তোমার আত্মিক জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছিল যখন তুমি খ্রীষ্টকে তোমার ত্রাণকর্তা হিসেবে গ্রহণ করেছিলে। কিন্তু এটা তো শুধুই শুরু। এই যাত্রায় তোমাকে খ্রীষ্টের প্রতিমূর্তিতে ব্যক্তিত্ব গঠন করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সব বিশ্বাসী এই প্রাকৃতিক পরিপক্কতার পথে চলে না। অনেকেই অপরিপক্ক বা ইন্দ্রিয়পরায়ণ খ্রীষ্টান হিসেবেই থেকে যায়। এই অবস্থা তাদের আচরণে প্রভাব ফেলে, পাপপূর্ণ স্বভাব ও কাজে অবিবেচনা প্রকাশ পায়।
আত্মিক পরিপক্কতা একদিনে আসে না। এটা বিশ্বাস ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। তুমি হয়তো বছরের পর বছর ধরে খ্রীষ্টকে জানো, কিন্তু তার সাথে তোমার সম্পর্ক গভীর হয়নি। কিন্তু এটা এমন হওয়ার কথা নয়। ইব্রীয় ৫:১১-১৪ পদে বলা হয়েছে, “এত দিন ধরে সুসমাচার শোনার পর তোমাদের শিক্ষক হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও তোমাদের ঈশ্বরের বাক্যের প্রাথমিক শিক্ষা বুঝতে হচ্ছে না। তোমরা ছোট বাচ্চাদের মতো যারা শক্ত খাবার খেতে পারে না, শুধু দুধ খায়। তোমরা নবজাত শিশুর মতো, যারা ভালো ও মন্দ বুঝতে পারে না। কিন্তু যারা ভালো ও মন্দ চিনতে পারে, তারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো, যারা শক্ত খাবার খেতে পারে।”
তাই ঈশ্বরের সাথে তোমার সম্পর্ক যাচাই করে ভুল ত্রুটি সংশোধন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অতীতের অভ্যাস ও আচরণ এখন আর চলবে না। আমাদের পূর্ণরূপে যীশুর সাথে চলতে হবে, তাকে আমাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলতে হবে। শুধু তাহলেই আমরা দৃঢ়ভাবে চলতে পারব এবং আমাদের চারপাশের কোন কিছুই আমাদের ঈশ্বরের দিক থেকে বিচলিত করতে পারবে না। আমাদের চিরন্তন লক্ষ্য থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না।
আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে আত্মিক লোকদের ন্যায় সম্ভাষণ করিতে পারি নাই, কিন্তু মাংসময় লোকদের ন্যায়, খ্রীষ্ট সম্বন্ধীয় শিশুদের ন্যায় সম্ভাষণ করিয়াছি।
ভ্রাতৃগণ, তোমরা বুদ্ধিতে বালক হইও না, বরঞ্চ হিংসাতে শিশুগণের ন্যায় হও, কিন্তু বুদ্ধিতে পরিপক্ব হও।
আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে আত্মিক লোকদের ন্যায় সম্ভাষণ করিতে পারি নাই, কিন্তু মাংসময় লোকদের ন্যায়, খ্রীষ্ট সম্বন্ধীয় শিশুদের ন্যায় সম্ভাষণ করিয়াছি।ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ আমাকে দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে আমি জ্ঞানবান গাঁথকের ন্যায় ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছি; আর তাহার উপরে অন্যে গাঁথিতেছে; কিন্তু প্রত্যেক জন দেখুক, কিরূপে সে তাহার উপরে গাঁথে।কেননা কেবল যাহা স্থাপিত হইয়াছে, তাহা ব্যতীত অন্য ভিত্তিমূল কেহ স্থাপন করিতে পারে না, তিনি যীশু খ্রীষ্ট।কিন্তু এই ভিত্তিমূলের উপরে লোকে স্বর্ণ, রৌপ্য, বহুমূল্য প্রস্তর, কাষ্ঠ, খড়, নাড়া দিয়া গাঁথে, তবে প্রত্যেক ব্যক্তির কর্ম সপ্রকাশ হইবে।কারণ সেই দিন তাহা ব্যক্ত করিবে, কেননা সেই দিনের প্রকাশ অগ্নিতেই হয়; আর প্রত্যেকের কর্ম যে কি প্রকার, সেই অগ্নিই তাহার পরীক্ষা করিবে;যে যাহা গাঁথিয়াছে, তাহার সেই কর্ম যদি থাকে, তবে সে বেতন পাইবে।যাহার কর্ম পুড়িয়া যায়, সে ক্ষতিগ্রস্ত হইবে, কিন্তু সে আপনি পরিত্রাণ পাইবে। তথাপি এইরূপে পাইবে, যেন অগ্নির মধ্য দিয়া উত্তীর্ণ হইবে।তুমি কি জান না যে, তোমরা ঈশ্বরের মন্দির, এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বাস করেন?যদি কেহ ঈশ্বরের মন্দির নষ্ট করে, তবে ঈশ্বর তাহাকে নষ্ট করিবেন, কেননা ঈশ্বরের মন্দির পবিত্র, আর সেই মন্দির তোমরাই।কেহ আপনাকে বঞ্চনা না করুক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে এই যুগে জ্ঞানবান বলিয়া মনে করে, তবে সে জ্ঞানবান হইবার জন্য মূর্খ হউক।যেহেতু এই জগতের যে জ্ঞান, তাহা ঈশ্বরের নিকটে মূর্খতা। কারণ লেখা আছে, “তিনি জ্ঞানবানদিগকে তাহাদের ধূর্ততায় ধরেন।”আমি তোমাদিগকে দুগ্ধ পান করাইয়াছিলাম, অন্ন দিই নাই, কেননা তখন তোমাদের শক্তি হয় নাই;পুনশ্চ, “প্রভু জ্ঞানবানদের তর্কবিতর্ক জানেন যে, সেই সকল অসার।”অতএব কেহ মনুষ্যদের শ্লাঘা না করুক। কেননা সকলই তোমাদের;পৌল, কি আপল্লো, কি কৈফা, কি জগৎ, কি জীবন, কি মরণ, কি উপস্থিত বিষয়, কি ভবিষ্যৎ বিষয়, সকলই তোমাদের;আর তোমরা খ্রীষ্টের, ও খ্রীষ্ট ঈশ্বরের।এমন কি, এখনও তোমাদের শক্তি হয় নাই, কারণ এখনও তোমরা মাংসিক রহিয়াছ; বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রহিয়াছে, তখন তোমরা কি মাংসিক নও, এবং মনুষ্যের রীতিক্রমে কি চলিতেছ না?
এমন কি, এখনও তোমাদের শক্তি হয় নাই, কারণ এখনও তোমরা মাংসিক রহিয়াছ; বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রহিয়াছে, তখন তোমরা কি মাংসিক নও, এবং মনুষ্যের রীতিক্রমে কি চলিতেছ না?
নবজাত শিশুদের ন্যায় সেই পারমার্থিক অমিশ্রিত দুগ্ধের লালসা কর, যেন তাহার গুণে পরিত্রাণের জন্য বৃদ্ধি পাও,
যেন আমরা আর বালক না থাকি, মনুষ্যদের ঠকামিতে, ধূর্ততায়, ভ্রান্তির চাতুরীক্রমে তরঙ্গাহত এবং যে সে শিক্ষাবায়ুতে ইতস্তঃত পরিচালিত না হই;
বস্তুতঃ এতকালের মধ্যে শিক্ষক হওয়া তোমাদের উচিত ছিল, কিন্তু কেহ যে তোমাদিগকে ঈশ্বরীয় বচনকলাপের আদিম কথার অক্ষরমালা শিক্ষা দেয়, ইহা তোমাদের পক্ষে পুনর্বার আবশ্যক হইয়াছে; এবং তোমরা এমন লোক হইয়া পড়িয়াছ, যাহাদের দুগ্ধের প্রয়োজন, কঠিন খাদ্যের নয়।কেননা যে দুগ্ধপোষ্য, সে ত ধার্মিকতার বাক্যে অভ্যস্ত নয়; কারণ সে শিশু।কিন্তু কঠিন খাদ্য সেই সিদ্ধ বয়স্কদেরই জন্য, যাহাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাস প্রযুক্ত সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু হইয়াছে।
বস্তুতঃ এতকালের মধ্যে শিক্ষক হওয়া তোমাদের উচিত ছিল, কিন্তু কেহ যে তোমাদিগকে ঈশ্বরীয় বচনকলাপের আদিম কথার অক্ষরমালা শিক্ষা দেয়, ইহা তোমাদের পক্ষে পুনর্বার আবশ্যক হইয়াছে; এবং তোমরা এমন লোক হইয়া পড়িয়াছ, যাহাদের দুগ্ধের প্রয়োজন, কঠিন খাদ্যের নয়।
‘অবোধেরা, কত দিন নির্বুদ্ধিতা ভালবাসিবে? নিন্দুকেরা কত দিন নিন্দায় রত থাকিবে? হীনবুদ্ধিরা, কত দিন জ্ঞানকে ঘৃণা করিবে?
তাহাদের অন্তঃকরণ বিভক্ত; এখন তাহারা দোষী প্রতিপন্ন হইবে। তিনিই তাহাদের যজ্ঞবেদি সকল ভগ্ন করিবেন, তাহাদের স্তম্ভ সকলই নষ্ট করিবেন।
কিন্তু সে বিশ্বাসপূর্বক যাচ্ঞা করুক, কিছু সন্দেহ না করুক; কেননা যে সন্দেহ করে, সে বায়ুতাড়িত বিলোড়িত সমুদ্র-তরঙ্গের তুল্য।
তাহাদের চক্ষু ব্যভিচারে পরিপূর্ণ এবং পাপ হইতে নিরস্ত হইতে পারে না; তাহারা চঞ্চলমতিদিগকে প্রলোভিত করে; তাহাদের হৃদয় অর্থলালসায় অভ্যস্ত; তাহারা শাপের সন্তান।
আর যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন না করে, তাহাকে এমন একজন নির্বোধ লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে বালুকার উপরে আপন গৃহ নির্মাণ করিল।পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে আঘাত করিল; তাহাতে তাহা পড়িয়া গেল, ও তাহার পতন ঘোরতর হইল।
কিন্তু আমি বলি, দায়াধিকারী যত কাল বালক থাকে, তত কাল সর্বস্বের স্বামী হইলেও দাসে ও তাহাতে কিছু মাত্র প্রভেদ নাই;তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বৎসর পালন করিতেছ।তোমাদের বিষয়ে আমার ভয় হয়; কি জানি, তোমাদের মধ্যে বৃথা পরিশ্রম করিয়াছি।হে ভ্রাতৃগণ, তোমাদিগকে এই বিনয় করিতেছি, তোমরা আমার মত হও, কেননা আমিও তোমাদের মত।তোমরা আমার কোন অপকার কর নাই; আর তোমরা জান, আমি মাংসের কোন দুর্বলতা হেতুই প্রথমবার তোমাদের নিকটে সুসমাচার প্রচার করিয়াছিলাম;আর আমার মাংসে তোমাদের যে পরীক্ষা হইয়াছিল, তাহা তোমরা হেয়জ্ঞান কর নাই, ঘৃণাবোধও কর নাই, বরং ঈশ্বরের এক দূতের ন্যায়, খ্রীষ্ট যীশুর ন্যায়, আমাকে গ্রহণ করিয়াছিলে।তবে তোমাদের সেই আনন্দ কোথায় গেল? কেননা আমি তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতেছি যে, সাধ্য থাকিলে তোমরা আপন আপন চক্ষু উৎপাটন করিয়া আমাকে দিতে।তবে তোমাদের কাছে সত্য বলাতে কি তোমাদের শত্রু হইয়াছি?তাহারা যে সযত্নে তোমাদের অন্বেষণ করিতেছে, তাহা ভাল ভাবে করে না; বরং তাহারা তোমাদিগকে বাহিরে রাখিতে চায়, যেন তোমরা সযত্নে তাহাদেরই অন্বেষণ কর।কেবল তোমাদের নিকটে আমার উপস্থিতি-কালে নয়, কিন্তু সর্বদাই উত্তম বিষয়ে সযত্নে অন্বেষিত হওয়া ভাল;তোমরা ত আমার বৎস, আমি পুনরায় তোমাদিগকে লইয়া প্রসব-যন্ত্রণা ভোগ করিতেছি, যাবৎ না তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্ট মূর্তিমান হন;কিন্তু পিতার নিরূপিত সময় পর্যন্ত সে পালকদের ও ধনাধ্যক্ষদের অধীন থাকে।কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, এক্ষণে তোমাদের নিকটে উপস্থিত হইয়া অন্য স্বরে কথা কহি; কেননা তোমাদের বিষয়ে ব্যাকুল হইতেছি।বল দেখি, তোমরা ত ব্যবস্থার অধীন থাকিতে ইচ্ছা করিতেছ, তোমরা কি ব্যবস্থার কথা শুন না?কারণ লেখা আছে যে, অব্রাহামের দুই পুত্র ছিল, একটি দাসীর পুত্র, একটি স্বাধীনার পুত্র।কিন্তু ঐ দাসীর পুত্র মাংস অনুসারে, স্বাধীনার পুত্র প্রতিজ্ঞার গুণে জন্মিয়াছিল।এই সকল কথার রূপক অর্থ আছে, কারণ ঐ দুই স্ত্রী দুই নিয়ম; একটি সীনয় পর্বত হইতে উৎপন্ন ও দাসত্বের জন্য প্রসবকারিণী; সে হাগার।আর এই হাগার আরব দেশস্থ সীনয় পর্বত; এবং সে এখনকার যিরূশালেমের সমতুল্য, কেননা সে নিজ সন্তানগণের সহিত দাসত্বে রহিয়াছে।কিন্তু ঊর্ধ্বস্থ যিরূশালেম স্বাধীনা, আর সে আমাদের জননী।কেননা লেখা আছে, “অয়ি বন্ধ্যে, অপ্রসূতে, আনন্দ কর, অয়ি প্রসব-যন্ত্রণা-রহিতে, উচ্চধ্বনি কর ও হর্ষনাদ কর, কেননা সধবার সন্তান অপেক্ষা বরং অনাথার সন্তান অধিক।” পরন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, ইস্হাকের ন্যায় তোমরা প্রতিজ্ঞার সন্তান।কিন্তু মাংস অনুসারে জাত ব্যক্তি যেমন তৎকালে আত্মানুসারে জাতকে তাড়না করিত, তেমনি এখনও হইতেছে।তেমনি আমরাও যখন বালক ছিলাম, তখন জগতের অক্ষরমালার অধীন দাস ছিলাম।
এবং কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ, তবে কোন মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
তাঁহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে খ্রীষ্টে সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি;
কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক। আমেন।
আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর ন্যায় কথা কহিতাম, শিশুর ন্যায় চিন্তা করিতাম, শিশুর ন্যায় বিচার করিতাম; এখন মানুষ হইয়াছি বলিয়া শিশুভাবগুলি ত্যাগ করিয়াছি।
অতএব খ্রীষ্ট যীশুকে, প্রভুকে, যেমন গ্রহণ করিয়াছ, তেমনি তাঁহাতেই চল;তাঁহাতেই বদ্ধমূল ও সংগ্রথিত হইয়া প্রাপ্ত শিক্ষানুসারে বিশ্বাসে দৃঢ়ীভূত হও, এবং ধন্যবাদ সহকারে উপচিয়া পড়।
অতএব যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন করে, তাহাকে এমন একজন বুদ্ধিমান লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে পাষাণের উপরে তাহার গৃহ নির্মাণ করিল।পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে লাগিল, তথাপি তাহা পড়িল না, কারণ পাষাণের উপরে তাহার ভিত্তিমূল স্থাপিত হইয়াছিল।আর যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন না করে, তাহাকে এমন একজন নির্বোধ লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে বালুকার উপরে আপন গৃহ নির্মাণ করিল।পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে আঘাত করিল; তাহাতে তাহা পড়িয়া গেল, ও তাহার পতন ঘোরতর হইল।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
অতএব আইস, আমরা খ্রীষ্ট-বিষয়ক আদিম কথা পশ্চাৎ ফেলিয়া সিদ্ধির চেষ্টায় অগ্রসর হই; পুনর্বার এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, যথা মৃত ক্রিয়া হইতে পরিবর্তন,কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।কিন্তু আমাদের বাসনা এই, যেন তোমাদের প্রত্যেক জন একই প্রকার যত্ন দেখায়, যাহাতে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার পূর্ণতা থাকিবে;যেন তোমরা শিথিল না হও, কিন্তু যাহারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতা দ্বারা প্রতিজ্ঞা সমূহের দায়াধিকারী, তাহাদের অনুকারী হও।কেননা ঈশ্বর যখন অব্রাহামের নিকটে প্রতিজ্ঞা করিলেন, তখন মহত্তর কোন ব্যক্তির নামে শপথ করিতে না পারাতে আপনারই নামে শপথ করিলেন, কহিলেন,“আমি অবশ্যই তোমাকে আশীর্বাদ করিব, এবং তোমার অতিশয় বংশ বৃদ্ধি করিব।”আর এইরূপে দীর্ঘসহিষ্ণুতা করিয়া তিনি প্রতিজ্ঞাপ্রাপ্ত হইলেন।মনুষ্যেরা ত মহত্তর ব্যক্তির নাম লইয়া শপথ করে; এবং দৃঢ়ীকরণার্থে শপথই তাহাদের সমস্ত প্রতিকূলবাদের অন্তক।এই ব্যাপারে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার দায়াধিকারীদিগকে আপন মন্ত্রণার অপরিবর্তনীয়তা আরও অতিরিক্তরূপে দেখাইবার বাসনায় শপথের প্রয়োগ দ্বারা মধ্যস্থতা করিলেন;অভিপ্রায় এই, যে ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য, এমন অপরিবর্তনীয় দুই ব্যাপার দ্বারা আমরা- যাহারা সম্মুখস্থ প্রত্যাশা ধরিবার জন্য শরণার্থে পলায়ন করিয়াছি- যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই।আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তাহা প্রাণের নোঙ্গরস্বরূপ, অটল ও দৃঢ়, এবং তিরস্করিণীর ভিতরে যায়।ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস, নানা বাপ্তিস্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতগণের পুনরুত্থান ও অনন্তকালার্থক বিচার।আর সেই স্থানে আমাদের নিমিত্ত অগ্রগামী হইয়া যীশু প্রবেশ করিয়াছেন, মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হইয়াছেন।ঈশ্বরের অনুমতি হইলে তাহাই করিব।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
পিতারা, তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ যিনি আদি হইতে আছেন, তোমরা তাঁহাকে জান। যুবকেরা, তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করিয়াছ।শিশুগণ তোমাদিগকে লিখিলাম, কারণ তোমরা পিতাকে জান। পিতারা, তোমাদিগকে লিখিলাম, কারণ যিনি আদি হইতে আছেন, তোমরা তাঁহাকে জান। যুবকেরা, তোমাদিগকে লিখিলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং ঈশ্বরের বাক্য তোমাদের অন্তরে বাস করে, আর তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করিয়াছ।
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ।
ফলতঃ কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল; পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেইগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে।
কিন্তু বলবান যে আমরা, আমাদের উচিত, যেন দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করি, আর আপনাদিগকে তুষ্ট না করি।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
যে শাসন অমান্য করে, সে তাহার প্রাণকে তুচ্ছ করে; কিন্তু যে অনুযোগ শুনে, সে বুদ্ধি উপার্জন করে।
আর যে পাষাণময় ভূমিতে উপ্ত, এ সেই, যে সেই বাক্য শুনিয়া অমনি আনন্দপূর্বক গ্রহণ করে, কিন্তু তাহার অন্তরে মূল নাই, সে অল্প কালমাত্র স্থির থাকে;পরে সেই বাক্য হেতু ক্লেশ কিম্বা তাড়না ঘটিলে সে অমনি বিঘ্ন পায়।
কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বরের লোক, এই সকল হইতে পলায়ন কর; এবং ধার্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাস, প্রেম, ধৈর্য, মৃদুভাব, এই সকলের অনুধাবন কর।বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
তোমরা সুন্দররূপে দৌড়াইতেছিলে; কে তোমাদিগকে বাধা দিল যে, তোমরা সত্যের দ্বারা প্রবর্তিত হও না?
কেননা যাহারা মাংসের বশে আছে, তাহারা মাংসিক বিষয় ভাবে; কিন্তু যাহারা আত্মার বশে আছে, তাহারা আত্মিক বিষয় ভাবে।কারণ মাংসের ভাব মৃত্যু, কিন্তু আত্মার ভাব জীবন ও শান্তি।
আর ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ,ও সদ্গুণে জ্ঞান ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য,ও ধৈর্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম যোগাও।কেননা এই সমস্ত যদি তোমাদের মধ্যে থাকে ও উপচিয়া পড়ে, তবে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে তোমাদিগকে অলস কি ফলহীন থাকিতে দিবে না।
লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আশীর্বাদ কর, আশীর্বাদ কর, শাপ দিও না।যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর; যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর।তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও।ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।
আর তোমরা তাঁহা হইতে যে অভিষেক পাইয়াছ, তাহা তোমাদের অন্তরে রহিয়াছে এবং কেহ যে তোমাদিগকে শিক্ষা দেয়, ইহাতে তোমাদের প্রয়োজন নাই; কিন্তু তাঁহার সেই অভিষেক যেমন সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিতেছে, এবং তাহা যেমন সত্য, মিথ্যা নয়, এমন কি, তাহা যেমন তোমাদিগকে শিক্ষা দিয়াছে, তেমনি তোমরা তাঁহাতে থাক।
কিন্তু প্রাণিক মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না, কেননা তাহার কাছে সেই সকল মূর্খতা; আর সেই সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।
তবে কি বলিব? অনুগ্রহের বাহুল্য যেন হয় এই নিমিত্ত কি পাপে থাকিব? তাহা দূরে থাকুক।ফলতঃ তাঁহার যে মৃত্যু হইয়াছে, তদ্দ্বারা তিনি পাপের সম্বন্ধে একবারই মরিলেন; এবং তাঁহার যে জীবন আছে, তদ্দ্বারা তিনি ঈশ্বরের সম্বন্ধে জীবিত আছেন।তদ্রূপ তোমরাও আপনাদিগকে পাপের সম্বন্ধে মৃত, কিন্তু খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের সম্বন্ধে জীবিত বলিয়া গণনা কর।অতএব পাপ তোমাদের মর্ত্যদেহে রাজত্ব্ব না করুক- করিলে তোমরা তাহার অভিলাষ-সমূহের আজ্ঞাবহ হইয়া পড়িবে;আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।কেননা পাপ তোমাদের উপরে আর কর্তৃত্ব করিবে না; কারণ তোমরা ব্যবস্থার অধীন নহ, কিন্তু অনুগ্রহের অধীন।তবে দাঁড়াইল কি? আমরা ব্যবস্থার অধীন নই, অনুগ্রহের অধীন, এই জন্য কি পাপ করিব? তাহা দূরে থাকুক।তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা পালনার্থে যাহার নিকটে দাসরূপে আপনাদিগকে সমর্পণ কর, যাহার আজ্ঞা মান, তোমরা তাহারই দাস; হয় মৃত্যুজনক পাপের দাস, নয় ধার্মিকতাজনক আজ্ঞা পালনের দাস?কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক যে, তোমরা পাপের দাস ছিলে বটে, পরন্তু শিক্ষার যে আদর্শে সমর্পিত হইয়াছ, অন্তঃকরণের সহিত সেই আদর্শের আজ্ঞাবহ হইয়াছ;এবং পাপ হইতে স্বাধীনীকৃত হইয়া তোমরা ধার্মিকতার দাস হইয়াছ।তোমাদের মাংসের দুর্বলতা প্রযুক্ত আমি মানুষের মত কহিতেছি। কারণ, তোমরা যেমন পূর্বে অধর্মের নিমিত্তে আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অশুচিতার ও অধর্মের কাছে দাসরূপে সমর্পণ করিয়াছিলে, তেমনি এখন পবিত্রতার নিমিত্তে আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার কাছে দাসরূপে সমর্পণ কর।আমরা ত পাপের সম্বন্ধে মরিয়াছি, আমরা কি প্রকারে আবার পাপে জীবন যাপন করিব?
অতএব তোমরা সমস্ত দুষ্টতা ও সমস্ত ছল এবং কপটতা ও মাৎসর্য ও সমস্ত পরিবাদ ত্যাগ করিয়া,পূর্বে তোমরা “প্রজা ছিলে না, কিন্তু এখন ঈশ্বরের প্রজা হইয়াছ; দয়াপ্রাপ্ত ছিলে না কিন্তু এখন দয়া পাইয়াছ।” প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।আর পরজাতীয়দের মধ্যে আপন আপন আচার-ব্যবহার উত্তম করিয়া রাখ; তাহা হইলে তাহারা যে বিষয়ে দুষ্কর্মকারী বলিয়া তোমাদের পরিবাদ করে, স্বচক্ষে তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিলে সেই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের দিনে ঈশ্বরের গৌরব করিবে।তোমরা প্রভুর জন্য মানব-সৃষ্ট সমস্ত নিয়োগের বশীভূত হও, রাজার বশীভূত হও, তিনি প্রধান;দেশাধ্যক্ষদের বশীভূত হও, তাঁহারা দুরাচারদের প্রতিফল দিবার নিমিত্ত ও সদাচারদের প্রশংসার নিমিত্ত তাঁহার দ্বারা প্রেরিত।কেননা ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, যেন এইরূপে তোমরা সদাচরণ করিতে করিতে নির্বোধ মনুষ্যদের অজ্ঞানতাকে নিরুত্তর কর।আপনাদিগকে স্বাধীন জানিও; আর স্বাধীনতাকে দুষ্টতার আবরণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে ঈশ্বরের দাস জানিও।সকলকে সমাদর কর, ভ্রাতৃসমাজকে প্রেম কর, ঈশ্বরকে ভয় কর, রাজাকে সমাদর কর।হে দাসগণ, তোমরা সম্পূর্ণ ভয়ের সহিত আপন আপন মনিবদের বশীভূত হও; কেবল সজ্জন ও শান্ত মনিবদের নয়, কিন্তু কুটিল মনিবদেরও বশীভূত হও।কেননা কেহ যদি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বিবেক প্রযুক্ত অন্যায় ভোগ করিয়া দুঃখ সহ্য করে, তবে তাহাই সাধুবাদের বিষয়।নবজাত শিশুদের ন্যায় সেই পারমার্থিক অমিশ্রিত দুগ্ধের লালসা কর, যেন তাহার গুণে পরিত্রাণের জন্য বৃদ্ধি পাও,বস্তুতঃ পাপ করিয়া চপেটাঘাত প্রাপ্ত হইলে যদি তোমরা সহ্য কর, তবে তাহাতে সুখ্যাতি কি? কিন্তু সদাচরণ করিয়া দুঃখভোগ করিলে যদি সহ্য কর, তবে তাহাই ত ঈশ্বরের নিকটে সাধুবাদের বিষয়।কারণ তোমরা ইহারই নিমিত্ত আহূত হইয়াছ; কেননা খ্রীষ্টও তোমাদের জন্য দুঃখভোগ করিলেন, এই বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রাখিয়া গিয়াছেন, যেন তোমরা তাঁহার পদচিহ্নের অনুগমন কর;“তিনি পাপ করেন নাই, তাহার মুখে কোন ছলও পাওয়া যায় নাই”।তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাহার উপর ভার রাখিতেন।তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।কেননা তোমরা “মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছিলে,” কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও অধ্যক্ষের কাছে ফিরিয়া আসিয়াছ।যদি তোমরা এমন আস্বাদ পাইয়া থাক যে, প্রভু মঙ্গলময়,
আর তিনি আমাকে বলিয়াছেন, আমার অনুগ্রহ তোমার পক্ষে যথেষ্ট; কেননা আমার শক্তি দুর্বলতায় সিদ্ধি পায়। অতএব আমি বরং অতিশয় আনন্দের সহিত নানা দুর্বলতায় শ্লাঘা করিব, যেন খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপরে অবস্থিতি করে।
কারণ ঈশ্বরকে জ্ঞাত হইয়াও তাহারা তাঁহাকে ঈশ্বর বলিয়া তাঁহার গৌরব করে নাই; ধন্যবাদও করে নাই; কিন্তু আপনাদের তর্কবিতর্কে অসার হইয়া পড়িয়াছে, এবং তাহাদের অবোধ হৃদয় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে।
তাঁহার বিষয়ে আমাদের অনেক কথা আছে, তাহার অর্থ ব্যক্ত করা দুষ্কর, কারণ তোমরা শ্রবণে শিথিল হইয়াছ।বস্তুতঃ এতকালের মধ্যে শিক্ষক হওয়া তোমাদের উচিত ছিল, কিন্তু কেহ যে তোমাদিগকে ঈশ্বরীয় বচনকলাপের আদিম কথার অক্ষরমালা শিক্ষা দেয়, ইহা তোমাদের পক্ষে পুনর্বার আবশ্যক হইয়াছে; এবং তোমরা এমন লোক হইয়া পড়িয়াছ, যাহাদের দুগ্ধের প্রয়োজন, কঠিন খাদ্যের নয়।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, অনেকে উপদেশক হইও না; তোমরা জান, অন্য অপেক্ষা আমাদের ভারী বিচার হইবে।একই মুখ হইতে ধন্যবাদ ও শাপ বাহির হয়। হে আমার ভ্রাতৃগণ, এই সকল এমন হওয়া অনুচিত।উনুই কি একই ছিদ্র দিয়া মিষ্ট ও তিক্ত দুই প্রকার জল বাহির করে?হে আমার ভ্রাতৃগণ, ডুমুরগাছে কি জলপাই ফল, অথবা দ্রাক্ষালতায় কি ডুমুর ফল ধরিতে পারে? লোনা জলও মিষ্ট জল দিতে পারে না।তোমাদের মধ্যে জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান কে? সে সদাচরণ দ্বারা জ্ঞানের মৃদুতায় নিজ ক্রিয়া দেখাইয়া দিউক।কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ও মিথ্যা কহিও না।সেই জ্ঞান এমন নয়, যাহা উপর হইতে নামিয়া আইসে এবং তাহা পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক।কেননা যেখানে ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা, সেখানে অস্থিরতা ও সমুদয় দুষ্কর্ম থাকে।কিন্তু যে জ্ঞান উপর হইতে আইসে, তাহা প্রথমে শুচি, পরে শান্তিপ্রিয়, ক্ষান্ত, সহজে অনুনীত, দয়া ও উত্তম উত্তম ফলে পরিপূর্ণ, ভেদাভেদবিহীন ও নিষ্কপট।আর যাহারা শান্তি-আচরণ করে, তাহাদের জন্য শান্তিতে ধার্মিকতা-ফলের বীজ বপন করা যায়।কারণ আমরা সকলে অনেক প্রকারে উছোট খাই। যদি কেহ বাক্যে উছোট না খায়, তবে সে সিদ্ধপুরুষ, সমস্ত শরীরকেই বল্গা দ্বারা বশে রাখিতে সমর্থ।
কিন্তু তিনি যেমন জ্যোতিতে আছেন, আমরাও যদি তেমনি জ্যোতিতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগিতা আছে, এবং তাঁহার পুত্র যীশুর রক্ত আমাদিগকে সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে।
আর আপন আপন মনের ভাবে যেন ক্রমশঃ নবীনীকৃত হও,এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান কর, যাহা সত্যের ধার্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে।
অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা এই সকল অগ্রে জানিয়া সাবধান থাক, পাছে ধর্মহীনদের ভ্রান্তিতে আকর্ষিত হইয়া নিজ স্থিরতা হইতে ভ্রষ্ট হও;
সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে;কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।
অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;
অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ?অথবা তোমরা কি জান না যে, পবিত্রগণ জগতের বিচার করিবেন? আর জগতের বিচার যদি তোমাদের দ্বারা হয়, তবে তোমরা কি যৎসামান্য বিষয়ের বিচার করিবার অযোগ্য?আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর।
আর বাক্যের কার্যকারী হও, আপনাদিগকে ভুলাইয়া শ্রোতামাত্র হইও না।কেননা যে কেহ বাক্যের শ্রোতামাত্র, কার্যকারী নয়, সে এমন ব্যক্তির তুল্য, যে দর্পণে আপনার স্বাভাবিক মুখ দেখে;কারণ সে আপনাকে দেখিল, চলিয়া গেল আর সে কিরূপ লোক, তাহা তখনই ভুলিয়া গেল।কিন্তু যে কেহ হেঁট হইয়া স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে, ও তাহাতে নিবিষ্ট থাকে, ভুলিয়া যাইবার শ্রোতা না হইয়া কার্যকারী হয়, সেই আপন কার্যে ধন্য হইবে।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
কারণ পূর্বকালে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছিল, সেই সকল আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছিল, যেন শাস্ত্রমূলক ধৈর্য ও সান্ত্বনা দ্বারা আমরা প্রত্যাশা প্রাপ্ত হই।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
নম্রতায় ও দূতগণের পূজায় স্বেচ্ছাচারী কোন ব্যক্তি তোমাদিগকে বিজয়-মুকুটে বঞ্চিত না করুক; সে যাহা যাহা দেখিয়াছে, সেই গুলিতেই বিচরণ করে, আপন মাংসময় মনের গর্বে বৃথা গর্বিত হয়,
কেননা যাহারা একবার দীপ্তিপ্রাপ্ত হইয়াছে, ও স্বর্গীয় দানের রসাস্বাদন করিয়াছে, ও পবিত্র আত্মার ভাগী হইয়াছে,এবং ঈশ্বরের মঙ্গলবাক্যের ও ভাবী যুগের নানা পরাক্রমের রসাস্বাদন করিয়াছে,পরে ধর্মভ্রষ্ট হইয়াছে, মনপরিবর্তনার্থে আবার তাহাদিগকে নূতন করিতে পারা যায় না; কেননা তাহারা আপনাদের বিষয়ে ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশে নিন্দাসপদ করে।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
হে তীমথিয়, তোমার কাছে যাহা গচ্ছিত হইয়াছে, তাহা সাবধানে রাখ; যাহা অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত, তাহার ধর্মবিরোধী নিঃসার শব্দাড়ম্বর ও বিরোধবাণী হইতে বিমুখ হও;সেই বিদ্যা অঙ্গীকার করিয়া কেহ কেহ বিশ্বাস সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছে। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হউক।
হে অবোধ গালাতীয়েরা, কে তোমাদিগকে মুগ্ধ করিল? তোমাদেরই চক্ষের সম্মুখে যীশু খ্রীষ্ট ত ক্রুশারোপিত বলিয়া স্পষ্টাক্ষরে লিখিত হইয়াছিলেন।বাস্তবিক যাহারা ব্যবস্থার ক্রিয়াবলম্বী, তাহারা সকলে শাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, “যে কেহ ব্যবস্থাগ্রন্থে লিখিত সমস্ত কথা পালন করিবার জন্য তাহাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত”।কিন্তু ব্যবস্থার দ্বারা কেহই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক গণিত হয় না, ইহা সুস্পষ্ট, কারণ “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।কিন্তু ব্যবস্থা বিশ্বাসমূলক নয়, বরং “যে কেহ এই সকল পালন করে, সে তাহাতে বাঁচিবে”।খ্রীষ্টই মূল্য দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ হইলেন; কেননা লেখা আছে, “যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত” ;যেন অব্রাহামের প্রাপ্ত আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুতে পরজাতিগণের প্রতি বর্তে, আমরা যেন বিশ্বাস দ্বারা অঙ্গীকৃত আত্মাকে প্রাপ্ত হই।হে ভ্রাতৃগণ, আমি মনুষ্যের মত বলিতেছি। মনুষ্যের নিয়মপত্র হইলেও তাহা যখন স্থিরীকৃত হয়, তখন কেহ তাহা বিফল করে না, কিম্বা তাহাতে নূতন কথা যোগ করে না।ভাল, অব্রাহামের প্রতি ও তাঁহার বংশের প্রতি প্রতিজ্ঞা সকল উক্ত হইয়াছিল। তিনি বহুবচনে ‘আর বংশ সকলের প্রতি’ না বলিয়া, একবচনে বলেন, “আর তোমার বংশের প্রতি”; সেই বংশ খ্রীষ্ট।আমি এই বলি, যে নিয়ম ঈশ্বরকর্তৃক পূর্বে স্থিরীকৃত হইয়াছিল, চারি শত ত্রিশ বৎসর পরে উৎপন্ন ব্যবস্থা সেই নিয়মকে উঠাইয়া দিতে পারে না, যাহাতে প্রতিজ্ঞাকে বিফল করিবে।কারণ দায়াধিকার যদি ব্যবস্থামূলক হয়, তবে আর প্রতিজ্ঞামূলক হইতে পারে না; কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা দ্বারাই তাহা দান করিয়াছেন।তবে ব্যবস্থা কি? অপরাধের কারণ তাহা যোগ করা হইয়াছিল, যে পর্যন্ত না সেই বংশ আইসেন, যাঁহার কাছে প্রতিজ্ঞা করা গিয়াছিল, আর তাহা দূতগণ দ্বারা, একজন মধ্যস্থের হস্তে, বিধিবদ্ধ হইল।কেবল এই কথা তোমাদের কাছে জানিতে চাহি, তোমরা কি ব্যবস্থার কার্য হেতু আত্মাকে পাইয়াছ? না বিশ্বাসের বার্তা শ্রবণ হেতু?একজনের মধ্যস্থ ত হয় না, কিন্তু ঈশ্বর এক।তবে ব্যবস্থা কি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা-কলাপের প্রতিকূল? তাহা দূরে থাকুক। ফলতঃ যদি এমন ব্যবস্থা দত্ত হইত, যাহা জীবন দান করিতে পারে, তবে ধার্মিকতা অবশ্য ব্যবস্থামূলক হইত।কিন্তু শাস্ত্র সকলই পাপের অধীনতায় রুদ্ধ করিয়াছে, যেন প্রতিজ্ঞার ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু, বিশ্বাসীদিগকে দেওয়া যায়।কিন্তু বিশ্বাস আসিবার পূর্বে আমরা ব্যবস্থার অধীনে রক্ষিত হইতেছিলাম, যে বিশ্বাস পরে প্রকাশিত হইবে, তাহার অপেক্ষায় রুদ্ধ ছিলাম।এই প্রকারে ব্যবস্থা খ্রীষ্টের কাছে আনিবার জন্য আমাদের পরিচালক দাস হইয়া উঠিল, যেন আমরা বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই।কিন্তু যে অবধি বিশ্বাস আসিল, সেই অবধি আমরা আর পরিচালক দাসের অধীন নহি।কেননা তোমরা সকলে, খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাস দ্বারা, ঈশ্বরের পুত্র হইয়াছ;কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ।যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক।আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে দায়াধিকারী।তোমরা কি এমন অবোধ? আত্মাতে আরম্ভ করিয়া এখন কি মাংসে সমাপ্ত করিতেছ?
কারণ যাহারা ব্যবস্থা শুনে, তাহারা যে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক, এমন নয়, কিন্তু যাহারা ব্যবস্থা পালন করে, তাহারাই ধার্মিক গণিত হইবে-
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
যেন আমরা আর বালক না থাকি, মনুষ্যদের ঠকামিতে, ধূর্ততায়, ভ্রান্তির চাতুরীক্রমে তরঙ্গাহত এবং যে সে শিক্ষাবায়ুতে ইতস্তঃত পরিচালিত না হই;কিন্তু প্রেমে সত্যনিষ্ঠ হইয়া সর্ববিষয়ে তাঁহার উদ্দেশে বৃদ্ধি পাই,
কারণ সেই দিন তাহা ব্যক্ত করিবে, কেননা সেই দিনের প্রকাশ অগ্নিতেই হয়; আর প্রত্যেকের কর্ম যে কি প্রকার, সেই অগ্নিই তাহার পরীক্ষা করিবে;
কারণ আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞানে সংসারের অশুচি বিষয় সমূহ এড়াইবার পর যদি তাহারা পুনরায় তাহাতে পাশবদ্ধ হইয়া পরাভূত হয়, তবে তাহাদের প্রথম দশা অপেক্ষা শেষ দশা আরও মন্দ হইয়া পড়ে।কেননা ধার্মিকতার পথ জানিয়া তাহাদের কাছে সমর্পিত পবিত্র আজ্ঞা হইতে সরিয়া যাওয়া অপেক্ষা বরং সেই পথ অজ্ঞাত থাকা তাহাদের পক্ষে আরও ভাল ছিল।
কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।
খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।
প্রিয়তমেরা, তোমরা সকল আত্মাকে বিশ্বাস করিও না, বরং আত্মা সকলের পরীক্ষা করিয়া দেখ, তাহারা ঈশ্বর হইতে কি না; কারণ অনেক ভাক্ত ভাববাদী জগতে বাহির হইয়াছে।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা যখন নানাবিধ পরীক্ষায় পড়, তখন তাহা সর্বতোভাবে আনন্দের বিষয় জ্ঞান করিও;কারণ মনুষ্যের ক্রোধ ঈশ্বরের ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করে না।অতএব তোমরা সকল অশুচিতা এবং দুষ্টতার উচ্ছ্বাস ফেলিয়া দিয়া, মৃদুভাবে সেই রোপিত বাক্য গ্রহণ কর, যাহা তোমাদের প্রাণের পরিত্রাণ সাধন করিতে পারে।আর বাক্যের কার্যকারী হও, আপনাদিগকে ভুলাইয়া শ্রোতামাত্র হইও না।কেননা যে কেহ বাক্যের শ্রোতামাত্র, কার্যকারী নয়, সে এমন ব্যক্তির তুল্য, যে দর্পণে আপনার স্বাভাবিক মুখ দেখে;কারণ সে আপনাকে দেখিল, চলিয়া গেল আর সে কিরূপ লোক, তাহা তখনই ভুলিয়া গেল।কিন্তু যে কেহ হেঁট হইয়া স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে, ও তাহাতে নিবিষ্ট থাকে, ভুলিয়া যাইবার শ্রোতা না হইয়া কার্যকারী হয়, সেই আপন কার্যে ধন্য হইবে।যে ব্যক্তি আপনাকে ধর্মশীল বলিয়া মনে করে, আর আপন জিহ্বাকে বল্গা দ্বারা বশে না রাখে, কিন্তু নিজ হৃদয়কে ভুলায় তাহার ধর্ম অলীক।ক্লেশাপন্ন পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা, এবং সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে শুচি ও বিমল ধর্ম।জানিও, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষাসিদ্ধতা ধৈর্য সাধন করে।আর সেই ধৈর্য সিদ্ধ কার্যবিশিষ্ট হউক, যেন তোমরা সিদ্ধ ও সম্পূর্ণ হও, কোন বিষয়ে তোমাদের অভাব না থাকে।
ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কার্য আরম্ভ করিয়াছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত তাহা সিদ্ধ করিবেন।
তুমি আমার কাছে যাহা যাহা শুনিয়াছ, সেই নিরাময় বাক্যসমূহের আদর্শ খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাসে ও প্রেমে ধারণ কর।তোমার কাছে যে উত্তম ধন গচ্ছিত আছে, তাহা যিনি আমাদের অন্তরে বাস করেন, সেই পবিত্র আত্মা দ্বারা রক্ষা কর।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
কেবল তাহা নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্যকে,ধৈর্য পরীক্ষাসিদ্ধতাকে এবং পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশাকে উৎপন্ন করে;
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।
আর আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যেরা যত অনর্থক কথা বলে, বিচার-দিনে সেই সকলের হিসাব দিতে হইবে।কারণ তোমার বাক্য দ্বারা তুমি নির্দোষ বলিয়া গণিত হইবে, আর তোমার বাক্য দ্বারাই তুমি দোষী বলিয়া গণিত হইবে।
যদি কেহ অন্যবিধ শিক্ষা দেয়, এবং নিরাময় বাক্য, অর্থাৎ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাক্য, ও ভক্তির অনুরূপ শিক্ষা স্বীকার না করে,তবে সে গর্বান্ধ, কিছুই জানে না, কিন্তু বিতণ্ডা ও বাগ্যুদ্ধের বিষয়ে রোগগ্রস্ত হইয়াছে;এই সকলের ফল মাৎসর্য, বিরোধ, বিবিধ নিন্দা, কুসন্দেহ, এবং নষ্টবিবেক ও হীনসত্য লোকদের চিরবিসংবাদ; এই প্রকার লোকেরা ভক্তিকে লাভের উপায় জ্ঞান করে।
পরন্তু সেই সময়ে তোমরা ঈশ্বরকে না জানিয়া, যাহারা স্বভাবতঃ ঈশ্বর নহে, তাহাদের দাস ছিলে;কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিচয় পাইয়াছ, বরং ঈশ্বরকর্তৃক পরিচিত হইয়াছ; তবে কেমন করিয়া পুনর্বার ঐ দুর্বল অকিঞ্চন অক্ষরমালার প্রতি ফিরিতেছ, আবার ফিরিয়া সেইগুলির দাস হইতে চাহিতেছ?
তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা পালনার্থে যাহার নিকটে দাসরূপে আপনাদিগকে সমর্পণ কর, যাহার আজ্ঞা মান, তোমরা তাহারই দাস; হয় মৃত্যুজনক পাপের দাস, নয় ধার্মিকতাজনক আজ্ঞা পালনের দাস?
প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।আর পরজাতীয়দের মধ্যে আপন আপন আচার-ব্যবহার উত্তম করিয়া রাখ; তাহা হইলে তাহারা যে বিষয়ে দুষ্কর্মকারী বলিয়া তোমাদের পরিবাদ করে, স্বচক্ষে তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিলে সেই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের দিনে ঈশ্বরের গৌরব করিবে।
আর তোমরা সেই আশ্বাস-বাক্য ভুলিয়া গিয়াছ, যাহা পুত্র বলিয়া তোমাদের সহিত কথাবার্তা কহিতেছে, “হে আমার পুত্র, প্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না, তাঁহার দ্বারা অনুযুক্ত হইলে ক্লান্ত হইও না।কেননা প্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাসন করেন, যে কোন পুত্রকে গ্রহণ করেন, তাহাকেই প্রহার করেন।”
কিন্তু মনুষ্য আপনার পরীক্ষা করুক, এবং এই প্রকারে সেই রুটি ভোজন ও সেই পানপাত্রে পান করুক।
কেননা অনেকে এমন চলিতেছে, যাহাদের বিষয়ে তোমাদিগকে বার বার বলিয়াছি, এবং এখনও রোদন করিতে করিতে বলিতেছি, তাহারা খ্রীষ্টের ক্রুশের শত্রু;তাহাদের পরিণাম বিনাশ; উদর তাহাদের ঈশ্বর, এবং নিজ লজ্জাতেই তাহাদের গৌরব; তাহারা পার্থিব বিষয় ভাবে।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
দেখ, কেন্দুয়াদের মধ্যে যেমন মেষ, তেমনি আমি তোমাদিগকে প্রেরণ করিতেছি; অতএব তোমরা সর্পের ন্যায় সতর্ক ও কপোতের ন্যায় অমায়িক হও।
আজ্ঞাবহতার সন্তান বলিয়া তোমরা তোমাদের পূর্বকার অজ্ঞানতাকালের অভিলাষের অনুরূপ হইও না,কিন্তু যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, সেই পবিত্রতমের ন্যায় আপনারাও সমস্ত আচার ব্যবহারে পবিত্র হও;কেননা লেখা আছে, “তোমরা পবিত্র হইবে, কারণ আমি পবিত্র”।
তোমাদিগকে তিনি এখন খ্রীষ্টের মাংসময় দেহে মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত করিলেন, যেন পবিত্র, নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ করিয়া আপনার সাক্ষাতে উপস্থিত করেন,
এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্যিক মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,
কেবল এই কথা তোমাদের কাছে জানিতে চাহি, তোমরা কি ব্যবস্থার কার্য হেতু আত্মাকে পাইয়াছ? না বিশ্বাসের বার্তা শ্রবণ হেতু?একজনের মধ্যস্থ ত হয় না, কিন্তু ঈশ্বর এক।তবে ব্যবস্থা কি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা-কলাপের প্রতিকূল? তাহা দূরে থাকুক। ফলতঃ যদি এমন ব্যবস্থা দত্ত হইত, যাহা জীবন দান করিতে পারে, তবে ধার্মিকতা অবশ্য ব্যবস্থামূলক হইত।কিন্তু শাস্ত্র সকলই পাপের অধীনতায় রুদ্ধ করিয়াছে, যেন প্রতিজ্ঞার ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু, বিশ্বাসীদিগকে দেওয়া যায়।কিন্তু বিশ্বাস আসিবার পূর্বে আমরা ব্যবস্থার অধীনে রক্ষিত হইতেছিলাম, যে বিশ্বাস পরে প্রকাশিত হইবে, তাহার অপেক্ষায় রুদ্ধ ছিলাম।এই প্রকারে ব্যবস্থা খ্রীষ্টের কাছে আনিবার জন্য আমাদের পরিচালক দাস হইয়া উঠিল, যেন আমরা বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই।কিন্তু যে অবধি বিশ্বাস আসিল, সেই অবধি আমরা আর পরিচালক দাসের অধীন নহি।কেননা তোমরা সকলে, খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাস দ্বারা, ঈশ্বরের পুত্র হইয়াছ;কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ।যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক।আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে দায়াধিকারী।তোমরা কি এমন অবোধ? আত্মাতে আরম্ভ করিয়া এখন কি মাংসে সমাপ্ত করিতেছ?
তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে কার্যে অনুরক্ত হও, সম্পূর্ণ সহিষ্ণুতা ও শিক্ষাদান-পূর্বক অনুযোগ কর, ভর্ৎসনা কর, চেতনা দেও।
যেন তিনি আপনার প্রতাপ-ধন অনুসারে তোমাদিগকে এই বর দেন, যাহাতে তোমরা তাঁহার আত্মা দ্বারা আন্তরিক মনুষ্যের সম্বন্ধে শক্তিতে সবলীকৃত হও;যেন বিশ্বাস দ্বারা খ্রীষ্ট তোমাদের হৃদয়ে বাস করেন; যেন তোমরা প্রেমে বদ্ধমূল ও সংস্থাপিত হইয়া,
আর আমরা ইহাতেই জানিতে পারি যে, তাঁহাকে জানি, যদি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি।যে ব্যক্তি বলে, আমি তাঁহাকে জানি, তথাপি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন না করে, সে মিথ্যাবাদী এবং তাঁহার অন্তরে সত্য নাই।কিন্তু যে তাঁহার বাক্য পালন করে, তাহার অন্তরে সত্যই ঈশ্বরের প্রেম সিদ্ধ হইয়াছে। ইহাতেই আমরা জানিতে পারি যে, তাঁহাতে আছি;যে বলে, আমি তাঁহাতে থাকি, তাহার উচিত যে তিনি যেরূপ চলিতেন, সেও তদ্রূপ চলে।
আমার আশ্চর্য বোধ হইতেছে যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তোমরা এত শীঘ্র তাঁহা হইতে অন্যবিধ সুসমাচারের দিকে ফিরিয়া যাইতেছ।তাহা আর কোন সুসমাচার নয়; কেবল এমন কতকগুলি লোক আছে, যাহারা তোমাদিগকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করিতে চায়।
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
অতএব যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে স্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে স্বীকার করিব।কিন্তু যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে অস্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে অস্বীকার করিব।
কেবল, খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে তাঁহার প্রজাদের মত আচরণ কর; আমি আসিয়া তোমাদিগকে দেখি, কি অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনিতে পাই যে, তোমরা এক আত্মাতে স্থির আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছ;
বিশ্বাসে যে দুর্বল, তাহাকে গ্রহণ কর, কিন্তু তর্কবিতর্ক সম্বন্ধীয় বিষয়ের বিচারার্থে নয়।কিন্তু তুমি কেন তোমার ভ্রাতার বিচার কর? কেনই বা তুমি তোমার ভ্রাতাকে তুচ্ছ কর? আমরা সকলেই ত ঈশ্বরের বিচারাসনের সম্মুখে দাঁড়াইব।কেননা লিখিত আছে, “প্রভু কহিতেছেন, আমার জীবনের দিব্য, আমার কাছে প্রত্যেক জানু পাতিত হইবে, এবং প্রত্যেক জিহ্বা ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করিবে।” সুতরাং আমাদের প্রত্যেক জনকে ঈশ্বরের কাছে আপন আপন নিকাশ দিতে হইবে।অতএব, আইস, আমরা পরস্পর কেহ কাহারও বিচার আর না করি, বরং তোমরা এই বিচার কর যে, ভ্রাতার ব্যাঘাতজনক কি বিঘ্নজনক কিছু রাখা অকর্তব্য।আমি জানি, এবং প্রভু যীশুতে নিশ্চয় বুঝিয়াছি, কোন বস্তুই স্বভাবতঃ অপবিত্র নয়; কিন্তু যে যাহা অপবিত্র জ্ঞান করে, তাহারই পক্ষে তাহা অপবিত্র।বস্তুতঃ তোমার ভ্রাতা যদি তোমার খাদ্য সামগ্রী প্রযুক্ত দুঃখিত হয়, তবে তুমি আর প্রেমের নিয়মে চলিতেছ না। যাহার নিমিত্ত খ্রীষ্ট মরিলেন, তোমার খাদ্য সামগ্রী দ্বারা তাহাকে নষ্ট করিও না।অতএব তোমাদের যাহা ভাল, তাহা নিন্দার বিষয় না হউক।কারণ ঈশ্বরের রাজ্য ভোজন-পান নয়, কিন্তু ধার্মিকতা, শান্তি এবং পবিত্র আত্মাতে আনন্দ।কেননা যে এই বিষয়ে খ্রীষ্টের দাসত্ব করে, সে ঈশ্বরের প্রীতিপাত্র, এবং মনুষ্যদের কাছেও পরীক্ষাসিদ্ধ।অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।এক ব্যক্তির বিশ্বাস আছে যে, সর্বপ্রকার দ্রব্যই খাইতে পারে, কিন্তু যে দুর্বল, সে শাক খায়।খাদ্যের নিমিত্ত ঈশ্বরের কর্ম ভাঙ্গিয়া ফেলিও না। সকল বস্তুই শুচি বটে, কিন্তু যে ব্যক্তির যাহা ভোজন করিলে ব্যাঘাত জন্মে, তাহার পক্ষে তাহা মন্দ।মাংস ভক্ষণ বা দ্রাক্ষারস পান, অথবা যাহা কিছুতে তোমার ভ্রাতা ব্যাঘাত কি বিঘ্ন পায়, কি দুর্বল হয়, এমন কিছুই না করা ভাল।তোমার যে বিশ্বাস আছে, তাহা আপনার কাছেই ঈশ্বরের সম্মুখে রাখ। ধন্য সেই ব্যক্তি, যে, যাহা গ্রাহ্য করে, তাহাতে আপনার বিচার না করে।কিন্তু যাহার সন্দেহ আছে, সে যদি ভোজন করে, তবে সে দোষী সাব্যস্ত হইল, কারণ তাহার ভোজন বিশ্বাসমূলক নয়; আর যাহা কিছু বিশ্বাসমূলক নয়, তাহাই পাপ।যে যাহা ভোজন করে, সে এমন ব্যক্তিকে তুচ্ছ না করুক, যে তাহা ভোজন করে না; এবং যে যাহা ভোজন না করে, সে এমন ব্যক্তির বিচার না করুক, যে তাহা ভোজন করে; কারণ ঈশ্বর তাহাকে গ্রহণ করিয়াছেন।তুমি কে, যে অপরের ভৃত্যের বিচার কর? নিজ প্রভুরই নিকটে হয় সে স্থির থাকে, নয় পতিত হয়। বরং তাহাকে স্থির রাখা যাইবে, কেননা প্রভু তাহাকে স্থির রাখিতে পারেন।
আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এই সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।