তোমার জন্য একটা কথা ভাবো। দান করা, আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় একটা কাজ। যখন তুমি আল্লাহকে কিছু দাও, মনে রাখো, সেটা তোমার সবচেয়ে ভালোটা হওয়া উচিত। আর সবচেয়ে বড় কথা, মন থেকে, আনন্দ নিয়ে দিতে হবে। কারণ, আল্লাহ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন, আমরা যোগ্য না হলেও, তিনি আমাদের উপর অনন্ত রহমত বর্ষণ করেছেন। শুধু অতিরিক্তটা দিলে, জীবন থেকে তুমিও ঠিক তেমনটাই পাবে। নিজের জন্য যেমন করো, ঠিক তেমনি ভেবে দিতে হবে, কোন বাধ্যবাধকতা বা প্রতিদানের আশায় নয়। দেখানোর জন্য বা প্রশংসার লোভে দেওয়া ঠিক নয়। ডান হাত যা দেয়, বাম হাত যেন তা না জানে। আমাদের প্রভু আনন্দ নিয়ে যারা দান করে, তাদের ভালোবাসেন, কারণ তিনি আমাদের অন্তর জানেন। প্রত্যেকে যা মনে করে, তা দিক, কোন দুঃখ বা অভাবের চিন্তায় নয়, কারণ ঈশ্বর আনন্দিত দাতাকে ভালোবাসেন (২ করিন্থীয় ৯:৭)।
দান করা মানে আল্লাহ আমাদের যা দিয়েছেন, তার কিছু অংশ তার ইবাদত হিসেবে ফিরিয়ে দেওয়া। আল্লাহ যখন দেন, তিনি প্রচুর ও উদার হস্তে দেন। তাই যখন তুমি মন থেকে দান করো, তখন আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের দরজা তোমার জন্য খুলে যায়। যত বেশি দাও, তত বেশি পাবে।
আমি মেঘে আমার ধনু স্থাপন করি, তাহাই পৃথিবীর সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে।যখন আমি পৃথিবীর ঊর্ধ্বে মেঘের সঞ্চার করিব, তখন সেই ধনু মেঘে দৃষ্ট হইবে;তাহাতে তোমাদের সহিত ও মাংসময় সমস্ত প্রাণীর সহিত আমার যে নিয়ম আছে, তাহা আমার স্মরণ হইবে, এবং সকল প্রাণীকে বিনাশার্থ জলপ্লাবন আর হইবে না।
সেই দিন সদাপ্রভু অব্রামের সহিত নিয়ম স্থির করিয়া কহিলেন, আমি মিসরের নদী অবধি মহানদী, ফরাৎ নদী পর্যন্ত এই দেশ তোমার বংশকে দিলাম;
আমি তোমার সহিত ও পুরুষানুক্রমে তোমার ভাবী বংশের সহিত যে নিয়ম স্থাপন করিব, তাহা চিরকালের নিয়ম হইবে; ফলতঃ আমি তোমার ঈশ্বর ও তোমার ভাবী বংশের ঈশ্বর হইব।আর তুমি এই যে কনান দেশে প্রবাস করিতেছ, ইহার সমুদয় আমি তোমাকে ও তোমার ভাবী বংশকে চিরস্থায়ী অধিকারার্থে দিব, আর আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব।
এখন যদি তোমরা আমার রবে অবধান কর ও আমার নিয়ম পালন কর, তবে তোমরা সকল জাতি অপেক্ষা আমার নিজস্ব অধিকার হইবে, কেননা সমস্ত পৃথিবী আমার।আর আমার নিমিত্তে তোমরাই যাজকদের এক রাজ্য ও পবিত্র এক জাতি হইবে। এই সকল কথা তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে বল।
আর তিনি নিয়মপুস্তকখানি লইয়া লোকদের কর্ণগোচরে পাঠ করিলেন; তাহাতে তাহারা কহিল, সদাপ্রভু যাহা যাহা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব ও আজ্ঞাবহ হইব।পরে মোশি সেই রক্ত লইয়া লোকদের উপরে প্রক্ষেপ করিয়া কহিলেন, দেখ, এই সেই নিয়মের রক্ত, যাহা সদাপ্রভু তোমাদের সহিত এই সকল বাক্য সম্বন্ধে স্থির করিয়াছেন।
অতএব তুমি জ্ঞাত হও, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুই ঈশ্বর; তিনি বিশ্বসনীয় ঈশ্বর, যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে ও তাঁহার আজ্ঞা পালন করে, তাহাদের পক্ষে সহস্র পুরুষ পর্যন্ত নিয়ম ও দয়া রক্ষা করেন।
তোমার ধার্মিকতা কিম্বা হৃদয়ের সরলতা প্রযুক্ত তুমি যে তাহাদের দেশ অধিকার করিতে যাইতেছ, তাহা নয়; কিন্তু সেই জাতিদের দুষ্টতা প্রযুক্ত এবং তোমার পিতৃপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের কাছে দিব্য দ্বারা প্রতিশ্রুত আপনার বাক্য সফল করিবার অভিপ্রায়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সম্মুখে তাহাদিগকে অধিকারচ্যুত করিবেন।
অতএব তোমরা যাহা যাহা করিবে, সমস্ত বিষয়ে যেন বুদ্ধিপূর্বক চলিতে পার, এই নিমিত্ত এই নিয়মের কথা সকল পালন করিও, এবং তদনুসারে কর্ম করিও।
দেখ, আমি অদ্য তোমার সম্মুখে জীবন ও মঙ্গল, এবং মৃত্যু ও অমঙ্গল রাখিলাম;ফলতঃ আমি অদ্য তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিতে, তাঁহার পথে চলিতে এবং তাঁহার আজ্ঞা, তাঁহার বিধি ও তাঁহার শাসন পালন করিতে হইবে; তাহা করিলে তুমি বাঁচিবে ও বৃদ্ধি পাইবে; এবং যে দেশ অধিকার করিতে যাইতেছ, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।
বস্তুতঃ পর্বতগণ সরিয়া যাইবে, উপপর্বতগণ টলিবে; কিন্তু আমার দয়া তোমা হইতে সরিয়া যাইবে না, এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলিবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই সদাপ্রভু ইহা কহেন।
কেননা আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি; আর আমি সত্যে তাহাদের ক্রিয়ার ফল দিব, ও তাহাদের সহিত চিরস্থায়ী এক নিয়ম করিব।
সদাপ্রভু বলেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে আমি ইস্রায়েল-কুলের ও যিহূদা-কুলের সহিত এক নূতন নিয়ম স্থির করিব।মিসর দেশ হইতে তাহাদের পিতৃপুরুষদিগকে বাহির করিয়া আনিবার জন্য তাহাদের হস্তগ্রহণ করিবার দিনে আমি তাহাদের সহিত যে নিয়ম স্থির করিয়াছিলাম, সেই নিয়মানুসারে নয়; আমি তাহাদের স্বামী হইলেও তাহারা আমার সেই নিয়ম লঙ্ঘন করিল, ইহা সদাপ্রভু কহেন।কিন্তু সেই সকল দিনের পর আমি ইস্রায়েল-কুলের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আমি তাহাদের অন্তরে আমার ব্যবস্থা দিব, ও তাহাদের হৃদয়ে তাহা লিখিব; এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।আর, ‘তোমরা সদাপ্রভুকে জ্ঞাত হও,’ এই কথা বলিয়া তাহারা প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীকে ও আপন আপন ভ্রাতাকে আর শিক্ষা দিবে না; কারণ তাহারা ক্ষুদ্র ও মহান সকলেই আমাকে জ্ঞাত হইবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন; কেননা আমি তাহাদের অপরাধ ক্ষমা করিব, এবং তাহাদের পাপ আর স্মরণে আনিব না।
আমি সদাপ্রভুই ইহা কহিলাম। আমি তাহাদের পক্ষে শান্তির নিয়ম স্থির করিব, ও হিংস্র পশুদিগকে দেশ হইতে শেষ করিব; তাহাতে তাহারা নির্ভয়ে প্রান্তরে বাস করিবে ও বনে নিদ্রা যাইবে।
আর আমি তোমাদিগকে নূতন হৃদয় দিব, ও তোমাদের অন্তরে নূতন আত্মা স্থাপন করিব; আমি তোমাদের মাংস হইতে প্রস্তরময় হৃদয় দূর করিব, ও তোমাদিগকে মাংসময় হৃদয় দিব।আর আমার আত্মাকে তোমাদের অন্তরে স্থাপন করিব, এবং তোমাদিগকে আমার বিধিপথে চালাইব, তোমরা আমার শাসন সকল রক্ষা করিবে ও পালন করিবে।
তাহার সহিত আমার যে নিয়ম ছিল, তাহা জীবন ও শান্তির [নিয়ম], আর আমি তাহাকে উভয়ই দিতাম, যেন সে ভয় করে, আর সে আমাকে ভয় করিত, এবং আমার নামে ভীত হইত।
আর সেইরূপে তিনি ভোজন শেষ হইলে পানপাত্রটি লইয়া কহিলেন, এই পানপাত্র আমার রক্তে নূতন নিয়ম, যে রক্ত তোমাদের নিমিত্ত পাতিত হয়।
কিন্তু এখন ইনি সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পাইয়াছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক শ্রেষ্ঠ নিয়মের মধ্যস্থ হইয়াছেন, যাহা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞাকলাপের উপরে স্থাপিত হইয়াছে।কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দোষ হইত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য স্থানের চেষ্টা করা যাইত না।
আর এই কারণ তিনি এক নূতন নিয়মের মধ্যস্থ; যেন, প্রথম নিয়ম সম্বন্ধীয় অপরাধ সকলের মোচনার্থ মৃত্যু ঘটিয়াছে বলিয়া, যাহারা আহূত হইয়াছে, তাহারা অনন্তকালীয় দায়াধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল প্রাপ্ত হয়।
আমি তাহাদের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, আমি তাহাদের হৃদয়ে আমার ব্যবস্থা দিব, আর তাহাদের চিত্তে তাহা লিখিব,” তৎপরে তিনি বলেন, “এবং তাহাদের পাপ ও অধর্ম সকল আর কখনও স্মরণে আনিব না।”
সদাপ্রভু অব্রামকে কহিলেন, তুমি আপন দেশ, জ্ঞাতিকুটুম্ব ও পৈতৃক বাটী পরিত্যাগ করিয়া, আমি যে দেশ তোমাকে দেখাই, সেই দেশে চল।দেশে দুর্ভিক্ষ হইল, তখন অব্রাম মিসরে প্রবাস করিতে যাত্রা করিলেন; কেননা (কনান) দেশে ভারী দুর্ভিক্ষ হইয়াছিল।আর অব্রাম যখন মিসরে প্রবেশ করিতে উদ্যত হন, তখন আপন স্ত্রী সারীকে কহিলেন, দেখ, আমি জানি, তুমি দেখিতে সুন্দরী;এই কারণ মিসরীয়েরা যখন তোমাকে দেখিবে তখন তুমি আমার স্ত্রী বলিয়া আমাকে বধ করিবে, আর তোমাকে জীবিত রাখিবে।বিনয় করি, এই কথা বলিও যে, তুমি আমার ভগিনী; যেন তোমার অনুরোধে আমার মঙ্গল হয়, ও তোমার জন্য আমার প্রাণ বাঁচে।পরে অব্রাম মিসরে প্রবেশ করিলে মিসরীয়েরা ঐ স্ত্রীকে পরম সুন্দরী দেখিল।আর ফরৌণের অধ্যক্ষগণ তাঁহাকে দেখিয়া ফরৌণের নিকটে তাঁহার প্রশংসা করিলেন; তাহাতে সেই স্ত্রী ফরৌণের বাটীতে নীত হইলেন।আর তাঁহার অনুরোধে তিনি অব্রামকে আদর করিলেন; তাহাতে অব্রাম মেষ, গরু, গর্দভ, এবং দাস-দাসী, গর্দভী ও উষ্ট্র পাইলেন।কিন্তু অব্রামের স্ত্রী সারীর জন্য সদাপ্রভু ফরৌণ ও তাঁহার পরিবারের উপরে ভারী ভারী উৎপাত ঘটাইলেন।তাহাতে ফরৌণ অব্রামকে ডাকিয়া কহিলেন, আপনি আমার সহিত এ কি ব্যবহার করিলেন? উনি আপনার স্ত্রী, এই কথা আমাকে কেন বলেন নাই?উঁহাকে আপনার ভগিনী কেন বলিলেন? আমি ত উঁহাকে বিবাহ করিতে লইয়াছিলাম। এখন আপনার স্ত্রীকে লইয়া চলিয়া যাউন।আমি তোমা হইতে এক মহাজাতি উৎপন্ন করিব, এবং তোমাকে আশীর্বাদ করিয়া তোমার নাম মহৎ করিব; তাহাতে তুমি আশীর্বাদের আকর হইবে।তখন ফরৌণ লোকদিগকে তাঁহার বিষয়ে আজ্ঞা দিলেন, আর তাহারা সর্বস্বের সহিত তাঁহাকে ও তাঁহার স্ত্রীকে বিদায় করিল।যাহারা তোমাকে আশীর্বাদ করিবে তাহাদিগকে আমি আশীর্বাদ করিব; যে কেহ তোমাকে অভিশাপ দিবে, তাহাকে আমি অভিশাপ দিব; এবং তোমাতে ভূমণ্ডলের যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।
অব্রামের নিরানব্বই বৎসর বয়সে সদাপ্রভু তাঁহাকে দর্শন দিলেন ও কহিলেন, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি আমার সাক্ষাতে গমনাগমন করিয়া সিদ্ধ হও।তোমাদের সহিত ও তোমার ভাবী বংশের সহিত কৃত আমার যে নিয়ম তোমরা পালন করিবে, তাহা এই, তোমাদের প্রত্যেক পুরুষের ত্বক্ছেদ করিতে হইবে।তোমরা আপন আপন লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করিবে; তাহাই তোমাদের সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে।পুরুষানুক্রমে তোমাদের প্রত্যেক পুত্র-সন্তানের আট দিন বয়সে ত্বক্ছেদ হইবে, এবং যাহারা তোমার বংশ নয়, এমন পরজাতীয়দের মধ্যে তোমাদের গৃহে জন্ম হইয়াছে এমন লোক কিম্বা মূল্য দ্বারা ক্রীত লোকেরও ত্বক্ছেদ অবশ্য কর্তব্য;আর তোমাদের মাংসে বিদ্যমান আমার নিয়ম চিরকালের নিয়ম হইবে।কিন্তু যাহার লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন না হইবে, এমন অচ্ছিন্নত্বক্ পুরুষ আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে; সে আমার নিয়ম ভঙ্গ করিয়াছে।আর ঈশ্বর অব্রাহামকে কহিলেন, তুমি তোমার স্ত্রী সারীকে আর সারী বলিয়া ডাকিও না; তাহার নাম সারা [রাণী] হইল।আর আমি তাহাকে আশীর্বাদ করিব, এবং তাহা হইতে এক পুত্রও তোমাকে দিব; আমি তাহাকে আশীর্বাদ করিব, তাহাতে সে জাতিগণের [আদিমাতা] হইবে, তাহা হইতে লোকবৃন্দের রাজগণ উৎপন্ন হইবে।তখন অব্রাহাম উবুড় হইয়া পড়িয়া হাসিলেন, মনে মনে কহিলেন, শতবর্ষবয়স্ক পুরুষের কি সন্তান হইবে? আর নব্বই বৎসর বয়স্কা সারা কি প্রসব করিবে?পরে অব্রাহাম ঈশ্বরকে কহিলেন, ইশ্মায়েলই তোমার গোচরে বাঁচিয়া থাকুক।তখন ঈশ্বর কহিলেন, তোমার স্ত্রী সারা অবশ্য তোমার নিমিত্তে পুত্র প্রসব করিবে, এবং তুমি তাহার নাম ইস্হাক [হাস্য] রাখিবে। আর আমি তাহার সহিত আমার নিয়ম স্থাপন করিব, তাহা তাহার ভাবী বংশের পক্ষে চিরস্থায়ী নিয়ম হইবে।আর আমি তোমার সহিত আপন নিয়ম স্থির করিব ও তোমার অতিশয় বংশ বৃদ্ধি করিব।
তুমি এই কার্য করিলে, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্র দিতে অসম্মত হইলে না, এই হেতু আমি আমারই দিব্য করিয়া কহিতেছি,আমি অবশ্য তোমাকে আশীর্বাদ করিব, এবং আকাশের তারাগণের ও সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় তোমার বংশ অতিশয় বৃদ্ধি করিব; তোমার বংশ শত্রুগণের পুরদ্বার অধিকার করিবে;আর তোমার বংশে পৃথিবীর সকল জাতি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে; কারণ তুমি আমার বাক্যে অবধান করিয়াছ।
আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি এই সকল বাক্য লিপিবদ্ধ কর, কেননা আমি এই সকল বাক্যানুসারে তোমার ও ইস্রায়েলের সহিত নিয়ম স্থির করিলাম।সেই সময়ে মোশি চল্লিশ দিবারাত্র সেখানে সদাপ্রভুর সহিত অবস্থিতি করিলেন, অন্ন ভোজন ও জল পান করিলেন না। তিনি সেই দুইটি প্রস্তরে নিয়মের বাক্যগুলি অর্থাৎ দশ আজ্ঞা লিখিলেন।
আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু হোরেবে আমাদের সহিত এক নিয়ম করিয়াছেন।তুমি প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।তোমার প্রতিবাসীর স্ত্রীতে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর গৃহে কি ক্ষেত্রে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গরুতে কি গর্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না।সদাপ্রভু পর্বতে অগ্নির, মেঘের ও ঘোর অন্ধকারের মধ্য হইতে তোমাদের সমস্ত সমাজের নিকটে এই সমস্ত বাক্য মহারবে বলিয়াছিলেন, আর কিছুই বলেন নাই। পরে তিনি এই সমস্ত কথা দুইখানি প্রস্তরফলকে লিখিয়া আমাকে দিয়াছিলেন।কিন্তু যখন তোমরা অন্ধকারের মধ্য হইতে সেই রব শুনিতে পাইলে, এবং অগ্নিতে পর্বত জ্বলিতেছিল, তখন তোমরা, তোমাদের বংশাধ্যক্ষগণ ও প্রাচীনগণ সকলে আমার নিকটে আসিয়া কহিলে,দেখ, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের কাছে আপন প্রতাপ ও মহিমা প্রদর্শন করিলেন, এবং আমরা অগ্নির মধ্য হইতে তাঁহার রব শুনিতে পাইলাম; মনুষ্যের সহিত ঈশ্বর কথা কহিলেও সে বাঁচিতে পারে, ইহা আমরা অদ্য দেখিলাম।কিন্তু আমরা এখন কেন মরিব? ঐ মহা-অগ্নি ত আমাদিগকে গ্রাস করিবে; আমরা যদি আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব আবার শুনি, তবে মারা পড়িব।কেননা যাহারা মাংসময়, তাহাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, আমাদের ন্যায় অগ্নির মধ্য হইতে বাক্যবাদী জীবন্ত ঈশ্বরের রব শুনিয়া বাঁচিয়াছে?তুমিই নিকটে গিয়া আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সমস্ত কথা কহেন, তাহা শুন; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যাহা যাহা বলিবেন, সেই সমস্ত কথা তুমি আমাদিগকে বলিও; আমরা তাহা শুনিয়া পালন করিব।তোমরা যখন আমাকে এই কথা কহিলে, তখন সদাপ্রভু তোমাদের সেই বাক্যের রব শুনিলেন; আর সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, এই লোকেরা তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছে, সেই বাক্যের রব আমি শুনিলাম; উহারা যাহা যাহা বলিয়াছে, সেই সমস্ত ভালই বলিয়াছে।আহা, সর্বদা আমাকে ভয় করিতে ও আমার আজ্ঞা সকল পালন করিতে যদি উহাদের এইরূপ মন থাকে, তবে উহাদের ও উহাদের সন্তানদের চিরস্থায়ী মঙ্গল হইবে।সদাপ্রভু আমাদের পিতৃপুরুষদের সহিত সেই নিয়ম করেন নাই, কিন্তু অদ্য এই স্থানে সকলে জীবিত আছি যে আমরা, আমাদেরই সহিত করিয়াছেন।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি তোমার প্রতিষ্ঠা করিব, তোমার নামের প্রশংসা করিব; কেননা তুমি আশ্চর্য কার্য করিয়াছ; পুরাকালীন মন্ত্রণা সকল সাধন করিয়াছ, বিশ্বস্ততায় ও সত্যে।
কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল, এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল।
আর আমি তাহাদের জন্য শান্তির এক নিয়ম স্থির করিব; তাহাদের সহিত তাহা চিরস্থায়ী নিয়ম হইবে; আমি তাহাদিগকে বসাইব ও বাড়াইব, এবং আপন ধর্মধাম চিরকালের জন্য তাহাদের মধ্যে স্থাপন করিব।
মনে করিও না যে, আমি ব্যবস্থা কি ভাববাদী গ্রন্থ লোপ করিতে আসিয়াছি; আমি তাহা লোপ করিতে আসি নাই, কিন্তু পূর্ণ করিতে আসিয়াছি।কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হইবে, সেই পর্যন্ত ব্যবস্থার এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হইবে না, সমস্তই সফল হইবে।
কারণ ব্যবস্থা দ্বারা নয়, কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতা দ্বারা অব্রাহামের বা তাঁহার বংশের প্রতি জগতের দায়াধিকারী হইবার প্রতিজ্ঞা করা হইয়াছিল।
হে ভ্রাতৃগণ, আমি মনুষ্যের মত বলিতেছি। মনুষ্যের নিয়মপত্র হইলেও তাহা যখন স্থিরীকৃত হয়, তখন কেহ তাহা বিফল করে না, কিম্বা তাহাতে নূতন কথা যোগ করে না।ভাল, অব্রাহামের প্রতি ও তাঁহার বংশের প্রতি প্রতিজ্ঞা সকল উক্ত হইয়াছিল। তিনি বহুবচনে ‘আর বংশ সকলের প্রতি’ না বলিয়া, একবচনে বলেন, “আর তোমার বংশের প্রতি”; সেই বংশ খ্রীষ্ট।
কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,
কেননা সদাপ্রভু এই কথা কহেন যে, যে নপুংসক আমার বিশ্রামবার পালন করে, আমার সন্তোষকর বিষয় মনোনীত করে, ও আমার নিয়ম দৃঢ় করিয়া রাখে,তাহাদিগকে আমি আমার গৃহমধ্যে ও আমার প্রাচীরের ভিতরে পুত্রকন্যা অপেক্ষা উত্তম স্থান ও নাম দিব; আমি তাহাদিগকে লোপহীন অনন্তকালস্থায়ী নাম দিব।
আর এই দিন তোমাদের স্মরণীয় হইবে, এবং তোমরা এই দিনকে সদাপ্রভুর উৎসব বলিয়া পালন করিবে; পুরুষানুক্রমে চিরস্থায়ী বিধিমতে এই উৎসব পালন করিবে।
তখন তিনি কহিলেন, দেখ, আমি এক নিয়ম করি; সমস্ত পৃথিবীতে ও যাবতীয় জাতির মধ্যে যাদৃশ কখনও করা হয় নাই, এমন আশ্চর্য আশ্চর্য কার্য আমি তোমার সমস্ত লোকের সাক্ষাতে করিব; তাহাতে যে সকল লোকের মধ্যে তুমি আছ, তাহারা সদাপ্রভুর কার্য দেখিবে, কেননা তোমার নিকটে যাহা করিব, তাহা ভয়ঙ্কর।
তোমরা আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সহিত যে নিয়ম স্থির করিয়াছেন, তাহা ভুলিয়া যাইও না, কোন বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট ক্ষোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উহা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিষিদ্ধ।কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
তোমরা যদি এই সকল শাসন শুন, এই সমস্ত রক্ষা ও পালন কর, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে যে নিয়ম ও দয়ার বিষয়ে দিব্য করিয়াছেন, তোমার পক্ষে তাহা রক্ষা করিবেন;এবং তিনি তোমাকে প্রেম করিবেন, আশীর্বাদ করিবেন ও বর্ধিষ্ণু করিবেন; আর তিনি যে দেশ তোমাকে দিতে তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে দিব্য করিয়াছেন, সেই দেশে তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার শস্য, তোমার দ্রাক্ষারস, তোমার তৈল, তোমার গোবৎস ও তোমার মেষীদের শাবক- এই সকলেতে আশীর্বাদ করিবেন।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি প্রসন্নতার সময়ে তোমার প্রার্থনার উত্তর দিয়াছি, এবং পরিত্রাণের দিবসে তোমার সাহায্য করিয়াছি; আর আমি তোমাকে রক্ষা করিব, ও তোমাকে প্রজাবৃন্দের সন্ধিরূপে দিয়াছি; তাহাতে তুমি দেশের উন্নতি সাধন করিবে, ও ধ্বংসিত অধিকার সকল অধিকারে আনিবে;
কিন্তু সেই সকল দিনের পর আমি ইস্রায়েল-কুলের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আমি তাহাদের অন্তরে আমার ব্যবস্থা দিব, ও তাহাদের হৃদয়ে তাহা লিখিব; এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।
তথাপি তোমার যৌবনকালে তোমার সহিত আমার যে নিয়ম ছিল, তাহা আমি স্মরণ করিব, এবং তোমার পক্ষে চিরস্থায়ী এক নিয়ম স্থির করিব।
তবে আমি বলি, ঈশ্বর কি আপন প্রজাবৃন্দকে ত্যাগ করিয়াছেন? তাহা দূরে থাকুক; আমিও ত একজন ইস্রায়েলীয়, অব্রাহামের বংশজাত, বিন্যামীনের গোত্রজ।তাহাদের চক্ষু অন্ধ হউক, যেন তাহারা দেখিতে না পায়; তুমি তাহাদের পৃষ্ঠ সর্বদা কুব্জ করিয়া রাখ।” তবে আমি বলি, তাহারা কি পতনের নিমিত্ত উছোট খাইয়াছে? তাহা দূরে থাকুক; বরং তাহাদের পতনে পরজাতীয়দের কাছে পরিত্রাণ উপস্থিত, যেন তাহাদের অন্তর্জ্বালা জন্মে।ভাল, তাহাদের পতনে যখন জগতের ধনাগম হইল, এবং তাহাদের ক্ষতিতে যখন পরজাতীয়দের ধনাগম হইল, তখন তাহাদের পূর্ণতায় আরও কত অধিক না হইবে?কিন্তু, হে পরজাতীয়েরা, তোমাদিগকে বলিতেছি; পরজাতীয়দের জন্য প্রেরিত বলিয়া আমি নিজ পরিচর্যা-পদের গৌরব করিতেছি;যদি কোন প্রকারে আমার স্বজাতীয়দের অন্তর্জ্বালা জন্মাইয়া তাহাদের মধ্যে কতকগুলি লোকের পরিত্রাণ করিতে পারি।কারণ তাহাদের দূরীকরণে যখন জগতের সম্মিলন হইল, তখন তাহাদিগকে গ্রহণ করণে মৃতদের মধ্য হইতে জীবন লাভ ব্যতীত আর কি হইবে?আর অগ্রিমাংশ যদি পবিত্র হয়, তবে সুজির তালও পবিত্র; এবং মূল যদি পবিত্র হয়, তবে শাখা সকলও পবিত্র।আর কতকগুলি শাখা যদি ভাঙ্গিয়া ফেলা হইল, এবং তুমি বন্য জলপাইবৃক্ষের চারা হইলেও যদি তাহাদের মধ্যে তোমাকে কলমরূপে লাগান গেল, আর তুমি জলপাইবৃক্ষের রসের মূলের অংশী হইলে,তবে সেই শাখা সকলের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না; কিন্তু যদি শ্লাঘা কর, তুমি মূলকে ধারণ করিতেছ না, কিন্তু মূলই তোমাকে ধারণ করিতেছে।ইহাতে তুমি বলিবে, আমাকে কলমরূপে লাগাইবার জন্যই কতকগুলি শাখা ভাঙ্গিয়া ফেলা হইয়াছে।ঈশ্বর আপনার যে প্রজাবৃন্দকে পূর্বে জ্ঞাত ছিলেন, তাহাদিগকে ত্যাগ করেন নাই। অথবা তোমরা কি জান না, এলিয়ের ইতিহাসে শাস্ত্র কি বলে? তিনি ইস্রায়েলের বিপক্ষে ঈশ্বরের নিকটে এইরূপে অনুরোধ করেন,
যীশু খ্রীষ্টের বংশাবলি-পত্র, তিনি দায়ূদের সন্তান, অব্রাহামের সন্তান।হিষ্কিয়ের পুত্র মনঃশি; মনঃশির পুত্র আমোন; আমোনের পুত্র যোশিয়;যোশিয়ের সন্তান যিকনিয় ও তাঁহার ভ্রাতৃগণ, বাবিলে নির্বাসন কালে জাত।যিকনিয়ের পুত্র শল্টীয়েল, বাবিলে নির্বাসনের পরে জাত; শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল;সরুব্বাবিলের পুত্র অবীহূদ; অবীহূদের পুত্র ইলীয়াকীম; ইলীয়াকীমের পুত্র আসোর;আসোরের পুত্র সাদোক; সাদোকের পুত্র আখীম; আখীমের পুত্র ইলীহূদ;ইলীহূদের পুত্র ইলিয়াসর; ইলিয়াসরের পুত্র মত্তন; মত্তনের পুত্র যাকোব;যাকোবের পুত্র যোষেফ; ইনি মরিয়মের স্বামী; এই মরিয়মের গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, যাঁহাকে খ্রীষ্ট [অভিষিক্ত] বলে।এইরূপে অব্রাহাম অবধি দায়ূদ পর্যন্ত সর্বসুদ্ধ চৌদ্দ পুরুষ; দায়ূদ অবধি বাবিলে নির্বাসন পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; এবং বাবিলে নির্বাসন অবধি খ্রীষ্ট পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ।
আমাদের পিতৃপুরুষগণের প্রতি কৃপা করিবার জন্য, আপন পবিত্র নিয়ম স্মরণ করিবার জন্য।এই সেই দিব্য, যাহা তিনি আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহামের কাছে শপথ করিয়াছিলেন,
তোমরা ভাববাদিগণের সন্তান, আর সেই নিয়মেরও সন্তান, যাহা ঈশ্বর তোমাদের পিতৃপুরুষদের সহিত স্থাপন করিয়াছিলেন, তিনি ত অব্রাহামকে বলিয়াছিলেন, “আর তোমার বংশে পৃথিবীস্থ সমস্ত পিতৃকুল আশীর্বাদ পাইবে।”
কারণ তাহারা ইস্রায়েলীয়; দত্তকপুত্রতা, প্রতাপ, ধর্মনিয়ম সকল, ব্যবস্থাদান, আরাধনা ও প্রতিজ্ঞাসমূহ তাহাদেরই,পিতৃপুরুষেরা তাহাদের, এবং মাংস অনুসারে তাহাদেরই মধ্য হইতে খ্রীষ্ট উৎপন্ন হইয়াছেন, যিনি সর্বোপরিস্থ ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন।
কারণ ঈশ্বরের যত প্রতিজ্ঞা, তাঁহাতেই সেই সকলের ‘হাঁ’ হয়, সেই জন্য তাঁহার দ্বারা ‘আমেন’ও হয়, যেন আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব হয়।
বাস্তবিক যাহারা ব্যবস্থার ক্রিয়াবলম্বী, তাহারা সকলে শাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, “যে কেহ ব্যবস্থাগ্রন্থে লিখিত সমস্ত কথা পালন করিবার জন্য তাহাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত”।কিন্তু ব্যবস্থার দ্বারা কেহই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক গণিত হয় না, ইহা সুস্পষ্ট, কারণ “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।কিন্তু ব্যবস্থা বিশ্বাসমূলক নয়, বরং “যে কেহ এই সকল পালন করে, সে তাহাতে বাঁচিবে”।খ্রীষ্টই মূল্য দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ হইলেন; কেননা লেখা আছে, “যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত” ;যেন অব্রাহামের প্রাপ্ত আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুতে পরজাতিগণের প্রতি বর্তে, আমরা যেন বিশ্বাস দ্বারা অঙ্গীকৃত আত্মাকে প্রাপ্ত হই।
ইহাতে পবিত্র আত্মা যাহা জ্ঞাপন করেন, তাহা এই, সেই প্রথম তাম্বু যাবৎ স্থাপিত থাকে, তাবৎ পবিত্র স্থানে প্রবেশের পথ প্রকাশিত হয় নাই।সেই তাম্বু এই উপস্থিত সময়ের নিমিত্ত দৃষ্টান্ত; সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে এমন উপহার ও যজ্ঞ উৎসর্গ করা হয়, যাহা আরাধনাকারীকে বিবেকগত সিদ্ধি দিতে পারে না;
আর অদ্য সদাপ্রভুও এই অঙ্গীকার করিয়াছেন যে, তাঁহার প্রতিজ্ঞানুসারে তুমি তাঁহার নিজস্ব প্রজা হইবে ও তাঁহার সমস্ত আজ্ঞা পালন করিবে;
তিনি জানান যাকোবকে আপন বাক্য, ইস্রায়েলকে আপন বিধি ও শাসনকলাপ।সদাপ্রভু যিরূশালেম গাঁথেন, তিনি ইস্রায়েলের দূরীকৃতদিগকে সংগ্রহ করেন।তিনি আর কোন জাতির পক্ষে এইরূপ করেন নাই, তাঁহার শাসনকলাপ তাহারা জানে নাই। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
আর দেখ, সদাপ্রভু তাহার উপরে দণ্ডায়মান; তিনি কহিলেন, আমি সদাপ্রভু, তোমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর ও ইস্হাকের ঈশ্বর; এই যে ভূমিতে তুমি শয়ন করিয়া আছ, ইহা আমি তোমাকে ও তোমার বংশকে দিব।তোমার বংশ পৃথিবীর ধূলির ন্যায় [অসংখ্য] হইবে, এবং তুমি পশ্চিম ও পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ চারিদিকে বিস্তীর্ণ হইবে, এবং তোমাতে ও তোমার বংশে পৃথিবীস্থ যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।আর দেখ, আমি তোমার সহবর্তী, যে যে স্থানে তুমি যাইবে, সেই সেই স্থানে তোমাকে রক্ষা করিব, ও পুনর্বার এই দেশে আনিব; কেননা আমি তোমাকে যাহা যাহা বলিলাম, তাহা যাবৎ সফল না করি,তাবৎ তোমাকে ত্যাগ করিব না।
তখন ঈশ্বর কহিলেন, তোমার স্ত্রী সারা অবশ্য তোমার নিমিত্তে পুত্র প্রসব করিবে, এবং তুমি তাহার নাম ইস্হাক [হাস্য] রাখিবে। আর আমি তাহার সহিত আমার নিয়ম স্থাপন করিব, তাহা তাহার ভাবী বংশের পক্ষে চিরস্থায়ী নিয়ম হইবে।
আমি অদ্য তোমাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করিয়া বলিতেছি যে, আমি তোমার সম্মুখে জীবন ও মৃত্যু, আশীর্বাদ ও শাপ রাখিলাম। অতএব জীবন মনোনীত কর, যেন তুমি সবংশে বাঁচিতে পার;সেখানে যদি তুমি মনে চেতনা পাও, এবং তুমি ও তোমার সন্তানগণ যদি সমস্ত হৃদয়ের ও সমস্ত প্রাণের সহিত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে ফিরিয়া আইস, এবং অদ্য আমি তোমাকে যে সকল আজ্ঞা দিতেছি, তদনুসারে যদি তাঁহার রবে অবধান কর;তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম কর, তাঁহার রবে অবধান কর ও তাঁহাতে আসক্ত হও; কেননা তিনিই তোমার জীবন ও তোমার দীর্ঘ পরমায়ুস্বরূপ; তাহা হইলে সদাপ্রভু তোমার পিতৃপুরুষদিগকে, অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবকে, যে দেশ দিতে দিব্য করিয়াছিলেন, সেই দেশে তুমি বাস করিতে পাইবে।
কিন্তু মনোনীত করিলেন যিহূদার বংশকে, ও আপনার প্রিয় সিয়োন পর্বতকে।তিনি আপন ধর্মধাম নির্মাণ করিলেন, উচ্চ শিখরের ন্যায়, পৃথিবীর ন্যায়, যাহা তিনি চিরতরে স্থাপন করিয়াছেন।
সদাপ্রভু কহেন, তাহাদের সহিত আমার নিয়ম এই, আমার আত্মা, যিনি তোমাতে অধিষ্ঠান করিয়াছেন, ও আমার বাক্য সকল, যাহা আমি তোমার মুখে দিয়াছি, সেই সকল তোমার মুখ হইতে, তোমার বংশের মুখ হইতে ও তোমার বংশোৎপন্ন বংশের মুখ হইতে অদ্যাবধি অনন্তকাল পর্যন্ত কখনও দূর করা যাইবে না; ইহা সদাপ্রভু কহেন।
আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, এখন অবধি আমি এই দ্রাক্ষাফলের রস আর কখনও পান করিব না, সেই দিন পর্যন্ত, যখন আমি আপন পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে ইহা নূতনভাবে পান করিব।
ধন্য প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর; কেননা তিনি তত্ত্বাবধান করিয়াছেন, আপন প্রজাদের জন্য মুক্তি সাধন করিয়াছেন,আর আমাদের জন্য আপন দাস দায়ূদের কুলে পরিত্রাণের এক শৃঙ্গ উঠাইয়াছেন,
কারণ এই প্রতিজ্ঞা তোমাদের জন্য ও তোমাদের সন্তানগণের জন্য এবং দূরবর্তী সকলের জন্য যত লোককে আমাদের ঈশ্বর প্রভু ডাকিয়া আনিবেন।
কারণ যিহূদী ও গ্রীকে কোন প্রভেদ নাই; কেননা তিনি সকলেরই একমাত্র প্রভু; যত লোক তাঁহাকে ডাকে, সেই সকলের পক্ষে তিনি ধনবান।কারণ “যে কেহ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাইবে।”
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
আমি তোমাদের সহিত আমার নিয়ম স্থির করি; জলপ্লাবন দ্বারা সমস্ত প্রাণী আর উচ্ছিন্ন হইবে না, এবং পৃথিবীর বিনাশার্থ জলপ্লাবন আর হইবে না।
দেখ, আমিই তোমার সহিত আপন নিয়ম স্থির করিতেছি, তুমি বহুজাতির আদিপিতা হইবে।তোমার নাম অব্রাম [মহাপিতা] আর থাকিবে না, কিন্তু তোমার নাম অব্রাহাম [বহুলোকের পিতা] হইবে; কেননা আমি তোমাকে বহুজাতির আদিপিতা করিলাম।
তিনি নির্মাণ করিয়াছেন আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও তাহার মধ্যে যাহা কিছু আছে; তিনি অনন্তকাল সত্য পালন করেন।
এই জন্য আমি মহানদের মধ্যে তাঁহাকে অংশ দিব, তিনি পরাক্রমীদের সহিত লুট বিভাগ করিবেন, কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য আপন প্রাণ ঢালিয়া দিলেন, তিনি অধর্মীদের সহিত গণিত হইলেন; আর তিনিই অনেকের পাপভার তুলিয়া লইয়াছেন, এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করিতেছেন।
যথা, সদাপ্রভু কহেন, তোমরা যদি দিবস সম্বন্ধীয় আমার নিয়ম কিম্বা রাত্রি সম্বন্ধীয় আমার নিয়ম এইরূপ ভঙ্গ করিতে পার যে, যথাসময়ে দিবস কি রাত্রি না হয়,তবে আমার দাস দায়ূদের সহিত আমার যে নিয়ম আছে, তাহাও ভঙ্গ করা যাইবে, তাহার সিংহাসনে বসিতে তাহার বংশজাত লোকের অভাব হইবে; এবং আমার পরিচারক লেবীয় যাজকদের সহিত কৃত আমার নিয়মও ভঙ্গ করা হইবে।
আমি তাহাদিগকে একই হৃদয় দান করিব, ও তোমাদের অন্তরে এক নূতন আত্মা স্থাপন করিব; আর তাহাদের মাংস হইতে প্রস্তরময় হৃদয় দূর করিব, তাহাদিগকে মাংসময় হৃদয় দিব,
এই জন্য উহা বিশ্বাস দ্বারা হয়, যেন অনুগ্রহ অনুসারে হয়। অভিপ্রায় এই, যেন সেই প্রতিজ্ঞা সমস্ত বংশের পক্ষে, কেবল ব্যবস্থাবলম্বী বংশের পক্ষে নয়, কিন্তু অব্রাহামের বিশ্বাসাবলম্বী বংশেরও পক্ষে অটল থাকে; তিনি আমাদের সকলের পিতা,
হে ভ্রাতৃগণ, আমি মনুষ্যের মত বলিতেছি। মনুষ্যের নিয়মপত্র হইলেও তাহা যখন স্থিরীকৃত হয়, তখন কেহ তাহা বিফল করে না, কিম্বা তাহাতে নূতন কথা যোগ করে না।
কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন; তিনি স্ত্রীজাত, ব্যবস্থার অধীনে জাত হইলেন,যেন তিনি মূল্য দিয়া ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তকপুত্রত্ব প্রাপ্ত হই।
মনে করিও না যে, আমি ব্যবস্থা কি ভাববাদী গ্রন্থ লোপ করিতে আসিয়াছি; আমি তাহা লোপ করিতে আসি নাই, কিন্তু পূর্ণ করিতে আসিয়াছি।
আমি তাহাদের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, আমি তাহাদের হৃদয়ে আমার ব্যবস্থা দিব, আর তাহাদের চিত্তে তাহা লিখিব,”
আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি এই সকল বাক্য লিপিবদ্ধ কর, কেননা আমি এই সকল বাক্যানুসারে তোমার ও ইস্রায়েলের সহিত নিয়ম স্থির করিলাম।
তিনি তোমার পিতৃপুরুষদিগকে প্রেম করিতেন, তাই তাঁহাদের পরে তাঁহাদের বংশকেও মনোনীত করিলেন, এবং আপন শ্রীমুখ ও মহাপরাক্রম দ্বারা তোমাকে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিলেন;যেন তোমা অপেক্ষা মহান ও বিক্রমী জাতিদিগকে তোমার সম্মুখ হইতে দূর করিয়া তাহাদের দেশে তোমাকে প্রবেশ করান, ও অধিকারার্থে তোমাকে সেই দেশ দেন, যেমন অদ্য [দেখিতেছ]।
তাহার সন্তানেরা যদি আমার ব্যবস্থা ত্যাগ করে, ও আমার শাসনানুসারে না চলে;যদি আমার বিধি সকল লঙ্ঘন করে, ও আমার আজ্ঞা সকল পালন না করে;তবে আমি অপরাধের জন্য দণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাস্তি দিব, অধর্মের জন্য নানা প্রকারে আঘাত করিব;
সদাপ্রভু, তোমার করুণা ও দয়া স্মরণ কর, কেননা উভয়ই অনাদি।আমার যৌবনের পাপ ও আমার অধর্ম সকল স্মরণ করিও না, সদাপ্রভু, তোমার মঙ্গলভাবের অনুরোধে, তোমার দয়ানুসারে আমাকে স্মরণ কর।
আর এই প্রকারে সমস্ত ইস্রায়েল পরিত্রাণ পাইবে; যেমন লিখিত আছে, “সিয়োন হইতে মুক্তিদাতা আসিবেন; তিনি যাকোব হইতে ভক্তিহীনতা দূর করিবেন;আর ইহাই তাহাদের পক্ষে আমার নিয়ম, যখন আমি তাহাদের পাপ সকল হরণ করিব।”
[তাঁহার স্তব কর,] যিনি প্রথমজাতদের সম্বন্ধে মিসরকে আঘাত করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীএবং তাহাদের মধ্য হইতে ইস্রায়েলকে বাহির করিয়া আনিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীবলবান হস্ত ও বিস্তারিত বাহু দ্বারাই আনিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
“দেখ, আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত, আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিব, আর তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করিবেন।
তোমরা ত জান, তোমাদের পিতৃপুরুষগণের সমর্পিত অলীক আচার-ব্যবহার হইতে তোমরা ক্ষয়ণীয় বস্তু দ্বারা, রৌপ্য বা স্বর্ণ দ্বারা, মুক্ত হও নাই,কিন্তু নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক মেষশাবকস্বরূপ খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দ্বারা মুক্ত হইয়াছ।
তিনি আপন প্রজাদের কাছে মুক্তি পাঠাইয়াছেন; তিনি চিরকাল তরে আপন নিয়ম স্থির করিয়াছেন; তাঁহার নাম পবিত্র ও ভয়াবহ।
তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন, তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে, তখন তিনি আপন বংশ দেখিবেন, দীর্ঘায়ু হইবেন, এবং তাঁহার হস্তে সদাপ্রভুর মনোরথ সিদ্ধ হইবে;তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন, এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন।
কিন্তু তোমরা গিয়া শিক্ষা কর, এই বচনের মর্ম কি, “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়”; কেননা আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকে ডাকিতে আসিয়াছি।
পৃথিবীর প্রান্তস্থিত সকলে স্মরণ করিয়া সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিবে; জাতিগণের সমস্ত গোষ্ঠী তোমার সম্মুখে প্রণিপাত করিবে।
অতএব বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি;কেননা যখন আমরা শত্রু ছিলাম, তখন যদি ঈশ্বরের সহিত তাঁহার পুত্রের মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত হইলাম, তবে সম্মিলিত হইয়া কত অধিক নিশ্চিত যে, তাঁহার জীবনে পরিত্রাণ পাইব।কেবল তাহা নয়, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরে শ্লাঘাও করিয়া থাকি, যাঁহার দ্বারা এখন আমরা সেই সম্মিলন লাভ করিয়াছি।অতএব যেমন এক মনুষ্য দ্বারা পাপ ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল;কারণ ব্যবস্থার পূর্বেও জগতে পাপ ছিল; কিন্তু ব্যবস্থা না থাকিলে পাপ গণিত হয় না।তথাপি যাহারা আদমের আজ্ঞালঙ্ঘনের সাদৃশ্যে পাপ করে নাই, আদম অবধি মোশি পর্যন্ত তাহাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করিয়াছিল। আর আদম সেই ভাবী ব্যক্তির প্রতিরূপ।কিন্তু অপরাধ যেরূপ, অনুগ্রহ-দানটি সেইরূপ নয়। কেননা সেই একের অপরাধে যখন অনেকে মরিল, তখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আর এক ব্যক্তির- যীশু খ্রীষ্টের- অনুগ্রহে দত্ত দান, অনেকের প্রতি আরও অধিক উপচিয়া পড়িল।আর, এক ব্যক্তি পাপ করাতে যেমন ফল হইল, এই দান তেমন নয়; কেননা বিচার এক ব্যক্তি হইতে দণ্ডাজ্ঞা পর্যন্ত, কিন্তু অনুগ্রহ-দান অনেক অপরাধ হইতে ধার্মিক-গণনা পর্যন্ত।কারণ সেই একের অপরাধে যখন সেই একের দ্বারা মৃত্যু রাজত্ব করিল, তখন সেই আর এক ব্যক্তি অর্থাৎ, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, যাহারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তাহারা কত অধিক নিশ্চিতরূপে জীবনে রাজত্ব করিবে।অতএব যেমন এক অপরাধ দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে দণ্ডাজ্ঞা পর্যন্ত ফল উপস্থিত হইল, তেমনি ধার্মিকতার একটি কার্য দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে জীবনদায়ক ধার্মিক-গণনা পর্যন্ত ফল উপস্থিত হইল।কারণ যেমন সেই এক মনুষ্যের অনাজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে পাপী বলিয়া ধরা হইল, তেমনি সেই আর এক ব্যক্তির আজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে ধার্মিক বলিয়া ধরা হইবে।আর তাঁহারই দ্বারা আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাঁড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি।
দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি প্রসন্নতার সময়ে তোমার প্রার্থনার উত্তর দিয়াছি, এবং পরিত্রাণের দিবসে তোমার সাহায্য করিয়াছি; আর আমি তোমাকে রক্ষা করিব, ও তোমাকে প্রজাবৃন্দের সন্ধিরূপে দিয়াছি; তাহাতে তুমি দেশের উন্নতি সাধন করিবে, ও ধ্বংসিত অধিকার সকল অধিকারে আনিবে;তুমি বন্দিগণকে বলিবে, বাহির হও; যাহারা অন্ধকারে আছে, তাহাদিগকে বলিবে প্রকাশিত হও। তাহারা পথে পথে চরিবে, ও বৃক্ষশূন্য গিরিশ্রেণী তাহাদের চরাণি-স্থান হইবে।
আর আমি তোমাদের পিতৃপুরুষদিগকে যে দেশ দিয়াছি, সেই দেশে তোমরা বাস করিবে; আর তোমরা আমার প্রজা হইবে, এবং আমিই তোমাদের ঈশ্বর হইব।
কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।
কেননা আমি তৃষিত ভূমির উপরে জল, এবং শুষ্ক স্থানের উপরে জলপ্রবাহ ঢালিয়া দিব; আমি তোমার বংশের উপরে আপন আত্মা, তোমার সন্তানদের উপরে আপন আশীর্বাদ, ঢালিব।
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।কেননা যে কেহ যাচ্ঞা করে, সে গ্রহণ করে; এবং যে অন্বেষণ করে, সে পায়; আর যে আঘাত করে, তাহার জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
কেননা আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি; কারণ উহা প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমতঃ যিহূদীর পক্ষে, আর গ্রীকেরও পক্ষে।কারণ ঈশ্বর-দেয় এক ধার্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, “কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।
কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
আর শান্তির ঈশ্বর, যিনি অনন্তকালস্থায়ী নিয়মের রক্ত প্রযুক্ত সেই মহান পাল-রক্ষককে, আমাদের প্রভু যীশুকে, মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন,তিনি আপন ইচ্ছা সাধনার্থে তোমাদিগকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ব করুন, আপনার দৃষ্টিতে যাহা প্রীতিজনক, তাহা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, সমপন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁহার মহিমা হউক। আমেন।
আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে আমোদ করিব, সেই সকল আমি ভালবাসি।আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সেই সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।
তব পবিত্র মন্দিরের অভিমুখে প্রণিপাত করিব, তব দয়া ও তব সত্য প্রযুক্ত তোমার নামের স্তব করিব; কেননা তোমার সমস্ত নাম অপেক্ষা তুমি আপন বচন মহিমান্বিত করিয়াছ।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
আমি আমার নিয়ম ব্যর্থ করিব না, আমার ওষ্ঠনির্গত বাক্য অন্যথা করিব না।আমি আমার পবিত্রতায় একবার শপথ করিয়াছি, দায়ূদের নিকটে কখনও মিথ্যা বলিব না।
কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য যে বিফল হইয়া পড়িয়াছে, এমন নহে; কারণ যাহারা ইস্রায়েল হইতে উৎপন্ন, তাহারা সকলেই যে ইস্রায়েল, তাহা নয়;
সদাপ্রভু কহেন, তোমরাই আমার সাক্ষী, এবং আমার মনোনীত দাস; যেন তোমরা জানিতে ও আমাতে বিশ্বাস করিতে পার, এবং বুঝিতে পার যে, আমিই তিনি; আমার পূর্বে কোন ঈশ্বর নির্মিত হয় নাই এবং আমার পরেও হইবে না।
তথাপি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি লক্ষ্য করিয়া অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করিলেন না; কিন্তু বিশ্বাসে বলবান হইলেন,
সদাপ্রভু আমার পক্ষে সকলই সিদ্ধ করিবেন; হে সদাপ্রভু, তোমার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তোমার স্বহস্তের কর্ম পরিত্যাগ করিও না।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি অতি মহান; তুমি প্রভা ও প্রতাপ পরিহিত।তিনি তলভূমিতে প্রবাহ প্রেরণ করিয়া থাকেন; সেই সকল পর্বতগণের মধ্যে ভ্রমণ করে।সেই সকল মাঠের সমস্ত পশুকে জল দেয়; বনগর্দভেরা তৃষ্ণা নিবারণ করে।সেই সকলের তীরে আকাশের পক্ষিগণ বাসা করে, ডালের মধ্য হইতে নিজ নিজ রব শুনায়।তিনি আপন কক্ষ হইতে পর্বতে জল সেচন করেন; তোমার কার্যের ফলে পৃথিবী পরিতৃপ্ত হয়।তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।পরিতৃপ্ত হইয়াছে সদাপ্রভুর বৃক্ষ সকল, লিবানোনের সেই এরস বৃক্ষরাজি, যাহা তিনি রোপণ করিয়াছেন।তাহার মধ্যে ক্ষুদ্র পক্ষিগণ বাসা করে; দেবদারু বৃক্ষ হাড়গিলার বাটী।উচ্চ পর্বত সকল বনচ্ছাগের আবাস, শৈল সকল শাফন পশুর আশ্রয়।তিনি ঋতুর জন্য চন্দ্র নির্মাণ করিয়াছেন, সূর্য আপন অস্তগমনের সময় জানে।তুমি বস্ত্রের ন্যায় দীপ্তি পরিধান করিয়াছ, আকাশমণ্ডলকে চন্দ্রাতপের ন্যায় বিস্তার করিয়াছ।তুমি অন্ধকার করিলে রাত্রি হয়, তখন বনপশু সকল বিহার করে,যুবসিংহগণ মৃগের চেষ্টায় গর্জন করে, ঈশ্বরের কাছে তাহাদের খাদ্য অন্বেষণ করে।সূর্য উদিত হইলে তাহারা চলিয়া যায়, আপন আপন গহ্বরে শয়ন করে।মনুষ্য আপন কার্যে বাহির হয়, আর সায়ংকাল পর্যন্ত শ্রম করে।হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।ঐ যে সমুদ্র, বৃহৎ ও চারিদিকে বিস্তীর্ণ, তথায় জঙ্গমেরা থাকে, তাহারা অগণ্য; ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড কত জীবজন্তু থাকে।তথায় পোতরাজি বিহার করে, তথায় সেই লিবিয়াথন থাকে, যাহা তুমি তথায় লীলা করিবার জন্য নির্মাণ করিয়াছ।ইহারা সকলেই তোমার অপেক্ষায় থাকে, যেন তুমি যথাসময়ে তাহাদের ভক্ষ্য দেও।তুমি তাহাদিগকে দিলে তাহারা কুড়ায়; তুমি হস্ত মুক্ত করিলে তাহারা মঙ্গলে তৃপ্ত হয়।তুমি নিজ মুখ আচ্ছাদন করিলে তাহারা বিহ্বল হয়; তুমি তাহাদের নিশ্বাস হরণ করিলে তাহারা মরিয়া যায়, তাহাদের ধূলিতে প্রতিগমন করে।তিনি জলে আপন উপরিস্থ কক্ষের কড়িকাষ্ঠ স্থাপন করিয়াছেন, তিনি মেঘকে আপনার রথ করিয়া থাকেন, বায়ুপক্ষের উপরে গমনাগমন করেন।তুমি নিজ আত্মা পাঠাইলে তাহাদের সৃষ্টি হয়, আর তুমি ভূমিতল নবীন করিয়া থাক।সদাপ্রভুর গৌরব অনন্তকাল থাকুক, সদাপ্রভু আপন কার্য সকলে আনন্দ করুন।তিনি পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে তাহা কাঁপে; তিনি পর্বতরাজিকে স্পর্শ করিলে তাহারা ধূমায়মান হয়।আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; আমি যতকাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।তাঁহার কাছে আমার ধ্যান মধুর হউক; আমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করিব।পাপিগণ পৃথিবী হইতে উচ্ছিন্ন হউক, দুষ্টগণ আর না থাকুক। হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।তিনি বায়ু সকলকে আপনার দূত, অগ্নিশিখাকে আপনার পরিচারক করেন। তিনি পৃথিবীকে তাহার ভিত্তিমূলের উপরে স্থাপন করিয়াছেন; তাহা অনন্তকালেও বিচলিত হইবে না।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।