তোমার যা কিছু দরকার, তুমি তা ঈশ্বরের কাছে চাও। একজন স্নেহশীল বাবার মতো, তিনি জানেন তাঁর সন্তানদের কী প্রয়োজন। প্রার্থনায় অবশ্যই আবেদন থাকবে, কারণ ঈশ্বরের কাছে কিছু চাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের অক্ষমতা এবং অপর্যাপ্ততা স্বীকার করি। আমাদের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাদের প্রয়োজনগুলো – রিজিক, সুরক্ষা, আরোগ্য অথবা সঠিক পথনির্দেশনা – আমাদের প্রভুর কাছে তুলে ধরতে হবে এবং তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। গীতসংহিতা ১৩৯:৪ পদে বলা হয়েছে, “হে প্রভু, আমি কি বলব, তুমি তা জান; আমি মুখ খোলার আগেই তুমি আমার কথা জান।” প্রার্থনা ঈশ্বরের রাজ্যের ভাণ্ডারের দরজা খুলে দেয়। এটি এমন একটি চাবি যা স্রষ্টা আমাদের হাতে দিয়েছেন এবং আমাদের ব্যবহার করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার পক্ষে আমাদের যা দরকার তা দেওয়া খুবই সহজ; সবকিছুই তাঁর এবং সমগ্র বিশ্ব তাঁর নিয়ন্ত্রণে। আমাদের যা প্রয়োজন, তিনি সহজেই তা আমাদের দিতে পারেন, আমাদের চাওয়ার অপেক্ষা না করেই। কিন্তু তিনি এইভাবে এটি স্থাপন করেননি। ঈশ্বর আমাদের ভালোবাসেন, এবং তাঁর সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা হল আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা স্থাপন করা। প্রার্থনাই হল সেই মাধ্যম যার দ্বারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ আমাদের কাছে প্রবাহিত হয়।
সদাপ্রভু, প্রাতঃকালে তুমি আমার রব শুনিবে; প্রাতে আমি তোমার উদ্দেশে [প্রার্থনা] সাজাইয়া চাহিয়া থাকিব।
হে ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি সযত্নে তোমার অন্বেষণ করিব; আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসু, আমার মাংস তোমার জন্য লালায়িত, শুষ্ক ও শ্রান্তিকর দেশে, জলবিহীন দেশে।
কিন্তু, হে সদাপ্রভু, আমি তোমার উদ্দেশে আর্তনাদ করিয়াছি, প্রাতে আমার প্রার্থনা তোমার সম্মুখবর্তী হইবে।
প্রহরিগণ যেরূপ প্রত্যুষের, প্রহরিগণ যেরূপ প্রত্যুষের জন্য আকাঙ্ক্ষী, আমার প্রাণ প্রভুর জন্য ততোধিক আকাঙ্ক্ষী।
রাত্রিকালে আমি প্রাণের সহিত তোমার আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি; হাঁ, সযত্নে আমার অন্তরস্থ আত্মা দ্বারা তোমার অন্বেষণ করিব, কেননা পৃথিবীতে তোমার শাসন-কলাপ প্রচলিত হইলে, জগন্নিবাসীরা ধার্মিকতা শিক্ষা করিবে।
আমি তোমার উদ্দেশে অঞ্জলি প্রসারণ করিতেছি; [সেলা] শুষ্ক ভূমির ন্যায় আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষী।
হে আমার ধার্মিকতার ঈশ্বর, আমি ডাকিলে আমাকে উত্তর দেও। সঙ্কটে তুমি আমাকে মনের প্রশস্ততা দিয়াছ; আমাকে দয়া কর, আমার প্রার্থনা শুন।
কিন্তু তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার অন্তরাগারে প্রবেশ করিও, আর দ্বার রুদ্ধ করিয়া তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তাঁহার নিকটে প্রার্থনা করিও; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।
হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।আমার বিপক্ষেরা আমাকে তিরস্কার করে, যেন অস্থি পর্যন্ত চূর্ণ করে, তাহারা সমস্ত দিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি, আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।
সদাপ্রভুর বিবিধ দয়ার গুণে আমরা নষ্ট হই নাই; কেননা তাঁহার বিবিধ করুণা শেষ হয় নাই।নূতন নূতন করুণা প্রতি প্রভাতে! তোমার বিশ্বস্ততা মহৎ।
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
যাহারা আমাকে প্রেম করে, আমিও তাহাদিগকে প্রেম করি, যাহারা সযত্নে আমার অন্বেষণ করে, তাহারা আমাকে পায়।
আমি সর্বান্তঃকরণে ডাকিয়াছি; হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও, আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব।আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; আমাকে পরিত্রাণ কর, তাহাতে আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিব।
কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর।তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
সে আমাকে ডাকিবে, আমি তাহাকে উত্তর দিব; আমি সঙ্কটে তাহার সঙ্গে থাকিব; আমি তাহাকে উদ্ধার করিব, গৌরবান্বিতও করিব।
সদাপ্রভুর নিকটে নীরব হও, তাঁহার অপেক্ষায় থাক; যে আপন পথে কৃতকার্য হয়, তাহার বিষয়ে, যে ব্যক্তি কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিষয়ে রুষ্ট হইও না।
আমার প্রাণ তৃপ্ত হইবে, যেমন মেদ ও মজ্জাতে হয়, আমার মুখ আনন্দপূর্ণ ওষ্ঠাধরে তোমার প্রশংসা করিবে।আমি শয্যার উপরে যখন তোমাকে স্মরণ করি, তখন প্রহরে প্রহরে তোমার বিষয় ধ্যান করি।
প্রভু সদাপ্রভু আমাকে শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা দিয়াছেন, যেন আমি বুঝিতে পারি, কিরূপে ক্লান্ত লোককে বাক্য দ্বারা সুস্থির করিতে হয়; তিনি প্রভাতে প্রভাতে জাগরিত করেন, আমার কর্ণ জাগরিত করেন, যেন আমি শিক্ষাগ্রাহীদের ন্যায় শুনিতে পাই।
আমি শান্তিতে শয়ন করিব, নিদ্রাও যাইব; কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমিই একাকী আমাকে নির্ভয়ে বাস করিতে দিতেছ।
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার মুখের প্রসন্নতা চেষ্টা করিয়াছি; তোমার বচনানুসারে আমার প্রতি কৃপা কর।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার আজ্ঞাতে অতিমাত্র প্রীত হয়।
সেই দিন আমার শত্রুগণ ফিরিয়া যাইবে, যে দিন আমি তোমাকে ডাকি, আমি ইহা জানি যে, ঈশ্বর আমার সপক্ষ।
কারণ, হে প্রভু, তুমি মঙ্গলময় ও ক্ষমাবান, এবং যাহারা তোমাকে ডাকে, তুমি সেই সকলের পক্ষে দয়াতে মহান।
কিন্তু সদাপ্রভু, আমি তোমার উপরে নির্ভর করিলাম; আমি কহিলাম, তুমিই আমার ঈশ্বর।আমার সময় সকল তোমার হস্তে রহিয়াছে; আমার শত্রুগণের হস্ত হইতে, আমার তাড়নাকারিগণ হইতে, আমাকে উদ্ধার কর।
তৎকালে তুমি ডাকিবে ও সদাপ্রভু উত্তর দিবেন; তুমি আর্তনাদ করিবে ও তিনি কহিবেন, এই যে আমি। যদি তুমি আপনার মধ্য হইতে জোঁয়ালি, অঙ্গুলিতর্জন ও অধর্মবাক্য দূর কর,
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
কিন্তু ঈশ্বরের নিকটে থাকা আমারই পক্ষে মঙ্গল; আমি প্রভু সদাপ্রভুর শরণ লইলাম, যেন তোমার সমস্ত ক্রিয়া বর্ণনা করিতে পারি।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
আমার মন তোমাকে বলিল, [তুমি বলিলে,] ‘তোমরা আমার মুখের অন্বেষণ কর’; সদাপ্রভু, আমি তোমার মুখের অন্বেষণ করিব।
যাহারা তোমার নাম জানে, তাহারা তোমাতে বিশ্বাস রাখিবে; কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার অন্বেষণকারীদিগকে পরিত্যাগ কর নাই।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ।সেখানেও তোমার হস্ত আমাকে চালাইবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধরিবে।যদি বলি, ‘আঁধার আমাকে ঢাকিয়া ফেলিবে, আমার চারিদিকে আলোক রাত্রি হইবে’, বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছি; আমার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছে; আমি তাঁহার বাক্যে প্রত্যাশা করিতেছি।প্রহরিগণ যেরূপ প্রত্যুষের, প্রহরিগণ যেরূপ প্রত্যুষের জন্য আকাঙ্ক্ষী, আমার প্রাণ প্রভুর জন্য ততোধিক আকাঙ্ক্ষী।
যে সময়ে আমার ভয় লাগে, আমি তোমাতে নির্ভর করিব।ঈশ্বরে আমি তাঁহার বাক্যের প্রশংসা করিব; আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না; মাংসপিণ্ড আমার কি করিতে পারে?
সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেহ তদনুযায়ী কর্ম করে, সে সদ্বুদ্ধি পায়; তাঁহার প্রশংসা নিত্যস্থায়ী।
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।তোমরা চিরকাল সদাপ্রভুতে নির্ভর রাখ; কেননা সদাপ্রভু যিহোবাতেই যুগসমূহের শৈল।
আমি শয্যার উপরে যখন তোমাকে স্মরণ করি, তখন প্রহরে প্রহরে তোমার বিষয় ধ্যান করি।কেননা তুমি আমার সহায় হইয়া আসিতেছ, তোমার পক্ষযুগলের ছায়াতে আমি আনন্দধ্বনি করিব।
কেননা তুমি ধার্মিককে আশীর্বাদ করিবে, হে সদাপ্রভু, তুমি ঢালের ন্যায় তাহাকে প্রসন্নতায় বেষ্টন করিবে।
সদাপ্রভু দিবসে আপন দয়াকে আদেশ করিবেন, রাত্রিতে তাঁহার স্তোত্র আমার সঙ্গী হইবে, আমার জীবনেশ্বরের কাছে প্রার্থনা [করিব]।
আমার প্রাণ সদাপ্রভুর প্রাঙ্গণের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে, এমন কি, মূর্চ্ছিত হয়, আমার হৃদয় ও আমার মাংস জীবন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশে উচ্চধ্বনি করে।
তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র্র্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছি; আমার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছে; আমি তাঁহার বাক্যে প্রত্যাশা করিতেছি।
হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।
আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন।
আর সেইরূপে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা উচিত মতে কি প্রার্থনা করিতে হয়, তাহা আমরা জানি না, কিন্তু আত্মা আপনি অবক্তব্য আর্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।
হে সদাপ্রভু, আমার বাক্যে কর্ণপাত কর, আমার কাকূক্তিতে মনোযোগ কর।হে ঈশ্বর, তাহাদিগকে দোষী কর, তাহারা আপনাদের মন্ত্রণায় পতিত হউক, তুমি তাহাদের অধর্ম-বাহুল্যে তাহাদিগকে তাড়াইয়া দেও, কেননা তাহারা তোমার বিদ্রোহী হইয়াছে।কিন্তু তোমার শরণাপন্ন সকলে আহ্লাদিত হউক, তাহারা চিরকাল আনন্দগান করুক, কেননা তুমি তাহাদিগকে রক্ষা করিতেছ; যাহারা তোমার নাম ভালবাসে, তাহারা তোমাতে উল্লাস করুক।কেননা তুমি ধার্মিককে আশীর্বাদ করিবে, হে সদাপ্রভু, তুমি ঢালের ন্যায় তাহাকে প্রসন্নতায় বেষ্টন করিবে।মম রাজন্, মম ঈশ্বর, মম আর্তনাদের রব শুন, কেননা আমি তোমারই কাছে প্রার্থনা করিতেছি।
প্রাতে আমাকে তোমার দয়ার বচন শুনাও, কেননা তোমাতে আমি নির্ভর করিতেছি; আমার গন্তব্য পথ আমাকে জানাও, কেননা আমি তোমার দিকে নিজ প্রাণ উত্তোলন করি।
বস্তুতঃ পর্বতগণ সরিয়া যাইবে, উপপর্বতগণ টলিবে; কিন্তু আমার দয়া তোমা হইতে সরিয়া যাইবে না, এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলিবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই সদাপ্রভু ইহা কহেন।
আমি সঙ্কটের মধ্য হইতে সদাপ্রভুকে ডাকিলাম; সদাপ্রভু আমাকে উত্তর দিয়া প্রশস্ত স্থানে [আনিলেন]।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
হে ঈশ্বর, তোমার দয়া কেমন বহুমূল্য! মনুষ্য-সন্তানবর্গ তোমার পক্ষচ্ছায়ার নিচে শরণ লয়।তাহারা তোমার গৃহের পুষ্টিকর দ্রব্যে পরিতৃপ্ত হয়, তুমি তাহাদিগকে তোমার আনন্দ নদীর জল পান করাইয়া থাক।কারণ তোমারই কাছে জীবনের উনুই আছে; তোমারই দীপ্তিতে আমরা দীপ্তি দেখিতে পাই।
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
দেখ, ঈশ্বর আমার পরিত্রাণ; আমি সাহস করিব, ভীত হইব না; কেননা সদাপ্রভু যিহোবা আমার বল ও গান; তিনি আমার পরিত্রাণ হইয়াছেন।
আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।
আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না, কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, যীশু আমাদের জন্য ‘তিরস্করিণী’ দিয়া, অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া, যে পথ সংস্কার করিয়াছেন,যদি পারিত, তবে ঐ যজ্ঞ কি শেষ হইত না? কেননা আরাধনাকারীরা একবার শুচিকৃত হইলে তাহাদের কোন পাপ-বিবেক আর থাকিত না।আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি;এবং ঈশ্বরের গৃহের উপরে নিযুক্ত মহান এক যাজকও আমাদের আছেন;এই জন্য আইস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমরা ত হৃদয়প্রোক্ষণ-পূর্বক মন্দ হইতে মুক্ত, এবং শুচি জলে স্নাত দেহবিশিষ্ট হইয়াছি;
আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব; কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।
হাঁ, আমরা তোমার শাসন-পথেই, হে সদাপ্রভু, তোমার অপেক্ষায় রহিয়াছি; আমাদের প্রাণ তোমার নামের ও তোমার স্মরণচিহ্নের আকাঙ্ক্ষা করে।
যুবসিংহদের অনটন ও ক্ষুধায় ক্লেশ হয়, কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে, তাহাদের কোন মঙ্গলের অভাব হয় না।
‘সে আমাতে আসক্ত, তজ্জন্য আমি তাহাকে বাঁচাইব; আমি তাহাকে উচ্চে স্থাপন করিব, কারণ সে আমার নাম জ্ঞাত হইয়াছে।
ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।
কিন্তু হে সদাপ্রভু, আমি তোমারই নিকটে প্রসন্নতার সময়ে প্রার্থনা করিতেছি; হে ঈশ্বর, তোমার দয়ার বাহুল্যে, তোমার পরিত্রাণের সত্যে, আমাকে উত্তর দেও।
আমি স্বরবে ঈশ্বরের কাছে ক্রন্দন করিব; স্বরবে ঈশ্বরের কাছে ক্রন্দন করিব, তিনি আমার প্রতি কর্ণপাত করিবেন।পরে আমি কহিলাম, ইহা আমার পীড়া, পরাৎপরের দক্ষিণ হস্তের বৎসর সকল [স্মরণ করিব]। আমি সদাপ্রভুর কর্ম সকল উল্লেখ করিব; তোমার পূর্বকালীন আশ্চর্য ক্রিয়া সকল স্মরণ করিব।আমি তোমার সমস্ত কর্ম ধ্যানও করিব, তোমার ক্রিয়া সকল আলোচনা করিব।হে ঈশ্বর, পবিত্রতায় তোমার পথ; ঈশ্বরের তুল্য মহান ঈশ্বর কে?তুমিই আশ্চর্য-কার্যকারী ঈশ্বর, তুমি জাতিগণের মধ্যে তোমার পরাক্রম জ্ঞাত করিয়াছ।তুমি বাহুবল দ্বারা আপন প্রজাদিগকে, যাকোবের ও যোষেফের সন্তানগণকে, মুক্ত করিয়াছ। [সেলা]হে ঈশ্বর, জলসমূহ তোমাকে দেখিল; জলসমূহ তোমাকে দেখিল, কম্পিত হইল, জলধি সকলও বিচলিত হইল।জলধর সকল জলধারা বর্ষণ করিল, মেঘমালা গর্জন করিল, তোমার বাণ সকলও বিক্ষিপ্ত হইল।চক্রবাতে তোমার বজ্রের ধ্বনি হইল, বিদ্যুৎ জগৎকে দেদীপ্যমান করিল, পৃথিবী কম্পমান ও টলটলায়মান হইল।সমুদ্রের মধ্যে তোমার পথ ছিল, বহু জলরাশির মধ্যে তোমার মার্গ ছিল, তোমার পদচিহ্ন জানা গেল না।সঙ্কটের দিনে আমি প্রভুর অন্বেষণ করিলাম; রাত্রিকালে আমার হস্ত বিস্তারিত থাকিল, সঙ্কুচিত হইল না; আমার প্রাণ প্রবোধ মানিল না।
সদাপ্রভু, তোমার দয়া আকাশমণ্ডলে ব্যাপ্ত, তোমার বিশ্বস্ততা গগনস্পর্শী।তোমার ধর্মশীলতা ঈশ্বরের পর্বতসমূহের তুল্য, তোমার শাসন সকল মহাজলধিস্বরূপ; সদাপ্রভু, তুমি মনুষ্য ও পশু রক্ষা করিয়া থাক।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
কারণ যিহূদী ও গ্রীকে কোন প্রভেদ নাই; কেননা তিনি সকলেরই একমাত্র প্রভু; যত লোক তাঁহাকে ডাকে, সেই সকলের পক্ষে তিনি ধনবান।
কিন্তু তোমার শরণাপন্ন সকলে আহ্লাদিত হউক, তাহারা চিরকাল আনন্দগান করুক, কেননা তুমি তাহাদিগকে রক্ষা করিতেছ; যাহারা তোমার নাম ভালবাসে, তাহারা তোমাতে উল্লাস করুক।