স্বপ্ন আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাইবেলে, অনেক জায়গায় স্বপ্ন আর তার ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ অর্থের কথা বলা হয়েছে। পুরাতন নিয়মে যোসেফের স্বপ্ন থেকে শুরু করে নতুন নিয়মে প্রেরিতদের দর্শন পর্যন্ত, ঈশ্বরের বাক্য আমাদের দেখায় যে স্বপ্ন হতে পারে ঈশ্বরের সাথে আমাদের যোগাযোগের একটা মাধ্যম।
স্বপ্ন আমাদেরকে প্রায়ই আরও গভীর চেতনার স্তরে নিয়ে যায়। এর মাধ্যমে, ঈশ্বর আমাদের কাছে তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন, পথ দেখাতে পারেন, এমনকি সতর্কও করতে পারেন।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যদিও ঈশ্বর স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, তবুও আমাদের অবশ্যই স্বপ্নের বার্তা সঠিকভাবে বুঝতে হবে। বাইবেল আমাদেরকে বিচক্ষণ হতে এবং স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়ার জন্য পবিত্র আত্মার পরামর্শ নেওয়ার শিক্ষা দেয়।
তাই, মনে রাখবেন যে, আমাদের জীবনে এবং ঈশ্বরের সাথে আমাদের চলার পথে স্বপ্নের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বিশ্বাসী হিসেবে, আমাদের এই সম্ভাবনার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত যে, ঈশ্বর স্বপ্নের মাধ্যমে কথা বলতে পারেন। যোসেফ এবং প্রেরিতদের মতো, আমাদেরও আমাদের স্বপ্নে প্রাপ্ত বার্তাগুলি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য জ্ঞান অন্বেষণ করা উচিত এবং সর্বোপরি, পবিত্র আত্মার পরামর্শে বিশ্বাস রাখা উচিত।
আশা করি এই জ্ঞান আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে আরও কাছে যেতে, তাঁর সাথে আরও ঘনিষ্ঠতা অন্বেষণ করতে এবং তাঁর ইচ্ছার প্রতি আনুগত্যের সাথে চলতে প্রেরণা দেবে।
আর তাহার পরে এইরূপ ঘটিবে, আমি মর্ত্যমাত্রের উপরে আমার আত্মা সেচন করিব, তাহাতে তোমাদের পুত্রকন্যাগণ ভাববাণী বলিবে তোমাদের প্রাচীনেরা স্বপ্ন দেখিবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাইবে;
তিনি এই সকল ভাবিতেছেন, এমন সময় দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে তাঁহাকে দর্শন দিয়া কহিলেন, যোষেফ, দায়ূদ-সন্তান, তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করিতে ভয় করিও না, কেননা তাঁহার গর্ভে যাহা জন্মিয়াছে, তাহা পবিত্র আত্মা হইতে হইয়াছে;
আর তাহার পরে এইরূপ ঘটিবে, আমি মর্ত্যমাত্রের উপরে আমার আত্মা সেচন করিব, তাহাতে তোমাদের পুত্রকন্যাগণ ভাববাণী বলিবে তোমাদের প্রাচীনেরা স্বপ্ন দেখিবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাইবে;আর তৎকালে আমি দাস-দাসীদেরও উপরে আমার আত্মা সেচন করিব।
তাহারা উত্তর করিল, আমরা স্বপ্ন দেখিয়াছি, কিন্তু অর্থকারক কেহ নাই। যোষেফ তাহাদিগকে কহিলেন, অর্থ করিবার শক্তি কি ঈশ্বর হইতে হয় না? বিনয় করি, স্বপ্নবৃত্তান্ত আমাকে বলুন।
“শেষ কালে এইরূপ হইবে, ইহা ঈশ্বর বলিতেছেন, আমি মর্ত্যমাত্রের উপরে আপন আত্মা সেচন করিব; তাহাতে তোমাদের পুত্রগণ ও তোমাদের কন্যাগণ ভাববাণী বলিবে, আর তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাইবে, আর তোমাদের প্রাচীনেরা স্বপ্ন দেখিবে।আবার আমার দাসদের উপরে এবং আমার দাসীদের উপরে সেই সময়ে আমি আমার আত্মা সেচন করিব, আর তাহারা ভাববাণী বলিবে।
তিনি কহিলেন, তোমরা আমার বাক্য শুন; তোমাদের মধ্যে যদি কেহ ভাববাদী হয়, তবে আমি সদাপ্রভু তাহার নিকটে কোন দর্শন দ্বারা আপনার পরিচয় দিব, স্বপ্নে তাহার সহিত কথা কহিব।
কারণ জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে, এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হইবে।
তখন রাত্রিকালীন দর্শনে দানিয়েলের কাছে ঐ নিগূঢ় বিষয় প্রকাশিত হইল; তখন দানিয়েল স্বর্গের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করিলেন।
কিন্তু ঈশ্বর রাত্রিতে স্বপ্ন যোগে অরামীয় লাবনের নিকটে উপস্থিত হইয়া তাঁহাকে কহিলেন, সাবধান, যাকোবকে ভাল-মন্দ কিছুই বলিও না।
আর যোষেফ স্বপ্ন দেখিয়া আপন ভ্রাতাদিগকে তাহা কহিল; ইহাতে তাহারা তাহাকে আরও অধিক দ্বেষ করিল।সে তাহাদিগকে কহিল, আমি এক স্বপ্ন দেখিয়াছি, নিবেদন করি, তাহা শুন।দেখ, আমরা ক্ষেত্রে আটি বাঁধিতেছিলাম, আর দেখ, আমার আটি উঠিয়া দাঁড়াইয়া রহিল, এবং দেখ, তোমাদের আটি সকল আমার আটিকে চারিদিকে ঘেরিয়া তাহার নিকটে প্রণিপাত করিল।
পরে তিনি স্বপ্ন দেখিলেন, আর দেখ, পৃথিবীর উপরে এক সিঁড়ি স্থাপিত, তাহার মস্তক গগনস্পর্শী, আর দেখ, তাহা দিয়া ঈশ্বরের দূতগণ উঠিতেছেন ও নামিতেছেন।আর দেখ, সদাপ্রভু তাহার উপরে দণ্ডায়মান; তিনি কহিলেন, আমি সদাপ্রভু, তোমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর ও ইস্হাকের ঈশ্বর; এই যে ভূমিতে তুমি শয়ন করিয়া আছ, ইহা আমি তোমাকে ও তোমার বংশকে দিব।তোমার বংশ পৃথিবীর ধূলির ন্যায় [অসংখ্য] হইবে, এবং তুমি পশ্চিম ও পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ চারিদিকে বিস্তীর্ণ হইবে, এবং তোমাতে ও তোমার বংশে পৃথিবীস্থ যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।আর দেখ, আমি তোমার সহবর্তী, যে যে স্থানে তুমি যাইবে, সেই সেই স্থানে তোমাকে রক্ষা করিব, ও পুনর্বার এই দেশে আনিব; কেননা আমি তোমাকে যাহা যাহা বলিলাম, তাহা যাবৎ সফল না করি,তাবৎ তোমাকে ত্যাগ করিব না।
তোমার মধ্যে কোন ভাববাদী কিম্বা স্বপ্নদর্শক উঠিয়া যদি তোমার জন্য কোন চিহ্ন কিম্বা অদ্ভুত লক্ষণ নিরূপণ করে;
এক দিন বেলা অনুমান নবম ঘটিকার সময়ে তিনি দর্শনযোগে স্পষ্ট দেখিলেন যে, ঈশ্বরের এক দূত তাঁহার নিকটে ভিতরে আসিয়া বলিতেছেন, কর্ণীলিয়।
পরে গিদিয়োন আসিলেন, আর দেখ, তাহাদের মধ্যে একজন আপন বন্ধুকে এই স্বপ্নকথা বলিল, দেখ, আমি একটি স্বপ্ন দেখিয়াছি, আর দেখ, যেন যবের একখানি রুটি মিদিয়নের শিবিরের মধ্য দিয়া গড়াইয়া গেল, এবং তাম্বুর নিকটে উপস্থিত হইয়া আঘাত করিল; তাহাতে তাম্বুখানি উল্টাইয়া লম্বমান হইয়া পড়িল।
যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশিত বাক্য, ঈশ্বর যাহা তাঁহাকে দান করিলেন, যেন তিনি, যাহা যাহা শীঘ্র ঘটিবে, সেই সকল আপন দাসগণকে দেখাইয়া দেন; আর তিনি নিজের দূত প্রেরণ করিয়া আপন দাস যোহনকে তাহা জ্ঞাত করিলেন।
তখন গিদিয়োন ঐ স্বপ্নের কথা ও তাহার অর্থ শুনিয়া প্রণিপাত করিলেন; পরে ইস্রায়েলের শিবিরে ফিরিয়া আসিয়া কহিলেন, উঠ, কেননা সদাপ্রভু তোমাদের হস্তে মিদিয়নের শিবির সমর্পণ করিয়াছেন।
পরে তিনি আমাকে কহিলেন, এই সকল বচন বিশ্বসনীয় ও সত্য; এবং যাহা যাহা শীঘ্র ঘটিবে, তাহা আপন দাসদিগকে দেখাইবার জন্য প্রভু, ভাববাদিগণের আত্মা সকলের ঈশ্বর, আপন দূতকে প্রেরণ করিয়াছেন।
তখন শৌল সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করিলেন, কিন্তু সদাপ্রভু তাঁহাকে উত্তর দিলেন না; স্বপ্ন দ্বারাও নয়, ঊরীম দ্বারাও নয়, ভাববাদিগণ দ্বারাও নয়।
বাবিল-রাজ বেল্শৎসরের প্রথম বৎসরে দানিয়েল শয্যার উপরে স্বপ্ন ও মনের দর্শন দেখিলেন; তখন তিনি সেই স্বপ্ন লিখিয়া কথার সার প্রকাশ করিলেন। দানিয়েল এই বিবরণ কহিলেন:তাঁহার সম্মুখ হইতে অগ্নির স্রোত নির্গত হইয়া বহিতেছিল; সহস্রের সহস্র তাঁহার পরিচর্যা করিতেছিল, এবং অযুতের অযুত তাঁহার সম্মুখে দণ্ডায়মান ছিল; বিচার বসিল এবং পুস্তক সকল খোলা হইল।আমি ঐ শৃঙ্গের কথিত দর্পবাক্যের রব প্রযুক্ত দৃষ্টিপাত করিতে থাকিলাম, আমি দৃষ্টিপাত করিতে থাকিলাম, যে পর্যন্ত সেই জন্তু হত না হইল, তাহার শরীর বিনষ্ট না হইল, এবং তাহাকে অগ্নিশিখাতে ফেলিয়া দেওয়া না হইল।আর অন্য সকল জন্তুর গতি এই, তাহাদের হইতে কর্তৃত্ব নীত হইল, তথাপি কিয়ৎকাল ও সময় পর্যন্ত তাহাদিগকে আয়ুর বৃদ্ধি দত্ত হইয়াছিল।আমি রাত্রিকালীন দর্শনে দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, আকাশের মেঘ সহকারে মনুষ্য-পুত্রের ন্যায় এক পুরুষ আসিলেন, তিনি সেই অনেক দিনের বৃদ্ধের নিকটে উপস্থিত হইলেন, তাঁহার সম্মুখে আনীত হইলেন।আর তাঁহাকে কর্তৃত্ব, মহিমা ও রাজত্ব দত্ত হইল; লোকবৃন্দ, জাতি ও ভাষাবাদীকে তাঁহার সেবা করিতে হইবে; তাঁহার কর্তৃত্ব অনন্তকালীন কর্তৃত্ব, তাহা লোপ পাইবে না, এবং তাঁহার রাজ্য বিনষ্ট হইবে না।আমি দানিয়েল আপন দেহমধ্যে আত্মায় বিষণ্ন হইলাম ও আমার মনের দর্শন আমাকে বিহ্বল করিল।যাঁহারা নিকটে দাঁড়াইয়াছিলেন, আমি তাঁহাদের একজনের কাছে গমন করিলাম এবং এই সকলের তথ্য জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি আমাকে এই কথা বলিয়া বিষয়টির তাৎপর্য বুঝাইয়া দিলেন,‘ঐ চারি বৃহৎ জন্তু চারি রাজা, তাহারা পৃথিবী হইতে উৎপন্ন হইবে।কিন্তু পরাৎপরের পবিত্রগণ রাজত্ব প্রাপ্ত হইবে, এবং চিরকাল, যুগে যুগে চিরকাল, রাজত্ব ভোগ করিবে।’তখন আমি সেই চতুর্থ জন্তুর তথ্য জানিতে চাহিলাম, যে অন্য সকল হইতে ভিন্ন ও অতি ভয়ানক, যাহার দন্ত লৌহময় ও নখ পিত্তলময়, যে ভক্ষণ করিয়াছিল, চূর্ণ করিয়াছিল, ও উচ্ছিষ্টকে পদতলে দলিত করিয়াছিল।আমি রাত্রিকালে আমার দর্শনে দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, মহাসমুদ্রের উপরে আকাশের চারি বায়ু প্রচণ্ড বেগে বহিতেছে।আর তাহার মস্তকে স্থিত দশ শৃঙ্গের তথ্য, ও যে অন্য শৃঙ্গ উঠিয়াছিল, যাহার সাক্ষাতে তিন শৃঙ্গ পড়িয়া গেল; সেই শৃঙ্গ, যাহার চক্ষু ও দর্পবাক্যবাদী মুখ ছিল, সহচরগণ অপেক্ষা যাহার বিপুল দৃশ্য ছিল, সেই শৃঙ্গের তথ্য জানিতে চাহিলাম।আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, সেই শৃঙ্গ পবিত্রগণের সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহাদিগকে জয় করিল;যে পর্যন্ত না সেই অনেক দিনের বৃদ্ধ আসিলেন, আর পরাৎপরের পবিত্রগণের হস্তে বিচার-ভার দত্ত হইল, এবং পবিত্রগণের রাজত্ব-ভোগের সময় উপস্থিত হইল।তিনি এইরূপ কথা কহিলেন, ঐ চতুর্থ জন্তু পৃথিবীর চতুর্থ রাজ্য; সেই রাজ্য সকল রাজ্য হইতে ভিন্ন হইবে, এবং সমস্ত পৃথিবীকে গ্রাস করিবে, মর্দন করিবে ও চূর্ণ করিবে।আর তাহার দশ শৃঙ্গের তাৎপর্য; ঐ রাজ্য হইতে দশ রাজা উৎপন্ন হইবে। তাহাদের পরে আর একজন উঠিবে, সে পূর্ববর্তী রাজাদের হইতে ভিন্ন হইবে, এবং তিন রাজাকে নিপাত করিবে।সে পরাৎপরের বিপরীতে কথা কহিবে, পরাৎপরের পবিত্রগণকে শীর্ণ করিবে, এবং নিরূপিত সময়ের ও ব্যবস্থার পরিবর্তন করিতে মনস্থ করিবে, এবং এক কাল, [দুই] কাল ও অর্ধ কাল পর্যন্ত তাহারা তাহার হস্তে সমর্পিত হইবে।পরে বিচার বসিবে, তাহার কর্তৃত্ব তাহা হইতে নীত হইবে, শেষ পর্যন্ত তাহার ক্ষয় ও বিনাশ করা যাইবে।আর রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও সমস্ত আকাশমণ্ডলের অধঃস্থিত রাজ্যের মহিমা পরাৎপরের পবিত্র প্রজাদিগকে দত্ত হইবে; তাঁহার রাজ্য অনন্তকালস্থায়ী রাজ্য, এবং সমস্ত কর্তৃত্ব তাঁহার সেবা করিবে ও তাঁহার আজ্ঞাবহ হইবে।এই পর্যন্ত বৃত্তান্তের শেষ। আমি দানিয়েল ভাবনায় অত্যন্ত বিহ্বল হইলাম, ও আমার মুখ বিবর্ণ হইল; কিন্তু আমি সেই কথা মনে রাখিলাম।আর সমুদ্র হইতে বৃহৎ চারিটা জন্তু বাহির হইল, তাহারা পরস্পর বিভিন্ন।
গিবিয়োনে সদাপ্রভু রাত্রিকালে স্বপ্নযোগে শলোমনকে দর্শন দিলেন। ঈশ্বর কহিলেন, যাচ্ঞা কর, আমি তোমাকে কি দিব?
তাহাদের সঙ্কল্প এই, তাহাদের পিতৃপুরুষেরা বালের অনুরাগে যেমন আমাকে ভুলিয়া গিয়াছিল, তদ্রূপ তাহারা আপন আপন প্রতিবাসীর কাছে আপন আপন স্বপ্নের বৃত্তান্ত কথন দ্বারা আমার প্রজাদিগকে আমার নাম ভুলিয়া যাইতে দিবে।
যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখিয়াছে, সে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বলুক; এবং যে আমার বাক্য পাইয়াছে, সে সত্যরূপে আমার বাক্যই বলুক। সদাপ্রভু কহেন, শস্যের কাছে পোয়াল কি?
সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাহাদের বিপক্ষ, যাহারা মিথ্যা স্বপ্নের ভাববাণী বলে ও তাহার বৃত্তান্ত বলে, আপনাদের মিথ্যা কথা ও দাম্ভিকতা দ্বারা আমার প্রজাদিগকে ভ্রান্ত করে; কিন্তু আমি তাহাদিগকে পাঠাই নাই, তাহাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই; তাহারা এই লোকদের কিছুমাত্র উপকারী হইতে পারে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
আর ঈশ্বর সেই চারি জন যুবককে সমস্ত গ্রন্থে ও বিদ্যায় জ্ঞান ও পারদর্শিতা দিলেন; আর সমস্ত দর্শন ও স্বপ্নকথায় দানিয়েল বুদ্ধিমান হইলেন।
ঈশ্বর একবার বলেন, বরং দুই বার, কিন্তু লোকে মন দেয় না।স্বপ্নে, রাত্রিকালীন দর্শনে, যখন মনুষ্যেরা অগাধ নিদ্রায় মগ্ন হয়, শয্যায় সুষুপ্ত হয়,তখন তিনি মনুষ্যদের কর্ণ খুলিয়া দেন, তাহাদের শিক্ষা মুদ্রাঙ্কিত করেন,
পরে যে দূত আমার সহিত আলাপ করিতেছিলেন, তিনি পুনরায় আসিয়া আমাকে নিদ্রা হইতে জাগরিত মনুষ্যের ন্যায় জাগাইলেন।কারণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ের দিনকে কে তুচ্ছ জ্ঞান করিয়াছে? সরুব্বাবিলের হস্তে ওলোন দেখিয়া ঐ সপ্তটি ত আনন্দ করিবে; ইহারা সদাপ্রভুর চক্ষু, ইহারা সমস্ত পৃথিবী পর্যটন করে।পরে আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, দীপবৃক্ষটির দক্ষিণে ও বামে দুই দিকে স্থিত ঐ দুই জলপাইবৃক্ষের তাৎপর্য কি?দ্বিতীয় বার তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, স্বর্ণময় যে দুই নল আপনা হইতে স্বর্ণবর্ণ তৈল নির্গত করে, তৎপার্শ্বে জলপাই ফলের এই যে দুইটি শাখা আছে, ইহার তাৎপর্য কি?তিনি আমাকে উত্তর করিয়া কহিলেন, এই সকল কি, তাহা কি জান না? আমি কহিলাম, হে আমার প্রভু, জানি না।তখন তিনি কহিলেন, উঁহারা সেই দুই তৈল-কুমার, যাঁহারা সমস্ত ভূমণ্ডলের প্রভুর সম্মুখে দাঁড়াইয়া থাকেন।আর তিনি আমাকে কহিলেন, কি দেখিতেছ? আমি কহিলাম, আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, এক দীপবৃক্ষ, সমস্তই স্বর্ণময়; তাহার মাথার ঊর্ধ্বে তৈলাধার, ও তাহার উপরে সাত প্রদীপ, এবং তাহার মাথার উপরে স্থিত প্রত্যেক প্রদীপের জন্য সাত নল;
নবূখদ্নিৎসরের রাজত্বের দ্বিতীয় বৎসরে নবূখদ্নিৎসর স্বপ্ন দেখিলেন, আর তাঁহার আত্মা উদ্বিগ্ন হইল, ও তাঁহার নিদ্রাভঙ্গ হইল।
পরে তাঁহারা যেন হেরোদের নিকটে ফিরিয়া না যান, স্বপ্নে এই আদেশ পাইয়া, অন্য পথ দিয়া আপনাদের দেশে চলিয়া গেলেন।
পরে তিনি স্বপ্ন দেখিলেন, আর দেখ, পৃথিবীর উপরে এক সিঁড়ি স্থাপিত, তাহার মস্তক গগনস্পর্শী, আর দেখ, তাহা দিয়া ঈশ্বরের দূতগণ উঠিতেছেন ও নামিতেছেন।আর দেখ, সদাপ্রভু তাহার উপরে দণ্ডায়মান; তিনি কহিলেন, আমি সদাপ্রভু, তোমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর ও ইস্হাকের ঈশ্বর; এই যে ভূমিতে তুমি শয়ন করিয়া আছ, ইহা আমি তোমাকে ও তোমার বংশকে দিব।
তাঁহারা চলিয়া গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দর্শন দিয়া কহিলেন, উঠ, শিশুটিকে ও তাঁহার মাতাকে লইয়া মিসরে পলায়ন কর; আর আমি যত দিন তোমাকে না বলি, তত দিন সেখানে থাক; কেননা হেরোদ শিশুটিকে বধ করিবার জন্য তাঁহার অনুসন্ধান করিবে।
ত্রিংশ বৎসরের চতুর্থ মাসে, মাসের পঞ্চম দিবসে, যখন আমি কবার নদীতীরে নির্বাসিত লোকদের মধ্যে ছিলাম তখন স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর আমি ঈশ্বরীয় দর্শন প্রাপ্ত হইলাম।
আমি দানিয়েল একাকী সেই দর্শন পাইলাম; কারণ আমার সঙ্গীরা সেই দর্শন পাইল না, কিন্তু তাহারা অতিশয় কাঁপিয়া উঠিল, এবং আপনাদের লুকাইবার জন্য পলায়ন করিল।এই জন্য আমি একা থাকিয়া সেই মহৎ দর্শন প্রাপ্ত হইলাম, আর আমাতে বল রহিল না; আমার তেজ ক্ষয়ে পরিণত হইল, আমি কিছুমাত্র বল রক্ষা করিতে পারিলাম না।
আর বালক শমূয়েল এলির সম্মুখে সদাপ্রভুর পরিচর্যা করিতেন। আর তৎকালে সদাপ্রভুর বাক্য দুর্লভ ছিল, দর্শন যখন তখন হইত না।
আমি এক স্বপ্ন দেখিলাম, তাহা আমার ত্রাসজনক হইল, এবং শয্যার উপরে নানা চিন্তা ও মনের দর্শন আমাকে বিহ্বল করিল।
কারণ আপনি ত দেখিয়াছেন, পর্বত হইতে একখানি প্রস্তর বিনা হস্তে খনিত হইল এবং ঐ লৌহ, পিত্তল, মৃত্তিকা, রৌপ্য ও সুবর্ণকে চূর্ণ করিল; মহান ঈশ্বর মহারাজকে ভাবী ঘটনা জানাইয়াছেন; স্বপ্নটি নিশ্চিত ও তাহার তাৎপর্য সত্য।
তিনি বিচারাসনে বসিয়া আছেন, এমন সময়ে তাঁহার স্ত্রী তাঁহাকে বলিয়া পাঠাইলেন, সেই ধার্মিকের প্রতি তুমি কিছুই করিও না; কারণ আমি আজ স্বপ্নে তাঁহার জন্য অনেক দুঃখ পাইয়াছি।
নিশ্চয়ই প্রভু সদাপ্রভু আপনার দাস ভাববাদিগণের নিকটে আপন গূঢ় মন্ত্রণা প্রকাশ না করিয়া কিছুই করেন না।
দম্মেশকে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন।প্রভু তাঁহাকে দর্শনযোগে কহিলেন, অননিয়। তিনি বলিলেন, প্রভু, দেখুন, এই আমি। তখন প্রভু তাঁহাকে কহিলেন, তুমি উঠিয়া সরল নামক পথে গিয়া যিহূদার বাটীতে তার্ষ নগরীয় শৌল নামক ব্যক্তির অন্বেষণ কর;কেননা দেখ, সে প্রার্থনা করিতেছে; আর সে দেখিয়াছে, অননিয় নামে এক ব্যক্তি আসিয়া তাহার উপরে হস্তার্পণ করিতেছে, যেন সে দৃষ্টি পায়।
সদাপ্রভুর হস্ত আমার উপরে অর্পিত হইল, এবং তিনি সদাপ্রভুর আত্মায় আমাকে বাহিরে লইয়া গিয়া সমস্থলীর মধ্যে রাখিলেন; তাহা অস্থিতে পরিপূর্ণ ছিল।তখন, তিনি আমাকে যে আজ্ঞা দিলেন, তদনুসারে আমি ভাববাণী বলিলাম; তাহাতে আত্মা তাহাদের মধ্যে প্রবেশ করিল, এবং তাহারা জীবিত হইল, ও আপন আপন পায়ে ভর দিয়া দাঁড়াইল; সে অতিশয় মহতী বাহিনী।পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, এই সকল অস্থি সমস্ত ইস্রায়েল-কুল; দেখ, তাহারা বলিতেছে, আমাদের অস্থি সকল শুষ্ক হইয়া গিয়াছে, এবং আমাদের আশা নষ্ট হইয়াছে; আমরা একেবারে উচ্ছিন্ন হইলাম।এই জন্য তুমি ভাববাণী বল, তাহাদিগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি তোমাদের কবর সকল খুলিয়া দিব, হে আমার প্রজা সকল, তোমাদের কবর হইতে তোমাদিগকে উত্থাপন করিব, এবং তোমাদিগকে ইস্রায়েল-দেশে লইয়া যাইব।তখন তোমরা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু, কেননা আমি তোমাদের কবর সকল খুলিয়া দিব, এবং হে আমার প্রজা সকল, তোমাদের কবর হইতে তোমাদিগকে উত্থাপন করিব।আর আমি তোমাদের মধ্যে আপন আত্মা দিব, তাহাতে তোমরা জীবিত হইবে; এবং আমি তোমাদের দেশে তোমাদিগকে বসাইব, তাহাতে তোমরা জানিবে যে, আমি সদাপ্রভু ইহা বলিয়াছি, এবং ইহা সিদ্ধ করিয়াছি; সদাপ্রভু এই কথা বলেন।পরে সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার নিকটে উপস্থিত হইল,হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি আপনার জন্য একখানি কাষ্ঠ লইয়া তাহার উপরে এই কথা লিখ, ‘যিহূদার জন্য এবং তাহার সখা ইস্রায়েল-সন্তানদের জন্য।’ পরে আর একখানি কাষ্ঠ লইয়া তাহার উপরে লিখ, ‘যোষেফের জন্য, ইহা ইফ্রয়িমের ও তাহার সখা সমস্ত ইস্রায়েল-কুলের কাষ্ঠ।’পরে সেই দুইখানি কাষ্ঠ পরস্পর জোড়া দিয়া তোমার জন্য একটি কাষ্ঠ কর, দুইখানি তোমার হস্তে একীভূত হউক।আর যখন তোমার জাতির সন্তানেরা তোমাকে বলিবে, ‘ইহাতে আপনার অভিপ্রায় কি, তাহা কি আমাদিগকে জানাইবেন না?’তখন তুমি তাহাদিগকে বলিও, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, ইফ্রয়িমের হস্তে যোষেফের যে কাষ্ঠ আছে, আমি তাহা গ্রহণ করিব, ও তাহার সখা ইস্রায়েলের বংশদিগকে গ্রহণ করিব, তাহাদিগকে উহার অর্থাৎ যিহূদার কাষ্ঠের সহিত জোড়া দিব, এবং তাহাদিগকে একটি কাষ্ঠ করিব, তাহাতে সেই সকল আমার হস্তে একীভূত হইবে।পরে তিনি চারিদিকে তাহাদের নিকট দিয়া আমাকে গমন করাইলেন; আর দেখ, সেই সমস্থলীর পৃষ্ঠে বিস্তর অস্থি ছিল; এবং দেখ, সেই সকল অতিশয় শুষ্ক।আর তুমি সেই যে দুই কাষ্ঠে লিখিবে, তাহা তাহাদের সাক্ষাতে তোমার হস্তে থাকিবে।আর তুমি তাহাদিগকে বলিও, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, ইস্রায়েল-সন্তানেরা যেখানে যেখানে গমন করিয়াছে, আমি তথাকার জাতিগণের মধ্য হইতে তাহাদিগকে গ্রহণ করিব, এবং চারিদিক হইতে তাহাদিগকে একত্র করিয়া তাহাদের দেশে লইয়া যাইব।আর আমি সেই দেশে, ইস্রায়েলের পর্বতসমূহে, তাহাদিগকে একই জাতি করিব, ও একই রাজা তাহাদের সকলের রাজা হইবেন; তাহারা আর দুই জাতি হইবে না, আর কখনও দুই রাজ্যে বিভক্ত হইবে না।আর তাহারা আপনাদের পুত্তলি ও জঘন্য বস্তু দ্বারা এবং আপনাদের কোন অধর্ম দ্বারা আপনাদের আর অশুচি করিবে না; হাঁ, যে সকল স্থানে তাহারা পাপ করিয়াছে, তাহাদের সেই সকল বাসস্থান হইতে আমি তাহাদিগকে নিস্তার করিব, এবং তাহাদিগকে শুচি করিব; তাহাতে তাহারা আমার প্রজা হইবে, এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব।আর আমার দাস দায়ূদ তাহাদের উপরে রাজা হইবেন; তাহাদের সকলের এক পালক হইবে, এবং তাহারা আমার শাসনপথে চলিবে, আর আমার বিধিকলাপ রক্ষা করিয়া তদনুযায়ী আচরণ করিবে।আর আমি আপন দাস যাকোবকে যে দেশ দিয়াছি, যাহার মধ্যে তোমাদের পিতৃপুরুষেরা বাস করিত, সেই দেশে তাহারা বাস করিবে, তাহারা ও তাহাদের পুত্রপৌত্রগণ চিরকাল বাস করিবে এবং আমার দাস দায়ূদ চিরকালের জন্য তাহাদের অধ্যক্ষ হইবেন।আর আমি তাহাদের জন্য শান্তির এক নিয়ম স্থির করিব; তাহাদের সহিত তাহা চিরস্থায়ী নিয়ম হইবে; আমি তাহাদিগকে বসাইব ও বাড়াইব, এবং আপন ধর্মধাম চিরকালের জন্য তাহাদের মধ্যে স্থাপন করিব।আর আমার আবাস তাহাদের উপরে অবস্থিতি করিবে, এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।তখন আমি যে ইস্রায়েলের পবিত্রকারী সদাপ্রভু, তাহা জাতিগণ জানিবে, কেননা তখন আমার ধর্মধাম তাহাদের মধ্যে চিরকাল থাকিবে।পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, এই সকল অস্থি কি জীবিত হইবে? আমি কহিলাম, হে প্রভু সদাপ্রভু, আপনি জানেন।
আর তখন মনুষ্যপুত্রের চিহ্ন আকাশে দেখা যাইবে, আর তখন পৃথিবীর সমুদয় গোষ্ঠী বিলাপ করিবে, এবং “মনুষ্যপুত্রকে আকাশীয় মেঘরথে পরাক্রম ও মহা প্রতাপে আসিতে” দেখিবে।
আর আমি দেখিলাম, “সমুদ্রের মধ্য হইতে এক পশু উঠিতেছে; তাহার দশটি শৃঙ্গ” ও সপ্ত মস্তক; এবং তাহার শৃঙ্গগুলিতে দশটি কিরীট, এবং তাহার মস্তকগুলিতে ঈশ্বর-নিন্দার কতিপয় নাম।
আমি রাত্রিকালীন দর্শনে দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, আকাশের মেঘ সহকারে মনুষ্য-পুত্রের ন্যায় এক পুরুষ আসিলেন, তিনি সেই অনেক দিনের বৃদ্ধের নিকটে উপস্থিত হইলেন, তাঁহার সম্মুখে আনীত হইলেন।আর তাঁহাকে কর্তৃত্ব, মহিমা ও রাজত্ব দত্ত হইল; লোকবৃন্দ, জাতি ও ভাষাবাদীকে তাঁহার সেবা করিতে হইবে; তাঁহার কর্তৃত্ব অনন্তকালীন কর্তৃত্ব, তাহা লোপ পাইবে না, এবং তাঁহার রাজ্য বিনষ্ট হইবে না।
ইহার পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, স্বর্গে এক দ্বার খোলা রহিয়াছে, এবং প্রথম যে রব শুনিয়াছিলাম, যেন তূরীর রব আমার সহিত কথা কহিতেছিল, সেই রব শুনিলাম, কেহ বলিতেছেন, এই স্থানে উঠিয়া আইস, ইহার পরে যাহা যাহা অবশ্য ঘটিবে, সেই সকল আমি তোমাকে দেখাই।তখন যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখে ঐ চব্বিশ জন প্রাচীন প্রণিপাত করিবেন, এবং যিনি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, তাঁহার ভজনা করিবেন, আর আপন আপন মুকুট সিংহাসনের সম্মুখে নিক্ষেপ করিয়া বলিবেন,‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলই সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’আমি তখনই আত্মাবিষ্ট হইলাম; আর দেখ, স্বর্গে এক সিংহাসন স্থাপিত, সেই সিংহাসনের উপরে এক ব্যক্তি বসিয়া আছেন।
সমস্ত দর্শন তোমাদের পক্ষে মুদ্রাঙ্কবদ্ধ পুস্তকের কথাস্বরূপ হইয়াছে; যে লেখা পড়া জানে, তাহাকে কেহ যদি সেই পুস্তক দিয়া বলে, অনুগ্রহ করিয়া ইহা পাঠ কর, তবে সে উত্তর করিবে, আমি পারি না, কারণ ইহা মুদ্রাঙ্কবদ্ধ।
ঐ ঘটনার পরে দর্শনযোগে সদাপ্রভুর বাক্য অব্রামের নিকটে উপস্থিত হইল, তিনি বলিলেন, অব্রাম, ভয় করিও না, আমিই তোমার ঢাল ও তোমার মহাপুরস্কার।
তিনি বলিলেন, আমি রাত্রিকালে দর্শন পাইলাম, আর দেখ, রক্তবর্ণ অশ্বে আরোহী এক পুরুষ, তিনি নিম্নভূমিস্থ গুলমেদিবৃক্ষ সকলের মধ্যে দাঁড়াইয়াছিলেন, এবং তাঁহার পশ্চাৎ রক্তবর্ণ, পাণ্ডুর ও শ্বেতবর্ণ কতিপয় অশ্ব ছিল।
কিন্তু রাত্রিতে ঈশ্বর স্বপ্নযোগে অবীমেলকের নিকটে আসিয়া কহিলেন, দেখ, ঐ যে নারীকে গ্রহণ করিয়াছ, তাহার জন্য তুমি মৃত্যুর পাত্র, কেননা সে এক ব্যক্তির স্ত্রী।
এবং আমি ঊলয়ের [তীর] মধ্য হইতে মনুষ্যের রব শুনিলাম, সেই রব ডাকিয়া কহিল, গাব্রিয়েল, ইহাকে দর্শনের তাৎপর্য বুঝাইয়া দেও।
দুই বৎসর পরে ফরৌণ স্বপ্ন দেখিলেন।ফরৌণ আপন দুই দাসের প্রতি, আমার ও প্রধান খাদ্যপ্রস্তুতকারকের প্রতি, ক্রোধান্বিত হইয়া আমাদিগকে রক্ষক-সেনাপতির বাটীতে কারাবদ্ধ করিয়াছিলেন।আর সে ও আমি এক রাত্রিতে স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম; এবং দুই জনের স্বপ্নের দুই প্রকার অর্থ হইল।তখন সেই স্থানে রক্ষক-সেনাপতির দাস একজন ইব্রীয় যুবক আমাদের সহিত ছিল। তাহাকে স্বপ্নবৃত্তান্ত কহিলে সে আমাদিগকে তাহার অর্থ বলিল; উভয়েরই স্বপ্নের অর্থ বলিল।আর সে আমাদিগকে যেরূপ অর্থ বলিয়াছিল, তদ্রূপই ঘটিল; মহারাজ আমাকে পূর্বপদে নিযুক্ত করিলেন ও তাহাকে টাঙ্গাইয়া দিলেন।তখন ফরৌণ যোষেফকে ডাকিয়া পাঠাইলে লোকেরা কারাকূপ হইতে তাঁহাকে শীঘ্র আনিল। পরে তিনি ক্ষৌরী হইয়া অন্য বস্ত্র পরিধান করিয়া ফরৌণের নিকটে উপস্থিত হইলেন।তখন ফরৌণ যোষেফকে কহিলেন, আমি এক স্বপ্ন দেখিয়াছি, তাহার অর্থ করিতে পারে এমন কেহ নাই। কিন্তু তোমার বিষয়ে আমি শুনিয়াছি যে, তুমি স্বপ্ন শুনিলে অর্থ করিতে পার।যোষেফ ফরৌণকে উত্তর করিলেন, তাহা আমার অসাধ্য, ঈশ্বরই ফরৌণকে মঙ্গলযুক্ত উত্তর দিবেন।তখন ফরৌণ যোষেফকে কহিলেন, দেখ, আমি স্বপ্নে নদীর তীরে দাঁড়াইয়াছিলাম।আর দেখ, নদী হইতে সাতটা হৃষ্টপুষ্ট সুন্দর গাভী উঠিয়া খাগড়া বনে চরিতে লাগিল।সেইগুলির পরে, দেখ, কৃশ ও অতিশয় বিশ্রী ও শুষ্কাঙ্গ অন্য সাতটা গাভী উঠিল; আমি সমস্ত মিসর দেশে তাদৃশ বিশ্রী গাভী কখনও দেখি নাই।দেখ, তিনি নদীকূলে দাঁড়াইয়া আছেন, আর দেখ, নদী হইতে সাতটা হৃষ্টপুষ্ট সুন্দর গাভী উঠিল, ও খাগড়া বনে চড়িতে লাগিল।আর এই কৃশ ও বিশ্রী গাভীরা সেই পূর্বের হৃষ্টপুষ্ট সাতটা গাভীকে খাইয়া ফেলিল।কিন্তু তাহারা ইহাদের উদরস্থ হইলে পর, উদরস্থ যে হইয়াছে, এমন বোধ হইল না, কেননা ইহারা পূর্বকার ন্যায় বিশ্রীই রহিল।তখন আমার নিদ্রাভঙ্গ হইল। পরে আমি আর এক স্বপ্ন দেখিলাম; আর দেখ, এক বোঁটায় স্থূলাকার উত্তম সাতটি শীষ উঠিল।আর দেখ, সেইগুলির পরে ম্লান, ক্ষীণ ও পূর্বীয় বায়ুতে শোষিত সাতটি শীষ উঠিল।আর এই ক্ষীণ শীষগুলি সেই উত্তম সাতটি শীষকে গ্রাস করিল। এই স্বপ্ন আমি মন্ত্রবেত্তাদিগকে কহিলাম, কিন্তু কেহই ইহার অর্থ আমাকে বলিতে পারিল না।তখন যোষেফ ফরৌণকে বলিলেন, ফরৌণের স্বপ্ন এক, ঈশ্বর যাহা করিতে উদ্যত হইয়াছেন, তাহাই ফরৌণকে জ্ঞাত করিয়াছেন।ঐ সাতটি উত্তম গাভী সাত বৎসর, এবং ঐ সাতটি উত্তম শীষও সাত বৎসর; স্বপ্ন এক।আর তাহার পশ্চাৎ যে সাতটি কৃশ ও বিশ্রী গাভী উঠিল, তাহারাও সাত বৎসর; এবং পূর্বীয় বায়ূতে শোষিত যে সাতটি কৃশ শীষ উঠিল, তাহা দুর্ভিক্ষের সাত বৎসর হইবে।আমি ফরৌণকে ইহাই বলিলাম; ঈশ্বর যাহা করিতে উদ্যত হইয়াছেন, তাহা ফরৌণকে দেখাইয়াছেন।দেখুন, সমস্ত মিসর দেশে সাত বৎসর শস্যের অতিশয় প্রাচুর্য হইবে।সেইগুলির পরে, দেখ, আর সাতটা কৃশ ও বিশ্রী গাভী নদী হইতে উঠিল ও নদীর তীরে ঐ গাভীদের নিকটে দাঁড়াইল।তাহার পরে সাত বৎসর এমন দুর্ভিক্ষ হইবে যে, মিসর দেশে সমস্ত শস্যবাহুল্যের বিস্মৃতি হইবে, এবং সেই দুর্ভিক্ষে দেশ নষ্ট হইবে।আর সেই পশ্চাদ্বর্তী দুর্ভিক্ষ প্রযুক্ত দেশে পূর্বেকার শস্যবাহুল্যের কথা মনে পড়িবে না; কারণ তাহা অতীব কষ্টকর হইবে।আর ফরৌণের নিকটে দুইবার স্বপ্ন দেখাইবার ভাব এই; ঈশ্বর ইহা স্থির করিয়াছেন, এবং ঈশ্বর ইহা শীঘ্র ঘটাইবেন।অতএব এখন ফরৌণ একজন সুবুদ্ধি ও জ্ঞানবান পুরুষের চেষ্টা করিয়া তাঁহাকে মিসর দেশের উপরে নিযুক্ত করুন।আর ফরৌণ এই কর্ম করুন; দেশে অধ্যক্ষগণ নিযুক্ত করিয়া যে সাত বৎসর শস্যবাহুল্য হইবে, সেই সময়ে মিসর দেশ হইতে শস্যের পঞ্চমাংশ গ্রহণ করুন।তাঁহারা সেই আগামী শুভ বৎসরসমূহের খাদ্যশস্য সংগ্রহ করুন, ও ফরৌণের অধীনে নগরে নগরে খাদ্যের জন্য শস্য সঞ্চয় করুন, ও রক্ষা করুন।এইরূপে মিসর দেশে যে দুর্ভিক্ষ হইবে, সেই দুর্ভিক্ষের সাত বৎসরের নিমিত্ত সেই খাদ্যশস্য দেশের জন্য সঞ্চিত থাকিবে, তাহাতে দুর্ভিক্ষে দেশ উচ্ছিন্ন হইবে না।তখন ফরৌণের ও তাঁহার সকল দাসের দৃষ্টিতে এই কথা উত্তম বোধ হইল।আর ফরৌণ আপন দাসদিগকে কহিলেন, ইঁহার তুল্য পুরুষ, যাঁহার অন্তরে ঈশ্বরের আত্মা আছেন, এমন আর কাহাকে পাইব?তখন ফরৌণ যোষেফকে কহিলেন, ঈশ্বর তোমাকে এই সকল জ্ঞাত করিয়াছেন, অতএব তোমার তুল্য সুবুদ্ধি ও জ্ঞানবান কেহই নাই।পরে সেই কৃশ, বিশ্রী গাভীরা ঐ সাতটা হৃষ্টপুষ্ট সুন্দর গাভীকে খাইয়া ফেলিল। তখন ফরৌণের নিদ্রা ভঙ্গ হইল।
আর ঝোপের মধ্য হইতে অগ্নিশিখাতে সদাপ্রভুর দূত তাঁহাকে দর্শন দিলেন; তখন তিনি দৃষ্টিপাত করিলেন, আর দেখ, ঝোপ অগ্নিতে জ্বলিতেছে, তথাপি ঝোপ বিনষ্ট হইতেছে না।
পরে গিদিয়োন আসিলেন, আর দেখ, তাহাদের মধ্যে একজন আপন বন্ধুকে এই স্বপ্নকথা বলিল, দেখ, আমি একটি স্বপ্ন দেখিয়াছি, আর দেখ, যেন যবের একখানি রুটি মিদিয়নের শিবিরের মধ্য দিয়া গড়াইয়া গেল, এবং তাম্বুর নিকটে উপস্থিত হইয়া আঘাত করিল; তাহাতে তাম্বুখানি উল্টাইয়া লম্বমান হইয়া পড়িল।তখন তাহার বন্ধু উত্তর করিল, উহা আর কিছু নয়, ইস্রায়েলীয় যোয়াশের পুত্র গিদিয়োনের খড়্গ; ঈশ্বর মিদিয়নকে ও সমস্ত শিবিরকে তাঁহার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন।তখন গিদিয়োন ঐ স্বপ্নের কথা ও তাহার অর্থ শুনিয়া প্রণিপাত করিলেন; পরে ইস্রায়েলের শিবিরে ফিরিয়া আসিয়া কহিলেন, উঠ, কেননা সদাপ্রভু তোমাদের হস্তে মিদিয়নের শিবির সমর্পণ করিয়াছেন।
শ্লাঘা করা আমার পক্ষে আবশ্যক, তাহা হিতজনক নয় বটে, কিন্তু প্রভুর নানা দর্শন ও প্রত্যাদেশের কথা কহিব।এই হেতু খ্রীষ্টের নিমিত্ত নানা দুর্বলতা, অপমান, অনটন, তাড়না, সঙ্কট ঘটিলে আমি প্রীত হই, কেননা যখন আমি দুর্বল, তখনই বলবান।আমি নির্বোধ হইলাম; তোমরাই আমার পক্ষে তাহা আবশ্যক করিয়াছ; কারণ আমার প্রশংসা করা তোমাদেরই উচিত ছিল; কেননা যদিও আমি কিছুই নই, তবু সেই প্রেরিত-চূড়ামণিদের হইতে কিছুতেই পিছনে পড়ি নাই।প্রেরিতের চিহ্ন সকল তোমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে, নানা চিহ্ন-কার্য, অদ্ভুত লক্ষণ ও পরাক্রম-কার্য দ্বারা, সমপন্ন হইয়াছে।বল দেখি, অন্য সকল মণ্ডলী অপেক্ষা তোমরা কিসে অপকৃষ্ট হইলে? আমি নিজে তোমাদের গলগ্রহ হই নাই, এইমাত্র; আমার এই অন্যায়টি ক্ষমা কর।দেখ, এই তৃতীয় বার আমি তোমাদের কাছে যাইতে প্রস্তুত আছি; আর আমি তোমাদের গলগ্রহ হইব না; কেননা আমি তোমাদের কোন দ্রব্যের চেষ্টা নয়, তোমাদেরই চেষ্টা করিতেছি; কারণ পিতামাতার জন্য ধন সঞ্চয় করা সন্তানদের কর্তব্য নয়, বরং সন্তানদের জন্য পিতামাতার কর্তব্য।আর আমি অতিশয় আনন্দের সহিত তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত ব্যয় করিব, এবং ব্যয়িতও হইব। আমি যখন তোমাদিগকে অধিক প্রেম করি, তখন কি অল্পতর প্রেম প্রাপ্ত হই?যাহা হউক, আমি তোমাদিগকে ভারগ্রস্ত করি নাই, কিন্তু ধূর্ত হওয়াতে নাকি ছলে ধরিয়াছি!আমি তোমাদের কাছে যাঁহাদিগকে পাঠাইয়াছিলাম, তাঁহাদের কাহারও দ্বারা কি তোমাদিগকে ঠকাইয়াছি?আমি তীতকে অনুরোধ করিয়াছিলাম, এবং তাঁহার সঙ্গে সেই ভ্রাতাকে পাঠাইয়াছিলাম; তীত কি তোমাদিগকে ঠকাইয়াছেন? আমরা কি একই আত্মায়, একই পদচিহ্ন দিয়া চলি নাই?এ যাবৎ তোমরা মনে করিতেছ যে, আমরা তোমাদেরই নিকটে দোষ কাটাইবার কথা কহিতেছি। আমরা ঈশ্বরেরই সাক্ষাতে খ্রীষ্টে কথা কহিতেছি; আর, প্রিয়তমেরা, সকলই তোমাদিগকে গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত কহিতেছি।আমি খ্রীষ্টেতে আশ্রিত এক ব্যক্তিকে জানি, চৌদ্দ বৎসর হইল- সশরীরে কি না, জানি না; অশরীরে কি না, জানি না; ঈশ্বর জানেন- এমন ব্যক্তি তৃতীয় স্বর্গ পর্যন্ত নীত হইয়াছিল।কেননা আমার ভয় হয়, পাছে উপস্থিত হইলে আমি তোমাদিগকে যেরূপ দেখিতে চাই, সেইরূপ না দেখি, এবং তোমরা আমাকে যে রূপ দেখিতে না চাও, সেইরূপ দেখ, পাছে কোন মতে বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, পরনিন্দা, কানভাঙ্গানি, দর্প, গণ্ডগোল বাধিয়া উঠে;পাছে আমি পুনর্বার আসিলে আমার ঈশ্বর তোমাদের কাছে আমাকে নত করেন, এবং যাহারা পূর্বে পাপ করিয়াছিল, তথাপি আপনাদের কৃত অশুচি ক্রিয়া, ব্যভিচার ও লমপটাচার বিষয়ে অনুতাপ করে নাই, এমন অনেক লোকের জন্য আমাকে বিলাপ করিতে হয়।আর এমন ব্যক্তির বিষয়ে আমি জানি- সশরীরে কি অশরীরে, তাহা আমি জানি না, ঈশ্বর জানেন-সে পরমদেশে নীত হইয়া অকথনীয় কথা শুনিয়াছিল, তাহা বলা মনুষ্যের বিধেয় নয়।
কিন্তু হে দানিয়েল, তুমি শেষকাল পর্যন্ত এই বাক্য সকল রুদ্ধ করিয়া রাখ, এই পুস্তক মুদ্রাঙ্কিত করিয়া রাখ; অনেকে ইতস্ততঃ ধাবমান হইবে, এবং জ্ঞানের বৃদ্ধি হইবে।
আর ঈশ্বরীয় দর্শনে বুদ্ধিমান যে সখরিয়, তাঁহার জীবনকালে তিনি ঈশ্বরের অন্বেষণ করিতে থাকিলেন; আর যত কাল সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিলেন, তত কাল ঈশ্বর তাঁহাকে কৃতকার্য করিলেন।
পরে আমি চক্ষু তুলিয়া দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, পরিমাণরজ্জু হস্তে এক পুরুষ।সিয়োন-কন্যে, আনন্দগান কর, আহ্লাদ কর, কেননা দেখ, আমি আসিতেছি, আর আমি তোমার মধ্যে বাস করিব, ইহা সদাপ্রভু বলেন।সেই দিনে অনেক জাতি সদাপ্রভুতে আসক্ত হইবে, আমার প্রজা হইবে; এবং আমি তোমার মধ্যে বাস করিব, তাহাতে তুমি জানিবে যে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুই আমাকে তোমার নিকটে পাঠাইয়াছেন।আর সদাপ্রভু পবিত্র দেশে আপনার অংশ বলিয়া যিহূদাকে অধিকার করিবেন, ও যিরূশালেমকে আবার মনোনীত করিবেন।সদাপ্রভুর সাক্ষাতে প্রাণীমাত্র নীরব হও, কেননা তিনি আপন পবিত্র আবাসের মধ্য হইতে জাগিয়া উঠিয়াছেন।তখন আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি কোথায় যাইতেছেন? তিনি আমাকে কহিলেন, যিরূশালেম মাপিতে, তাহার প্রস্থ কত ও তাহার দৈর্ঘ কত, তাহা দেখিতে যাইতেছি।
আর স্বর্গমধ্যে এক মহৎ চিহ্ন দেখা গেল। একজন স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য তাহার পরিচ্ছদ, ও চন্দ্র তাহার পদতলে, এবং তাহার মস্তকের উপরে দ্বাদশ তারার এক মুকুট।
বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা কহেন, তোমাদের মধ্যে উপস্থিত তোমাদের ভাববাদিগণ ও মন্ত্রজ্ঞ লোকেরা তোমাদিগকে না ভুলাউক; এবং তোমরা যে সকল স্বপ্ন ঘটাইয়া থাক, সেই স্বপ্ন সকলে মনোযোগ করিও না।কেননা তাহারা তোমাদের কাছে মিথ্যা করিয়া আমার নামে ভাববাণী বলে; আমি তাহাদিগকে প্রেরণ করি নাই, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
তিনি এক হস্তমূর্তি বিস্তার করিয়া আমার মস্তকের কেশগুচ্ছ ধরিলেন, তাহাতে আত্মা আমাকে তুলিয়া পৃথিবী ও আকাশের মধ্যপথে লইয়া গেলেন, এবং ঈশ্বরীয় দর্শনক্রমে যিরূশালেমে উত্তরাভিমুখ ভিতর-দ্বারের প্রবেশস্থানে বসাইলেন; সেই স্থানে অন্তর্জ্বালাজনক অন্তর্জ্বালার প্রতিমা স্থাপিত ছিল।আর দেখ, সমস্থলীতে যে দৃশ্য আমি দেখিয়াছিলাম সেই স্থানে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সেইরূপ প্রতাপ রহিয়াছে।
কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইয়া স্বর্গের প্রতি এক দৃষ্টে চাহিয়া দেখিলেন যে, ঈশ্বরের প্রতাপ রহিয়াছে, এবং যীশু ঈশ্বরের দক্ষিণে দাঁড়াইয়া আছেন,আর তিনি বলিলেন, দেখ, আমি দেখিতেছি, স্বর্গ খোলা রহিয়াছে, এবং মনুষ্যপুত্র ঈশ্বরের দক্ষিণে দাঁড়াইয়া আছেন।
কিন্তু সেই দিনের ও সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেহই জানে না, স্বর্গের দূতগণও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।
তৎকালে দক্ষিণ দেশের রাজার বিরুদ্ধে অনেক লোক উঠিবে; এবং এই দর্শন যাহাতে সফল হয়, সেই জন্য তোমার জাতির মধ্যে দুর্জন-সন্তানেরা আপনাদিগকে উচ্চ করিবে, কিন্তু তাহারা পতিত হইবে।
যে বৎসর ঊষিয় রাজার মৃত্যু হয়, আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে উপবিষ্ট দেখিলাম; তাঁহার রাজবস্ত্রের অঞ্চলে মন্দির পূর্ণ হইয়াছিল।তুমি এই জাতির অন্তঃকরণ স্থূল কর, ইহাদের কর্ণ ভারী কর, ও ইহাদের চক্ষু বন্ধ করিয়া দেও, পাছে তাহারা চক্ষে দেখে, কর্ণে শুনে, অন্তঃকরণে বুঝে, এবং ফিরিয়া আইসে, ও সুস্থ হয়।তখন আমি কহিলাম, হে প্রভু, কত দিন? তিনি কহিলেন, যাবৎ নগর সকল নিবাসবিহীন ও বাটী সকল নরশূন্য হইয়া উৎসন্ন না হয়, এবং ভূমি ধ্বংস-স্থান হইয়া একেবারে উৎসন্ন না হয়, আর সদাপ্রভু মনুষ্যকে দূর না করেন,এবং দেশের মধ্যে অনেক ভূমি অধিকার শূন্য না হয়।যদ্যপি তাহার দশমাংশও থাকে, তথাপি তাহাকে পুনর্বার গ্রাস করা যাইবে; কিন্তু যেমন এলা ও অলোন বৃক্ষ ছিন্ন হইলেও তাহার গুঁড়ি থাকে, তেমনি এই জাতির গুঁড়িস্বরূপ এক পবিত্র বংশ থাকিবে।তাঁহার নিকটে সরাফগণ দণ্ডায়মান ছিলেন; তাঁহাদের মধ্যে প্রত্যেক জনের ছয় ছয় পক্ষ, প্রত্যেকে দুই পক্ষ দ্বারা আপন মুখ আচ্ছাদন করেন, দুই পক্ষ দ্বারা চরণ অচ্ছাদন করেন, ও দুই পক্ষ দ্বারা উড্ডীন হন।আর তাঁহারা পরস্পর ডাকিয়া বলিতে লাগিলেন, ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, বাহিনীগণের সদাপ্রভু; সমস্ত পৃথিবী তাঁহার প্রতাপে পরিপূর্ণ।’তখন ঘোষণাকারীর রবে শিলামূল সকল কাঁপিতে লাগিল, ও গৃহ ধূমে পরিপূর্ণ হইতে লাগিল।
আর আত্মা আমাকে তুলিয়া দর্শনযোগে ঈশ্বরের আত্মার প্রভাবে কল্দীয়দের দেশে নির্বাসিত লোকদের কাছে আনিলেন; আর আমি যাহা দর্শন করিয়াছিলাম, তাহা আমার নিকট হইতে ঊর্ধ্বগমন করিল।
প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে; তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে,এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়? কেননা যে অবধি পিতৃলোকেরা নিদ্রাগত হইয়াছেন, সেই অবধি সমস্তই সৃষ্টির আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই রহিয়াছে।
পরে আমি দেখিলাম, যখন সেই মেষশাবক সেই সপ্ত মুদ্রার মধ্যে প্রথম মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি সেই চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণীর মেঘগর্জনের তুল্য এই বাণী শুনিলাম, আইস।তাঁহারা উচ্চ রবে ডাকিয়া কহিলেন, হে পবিত্র সত্যময় অধিপতি, বিচার করিতে এবং পৃথিবী-নিবাসীদিগকে আমাদের রক্তপাতের প্রতিফল দিতে কত কাল বিলম্ব করিবে?তখন তাঁহাদের প্রত্যেককে শুক্ল বস্ত্র দত্ত হইল, এবং তাঁহাদিগকে বলা হইল যে, তাঁহাদের যে সহদাস ও ভ্রাতৃগণকে তাঁহাদের ন্যায় নিহত হইতে হইবে, যে পর্যন্ত তাঁহাদের সংখ্যা পূর্ণ না হয়; আর কিঞ্চিৎ কাল বিরাম করিতে হইবে।পরে আমি দেখিলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ মুদ্রা খুলিলেন, তখন মহা ভূমিকম্প হইল; এবং সূর্য লোমজাত কম্বলের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ ও পূর্ণচন্দ্র রক্তের ন্যায় হইল;আর ডুমুরগাছ প্রবল বায়ুতে দোলায়িত হইয়া যেমন আপনার অপক্ব ফল ফেলিয়া দেয়, তেমনি আকাশমণ্ডলস্থ তারা সকল পৃথিবীতে পতিত হইল;আর আকাশমণ্ডল সঙ্কুচিত পুস্তকের ন্যায় অপসারিত হইল, এবং সমস্ত পর্বত ও দ্বীপ স্ব স্ব স্থান হইতে চালিত হইল।আর পৃথিবীর রাজারা ও মহতেরা ও সহস্রপতিগণ ও ধনবানেরা ও বিক্রমীবর্গ এবং সমস্ত দাস ও স্বাধীন লোক গুহাতে ও পর্বতীয় শৈলে লুকাইল,আর পর্বত ও শৈল সকলকে কহিতে লাগিল, আমাদের উপরে পতিত হও, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখ হইতে এবং মেষশাবকের ক্রোধ হইতে আমাদিগকে লুকাইয়া রাখ;কেননা তাঁহাদের ক্রোধের মহাদিন আসিয়া পড়িল, আর কে দাঁড়াইতে পারে?আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, এক শুক্লবর্ণ অশ্ব, এবং তাহার উপরে যিনি বসিয়া আছেন, তিনি ধনুর্ধারী, ও তাঁহাকে এক মুকুট দত্ত হইল; এবং তিনি জয় করিতে করিতে ও জয় করিবার জন্য বাহির হইলেন।
পরে তৃতীয় দূত তূরী বাজাইলেন, আর প্রদীপের ন্যায় প্রজ্বলিত এক বৃহৎ তারা আকাশ হইতে পড়িয়া গেল, নদ-নদীর এক তৃতীয়াংশের ও জলের উনুই সকলের উপরে পড়িল।
তখন স্বর্গ-রাজ্য এমন দশ জন কুমারীর তুল্য বলিতে হইবে, যাহারা আপন আপন প্রদীপ লইয়া বরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে বাহির হইল।তাহারা ক্রয় করিতে যাইতেছে, ইতিমধ্যে বর আসিলেন; এবং যাহারা প্রস্তুত ছিল, তাহারা তাঁহার সঙ্গে বিবাহ বাটীতে প্রবেশ করিল; আর দ্বার রুদ্ধ হইল।শেষে অন্য সকল কুমারীও আসিয়া কহিতে লাগিল, প্রভু, প্রভু, আমাদিগকে দ্বার খুলিয়া দিউন।কিন্তু তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমি তোমাদিগকে চিনি না।অতএব জাগিয়া থাক; কেননা তোমরা সেই দিন বা সেই দণ্ড জান না।
হাহাকার কর, কেননা সদাপ্রভুর দিন নিকটবর্তী; সর্বশক্তিমানের নিকট হইতে বিনাশের ন্যায় উহা আসিতেছে।
পরে তিনি আত্মাতে আমাকে প্রান্তরের মধ্যে লইয়া গেলেন; তাহাতে আমি এক নারীকে দেখিলাম, সে সিন্দূরবর্ণ পশুর উপরে বসিয়া আছে; সেই পশু ধর্মনিন্দার নামে পরিপূর্ণ, এবং তাহার সপ্ত মস্তক ও দশটি শৃঙ্গ।
আর আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, শুভ্রবর্ণ একখানি মেঘ, “সেই মেঘের উপরে মনুষ্যপুত্রের ন্যায় এক ব্যক্তি” বসিয়া আছেন, তাঁহার মস্তকে সুবর্ণ মুকুট ও তাঁহার হস্তে একখানি তীক্ষ্ণ কাস্তে।পরে মন্দির হইতে আর এক দূত বাহির হইয়া, যিনি মেঘের উপরে বসিয়া আছেন, তাঁহাকে উচ্চ রবে চিৎকার করিয়া কহিলেন, “আপনার কাস্তে লাগান, শস্য ছেদন করুন; কারণ শস্যচ্ছেদনের সময় আসিয়াছে;” কেননা পৃথিবীর শস্য শুকাইয়া গেল।তাহাতে, যিনি মেঘের উপরে বসিয়া আছেন, তিনি আপন কাস্তে পৃথিবীতে লাগাইলেন, ও পৃথিবীর শস্যচ্ছেদন করা হইল।
তাহার পরে আমি রাত্রিকালীন দর্শনে দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, চতুর্থ একজন্তু, সে ভয়ঙ্কর, ক্ষমতাপন্ন ও অতিশয় শক্তিমান; এবং তাহার বৃহৎ লৌহময় দন্ত ছিল, সে ভক্ষণ করিল ও চূর্ণ করিল, এবং উচ্ছিষ্টকে পদতলে দলিত করিল; আর পূর্বকার সকল জন্তু হইতে সে ভিন্ন, ও তাহার দশটি শৃঙ্গ ছিল।আমি সেই শৃঙ্গের বিষয় ভাবিতেছিলাম, আর দেখ, তাহাদের মধ্যে আর এক শৃঙ্গ উঠিল, ইহা ক্ষুদ্র, ইহার সাক্ষাতে পূর্ব শৃঙ্গগুলির তিন শৃঙ্গ সমূলে উৎপাটিত হইল; আর দেখ, ঐ শৃঙ্গে মানুষের চক্ষুর মত চক্ষু ও দর্পবাক্যবাদী মুখ ছিল।
আর সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার নিকটে উপস্থিত হইল, যিরমিয়, তুমি কি দেখিতেছ? আমি কহিলাম, আমি বাদাম গাছের এক শাখা দেখিতেছি।তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, ভাল দেখিয়াছ, কেননা আমি আপন বাক্য সফল করিতে জাগ্রত আছি।
পরে আমি স্বর্গ হইতে এক দূতকে নামিয়া আসিতে দেখিলাম, তাঁহার হস্তে অগাধলোকের চাবি এবং বড় এক শৃঙ্খল ছিল।আর তাহাদের ভ্রান্তিজনক দিয়াবল “অগ্নি ও গন্ধকের” হ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল, যেখানে ঐ পশু ও ভাক্ত ভাববাদীও আছে; আর তাহারা যুগপর্যায়ের যুগে যুগে দিবারাত্র যন্ত্রণা ভোগ করিবে।পরে আমি “এক বৃহৎ শ্বেতবর্ণ সিংহাসন ও যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন,” তাঁহাকে দেখিতে পাইলাম; তাঁহার সম্মুখ হইতে পৃথিবী ও আকাশ পলায়ন করিল; “তাহাদের নিমিত্ত আর স্থান পাওয়া গেল না।”আর আমি দেখিলাম, ক্ষুদ্র ও মহান সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; পরে “কয়েকখানি পুস্তক খোলা হইল” এবং আর একখানি পুস্তক, অর্থাৎ জীবন-পুস্তক খোলা হইল, এবং মৃতেরা পুস্তকসমূহে লিখিত প্রমাণে “আপন আপন কার্যানুসারে” বিচারিত হইল।আর সমুদ্র তাহার মধ্যবর্তী মৃতগণকে ফিরাইয়া দিল এবং মৃত্যু ও পাতাল আপনাদের মধ্যবর্তী মৃতগণকে সমর্পন করিল, এবং তাহারা প্রত্যেকে আপন আপন কার্যানুসারে বিচারিত হইল।পরে মৃত্যু ও পাতাল অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল; তাহাই, অর্থাৎ সেই অগ্নিহ্রদ, দ্বিতীয় মৃত্যু।আর জীবন-পুস্তকে যে কাহারও নাম লিখিত পাওয়া গেল না, সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল।তিনি সেই নাগকে ধরিলেন; এ সেই পুরাতন সর্প, এ দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ]; তিনি তাহাকে সহস্র বৎসর বদ্ধ রাখিলেন,আর তাহাকে অগাধলোকের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া সেই স্থানের মুখ বদ্ধ করিয়া মুদ্রাঙ্কিত করিলেন; যেন ঐ সহস্র বৎসর সম্পূর্ণ না হইলে সে জাতিবৃন্দকে আর ভ্রান্ত করিতে না পারে; তৎপরে অল্প কালের নিমিত্ত তাহাকে মুক্ত হইতে হইবে।
ঐ পঙ্গপালের আকৃতি যুদ্ধার্থে সজ্জীভূত অশ্বগণের ন্যায়, ও তাহাদের মস্তকে যেন সুবর্ণের তুল্য মুকুট ছিল, এবং তাহাদের মুখ মনুষ্য-মুখের ন্যায়;আর তাহাদের কেশ স্ত্রীলোকের কেশের ন্যায়, ও তাহাদের দন্ত সিংহ-দন্তের ন্যায়।
বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ঐ যে ভাববাদিগণ তোমাদের কাছে ভাববাণী বলে, তাহাদের কথা শুনিও না, তাহারা তোমাদিগকে ভুলায়; তাহারা আপন আপন হৃদয়ের দর্শন বলে, সদাপ্রভুর মুখে শুনিয়া বলে না।
আর সর্ব জাতির নিকটে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।
শেষকালে এইরূপ ঘটিবে; সদাপ্রভুর গৃহের পর্বত পর্বতগণের মস্তকরূপে স্থাপিত হইবে, উপপর্বতগণ হইতে উচ্চীকৃত হইবে; এবং সমস্ত জাতি তাহার দিকে স্রোতের ন্যায় প্রবাহিত হইবে।
তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও, আমার পবিত্র পর্বতে সিংহনাদ কর, দেশনিবাসী সকলেই কমিপত হউক; কেননা সদাপ্রভুর দিন আসিতেছে, হাঁ, সেই দিন সন্নিকট।তাহাদের সম্মুখে পৃথিবী কাঁপে, আকাশমণ্ডল কমপমান হয়, চন্দ্র ও সূর্য অন্ধকারময় হয়, নক্ষত্রগণ আপন আপন তেজ গুটাইয়া লয়।সদাপ্রভু নিজ সৈন্যসামন্তের অগ্রে আপন রব শুনাইতেছেন; কেননা তাঁহার শিবির অতি বৃহৎ; কেননা তাহা বাক্যসাধক বলবান, কেননা সদাপ্রভুর দিন মহৎ ও অতি ভয়ানক; আর কে তাহা সহ্য করিতে পারে?কিন্তু, সদাপ্রভু বলেন, এখনও তোমরা সমস্ত অন্তঃকরণের সহিত এবং উপবাস, রোদন ও বিলাপ সহকারে আমার কাছে ফিরিয়া আইস।আর আপন আপন বস্ত্র না ছিঁড়িয়া অন্তঃকরণ চির, এবং আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরিয়া আইস, কেননা তিনি কৃপাময় ও স্নেহশীল ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান, এবং অমঙ্গলের বিষয়ে অনুশোচনা করেন।কে জানে যে, তিনি ফিরিয়া অনুশোচনা করিবেন না, এবং তাঁহার পশ্চাতে আশীর্বাদ, অর্থাৎ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য, রাখিয়া যাইবেন না ?তোমরা সিয়োনে তূরী বাজাও, পবিত্র উপবাস নিরূপণ কর, পর্বদিন ঘোষণা কর;প্রজালোকদিগকে একত্র কর, পবিত্র সমাজ নিরূপণ কর, প্রাচীনগণকে আহ্বান কর, বালক-বালিকাদিগকে ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদিগকে একত্র কর; বর আপন বাসগৃহ হইতে, কন্যা আপন অন্তঃপুর হইতে নির্গত হউক।বারান্দার ও বেদির মধ্যস্থানে সদাপ্রভুর পরিচারক যাজকগণ রোদন করুক, তাহারা বলুক, হে সদাপ্রভু, আপন প্রজাগণের প্রতি মমতা কর, আপন অধিকারকে টিট্কারির বিষয় করিও না; তাহাদের বিষয়ে জাতিগণকে গল্প করিতে দিও না, লোকবৃন্দের মধ্যে কেন বলা হইবে যে, ‘উহাদের ঈশ্বর কোথায়?’তখন সদাপ্রভু আপন দেশের জন্য উদ্যোগী হইলেন, ও আপন প্রজাদের প্রতি দয়া করিলেন।আর সদাপ্রভু উত্তর দিলেন, আপন প্রজাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমি তোমাদের নিকটে শস্য, দ্রাক্ষারস ও তৈল প্রেরণ করিতেছি, তোমরা তাহাতে তৃপ্ত হইবে; এবং আমি জাতিগণের মধ্যে তোমাদিগকে আর টিট্কারির পাত্র করিব না।সে তিমির ও অন্ধকারের দিন, মেঘের ও ঘোর অন্ধকারের দিন, পর্বতগণের উপরে অরুণের ন্যায় তাহা ব্যাপ্ত হইতেছে। বলবতী এক মহাজাতি; তাহার তুল্য জাতি যুগের আরম্ভ হইতে হয় নাই, এবং তাহার পরে পুরুষানুক্রমে বৎসর-পর্যায়েও হইবে না।
এই সকলের পরে আমি স্বর্গ হইতে আর এক দূতকে নামিয়া আসিতে দেখিলাম; তিনি মহাক্ষমতাপন্ন এবং তাঁহার প্রতাপে পৃথিবী দীপ্তিময় হইল।তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া তাহারা বলিবে, হায়! হায়! সেই মহানগরীর, বাবিলের সেই পরাক্রান্ত নগরীর সন্তাপ, কারণ এক ঘণ্টার মধ্যেই তোমার বিচার উপস্থিত!আর পৃথিবীর বণিকেরা তাহার নিমিত্ত রোদন ও বিলাপ করিতেছে; কারণ তাহাদের বাণিজ্য-দ্রব্য কেহ আর ক্রয় করে না;এই সকল বাণিজ্য-দ্রব্য- স্বর্ণ, রৌপ্য, বহুমূল্য মণি, মুক্তা, মসীনা-বস্ত্র, বেগুনিয়া বস্ত্র, পট্টবস্ত্র, সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র; সর্বপ্রকার চন্দন কাষ্ঠ, হস্তিদন্তের সর্বপ্রকার পাত্র, বহুমূল্য কাষ্ঠের ও পিত্তলের, লৌহের ও মর্মরের সর্বপ্রকার পাত্র,এবং দারুচিনি, এলাচি, ধূপ, সুগন্ধি লেপ্যদ্রব্য, কুন্দুরু, মদিরা, তৈল, উত্তম সুজি ও গম, পশু ও মেষ; এবং অশ্ব, রথ ও দাস ও মনুষ্যদের প্রাণ।আর তোমার প্রাণের অভিলষিত ফলসমূহ তোমা হইতে গিয়াছে, এবং তোমার সমস্ত শোভা ও ভূষণ তোমা হইতে বিনষ্ট হইয়াছে; লোকে তাহা আর কখনও পাইবে না।ঐ সকলের যে বণিকেরা তাহার ধনে ধনবান হইয়াছিল, তাহারা তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া রোদন ও বিলাপ করিতে করিতে বলিবে,হায়! হায়! সেই মহানগরীর সন্তাপ, যে মসীনা-বস্ত্র, বেগুনিয়া বস্ত্র ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা ছিল, এবং সুবর্ণে ও বহুমূল্য মণি মুক্তায় মণ্ডিতা ছিল;কারণ এক ঘণ্টার মধ্যেই সেই মহাসমপত্তি ধ্বংস হইল। আর প্রত্যেক কর্ণধার, ও জলপথে যে কেহ গমন করে, এবং মাল্লারা ও সমুদ্র-ব্যবসায়ীরা সকলে দূরে দাঁড়াইল,এবং তাহার দাহের ধূম দেখিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিল, সেই মহানগরীর তুল্য কোন্ নগর?আর তাহারা মস্তকে ধুলা দিয়া রোদন ও বিলাপ করিতে করিতে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হায়! হায়! সেই মহানগরীর সন্তাপ, যাহার ঐশ্বর্য দ্বারা সমুদ্রগামী জাহাজের কর্তারা সকলে ধনবান হইত; কারণ এক ঘণ্টার মধ্যেই সে ধ্বংস হইয়া গেল। তিনি প্রবল রবে ডাকিয়া কহিলেন, ‘পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল; সে ভূতগণের আবাস, সমস্ত অশুচি আত্মার কারাগার, ও সমস্ত অশুচি ও ঘৃণার্হ পক্ষীর কারাগার হইয়া পড়িয়াছে।
আর দেখ, একখানি হস্ত আমাকে স্পর্শ করিয়া আমার জানু ও আমার দুই করতলের উপরে নির্ভর করাইল।পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হে মহাপ্রীতি-পাত্র দানিয়েল, আমি তোমাকে যে যে কথা বলিব, সেই সকল বুঝিয়া লও, এবং উঠিয়া দাঁড়াও, কেননা আমি এখন তোমারই কাছে প্রেরিত হইলাম। তিনি আমাকে এই কথা কহিলে আমি কাঁপিতে কাঁপিতে উঠিয়া দাঁড়াইলাম।তখন তিনি আমাকে কহিলেন, হে দানিয়েল, ভয় করিও না, কেননা যে প্রথম দিন তুমি বুঝিবার জন্য ও তোমার ঈশ্বরের সাক্ষাতে আপনাকে বিনীত করিবার জন্য মনঃসংযোগ করিয়াছিলে, সেই দিন হইতে তোমার বাক্য শুনা হইয়াছে; এবং তোমার বাক্য প্রযুক্ত আমি আসিয়াছি।
পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, এবং সেই সিংহাসনের ও প্রাণীবর্গের ও প্রাচীনবর্গের চারিদিকে অনেক দূতের রব শুনিলাম; তাঁহাদের সংখ্যা অযুত গুণ অযুত ও সহস্র গুণ সহস্র। তাঁহারা উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন,
এই জন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কেননা যে দণ্ড তোমরা মনে করিবে না, সেই দণ্ডে মনুষ্যপুত্র আসিবেন।
পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটি অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত, এবং তিনি ধর্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন।তাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখা, এবং তাঁহার মস্তকে অনেক কিরীট; এবং তাঁহার একটি লিখিত নাম আছে, যাহা তিনি ব্যতীত অন্য কেহ জানে না।আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং “ঈশ্বরের বাক্য” এই নামে আখ্যাত।আর স্বর্গস্থ সৈন্যগণ তাঁহার অনুগমন করে, তাহারা শুক্লবর্ণ অশ্বে আরোহী, এবং শ্বেত শুচি মসীনা-বস্ত্র পরিহিত।
দেখ, আমি চোরের ন্যায় আসিতেছি; ধন্য সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে, যেন সে উলঙ্গ হইয়া না বেড়ায়, এবং লোকে তাহার অপমান না দেখে।
কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে।কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার-ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য, নানাবিধ তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করিয়াছ;আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার প্রতি কি কি ঘটিয়াছিল; কত তাড়না সহ্য করিয়াছি। আর সেই সমস্ত হইতে প্রভু আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন।আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,
যে পর্যন্ত সদাপ্রভু আপন মনের অভিপ্রায় সফল ও সিদ্ধ না করেন, সেই পর্যন্ত তাঁহার প্রজ্বলিত ক্রোধ ফিরিবে না; তোমরা শেষকালে তাহা বুঝিতে পারিবে।
তাহারা অলীক দর্শন পাইয়াছে, মিথ্যা মন্ত্র পড়িয়াছে, তাহারা বলে, ‘সদাপ্রভু বলেন,’ অথচ সদাপ্রভু তাহাদিগকে প্রেরণ করেন নাই; আর তাহারা আশা করিয়াছে যে, সেই বাক্য সিদ্ধ হইবে।তোমরা কি অলীক দর্শন পাও নাই? মিথ্যাকথারূপ মন্ত্র কি পড় নাই? কেননা আমি না বলিলেও তোমরা বলিতেছ, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
পরে আমি আর এক শক্তিমান দূতকে স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিতে দেখিলাম। তাঁহার পরিচ্ছদ মেঘ, তাঁহার মস্তকের উপরে মেঘধনুক, তাঁহার মুখ সূর্যতুল্য, তাঁহার চরণ অগ্নিস্তম্ভতুল্য,তখন আমি দূতের হস্ত হইতে সেই ক্ষুদ্র পুস্তক গ্রহণ করিয়া খাইয়া ফেলিলাম; তাহা মুখে মধুর ন্যায় মিষ্ট লাগিল, কিন্তু খাইয়া ফেলিলে পর আমার উদর তিক্ত বোধ হইল।পরে তাঁহারা আমাকে কহিলেন, অনেক প্রজাবৃন্দের ও জাতির ও ভাষার ও রাজার বিষয়ে তোমাকে আবার ভাববাণী বলিতে হইবে।এবং তাঁহার হস্তে খোলা একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক ছিল। তিনি সমুদ্রে দক্ষিণ চরণ ও স্থলে বাম চরণ রাখিলেন;
কারণ তোমরা নিজেরা বিলক্ষণ জান, রাত্রিকালে যেমন চোর আইসে, তেমনি প্রভুর দিন আসিতেছে।ভাববাণী তুচ্ছ করিও না।সর্ববিষয়ের পরীক্ষা কর; যাহা ভাল, তাহা ধরিয়া রাখ।সর্বপ্রকার মন্দ বিষয় হইতে দূরে থাক।আর শান্তির ঈশ্বর আপনি তোমাদিগকে সর্বতোভাবে পবিত্র করুন; এবং তোমাদের অবিকল আত্মা, প্রাণ ও দেহ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমন কালে অনিন্দনীয়রূপে রক্ষিত হউক।যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করেন, তিনি বিশ্বস্ত, তিনিই তাহা করিবেন।ভ্রাতৃগণ, আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা কর।সকল ভ্রাতাকে পবিত্র চুম্বনে মঙ্গলবাদ কর।আমি তোমাদিগকে প্রভুর দিব্য দিয়া বলিতেছি, সমুদয় ভ্রাতার কাছে যেন এই পত্র পাঠ করা হয়।আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হউক।লোকে যখন বলে, শান্তি ও অভয়, তখনই তাহাদের কাছে যেমন গর্ভবতীর প্রসববেদনা উপস্থিত হইয়া থাকে, তেমনি আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়; আর তাহারা কোন ক্রমে এড়াইতে পারিবে না।কিন্তু, ভ্রাতৃগণ, তোমরা অন্ধকারে নও যে, সেই দিন চোরের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়িবে।
পরে আমি দেখিলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ মুদ্রা খুলিলেন, তখন মহা ভূমিকম্প হইল; এবং সূর্য লোমজাত কম্বলের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ ও পূর্ণচন্দ্র রক্তের ন্যায় হইল;আর ডুমুরগাছ প্রবল বায়ুতে দোলায়িত হইয়া যেমন আপনার অপক্ব ফল ফেলিয়া দেয়, তেমনি আকাশমণ্ডলস্থ তারা সকল পৃথিবীতে পতিত হইল;
প্রিয়তমেরা, তোমরা সকল আত্মাকে বিশ্বাস করিও না, বরং আত্মা সকলের পরীক্ষা করিয়া দেখ, তাহারা ঈশ্বর হইতে কি না; কারণ অনেক ভাক্ত ভাববাদী জগতে বাহির হইয়াছে।
পরে সপ্তম দূত তূরী বাজাইলেন, তখন স্বর্গে উচ্চ রবে এইরূপ বাণী হইল, ‘জগতের রাজ্য আমাদের প্রভুর ও তাঁহার খ্রীষ্টের হইল, এবং তিনি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে রাজত্ব করিবেন।’
আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকালের বিষয়ে কথিত দর্শন সত্য; কিন্তু তুমি এই দর্শন মুদ্রাঙ্কিত কর, কেননা এ অনেক দিনের কথা।
পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসিলে শিষ্যেরা বিরলে তাঁহার নিকটে আসিয়া বলিলেন, আমাদিগকে বলুন দেখি, এই সকল ঘটনা কখন্ হইবে? আর আপনার আগমনের এবং যুগান্তের চিহ্ন কি?
আমার প্রার্থনার কথা শেষ হইতে না হইতে, আমি প্রথম দর্শনে যে ব্যক্তিকে দেখিয়াছিলাম, সেই গাব্রিয়েল বেগে উড়িয়া আসিয়া সন্ধ্যাকালীন নৈবেদ্যের সময়ে আমাকে স্পর্শ করিলেন।তিনি আমাকে বুঝাইয়া দিলেন, এবং আমার সহিত আলাপ করিয়া কহিলেন, হে দানিয়েল, আমি এক্ষণে তোমাকে বুদ্ধিকৌশল দিতে আসিয়াছি।তোমার বিনতির আরম্ভ সময়েই আজ্ঞা নির্গত হইয়াছিল, তাই আমি তোমাকে সংবাদ দিতে আসিলাম, কেননা তুমি অতিশয় প্রীতি-পাত্র; অতএব এই বিষয় বিবেচনা কর, ও এই দর্শন বুঝিয়া লও।
তাহারা দর্শকদিগকে বলে, তোমরা দর্শন করিও না; লক্ষণবেত্তাদিগকে বলে, তোমরা আমাদের জন্য যথার্থ লক্ষণ বলিও না; আমাদিগকে স্নিগ্ধ বাক্য বল, মায়াযুক্ত লক্ষণ বল;
আর দায়ূদ-কুলের ও যিরূশালেম-নিবাসীদের উপরে আমি অনুগ্রহের ও বিনতির আত্মা সেচন করিব; তাহাতে তাহারা যাঁহাকে বিদ্ধ করিয়াছে, সেই আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিবে, এবং তাঁহার জন্য বিলাপ করিবে, যেমন একমাত্র পুত্রের জন্য বিলাপ করা যায়, এবং তাঁহার জন্য শোকাকুল হইবে, যেমন প্রথমজাত পুত্রের জন্য লোকে শোকাকুল হয়।
দেখ, তিনি “মেঘ সহকারে আসিতেছেন,” আর প্রত্যেক চক্ষু তাঁহাকে দেখিবে, এবং “যাহারা তাঁহাকে বিদ্ধ করিয়াছিল, তাহারাও দেখিবে;” আর পৃথিবীর “সমস্ত বংশ তাঁহার জন্য বিলাপ” করিবে। হাঁ, আমেন।
আর তোমরা যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের জনরব শুনিবে; দেখিও, ব্যাকুল হইও না; কেননা এই সকল অবশ্যই ঘটিবে, কিন্তু তখনও শেষ নয়।
সেই ব্যক্তির আগমন শয়তানের কার্যসাধন অনুসারে মিথ্যার সমস্ত পরাক্রম ও নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ সহকারে হইবে,
কিন্তু ইহারাও দ্রাক্ষারসে ভ্রান্ত ও সুরাপানে টলটলায়মান হইয়াছে; যাজক ও ভাববাদী সুরাপানে ভ্রান্ত হইয়াছে; তাহারা দ্রাক্ষারসে কবলিত ও সুরাপানে টলটলায়মান হয়, তাহারা দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচারে বিচলিত হয়।