর, যাহাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক নাই।
তখন তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, কিন্তু এখন যাহার থলি আছে, সে তাহা গ্রহণ করুক, সেইরূপ ঝুলিও গ্রহণ করুক; এবং যাহার নাই, সে আপন চোগা বিক্রয় করিয়া খড়্গ ক্রয় করুক।
ক্ষেত্র জগৎ; ভাল বীজ রাজ্যের সন্তানগণ;শ্যামাঘাস সেই পাপাত্মার সন্তানগণ; যে শত্রু তাহা বুনিয়াছিল, সে দিয়াবল; ছেদনের সময় যুগান্ত; ছেদকেরা স্বর্গদূত।