তোমাকে পবিত্র জীবন যাপন করার জন্য ঈশ্বর ডাকছেন। পবিত্র থাকা মানে শুদ্ধ থাকা, ঈশ্বরের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা, পৃথিবীর পাপ-পঙ্কিলতা থেকে দূরে থাকা। এই শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য আমাদের যা কিছু ঈশ্বরের অসন্তুষ্টির কারণ, সেসব থেকে দূরে থাকতে হবে। আর ঈশ্বরের বাক্যই হলো সবচেয়ে ভালো পথপ্রদর্শক, যা আমাদের জানায় কি ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে।
প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য পড়ো, আর তুমি ঈশ্বরকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে। এভাবে তুমি ভালো-মন্দ, ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যায় এমন আর ঈশ্বর থেকে দূরে সরিয়ে নেয় এমন কি, তা বুঝতে পারবে। "কিভাবে একজন যুবক তার পথ শুদ্ধ রাখবে? তোমার বাক্য পালন করে।" (গীতসংহিতা ১১৯:৯)
যীশু খ্রীষ্ট আমাদের পবিত্র করার জন্য, আমাদের শুদ্ধ করার জন্য নিজের জীবন দান করেছেন। তুমি যদি সত্যিই তোমার স্বর্গীয় পিতাকে ভালোবাসো, তাহলে তুমি যা কিছু তোমাকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে নেয়, সেসব থেকে দূরে থাকবে। তুমি প্রতিদিন নিজেকে ঈশ্বরের হাতে সঁপে দিবে এবং তোমার সব কাজে পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করবে।
ঈশ্বর তোমাকে যে পবিত্রতায় ডাকছেন, তা অর্জনের জন্য তোমাকে প্রতিদিন চেষ্টা করতে হবে, যাতে তুমি তাঁকে দেখতে পাও। ঈশ্বরের বাক্য বলে, "সকলের সঙ্গে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করো এবং পবিত্র জীবন যাপন করো, কারণ পবিত্রতা ব্যতীত কেউ প্রভুকে দেখতে পাবে না।" (ইব্রীয় ১২:১৪)
তোমার স্বর্গীয় পিতা চান তুমি তাঁর সামনে পবিত্র হয়ে উপস্থিত হও, যা কিছু তোমার শরীর ও আত্মাকে কলুষিত করে, সেসব থেকে দূরে থাকো।
হে সদাপ্রভু, তোমার তাম্বুতে কে প্রবাস করিবে? তোমার পবিত্র পর্বতে কে বসতি করিবে?যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্মকর্ম করে, এবং হৃদয়ে সত্য কহে।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বরের লোক, এই সকল হইতে পলায়ন কর; এবং ধার্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাস, প্রেম, ধৈর্য, মৃদুভাব, এই সকলের অনুধাবন কর।
কিন্তু ধার্মিকদের পথ প্রভাতীয় জ্যোতির ন্যায়, যাহা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত উত্তরোত্তর দেদীপ্যমান হয়।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;সেই ব্যক্তি উচ্চস্থানে বাস করিবে, শৈলগণের দুরাক্রম স্থান তাহার দুর্গস্বরূপ হইবে; তাহাকে ভক্ষ্য দেওয়া যাইবে, সে নিশ্চয়ই জল পাইবে।
কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর সূর্য ও ঢাল; সদাপ্রভু অনুগ্রহ ও প্রতাপ প্রদান করেন; যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
ধার্মিক হইবার জন্য চেতন হও, পাপ করিও না, কেননা কাহারও কাহারও ঈশ্বর-জ্ঞান নাই; আমি তোমাদের লজ্জার নিমিত্ত এই কথা কহিতেছি।
যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হই।
দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
তোমরা যাহারা ধার্মিকতা জান, যে লোকদের অন্তরে আমার ব্যবস্থা আছে, তোমরা আমার বাক্যে কর্ণপাত কর; মর্ত্যের টিট্কারিতে ভয় করিও না, তাহাদের বিদ্রূপে উদ্বিগ্ন হইও না।
ঈশ্বর-দেয় সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্তে- কারণ প্রভেদ নাই;
অতএব প্রিয় বৎসদের ন্যায় তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।প্রভুর প্রীতিজনক কি, তাহার পরীক্ষা কর।আর অন্ধকারের ফলহীন কর্ম সকলের সহভাগী হইও না, বরং সেইগুলির দোষ দেখাইয়া দেও।কেননা উহারা গোপনে যে সকল কর্ম করে, তাহা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।কিন্তু দোষ দেখাইয়া দেওয়া হইলে সকলই দীপ্তি দ্বারা প্রকাশ হইয়া পড়ে; বস্তুতঃ যাহা প্রকাশ হইয়া পড়ে, তাহা সকলই দীপ্তিময়।এই জন্য উক্ত আছে, “হে নিদ্রাগত ব্যক্তি, জাগ্রত হও, এবং মৃতগণের মধ্য হইতে উঠ, তাহাতে খ্রীষ্ট তোমার উপরে আলোক উদয় করিবেন।” অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ।আর দ্রাক্ষারসে মত্ত হইও না, তাহাতে নষ্টামি আছে;কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।
তুমি মন্দ হইতে দূরে যাও, সদাচরণ কর, চিরকাল বাস করিবে।কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
তাহা আমাদিগকে শাসন করিতেছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ সকল অস্বীকার করিয়া সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্তমান যুগে জীবন যাপন করি,
হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;
যেন তোমরা পূর্বকালীন আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরাতন মনুষ্যকে ত্যাগ কর, যাহা প্রতারণার বিবিধ অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হইয়া পড়িতেছে।আর আপন আপন মনের ভাবে যেন ক্রমশঃ নবীনীকৃত হও,এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান কর, যাহা সত্যের ধার্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে।
কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
তিনি সরলদের জন্য সূক্ষ্ম বুদ্ধি রাখেন, যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের ঢাল স্বরূপ।তিনি ন্যায়বিচারের পথ সকল রক্ষা করেন, তাঁহার সাধুদের পথ সংরক্ষণ করেন।
সাবধান, লোককে দেখাইবার জন্য তাহাদের সাক্ষাতে তোমাদের ধর্মকর্ম করিও না, করিলে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার নিকটে তোমাদের পুরস্কার নাই।
তোমার গতি সদাপ্রভুতে অর্পণ কর, তাঁহাতে নির্ভর কর, তিনিই কার্য সাধন করিবেন।তিনি দীপ্তির ন্যায় তোমার ধর্ম, মধ্যাহ্নের ন্যায় তোমার বিচার প্রকাশ করিবেন।
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
কিন্তু যদিও ধার্মিকতার নিমিত্ত দুঃখভোগ কর, তবু তোমরা ধন্য। আর তোমরা উহাদের ভয়ে ভীত হইও না, এবং উদ্বিগ্ন হইও না, বরং হৃদয়মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু বলিয়া পবিত্র করিয়া মান।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।
কিন্তু তাহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান- ধার্মিকতা ও পবিত্রতা এবং মুক্তি-
হে সদাপ্রভু, আমার গুপ্ত শত্রুগণ হেতু তুমি আপন ধর্মশীলতায় আমাকে চালাও, আমার সম্মুখে তোমার পথ সরল কর।
কিন্তু এখন পাপ হইতে স্বাধীনীকৃত হইয়া এবং ঈশ্বরের দাস হইয়া তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাইতেছ, এবং তাহার পরিণাম অনন্ত জীবন।
তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?
যেন আমরা যাহারা মাংসের বশে নয়, কিন্তু আত্মার বশে চলিতেছি, ব্যবস্থার ধর্মবিধি সেই আমাদের মধ্যে সিদ্ধ হয়।
কিন্তু তিনি যেমন জ্যোতিতে আছেন, আমরাও যদি তেমনি জ্যোতিতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগিতা আছে, এবং তাঁহার পুত্র যীশুর রক্ত আমাদিগকে সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে।
কারণ তোমরা এক সময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে দীপ্তি হইয়াছ;দীপ্তির সন্তানদের ন্যায় চল- কেননা সর্বপ্রকার মঙ্গলভাবে, ধার্মিকতায় ও সত্যে দীপ্তির ফল হয়-
কিন্তু আমার ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতুই বাঁচিবে, আর যদি সরিয়া পড়ে, তবে আমার প্রাণ তাহাতে প্রীত হইবে না।”
কিন্তু বাহিনীগণের সদাপ্রভু বিচারে উন্নত হন, পবিত্রতম ঈশ্বর ধর্মশীলতায় পবিত্র বলিয়া মান্য হন।
অতএব বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি;
সদাপ্রভু সিদ্ধদের দিন সকল জানেন; তাহাদের অধিকার চিরকাল থাকিবে।তাহারা বিপদকালে লজ্জিত হইবে না, দুর্ভিক্ষের সময়ে তৃপ্ত হইবে।
তাহাতে তিনি তাহাদের প্রার্থিত বস্তু তাহাদিগকে দিলেন, কিন্তু তাহাদের প্রাণে ক্ষীণতা পাঠাইলেন।
দেশের বিশ্বস্ত লোকদের প্রতি আমার দৃষ্টি থাকিবে; তাহারা আমার সহিত বাস করিবে; যে সিদ্ধ পথে চলে, সেই আমার পরিচারক হইবে।
হে আমার বৎসেরা, তোমাদিগকে এই সকল লিখিতেছি, যেন তোমরা পাপ না কর। আর যদি কেহ পাপ করে, তবে পিতার কাছে আমাদের এক সহায় আছেন, তিনি ধার্মিক যীশু খ্রীষ্ট।
যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারিবে।
ইহা করিলে অরুণের ন্যায় তোমার দীপ্তি প্রকাশ পাইবে, তোমার আরোগ্য শীঘ্রই অঙ্কুরিত হইবে; আর তোমার ধার্মিকতা তোমার অগ্রগামী হইবে; সদাপ্রভুর প্রতাপ তোমার পশ্চাদ্বর্তী হইবে।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
অতএব প্রভুতে বন্দি আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে আহ্বানে আহূত হইয়াছ, তাহার যোগ্যরূপে চল।
তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।
তুমি ধার্মিকতায় স্থিরীকৃত হইবে; তুমি উপদ্রব হইতে দূরে থাকিবে, বস্তুতঃ তুমি ভীত হইবে না; এবং ত্রাস হইতে দূরে থাকিবে, বাস্তবিক তাহা তোমার নিকটে আসিবে না।
সুদের জন্য টাকা ধার দেয় না, নির্দোষের বিরুদ্ধে উৎকোচ লয় না; এই সকল কর্ম যে করে, সে কখনও বিচলিত হইবে না।
যাহার যাহা প্রাপ্য, তাহাকে তাহা দেও। যাঁহাকে কর দিতে হয়, কর দেও; যাঁহাকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দেও; যাঁহাকে ভয় করিতে হয়, ভয় কর; যাঁহাকে সমাদর করিতে হয়, সমাদর কর।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যাহা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পাওয়া যায়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।
ইহাতে ঈশ্বরের সন্তানগণ এবং দিয়াবলের সন্তানগণ প্রকাশ হইয়া পড়ে; যে কেহ ধর্মাচরণ না করে, এবং যে ব্যক্তি আপন ভ্রাতাকে প্রেম না করে, সে ঈশ্বরের লোক নয়।
আর ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ,ও সদ্গুণে জ্ঞান ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য,ও ধৈর্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম যোগাও।
তোমরা আপনাদিগকে ধৌত কর, বিশুদ্ধ কর, আমার নয়নগোচর হইতে তোমাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা দূর কর; কদাচরণ ত্যাগ কর;সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
আর আমাদের লোকেরাও প্রয়োজনীয় উপকারার্থে সৎকার্যে ব্যাপৃত হইতে অভ্যাস করুক, যেন ফলহীন হইয়া না পড়ে।
ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।
আর তদ্দ্বারা প্রভুর যোগ্যরূপে সর্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ কর, সমস্ত সৎকর্মে ফলবান ও ঈশ্বরের তত্ত্বজ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও,
আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।
বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
কেননা মনুষ্যপুত্র আপন দূতগণের সহিত আপন পিতার প্রতাপে আসিবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার ক্রিয়ানুসারে প্রতিফল দিবেন।
কিন্তু বিনা বিশ্বাসে প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়; কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন, এবং যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, তিনি তাহাদের পুরস্কারদাতা।
তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।
ক্লেশাপন্ন পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা, এবং সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে শুচি ও বিমল ধর্ম।
তিনি ত প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কার্যানুযায়ী ফল দিবেন,সৎক্রিয়ায় ধৈর্য সহযোগে যাহারা প্রতাপ, সমাদর ও অক্ষয়তার অন্বেষণ করে, তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিবেন;
কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
এবং যাহা কিছু যাচ্ঞা করি, তাহা তাঁহার নিকটে পাই; কেননা আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি, এবং তাঁহার দৃষ্টিতে যাহা যাহা প্রীতিজনক, তাহা করি?
ভাল মানুষ আপন হৃদয়ের ভাল ভাণ্ডার হইতে ভালই বাহির করে; এবং মন্দ মানুষ মন্দ ভাণ্ডার হইতে মন্দই বাহির করে; যেহেতু হৃদয়ের উপচয় হইতে তাহার মুখ কথা কহে।
সদাপ্রভুর অন্বেষণ কর, যাবৎ তাঁহাকে পাওয়া যায়, তাঁহাকে ডাক, যাবৎ তিনি নিকটে থাকেন;দুষ্ট আপন পথ, অধার্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক; এবং সে সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিয়া আইসুক, তাহাতে তিনি তাহার প্রতি করুণা করিবেন; আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসুক, কেননা তিনি প্রচুররূপে ক্ষমা করিবেন।
কারণ আমাদের সকলকেই খ্রীষ্টের বিচারাসনের সম্মুখে প্রত্যক্ষ হইতে হইবে, যেন সৎকার্য হউক, কি অসৎকার্য হউক, প্রত্যেক জন আপনার কৃত কার্য অনুসারে দেহ দ্বারা উপার্জিত ফল পায়।
অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি-গ্রন্থের সার।
যাহার অঞ্জলি নির্দোষ ও অন্তঃকরণ বিমল, যে অলীকতার দিকে প্রাণ উত্তোলন করে নাই, ছলভাবে শপথ করে নাই।সেই সদাপ্রভু হইতে আশীর্বাদ পাইবে, আপন ত্রাণেশ্বর হইতে ধার্মিকতা পাইবে।
অতএব পাপ তোমাদের মর্ত্যদেহে রাজত্ব্ব না করুক- করিলে তোমরা তাহার অভিলাষ-সমূহের আজ্ঞাবহ হইয়া পড়িবে;
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
আমার জন্য ধার্মিকতার দ্বার সকল খুলিয়া দেও; আমি তাহা দিয়া প্রবেশ করিব, সদাপ্রভুর স্তব করিব।ইস্রায়েল বলুক, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী।এই ত সদাপ্রভুর দ্বার, ইহা দিয়া ধার্মিকগণ প্রবেশ করে।
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাক, তাঁহার পথে চল; তাহাতে তিনি তোমাকে দেশের অধিকার ভোগের জন্য উন্নত করিবেন; দুষ্টগণের উচ্ছেদ হইলে তুমি তাহা দেখিতে পাইবে।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;