তোমার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে চাই। বাইবেল সম্পর্কে, আমাদের ঈশ্বরের বাক্য সম্পর্কে। বাইবেল নিজেই তার ঐশ্বরিকতা, চিরন্তন কর্তৃত্ব এবং অভ্রান্ততার কথা বলে। মানুষের মাধ্যমেই লেখা হলেও, এর প্রতিটি শব্দ ঈশ্বর-প্রেরিত।
ঈশ্বর নিজেই এই পবিত্র গ্রন্থ রচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পবিত্র আত্মার মাধ্যমে, লেখকদের অনুপ্রাণিত করে ঠিক যা তিনি চেয়েছিলেন তাই লিখিয়েছেন। বাইবেলের প্রতিটি অংশ, প্রতিটি বাক্য, ঐশ্বরিকভাবে অনুপ্রাণিত। এতে এমন কিছুই নেই যা ঈশ্বরের ইচ্ছার বাইরে।
ইতিহাস, বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, যে বিষয়ই হোক না কেন, বাইবেলের সবকিছুই পবিত্র আত্মা থেকে প্রাপ্ত। লেখকদের পবিত্র আত্মা পথ দেখিয়েছেন, যাতে তারা ঈশ্বরের বাণী ঠিকভাবে লিখতে পারেন এবং আমাদের শিক্ষা ও সতর্কতার জন্য প্রয়োজনীয় ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারেন।
ঈশ্বরের বাক্য আমাদের বলে, "সমস্ত শাস্ত্র ঈশ্বর-নিশ্বসিত এবং উপদেশ, অনুযোগ, সংশোধন, ধার্মিকতার শিক্ষার জন্য উপকারী।" (২ তীমথিয় ৩:১৬)। এই বাক্যগুলো আমাদের জীবনে আলোকবর্তিকার মতো কাজ করে, আমাদের পথ দেখায়। আসো, আমরা এই ঐশ্বরিক বাক্যের আশ্রয় নিই এবং আমাদের জীবনকে সার্থক করি।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,
পরে সদাপ্রভু আপন হস্ত বিস্তার করিয়া আমার মুখ স্পর্শ করিলেন, এবং সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, দেখ, আমি আমার বাক্য তোমার মুখে দিলাম;
পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না, কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।
প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শাস্ত্রীয় কোন ভাববাণী বক্তার নিজ ব্যাখ্যার বিষয় নয়;কারণ ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।
আমরা সেই সকল বিষয়েরই কথা, মানুষিক শিক্ষানুরূপ জ্ঞানের বাক্য দ্বারা নয়, কিন্তু আত্মার শিক্ষানুরূপ বাক্য দ্বারা কহিতেছি; আত্মিক বিষয় আত্মিক বিষয়ের সহিত যোগ করিতেছি।
কারণ ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।
নিশ্চয়ই প্রভু সদাপ্রভু আপনার দাস ভাববাদিগণের নিকটে আপন গূঢ় মন্ত্রণা প্রকাশ না করিয়া কিছুই করেন না।
কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁহার আত্মা দ্বারা তাহা প্রকাশ করিয়াছেন, কেননা আত্মা সকলই অনুসন্ধান করেন, ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান করেন।
আর আমার বাক্য ও আমার প্রচার জ্ঞানের প্ররোচক বাক্যযুক্ত ছিল না, বরং আত্মার ও পরাক্রমের প্রদর্শনযুক্ত ছিল,
‘হে ভ্রাতৃগণ, যাহারা যীশুকে ধরিয়া ছিল, তাহাদের পথদর্শক হইয়াছিল যে যিহূদা, তাহার বিষয়ে পবিত্র আত্মা দায়ূদের মুখ দ্বারা অগ্রে যাহা বলিয়াছিলেন, সেই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হওয়া আবশ্যক ছিল।
পরে মোশি সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য লিখিলেন, এবং প্রত্যুষে উঠিয়া পর্বতের তলে এক যজ্ঞ বেদি ও ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশানুসারে দ্বাদশ স্তম্ভ নির্মাণ করিলেন।
তথাপি সদাপ্রভু সমস্ত ভাববাদীর ও দর্শকের দ্বারা ইস্রায়েলের ও যিহূদার কাছে সাক্ষ্য দিতেন, বলিতেন, তোমরা আপনাদের কুপথ হইতে ফির, এবং আমি তোমাদের পিতৃপুরুষদিগকে যে সমস্ত ব্যবস্থা দিয়াছি, ও আমার দাস ভাববাদিগণের হস্ত দ্বারা তোমাদের নিকটে যাহা পাঠাইয়াছি, তদনুসারে আমার আজ্ঞা ও বিধি সকল পালন কর।কিন্তু তাহারা কথা শুনিল না, তাহাদের যে পিতৃপুরুষেরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিত না, তাহাদের গ্রীবার ন্যায় আপন আপন গ্রীবা শক্ত করিত।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
দায়ূদ নিজেই ত পবিত্র আত্মার আবেশে এই কথা কহিয়াছেন, “প্রভু আমার প্রভুকে কহিলেন, তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ তোমার শত্রুগণকে তোমার পদতলে না রাখি।”
কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হইবে, সেই পর্যন্ত ব্যবস্থার এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হইবে না, সমস্তই সফল হইবে।
কারণ পূর্বকালে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছিল, সেই সকল আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছিল, যেন শাস্ত্রমূলক ধৈর্য ও সান্ত্বনা দ্বারা আমরা প্রত্যাশা প্রাপ্ত হই।
আর এই জন্য আমরাও অবিরত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি যে, আমাদের কাছে ঈশ্বরের বার্তারূপ বাক্য প্রাপ্ত হইয়া তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া তাহা গ্রহণ করিয়াছিলে; তাহা ঈশ্বরের বাক্যই বটে, এবং বিশ্বাসী যে তোমরা, তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য সাধনও করিতেছে।
কেননা, হে ভ্রাতৃগণ, আমার দ্বারা যে সুসমাচার প্রচারিত হইয়াছে, তাহার বিষয়ে তোমাদিগকে জানাইতেছি যে, তাহা মানুষের মতানুযায়ী নয়।কেননা আমি মানুষের নিকট হইতে তাহা গ্রহণও করি নাই, এবং শিক্ষাও পাই নাই; কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের প্রত্যাদেশ দ্বারা পাইয়াছি।
পরে তিনি মোশি হইতে ও সমুদয় ভাববাদী হইতে আরম্ভ করিয়া সমুদয় শাস্ত্রে তাঁহার নিজের বিষয়ে যে সকল কথা আছে, তাহা তাঁহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন।
অতএব তোমরা সকল অশুচিতা এবং দুষ্টতার উচ্ছ্বাস ফেলিয়া দিয়া, মৃদুভাবে সেই রোপিত বাক্য গ্রহণ কর, যাহা তোমাদের প্রাণের পরিত্রাণ সাধন করিতে পারে।
সেই পরিত্রাণের বিষয় ভাববাদিগণ সযত্নে আলোচনা ও অনুসন্ধান করিয়াছিলেন, তাঁহারা তোমাদের জন্য নিরূপিত অনুগ্রহের বিষয়ে ভাববাণী বলিতেন।তাঁহারা এই বিষয় অনুসন্ধান করিতেন, খ্রীষ্টের আত্মা, যিনি তাঁহাদের অন্তরে ছিলেন, তিনি যখন খ্রীষ্টের জন্য নিরূপিত বিবিধ দুঃখভোগ ও তদনুবর্তী গৌরবের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতেছিলেন, তখন তিনি কোন্ ও কি প্রকার সময়ের প্রতি লক্ষ্য করিয়াছিলেন।
পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছিলাম, আমার সেই বাক্য এই, মোশির ব্যবস্থায় ও ভাববাদিগণের গ্রন্থে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে, সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হইবে।
তিনি তোমাকে নত করিলেন, ও তোমাকে ক্ষুধিত করিয়া তোমার অজ্ঞাত ও তোমার পিতৃপুরুষদের অজ্ঞাত মান্না দিয়া প্রতিপালন করিলেন; যেন তিনি তোমাকে জানাইতে পারেন যে, মনুষ্য কেবল রুটিতে বাঁচে না, কিন্তু সদাপ্রভুর মুখ হইতে যাহা যাহা নির্গত হয়, তাহাতেই মনুষ্য বাঁচে।
কেননা আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি; কারণ উহা প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমতঃ যিহূদীর পক্ষে, আর গ্রীকেরও পক্ষে।
কেননা আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না।
সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।সদাপ্রভুর বিধি সকল যথার্থ, চিত্তের আনন্দবর্ধক; সদাপ্রভুর আজ্ঞা নির্মল, চক্ষুর দীপ্তিজনক।সদাপ্রভুর ভয় শুচি, চিরস্থায়ী, সদাপ্রভুর শাসন সকল সত্য, সর্বাংশে ন্যায্য।
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
সদাপ্রভুর বাক্য সকল নির্মল বাক্য; তাহা মৃত্তিকার মুচিতে খাঁটি করা রৌপ্যের তুল্য, সাত বার পরিষ্কৃত রৌপ্যের তুল্য।
কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।আমরা সেই সকল বিষয়েরই কথা, মানুষিক শিক্ষানুরূপ জ্ঞানের বাক্য দ্বারা নয়, কিন্তু আত্মার শিক্ষানুরূপ বাক্য দ্বারা কহিতেছি; আত্মিক বিষয় আত্মিক বিষয়ের সহিত যোগ করিতেছি।
তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সেই বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।
উপদেশক মনোহর বাক্য, এবং যাহা সরলভাবে লিখিত হইয়াছে, অর্থাৎ সত্যের বাক্য, প্রাপ্ত হইবার জন্য অনুসন্ধান করিতেন।জ্ঞানবানদের বাক্য সরল অঙ্কুশস্বরূপ, ও সভাপতিগণের [বাক্য] পোতা গোঁজস্বরূপ, তাহারা একই পালক দ্বারা দত্ত হইয়াছে। আর শেষ কথা এই, হে বৎস, তুমি এই সকল হইতে উপদেশ গ্রহণ কর;
যে সময়ে তিনি আমার সহিত কথা কহিলেন, তখন আত্মা আমাতে প্রবেশ করিয়া আমাকে পায়ে ভয় দেওয়াইয়া দাঁড় করাইলেন; তাহাতে যিনি আমার সহিত কথা কহিলেন, তাঁহার বাক্য আমি শুনিলাম।
তিনি পৃথিবীতে আপন আজ্ঞা পাঠান, তাঁহার বাক্য বেগে ধাবমান হয়।তিনি মেষলোমের সদৃশ তুষার দেন, তিনি ভস্মের ন্যায় নীহার ছড়াইয়া দেন।তিনি খণ্ড খণ্ড করিয়া আপন হিমানী পাঠান; তাঁহার শীতের সম্মুখে কে দাঁড়াইতে পারে?তিনি আপন বাক্য পাঠাইয়া সেই সমস্ত দ্রবীভূত করেন, তিনি আপন বায়ু বহাইলে জল প্রবাহিত হয়।