তোমার জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতেই ঈশ্বরের বাক্য সঙ্গে রাখার জন্য বাইবেলের পদ মুখস্থ করা খুবই ভালো একটা উপায়। ঈশ্বরের বাক্য যেন সবসময় হাতের কাছে থাকে, সেজন্য বাইবেলের বিভিন্ন পদ মুখস্থ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ধরো, তুমি কোনো বন্ধুকে সাহায্য করার সময় ঈশ্বরের প্রেমের কোনো পদ মনে করে বলতে পারো, অথবা কোথাও অপেক্ষা করার সময় ধৈর্য্য সম্পর্কে কোনো পদ মনে পড়লে মনটা অনেক শান্ত থাকে। প্রতিদিন একটু সময় নিয়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করলে দেখবে প্রয়োজনের সময় ঈশ্বরের বাক্য মনে করতে তোমার আর কোনো কষ্টই হবে না। যিহোশূয় ১:৮ পদে বলা হয়েছে, “এই ব্যবস্থাপুস্তকটি তোমার মুখ থেকে কখনো দূরে যেতে দেবে না। দিনে রাতে এটি নিয়ে ধ্যান করবে, যাতে এতে লেখা সমস্ত কিছু মেনে চলতে পারো। তাহলে তুমি সমৃদ্ধি লাভ করবে এবং তোমার সব কাজেই সফল হবে।”
কেননা প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
জ্ঞানবানকে [শিক্ষা] দেও, সে আরও জ্ঞানবান হইবে; ধার্মিককে জ্ঞান দেও, তাহার পাণ্ডিত্য বৃদ্ধি পাইবে।
কারণ পূর্বকালে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছিল, সেই সকল আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছিল, যেন শাস্ত্রমূলক ধৈর্য ও সান্ত্বনা দ্বারা আমরা প্রত্যাশা প্রাপ্ত হই।
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।
আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
কেননা ঈশ্বরের যে মূর্খতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞানযুক্ত, এবং ঈশ্বরের যে দুর্বলতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক সবল।
‘সে কাহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিবে? কাহাকে বার্তা বুঝাইয়া দিবে? কি তাহাদিগকে, যাহারা দুধ ছাড়িয়াছে ও স্তন্যপানে নিবৃত্ত হইয়াছে?
তোমরা আমার কাছে যাহা যাহা শিখিয়াছ, গ্রহণ করিয়াছ, শুনিয়াছ ও দেখিয়াছ, সেই সকল কর; তাহাতে শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিবেন।
বস্তুতঃ এতকালের মধ্যে শিক্ষক হওয়া তোমাদের উচিত ছিল, কিন্তু কেহ যে তোমাদিগকে ঈশ্বরীয় বচনকলাপের আদিম কথার অক্ষরমালা শিক্ষা দেয়, ইহা তোমাদের পক্ষে পুনর্বার আবশ্যক হইয়াছে; এবং তোমরা এমন লোক হইয়া পড়িয়াছ, যাহাদের দুগ্ধের প্রয়োজন, কঠিন খাদ্যের নয়।কেননা যে দুগ্ধপোষ্য, সে ত ধার্মিকতার বাক্যে অভ্যস্ত নয়; কারণ সে শিশু।কিন্তু কঠিন খাদ্য সেই সিদ্ধ বয়স্কদেরই জন্য, যাহাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাস প্রযুক্ত সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু হইয়াছে।
কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক। আমেন।
আর তদ্দ্বারা প্রভুর যোগ্যরূপে সর্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ কর, সমস্ত সৎকর্মে ফলবান ও ঈশ্বরের তত্ত্বজ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও,
তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র্র্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।তিনি ক্লান্ত ব্যক্তিকে শক্তি দেন, ও শক্তিহীন লোকের বল বৃদ্ধি করেন।একজনের রব, সে ঘোষণা করিতেছে, ‘তোমরা প্রান্তরে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর, মরুভূমিতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য রাজপথ সরল কর।তরুণেরা ক্লান্ত ও শ্রান্ত হয়, যুবকেরা স্খলিত, স্খলিত হয়;কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
অতএব যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন করে, তাহাকে এমন একজন বুদ্ধিমান লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে পাষাণের উপরে তাহার গৃহ নির্মাণ করিল।পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে লাগিল, তথাপি তাহা পড়িল না, কারণ পাষাণের উপরে তাহার ভিত্তিমূল স্থাপিত হইয়াছিল।
আমি মনে মনে কহিলাম, ইহা মনুষ্য-সন্তানদের নিমিত্ত হইতেছে, যেন ঈশ্বর তাহাদের পরীক্ষা করেন, আর যেন তাহারা দেখিতে পায় যে, তাহারা নিজেই পশুবৎ।কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার।
সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।সদাপ্রভুর বিধি সকল যথার্থ, চিত্তের আনন্দবর্ধক; সদাপ্রভুর আজ্ঞা নির্মল, চক্ষুর দীপ্তিজনক।
আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে আপনার অনন্ত প্রতাপ প্রদানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, তিনি নিজে তোমাদের ক্ষণিক দুঃখভোগের পর তোমাদিগকে পরিপক্ব, সুস্থির, সবল, বদ্ধমূল করিবেন।
সদাপ্রভু, তোমার পথ সকল আমাকে জ্ঞাত কর; তোমার পন্থা সকল আমাকে বুঝাইয়া দেও।তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।
সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
ধার্মিকের মুখ জ্ঞানের কথা বলে, তাহার জিহ্বা ন্যায়বিচারের কথা কহে।তাহার ঈশ্বরের ব্যবস্থা তাহার অন্তরে আছে; তাহার পাদবিক্ষেপ টলিবে না।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
যেন আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর, প্রতাপের পিতা, আপনার তত্ত্বজ্ঞানে জ্ঞানের ও প্রত্যাদেশের আত্মা তোমাদিগকে দেন;
কিন্তু যে জ্ঞান উপর হইতে আইসে, তাহা প্রথমে শুচি, পরে শান্তিপ্রিয়, ক্ষান্ত, সহজে অনুনীত, দয়া ও উত্তম উত্তম ফলে পরিপূর্ণ, ভেদাভেদবিহীন ও নিষ্কপট।
যেন তোমরা শিথিল না হও, কিন্তু যাহারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতা দ্বারা প্রতিজ্ঞা সমূহের দায়াধিকারী, তাহাদের অনুকারী হও।
আর, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝিতেছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমুদয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।
আমরা বিতর্ক সকল এবং ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত উচ্চ বস্তু ভাঙ্গিয়া ফেলিতেছি, এবং সমুদয় চিন্তাকে বন্দি করিয়া খ্রীষ্টের আজ্ঞাবহ করিতেছি;
আমার শাসনই গ্রহণ কর, রৌপ্য নয়, উৎকৃষ্ট সুবর্ণ অপেক্ষা জ্ঞান লও।কেননা প্রজ্ঞা মুক্তা হইতেও উত্তম, কোন অভীষ্ট বস্তু তাহার সমান নয়।
আর তোমরা তাঁহা হইতে যে অভিষেক পাইয়াছ, তাহা তোমাদের অন্তরে রহিয়াছে এবং কেহ যে তোমাদিগকে শিক্ষা দেয়, ইহাতে তোমাদের প্রয়োজন নাই; কিন্তু তাঁহার সেই অভিষেক যেমন সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিতেছে, এবং তাহা যেমন সত্য, মিথ্যা নয়, এমন কি, তাহা যেমন তোমাদিগকে শিক্ষা দিয়াছে, তেমনি তোমরা তাঁহাতে থাক।
তখন দর্শকদের চক্ষু মুদ্রিত থাকিবে না, আর শ্রোতাদের কর্ণ অবধান করিবে।আর চপল লোকদের চিত্ত জ্ঞান পাইবে, এবং তোৎলাদের জিহ্বা সহজে স্পষ্ট কথা কহিবে।
ধার্মিক লোক আমাকে প্রহার করুক, সেটি দয়া; সে আমাকে অনুযোগ করুক, তাহা মস্তকের তৈল; আমার মস্তক তাহা অগ্রাহ্য না করুক, উহাদের দুষ্টতাসমূহের মধ্যেও আমি প্রার্থনা করিব।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
হাঁ, যদি সুবিবেচনাকে আহ্বান কর, যদি বুদ্ধির জন্য উচ্চৈঃস্বরে মিনতি কর;যদি রৌপ্যের ন্যায় তাহার অন্বেষণ কর, গুপ্ত ধনের ন্যায় তাহার অনুসন্ধান কর;তবে সদাপ্রভুর ভয় বুঝিতে পারিবে, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রাপ্ত হইবে।
হে তীমথিয়, তোমার কাছে যাহা গচ্ছিত হইয়াছে, তাহা সাবধানে রাখ; যাহা অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত, তাহার ধর্মবিরোধী নিঃসার শব্দাড়ম্বর ও বিরোধবাণী হইতে বিমুখ হও;সেই বিদ্যা অঙ্গীকার করিয়া কেহ কেহ বিশ্বাস সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছে। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হউক।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার মুখের প্রসন্নতা চেষ্টা করিয়াছি; তোমার বচনানুসারে আমার প্রতি কৃপা কর।
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
কেননা প্রজ্ঞার বাহুল্যে মনস্তাপের বাহুল্য হয়; এবং যে বিদ্যার বৃদ্ধি করে, সে ব্যথার বৃদ্ধি করে।
আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।
কেহ আপনাকে বঞ্চনা না করুক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে এই যুগে জ্ঞানবান বলিয়া মনে করে, তবে সে জ্ঞানবান হইবার জন্য মূর্খ হউক।যেহেতু এই জগতের যে জ্ঞান, তাহা ঈশ্বরের নিকটে মূর্খতা। কারণ লেখা আছে, “তিনি জ্ঞানবানদিগকে তাহাদের ধূর্ততায় ধরেন।”
আর তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ, ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিবে।
সে উত্তর করিয়া কহিল, “তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত শক্তি ও তোমার সমস্ত চিত্ত দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, এবং তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
তোমার সমস্ত জীবনকালে কেহ তোমার সম্মুখে দাঁড়াইতে পারিবে না; আমি যেমন মোশির সহবর্তী ছিলাম, তদ্রূপ তোমার সহবর্তী থাকিব; আমি তোমাকে ছাড়িব না, তোমাকে ত্যাগ করিব না।
আমার প্রজারা, যাহাদের উপরে আমার নাম কীর্তিত হইয়াছে, তাহারা যদি নম্র হইয়া প্রার্থনা করে ও আমার মুখের অন্বেষণ করে, এবং তাহাদের কুপথ হইতে ফিরে, তবে আমি স্বর্গ হইতে তাহা শুনিব, তাহাদের পাপ ক্ষমা করিব ও তাহাদের দেশ আরোগ্য করিব।
তাহাতে এই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হইল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল”, আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পাইলেন।
কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।
কিন্তু তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, লেখা আছে, “মনুষ্য কেবল রুটিতে বাঁচিবে না, কিন্তু ঈশ্বরের মুখ হইতে যে প্রত্যেক বাক্য নির্গত হয়, তাহাতেই বাঁচিবে।”
এক নূতন আজ্ঞা আমি তোমাদিগকে দিতেছি, তোমরা পরস্পর প্রেম কর; আমি যেমন তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি, তোমরাও তেমনি পরস্পর প্রেম কর।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।