তোমার আত্মা চিরকাল বেঁচে থাকবে, ভেবে দেখেছো কখনো? স্বর্গে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে, যদি তুমি তোমার পাপ স্বীকার করে যীশু খ্রীষ্টকে তোমার একমাত্র ত্রাণকর্তা হিসেবে গ্রহণ করো, অথবা যদি তুমি ঈশ্বরের দান, মুক্তির দান, প্রত্যাখ্যান করো তাহলে নরকে যন্ত্রণায়।
পবিত্র শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, প্রত্যেক মানুষ, মুক্তিপ্রাপ্ত হোক বা অভিশপ্ত, চিরকাল বেঁচে থাকবে, হয় স্বর্গে নয়তো নরকে। আমাদের শারীরিক মৃত্যুর পরেও আমাদের অস্তিত্বের অবসান ঘটে না।
ঈশ্বর আমাদের শুধু চিরন্তন জীবনের প্রতিশ্রুতিই দেননি, তিনি আমাদের দেহের পুনরুত্থানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। "ভূমির ধূলায় যারা নিদ্রিত আছে তাদের অনেকে জাগ্রত হবে, কিছু অনন্ত জীবনের জন্য এবং কিছু লজ্জা ও চিরস্থায়ী ঘৃণার জন্য" (দানিয়েল ১২:২)।
তাহারা আর মরিতেও পারে না, কেননা তাহারা দূতগণের সমতুল্য, এবং পুনরুত্থানের সন্তান হওয়াতে ঈশ্বরের সন্তান।
যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে;আর যে কেহ জীবিত আছে, এবং আমাতে বিশ্বাস করে, সে কখনও মরিবে না; ইহা কি বিশ্বাস কর?
দেখ, সমস্ত প্রাণ আমার; যেমন পিতার প্রাণ, তদ্রূপ সন্তানের প্রাণও আমার; যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে।
পরে আমি কয়েকটি সিংহাসন দেখিলাম; সেইগুলির উপরে কেহ কেহ বসিলেন, তাঁহাদিগকে বিচার করিবার ভার দত্ত হইল। আর যীশুর সাক্ষ্য ও ঈশ্বরের বাক্যের নিমিত্ত যাহারা কুঠার দ্বারা হত হইয়াছিল, এবং যাহারা সেই পশুকে ও তাহার প্রতিমাকে ভজনা করে নাই, আর আপন আপন ললাটে ও হস্তে তাহার ছাপ ধারণ করে নাই, তাহাদের প্রাণও দেখিলাম; তাহারা জীবিত হইয়া সহস্র বৎসর খ্রীষ্টের সহিত রাজত্ব করিল।
আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হইবে, এবং এই মর্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হইবে, তখন এই যে কথা লিখিত আছে, তাহা সফল হইবে, “মৃত্যু জয়ে কবলিত হইল।”
সৎক্রিয়ায় ধৈর্য সহযোগে যাহারা প্রতাপ, সমাদর ও অক্ষয়তার অন্বেষণ করে, তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিবেন;
কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করিতে হইবে, এবং এই মর্ত্যকে অমরতা পরিধান করিতে হইবে।
কেননা যদি আমরা জীবিত থাকি, তবে প্রভুরই উদ্দেশে জীবিত থাকি; এবং যদি মরি, তবে প্রভুরই উদ্দেশে মরি। অতএব আমরা জীবিত থাকি বা মরি, আমরা প্রভুরই।
আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকার ধূলিতে আদমকে (অর্থাৎ মনুষ্যকে) নির্মাণ করিলেন, এবং তাহার নাসিকায় ফুঁ দিয়া প্রাণবায়ু প্রবেশ করাইলেন; তাহাতে মনুষ্য সজীব প্রাণী হইল।
একজন ধনবান লোক ছিল, সে বেগুনে কাপড় ও সূক্ষ্ম বস্ত্র পরিধান করিত, এবং প্রতিদিন জাঁকজমকের সহিত আমোদ প্রমোদ করিত।পরে সে তাহাকে ডাকিয়া কহিল, তোমার বিষয়ে এ কি কথা শুনিতেছি? তোমার দেওয়ানী-পদের হিসাব দেও, কেননা তুমি আর দেওয়ান থাকিতে পারিবে না।তাহার ফটক-দ্বারে লাসার নামে একজন কাঙ্গালকে রাখা হইয়াছিল,তাহার শরীর ঘায়ে ভরা ছিল, এবং সেই ধনবানের মেজ হইতে পতিত গুঁড়াগাঁড়া খাইতে বাঞ্ছা করিত; আবার কুকুরেরাও আসিয়া তাহার ঘা চাটিত।কালক্রমে ঐ কাঙ্গাল মরিয়া গেল, আর স্বর্গদূতগণ তাহাকে লইয়া অব্রাহামের কোলে বসাইলেন।পরে সেই ধনবানও মরিল, এবং কবরপ্রাপ্ত হইল। আর পাতালে, যাতনার মধ্যে, সে চক্ষু তুলিয়া দূর হইতে অব্রাহামকে এবং তাঁহার কোলে লাসারকে দেখিতে পাইল।তাহাতে সে উচ্চৈঃস্বরে কহিল, পিতঃ অব্রাহাম, আমার প্রতি দয়া করুন, লাসারকে পাঠাইয়া দিউন, যেন সে অঙ্গুলির অগ্রভাগ জলে ডুবাইয়া আমার জিহ্বা শীতল করে, কেননা এই অগ্নিশিখায় আমি যন্ত্রণা পাইতেছি।কিন্তু অব্রাহাম কহিলেন, বৎস, স্মরণ কর; তোমার সুখ তুমি জীবনকালে পাইয়াছ, আর লাসার তদ্রূপ দুঃখ পাইয়াছে; এখন সে এই স্থানে সান্ত্বনা পাইতেছে, আর তুমি যন্ত্রণা পাইতেছ।আর এই সকল ছাড়া আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বৃহৎ এক শূন্যস্থলী স্থির রহিয়াছে, যেন এই স্থান হইতে যাহারা তোমাদের কাছে যাইতে চাহে, তাহারা না পারে, আবার ঐ স্থান হইতে আমাদের কাছে কেহ পার হইয়া আসিতে না পারে।তখন সে কহিল, তবে আমি আপনাকে বিনয় করি, পিতঃ, আমার পিতার বাটীতে উহাকে পাঠাইয়া দিউন;কেননা আমার পাঁচটি ভাই আছে; সে গিয়া তাহাদের নিকটে সাক্ষ্য দিউক, যেন তাহারাও এই যাতনা-স্থানে না আইসে।কিন্তু অব্রাহাম কহিলেন, তাহাদের নিকটে মোশি ও ভাববাদিগণ আছেন; তাঁহাদেরই কথা তাহারা শুনুক।তখন সেই দেওয়ান মনে মনে কহিল, কি করিব? আমার প্রভু ত আমার নিকট হইতে দেওয়ানী-পদ লইতেছেন; মাটি কাটিবার বল আমার নাই, ভিক্ষা করিতে আমার লজ্জা হয়।তখন সে বলিল, তাহা নয়, পিতঃ অব্রাহাম, বরং মৃতদের মধ্য হইতে যদি কেহ তাহাদের নিকটে যায়, তাহা হইলে তাহারা মন ফিরাইবে।কিন্তু তিনি কহিলেন, তাহারা যদি মোশির ও ভাববাদিগণের কথা না শুনে, তবে মৃতগণের মধ্য হইতে কেহ উঠিলেও তাহারা মানিবে না।
কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।
আর ধূলি পূর্ববৎ মৃত্তিকাতে প্রতিগমন করিবে; এবং আত্মা যাঁহার দান, সেই ঈশ্বরের কাছে প্রতিগমন করিবে।
কিন্তু ঈশ্বর পাতালের হস্ত হইতে আমার প্রাণ মুক্ত করিবেন; কেননা তিনি আমাকে গ্রহণ করিবেন। [সেলা]
কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে।
কেননা “মর্ত্যমাত্র তৃণের তুল্য ও তাহার সমস্ত কান্তি তৃণপুষ্পের তুল্য; তৃণ শুষ্ক হইয়া গেল, এবং পুষ্প ঝরিয়া পড়িল,কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর ইহা সেই সুসমাচারের বাক্য, যাহা তোমাদের নিকটে প্রচারিত হইয়াছে।
ইহাতে আশ্চর্য মনে করিও না; কেননা এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে তাঁহার রব শুনিবে,এবং যাহারা সৎকার্য করিয়াছে, তাহারা জীবনের পুনরুত্থানের জন্য, ও যাহারা অসৎকার্য করিয়াছে, তাহারা বিচারের পুনরুত্থানের জন্য বাহির হইয়া আসিবে।
তুমি নিজ মন্ত্রণায় আমাকে গমন করাইবে, শেষে সপ্রতাপে আমাকে গ্রহণ করিবে। স্বর্গে আমার কে আছে? পৃথিবীতেও তোমা ভিন্ন আর কিছুতে আমার প্রীতি নাই।আমার মাংস ও আমার চিত্ত ক্ষয় পাইতেছে, তথাপি ঈশ্বর চিরকাল আমার চিত্তের শৈল ও আমার দায়াংশ।
তাহাদের যাতনার ধূম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে উঠে”; যাহারা সেই পশু ও তাহার প্রতিমূর্তির ভজনা করে, এবং যে কেহ তাহার নামের ছাপ ধারণ করে, তাহারা দিবাতে কি রাত্রিতে কখনও বিশ্রাম পায় না।
তোমার মৃতেরা জীবিত হইবে, আমার শবসমূহ উঠিবে; হে ধূলি-নিবাসীরা, তোমরা জাগ্রত হও, আনন্দ গান কর; কেননা তোমার শিশির দীপ্তির শিশির তুল্য, এবং ভূমি প্রেতদিগকে ভূমিষ্ঠ করিবে।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
আর মৃত্তিকার ধূলিতে নিদ্রিত লোকদের মধ্যে অনেকে জাগরিত হইবে- কেহ কেহ অনন্ত জীবনের উদ্দেশে, এবং কেহ কেহ লজ্জার ও অনন্ত ঘৃণার উদ্দেশে।আর যাহারা বুদ্ধিমান, তাহারা বিতানের দীপ্তির ন্যায়, এবং যাহারা অনেককে ধার্মিকতার প্রতি ফিরায়, তাহারা তারকাগণের ন্যায় অনন্তকাল দেদীপ্যমান হইবে।
বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে? কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্তে কি দিবে?
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত না হও।কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন।
কালক্রমে ঐ কাঙ্গাল মরিয়া গেল, আর স্বর্গদূতগণ তাহাকে লইয়া অব্রাহামের কোলে বসাইলেন।পরে সেই ধনবানও মরিল, এবং কবরপ্রাপ্ত হইল। আর পাতালে, যাতনার মধ্যে, সে চক্ষু তুলিয়া দূর হইতে অব্রাহামকে এবং তাঁহার কোলে লাসারকে দেখিতে পাইল।
কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে ব্যক্তি আমার বাক্য শুনে, ও যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হইয়াছে, এবং বিচারে আনীত হয় না, কিন্তু সে মৃত্যু হইতে জীবনে পার হইয়া গিয়াছে।
মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে? আমি আপন সৈন্যবৃত্তির সমস্ত দিন প্রতীক্ষা করিব, যে পর্যন্ত আমার দশান্তর না হয়।
ঊর্ধ্বস্থ বিষয় ভাব, পৃথিবীস্থ বিষয় ভাবিও না।সন্তানেরা, তোমরা সর্ববিষয়ে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহাই প্রভুতে তুষ্টিজনক।পিতারা, তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, পাছে তাহাদের মনোভঙ্গ হয়।দাসেরা, যাহারা মাংসের সম্বন্ধে তোমাদের প্রভু, তোমরা তাহাদের আজ্ঞাবহ হও; চাক্ষুষ সেবা দ্বারা মনুষ্যের তুষ্টিকরের মত নয়, কিন্তু অন্তঃকরণের সরলতায় প্রভুকে ভয় করিয়া আজ্ঞাবহ হও।যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;তোমরা প্রভু খ্রীষ্টেরই দাসত্ব করিতেছ; বস্তুতঃ যে অন্যায় করে, সে আপনার কৃত অন্যায়ের প্রতিফল পাইবে; আর [প্রভুর কাছে] মুখাপেক্ষা নাই।কেননা তোমরা মরিয়াছ, এবং তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সহিত ঈশ্বরে গুপ্ত রহিয়াছে।আমাদের জীবনস্বরূপ খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হইবেন, তখন তোমরাও তাঁহার সহিত সপ্রতাপে প্রকাশিত হইবে।
কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়; আর আমিই তাঁহাকে শেষ দিনে উঠাইব।
দেখ, আমি তোমাদিগকে এক নিগূঢ়তত্ত্ব বলি; আমরা সকলে নিদ্রাগত হইব না, কিন্তু সকলে রূপান্তরীকৃত হইব;এক মুহূর্তের মধ্যে, চক্ষুর পলকে, শেষ তূরীধ্বনিতে হইব; কেননা তূরী বাজিবে, তাহাতে মৃতেরা অক্ষয় হইয়া উত্থাপিত হইবে, এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হইব।কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করিতে হইবে, এবং এই মর্ত্যকে অমরতা পরিধান করিতে হইবে।আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হইবে, এবং এই মর্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হইবে, তখন এই যে কথা লিখিত আছে, তাহা সফল হইবে, “মৃত্যু জয়ে কবলিত হইল।”
আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।সেই দিন তোমরা জানিবে যে, আমি আমার পিতাতে আছি, ও তোমরা আমাতে আছ, এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।যে ব্যক্তি আমার আজ্ঞা সকল প্রাপ্ত হইয়া সেই সকল পালন করে, সেই আমাকে প্রেম করে; আর যে আমাকে প্রেম করে, আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন; এবং আমিও তাহাকে প্রেম করিব, আর আপনাকে তাহার কাছে প্রকাশ করিব।তখন যিহূদা- ঈষ্করিয়োতীয় নয়- তাঁহাকে বলিলেন, প্রভু, কি হইয়াছে যে, আপনি আমাদেরই কাছে আপনাকে প্রকাশ করিবেন, আর জগতের কাছে নয়?যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, কেহ যদি আমাকে প্রেম করে, তবে সে আমার বাক্য সকল পালন করিবে; আর আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন, এবং আমরা তাহার নিকটে আসিব ও তাহার সহিত বাস করিব।যে আমাকে প্রেম করে না, সে আমার বাক্য সকল পালন করে না। আর তোমরা যে বাক্য শুনিতে পাইতেছ, তাহা আমার নয়, কিন্তু পিতার, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন।তোমাদের নিকটে থাকিতে থাকিতেই আমি এই সকল কথা কহিলাম।কিন্তু সেই সহায়, পবিত্র আত্মা, যাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেন, তিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন, এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সকল স্মরণ করাইয়া দিবেন।শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেইরূপ দান করি না। তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক, ভীতও না হউক।তোমরা শুনিয়াছ যে, আমি তোমাদিগকে বলিয়াছি, আমি যাইতেছি, আবার তোমাদের কাছে আসিতেছি। যদি তোমরা আমাকে প্রেম করিতে, তবে আনন্দ করিতে যে, আমি পিতার নিকটে যাইতেছি; কারণ পিতা আমা অপেক্ষা মহান।আর এখন, ঘটিবার পূর্বে, আমি তোমাদিগকে বলিলাম, যেন ঘটিলে পর তোমরা বিশ্বাস কর।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,
আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।
কেবল মঙ্গল ও দয়াই আমার জীবনের সমুদয় দিন আমার অনুচর হইবে, আর আমি সদাপ্রভুর গৃহে চিরদিন বসতি করিব।
মৃতগণের পুনরুত্থানও তদ্রূপ। ক্ষয়ে বপন করা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়; অনাদরে বপন করা যায়,গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্বলতায় বপন করা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;প্রাণিক দেহ বপন করা যায়, আত্মিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন প্রাণিক দেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে।
কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করিতে হইবে, এবং এই মর্ত্যকে অমরতা পরিধান করিতে হইবে।আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হইবে, এবং এই মর্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হইবে, তখন এই যে কথা লিখিত আছে, তাহা সফল হইবে, “মৃত্যু জয়ে কবলিত হইল।”
এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্যিক মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকাল স্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে;আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।
কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই তাম্বুরূপ পার্থিব বাটী ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ঈশ্বরদত্ত এক গাঁথনি আমাদের আছে, সেই বাটী অহস্তনির্মিত, অনন্তকালস্থায়ী ও স্বর্গে স্থিত।
আমরা সাহস করিতেছি, এবং দেহ হইতে দূরে প্রবাস ও প্রভুর কাছে নিবাস করা অধিক বাঞ্ছনীয় জ্ঞান করিতেছি।
কেননা আমার পক্ষে জীবন খ্রীষ্ট, এবং মরণ লাভ।কিন্তু মাংসে যে জীবন, তাহাই যদি আমার কর্মের ফল হয়, তবে কোন্টি মনোনীত করিব, তাহা বলিতে পারি না।অথচ আমি দুইয়েতে সঙ্কুচিত হইতেছি; আমার বাসনা এই যে, প্রস্থান করিয়া খ্রীষ্টের সঙ্গে থাকি,
কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর তথা হইতে আমরা ত্রাণকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, আগমন প্রতীক্ষা করিতেছি;তিনি আমাদের দীনতার দেহকে রূপান্তর করিয়া নিজ প্রতাপের দেহের সমরূপ করিবেন, যেন কার্যসাধক শক্তিতে তিনি সকলই আপনার বশীভূত করিতে পারেন, তাহারই গুণে করিবেন।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত না হও।কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন।কেননা আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না।কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে।পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।
এবং এখন আমাদের ত্রাণকর্তা খ্রীষ্ট যীশুর প্রকাশ প্রাপ্তি দ্বারা প্রকাশিত হইল, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করিয়াছেন, এবং সুসমাচার দ্বারা জীবন ও অক্ষয়তাকে দীপ্তিতে আনিয়াছেন।
আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরূপিত আছে,তেমনি খ্রীষ্টও ‘অনেকের পাপভার তুলিয়া লইবার’ নিমিত্ত একবার উৎসৃষ্ট হইয়াছেন; তিনি দ্বিতীয় বার, বিনা পাপে, তাহাদিগকে দর্শন দিবেন, যাহারা পরিত্রাণের নিমিত্ত তাঁহার অপেক্ষা করে।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনি নিজ বিপুল দয়া অনুসারে মৃতগণের মধ্য হইতে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা, জীবন্ত প্রত্যাশার নিমিত্ত আমাদিগকে পুনর্জন্ম দিয়াছেন,অক্ষয়, বিমল ও অজর দায়াধিকারের নিমিত্ত দিয়াছেন; সেই দায়াধিকার স্বর্গে তোমাদের নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে;
কারণ তোমরা ক্ষয়ণীয় বীর্য হইতে নয়, কিন্তু অক্ষয় বীর্য হইতে ঈশ্বরের জীবন্ত ও চিরস্থায়ী বাক্য দ্বারা পুনর্জাত হইয়াছ।
আর ইহা তাঁহারই সেই প্রতিজ্ঞা, যাহা তিনি নিজে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা অনন্ত জীবন।
আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রের মধ্যে আছে।পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই, সে সেই জীবন পায় নাই।তোমরা যাহারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করিতেছ, আমি তোমাদিগকে এই সকল কথা লিখিলাম, যেন তোমরা জানিতে পার যে, তোমরা অনন্ত জীবন পাইয়াছ।
আমি মরিয়াছিলাম, আর দেখ, আমি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আমার হস্তে আছে।
যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন। যে জয় করে, তাহাকে আমি ঈশ্বরের “পরমদেশস্থ জীবনবৃক্ষের” ফল ভোজন করিতে দিব।
আর আমি দেখিলাম, ক্ষুদ্র ও মহান সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; পরে “কয়েকখানি পুস্তক খোলা হইল” এবং আর একখানি পুস্তক, অর্থাৎ জীবন-পুস্তক খোলা হইল, এবং মৃতেরা পুস্তকসমূহে লিখিত প্রমাণে “আপন আপন কার্যানুসারে” বিচারিত হইল।আর সমুদ্র তাহার মধ্যবর্তী মৃতগণকে ফিরাইয়া দিল এবং মৃত্যু ও পাতাল আপনাদের মধ্যবর্তী মৃতগণকে সমর্পন করিল, এবং তাহারা প্রত্যেকে আপন আপন কার্যানুসারে বিচারিত হইল।পরে মৃত্যু ও পাতাল অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল; তাহাই, অর্থাৎ সেই অগ্নিহ্রদ, দ্বিতীয় মৃত্যু।আর জীবন-পুস্তকে যে কাহারও নাম লিখিত পাওয়া গেল না, সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল।
আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।
সেখানে রাত্রি আর হইবে না, এবং প্রদীপের আলোকে কিম্বা সূর্যের আলোকে লোকদের কিছু প্রয়োজন হইবে না, কারণ “প্রভু ঈশ্বর তাহাদিগকে আলোকিত করিবেন; এবং তাহারা যুগপর্যায়ের যুগে যুগে রাজত্ব করিবে”।