তোমার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে চাই। ভাবো, পরম করুণাময় ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে একটা আত্মা দিয়েছেন, যাতে আমরা তাঁর সাথে একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। ঈশ্বরের বাণীতে বলা হয়েছে, আত্মা হলো জীবনের শ্বাস, আমাদের মানবীয় সত্ত্বার একটা অংশ, আর এটাই আমাদের জীবন্ত করে তোলে। পবিত্র বাইবেলে, "তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর মাটি দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করলেন, আর তার নাকে প্রাণবায়ু ফুঁকে দিলেন; আর মানুষ জীবন্ত প্রাণী হয়ে উঠল।" (আদিপুস্তক ২:৭)
ঠিক যেমন একটা গাছ তার শিকড় দিয়ে মাটির সাথে যুক্ত থাকে, তেমনি আমাদের আত্মাকেও ঈশ্বরের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। পুরুষ হোক বা নারী, আমরা সবাই ঈশ্বরের সান্নিধ্যে জীবন যাপনের জন্যই সৃষ্টি হয়েছি, যাতে আমরা প্রকৃত শান্তি আর পূর্ণতা পেতে পারি। ঈশ্বরের অলৌকিক শ্বাস থেকেই আমাদের আত্মার উৎপত্তি। (আদিপুস্তক ২:৭)
আত্মা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে বলে এটা আধ্যাত্মিক এবং জীবন্ত। আবার এটা আমাদের শরীরের মাধ্যমে প্রকাশ পায় বলে এটা প্রাকৃতিকও বটে। কিন্তু আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, আমাদের আত্মাকে ঈশ্বরের সাথে যুক্ত রাখতে হবে, সব অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। পবিত্র জীবন যাপন করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, যাতে এই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পর আমাদের আত্মা স্বর্গরাজ্যে, প্রভু যীশুর কাছে চিরকাল থাকতে পারে। ঈশ্বর চান না আমাদের আত্মা বিনষ্ট হোক।
তাই আসো, আমরা সবাই মিলে পবিত্র আত্মার ফল ধারণ করি, পাপ কাজ থেকে দূরে থাকি। তাহলেই আমরা পরিত্রাণ পাবো এবং খ্রীষ্টের সাথে স্বর্গরাজ্যে আসন লাভ করব।
তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছি; আমার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছে; আমি তাঁহার বাক্যে প্রত্যাশা করিতেছি।
সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।
আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”
কারাগার হইতে আমার প্রাণ উদ্ধার কর, যেন আমি তোমার নামের স্তব করি; ধার্মিকেরা আমাকে বেষ্টন করিবে, কেননা তুমি আমার মঙ্গল করিবে।
সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না।তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান।তিনি আমার প্রাণ ফিরাইয়া আনেন, তিনি নিজ নামের জন্য আমাকে ধর্মপথে গমন করান।
তোমার উদ্দেশে সঙ্গীত করিবার সময়ে আমার ওষ্ঠাধর আনন্দগান করিবে, আমার প্রাণও করিবে, যাহা তুমি মুক্ত করিয়াছ।
বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে? কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্তে কি দিবে?
প্রিয়তম, প্রার্থনা করি, যেমন তোমার প্রাণ কুশলপ্রাপ্ত, সর্ববিষয়ে তুমি তেমনি কুশলপ্রাপ্ত ও সুস্থ থাক।
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
হে ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি সযত্নে তোমার অন্বেষণ করিব; আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসু, আমার মাংস তোমার জন্য লালায়িত, শুষ্ক ও শ্রান্তিকর দেশে, জলবিহীন দেশে।
আমি আপন প্রাণকে শান্ত দান্ত করিয়াছি, সেই শিশুর ন্যায়, যে স্তন্য ছাড়িয়া মাতার সঙ্গে আছে, আমার প্রাণ ত্যক্তস্তন্য শিশুর ন্যায় আমার সঙ্গে আছে।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা পথে পথে দাঁড়াইয়া দেখ; এবং কোন্ কোন্টি চিরন্তন মার্গ, তাহা জিজ্ঞাসা করিয়া বল, উত্তম পথ কোথায়? আর সেই পথে চল, তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে। কিন্তু তাহারা কহিল, আমরা চলিব না।
দেখ, সমস্ত প্রাণ আমার; যেমন পিতার প্রাণ, তদ্রূপ সন্তানের প্রাণও আমার; যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে।
বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ খোয়ায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে?কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্তে কি দিতে পরে?
হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।আমার বিপক্ষেরা আমাকে তিরস্কার করে, যেন অস্থি পর্যন্ত চূর্ণ করে, তাহারা সমস্ত দিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
আমার প্রাণ নীরবে ঈশ্বরের অপেক্ষা করিতেছে, তাঁহা হইতেই আমার পরিত্রাণ।তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।ঈশ্বর একবার বলিয়াছেন, দুই বার আমি এই কথা শুনিয়াছি; পরাক্রম ঈশ্বরেরই।আর, হে প্রভু, দয়া তোমার, কারণ তুমিই প্রত্যেককে তাহার কর্মানুরূপ ফল দিয়া থাক।কেবল তিনিই মম শৈল ও মম পরিত্রাণ; তিনি মম উচ্চদুর্গ, আমি অতিশয় বিচলিত হইব না।
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকার ধূলিতে আদমকে (অর্থাৎ মনুষ্যকে) নির্মাণ করিলেন, এবং তাহার নাসিকায় ফুঁ দিয়া প্রাণবায়ু প্রবেশ করাইলেন; তাহাতে মনুষ্য সজীব প্রাণী হইল।
যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে; পিতার অপরাধ পুত্র বহন করিবে না; ও পুত্রের অপরাধ পিতা বহন করিবে না; ধার্মিকের ধার্মিকতা তাহার উপরে বর্তিবে, ও দুষ্টের দুষ্টতা তাহার উপরে বর্তিবে।
তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন, তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে, তখন তিনি আপন বংশ দেখিবেন, দীর্ঘায়ু হইবেন, এবং তাঁহার হস্তে সদাপ্রভুর মনোরথ সিদ্ধ হইবে;
পরে তিনি যখন পঞ্চম মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি দেখিলাম, বেদির নিচে সেই লোকদের প্রাণ আছে, যাঁহারা ঈশ্বরের বাক্য প্রযুক্ত, এবং তাঁহাদের কাছে যে সাক্ষ্য ছিল, তৎপ্রযুক্ত নিহত হইয়াছিলেন।
কিন্তু সেখানে থাকিয়া যদি তোমরা আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ কর, তবে তাঁহার উদ্দেশ পাইবে; সমস্ত হৃদয়ের সহিত ও সমস্ত প্রাণের সহিত তাঁহার অন্বেষণ করিলেই পাইবে।
আর ধূলি পূর্ববৎ মৃত্তিকাতে প্রতিগমন করিবে; এবং আত্মা যাঁহার দান, সেই ঈশ্বরের কাছে প্রতিগমন করিবে।
কিন্তু ঈশ্বর তাহাকে কহিলেন, হে নির্বোধ, অদ্য রাত্রিতেই তোমার প্রাণ তোমা হইতে দাবি করিয়া লওয়া যাইবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করিলে, এই সকল কাহার হইবে?
প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
অতএব তোমরা সকল অশুচিতা এবং দুষ্টতার উচ্ছ্বাস ফেলিয়া দিয়া, মৃদুভাবে সেই রোপিত বাক্য গ্রহণ কর, যাহা তোমাদের প্রাণের পরিত্রাণ সাধন করিতে পারে।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
সদাপ্রভু তোমাকে সমস্ত অমঙ্গল হইতে রক্ষা করিবেন; তিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করিবেন।সদাপ্রভু তোমার বাহিরে যাওয়া ও তোমার ভিতরে আসা রক্ষা করিবেন, এখন অবধি চিরকাল পর্যন্ত।
রাত্রিকালে আমি প্রাণের সহিত তোমার আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি; হাঁ, সযত্নে আমার অন্তরস্থ আত্মা দ্বারা তোমার অন্বেষণ করিব, কেননা পৃথিবীতে তোমার শাসন-কলাপ প্রচলিত হইলে, জগন্নিবাসীরা ধার্মিকতা শিক্ষা করিবে।
আর শান্তির ঈশ্বর আপনি তোমাদিগকে সর্বতোভাবে পবিত্র করুন; এবং তোমাদের অবিকল আত্মা, প্রাণ ও দেহ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমন কালে অনিন্দনীয়রূপে রক্ষিত হউক।
পরে আমি কয়েকটি সিংহাসন দেখিলাম; সেইগুলির উপরে কেহ কেহ বসিলেন, তাঁহাদিগকে বিচার করিবার ভার দত্ত হইল। আর যীশুর সাক্ষ্য ও ঈশ্বরের বাক্যের নিমিত্ত যাহারা কুঠার দ্বারা হত হইয়াছিল, এবং যাহারা সেই পশুকে ও তাহার প্রতিমাকে ভজনা করে নাই, আর আপন আপন ললাটে ও হস্তে তাহার ছাপ ধারণ করে নাই, তাহাদের প্রাণও দেখিলাম; তাহারা জীবিত হইয়া সহস্র বৎসর খ্রীষ্টের সহিত রাজত্ব করিল।
কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই তাম্বুরূপ পার্থিব বাটী ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ঈশ্বরদত্ত এক গাঁথনি আমাদের আছে, সেই বাটী অহস্তনির্মিত, অনন্তকালস্থায়ী ও স্বর্গে স্থিত।
কেননা আমার পক্ষে জীবন খ্রীষ্ট, এবং মরণ লাভ।কিন্তু মাংসে যে জীবন, তাহাই যদি আমার কর্মের ফল হয়, তবে কোন্টি মনোনীত করিব, তাহা বলিতে পারি না।অথচ আমি দুইয়েতে সঙ্কুচিত হইতেছি; আমার বাসনা এই যে, প্রস্থান করিয়া খ্রীষ্টের সঙ্গে থাকি,