যৌনতা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের অনেকেরই একটা লজ্জা বা সংকোচ কাজ করে। অনেকেই এই বিষয়টা এড়িয়ে যাই। কিন্তু একজন খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, মানুষের যৌনতা সম্পর্কে ঈশ্বরের পরিকল্পনা কী? বাইবেল এই বিষয়ে নীরব নয়, বরং কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।
ইব্রীয় ১৩:৪ পদে বলা হয়েছে, "বিবাহ সকলের কাছে সম্মানীয় হোক এবং বিবাহ-শয্যা নিষ্কলঙ্ক হোক; কারণ ব্যভিচারী ও বেশ্যাগামীদের বিচার করবেন ঈশ্বর।" বিবাহ একটা সম্মানজনক প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের সকলেরই এটাকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত। ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে হবে। সকল প্রকার অশুচিতা ঘৃণা করতে হবে, এড়িয়ে যেতে হবে। বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ক ঈশ্বর ঘৃণা করেন।
যৌনতা নিয়ে মানুষের মনোভাব বিভিন্ন রকম হলেও আমাদের বুঝতে হবে ঈশ্বর সুন্দর জিনিস সৃষ্টি করেন এবং ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন সেটা নিয়ে আমাদের লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। ঈশ্বর যৌনতা সৃষ্টি করেছেন, তাই যৌনতার সঠিক উপভোগ শুধুমাত্র বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিবাহ হলো সেই প্রতিশ্রুতির প্রতীক। ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী যৌনতা শুধুমাত্র বিবাহিত জীবনের জন্য।
ঈশ্বরের নীতি স্পষ্ট করে যে, ঈশ্বর যৌনতা সৃষ্টি করেছেন বিবাহের জন্য, বিবাহের বাইরে যৌনতার জন্য নয়। বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যৌন সম্পর্কের কারণে কখনো যৌনরোগ হয় না। কিন্তু যদি কেউ বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে যৌন সম্পর্ক করে, তাহলে যৌনরোগ সহ নানা ধরণের সমস্যার ঝুঁকিতে পড়ে। এটা পাপের ফল।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল।
তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর। মনুষ্য অন্য যে কোন পাপ করে, তাহা তাহার দেহের বহির্ভূত; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন।পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।
আবার তোমরা যে সকল কথা লিখিয়াছ, তাহার বিষয়ে- স্ত্রীলোককে স্পর্শ না করা মনুষ্যের ভাল;আর বিবাহিত লোকদিগকে এই আজ্ঞা দিতেছি- আমি দিতেছি তাহা নয়, কিন্তু প্রভুই দিতেছেন- স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে চলিয়া না যাউক-যদি চলিয়া যায়, তবে সে অবিবাহিতা থাকুক, কিম্বা স্বামীর সহিত সম্মিলিতা হউক- আর স্বামীও স্ত্রীকে পরিত্যাগ না করুক।কিন্তু আর সকলকে আমি বলি, প্রভু নয়; যদি কোন ভ্রাতার অবিশ্বাসিনী স্ত্রী থাকে, আর সেই নারী তাহার সহিত বাস করিতে সম্মত হয়, তবে সে তাহাকে পরিত্যাগ না করুক;আবার যে স্ত্রীর অবিশ্বাসী স্বামী আছে, আর সেই ব্যক্তি তাহার সহিত বাস করিতে সম্মত হয়, তবে সে স্বামীকে পরিত্যাগ না করুক।কেননা অবিশ্বাসী স্বামী সেই স্ত্রীতে পবিত্রীকৃত হইয়াছে, এবং অবিশ্বাসিনী স্ত্রী সেই ভ্রাতাতে পবিত্রীকৃতা হইয়াছে; তাহা না হইলে তোমাদের সন্তানগণ অশুচি হইত, কিন্তু বাস্তবিক তাহারা পবিত্র।তথাপি অবিশ্বাসী যদি চলিয়া যায়, চলিয়া যাউক; এমন স্থলে সেই ভ্রাতা কি সেই ভগিনী দাসত্বে বদ্ধ নহে, কিন্তু ঈশ্বর আমাদিগকে শান্তিতেই আহ্বান করিয়াছেন।কারণ, হে নারি, তুমি কি করিয়া জান যে, তুমি তোমার স্বামীকে পরিত্রাণ করিবে কি না? অথবা হে স্বামি, তুমি কি করিয়া জান যে, তুমি তোমার স্ত্রীকে পরিত্রাণ করিবে কি না?কেবল প্রভু যাহাকে যেমন অংশ দিয়াছেন, ঈশ্বর যাহাকে যেমন আহ্বান করিয়াছেন, সে তেমনি চলুক। আর এই প্রকার নিয়ম আমি সমস্ত মণ্ডলীতে করিয়া থাকি।কেহ কি ছিন্নত্বক্ হইয়া আহূত হইয়াছে? সে ত্বক্ছেদ লোপ না করুক। কেহ কি অচ্ছিন্নত্বক্ অবস্থায় আহূত হইয়াছে? সে ছিন্নত্বক্ না হউক।ত্বক্ছেদ কিছু নয়, অত্বক্ছেদও কিছু নয়, কিন্তু ঈশ্বরের আজ্ঞা পালনই সার।কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের ভার্যা থাকুক, এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।
কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের ভার্যা থাকুক, এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।
তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করিও না; কেবল প্রার্থনার নিমিত্তে অবকাশ পাইবার জন্য উভয়ে এক পরামর্শ হইয়া কিছু কাল পৃথক থাকিতে পার; পরে পুনর্বার একত্র হইবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমের কারণে তোমাদিগকে পরীক্ষায় না ফেলে।
তোমার উনুই ধন্য হউক, তুমি তোমার যৌবনের ভার্যায় আমোদ কর।সে প্রেমিকা হরিণী ও কমনীয়া বাতপ্রমীবৎ; তাহারই কুচযুগ দ্বারা তুমি সর্বদা আপ্যায়িত হও, তাহার প্রেমে তুমি সতত মোহিত থাক।
এই কারণ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে।
সকলের মধ্যে বিবাহ আদরণীয় ও সেই শয্যা বিমল [হউক]; কেননা ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করিবেন।
পরে আদম আপন স্ত্রী হবার পরিচয় লইলে তিনি গর্ভবতী হইয়া কয়িনকে প্রসব করিয়া কহিলেন, সদাপ্রভুর সহায়তায় আমি নরলাভ করিলাম।
পরে ঈশ্বর নোহকে ও তাঁহার পুত্রগণকে এই আশীর্বাদ করিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, পৃথিবী পরিপূর্ণ কর।
অদ্য রাত্রিতে যে দুই ব্যক্তি তোমার বাটীতে আসিল তাহারা কোথায়? তাহাদিগকে বাহির করিয়া আমাদের নিকটে আন, আমরা তাহাদের পরিচয় লইব।
তোমরা কেহ আত্মীয় কোন ব্যক্তির আবরণীয় অনাবৃত করিবার জন্য তাহার নিকটে যাইও না; আমি সদাপ্রভু।তুমি আপন পিতার আবরণীয় অর্থাৎ আপন মাতার আবরণীয় অনাবৃত করিও না, সে তোমার মাতা; তাহার আবরণীয় অনাবৃত করিও না।
আর তুমি কোন পশুর সহিত শয়ন করিয়া আপনাকে অশুচি করিও না, এবং কোন স্ত্রী কোন পশুর সহিত শয়ন করিতে তাহার সম্মুখে দাঁড়াইবে না; ইহা বিপরীত কর্ম।
আর যে ব্যক্তি পরের স্ত্রীর সহিত ব্যভিচার করে, যে ব্যক্তি প্রতিবাসীর স্ত্রীর সহিত ব্যভিচার করে, সেই ব্যভিচারী ও সেই ব্যভিচারিণী, উভয়ের প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে।
আর যেমন স্ত্রীর সহিত, তেমনি পুরুষ যদি পুরুষের সহিত শয়ন করে, তবে তাহারা দুই জনে ঘৃণার্হ ক্রিয়া করে; তাহাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে; তাহাদের রক্ত তাহাদের উপরে বর্তিবে।
আর যে কেহ কোন পশুর সহিত শয়ন করে, তাহার প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে; এবং তোমরা সেই পশুকেও বধ করিবে।আর কোন স্ত্রী যদি পশুর নিকটে গিয়া তাহার সহিত শয়ন করে, তবে তুমি সেই স্ত্রীকে ও সেই পশুকে বধ করিবে; তাহাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে, তাহাদের রক্ত তাহাদের উপরে বর্তিবে।
কোন পুরুষ যদি বিবাহ করিয়া স্ত্রীর নিকটে গমন করে, পরে তাহাকে ঘৃণা করে,এবং তাহার নামে অপবাদ দেয় ও তাহার দুর্নাম করিয়া বলে, আমি এই স্ত্রীকে বিবাহ করিয়াছি বটে, কিন্তু সঙ্গকালে ইহার কৌমার্যের চিহ্ন পাইলাম না;তবে সেই কন্যার পিতামাতা তাহার কৌমার্যের চিহ্ন লইয়া নগরের প্রাচীনবর্গের নিকটে নগর-দ্বারে উপস্থিত করিবে।আর কন্যার পিতা প্রাচীনবর্গকে বলিবে, আমি এই ব্যক্তির সহিত আপন কন্যার বিবাহ দিয়াছিলাম, কিন্তু এ তাহাকে ঘৃণা করে;আর দেখ, এ অপবাদ দিয়া বলে, আমি তোমার কন্যার কৌমার্যের চিহ্ন পাই নাই; কিন্তু আমার কন্যার কৌমার্যের চিহ্ন এই দেখুন।আর তাহারা নগরের প্রাচীনবর্গের সাক্ষাতে সেই বস্ত্র বিস্তার করিবে। পরে নগরের প্রাচীনবর্গ সেই পুরুষকে ধরিয়া শাস্তি দিবে।আর তাহার একশত [শেকল] রৌপ্য দণ্ড করিয়া কন্যার পিতাকে দিবে, কেননা সেই ব্যক্তি ইস্রায়েলীয় এক কুমারীর উপরে দুর্নাম আনিয়াছে; আর সে তাহার স্ত্রী হইবে, ঐ পুরুষ যাবজ্জীবন তাহাকে ত্যাগ করিতে পারিবে না।যদি তোমার সেই ভ্রাতা তোমার নিকটস্থ কিম্বা পরিচিত না হয়, তবে তুমি সেই পশুকে আপন বাটীতে আনিয়া যাবৎ সেই ভ্রাতা তাহার অন্বেষণ না করে, তাবৎ আপনার নিকটে রাখিবে, পরে তাহা ফিরাইয়া দিবে।কিন্তু সেই কথা যদি সত্য হয়, কন্যার কৌমার্যের চিহ্ন যদি না পাওয়া যায়;তবে তাহারা সেই কন্যাকে বাহির করিয়া তাহার পিতৃগৃহের দ্বারসমীপে আনিবে, এবং সেই কন্যার নগরের পুরুষেরা প্রস্তরাঘাতে তাহাকে বধ করিবে; কেননা পিতৃগৃহে ব্যভিচার করাতে সে ইস্রায়েলের মধ্যে মূঢ়তার কর্ম করিয়াছে; এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
কোন পুরুষ যদি পরস্ত্রীর সহিত শয়ন কালে ধরা পড়ে, তবে পরস্ত্রীর সহিত শয়নকারী সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রী উভয়ে হত হইবে; এইরূপে তুমি ইস্রায়েলের মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
যদি কেহ পুরুষের প্রতি বাগ্দত্তা কোন কুমারীকে নগরের মধ্যে পাইয়া তাহার সহিত শয়ন করে;তবে তোমরা সেই দুই জনকে বাহির করিয়া নগরদ্বারের নিকটে আনিয়া প্রস্তরাঘাতে বধ করিবে; সেই কন্যাকে বধ করিবে, কেননা নগরের মধ্যে থাকিলেও সে চিৎকার করে নাই, এবং সেই পুরুষকে বধ করিবে, কেননা সে আপন প্রতিবাসীর স্ত্রীকে মানভ্রষ্টা করিয়াছে; এইরূপে তুমি তোমার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
যদি কেহ অবাগ্দত্তা কুমারী কন্যাকে পাইয়া তাহাকে ধরিয়া তাহার সহিত শয়ন করে, ও তাহারা ধরা পড়ে,তবে তাহার সহিত শয়নকারী সেই পুরুষ কন্যার পিতাকে পঞ্চাশ [শেকল] রৌপ্য দিবে, এবং তাহাকে মানভ্রষ্টা করিয়াছে বলিয়া সে তাহার স্ত্রী হইবে; সেই পুরুষ তাহাকে যাবজ্জীবন ত্যাগ করিতে পারিবে না।
একদা বৈকালে দায়ূদ শয্যা হইতে উঠিয়া রাজবাটীর ছাদে বেড়াইতেছিলেন, আর ছাদ হইতে দেখিতে পাইলেন যে, একজন স্ত্রীলোক স্নান করিতেছে; স্ত্রীলোকটি দেখিতে বড়ই সুন্দরী ছিল।যদি রাজার ক্রোধ জন্মে, আর যদি তিনি বলেন, তোমরা যুদ্ধ করিতে নগরের এত নিকটে কেন গিয়াছিলে? তাহারা প্রাচীর হইতে বাণ মারিবে, ইহা কি জানিতে না?যিরূব্বেশতের পুত্র অবীমেলককে কে আঘাত করিয়াছিল? তেবেষে একজন স্ত্রীলোক যাঁতার একখানি উপরের পাট প্রাচীর হইতে তাহার উপরে ফেলিয়া দিলে সে কি তাহাতেই মরে নাই? তোমরা কেন প্রাচীরের এত নিকটে গিয়াছিলে? তাহা হইলে তুমি বলিবে, আপনার দাস হিত্তীয় ঊরিয়ও মারা পড়িয়াছে।পরে সেই দূত প্রস্থান করিয়া যোয়াবের প্রেরিত সমস্ত কথা দায়ূদকে জ্ঞাত করিল।দূত দায়ূদকে কহিল, সেই লোকেরা আমাদের বিপক্ষে প্রবল হইয়া মাঠে আমাদের নিকটে বাহিরে আসিয়াছিল; তখন আমরা দ্বারের প্রবেশ-স্থান পর্যন্ত তাহাদের পশ্চাতে পশ্চাতে তাড়া করিয়াছিলাম।তখন ধনুর্ধরেরা প্রাচীর হইতে আপনার দাসদের উপরে বাণ নিক্ষেপ করিল; তাই মহারাজের কতক দাস মারা পড়িয়াছে; আর আপনার দাস হিত্তীয় ঊরিয়ও মরিয়াছে।তখন দায়ূদ দূতকে কহিলেন, যোয়াবকে এই কথা বলিও, তুমি ইহাতে অসন্তুষ্ট হইও না, কেননা খড়্গ যেমন একজনকে তেমনি আর একজনকেও গ্রাস করে; তুমি নগরের বিরুদ্ধে আরও সপরাক্রমে যুদ্ধ কর, নগর উচ্ছিন্ন কর; এইরূপে তাহাকে আশ্বাস দিবে।আর ঊরিয়ের স্ত্রী আপন স্বামী ঊরিয়ের মৃত্যু-সংবাদ পাইয়া স্বামীর জন্য শোক করিল।পরে শোক অতীত হইলে দায়ূদ লোক পাঠাইয়া তাহাকে আপন বাটীতে আনাইলেন, তাহাতে সে তাঁহার স্ত্রী হইল, ও তাঁহার জন্য পুত্র প্রসব করিল। কিন্তু দায়ূদের কৃত এই কর্ম সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে মন্দ হইল।দায়ূদ তাহার বিষয় জিজ্ঞাসা করিতে লোক পাঠাইলেন। একজন কহিল, এ কি ইলিয়ামের কন্যা, হিত্তীয় ঊরিয়ের স্ত্রী বৎশেবা নয়?তখন দায়ূদ দূত পাঠাইয়া তাহাকে আনাইলেন, এবং সে তাঁহার নিকটে আসিলে দায়ূদ তাহার সহিত শয়ন করিলেন; সেই স্ত্রীলোকটি ঋতুস্নান করিয়া শুচি হইয়াছিল। পরে সে আপন গৃহে ফিরিয়া গেল।
পরে সে তাহাকে ভোজন করাইতে তাহার নিকটে তাহা আনিলে অম্নোন তাহাকে ধরিয়া কহিল, হে আমার ভগিনী, আইস, আমার সহিত শয়ন কর।সে উত্তর করিল, হে আমার ভ্রাতা, না, না, আমাকে মানভ্রষ্ট করিও না, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কার্য করা কর্তব্য নয়; তুমি এই মূঢ়তার কর্ম করিও না।আমি কোথায় আমার কলঙ্ক বহন করিব? আর তুমিও ইস্রায়েলের মধ্যে একজন মূঢ়ের সমান হইবে। অতএব বিনয় করি, বরং রাজার কাছে বল, তিনি তোমার হাতে আমাকে দিতে অসম্মত হইবেন না।কিন্তু অম্নোন তাহার কথা শুনিতে চাহিল না; আপনি তাহা অপেক্ষা বলবান হওয়াতে তাহাকে মানভ্রষ্ট করিল, তাহার সহিত শয়ন করিল।
তুমি নিজ জলাশয়ের জল পান কর, নিজ কূপের স্রোতের জল পান কর।তোমার উনুই কি বাহিরে বিস্তারিত হইবে? চকে কি জলস্রোত বহিয়া যাইবে?উহা কেবল তোমারই হইক, তোমার সহিত অপর লোকের না হউক।তোমার উনুই ধন্য হউক, তুমি তোমার যৌবনের ভার্যায় আমোদ কর।সে প্রেমিকা হরিণী ও কমনীয়া বাতপ্রমীবৎ; তাহারই কুচযুগ দ্বারা তুমি সর্বদা আপ্যায়িত হও, তাহার প্রেমে তুমি সতত মোহিত থাক।
সে তোমাকে রক্ষা করিবে, দুষ্টা স্ত্রী হইতে, বিজাতীয়ার জিহ্বার চাটুবাদ হইতে।তুমি হৃদয়ে উহার সৌন্দর্যে লুব্ধ হইও না, উহার আপাঙ্গ-ভঙ্গিতে ধৃত হইও না।কেননা বারঙ্গনা দ্বারা অন্নাভাব ঘটে, পরস্ত্রী [মনুষ্যের] মহামূল্য প্রাণ মৃগয়া করে।কেহ যদি বক্ষঃস্থলে অগ্নি রাখে, তবে তাহার বস্ত্র কি পুড়িয়া যাইবে না?কেহ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়া চলে, তবে তাহার পদতল কি দগ্ধ হইবে না?তদ্রূপ যে প্রতিবাসীর স্ত্রীর কাছে গমন করে; যে তাহাকে স্পর্শ করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না।
অনেক মধুর বাক্যে সে তাহার চিত্ত হরণ করিল, ওষ্ঠাধরের চাটুবাদে তাহাকে আকর্ষণ করিল।অমনি সে তাহার পশ্চাতে গেল, যেমন গরু হত হইতে যায়, যেমন শৃঙ্খলবদ্ধ ব্যক্তি নির্বোধের শাস্তি পাইতে যায়;শেষে তাহার যকৃৎ বাণে বিদ্ধ হইল; যেমন পক্ষী ফাঁদে পড়িতে বেগে ধাবিত হয়, আর জানে না যে, তাহা প্রাণনাশক।
‘অপহৃত-জল মিষ্ট, গুপ্তস্থানে খাওয়া অন্ন সুস্বাদু।’কিন্তু সে জানে না যে, প্রেতগণই তথায় থাকে, উহার নিমন্ত্রিত লোকেরা গভীর পাতালে থাকে।
সূর্যের নিচে ঈশ্বর তোমাকে অসার জীবনের যত দিন দিয়াছেন, তোমার সেই সমস্ত অসার দিন থাকিতে তুমি আপন প্রিয়া স্ত্রীর সহিত সুখে জীবন যাপন কর, কেননা জীবনের মধ্যে, এবং তুমি সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হইতেছ, তাহার মধ্যে ইহাই তোমার অধিকার।
তিনি নিজ মুখের চুম্বনে আমাকে চুম্বন করুন; কারণ তোমার প্রেম দ্রাক্ষারস হইতেও উত্তম।তোমার সুগন্ধি তৈল সৌরভে উৎকৃষ্ট; তোমার নাম সেচিত সুগন্ধি তৈলস্বরূপ; এই জন্যই কুমারীগণ তোমাকে প্রেম করে।আমাকে আকর্ষণ কর। আমরা তোমার পশ্চাতে দৌড়িব। রাজা আপন অন্তঃপুরে আমাকে আনিয়াছেন। আমরা তোমাতে উল্লসিতা হইব, আনন্দ করিব, দ্রাক্ষারস হইতেও তোমার প্রেমের অধিক উল্লেখ করিব; লোকে ন্যায়তঃ তোমাকে প্রেম করে।
তাঁহার বাম হস্ত আমার মস্তকের নিচে থাকে, তাঁহার দক্ষিণ হস্ত আমাকে আলিঙ্গন করে।অয়ি যিরূশালেমের কন্যাগণ! আমি তোমাদিগকে দিব্য দিয়া বলিতেছি, মৃগী ও মাঠের হরিণীদের দিব্য দিয়া বলিতেছি, তোমরা প্রেমকে জাগাইও না, উত্তেজিত করিও না, যে পর্যন্ত তাহার বাসনা না হয়।
তোমার প্রেম কেমন মনোরম! অয়ি মম ভগিনি, মম কান্তে! তোমার প্রেম দ্রাক্ষারস হইতে কত উৎকৃষ্ট! তোমার তৈলের সৌরভ সমস্ত সুগন্ধি দ্রব্য অপেক্ষা কত উৎকৃষ্ট!কান্তে! তোমার ওষ্ঠাধর হইতে ফোঁটা ফোঁটা মধু ক্ষরে, তোমার জিহ্বার তলে মধু ও দুগ্ধ আছে; তোমার বস্ত্রের গন্ধ লিবানোনের গন্ধের ন্যায়।মম ভগিনি, মম কান্তা অর্গলবদ্ধ উপবন, অর্গলবদ্ধ জলাকর, মুদ্রাঙ্কিত উৎস।
হে প্রেম, নানা আমোদের মধ্যে তুমি কেমন সুন্দরী ও মনোহারিণী!তোমার এই দীর্ঘতা খর্জুর বৃক্ষের ন্যায়, তোমার কুচযুগ দ্রাক্ষাগুচ্ছস্বরূপ।আমি কহিলাম, আমি খর্জুর বৃক্ষে উঠিব, আমি তাহার ছড়া ধরিব; তোমার কুচযুগ দ্রাক্ষাফলের গুচ্ছস্বরূপ হউক, তোমার নিঃশ্বাসের আঘ্রাণ নাগরঙ্গের ন্যায় হউক;তোমার তালু উত্তম দ্রাক্ষারসের ন্যায় হউক, যাহা সহজে আমার প্রিয়ের গলায় নামিয়া যায়, নিদ্রাগতদের ওষ্ঠ দিয়া সরিয়া যায়।
কিন্তু, হে গণিকার পুত্রগণ, পরদারিকের ও বেশ্যার বংশ, তোমরা নিকটবর্তী হইয়া এখানে আইস।তোমরা কাহাকে উপহাস কর? কাহাকে দেখিয়া মুখ বক্র ও জিহ্বা বাহির কর? তোমরা কি অধর্মের সন্তান ও মিথ্যাকথার বংশ নও?তোমরা এলা বৃক্ষগণের মধ্যে সমুদয় হরিৎপর্ণ বৃক্ষের তলে [দেবকামে] জ্বালিয়া থাক, তোমরা নানা উপত্যকায় ও শৈল-দরীর তলে আপন আপন বালকগণকে বধ করিয়া থাক।
আরও তুমি তোমার প্রতিবাসী স্থূলমাংস মিসরীয়দের সহিত ব্যভিচার করিয়াছ, এবং আমাকে অসন্তুষ্ট করণার্থে তোমার বেশ্যাক্রিয়া আরও বাড়াইয়াছ।
কেননা তাহারা ব্যভিচার-কার্য করিয়াছে, ও তাহাদের হস্তে রক্ত আছে; তাহারা আপন পুত্তলিগণের সহিত ব্যভিচার করিয়াছে, এবং আমার জন্য প্রসূত আপন সন্তানগণকে উহাদের গ্রাসার্থে [অগ্নির মধ্য দিয়া] গমন করাইয়াছে।তাহারা আমার প্রতি আরও এই অপকার্য করিয়াছে, সেই দিন আমার ধর্মধাম অশুচি করিয়াছে, এবং তাহারা আমার বিশ্রামদিন অপবিত্র করিয়াছে।কারণ যখন তাহারা আপনাদের পুত্তলিগণের উদ্দেশে আপন আপন বালকগণকে হনন করিত, তখন সেই দিন আমার ধর্মধামে আসিয়া তাহা অপবিত্র করিত; আর দেখ, আমার গৃহমধ্যে তাহারা এই প্রকার করিয়াছে।
যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এইরূপে হইয়াছিল। তাঁহার মাতা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগ্দত্তা হইলে তাঁহাদের সহবাসের পূর্বে জানা গেল, তাঁহার গর্ভ হইয়াছে- পবিত্র আত্মা হইতে।
তোমরা শুনিয়াছ, উক্ত হইয়াছিল, “তুমি ব্যভিচার করিও না”।কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল।
কেননা অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চৌর্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।
তিনি উত্তর করিলেন, তোমরা কি পাঠ কর নাই যে, সৃষ্টিকর্তা আদিতে পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে নির্মাণ করিয়াছিলেন, আর বলিয়াছিলেন,“এই কারণ মনুষ্য পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে”?সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ। অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।
কেননা ভিতর হইতে, মনুষ্যদের অন্তঃকরণ হইতে,কুচিন্তা বহির হয়- বেশ্যাগমন, চৌর্য, নরহত্যা, ব্যভিচার, লোভ, দুষ্টতা, ছল, লমপটতা, কুদৃষ্টি, নিন্দা, অভিমান ও মূর্খতা;এই সকল মন্দ বিষয় ভিতর হইতে বাহির হয়, এবং মনুষ্যকে অশুচি করে।
কিন্তু সৃষ্টির আদি হইতে ঈশ্বর পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে নির্মাণ করিয়াছেন;“এই কারণ মনুষ্য আপন পিতামাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে,আর সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে;” সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ।অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।
যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, এই জগতের সন্তানেরা বিবাহ করে এবং বিবাহিতা হয়।কিন্তু যাহারা সেই জগতের এবং মৃতগণের মধ্য হইতে পুনরুত্থানের অধিকারী হইবার যোগ্য গণিত হইয়াছে, তাহারা বিবাহ করে না এবং বিবাহিতাও হয় না।
এই কারণে ঈশ্বর তাহাদিগকে আপন আপন হৃদয়ের নানা অভিলাষে এমন অশুচিতায় সমর্পণ করিলেন যে, তাহাদের দেহ তাহাদের মধ্যে অনাদৃত হইতেছে;কারণ তাহারা মিথ্যার সহিত ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করিয়াছে, এবং সৃষ্ট বস্তুর পূজা ও আরাধনা করিয়াছে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে নয়, যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন।এই জন্য ঈশ্বর তাহাদিগকে জঘন্য রিপুর বশে সমর্পণ করিয়াছেন; এমন কি তাহাদের স্ত্রীলোকেরা স্বাভাবিক ব্যবহারের পরিবর্তে স্বভাবের বিপরীত ব্যবহার করিয়াছে।আর পুরুষেরাও তদ্রূপ স্বাভাবিক স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ করিয়া পরসপর কামানলে প্রজ্বলিত হইয়াছে, পুরুষ পুরুষে কুৎসিত ক্রিয়া সমপন্ন করিয়াছে, এবং প্রত্যেকে নিজেদের উপরে বিপথগমনের সমুচিত প্রতিফল পাইয়াছে।
অতএব পাপ তোমাদের মর্ত্যদেহে রাজত্ব্ব না করুক- করিলে তোমরা তাহার অভিলাষ-সমূহের আজ্ঞাবহ হইয়া পড়িবে;আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
বাস্তবিক শুনা যাইতেছে যে, তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার আছে, আর এমন ব্যভিচার, যাহা পরজাতীয়দের মধ্যেও নাই, এমন কি, তোমাদের মধ্যে একজন আপন পিতার ভার্যাকে রাখিয়াছে।
খাদ্য উদরের নিমিত্ত, এবং উদর খাদ্যের নিমিত্ত, কিন্তু ঈশ্বর উভয়ের লোপ করিবেন। দেহ ব্যভিচারের নিমিত্ত নয়, কিন্তু প্রভুর নিমিত্ত, এবং প্রভু দেহের নিমিত্ত।
তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর। মনুষ্য অন্য যে কোন পাপ করে, তাহা তাহার দেহের বহির্ভূত; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ?অথবা তোমরা কি জান না যে, পবিত্রগণ জগতের বিচার করিবেন? আর জগতের বিচার যদি তোমাদের দ্বারা হয়, তবে তোমরা কি যৎসামান্য বিষয়ের বিচার করিবার অযোগ্য?আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর।
স্বামী স্ত্রীকে তাহার প্রাপ্য দিউক; আর তদ্রূপ স্ত্রীও স্বামীকে দিউক।এবং যাহারা রোদন করিতেছে, তাহারা যেন রোদন করিতেছে না; যাহারা আনন্দ করিতেছে, তাহারা যেন আনন্দ করিতেছে না; যাহারা ক্রয় করিতেছে, তাহারা যেন কিছুই রাখে নাই;আর যাহারা সংসার ভোগ করিতেছে, যেন পূর্ণমাত্রায় করিতেছে না, যেহেতু এই সংসারের অভিনয় অতীত হইতেছে।কিন্তু আমার বাসনা এই যে, তোমরা চিন্তা-রহিত হও। যে অবিবাহিত, সে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে প্রভুকে সন্তুষ্ট করিবে।কিন্তু যে বিবাহিত, সে সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করিবে;তাই তাহার স্বার্থের বিভক্তি ঘটে। আর অবিবাহিতা স্ত্রী ও কুমারী প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন দেহে ও আত্মাতে পবিত্র হয়; কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রী সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্বামীকে সন্তুষ্ট করিবে।এই কথা আমি তোমাদের নিজের হিতের জন্য বলিতেছি; তোমাদের গলায় রজ্জু দিবার জন্য নয়, কিন্তু তোমরা যেন শিষ্টাচরণ কর, এবং একাগ্রমনে প্রভুতে আসক্ত থাক।কিন্তু যদি কাহারও বোধ হয় যে, সে তাহার কুমারী কন্যার প্রতি অশিষ্টাচরণ করিতেছে, যদি সৌকুমার্য অতীত হইয়া থাকে, আর এই প্রকার হওয়া আবশ্যক হয়, তবে সে যাহা ইচ্ছা করে, তাহা করুক; ইহাতে তাহার পাপ নাই, বিবাহ হউক।কিন্তু যে ব্যক্তি হৃদয়ে স্থির, যাহার কোন প্রয়োজন নাই, এবং আপনি আপন ইচ্ছা সম্বন্ধে কর্তা, সে যদি আপন কন্যাকে কুমারী রাখিতে হৃদয়ে স্থির করিয়া থাকে, তবে ভাল করে।অতএব যে আপন কুমারী কন্যার বিবাহ দেয়, সে ভাল করে; এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে।যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী নিদ্রাগত হইলে পর সে স্বাধীন হয়, যাহাকে ইচ্ছা করে, তাহার সহিত বিবাহিতা হইতে পারে, কিন্তু কেবল প্রভুতেই।নিজ দেহের উপরে স্ত্রীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তদ্রূপ নিজ দেহের উপরে স্বামীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্ত্রীর আছে।তথাপি আমার মতানুসারে সে অমনি থাকিলে আরও ধন্যা। আর আমার বোধ হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পাইয়াছি।তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করিও না; কেবল প্রার্থনার নিমিত্তে অবকাশ পাইবার জন্য উভয়ে এক পরামর্শ হইয়া কিছু কাল পৃথক থাকিতে পার; পরে পুনর্বার একত্র হইবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমের কারণে তোমাদিগকে পরীক্ষায় না ফেলে।
কিন্তু তাহারা যদি ইন্দ্রিয় দমন করিতে না পারে, তবে বিবাহ করুক; কেননা আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিবাহ করা ভাল।
কিন্তু যদি কাহারও বোধ হয় যে, সে তাহার কুমারী কন্যার প্রতি অশিষ্টাচরণ করিতেছে, যদি সৌকুমার্য অতীত হইয়া থাকে, আর এই প্রকার হওয়া আবশ্যক হয়, তবে সে যাহা ইচ্ছা করে, তাহা করুক; ইহাতে তাহার পাপ নাই, বিবাহ হউক।কিন্তু যে ব্যক্তি হৃদয়ে স্থির, যাহার কোন প্রয়োজন নাই, এবং আপনি আপন ইচ্ছা সম্বন্ধে কর্তা, সে যদি আপন কন্যাকে কুমারী রাখিতে হৃদয়ে স্থির করিয়া থাকে, তবে ভাল করে।অতএব যে আপন কুমারী কন্যার বিবাহ দেয়, সে ভাল করে; এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে।
তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?আর বলীয়ালের [পাপদেবের] সহিত খ্রীষ্টের কি ঐক্য? অবিশ্বাসীর সহিত বিশ্বাসীরই বা কি অংশ?
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
তাহারা অসাড় হইয়া লোভ প্রযুক্ত সর্বপ্রকার অশুচি ক্রিয়া করিবার জন্য আপনাদিগকে স্বৈরিতায় সমর্পণ করিয়াছে।
কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সর্বপ্রকার অশুদ্ধতার বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রগণের উপযুক্ত।
“এই জন্য মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে।”এই নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের উদ্দেশে ও মণ্ডলীর উদ্দেশে ইহা কহিলাম।তথাপি তোমরাও প্রত্যেকে আপন আপন স্ত্রীকে তদ্রূপ আপনার মত প্রেম কর; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
ফলতঃ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, তোমাদের পবিত্রতা- যেন তোমরা ব্যভিচার হইতে দূরে থাক,তোমাদের প্রত্যেক জন যেন, যাহারা ঈশ্বরকে জানে না,সেই পরজাতীয়দের ন্যায় কামাভিলাষে নয়, কিন্তু পবিত্রতায় ও সমাদরে নিজ নিজ পাত্র লাভ করিতে জানে।
কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
তাঁহারা যেন যুবতীদিগকে সংযত করিয়া তুলেন, যেন ইহারা পতিপ্রিয়া, সন্তানপ্রিয়া, সংযতা, সতী, গৃহকার্যে ব্যাপৃতা,সুশীলা ও আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হয়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের বাক্য নিন্দিত না হয়।
কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কামনা দ্বারা আকর্ষিত ও প্ররোচিত হইয়া পরীক্ষিত হয়।পরে কামনা সগর্ভা হইয়া পাপ প্রসব করে, এবং পাপ পরিপক্ব হইয়া মৃত্যুকে জন্ম দেয়।
প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।
কেননা পরজাতীয়দের বাসনা সাধন করিয়া, লমপটতা, সুখাভিলাষ, মদ্যপান, রঙ্গরস পানার্থক সভা ও ঘৃণার্হ প্রতিমাপূজারূপ পথে চলিয়া যে কাল অতীত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট।
বিশেষতঃ যাহারা মাংসের অনুবর্তী হইয়া অশুচি ভোগের অভিলাষে চলে, ও প্রভুত্ব অবজ্ঞা করে, তাহাদিগকে দণ্ড দিবেন। তাহারা দুঃসাহসী, স্বেচ্ছাচারী; যাহারা গৌরবের পাত্র, তাহাদের নিন্দা করিতে ভয় করে না।
তাহাদের চক্ষু ব্যভিচারে পরিপূর্ণ এবং পাপ হইতে নিরস্ত হইতে পারে না; তাহারা চঞ্চলমতিদিগকে প্রলোভিত করে; তাহাদের হৃদয় অর্থলালসায় অভ্যস্ত; তাহারা শাপের সন্তান।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
সেই প্রকার সদোম প্রকার প্রকার ও ঘমোরা এবং তন্নিকটস্থ নগর সকল ইহাদের ন্যায় নিতান্ত বেশ্যাগামী এবং বিজাতীয় মাংসের চেষ্টায় বিপথগামী হইয়া, অনন্ত অগ্নির দণ্ড ভোগ করতঃ দৃষ্টান্তরূপে প্রত্যক্ষ রহিয়াছে।
তথাপি তোমার বিরুদ্ধে আমার কয়েকটি কথা আছে, কেননা তুমি সেই স্থানে বিলিয়মের শিক্ষাবলম্বী কয়েকজনকে রাখিতেছ; সেই ব্যক্তি ইস্রায়েল-সন্তানদের সম্মুখে বিঘ্ন ফেলিয়া রাখিতে বালাককে শিক্ষা দিয়াছিল, যেন তাহারা প্রতিমার কাছে উৎসৃষ্ট বলি ভক্ষণ ও বেশ্যাগমন করে।
তথাপি তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে; ঈষেবল নাম্নী যে নারী আপনাকে ভাববাদিনী বলে, তুমি তাহাকে থাকিতে দিতেছ, এবং সে আমারই দাসগণকে বেশ্যাগমন ও প্রতিমার কাছে উৎসৃষ্ট বলি ভক্ষণ করিতে শিক্ষা দিয়া ভুলাইতেছে।আমি তাহাকে মন ফিরাইবার জন্য সময় দিয়াছিলাম, কিন্তু সে নিজ ব্যভিচার হইতে মন ফিরাইতে চায় না।দেখ, আমি তাহাকে শয্যাগত করিব, এবং যাহারা তাহার সহিত ব্যভিচার করে, তাহারা যদি তাহার কার্য হইতে মন না ফিরায়, তবে তাহাদিগকে মহাক্লেশে ফেলিয়া দিব;
আর তাহারা আপন আপন নরহত্যা, আপন আপন কুহক, আপন আপন ব্যভিচার ও আপন আপন চৌর্যবৃত্তি হইতেও মন ফিরাইল না।
ইহারা রমণীদের সংসর্গে কলুষিত হয় নাই, কারণ ইহারা অমৈথুন। যে কোন স্থানে মেষশাবক গমন করেন, সেই স্থানে ইহারা তাঁহার অনুগামী হয়। ইহারা ঈশ্বরের ও মেষশাবকের নিমিত্ত অগ্রিমাংশ বলিয়া মনুষ্যদের মধ্য হইতে ক্রীত হইয়াছে।
পরে ঐ সপ্ত বাটি যাঁহাদের হস্তে ছিল, সেই সপ্ত দূতের মধ্যে একজন আসিয়া আমার সঙ্গে আলাপ করিয়া কহিলেন, আইস, “বহুজলের উপরে বসিয়া আছে” যে ঐ মহাবেশ্যা, আমি তোমাকে তাহার বিচারসিদ্ধ দণ্ড দেখাই,তাহাদের পাঁচ জন পতিত হইয়াছে, একজন আছে, আর একজন এই পর্যন্ত আইসে নাই; আসিলে তাহাকে অল্পকাল থাকিতে হইবে।আর যে পশু ছিল, এখন নাই, সে আপনি অষ্টম; সে সেই সাতটির একটি, এবং সে বিনাশে যায়।আর তুমি যে দশটি শৃঙ্গ দেখিলে, সে দশ জন রাজা; তাহারা এই পর্যন্ত রাজ্য প্রাপ্ত হয় নাই, কিন্তু এক ঘণ্টার নিমিত্তে সেই পশুর সহিত রাজাদের ন্যায় কর্তৃত্ব পাইবে।তাহারা একমনা, এবং আপনাদের পরাক্রম ও কর্তৃত্ব সেই পশুকে দেয়।তাহারা মেষশাবকের সহিত যুদ্ধ করিবে, আর মেষশাবক তাহাদিগকে জয় করিবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাহারা তাঁহার সহবর্তী, আহূত ও মনোনীত ও বিশ্বস্ত, তাঁহারাও জয় করিবেন।আর তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি যে জল দেখিলে, ঐ বেশ্যা যাহাতে বসিয়া আছে, সেই জল হইল প্রজাবৃন্দ ও লোকারণ্য ও জাতিবৃন্দ ও ভাষাসমূহ।আর তুমি যে ঐ দশটি শৃঙ্গ এবং পশুটি দেখিলে তাহারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করিবে, এবং তাহাকে অনাথ ও নগ্ন করিবে, তাহার মাংস ভক্ষণ করিবে, এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দিবে।কেননা ঈশ্বর তাহাদের হৃদয়ে এই প্রবৃত্তি দিয়াছিলেন, যেন তাহারা তাঁহারই মানস পূর্ণ করে, এবং একমনা হয়; আর যে পর্যন্ত ঈশ্বরের বাক্য সকল সিদ্ধ না হয়, সেই পর্যন্ত আপন আপন রাজ্য সেই পশুকে দেয়।আর তুমি যে নারীকে দেখিলে, সে ঐ মহানগরী, যাহা পৃথিবীর রাজগণের উপরে রাজত্ব করিতেছে।“যাহার সহিত পৃথিবীর রাজগণ ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবী-নিবাসীরা যাহার বেশ্যাক্রিয়ার মদিরাতে মত্ত হইয়াছে”।
আর তাহার ললাটে এই নাম লিখিত আছে, এক নিগূঢ়তত্ত্ব; ‘মহতী বাবিল, পৃথিবীর বেশ্যাগণের ও ঘৃণাস্পদ সকলের জননী’
কেননা সমুদয় জাতি তাহার বেশ্যা ক্রিয়ার রোষ-মদিরা পান করিয়াছে, এবং পৃথিবীর রাজগণ তাহার সহিত ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবীর বণিকেরা তাহার বিলাসিতার প্রভাবে ধনবান হইয়াছে।’
আর পৃথিবীর যে সকল রাজা তাহার সঙ্গে ব্যভিচার ও বিলাস করিত, তাহারা তাহার দাহের ধূম দেখিয়া তাহার জন্য রোদন ও বক্ষে করাঘাত করিবে;
কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী, বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু।
বাহিরে রহিয়াছে কুকুরগণ, মায়াবিগণ, বেশ্যাগামীরা, নরঘাতকেরা ও প্রতিমাপূজকেরা, এবং যে কেহ মিথ্যা কথা ভালবাসে ও রচনা করে।
গুণবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধিক।তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।
বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
কেননা বেশ্যা গভীর খাত, বিজাতীয়া স্ত্রী সঙ্কীর্ণ কূপ।সে দস্যুর ন্যায় ঘাঁটি বসায়, মনুষ্যদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক দলের বৃদ্ধি করে।
আর শান্তির ঈশ্বর আপনি তোমাদিগকে সর্বতোভাবে পবিত্র করুন; এবং তোমাদের অবিকল আত্মা, প্রাণ ও দেহ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমন কালে অনিন্দনীয়রূপে রক্ষিত হউক।
কেবল প্রভু যাহাকে যেমন অংশ দিয়াছেন, ঈশ্বর যাহাকে যেমন আহ্বান করিয়াছেন, সে তেমনি চলুক। আর এই প্রকার নিয়ম আমি সমস্ত মণ্ডলীতে করিয়া থাকি।
কেননা যাহারা মাংসের বশে আছে, তাহারা মাংসিক বিষয় ভাবে; কিন্তু যাহারা আত্মার বশে আছে, তাহারা আত্মিক বিষয় ভাবে।কারণ মাংসের ভাব মৃত্যু, কিন্তু আত্মার ভাব জীবন ও শান্তি।
ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন;যেন তিনি জলস্নান দ্বারা বাক্যে তাহাকে শুচি করিয়া পবিত্র করেন,যেন আপনি আপনার কাছে মণ্ডলীকে প্রতাপান্বিত অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তাহার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই প্রকার আর কোন কিছু না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও অনিন্দনীয় হয়।এইরূপে স্বামীরাও আপন আপন স্ত্রীকে আপন আপন দেহ বলিয়া প্রেম করিতে বাধ্য। আপন স্ত্রীকে যে প্রেম করে, সে আপনাকেই প্রেম করে।