তোমার স্রষ্টা, তোমার রক্ষাকর্তা, তোমার পালনকর্তা হলেন ঈশ্বর। তিনি সর্বশক্তিমান, দয়ালু, ক্ষমাশীল, মহান। তাঁর বানী পড়লে তুমি তাঁকে জানতে পারবে। তোমার জীবনে তাঁর আগ্রহ আছে, তিনি তোমাকে ভালোবাসেন এবং তোমার জন্য একটা সুন্দর পরিকল্পনা করে রেখেছেন। ঘটনার আগেই ঈশ্বর সবকিছু জানেন। তাঁর ভালোবাসা অফুরন্ত। “কারণ আমিই তোমার ঈশ্বর, আমি তোমার ডান হাত ধরে আছি, আমি তোমাকে বলছি, ভয় কোরো না, আমি তোমাকে সাহায্য করব” (ইশাইয়া ৪১:১৩)। ঈশ্বর সবসময় আমাদের সাথেই আছেন, আমাদের শুধু তাঁর কাছে যেতে হবে। তিনিই সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা, যিনি তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পৃথিবীকে উদ্ধার করেছেন।
হা, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ, তুমিই আপন মহাপরাক্রম ও বিস্তারিত বাহু দ্বারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছ; তোমার অসাধ্য কিছুই নাই।
যীশু তাঁহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, তাহা মনুষ্যের অসাধ্য বটে, কিন্তু ঈশ্বরের সকলই সাধ্য।
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
হে সদাপ্রভু, তোমার দক্ষিণ হস্ত পরাক্রমে গৌরবান্বিত; হে সদাপ্রভু, তোমার দক্ষিণ হস্ত শত্রু চূর্ণকারী।
হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও প্রতাপ তোমারই; কেননা স্বর্গে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সকলই তোমার; হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই, এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত।তোমা হইতে ধন ও গৌরব আইসে, এবং তুমি সকলের উপরে কর্তৃত্ব করিতেছ; তোমারই হস্তে বল ও পরাক্রম, এবং তোমারই হস্তে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দিবার অধিকার।
পরে আমি বৃহৎ লোকারণ্যের রব ও বহুজলের কল্লোল ও প্রবল মেঘগর্জনের ন্যায় এই বাণী শুনিলাম, হাল্লিলূয়া, কেননা আমাদের ঈশ্বর প্রভু, যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করিলেন।
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে ধারণকর্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্ধ্বলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
দেখ, এই সকল তাহার মার্গের প্রান্ত; তাঁহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায়; কিন্তু তাঁহার পরাক্রমের গর্জন কে বুঝিতে পারে?
আর পৃথিবী-নিবাসিগণ সকলে অবস্তুবৎ গণ্য; তিনি স্বর্গীয় বাহিনীর ও পৃথিবী-নিবাসীদের মধ্যে আপন ইচ্ছানুসারে কার্য করেন; এবং এমন কেহ নাই যে, তাঁহার হস্ত থামাইয়া দিবে, কিম্বা তাঁহাকে বলিবে, তুমি কি করিতেছ?
আমি দীপ্তির রচনাকারী ও অন্ধকারের সৃষ্টিকর্তা, আমি শান্তির রচনাকারী ও অনিষ্টের সৃষ্টিকর্তা; আমি সদাপ্রভু এই সকলের সাধনকর্তা।
ঈশ্বর মোশিকে কহিলেন, “আমি যে আছি, সেই আছি;” আরও কহিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে এইরূপ বলিও, “আছি” তোমাদের নিকটে আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন।
যেহেতু সকলই তাঁহা হইতে ও তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁহারই গৌরব হউক। আমেন।
হে সদাপ্রভু, দেবগণের মধ্যে কে তোমার তুল্য? কে তোমার ন্যায় পবিত্রতায় আদরণীয়, প্রশংসায় ভয়ার্হ, আশ্চর্য ক্রিয়াকারী?
আর তিনি আমাকে বলিয়াছেন, আমার অনুগ্রহ তোমার পক্ষে যথেষ্ট; কেননা আমার শক্তি দুর্বলতায় সিদ্ধি পায়। অতএব আমি বরং অতিশয় আনন্দের সহিত নানা দুর্বলতায় শ্লাঘা করিব, যেন খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপরে অবস্থিতি করে।
তিনি তারাগণের সংখ্যা গণনা করেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে ডাকেন।আমাদের প্রভু মহান ও অতিশয় শক্তিমান; তাঁহার বুদ্ধির ইয়ত্তা নাই।
তোমার মুক্তিদাতা এবং গর্ভাবধি তোমার গঠনকারী সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু সর্ববস্তু-নির্মাতা, আমি একাকী আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছি, আমি ভূতল বিছাইয়াছি; আমার সঙ্গী কে?
কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই ঈশ্বরগণের ঈশ্বর ও প্রভুদের প্রভু, তিনিই মহান, বীর্যবান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর; তিনি কাহারও মুখাপেক্ষা করেন না ও উৎকোচ গ্রহণ করেন না।
যাহা সেই পরমধন্য ও একমাত্র সম্রাট, রাজত্বকারীদের রাজা ও প্রভুত্বকারীদের প্রভু, উপযুক্ত সময়-সমূহে প্রদর্শন করিবেন;যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, অগম্য দীপ্তিনিবাসী, যাঁহাকে মনুষ্যদের মধ্যে কেহ কখনও দেখিতে পায় নাই, দেখিতে পারেও না; তাঁহারই সমাদর ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হউক। আমেন।
[এই] দিবস হইতেও আমিই তিনি, এবং আমার হস্ত হইতে উদ্ধারকারী কেহ নাই; আমি কার্য করিব, কে তাহা অন্যথা করিবে?
দানিয়েল কহিলেন, ঈশ্বরের নাম যুগে যুগে চিরকাল ধন্য হউক, কেননা জ্ঞান ও পরাক্রম তাঁহারই।তিনিই কাল ও ঋতু পরিবর্তন করেন; রাজাদিগকে পদভ্রষ্ট করেন, ও রাজাদিগকে পদস্থ করেন; তিনি জ্ঞানীদিগকে জ্ঞান দেন, বিবেচকদিগকে বিবেচনা দেন।তিনিই গভীর ও গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন, অন্ধকারে যাহা আছে, তাহা তিনি জানেন, এবং তাঁহার কাছে জ্যোতি বাস করেন।
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।
আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়; আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; তুমি আমাকে না জানিলেও আমি তোমার কটি বন্ধ করিব;যেন সূর্যোদয়ের স্থানাবধি পশ্চিম দিক্ পর্যন্ত লোকে জানিতে পারে যে, আমি ব্যতীত অন্য নাই; আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।
হে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর! হে যাঃ, তোমার তুল্য বিক্রমী কে? আর তোমার বিশ্বস্ততা তোমার চারিদিকে বিদ্যমান।
স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য যাহা কিছু আছে, সিংহাসন হউক, কি প্রভুত্ব হউক, কি আধিপত্য হউক, কি কর্তৃত্ব হউক, সকলই তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে;
তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; তন্নিবাসিগণ ফড়িঙ্গস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের ন্যায় আকাশমণ্ডল বিস্তার করেন, বাসতাম্বুর ন্যায় তাহা টাঙ্গাইয়া দেন।
সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ, ও মম রক্ষাকর্তা, মম ঈশ্বর, মম দৃঢ় শৈল, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণশৃঙ্গ, মম উচ্চদুর্গ।
তিনি নিজ পরাক্রমে অনন্তকাল কর্তৃত্ব করেন; তাঁহার চক্ষু জাতিগণকে নিরীক্ষণ করিতেছে; বিদ্রোহীরা আপনাদিগকে উচ্চ না করুক। [সেলা]
সর্বশক্তিমান! তিনি আমাদের বোধের অগম্য; তিনি পরাক্রমে মহান, তিনি ন্যায়বিচার ও প্রচুর ধর্মগুণ বিপরীত করেন না।
সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও পরাক্রমে মহান, এবং তিনি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন; ঘূর্ণবায়ু ও ঝড় সদাপ্রভুর পথ, মেঘ তাঁহার পদধূলি।
কিন্তু যাহারা আমাকে প্রেম করে ও আমার আজ্ঞা সকল পালন করে, আমি তাহাদের সহস্র [পুরুষ] পর্যন্ত দয়া করি।
সদাপ্রভু ঈশ্বর, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করিয়াছেন ও তাহা বিস্তার করিয়াছেন, যিনি ভূতল ও তদুৎপন্ন সমস্তই বিছাইয়াছেন, যিনি তন্নিবাসী সকলকে নিশ্বাস দেন, ও তথাকার সমস্ত জঙ্গমকে জীবাত্মা দেন, তিনি এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু ধর্মশীলতায় তোমাকে আহ্বান করিয়াছি,
আমি শেষের বিষয় আদি অবধি জ্ঞাত করি, যাহা সাধিত হয় নাই, তাহা পূর্বে জানাই, আর বলি, আমার মন্ত্রণা স্থির থাকিবে, আমি আপনার সমস্ত মনোরথ সিদ্ধ করিব।
সদাপ্রভু যাহা ইচ্ছা করিয়াছেন, তাহাই করিয়াছেন, আকাশে, পৃথিবীতে, সমুদ্রসমূহে ও সমস্ত জলধি-মধ্যে করিয়াছেন।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নিচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদিগকে উন্নত করেন;
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,
‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলই সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’
কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে- ‘আশ্চর্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ’।
তখন তিনি উত্তর করিয়া আমাকে কহিলেন, এ সরুব্বাবিলের প্রতি সদাপ্রভুর বাক্য,‘পরাক্রম দ্বারা নয়, বল দ্বারাও নয়, কিন্তু আমার আত্মা দ্বারা,’ ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; তিনি মহিমাতে সজ্জিত; সদাপ্রভু সজ্জিত, তিনি পরাক্রমে বদ্ধকটি; আর জগৎও অটল, তাহা বিচলিত হইবে না।
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।ঐ যে সমুদ্র, বৃহৎ ও চারিদিকে বিস্তীর্ণ, তথায় জঙ্গমেরা থাকে, তাহারা অগণ্য; ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড কত জীবজন্তু থাকে।
কারণ সদাপ্রভু কহেন, আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয়।কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
কারণ সদাপ্রভু ব্যতীত আর ঈশ্বর কে আছে? আমাদের ঈশ্বর ব্যতীত আর শৈল কে আছে?ঈশ্বর আমার দৃঢ় দুর্গ; তিনি সিদ্ধকে আপন পথে চালান;
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
দেখ, প্রভু সদাপ্রভু সপরাক্রমে আসিতেছেন, তাঁহার বাহু তাঁহার জন্য কর্তৃত্ব করে; দেখ, তাঁহার সঙ্গে তাঁহার [দাতব্য] বেতন আছে, তাঁহার অগ্রে তাঁহার [দাতব্য] পুরস্কার আছে।
আমি অব্রাহামকে, ইস্হাককে ও যাকোবকে ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বর’ বলিয়া দর্শন দিতাম, কিন্তু আমার যিহোবা [সদাপ্রভু] নাম লইয়া তাহাদিগকে আমার পরিচয় দিতাম না।
তুমি তাহাদের হইতে ত্রাস যুক্ত হইও না, কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যবর্তী, তিনি মহান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর।
কোন কর্ম কি সদাপ্রভুর অসাধ্য? নিরূপিত সময়ে এই ঋতু আবার উপস্থিত হইলে আমি তোমার কাছে ফিরিয়া আসিব, আর সারার পুত্র হইবে।
আমি তোমার অঙ্গুলি-নির্মিত আকাশ-মণ্ডল, তোমার স্থাপিত চন্দ্র ও তারকামালা নিরীক্ষণ করি,[বলি,] মর্ত্য কি যে, তুমি তাহাকে স্মরণ কর? মনুষ্য-সন্তান বা কি যে, তাহার তত্ত্বাবধান কর?
কিন্তু বাস্তবিক আমি এই জন্যই তোমাকে স্থাপন করিয়াছি, যেন আমার প্রভাব তোমাকে দেখাই, ও সমস্ত পৃথিবীতে আমার নাম কীর্তিত হয়।
সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনি ব্যতীত আর কেহ নাই, ইহা যেন তুমি জ্ঞাত হও, তন্নিমিত্তে ঐ সকল তোমাকেই প্রদর্শিত হইল।
জাগ, জাগ, বল পরিধান কর, হে সদাপ্রভুর বাহু; জাগ, যেমন পূর্বকালে, সেকালের পুরুষে পুরুষে জাগিয়াছিলে, তুমিই কি রহবকে কুচি কুচি করিয়া কাট নাই, প্রকাণ্ড জলচরকে বিদ্ধ কর নাই?
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন। নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।
কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করিতে মনুষ্যপুত্রের ক্ষমতা আছে, ইহা যেন তোমরা জানিতে পার, এই জন্য তিনি সেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে বলিলেন, তোমাকে বলিতেছি, উঠ। তোমার শয্যা তুলিয়া লইয়া তোমার ঘরে যাও।
তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সেই বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।
পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হইয়াছে; আমি আল্ফা এবং ওমিগা, আদি এবং অন্ত; যে পিপাসিত, আমি তাহাকে জীবন-জলের উনুই হইতে বিনামূল্যে জল দিব।
কিম্বা কাদার উপরে কুম্ভকারের কি এমন অধিকার নাই যে, একই মৃৎপিণ্ড হইতে একটি সমাদরের পাত্র, আর একটি অনাদরের পাত্র গড়িতে পারে?
আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হস্তের রচনা।সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; সেই সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে,তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় সেই সকল জড়াইবে, বস্ত্রের ন্যায় জড়াইবে, আর সেই সমস্তের পরিবর্তন হইবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ, এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।”
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি অতি মহান; তুমি প্রভা ও প্রতাপ পরিহিত।তিনি তলভূমিতে প্রবাহ প্রেরণ করিয়া থাকেন; সেই সকল পর্বতগণের মধ্যে ভ্রমণ করে।সেই সকল মাঠের সমস্ত পশুকে জল দেয়; বনগর্দভেরা তৃষ্ণা নিবারণ করে।সেই সকলের তীরে আকাশের পক্ষিগণ বাসা করে, ডালের মধ্য হইতে নিজ নিজ রব শুনায়।তিনি আপন কক্ষ হইতে পর্বতে জল সেচন করেন; তোমার কার্যের ফলে পৃথিবী পরিতৃপ্ত হয়।তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।পরিতৃপ্ত হইয়াছে সদাপ্রভুর বৃক্ষ সকল, লিবানোনের সেই এরস বৃক্ষরাজি, যাহা তিনি রোপণ করিয়াছেন।তাহার মধ্যে ক্ষুদ্র পক্ষিগণ বাসা করে; দেবদারু বৃক্ষ হাড়গিলার বাটী।উচ্চ পর্বত সকল বনচ্ছাগের আবাস, শৈল সকল শাফন পশুর আশ্রয়।তিনি ঋতুর জন্য চন্দ্র নির্মাণ করিয়াছেন, সূর্য আপন অস্তগমনের সময় জানে।তুমি বস্ত্রের ন্যায় দীপ্তি পরিধান করিয়াছ, আকাশমণ্ডলকে চন্দ্রাতপের ন্যায় বিস্তার করিয়াছ।
তাঁহাতেই করা যাইবে, যাঁহাতে আমরা ঈশ্বরের অধিকারস্বরূপও হইয়াছি। বাস্তবিক যিনি সকলই আপন ইচ্ছার মন্ত্রণানুসারে সাধন করেন, তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আমরা পূর্বে নিরূপিত হইয়াছিলাম;
তোমার প্রভার গৌরবযুক্ত প্রতাপ, ও তোমার আশ্চর্য ক্রিয়া সকল আমি ধ্যান করিব।আর লোকে তোমার ভয়াবহ কর্ম সকলের বিক্রমের কথা বলিবে, এবং আমি তোমার মহিমার বর্ণনা করিব।
ঈশ্বর, সদাপ্রভু ঈশ্বর কথা কহিয়াছেন, সূর্যের উদয়স্থান অবধি অস্তস্থান পর্যন্ত তিনি পৃথিবীকে আহ্বান করিয়াছেন।
যিনি সমুদ্রে পথ ও প্রচণ্ড জলরাশিতে মার্গ করিয়া দেন,যিনি রথ, অশ্ব, সৈন্য ও বীরগণকে বাহিরে আনয়ন করেন, তাহারা এককালে নিদ্রাগত হয়, আর উঠিতে পারিবে না, তাহারা পাটের ন্যায় মিট্মিট্ করিতে করিতে নিবিয়া যায়,
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
যিনি যাকোবের অধিকার, তিনি সেইরূপ নহেন; কারণ তিনি সমস্ত বস্তুর গঠনকারী, এবং [ইস্রায়েল] তাঁহার অধিকাররূপ বংশ; তাঁহার নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু!
চল, ঈশ্বরের ক্রিয়া সকল দেখ; মনুষ্য-সন্তানদের বিষয়ে তিনি স্বকর্মে ভয়াবহ।তিনি সমুদ্রকে শুষ্কভূমিতে পরিণত করিলেন; লোকেরা নদীর মধ্য দিয়া পদব্রজে গমন করিল, তাঁহাতে সেই স্থানে আমরা আনন্দ করিলাম।
আমি পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছি, ও পৃথিবীর উপরে মনুষ্যের সৃষ্টি করিয়াছি; আমি নিজ হস্তে আকাশমণ্ডল বিস্তীর্ণ করিয়াছি, এবং আকাশের সমস্ত বাহিনীকে আজ্ঞা দিয়া আসিতেছি।
আমি আল্ফা এবং ওমিগা, আদি এবং অন্ত, ইহা প্রভু ঈশ্বর কহিতেছেন, যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসিতেছেন, যিনি সর্বশক্তিমান।
তাহারা তোমার রাজ্যের গৌরব বর্ণনা করে, তোমার পরাক্রমের কথা বলে,যেন মনুষ্য-সন্তানগণকে জানাইতে পারে তাঁহার পরাক্রমের কার্য সকল, এবং তাঁহার রাজ্যের প্রতাপের গৌরব।
আর তোমাদের বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আমি যে সেই থাকিব, পক্বকেশ হওয়া পর্যন্ত আমিই তুলিয়া বহন করিব; আমিই নির্মাণ করিয়াছি, আমিই বহন করিব; হাঁ, আমিই তুলিয়া বহন করিব, রক্ষা করিব।
তখন মোশি তাঁহাকে কহিলেন, আমি নগর হইতে বাহিরে গিয়াই সদাপ্রভুর দিকে অঞ্জলি বিস্তার করিব, তাহাতে মেঘগর্জন নিবৃত্ত হইবে, ও শিলাবৃষ্টি আর হইবে না, যেন আপনি জানিতে পারেন যে, পৃথিবী সদাপ্রভুরই।
মনুষ্য যাহা সহ্য করিতে পারে, তাহা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি ঘটে নাই; আর ঈশ্বর বিশ্বাস্য; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা ঘটিতে দিবেন না, বরং পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করিয়া দিবেন, যেন তোমরা সহ্য করিতে পার।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
হে ঈশ্বর, তুমি তোমার ধর্মধামে ভয়াবহ; ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তিনিই আপন প্রজাদিগকে পরাক্রম ও শক্তি দেন। ধন্য ঈশ্বর।
কে সদাপ্রভুর আত্মার পরিমাণ করিয়াছে? কিম্বা তাঁহার মন্ত্রী হইয়া তাঁহাকে শিক্ষা দিয়াছে?তিনি কাহার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করিয়াছেন? কে তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়াছে, ও বিচারপথ দেখাইয়াছে, তাঁহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়াছে, ও বিবেচনার মার্গ জানাইয়াছে?
তুমি সহস্র [পুরুষ] পর্যন্ত দয়াকারী; আর পিতৃপুরুষদের অপরাধের প্রতিফল তাহাদের পশ্চাদ্বর্তী সন্তানদের ক্রোড়ে দিয়া থাক; তুমি মহান ও পরাক্রান্ত ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু তোমার নাম।তুমি মন্ত্রণায় মহান ও ক্রিয়ায় শক্তিমান; প্রত্যেক জনকে আপন আপন পথানুসারে ও আপন আপন ক্রিয়ানুসারে সমূচিত ফল দিবার জন্য মনুষ্য-সন্তানদের সমস্ত পথের প্রতি তোমার চক্ষু উন্মীলিত রহিয়াছে।
কেননা সদাপ্রভু মহান ঈশ্বর, তিনি সমুদয় দেবতার উপরে মহান রাজা।পৃথিবীর গভীর স্থান সকল তাঁহার হস্তগত, পর্বতগণের চূড়া সকলও তাঁহারই।সমুদ্র তাঁহার, তিনিই তাহা নির্মাণ করিয়াছেন, তাঁহারই হস্ত শুষ্ক ভূমি গঠন করিয়াছে।
আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; আমি যতকাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।তাঁহার কাছে আমার ধ্যান মধুর হউক; আমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করিব।
যদি হয়, আমরা যাঁহার সেবা করি, আমাদের সেই ঈশ্বর আমাদিগকে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড হইতে উদ্ধার করিতে সমর্থ আছেন, আর, হে রাজন্, তিনি আপনার হস্ত হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিবেন;আর যদি নাও হয়, তবু হে রাজন্ আপনি জানিবেন, আমরা আপনার দেবগণের সেবা করিব না, এবং আপনার স্থাপিত স্বর্ণ-প্রতিমাকে প্রণাম করিব না।
আর মোশি লোকদিগকে কহিলেন, এই দিন স্মরণে রাখিও, যে দিনে তোমরা মিসর হইতে, দাসগৃহ হইতে, বহির্গত হইলে, কারণ সদাপ্রভু পরাক্রান্ত হস্ত দ্বারা তথা হইতে তোমাদিগকে বাহির করিয়া আনিলেন; কোন তাড়ীযুক্ত ভক্ষ্য খাওয়া হইবে না।
কেননা আকাশমণ্ডলের সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভু, স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি এই কথা কহেন, আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।
হে যিরূশালেম, সদাপ্রভুর গুণকীর্তন কর; হে সিয়োন, তোমার ঈশ্বরের প্রশংসা কর।কেননা তিনি তোমার দ্বারের অর্গল সকল দৃঢ় করিয়া দিয়াছেন, তিনি তোমার মধ্যে তোমার সন্তানগণকে আশীর্বাদ করিয়াছেন।
ঈশ্বরের গৌরব করিলেন এবং নিশ্চয় জানিলেন, ঈশ্বর যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা সফল করিতে সমর্থও আছেন।
স্ত্রীলোক কি আপন স্তন্যপায়ী শিশুকে ভুলিয়া যাইতে পারে? আপন গর্ভজাত বালকের প্রতি কি স্নেহ করিবে না? বরং তাহারা ভুলিয়া যাইতে পারে, তথাপি আমি তোমাকে ভুলিয়া যাইব না।দেখ, আমি আপন হস্তের তালুতে তোমার আকৃতি লিখিয়াছি, তোমার প্রাচীর সর্বদা আমার সম্মুখে আছে।
কেবলমাত্র তুমিই সদাপ্রভু; তুমি স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং তাহার সমস্ত বাহিনী, পৃথিবী ও তথাকার সমস্ত এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ, আর তুমি তাহাদের সকলের স্থিতি করিতেছ, এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার কাছে প্রণিপাত করে।
সদাপ্রভু আমার বল ও গান; আর তিনি আমার পরিত্রাণ হইয়াছেন।ধার্মিকগণের তাম্বুতে আনন্দের ও পরিত্রাণের ধ্বনি হইতেছে; সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত বিক্রমসাধক।সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত উন্নত, সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত বিক্রমসাধক।
কিন্তু এখন, হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের পিতা; আমরা মৃত্তিকা, আর তুমি আমাদের কুম্ভকার; আমরা সকলে তোমার হস্তকৃত বস্তু।
হে ঈশ্বর, বৃদ্ধ বয়স ও পক্বকেশের কাল পর্যন্তও আমাকে পরিত্যাগ করিও না, যাবৎ আমি এই বর্তমান লোকদিগকে তোমার বাহুবল, ভাবী লোক সকলকে তোমার পরাক্রম, জ্ঞাত না করি।
উনি কে, যিনি ইদোম হইতে আসিতেছেন, রক্তরঞ্জিত বস্ত্র পরিয়া বস্রা হইতে আসিতেছেন? উনি কে, যিনি আপন পরিচ্ছদে প্রতাপান্বিত, আপন শক্তির বাহুল্যে চলিয়া আসিতেছেন? ‘এ আমি, যিনি ধর্মশীলতায় কথা বলেন, ও যিনি পরিত্রাণ করণে বলবান।’
তখন তিনি কহিলেন, দেখ, আমি এক নিয়ম করি; সমস্ত পৃথিবীতে ও যাবতীয় জাতির মধ্যে যাদৃশ কখনও করা হয় নাই, এমন আশ্চর্য আশ্চর্য কার্য আমি তোমার সমস্ত লোকের সাক্ষাতে করিব; তাহাতে যে সকল লোকের মধ্যে তুমি আছ, তাহারা সদাপ্রভুর কার্য দেখিবে, কেননা তোমার নিকটে যাহা করিব, তাহা ভয়ঙ্কর।
বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
অনাদি ঈশ্বর তোমার বাসস্থান, নিম্নে অনন্তস্থায়ী বাহুযুগল; তিনি তোমার সম্মুখ হইতে শত্রুকে দূর করিলেন, আর বলিলেন, বিনাশ কর।
আর কহিলেন, হে আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গস্থ ঈশ্বর নহ? তুমি কি জাতিগণের সমস্ত রাজ্যের কর্তা নহ? আর শক্তি ও পরাক্রম তোমারই হস্তে, তোমার বিপক্ষে দাঁড়াইতে কাহারও সাধ্য নাই।
তিনিই কাল ও ঋতু পরিবর্তন করেন; রাজাদিগকে পদভ্রষ্ট করেন, ও রাজাদিগকে পদস্থ করেন; তিনি জ্ঞানীদিগকে জ্ঞান দেন, বিবেচকদিগকে বিবেচনা দেন।
আমি আসিলে কেহ উপস্থিত হইল না কেন? আমি ডাকিলে কেহ উত্তর দিল না কেন? আমার হস্ত কি এমন খাটো হইয়াছে যে, আমি মুক্ত করিতে পারি না? আমার কি উদ্ধার করিবার ক্ষমতা নাই? দেখ, আমি ধমকে সমুদ্র শুষ্ক করি, নদনদী প্রান্তরে পরিণত করি, তথাকার মৎস্যগণ জলাভাবে দুর্গন্ধযুক্ত হয়, পিপাসায় মারা পড়ে।
আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্! হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।”