প্রকৃতির স্রষ্টা, আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র, আর যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক, সবকিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন। যেমন বলা আছে, "কারণ ছয় দিনে সদাপ্রভু আকাশমন্ডল, পৃথিবী, সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত কিছু নির্মাণ করলেন, এবং সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম করলেন; অতএব, সদাপ্রভু বিশ্রামবারকে আশীর্বাদ করলেন এবং তাকে পবিত্র করলেন।" (যাত্রাপুস্তক ২০:১১) তার সৃষ্টি অসাধারণ, নিখুঁত। তার সৃষ্টির প্রতিটি বিস্ময়ের জন্য তিনি প্রশংসার যোগ্য।
ভাবো, সমুদ্রের তীরে বালিতে পা রেখে হাঁটছো, সবুজ গাছের ছায়ায় বসে আছো, মেঘ ছুঁয়ে যাওয়া পাহাড় দেখছো – সবকিছু কত সুন্দর! এই সৌন্দর্যের মালিক কে? আমাদের স্রষ্টা, ঈশ্বর। তিনিই এই পৃথিবীকে এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন। তার এই অপার করুণার জন্য, তার অসাধারণ সৃষ্টির জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দাও, তাঁর প্রশংসা করো।
মনে রেখো, বিচারের দিন আসবে। ঈশ্বরকে ভয় করো এবং তাঁর মহিমা করো। যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং জলের উৎস সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে উপাসনা করো। প্রকৃতির মাঝে থাকাকালীন, সবসময় মনে রাখবে সবকিছু ঈশ্বরের সৃষ্টি। তার সৃষ্টির প্রতিটি কণায় তার মহিমা প্রকাশ পায়। তাই সবসময় ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো এবং তাঁর গৌরব করো।
পরে ঈশ্বর কহিলেন, আমরা আমাদের প্রতিমূর্তিতে, আমাদের সাদৃশ্যে মনুষ্য নির্মাণ করি; আর তাহারা সমুদ্রের মৎস্যদের উপরে, আকাশের পক্ষীদের উপরে, পশুগণের উপরে, সমস্ত পৃথিবীর উপরে, ও ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় সরীসৃপের উপরে কর্তৃত্ব করুক।
তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,
আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?
তুমি আপন শত্রুর গর্দভকে ভারের নিচে পতিত দেখিলে যদ্যপি তাহাকে ভারমুক্ত করিতে অনিচ্ছুক হও, তথাপি অবশ্য উহার সঙ্গে তাহাকে ভারমুক্ত করিবে।
তোমার ধর্মশীলতা ঈশ্বরের পর্বতসমূহের তুল্য, তোমার শাসন সকল মহাজলধিস্বরূপ; সদাপ্রভু, তুমি মনুষ্য ও পশু রক্ষা করিয়া থাক।
কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামদিন। সেই দিন তুমি, কি তোমার পুত্র কি কন্যা, কি তোমার দাস কি দাসী, কি তোমার পশু, কি তোমার পুরদ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী, কেহ কোন কার্য করিও না।
কেন্দুয়াব্যাঘ্র ও মেষশাবক একত্র চরিবে, সিংহ বলদের ন্যায় বিচালি খাইবে; আর ধূলিই সর্পের খাদ্য হইবে। তাহারা আমার পবিত্র পর্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।তাহার বিচারকর্তা কেহ নাই, শাসনকর্তা কি অধ্যক্ষ কেহ নাই,তবু সে গ্রীষমকালে তাহার খাদ্য জমা করে, শস্য কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে।
পাঁচটি চড়াই পাখী কি দুই পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তাহাদের মধ্যে একটিও ঈশ্বরের দৃষ্টিগোচরে গুপ্ত নয়।
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।
আর সেই দিন আমি লোকদের নিমিত্ত মাঠের পশু, আকাশের পক্ষী ও ভূমির সরীসৃপ সকলের সহিত নিয়ম করিব; এবং ধনুক, খড়্গ ও রণসজ্জা ভাঙ্গিয়া দেশের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন করিব, ও তাহাদিগকে নিশ্চিন্তে শয়ন করাইব।
তবে আমি কি নীনবীর প্রতি, ঐ মহানগরের প্রতি, দয়ার্দ্র হইব না? তথায় এমন এক লক্ষ বিংশতি সহস্রের অধিক মনুষ্য আছে, যাহারা দক্ষিণ হস্ত হইতে বাম হস্তের প্রভেদ জানে না; আর অনেক পশুও আছে।
পথের পার্শ্বস্থ কোন বৃক্ষে কিম্বা ভূমির উপরে তোমার সম্মুখে যদি কোন পক্ষীর বাসাতে শাবক কিম্বা ডিম্ব থাকে, এবং সেই শাবকের কিম্বা ডিম্বের উপরে পক্ষিণী বসিয়া থাকে, তবে তুমি শাবকগণের সহিত পক্ষিণীকে ধরিও না।তুমি আপনার জন্য শাবকগুলিকে লইতে পার, কিন্তু নিশ্চয় পক্ষিণীকে ছাড়িয়া দিবে; যেন তোমার মঙ্গল ও দীর্ঘ পরমায়ু হয়।
তুমি ছয় দিন আপন কর্ম করিও, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিও; যেন তোমার গরু ও গর্দভ বিশ্রাম পায়, এবং তোমার দাসীপুত্র ও বিদেশী লোক প্রাণ জুড়ায়।
আর কেন্দুয়াব্যাঘ্র মেষশাবকের সহিত একত্র বাস করিবে; চিতাব্যাঘ্র ছাগবৎসের সহিত শয়ন করিবে; গোবৎস, যুবসিংহ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু একত্র থাকিবে; এবং ক্ষুদ্র বালক তাহাদিগকে চালাইবে।
কে দাঁড়কাককে আহার যোগাইয়া দেয়, যখন তাহার শাবকগণ ঈশ্বরের নিকটে আর্তরব করে, ও খাদ্যের অভাবে ভ্রমণ করে?
কিন্তু সপ্তম বৎসরে তাহাকে বিশ্রাম দিও, ফেলিয়া রাখিও; তাহাতে তোমার স্বজাতীয় দরিদ্রগণ খাইতে পাইবে, আর তাহারা যাহা অবশিষ্ট রাখে, তাহা বন্য পশুতে খাইবে। তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের ও জলপাইবৃক্ষের বিষয়েও সেইরূপ করিও।
তোমরা স্বয়ংমৃত কোন প্রাণীর মাংস ভোজন করিবে না; তোমার নগর দ্বারের মধ্যবর্তী কোন বিদেশীকে ভোজনার্থে তাহা দিতে পার, কিম্বা বিজাতীয় লোকের কাছে বিক্রয় করিতে পার; কেননা তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র প্রজা। তুমি ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে পাক করিবে না।
কেননা বনের সমস্ত জন্তু আমার, সহস্র সহস্র পর্বতীয় পশু আমার।আমি পর্বতগণের সমস্ত পক্ষীকে জানি, মাঠের প্রাণী সকল আমার সম্মুখবর্তী।
তিনি মেষপালকের ন্যায় আপন পাল চরাইবেন, তিনি শাবকদিগকে বাহুতে সংগ্রহ করিবেন, এবং কোলে করিয়া বহন করিবেন; দুগ্ধবতী সকলকে তিনি ধীরে ধীরে চালাইবেন।
তোমার হস্তকৃত বস্তু সকলের উপরে তাহাকে কর্তৃত্ব দিয়াছ, তুমি সকলই তাহার পদতলস্থ করিয়াছ-সমস্ত মেষ ও গরু, আর বন্য পশুগণ,শূন্যের পক্ষিগণ, এবং সাগরের মৎস্য, যাহা কিছু সমুদ্রপথগামী।
আর তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে, যাহার সন্তান কিম্বা বলদ কূপে পড়িলে সে বিশ্রামবারে তৎক্ষণাৎ তাহাকে তুলিবে না?
বন্য জন্তুগণ, শৃগাল ও উষ্ট্র পক্ষী সকল আমার গৌরব করিবে; কেননা আমি প্রান্তরের মধ্যে জল ও মরুভূমিতে নদনদী যোগাই, আমার প্রজাবৃন্দকে, আমার মনোনীত লোকদিগকে, পান করাইবার নিমিত্তই যোগাই;
আর তাহাকে দেখিয়া করুণাবিষ্ট হইল, এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রতি যত্ন করিল।
আমি তোমার বলিদান সকলের বিষয়ে তোমাকে ভর্ৎসনা করিব না, তোমার হোমবলি সকল সতত আমার সম্মুখে।আমি তোমার গৃহ হইতে বৃষ, তোমার খোঁয়াড় হইতে ছাগ লইব না।
কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার।
সেই স্থানে পেঁচক বাসা করিয়া ডিম্ব প্রসব করিবে, তাহা ফুটাইয়া শাবকদিগকে আপন ছায়াতে একত্র করিবে; এবং সেখানে চিলেরা প্রত্যেকে আপন আপন সঙ্গিনীর সহিত একত্র হইবে।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে, যে একটি মেষ রাখে, আর সেটি যদি বিশ্রামবারে গর্তে পড়িয়া যায়, সে কি তাহা ধরিয়া তুলিবে না?তবে মেষ হইতে মনুষ্য আরও কত শ্রেষ্ঠ! অতএব বিশ্রামবারে সৎকর্ম করা বিধেয়।
তিনি মেঘমালায় আকাশমণ্ডল আচ্ছন্ন করেন, তিনি পৃথিবীর জন্য বৃষ্টি প্রস্তুত করেন, তিনি পর্বতগণের উপরে তৃণ উৎপাদন করেন।
ধেনু ও ভল্লুকী চরিবে, তাহাদের বৎস সকল একত্র শয়ন করিবে, এবং সিংহ বলদের ন্যায় বিচালি খাইবে।
আর কেহ যদি কোন কূপ অনাবৃত করে, কূপ খনন করিয়া আবৃত না করে, তবে তাহার মধ্যে কোন গরু কিম্বা গর্দভ পড়িলে,সেই কূপের মালিক ক্ষতিপূরণ করিবে, সে পশুর মালিককে রৌপ্যমূল্য দিবে, কিন্তু ঐ মৃত পশু তাহারই হইবে।
আমি উত্তম চরাণিতে তাহাদিগকে চরাইব, এবং ইস্রায়েলের উচ্চ উচ্চ পর্বতে তাহাদের বাথান হইবে; তাহারা সেই স্থানে উত্তম বাথানে শয়ন করিবে, এবং ইস্রায়েলের পর্বতমালায় হরিৎ চরাণিতে চরিবে।
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকা হইতে সকল বন্য পশু ও আকাশের সকল পক্ষী নির্মাণ করিলেন; পরে আদম তাহাদের কি কি নাম রাখিবেন তাহা জানিতে সেই সকলকে তাঁহার নিকটে আনিলেন। তাহাতে আদম যে সজীব প্রাণীর যে নাম রাখিলেন, তাহার সেই নাম হইল।
কাকদের বিষয় আলোচনা কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না; তাহাদের ভাণ্ডারও নাই, গোলাঘরও নাই; আর ঈশ্বর তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন;
পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।
আর আমি তোমার স্রোতঃসমূহের সমস্ত মৎস্যসুদ্ধ তোমাকে প্রান্তরে ফেলিয়া দিব; তুমি মাঠের পৃষ্ঠে পতিত থাকিবে, সংগৃহীত কি সঞ্চিত হইবে না; আমি তোমাকে ভূমির পশুদের ও আকাশের পক্ষীদের ভক্ষ্যরূপে দিলাম।
সেই সকল আমার পবিত্র পর্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।
তিনি ভূতলের পশুদের অপেক্ষা আমাদের অধিক শিক্ষা দেন, আকাশের পক্ষীদের অপেক্ষা অধিক বুদ্ধিমান করেন।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
সত্য, চটকপক্ষী এক কুলায় পাইয়াছে, খঞ্জনপক্ষী নিজ শাবক রাখিবার এক বাসা পাইয়াছে; তোমার বেদিই সেই স্থান, হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, আমার রাজন্, আমার ঈশ্বর।
আর ঈশ্বর নোহকে ও জাহাজে স্থিত তাঁহার সঙ্গী পশ্বাদি যাবতীয় প্রাণীকে স্মরণ করিলেন; ঈশ্বর পৃথিবীতে বায়ু বহাইলেন, তাহাতে জল থামিল।
তখন সদাপ্রভুর দূত তাহাকে কহিলেন, তুমি এই তিন বার তোমার গর্দভীকে কেন প্রহার করিলে? দেখ, আমি তোমার বিপক্ষরূপে বাহির হইয়াছি, কেননা আমার সাক্ষাতে তুমি বিপথে যাইতেছ;আর গর্দভী আমাকে দেখিয়া এই তিনবার আমার সম্মুখ হইতে ফিরিল; সে যদি আমার সম্মুখ হইতে না ফিরিত, তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে বধ করিতাম, আর উহাকে জীবিত রাখিতাম।
আর মাংসবিশিষ্ট সমস্ত জীবজন্তুর স্ত্রীপুরুষ জোড়া জোড়া লইয়া তাহাদের প্রাণ রক্ষার্থে আপনার সহিত সেই জাহাজে প্রবেশ করাইবে;তখন ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাগণকে সুন্দরী দেখিয়া যাহার যাহাকে ইচ্ছা, সে তাহাকে বিবাহ করিতে লাগিল।সর্বজাতীয় পক্ষী ও সর্বজাতীয় পশু ও সর্বজাতীয় ভূচর সরীসৃপ জোড়া জোড়া প্রাণ রক্ষার্থে তোমার নিকটে প্রবেশ করিবে।
তোমার ভ্রাতার গর্দভ কিম্বা বলদকে পথে পতিত দেখিলে তাহাদের হইতে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য তুমি তাহাদিগকে তুলিতে তাহার সাহায্য করিবে।
তোমার গরু ও মেষ সম্বন্ধেও তদ্রূপ করিও; তাহা সাত দিন আপন মাতার সহিত থাকিবে, অষ্টম দিনে তুমি তাহা আমাকে দিও।
তিনি মেঘমালায় আকাশমণ্ডল আচ্ছন্ন করেন, তিনি পৃথিবীর জন্য বৃষ্টি প্রস্তুত করেন, তিনি পর্বতগণের উপরে তৃণ উৎপাদন করেন।তিনি পশুকে তাহার খাদ্য দেন, দাঁড়কাকের শাবকদিগকে দেন, যাহারা ডাকিয়া উঠে।
তোমরা ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, ভূচর সমস্ত পশুর মধ্যে এই সকল জীব তোমাদের খাদ্য হইবে।চারি চরণে গমনশীল পতঙ্গ সকল তোমাদের পক্ষে ঘৃণার্হ।তথাপি চারি চরণে গমনশীল পক্ষবিশিষ্ট জন্তুদের মধ্যে ভূমিতে উল্লম্ফনের নিমিত্তে যাহাদের পায়ের নলী দীর্ঘ, তাহারা তোমাদের খাদ্য হইবে।ফলতঃ আপন আপন জাতি অনুসারে পঙ্গপাল, আপন আপন জাতি অনুসারে বাঘাফড়িঙ্গ, আপন আপন জাতি অনুসারে ঝিঁঝি, এবং আপন আপন জাতি অনুসারে অন্য ফড়িঙ্গ, এই সকল তোমাদের খাদ্য হইবে।কিন্তু আর সমস্ত চতুষপদ উড্ডীয়মান পতঙ্গ তোমাদের পক্ষে ঘৃণার্হ।এই সকল দ্বারা তোমরা অশুচি হইবে; যে কেহ তাহাদের শব স্পর্শ করিবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকিবে।আর যে কেহ তাহাদের শবের কোন অংশ বহন করিবে, সে আপন বস্ত্র ধৌত করিবে, এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকিবে।যে সকল জন্তু কিঞ্চিৎ ছিন্ন খুরবিশিষ্ট, সম্পূর্ণরূপে দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট নয় এবং জাবর কাটে না, তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি; যে কেহ তাহাদিগকে স্পর্শ করে, সে অশুচি হইবে।আর সমস্ত চতুষপদ জন্তুর মধ্যে যে যে জন্তু থাবা দ্বারা চলে, তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি; যে কেহ তাহাদের শব স্পর্শ করিবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকিবে।যে কেহ তাহাদের শব বহন করিবে, সে আপন বস্ত্র ধৌত করিবে, এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকিবে; তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।আর ভূচর সরীসৃপের মধ্যে এই সকল তোমাদের পক্ষে অশুচি; আপন আপন জাতি অনুসারে বেজি, ইদুঁর ও টিকটিকি,পশুগণের মধ্যে যে কোন পশু সম্পূর্ণ দ্বিখণ্ড খুর বিশিষ্ট ও জাবর কাটে, তাহা তোমরা ভোজন করিতে পার।
তোমার কোন ভ্রাতার বলদ কিম্বা মেষকে পথহারা হইতে দেখিলে তুমি তাহাদের হইতে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য তোমার ভ্রাতার নিকটে তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিবে।
পৃথিবীতে এই চারিটি অতি ক্ষুদ্র, তথাপি তাহারা বড় বুদ্ধি ধরে;পিপীলিকা শক্তিমান জাতি নয়, তবু গ্রীষমকালে স্ব স্ব খাদ্যের আয়োজন করে;
সেই স্থানে তুমি স্রোতের জল পান করিতে পাইবে, আর আমি কাকদিগকে তোমার খাদ্যদ্রব্য যোগাইবার আজ্ঞা দিয়াছি।
তুমি শুচি পশুর স্ত্রীপুরুষ লইয়া প্রত্যেক জাতির সাত সাত জোড়া এবং অশুচি পশুর স্ত্রীপুরুষ লইয়া প্রত্যেক জাতির এক এক জোড়া,তাহার উপরে পনের হাত জল উঠিয়া প্রবল হইল, পর্বত সকল মগ্ন হইল।তাহাতে ভূচর যাবতীয় প্রাণী- পক্ষী, গৃহপালিত ও বন্য পশু, ভূচর সরীসৃপ সকল এবং মনুষ্য সকল মরিল।স্থলচর যত প্রাণীর নাসিকাতে প্রাণবায়ুর সঞ্চার ছিল, সকলে মরিল।এইরূপে ভূমণ্ডল-নিবাসী সমস্ত প্রাণী- মনুষ্য, পশু, সরীসৃপ জীব ও আকাশের পক্ষী সকল উচ্ছিন্ন হইল, পৃথিবী হইতে উচ্ছিন্ন হইল, কেবল নোহ ও তাঁহার সঙ্গী জাহাজস্থ প্রাণীরা বাঁচিলেন।আর জল পৃথিবীর উপরে একশত পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত প্রবল থাকিল।এবং আকাশের পক্ষীদেরও স্ত্রীপুরুষ লইয়া প্রত্যেক জাতির সাত সাত জোড়া, সমস্ত ভূমণ্ডলে তাহাদের বংশ রক্ষার্থে আপনার সঙ্গে রাখ।
তখন তুমি গর্ভ উন্মোচক সমস্ত প্রথম ফল সদাপ্রভুর নিকটে উপস্থিত করিবে; এবং তোমার পশুগণেরও সকল প্রথম গর্ভফলের মধ্যে পুংশাবক সদাপ্রভুর হইবে।
কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামদিন; সেই দিন তুমি, কি তোমার পুত্র, কি কন্যা, কি তোমার দাস কি দাসী, কি তোমার গরু, কি গর্দভ, কি অন্য কোন পশু, কি তোমার পুরদ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী, কেহ কোন কার্য করিও না; তোমার দাস ও তোমার দাসী যেন তোমার ন্যায় বিশ্রাম পায়।
আর তিনি আপনার প্রথমজাত পুত্র প্রসব করিলেন, এবং তাঁহাকে কাপড়ে জড়াইয়া যাবপাত্রে শোয়াইয়া রাখিলেন, কারণ পান্থশালায় তাঁহাদের জন্য স্থান ছিল না।
[বলি,] মর্ত্য কি যে, তুমি তাহাকে স্মরণ কর? মনুষ্য-সন্তান বা কি যে, তাহার তত্ত্বাবধান কর?তুমি ঈশ্বর অপেক্ষা তাহাকে অল্পই ন্যূন করিয়াছ, গৌরব ও প্রতাপের মুকুটে বিভূষিত করিয়াছ।তোমার হস্তকৃত বস্তু সকলের উপরে তাহাকে কর্তৃত্ব দিয়াছ, তুমি সকলই তাহার পদতলস্থ করিয়াছ-সমস্ত মেষ ও গরু, আর বন্য পশুগণ,শূন্যের পক্ষিগণ, এবং সাগরের মৎস্য, যাহা কিছু সমুদ্রপথগামী।
প্রত্যেক গমনশীল প্রাণী তোমাদের খাদ্য হইবে; আমি হরিৎ ওষধির ন্যায় সেই সকল তোমাদিগকে দিলাম।কিন্তু সপ্রাণ অর্থাৎ সরক্ত মাংস ভোজন করিও না।
তুমি কি অশ্বকে বিক্রম দিয়াছ? তাহার গ্রীবাদেশে কেশর দিয়াছ?তাহারা কত মাস গর্ভধারণ করে, তাহা কি নির্ণয় করিতে পার? তাহাদের প্রসবকাল কি জান?তাহাকে কি পঙ্গপালবৎ লম্ফন করাইয়াছ? তাহার নাসারবের তেজ অতি ভয়ানক।সে তলভূমিতে খুর ঘসে, নিজ বিক্রমে আমোদ করে, অস্ত্রশস্ত্রের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যায়।সে আশঙ্কাকে পরিহাস করে, উদ্বিগ্ন হয় না, খড়্গের সম্মুখ হইতে ফিরে না,তূণ তাহার বিরুদ্ধে শব্দ করে, শাণিত বর্শা ও শূল শব্দ করে।সে উগ্রতায় ও রাগে ভূমি খাইয়া ফেলে, তূরীবাদ্য শুনিলে দাঁড়াইয়া থাকে না।তূরীর রবের সহিত সে হ্রেষা শব্দ করে, দূর হইতে সংগ্রামের গন্ধ পায়, সেনাপতিদের হুঙ্কার ও সিংহনাদ শুনে।
তোমরা আমার বিধি সকল পালন করিও। তুমি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পশুর সহিত আপন পশুদিগকে সংসর্গ করিতে দিও না; তোমার এক ক্ষেত্রে দুই প্রকার বীজ বুনিও না, এবং দুই প্রকার সূত্রে মিশ্রিত বস্ত্র গাত্রে দিও না।
তিনটা সুন্দররূপে গমন করে, চারিটা সুন্দররূপে চলে;আমি প্রজ্ঞা শিক্ষা করি নাই, পবিত্রতমের জ্ঞান আমার নাই।সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী, যে কাহাকেও দেখিয়া ফিরিয়া যায় না;যুদ্ধের অশ্ব, আর ছাগ, এবং রাজা, যাঁহার বিরুদ্ধে কেহ উঠে না।
পরে ঈশ্বর কহিলেন, ভূমি নানাজাতীয় প্রাণিবর্গ, অর্থাৎ স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী গৃহপালিত পশু, সরীসৃপ ও বন্য পশু উৎপন্ন করুক; তাহাতে সেইরূপ হইল।
কেননা প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই প্রাণ, তাহাই তাহার প্রাণস্বরূপ; এই জন্য আমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহিলাম, তোমরা কোন প্রাণীর রক্ত ভোজন করিবে না, কেননা প্রত্যেক প্রাণীর রক্তই তাহার প্রাণ; যে কেহ তাহা ভোজন করিবে, সে উচ্ছিন্ন হইবে।
যে ব্যক্তি গো হনন করে, সে নরহত্যা করে; যে ব্যক্তি মেষশাবক বলিদান করে, সে কুকুরের গলা ভাঙ্গিয়া ফেলে; যে ব্যক্তি নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, সে শূকরের রক্ত দেয়; যে ব্যক্তি সুগন্ধিধূপ জ্বালায়, সে মিথ্যাদেবের ধন্যবাদ করে; হাঁ, তাহারা আপন আপন পথ মনোনীত করিয়াছে, এবং তাহাদের প্রাণ আপন আপন ঘৃণার্হ বস্তুতে প্রীত হয়;
পশুদিগকে জিজ্ঞাসা কর, তাহারা তোমাকে শিক্ষা দিবে; আকাশের পক্ষিগণকে জিজ্ঞাসা কর, তাহারা তোমাকে বলিয়া দিবে;
তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।
কারণ দেখ, আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি; এবং পূর্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।
উষ্ট্রপক্ষিণীর ডানা উল্লাস করে, কিন্তু তাহার পক্ষ ও পালক কি স্নেহবান?সে ত ভূমিতে আপন ডিম্ব ত্যাগ করে, ধুলায় উষ্ণ হইতে দেয়।তাহার মনে থাকে না যে, হয় ত চরণে তাহা চূর্ণ করিবে, কিম্বা বন্য পশু তাহা দলাইবে।সে আপন শাবকগণের প্রতি পরের ন্যায় নির্দয় হয়, প্রসব-বেদনা বিফল হইলেও নিশ্চিন্ত থাকে;যেহেতু ঈশ্বর তাহাকে জ্ঞানহীন করিয়াছেন, তাহাকে বুদ্ধি দেন নাই।সে যখন পক্ষ তুলিয়া গমন করে, তখন অশ্বকে ও তদারোহীকে পরিহাস করে।
পশুপাল যেমন সমস্থলীতে নামিয়া যায়, তেমনি সদাপ্রভুর আত্মা তাহাদিগকে বিশ্রাম করাইয়াছিলেন; আপনার জন্য প্রতাপান্বিত নাম স্থাপনার্থে তুমি আপন প্রজাগণকে সেইরূপে লইয়া গিয়াছিলে।