তোমার জীবনে একটা অসাধারণ লক্ষ্য আছে, আর তা হলো সবাইকে সুসংবাদটা জানানো। সারা পৃথিবীতে ঈশ্বরের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। “তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা সমস্ত জগতে যাও এবং সমস্ত সৃষ্টির কাছে সুসমাচার প্রচার কর।’” (মার্ক ১৬:১৫) তাই ঈশ্বরের এই অপূর্ব লক্ষ্য পূরণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো। যারা এখনও ঈশ্বরকে জানে না তাদের সবার কাছে তাঁর কথা বলো। ঈশ্বরের বাক্য পড়ার জন্য আগ্রহী হও, আর তাহলেই তুমি বুঝতে পারবে ঈশ্বর তোমার পথে যাদের পাঠাবেন তাদের সাথে কীভাবে কথা বলতে হবে। সাহস করে ঈশ্বরের দেওয়া পরিত্রাণ এবং অনন্ত জীবনের সুন্দর বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দাও। ঈশ্বর তোমাকে প্রতিদিন তাঁর বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত করবেন। “কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর নিজের প্রেম প্রমাণ করেন, যখন আমরা পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করলেন।” (রোমীয় ৫:৮)
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, যাহার বিশ্বাসভূমি সদাপ্রভু।সে জলের নিকটে রোপিত এমন বৃক্ষের ন্যায় হইবে, যাহা নদীকূলে মূল বিস্তার করে, গ্রীষেমর আগমনে সে ভয় করিবে না, এবং তাহার পত্র সতেজ থাকিবে; অনাবৃষ্টির বৎসরেও সে নিশ্চিন্ত থাকিবে, ফলদানেও নিবৃত্ত হইবে না।
আমি প্রকৃত দ্রাক্ষালতা এবং আমার পিতা কৃষক।তোমরা যদি আমার আজ্ঞা সকল পালন কর, তবে আমার প্রেমে অবস্থিতি করিবে, যেমন আমিও আমার পিতার আজ্ঞা সকল পালন করিয়াছি, এবং তাঁহার প্রেমে অবস্থিতি করিতেছি।এই সকল কথা তোমাদিগকে বলিয়াছি, যেন আমার আনন্দ তোমাদের মধ্যে থাকে, এবং তোমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।আমার আজ্ঞা এই, তোমরা পরস্পর প্রেম কর, যেমন আমি তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি।কেহ যে আপন বন্ধুদের নিমিত্ত নিজ প্রাণ সমর্পণ করে, ইহা অপেক্ষা অধিক প্রেম কাহারও নাই।আমি তোমাদিগকে যাহা কিছু আজ্ঞা দিতেছি, তাহা যদি পালন কর, তবে তোমরা আমার বন্ধু।আমি তোমাদিগকে আর দাস বলি না, কেননা প্রভু কি করেন, দাস তাহা জানে না; কিন্তু তোমাদিগকে আমি বন্ধু বলিয়াছি, কারণ আমার পিতার নিকটে যাহা যাহা শুনিয়াছি, সকলই তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছি।তোমরা যে আমাকে মনোনীত করিয়াছ, এমন নয়, কিন্তু আমিই তোমাদিগকে মনোনীত করিয়াছি; আর আমি তোমাদিগকে নিযুক্ত করিয়াছি, যেন তোমরা গিয়া ফলবান হও, এবং তোমাদের ফল যেন থাকে; যেন তোমরা আমার নামে পিতার নিকটে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা তিনি তোমাদিগকে দেন।এই সকল তোমাদিগকে আজ্ঞা করিতেছি, যেন তোমরা পরস্পর প্রেম কর।জগৎ যদি তোমাদিগকে দ্বেষ করে, তোমরা ত জান, সে তোমাদের অগ্রে আমাকে দ্বেষ করিয়াছে।তোমরা যদি জগতের হইতে, তবে জগৎ আপনার নিজস্ব বলিয়া ভাল বাসিত; কিন্তু তোমরা ত জগতের নহ, বরং আমি তোমাদিগকে জগতের মধ্য হইতে মনোনীত করিয়াছি, এই জন্য জগৎ তোমাদিগকে দ্বেষ করে।আমাতে স্থিত যে কোন শাখায় ফল না ধরে, তাহা তিনি কাটিয়া ফেলিয়া দেন; এবং যে কোন শাখায় ফল ধরে, তাহা পরিষ্কার করেন, যেন তাহাতে আরও অধিক ফল ধরে।
তোমরা যে আমাকে মনোনীত করিয়াছ, এমন নয়, কিন্তু আমিই তোমাদিগকে মনোনীত করিয়াছি; আর আমি তোমাদিগকে নিযুক্ত করিয়াছি, যেন তোমরা গিয়া ফলবান হও, এবং তোমাদের ফল যেন থাকে; যেন তোমরা আমার নামে পিতার নিকটে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা তিনি তোমাদিগকে দেন।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে।ভাল গাছে মন্দ ফল ধরিতে পারে না, এবং মন্দ গাছে ভাল ফল ধরিতে পারে না।যে কোন গাছে ভাল ফল ধরে না, তাহা কাটিয়া আগুনে ফেলিয়া দেওয়া যায়।কেননা যেরূপ বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরূপ বিচারে তোমরাও বিচারিত হইবে; এবং তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে।অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।
আমি দ্রাক্ষালতা, তোমরা শাখা; যে আমাতে থাকে, এবং যাহাতে আমি থাকি, সেই ব্যক্তি প্রচুর ফলে ফলবান হয়; কেননা আমা ভিন্ন তোমরা কিছুই করিতে পার না।
আর যে কাঁটাবনের মধ্যে উপ্ত, এ সেই যে সেই বাক্য শুনে, আর সংসারের চিন্তা ও ধনের মায়া সেই বাক্য চাপিয়া রাখে, তাহাতে সে ফলহীন হয়।
অতএব, হে আমার ভ্রাতৃগণ, খ্রীষ্টের দেহ দ্বারা ব্যবস্থার সম্বন্ধে তোমাদেরও মৃত্যু হইয়াছে, যেন তোমরা অন্যের হও, যিনি মৃতদের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইয়াছেন, তাঁহারই হও; যেন আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে ফল উৎপন্ন করি।
যদি তোমরা আমার বিধিপথে চল, আমার আজ্ঞা সকল মান, ও সেই সমস্ত পালন কর,আর আমি তোমাদের উচ্চস্থল সকল ভগ্ন করিব, তোমাদের সূর্যপ্রতিমা সকল নষ্ট করিব, ও তোমাদের পুত্তলিকাদের শবের উপরে তোমাদের শব ফেলিয়া দিব; এবং আমার প্রাণ তোমাদিগকে ঘৃণা করিবে।আর আমি তোমাদের নগর সকল উৎসন্ন করিব, তোমাদের ধর্মধাম সকল ধ্বংস করিব, ও তোমাদের সৌরভের আঘ্রাণ লইব না।আর আমি দেশ ধ্বংস করিব, ও তত্রবাসী তোমাদের শত্রুগণ তদ্বিষয়ে চমৎকৃত হইবে।আর আমি তোমাদিগকে জাতিগণের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করিব, ও তোমাদের পশ্চাতে খড়্গ নিষ্কোষ করিব, তাহাতে তোমাদের দেশ সকল ধ্বংসস্থান ও তোমাদের নগর সকল উৎসন্ন হইবে।তখন যত দিন দেশ ধ্বংসস্থান থাকিবে, ও তোমরা শত্রুগণের দেশে বাস করিবে, ততদিন ভূমি স্বীয় বিশ্রামকাল ভোগ করিবে; তৎকালে ভূমি বিশ্রাম পাইবে, ও স্বীয় বিশ্রামকাল ভোগ করিবে।যতকাল দেশ ধ্বংসস্থান হইয়া থাকিবে, ততকাল বিশ্রাম করিবে; কেননা যখন তোমরা দেশে বাস করিতে, তখন দেশ তোমাদের বিশ্রামকালে বিশ্রাম ভোগ করিত না।আর তোমাদের মধ্যে যাহারা অবশিষ্ট থাকিবে, আমি শত্রুদেশে তাহাদের হৃদয়ে বিষণ্নতা প্রেরণ করিব, এবং চালিত পত্রের শব্দ তাহাদিগকে তাড়াইয়া লইয়া যাইবে; লোকে যেমন খড়্গের মুখ হইতে পলায়, তাহারা তদ্রূপ পলাইবে, এবং কেহ না তাড়াইলেও পতিত হইবে।কেহ না তাড়াইলেও তাহারা যেমন খড়্গের সম্মুখে, তেমনি একজন অন্য জনের উপরে পতিত হইবে; এবং শত্রুদের সম্মুখে দাঁড়াইতে তোমাদের ক্ষমতা হইবে না।আর তোমরা জাতিগণের মধ্যে বিনষ্ট হইবে, ও তোমাদের শত্রুদের দেশ তোমাদিগকে গ্রাস করিবে।আর তোমাদের মধ্যে যাহারা অবশিষ্ট থাকিবে, তাহারা আপন আপন অপরাধে শত্রুদেশে ক্ষয় পাইবে; এবং তাহাদের পিতৃপুরুষদেরও অপরাধে তাহাদের সহিত ক্ষয় পাইবে।তবে আমি যথাকালে তোমাদিগকে বৃষ্টি দান করিব; তাহাতে ভূমি শস্য উৎপন্ন করিবে ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সকল স্ব স্ব ফল দিবে।
সে জলস্রোতের তীরে রোপিত বৃক্ষের সদৃশ হইবে, যাহা যথা সময়ে ফল দেয়, যাহার পত্র ম্লান হয় না; আর সে যাহা কিছু করে, তাহাতেই কৃতকার্য হয়।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।
কারণ এমন ভাল গাছ নাই, যাহাতে মন্দ ফল ধরে, এবং এমন মন্দ গাছও নাই, যাহাতে ভাল ফল ধরে। স্ব স্ব ফল দ্বারাই প্রত্যেক গাছ চেনা যায়; লোকে ত কাঁটাবন হইতে ডুমুর সংগ্রহ করে না,এবং শ্যাকুলের ঝোপ হইতে দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করে না।ভাল মানুষ আপন হৃদয়ের ভাল ভাণ্ডার হইতে ভালই বাহির করে; এবং মন্দ মানুষ মন্দ ভাণ্ডার হইতে মন্দই বাহির করে; যেহেতু হৃদয়ের উপচয় হইতে তাহার মুখ কথা কহে।
কিন্তু আমি বলি, তোমরা আত্মার বশে চল, তাহা হইলে মাংসের অভিলাষ পূর্ণ করিবে না।কেননা মাংস আত্মার বিরুদ্ধে, এবং আত্মা মাংসের বিরুদ্ধে অভিলাষ করে; কারণ এই দুইয়ের একটি অন্যটির বিপরীত, তাই তোমরা যাহা ইচ্ছা কর, তাহা সাধন কর না।কিন্তু যদি আত্মা দ্বারা চালিত হও, তবে তোমরা ব্যবস্থার অধীন নও।
ঈশ্বর আরও কহিলেন, দেখ, আমি সমস্ত ভূতলে স্থিত যাবতীয় বীজোৎপাদক ওষধি ও যাবতীয় সবীজ ফলদায়ী বৃক্ষ তোমাদিগকে দিলাম, তাহা তোমাদের খাদ্য হইবে।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
তোমাদের মধ্যে জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান কে? সে সদাচরণ দ্বারা জ্ঞানের মৃদুতায় নিজ ক্রিয়া দেখাইয়া দিউক।
অতএব মন পরিবর্তনের উপযুক্ত ফলে ফলবান হও; এবং মনে মনে বলিতে আরম্ভ করিও না যে, অব্রাহাম আমাদের পিতা; কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ঈশ্বর এই সকল পাথর হইতে অব্রাহামের জন্য সন্তান উৎপন্ন করিতে পারেন।আর এখনই বৃক্ষ সকলের মূলে কুঠার লাগান আছে; অতএব যে কোন গাছে উত্তম ফল ধরে না, তাহা কাটিয়া অগ্নিতে ফেলিয়া দেওয়া যায়।
আমাতে স্থিত যে কোন শাখায় ফল না ধরে, তাহা তিনি কাটিয়া ফেলিয়া দেন; এবং যে কোন শাখায় ফল ধরে, তাহা পরিষ্কার করেন, যেন তাহাতে আরও অধিক ফল ধরে।
আর আমাদের লোকেরাও প্রয়োজনীয় উপকারার্থে সৎকার্যে ব্যাপৃত হইতে অভ্যাস করুক, যেন ফলহীন হইয়া না পড়ে।
ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;
কিন্তু যে জ্ঞান উপর হইতে আইসে, তাহা প্রথমে শুচি, পরে শান্তিপ্রিয়, ক্ষান্ত, সহজে অনুনীত, দয়া ও উত্তম উত্তম ফলে পরিপূর্ণ, ভেদাভেদবিহীন ও নিষ্কপট।
আর ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ,ও সদ্গুণে জ্ঞান ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য,ও ধৈর্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম যোগাও।কেননা এই সমস্ত যদি তোমাদের মধ্যে থাকে ও উপচিয়া পড়ে, তবে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে তোমাদিগকে অলস কি ফলহীন থাকিতে দিবে না।
তাহাতে তাহা ফলহীন হয়। আর যাহারা উত্তম ভূমিতে উপ্ত, তাহারা এমন লোক, যাহারা সেই বাক্য শুনিয়া গ্রাহ্য করে, এবং কেহ ত্রিশ গুণ, কেহ ষাট গুণ, ও কেহ শত গুণ, ফল দেয়।
যাহারা সজল নয়নে বীজ বপন করে, তাহারা আনন্দগান-সহ শস্য কাটিবে।যে ব্যক্তি রোদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, গমের বীজ যদি মৃত্তিকায় পড়িয়া না মরে, তবে তাহার একটিমাত্র থাকে; কিন্তু যদি মরে, তবে অনেক ফল উৎপন্ন করে।
কারণ তোমরা এক সময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে দীপ্তি হইয়াছ;দীপ্তির সন্তানদের ন্যায় চল- কেননা সর্বপ্রকার মঙ্গলভাবে, ধার্মিকতায় ও সত্যে দীপ্তির ফল হয়-
আর হে ভ্রাতৃগণ, আমার ইচ্ছা নয় যে, তোমরা এই বিষয় অজ্ঞাত থাক, আমি বার বার তোমাদের কাছে আসিবার মনস্থ করিয়াছি- আর এই পর্যন্ত নিবারিত হইয়া আসিয়াছি- যেন পরজাতীয় অন্য সকল লোকের মধ্যে যেমন, তেমনি তোমাদের মধ্যেও কোন ফল প্রাপ্ত হই।
আর তদ্দ্বারা প্রভুর যোগ্যরূপে সর্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ কর, সমস্ত সৎকর্মে ফলবান ও ঈশ্বরের তত্ত্বজ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও,
আর যাহা উত্তম ভূমিতে পড়িল, তাহা এমন লোক, যাহারা সৎ ও উত্তম হৃদয়ে বাক্য শুনিয়া ধরিয়া রাখে, এবং ধৈর্য সহকারে ফল উৎপন্ন করে।
যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যাহা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পাওয়া যায়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, তোমাদের নিকট হইতে ঈশ্বরের রাজ্য কাড়িয়া লওয়া যাইবে, এবং এমন এক জাতিকে দেওয়া হইবে, যে জাতি তাহার ফল দিবে।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।আর আইস, আমরা সৎকর্ম করিতে করিতে নিরুৎসাহ না হই; কেননা ক্লান্ত না হইলে যথাসময়ে শস্য পাইব।
যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;
অতএব সেই কর্ম সমপন্ন করিবার এবং মুদ্রাঙ্ক দিয়া সেই ফল তাহাদিগকে দিবার পর, আমি তোমাদের নিকট দিয়া স্পেন দেশে গমন করিব।
সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
আর যে কেহ এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে কোন একজনকে শিষ্য বলিয়া কেবল এক বাটি শীতল জল পান করিতে দেয়, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, সে কোন মতে আপন পুরস্কারে বঞ্চিত হইবে না।
সুদের জন্য টাকা ধার দেয় না, নির্দোষের বিরুদ্ধে উৎকোচ লয় না; এই সকল কর্ম যে করে, সে কখনও বিচলিত হইবে না।
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
যে কাটে সে বেতন পায়, এবং অনন্ত জীবনের নিমিত্ত শস্য সংগ্রহ করে; যেন, যে বুনে ও যে কাটে, উভয়ে একত্রে আনন্দ করে।
কিন্তু এখন পাপ হইতে স্বাধীনীকৃত হইয়া এবং ঈশ্বরের দাস হইয়া তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাইতেছ, এবং তাহার পরিণাম অনন্ত জীবন।
কে কখন আপনি ধন ব্যয় করিয়া যুদ্ধে যায়? কে দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করে, আর তাহার ফল না খায়? অথবা কে পাল চরায়, আর পালের দুগ্ধ না খায়?
তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প; অতএব শস্যক্ষেত্রের মালিকের নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
কিন্তু আমি ঈশ্বরের বাটীতে হরিৎপর্ণ জলপাই বৃক্ষের সদৃশ; আমি অনন্তকালতরে ঈশ্বরের দয়াতে বিশ্বাস করি।
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
ঈশ্বর আরও কহিলেন, দেখ, আমি সমস্ত ভূতলে স্থিত যাবতীয় বীজোৎপাদক ওষধি ও যাবতীয় সবীজ ফলদায়ী বৃক্ষ তোমাদিগকে দিলাম, তাহা তোমাদের খাদ্য হইবে।পরে ঈশ্বর কহিলেন, দীপ্তি হউক; তাহাতে দীপ্তি হইল।আর যাবতীয় ভূচর পশু ও আকাশের যাবতীয় পক্ষী ও ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় কীট, এই সকল প্রাণীর আহারার্থে হরিৎ ওষধি সকল দিলাম। তাহাতে সেইরূপ হইল।
আর যিনি বপনকারীকে বীজ ও আহারের জন্য খাদ্য যোগাইয়া থাকেন, তিনি তোমাদের বপনের বীজ যোগাইবেন এবং প্রচুর করিবেন, আর তোমাদের ধার্মিকতার ফল বৃদ্ধি করিবেন;এইরূপে তোমরা সর্বপ্রকার দানশীলতার নিমিত্তে সর্ববিষয়ে ধনবান হইবে, আর এই দানশীলতা আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি ধন্যবাদ সমপন্ন করে।
কারণ যে ভূমি আপনার উপরে পুনঃ পুনঃ পতিত বৃষ্টি পান করিয়াছে, আর যাহাদের নিমিত্ত উহা চাষ করা গিয়াছে, তাহাদের জন্য উপযুক্ত ওষধি উৎপন্ন করে, তাহা ঈশ্বর হইতে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়;কিন্তু যদি কাঁটাবন ও শ্যাকুল উৎপন্ন করে, তবে তাহা অকর্মণ্য, ও শাপের সমীপবর্তী; জ্বলনই তাহার পরিণাম।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
ধন্য তাহারা, যাহারা আচরণে সিদ্ধ, যাহারা সদাপ্রভুর ব্যবস্থা-পথে চলে।আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি, আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।প্রাচীন লোক হইতেও আমি বুদ্ধিমান, কারণ আমি তোমার নিদেশ সকল পালন করিয়াছি।আমি সমস্ত কুপথ হইতে আমার চরণ নিবৃত্ত করিয়াছি, যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।আমি তোমার শাসনপথ হইতে ফিরি নাই, কারণ তুমিই আমাকে শিক্ষা দিয়াছ।তোমার বচন সকল আমার তালুতে কেমন মিষ্ট লাগে! তাহা আমার মুখে মধু হইতেও মধুর!তোমার নিদেশমালা দ্বারা আমার বুদ্ধিলাভ হয়, তাই আমি সমুদয় মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ, আমার পথের আলোক।আমি শপথ করিয়াছি, স্থির করিয়াছি, তোমার ধর্মময় শাসন সকল পালন করিব।আমি অতিশয় দুঃখার্ত; হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর, ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।আমার প্রাণ নিরন্তর আমার করতলে, তথাপি আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।তোমার বচন আমি হৃদয়মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি, যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।দুষ্টগণ আমার নিমিত্ত ফাঁদ পাতিয়াছে, কিন্তু আমি তোমার নিদেশপথ হইতে বিপথগামী হই না।তোমার সাক্ষ্যকলাপ আমি চিরতরে অধিকার করিয়াছি, কারণ সেই সকল আমার চিত্তের হর্ষজনক।আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিতে মনকে লওয়াইয়াছি, চিরকালের জন্য, শেষ পর্যন্ত।আমি দ্বিমনাদিগকে ঘৃণা করি, কিন্তু তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি।তুমি আমার অন্তরাল ও আমার ঢাল; আমি তোমার বাক্যে প্রত্যাশা রাখি।দুরাচারগণ, আমার নিকট হইতে দূর হও; আমি আপন ঈশ্বরের আজ্ঞা সকল পালন করিব।তোমার বচনানুসারে আমাকে ধারণ কর, তাহাতে বাঁচিব, আমাকে নিজ আশার সম্বন্ধে লজ্জিত হইতে দিও না।আমাকে ধরিয়া রাখ, তাহাতে পরিত্রাণ পাইব, আর তোমার বিধিকলাপ সর্বদা মান্য করিব।তুমি তাহাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করিয়াছ, যাহারা তোমার বিধি-পথ হইতে ভ্রমে চলে; কেননা তাহাদের প্রবঞ্চনা অসার।তুমি পৃথিবীর সমস্ত দুষ্টকে মলবৎ দূর করিয়া থাক, তাই আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ভালবাসি।ধন্য তুমি, হে সদাপ্রভু, আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।আমি ন্যায়বিচার ও ধর্মাচরণ করিয়াছি, আমাকে উপদ্রবীদের হস্তে সমর্পণ করিও না।তুমি মঙ্গলের জন্য নিজ দাসের প্রতিভূ হও, অহঙ্কারীরা আমার প্রতি উপদ্রব না করুক।আমার চক্ষু ক্ষীণ হইতেছে, তোমার পরিত্রাণের জন্য, ও তোমার ধর্মময় বচনের জন্য।তোমার দয়ানুসারে তোমার দাসের সহিত ব্যবহার কর, আর তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দেও, যেন তোমার সাক্ষ্য সকল বুঝিতে পারি।সদাপ্রভুর কার্য করিবার সময় হইল, [কেননা] লোকে তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করিয়াছে।তজ্জন্য আমি তোমার আজ্ঞা সকল ভালবাসি, স্বর্ণ হইতে, নির্মল স্বর্ণ হইতেও ভালবাসি।তজ্জন্য আমি সর্ব বিষয়ে তোমার সমুদয় নিদেশ ন্যায্য জ্ঞান করি, সমস্ত মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।তোমার সাক্ষ্যকলাপ আশ্চর্য, এই জন্য আমার প্রাণ সেই সকল পালন করে।আমি ওষ্ঠাধরে বর্ণনা করিয়াছি তোমার মুখের সমস্ত শাসন।তব বাক্যসমূহের বিকাশ আলোক প্রদান করে, তাহা অমায়িকদিগকে বুদ্ধিমান করে।আমি মুখ খুলিয়া শ্বাস ফেলিতেছিলাম, কেননা তোমার আজ্ঞা সকলের আকাঙ্ক্ষা করিতেছিলাম।আমার প্রতি ফির, ও আমার প্রতি কৃপা কর, যেমন তোমার নামপ্রিয়দের প্রতি করিয়া থাক।তোমার বচনে আমার পাদবিক্ষেপ স্থির রাখ, কোন অধর্ম আমার উপরে কর্তৃত্ব না করুক।মনুষ্যের উপদ্রব হইতে আমাকে মুক্ত কর, তাহাতে আমি তোমার নিদেশমালা পালন করিব।তোমার দাসের প্রতি তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, এবং তোমার বিধি সকল আমাকে শিক্ষা দেও।আমার চক্ষু হইতে জলধারা বহিতেছে, কারণ লোকে তোমার ব্যবস্থা পালন করে না।হে সদাপ্রভু, তুমি ধর্মময় ও তোমার শাসন সকল ন্যায্য।তুমি ধর্মশীলতায়, এবং অতীব বিশ্বস্ততায় তোমার সাক্ষ্যকলাপ আদেশ করিয়াছ।আমার উদ্যোগ আমাকে গ্রাস করিয়াছে, কারণ আমার বিপক্ষগণ তোমার বাক্য সকল ভুলিয়া গিয়াছে।আমি তোমার সাক্ষ্য-পথে আমোদ করিয়াছি, যেমন ধনসমূহে লোকে আমোদ করে।তোমার বচন অতীব পরীক্ষাসিদ্ধ, তাই তোমার দাস তাহা ভালবাসে।আমি ক্ষুদ্র ও অবজ্ঞাত, [কিন্তু] আমি তোমার নিদেশ সকল ভুলিয়া যাই নাই।তোমার ধর্মশীলতা চিরস্থায়ী ধর্মশীলতা, আর তোমার ব্যবস্থা সত্য।সঙ্কট ও দুর্দশা আমাকে পাইয়া বসিয়াছে, [তথাপি] তোমার আজ্ঞা সকল আমার হর্ষজনক।তোমার সাক্ষ্যকলাপ অনন্তকাল ধর্মময়; আমাকে বুদ্ধি দেও, তাহাতে আমি বাঁচিব।আমি সর্বান্তঃকরণে ডাকিয়াছি; হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও, আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব।আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; আমাকে পরিত্রাণ কর, তাহাতে আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিব।আমি প্রভাতের অগ্রেও আর্তনাদ করিলাম, আমি তোমার বাক্যসমূহের অপেক্ষাতে ছিলাম।আমার চক্ষু রাত্রিযামের পূর্বে উন্মীলিত ছিল, যেন তোমার বচন ধ্যান করিতে পারি।তোমার দয়ানুসারে আমার রব শুন; হে সদাপ্রভু, তোমার শাসনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর। আমি তোমার নিদেশমালা ধ্যান করিব, তোমার সকল পথের প্রতি দৃষ্টি রাখিব।কুকর্মের অনুগামীরা নিকটবর্তী; তাহারা তোমার ব্যবস্থা হইতে দূরবর্তী।হে সদাপ্রভু, তুমিই নিকটবর্তী, আর তোমার সমস্ত আজ্ঞা সত্য।আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপের দ্বারা পূর্বাবধি জানি, তুমি চিরতরে সে সমস্ত স্থাপন করিয়াছ।আমার দুঃখ দেখ, আমাকে উদ্ধার কর, কেননা আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।আমার বিবাদ নিষপত্তি কর, আমাকে মুক্ত কর, তোমার বচনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।পরিত্রাণ দুষ্টগণ হইতে দূরবর্তী, কারণ তাহারা তোমার বিধি সকলের অন্বেষণ করে না।হে সদাপ্রভু, তোমার করুণা বহুবিধ; তোমার শাসনকলাপ অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।আমার তাড়নাকারী ও বিপক্ষ অনেক, [তথাপি] আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ হইতে বিপথগামী হই নাই।আমি বিশ্বাসঘাতকদিগকে দেখিয়া ঘৃণা করিলাম, কারণ তাহারা তোমার বচন পালন করে না।দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকল কেমন ভালবাসি। সদাপ্রভু, তোমার দয়ানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।আমি তোমার বিধিকলাপে হর্ষিত হইব, তোমার বাক্য ভুলিয়া যাইব না।তোমার বাক্যের সমষ্টি সত্য, তোমার ধর্মময় প্রত্যেক শাসন চিরস্থায়ী।অধ্যক্ষেরা অকারণে আমাকে তাড়না করিয়াছে, কিন্তু আমার মন তোমার বাক্যসমূহে ভীত হয়।আমি তোমার বচনে আনন্দ করি, যেমন মহালুট পাইলে লোকে করে।আমি মিথ্যাকে দ্বেষ করি, ঘৃণা করি, তোমার ব্যবস্থাই ভালবাসি।আমি দিনে সাত বার তোমার স্তব করি, তোমার ধর্মময় শাসনকলাপের জন্য।যাহারা তোমার ব্যবস্থা ভালবাসে, তাহাদের পরম শান্তি, তাহাদের উছোট লাগে না।সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের প্রত্যাশা করিয়াছি, ও তোমার আজ্ঞা সকল পালন করিয়াছি।আমার প্রাণ তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছে, আমি সেই সকল অতিশয় ভালবাসি।আমি তোমার নিদেশমালা ও সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছি; কারণ আমার সমস্ত পথ তোমার সম্মুখে।সদাপ্রভু, আমার কাকূক্তি তোমার নিকটে উপস্থিত হউক, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে বুদ্ধি দেও।তোমার দাসের মঙ্গল কর, যেন আমি বাঁচি, তাহা হইলে আমি তোমার বাক্য পালন করিব।আমার বিনতি তোমার সম্মুখে উপস্থিত হউক, তোমার বচনানুসারে আমাকে নিস্তার কর।আমার ওষ্ঠাধর প্রশংসা করিবে, কারণ তুমি আমাকে তোমার বিধি সকল শিক্ষা দিতেছ।আমার জিহ্বা তোমার বচন কীর্তন করিবে, যেহেতু তোমার সমস্ত আজ্ঞা ধর্মময়।তোমার হস্ত আমার সহকারী হউক; কেননা আমি তোমার নিদেশমালা মনোনীত করিয়াছি।সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি, এবং তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক।আমার প্রাণ জীবিত থাকুক, সে তোমার প্রশংসা করিবে, আর তোমার শাসনকলাপ আমার সহকারী হউক।আমি হারানো মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; নিজ দাসের অন্বেষণ কর; কেননা আমি তোমার আজ্ঞাকলাপ ভুলিয়া যাই নাই।আমার নয়ন খুলিয়া দেও, যেন আমি দর্শন করি, তোমার ব্যবস্থায় আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয় দেখি।আমি পৃথিবীতে প্রবাসী, আমা হইতে তোমার আজ্ঞা সকল লুকাইও না।ধন্য তাহারা, যাহারা তাঁহার সাক্ষ্যকলাপ পালন করে; যাহারা সর্বান্তঃকরণে তাঁহার অন্বেষণ করে।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আশীর্বাদ কর, আশীর্বাদ কর, শাপ দিও না।যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর; যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর।তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
ইহাতে ঈশ্বরের সন্তানগণ এবং দিয়াবলের সন্তানগণ প্রকাশ হইয়া পড়ে; যে কেহ ধর্মাচরণ না করে, এবং যে ব্যক্তি আপন ভ্রাতাকে প্রেম না করে, সে ঈশ্বরের লোক নয়।
কিন্তু প্রেমে সত্যনিষ্ঠ হইয়া সর্ববিষয়ে তাঁহার উদ্দেশে বৃদ্ধি পাই,যিনি মস্তক, তিনি খ্রীষ্ট, তাঁহা হইতে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায়, তদ্দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হইয়া প্রত্যেক ভাগের স্ব স্ব পরিমাণানুযায়ী কার্য অনুসারে দেহের বৃদ্ধি সাধন করিতেছে, আপনাকেই প্রেমে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য করিতেছে।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।
আমি রোপণ করিলাম, আপল্লো জল সেচন করিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকিলেন।অতএব রোপক কিছু নয়, সেচকও কিছু নয়, বৃদ্ধিদাতা ঈশ্বরই সার।
ইহার মূল সেই প্রত্যাশিত বিষয়, যাহা তোমাদের নিমিত্ত স্বর্গে রাখা হইয়াছে। তাহার বৃত্তান্ত তোমরা সেই সুসমাচারের সত্যের বাক্যে পূর্বে শুনিয়াছ,যে সুসমাচার তোমাদের কাছে উপস্থিত হইয়াছে, যেমন সমস্ত জগতেও ফলবান ও বর্ধিষ্ণু হইতেছে; তোমাদের মধ্যেও সেই দিন অবধি হইতেছে, যে দিনে তোমরা তাহা শুনিয়াছিলে, এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহ সত্যরূপে জ্ঞাত হইয়াছিলে।
আর তিনি এই দৃষ্টান্তটি কহিলেন; কোন ব্যক্তির দ্রাক্ষাক্ষেত্রে তাঁহার একটা ডুমুর গাছ রোপিত ছিল; আর তিনি আসিয়া সেই গাছে ফল অন্বেষণ করিলেন, কিন্তু পাইলেন না।তাহাতে তিনি দ্রাক্ষা-পালককে কহিলেন, দেখ, আজ তিন বৎসর আসিয়া এই ডুমুর গাছে ফল অন্বেষণ করিতেছি, কিন্তু কিছুই পাইতেছি না; ইহা কাটিয়া ফেল;এটা কেন ভূমিও নষ্ট করে। সে উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিল, প্রভু, এই বৎসরও ওটা থাকিতে দিউন, আমি উহার মূলের চারিদিকে খুঁড়িয়া সার দিব,তাহার পরে উহাতে ফল ধরে ত ভালই, নয় ত ওটা কাটিয়া ফেলিবেন।
ভাল, এক্ষণে যে সমস্ত বিষয়ে তোমাদের লজ্জা বোধ হয়, তৎকালে সেই সকলে তোমাদের কি ফল হইত? বাস্তবিক সেই সকলের পরিণাম মৃত্যু।কিন্তু এখন পাপ হইতে স্বাধীনীকৃত হইয়া এবং ঈশ্বরের দাস হইয়া তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাইতেছ, এবং তাহার পরিণাম অনন্ত জীবন।
দেশমধ্যে পর্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে, তাহার ফল লিবানোনের ন্যায় দোলায়মান হইবে; এবং নগরবাসীরা ভূমির তৃণের ন্যায় প্রফুল্ল হইবে।
কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে; আর তোমরা যিরূশালেমে, সমুদয় যিহূদিয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত আমার সাক্ষী হইবে।
কিন্তু আমি বলি এই, যে অল্প পরিমাণে বীজ বুনে, সে অল্প পরিমাণে শস্যও কাটিবে; আর যে ব্যক্তি আশীর্বাদের সহিত বীজ বুনে, সে আশীর্বাদের সহিত শস্যও কাটিবে।প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সমপত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে তখনই গেল, তাহা দিয়া ব্যবসা করিল, এবং আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিল।যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও তদ্রূপ করিয়া আর দুই তালন্ত লাভ করিল।কিন্তু যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সে গিয়া ভূমিতে গর্ত খুঁড়িয়া আপন প্রভুর টাকা লুকাইয়া রাখিল।দীর্ঘকালের পর সেই দাসদের প্রভু আসিয়া তাহাদের নিকট হইতে হিসাব লইলেন।তাহাদের মধ্যে পাঁচ জন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।তখন যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে আসিয়া আরও পাঁচ তালন্ত আনিয়া কহিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে পাঁচ তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া বলিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে দুই তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর দুই তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া কহিল, প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বুনেন নাই, সেখানে কাটিয়া থাকেন, ও যেখানে ছড়ান নাই, সেখানে কুড়াইয়া থাকেন।তাই আমি ভীত হইয়া গিয়া আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম; দেখুন, আপনার যাহা আপনি পাইলেন।কিন্তু তাহার প্রভু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, দুষ্ট অলস দাস, তুমি নাকি জানিতে, আমি যেখানে বুনি নাই, সেখানে কাটি, এবং যেখানে ছড়াই নাই, সেখানে কুড়াই?তবে পোদ্দারদের হাতে আমার টাকা রাখিয়া দেওয়া তোমার উচিৎ ছিল; তাহা করিলে আমি আসিয়া আমার যাহা তাহা সুদের সহিত পাইতাম।অতএব তোমরা ইহার নিকট হইতে ঐ তালন্ত লও, এবং যাহার দশ তালন্ত আছে, তাহাকে দেও;কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।কারণ যাহারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না;আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।
এবং যাহার পক্ষে নানা সৎকর্মের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করিয়া থাকে, যদি অতিথিসেবা করিয়া থাকে, যদি পবিত্রদের পা ধুইয়া থাকে, যদি ক্লিষ্টদের উপকার করিয়া থাকে, যদি সমস্ত সৎকর্মের অনুসরণ করিয়া থাকে।
আমি আপন প্রিয়ের উদ্দেশে তাঁহার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের বিষয়ে আমার প্রিয়ের একটি গীত গান করি। আমার প্রিয়ের এক দ্রাক্ষাক্ষেত্র ছিল, অতি উর্বর এক গিরিশৃঙ্গে।
আমাতে থাক, আর আমি তোমাদের মধ্যে থাকি; শাখা যেমন আপনা হইতে ফল ধরিতে পারে না, দ্রাক্ষালতায় না থাকিলে পারে না, তদ্রূপ আমাতে না থাকিলে তোমরাও পার না।
কিন্তু ধার্মিকদের পথ প্রভাতীয় জ্যোতির ন্যায়, যাহা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত উত্তরোত্তর দেদীপ্যমান হয়।
যাবৎ পৃথিবী থাকিবে, তাবৎ শস্য বপনের ও শস্য ছেদনের সময়, এবং শীত ও উত্তাপ, এবং গ্রীষমকাল ও হেমন্তকাল, এবং দিবা ও রাত্রি, এই সকলের নিবৃত্তি হইবে না।
আর যিহূদা-কুলের যে উত্তীর্ণগণ অবশিষ্ট আছে, তাহারা আবার নিচে মূল বাঁধিবে, ও উপরে ফল দিবে।
আমি দানপ্রাপ্তির চেষ্টা করিতেছি না, কিন্তু সেই ফলের চেষ্টা করিতেছি, যাহা তোমাদের হিসাবে বহু লাভজনক হইবে।
দেখ, সন্তানেরা সদাপ্রভুদত্ত অধিকার, গর্ভের ফল তাঁহার দত্ত পুরস্কার।যেমন বীরের হস্তে বাণ সকল, তেমনি যৌবনের সন্তানগণ।ধন্য সেই পুরুষ, যাহার তূণ তাদৃশ বাণে পরিপূর্ণ; তাহারা লজ্জিত হইবে না, যখন তাহারা পুরদ্বারে শত্রুগণের সহিত কথা কহে।
আর প্রেরিত না হইলে কেমন করিয়া প্রচার করিবে? যেমন লিখিত আছে, “যাহারা মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, তাহাদের চরণ কেমন শোভা পায়।”
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
কারণ সকলের অনধীন হইলেও আমি সকলের দাসত্ব স্বীকার করিলাম, যেন অধিক লোককে লাভ করিতে পারি।আমি যদ্যপি অন্য লোকদের জন্য প্রেরিত না হই, তথাপি তোমাদের জন্য বটে, কেননা প্রভুতে তোমরাই আমার প্রেরিত-পদের মুদ্রাঙ্ক।আমি যিহূদীদিগকে লাভ করিবার জন্য যিহূদীদের কাছে যিহূদীর ন্যায় হইলাম; আপনি ব্যবস্থার অধীন না হইলেও আমি ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে লাভ করিবার জন্য ব্যবস্থাধীনদের কাছে ব্যবস্থাধীনের ন্যায় হইলাম।আমি ঈশ্বরের ব্যবস্থাবিহীন নই, বরং খ্রীষ্টের ব্যবস্থার অনুগত রহিয়াছি, তথাপি ব্যবস্থাবিহীন লোকদিগকে লাভ করিবার জন্য ব্যবস্থাবিহীনদের কাছে ব্যবস্থাবিহীনের ন্যায় হইলাম।দুর্বলদিগকে লাভ করিবার জন্য আমি দুর্বলদের কাছে দুর্বল হইলাম, সর্বদা কতকগুলি লোককে পরিত্রাণ করিবার জন্য আমি সর্বজনের কাছে সর্ববিধ হইলাম।আমি সকলই সুসমাচারের জন্য করি, যেন তাঁহার সহভাগী হই।
কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।