এই কঠিন সময়ে ন্যায়বিচারের প্রয়োজন অনেক বেশি। আমাদের বুঝতে হবে অন্যায় কতটা ক্ষতি করে, পুরো পৃথিবীকে কলুষিত করে। ন্যায়বিচার এক অসাধারণ গুণ যা সৃষ্টিতে প্রতিফলিত হওয়া উচিত, পৃথিবীতে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা আনার জন্য।
পবিত্র শাস্ত্রে ঈশ্বরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গুণাবলীর মধ্যে ন্যায়বিচার অন্যতম, আবার এটি অনেকটা অধরাও বটে। ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতাকে তাঁর পবিত্রতা বা দয়া থেকে আলাদা করা কঠিন বলে মনে হয়। গীতসংহিতা ১১:৭ এ বলা হয়েছে, "সদাপ্রভু ধার্মিক, ধার্মিকতাকে ভালোবাসেন; সৎলোকেরা তাঁর মুখ দেখবে।"
কিভাবে আমরা ন্যায়বিচার অনুশীলন করব? এটা খুবই সহজ, আমাদের সাথে ঈশ্বর যা করেছেন, আমরাও অন্যদের সাথে তাই করব। ঈশ্বর কি আমাদের ক্ষমা করেছেন? তাহলে আমরাও অন্যদের ক্ষমা করব। ঈশ্বর কি আমাদের আশীর্বাদ করেন? তাহলে আমরাও অন্যদের আশীর্বাদ করব।
আমরা যেন নিজেদের পৃথিবীর মালিক ভাবি না, কারণ আসল মালিক রাগ করতে পারেন। আমাদের সময়কে যেন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এমন ভাবি না, কারণ আমরা কিছুই বদলাতে পারি না! সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান করলে, প্রভু আমাদের আশীর্বাদ করবেন। কলসীয় ৩:২৫ পদে বলা আছে, "যে অন্যায় করে, সে অন্যায়ের প্রতিফল পাবে, কারণ ঈশ্বরের কাছে সবাই সমান।"
আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।
তিনি শৈল, তাঁহার কর্ম সিদ্ধ, কেননা তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁহাতে অন্যায় নাই; তিনিই ধর্মময় ও সরল।
কিন্তু সদাপ্রভু চিরকাল সমাসীন থাকিবেন; তিনি বিচারার্থে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন।আর তিনিই ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, ন্যায়ে জাতিগণের শাসন করিবেন।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
কেননা আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি; আর আমি সত্যে তাহাদের ক্রিয়ার ফল দিব, ও তাহাদের সহিত চিরস্থায়ী এক নিয়ম করিব।
তিনি ত প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কার্যানুযায়ী ফল দিবেন,সৎক্রিয়ায় ধৈর্য সহযোগে যাহারা প্রতাপ, সমাদর ও অক্ষয়তার অন্বেষণ করে, তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিবেন;কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
বাস্তবিক ঈশ্বরের কাছে ইহা ন্যায্য যে, যাহারা তোমাদিগকে ক্লেশ দেয়, তিনি তাহাদিগকে প্রতিফলরূপে ক্লেশ দিবেন,
সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
কিন্তু যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে এই বিষয়ের শ্লাঘা করুক যে, সে বুঝিতে পারে ও আমার এই পরিচয় পাইয়াছে যে, আমি সদাপ্রভু পৃথিবীতে দয়া, বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করি, কারণ ঐ সকলে আমি প্রীত, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
কিন্তু বাহিনীগণের সদাপ্রভু বিচারে উন্নত হন, পবিত্রতম ঈশ্বর ধর্মশীলতায় পবিত্র বলিয়া মান্য হন।
সর্বতোভাবে যাহা ন্যায্য তাহারই অনুগামী হইবে, তাহাতে তুমি জীবিত থাকিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত দেশ অধিকার করিবে।
দীনহীন ও পিতৃহীন লোকদের বিচার কর; দুঃখী ও অকিঞ্চনদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার কর।দীনহীন ও দরিদ্রকে নিস্তার কর; দুষ্ট লোকদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার কর।
কেননা সদাপ্রভু আমাদের বিচারকর্তা, সদাপ্রভু আমাদের ব্যবস্থাপক, সদাপ্রভু আমাদের রাজা, তিনিই আমাদিগকে পরিত্রাণ করিবেন।
যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তৌল করেন, তিনি কি তাহা বুঝেন না? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহা জানিতে পারেন না? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কর্মানুযায়ী ফল দিবেন না?
সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে আমি দায়ূদের বংশে এক ধার্মিক পল্লব উৎপন্ন করিব; তিনি রাজা হইয়া রাজত্ব করিবেন, বুদ্ধিপূর্বক চলিবেন, এবং দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করিবেন।
রাত্রিকালে আমি প্রাণের সহিত তোমার আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি; হাঁ, সযত্নে আমার অন্তরস্থ আত্মা দ্বারা তোমার অন্বেষণ করিব, কেননা পৃথিবীতে তোমার শাসন-কলাপ প্রচলিত হইলে, জগন্নিবাসীরা ধার্মিকতা শিক্ষা করিবে।
যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্মিক গণনা করেন।
তোমার ধর্মশীলতা ঈশ্বরের পর্বতসমূহের তুল্য, তোমার শাসন সকল মহাজলধিস্বরূপ; সদাপ্রভু, তুমি মনুষ্য ও পশু রক্ষা করিয়া থাক।
সহস্র সহস্র [পুরুষ] পর্যন্ত দয়ারক্ষক। অপরাধের, অধর্মের ও পাপের ক্ষমাকারী; তথাপি তিনি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন; পুত্র পৌত্রদের উপরে, তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত, তিনি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল বর্তান।’
আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।
সদাপ্রভুর সাক্ষাতেই করুক, কেননা তিনি পৃথিবীর বিচার করিতে আসিতেছেন; তিনি ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, ও ন্যায়ে জাতিগণের বিচার করিবেন।
তবে আমরা কি বলিব? ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে? তাহা দূরে থাকুক।কারণ তিনি মোশিকে বলেন, “আমি যাহাকে দয়া করি, তাহাকে দয়া করিব; ও যাহার প্রতি করুণা করি, তাহার প্রতি করুণা করিব।”
তিনি পিতৃহীনের ও বিধবার বিচার নিষপন্ন করেন, এবং বিদেশীকে প্রেম করিয়া অন্নবস্ত্র দেন।
হে আমার প্রজাগণ, আমার বাক্যে অবধান কর; হে আমার জনবৃন্দ, আমার বচনে কর্ণপাত কর; কেননা আমা হইতে ব্যবস্থা নির্গত হইবে, আমি জাতিগণের দীপ্তির জন্য আপন বিচার স্থাপন করিব।আমার ধর্মশীলতা নিকটবর্তী, আমার পরিত্রাণ নির্গত হইল, এবং আমার বাহু জাতিগণের বিচার নিষপন্ন করিবে; উপকূল সকল আমারই অপেক্ষায় থাকিবে, ও আমার বাহুতে প্রত্যাশা রাখিবে।
অতএব সদাপ্রভুর ভয় তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠিত হউক; তোমরা সাবধান হইয়া কার্য কর, কেননা অন্যায়, কি মুখাপেক্ষা, কি উৎকোচ গ্রহণে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মতি নাই।
তিনি ঊর্ধ্বস্থিত স্বর্গকে ডাকিবেন, পৃথিবীকেও ডাকিবেন, স্বীয় প্রজাদের বিচারের জন্য;আমার সাধুদিগকে আমার কাছে একত্র কর, যাহারা বলিদান লইয়া আমার সহিত নিয়ম করিয়াছে।
কেননা এই কথা যিনি বলিয়াছেন, তাঁহাকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব;” আবার, “প্রভু আপন প্রজাবৃন্দের বিচার করিবেন।”
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
হে সদাপ্রভু, তুমি নম্রদের আকাঙ্ক্ষা শুনিয়াছ; তুমি তাহাদের চিত্ত সুস্থির করিবে, তুমি কর্ণপাত করিবে;পিতৃহীনের ও উপদ্রুত লোকদের বিচার করিবার জন্য, যেন মৃত্তিকাজাত মর্ত্য আর দুর্দান্ত না থাকে।
তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাহার উপর ভার রাখিতেন।
তিনি নিস্তেজ হইবেন না, নিরুৎসাহ হইবেন না, যে পর্যন্ত না পৃথিবীতে ন্যায়বিচার স্থাপন করেন; আর উপকূলসমূহ তাঁহার ব্যবস্থার অপেক্ষায় থাকিবে।
ঈশ্বরের মনোনীতদের বিপক্ষে কে অভিযোগ করিবে? ঈশ্বর ত তাহাদিগকে ধার্মিক করেন; কে দোষী করিবে?খ্রীষ্ট যীশু ত মরিলেন বরং উত্থাপিতও হইলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন, আবার আমাদের পক্ষে অনুরোধ করিতেছেন।
প্রতিশোধ ও প্রতিফলদান আমারই কর্ম, যে সময়ে তাহাদের পা পিছলিয়া যাইবে; কেননা তাহাদের বিপদের দিন নিকটবর্তী, তাহাদের জন্য যাহা যাহা নিরূপিত, শীঘ্রই আসিবে।
সিয়োন ন্যায়বিচার দ্বারা, ও তাহার যে লোকেরা ফিরিয়া আইসে, তাহারা ধার্মিকতা দ্বারা, মুক্তি পাইবে।
তবে ঈশ্বর কি আপনার সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন না, যাহারা দিবারাত্র তাহার কাছে রোদন করে, যদিও তিনি তাঁহাদের বিষয়ে দীর্ঘসহিষ্ণু?আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তিনি শীঘ্রই তাহাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন। কিন্তু মনুষ্যপুত্র যখন আসিবেন, তখন কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?
তোমরা আকাশমণ্ডলের প্রতি চক্ষু তুলিয়া দৃষ্টিপাত কর, অধঃস্থিত ভূমণ্ডলও নিরীক্ষণ কর; কেননা আকাশমণ্ডল ধূমের ন্যায় অন্তর্হিত হইবে, ভূমণ্ডল বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইবে, এবং তন্নিবাসিগণ সেইরূপে মারা পড়িবে; কিন্তু আমার পরিত্রাণ অনন্তকাল থাকিবে, আমার ধর্মশীলতা বিনষ্ট হইবে না।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, এবং লুণ্ঠিত ব্যক্তিকে উপদ্রবকারীর হস্ত হইতে উদ্ধার কর; বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবাদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করিও না, এবং এই স্থানে নির্দোষের রক্তপাত করিও না।
আর তাঁহার সাক্ষাতে কোন সৃষ্ট বস্তু অপ্রকাশিত নয়; কিন্তু তাঁহার চক্ষুর্গোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে হিসাব দিতে হইব।
“দেখ, আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত, আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিব, আর তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করিবেন।তিনি কলহ করিবেন না, উচ্চশব্দও করিবেন না, পথে কেহ তাঁহার রব শুনিতে পাইবে না।কিন্তু ফরীশীরা তাহা দেখিয়া তাঁহাকে বলিল, দেখ, বিশ্রামবারে যাহা করা বিধেয় নয়, তাহাই তোমার শিষ্যগণ করিতেছে।তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না, সধূম শলিতা নির্বাণ করিবেন না, যে পর্যন্ত না ন্যায়বিচার জয়ীরূপে প্রচলিত করেন।আর তাঁহার নামে পরজাতিগণ প্রত্যাশা রাখিবে।”
সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তোমার ধর্মশীলতা অনুসারে আমার বিচার কর, উহারা আমার উপরে আনন্দ না করুক।
তবে তুমি স্বর্গে তাহা শুনিও, এবং নিষ্পত্তি করিয়া আপন দাসদের বিচার করিও; দোষীকে দোষী করিয়া তাহার কর্মের ফল তাহার মস্তকে বর্তাইও, এবং ধার্মিককে ধার্মিক করিয়া তাহার ধার্মিকতানুযায়ী ফল দিও।
সর্বশক্তিমান! তিনি আমাদের বোধের অগম্য; তিনি পরাক্রমে মহান, তিনি ন্যায়বিচার ও প্রচুর ধর্মগুণ বিপরীত করেন না।
কিন্তু আমাদের অধার্মিকতা যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতা সাব্যস্ত করে, তবে কি বলিব? ঈশ্বর, যিনি ক্রোধে প্রতিফল দেন, তিনি কি অন্যায়ী?- আমি মানুষের মত কহিতেছি-তাহা দূরে থাকুক, কেননা তাহা হইলে ঈশ্বর কেমন করিয়া জগতের বিচার করিবেন?
ধিক্ সেই ব্যবস্থাপকদিগকে, যাহারা অধর্মের ব্যবস্থা স্থাপন করে, ও সেই লেখকদিগকে, যাহারা উপদ্রব লিখে;সেই সকল প্রতিমার রাজ্য আমার হস্তগত হইয়াছে, সেইগুলির ক্ষোদিত মূর্তি যিরূশালেমের ও শমরিয়ার মূর্তি সকল অপেক্ষা উত্তম;আমি শমরিয়াকে ও তাহার প্রতিমা সকলকে যেরূপ করিয়াছি, যিরূশালেমকে ও তাহার পুত্তলী সকলকেও কি সেইরূপ করিব না?’অতএব এইরূপ ঘটিবে; সিয়োন পর্বতে ও যিরূশালেমে প্রভু আপনার সমস্ত কার্য সমাপ্ত করিলে পর আমি অশূর-রাজের চিত্তস্ফীতিরূপ ফলের ও তাহার উচ্চদৃষ্টিরূপ আড়ম্বরের প্রতিফল দিব।কেননা সে বলিয়াছে, ‘আমার হস্তের বল ও আমার বিজ্ঞতা দ্বারা আমি কার্য সিদ্ধ করিয়াছি, কেননা আমি বুদ্ধিমান; আমি জাতিগণের সীমা সকল দূর করিয়াছি, ও তাহাদের সঞ্চিত ধন লুট করিয়াছি; এবং বীরের ন্যায় আমি সুখাসীনদিগকে নিচে নামাইয়াছি।আর পক্ষীর বাসার ন্যায় জাতিগণের ধন আমার হস্তগত হইয়াছে; লোকে যেমন পরিত্যক্ত ডিম্ব কুড়ায়, তেমনি আমি সমস্ত পৃথিবীকে সংগ্রহ করিয়াছি; পক্ষ নাড়িতে, কি ঠোঁট খুলিতে, কি চিঁ চিঁ শব্দ করিতে কেহ ছিল না।’কুড়ালি কি ছেদকের বিপরীতে দর্প করিবে? করপত্র কি করপত্রী হইতে আপনাকে শ্রেষ্ঠ মানিবে? যাহারা দণ্ড তুলে, দণ্ড যেন তাহাদিগকে চালনা করিতেছে; যে কাষ্ঠ নয়, যষ্টি যেন তাহাকে উঠাইতেছে। অতএব প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তাহার স্থূলকায় লোকদের মধ্যে কৃশতা প্রেরণ করিবেন, ও তাহার প্রতাপের নিচে অগ্নিদাহের ন্যায় দাহ হইবে।বাস্তবিক ইস্রায়েলের জ্যোতি অগ্নিস্বরূপ হইবেন, ও যিনি তাহার পবিত্রতম, তিনি শিখাসদৃশ হইবেন; তাহা এক দিনে উহার শ্যাকুল ও কণ্টক দগ্ধ করিয়া ভস্ম করিবে।আর তিনি তাহার বনের ও উদ্যানের গৌরবকে, প্রাণ ও শরীরকে, সংহার করিবেন; তাহাতে সে রোগীর ন্যায় ক্ষয় পাইবে।আর তাহার বনের অবশিষ্ট বৃক্ষ এমন অল্প হইবে যে, বালক তাহা গণনা করিয়া লিখিতে পারিবে।যেন দরিদ্রগণকে ন্যায়বিচার হইতে ফিরাইয়া দেয়, ও আমার দুঃখী প্রজাদের অধিকার হরণ করে, যেন বিধবারা তাহাদের লুটদ্রব্য হয়, আর তাহারা পিতৃহীনদিগকে তাহাদের লুন্ঠিত দ্রব্য করিতে পারে।
প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কেননা নম্রগণের কাছে সুসমাচার প্রচার করিতে সদাপ্রভু আমাকে অভিষেক করিয়াছেন; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমি ভগ্নান্তঃকরণ লোকদের ক্ষত বাঁধিয়া দিই; যেন বন্দি লোকদের কাছে মুক্তি, ও কারাবদ্ধ লোকদের কাছে কারামোচন প্রচার করি;‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’বস্তুতঃ ভূমি যেমন আপন অঙ্কুর নির্গত করে, উদ্যান যেমন আপনার মধ্যে উপ্ত বীজ অঙ্কুরিত করে, তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমুদয় জাতির সাক্ষাতে ধার্মিকতা ও প্রশংসা অঙ্কুরিত করিবেন।যেন সদাপ্রভুর প্রসন্নতার বৎসর ও আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশোধের দিন ঘোষণা করি; যেন সমস্ত শোকার্তকে সান্ত্বনা করি;
আমি সদাপ্রভু অন্তঃকরণের অনুসন্ধান করি, আমি মর্মের পরীক্ষা করি; আমি প্রত্যেক মনুষ্যকে আপন আপন আচরণানুসারে আপন আপন কর্মের ফল দিয়া থাকি।
পরন্তু কোন ব্যক্তি যদি ধার্মিক হয় এবং ন্যায় ও ধর্মাচরণ করে,পর্বতের উপরে ভোজন করে নাই, ইস্রায়েল-কুলের পুত্তলিগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করে নাই, আপন প্রতিবাসীর স্ত্রীকে ভ্রষ্ট করে নাই, ও ঋতুমতী স্ত্রীর নিকটেও যায় নই;এবং কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করে নাই, ঋণীকে বন্ধক ফিরাইয়া দিয়াছে, কাহারও দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ করে নাই, ক্ষুধিত লোককে অন্ন দিয়াছে, ও উলঙ্গকে বস্ত্র পরাইয়াছে,সুদের লোভে ঋণ দেয় নাই, কিছু বৃদ্ধি লয় নাই, অন্যায় হইতে আপন হস্ত ফিরাইয়াছে, মনুষ্যদের মধ্যে যথার্থ বিচার করিয়াছে,আমার বিধিপথে গমন করিয়াছে, এবং সত্য আচরণের উদ্দেশে আমার শাসনকলাপ পালন করিয়াছে, তবে সেই ব্যক্তি ধার্মিক; সে অবশ্য বাঁচিবে; ইহা প্রভু সদাপ্রভু কহেন।
যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধার্মিক, জাতিগণ তাহাকে শাপ দিবে, লোকবৃন্দ তাহাকে ঘৃণা করিবে।কিন্তু যাহারা তাহাকে ধমক্ দেয়, তাহারা প্রীতি-পাত্র হইবে, তাহাদের প্রতি উত্তম আশীর্বাদ বর্তিবে।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
আর দয়াতে এক সিংহাসন স্থাপিত হইবে, একজন সত্যের প্রভাবে দায়ূদের তাম্বুতে সেই আসনে বসিবেন; তিনি বিচারকর্তা, বিচারে যত্নবান ও ধার্মিকতা-সাধনে সত্বর হইবেন।
সদাপ্রভু কহিতেছেন, আইস, আমরা উত্তর প্রত্যুত্তর করি; তোমাদের পাপ সকল সিন্দূরবর্ণ হইলেও হিমের ন্যায় শুক্লবর্ণ হইবে; লাক্ষার ন্যায় রাঙ্গা হইলেও মেষলোমের ন্যায় হইবে।তোমরা যদি সম্মত ও আজ্ঞাবহ হও, তবে দেশের উত্তম উত্তম ফল ভোগ করিবে।
তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।সদাপ্রভু অন্ধদের চক্ষু খুলিয়া দেন; সদাপ্রভু অবনতদিগকে উত্থাপন করেন; সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে প্রেম করেন।সদাপ্রভু বিদেশীদের রক্ষাকারী; তিনি পিতৃহীন ও বিধবাকে সুস্থির রাখেন, কিন্তু দুষ্টগণের পথ বক্র করেন।
ঐ দেখ, আমার দাস, আমি তাঁহাকে ধারণ করি; তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত; আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিলাম; তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায় বিচার উপস্থিত করিবেন।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
তুমি মন্ত্রণায় মহান ও ক্রিয়ায় শক্তিমান; প্রত্যেক জনকে আপন আপন পথানুসারে ও আপন আপন ক্রিয়ানুসারে সমূচিত ফল দিবার জন্য মনুষ্য-সন্তানদের সমস্ত পথের প্রতি তোমার চক্ষু উন্মীলিত রহিয়াছে।
ধার্মিকগণের প্রতি সদাপ্রভুর দৃষ্টি আছে, তাহাদের আর্তনাদের প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে।সদাপ্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল; তিনি ভূতল হইতে তাহাদের স্মরণ উচ্ছেদ করিবেন।
প্রভু নিজ প্রতিজ্ঞা বিষয়ে দীর্ঘসূত্রী নহেন- যেমন কেহ কেহ দীর্ঘসূত্রিতা জ্ঞান করে- কিন্তু তোমাদের পক্ষে তিনি দীর্ঘসহিষ্ণু; কতকগুলি লোক যে বিনষ্ট হয়, এমন বাসনা তাঁহার নাই; বরং সকলে যেন মনপরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে, এই তাঁহার বাসনা।
ধর্মশীলতা ও ন্যায়বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল; দয়া ও সত্য তোমার শ্রীমুখের অগ্রগামী।ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।
তিনি ধার্মিকতায় তোমার প্রজাগণের, ন্যায়ে তোমার দুঃখীদের বিচার করিবেন। যিশয়ের পুত্র দায়ূদের প্রার্থনা সকল সমাপ্ত।পর্বতগণ ও উপপর্বতগণ ধার্মিকতা দ্বারা প্রজাদের জন্য শান্তিরূপ ফলে ফলবান হইবে।তিনি দুঃখী প্রজাগণের বিচার করিবেন, তিনি দরিদ্রের সন্তানদিগকে ত্রাণ করিবেন, কিন্তু উপদ্রবীকে চূর্ণ করিবেন।
আর আমি ন্যায়বিচারকে মানরজ্জু, ও ধার্মিকতাকে ওলোনসূত্র করিব; শিলাবৃষ্টি ঐ অলীকতারূপ আশ্রয় ফেলিয়া দিবে, এবং বন্যা ঐ লুকাইবার স্থান ভাসাইয়া লইয়া যাইবে।
বস্তুতঃ ভূমি যেমন আপন অঙ্কুর নির্গত করে, উদ্যান যেমন আপনার মধ্যে উপ্ত বীজ অঙ্কুরিত করে, তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমুদয় জাতির সাক্ষাতে ধার্মিকতা ও প্রশংসা অঙ্কুরিত করিবেন।
কারণ আমাদের সকলকেই খ্রীষ্টের বিচারাসনের সম্মুখে প্রত্যক্ষ হইতে হইবে, যেন সৎকার্য হউক, কি অসৎকার্য হউক, প্রত্যেক জন আপনার কৃত কার্য অনুসারে দেহ দ্বারা উপার্জিত ফল পায়।
মন্দকে ঘৃণা কর ও উত্তমকে ভালবাস, এবং নগর-দ্বারে ন্যায়বিচার স্থাপন কর; হয় ত বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভু যোষেফের অবশিষ্টাংশের প্রতি কৃপা করিবেন।
দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে কর্তৃত্ববৃদ্ধির ও শান্তির সীমা থাকিবে না, যেন তাহা সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায়বিচারে ও ধার্মিকতা সহকারে, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্যোগ ইহা সম্পন্ন করিবে।
সদাপ্রভু মঙ্গলময় ও সরল, এই জন্য তিনি পাপীদিগকে পথ দেখান।তিনি নম্রদিগকে ন্যায়বিচারের পথে চালান, নম্রদিগকে আপন পথ দেখাইয়া দেন।
তাহার মধ্যবর্তী সদাপ্রভু ধর্মশীল; তিনি অন্যায় করেন না, প্রতি প্রভাতে তিনি আপন বিচার আলোকে স্থাপন করেন, ক্রটি করেন না; কিন্তু অন্যায়াচারী লজ্জা জানে না।
সদাপ্রভুর সাক্ষাতেই করিবে, কেননা তিনি আসিতেছেন, তিনি পৃথিবীর বিচার করিতে আসিতেছেন; তিনি ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, আপন বিশ্বস্ততায় জাতিগণের বিচার করিবেন।
কেননা যেরূপ বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরূপ বিচারে তোমরাও বিচারিত হইবে; এবং তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
যদি তোমরা আপন আপন আচার-ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধ কর; যদি বাদী প্রতিবাদীর বিচার যথার্থরূপে নিষপত্তি কর;যদি বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবাদের প্রতি উপদ্রব না কর, এই স্থানে নির্দোষের রক্তপাত না কর, এবং আপনাদের অমঙ্গলের নিমিত্ত অন্য দেবগণের পশ্চাদ্গামী না হও,তবে আমি এই স্থানে, তোমাদের পিতৃপুরুষদিগকে এই যে দেশ দিয়াছি, এখানে তোমাদিগকে যুগে যুগে চিরকাল বাস করিতে দিব।
সদাপ্রভু উন্নত; তিনি ত ঊর্ধ্বলোকে বাস করেন, তিনি সিয়োনকে ন্যায়বিচারে ও ধার্মিকতায় পূর্ণ করিয়াছেন।
আর বিচারার্থে উপবিষ্ট ব্যক্তির বিচারের আত্মা, ও যাহারা নগর-দ্বারে যুদ্ধ ফিরায়, তাহাদের বিক্রমস্বরূপ হইবেন।
হে সদাপ্রভু, আমার গুপ্ত শত্রুগণ হেতু তুমি আপন ধর্মশীলতায় আমাকে চালাও, আমার সম্মুখে তোমার পথ সরল কর।
আমি হারানো মেষের অন্বেষণ করিব, দূরীকৃতকে ফিরাইয়া আনিব, ভগ্নাঙ্গের ক্ষত বাঁধিব, ও পীড়িতকে সবল করিব, এবং হৃষ্টপুষ্ট ও বলবানকে সংহার করিব; আমি বিচারমতে তাহাদিগকে পালন করিব।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার রক্ষা কর, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, কেননা আমার পরিত্রাণ আগতপ্রায়, এবং আমার ধার্মিকতার প্রকাশ সন্নিকট।
কিন্তু ধর্মশীলতায় দীনহীনদের বিচার করিবেন, সরলতায় পৃথিবীস্থ নম্রদের জন্য নিষপত্তি করিবেন; তিনি আপন মুখস্থিত দণ্ড দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করিবেন, আপন ওষ্ঠাধরের নিশ্বাস দ্বারা দুষ্টকে বধ করিবেন।
কেননা তিনি আর্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন।তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন।তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমূল্য হইবে;
তুমি স্বর্গ হইতে বিচারাজ্ঞা শ্রবণ করাইলে, পৃথিবী ভীত হইল, নিস্তব্ধ হইল,যখন ঈশ্বর উঠিলেন বিচার করিবার জন্য, পৃথিবীস্থ মৃদু লোকদের পরিত্রাণ করিবার জন্য। [সেলা]
কারণ ঈশ্বরের ক্রোধ স্বর্গ হইতে সেই মনুষ্যদের সমস্ত ভক্তিহীনতা ও অধার্মিকতার উপরে প্রকাশিত হইতেছে, যাহারা অধার্মিকতায় সত্যের প্রতিরোধ করে।
ঈশ্বর ঈশ্বরের মণ্ডলীতে দণ্ডায়মান, তিনি ঈশ্বরদের মধ্যে বিচার করেন।তোমরা কতকাল অন্যায় বিচার করিবে, ও দুষ্টলোকদের মুখাপেক্ষা করিবে? [সেলা]দীনহীন ও পিতৃহীন লোকদের বিচার কর; দুঃখী ও অকিঞ্চনদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার কর।দীনহীন ও দরিদ্রকে নিস্তার কর; দুষ্ট লোকদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার কর।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
সদাপ্রভু আপনার পরিচয় দিয়াছেন; তিনি বিচার সাধন করিয়াছেন; দুষ্ট স্বহস্তের কর্মপাশে বদ্ধ হইয়াছে। [হিগায়োন। সেলা]
কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই ঈশ্বরগণের ঈশ্বর ও প্রভুদের প্রভু, তিনিই মহান, বীর্যবান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর; তিনি কাহারও মুখাপেক্ষা করেন না ও উৎকোচ গ্রহণ করেন না।তিনি পিতৃহীনের ও বিধবার বিচার নিষপন্ন করেন, এবং বিদেশীকে প্রেম করিয়া অন্নবস্ত্র দেন।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
তাহাদের মুক্তিদাতা বলবান; ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু’ তাঁহার নাম; তিনি সম্পূর্ণরূপে তাহাদের বিবাদ নিষপন্ন করিবেন, যেন তিনি পৃথিবীকে সুস্থির করেন, ও বাবিল-নিবাসীদিগকে অস্থির করেন।
কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর-দেয় ধার্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্তৃক তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে।ঈশ্বর-দেয় সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্তে- কারণ প্রভেদ নাই;কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-উহারা বিনামূল্যে তাঁহারই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তি দ্বারা, ধার্মিক গণিত হয়।তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে প্রদর্শন করিয়াছেন; যেন তিনি আপন ধার্মিকতা দেখান- কেননা ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল-যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্মিক গণনা করেন।
সদাপ্রভু তোমার দণ্ড সকল দূর করিয়াছেন, তোমার শত্রুকে সরাইয়া দিয়াছেন; ইস্রায়েলের রাজা সদাপ্রভু তোমার মধ্যবর্তী; তুমি আর অমঙ্গলের ভয় করিবে না।
কেননা সদাপ্রভুর বাক্য যথার্থ, তাঁহার সকল ক্রিয়া বিশ্বস্ততাসিদ্ধ।তিনি ধার্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন; পৃথিবী সদাপ্রভুর দয়াতে পরিপূর্ণ।
প্রত্যেক প্রাণী প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষদের বশীভূত হউক; কেননা ঈশ্বরের নিরূপণ ব্যতিরেকে কর্তৃত্ব হয় না; এবং যে সকল কর্তৃপক্ষ আছেন, তাঁহারা ঈশ্বর নিযুক্ত।প্রেম প্রতিবাসীর অনিষ্ট সাধন করে না, অতএব প্রেমই ব্যবস্থার পূর্ণসাধন।আর এইরূপ কর, কারণ তোমরা এই কাল জ্ঞাত আছ; ফলতঃ এখন তোমাদের নিদ্রা হইতে জাগিবার সময় উপস্থিত; কেননা যখন আমরা বিশ্বাস করিয়াছিলাম, তখন অপেক্ষা এখন পরিত্রাণ আমাদের আরও সন্নিকট।রাত্রি প্রায় গেল, দিবস আগত প্রায়; অতএব আইস, আমরা অন্ধকারের ক্রিয়া সকল ত্যাগ করি, এবং দীপ্তির রণসজ্জা পরিধান করি।আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।অতএব যে কেহ কর্তৃত্বের প্রতিরোধী হয়, সে ঈশ্বরের নিয়োগের প্রতিরোধ করে; আর যাহারা প্রতিরোধ করে, তাহারা আপনাদের উপরে বিচারাজ্ঞা প্রাপ্ত হইবে।
কেননা সদাপ্রভুই প্রজ্ঞা দান করেন, তাঁহারই মুখ হইতে জ্ঞান ও বুদ্ধি নির্গত হয়।তিনি সরলদের জন্য সূক্ষ্ম বুদ্ধি রাখেন, যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের ঢাল স্বরূপ।তিনি ন্যায়বিচারের পথ সকল রক্ষা করেন, তাঁহার সাধুদের পথ সংরক্ষণ করেন।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্! হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।”