আপনাদের কি মনে হয়, আজকাল আমরা অনেক সময় না বুঝেই অনেক কিছুকে ঈশ্বরের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলি? যেমন, মনে করেন, যাত্রাপুস্তকে ঈশ্বর তাঁর লোকদেরকে দশ আজ্ঞা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি হলো মূর্তিপূজা না করা। এটা আসলে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের আরাধনা এবং ভক্তির যোগ্য।
নতুন নিয়মেও আমরা ঈশ্বর ছাড়া অন্য কিছুকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারি। করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্রে লেখা আছে, মূর্তির কোনো শক্তি নেই এবং আমাদের সব ধরনের মূর্তিপূজা থেকে দূরে থাকতে হবে। আজকাল মূর্তিপূজা ভিন্ন রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আসে।
তাই ভাবুন তো, আমাদের জীবনে এমন কিছু আছে কিনা যা আমরা ঈশ্বরের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি? আমাদের কাজ, সম্পর্ক, ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা কি আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হয়ে গেছে? সাংসারিক জিনিসপত্র কিংবা সাফল্য কি আমাদের ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে?
লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষা থাকা খারাপ কিছু না। তবে যখন এগুলো ঈশ্বরের আরাধনা থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে নেয়, তখন নিজের ভেতরে একটু ভাবতে হবে। আমাদের জীবনে সমতা বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ঈশ্বরকে আমাদের জীবনের সবকিছুর কেন্দ্রে রাখতে হবে। যেমনটি দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:৪ পদে বলা হয়েছে, "তোমাদের কেবল তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হতে হবে, তাঁকেই ভয় করবে, তাঁর আজ্ঞা পালন করবে, তাঁর কথা শুনবে, তাঁর সেবা করবে এবং তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবে।"
তোমরা আমার প্রতিযোগী কিছু নির্মাণ করিও না; আপনাদের নিমিত্তে রৌপ্যময় দেবতা কি স্বর্ণময় দেবতা নির্মাণ করিও না।
আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নিচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলমধ্যে যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্তি নির্মাণ করিও না;
তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
অথবা তোমরা কি জান না যে, অধার্মিকেরা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না? ভ্রান্ত হইও না; যাহারা ব্যভিচারী কি প্রতিমাপূজক কি পারদারিক কি স্ত্রীবৎ আচারী কি পুঙ্গামী,
কি চোর কি লোভী কি মাতাল কি কটূভাষী কি পরধনগ্রাহী, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
তোমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই অনুগামী হও, তাঁহাকেই ভয় কর, তাঁহারই আজ্ঞা পালন কর, তাঁহারই রবে অবধান কর, তাঁহারই সেবা কর, ও তাঁহাতেই আসক্ত থাক।
আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
তুমি তোমার জন্য ক্ষোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নিচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলে, যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্তি নির্মাণ করিও না;
তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
তোমরা অন্য দেবগণের, চারিদিকের জাতিদের দেবগণের অনুগামী হইও না;
কেননা তোমার মধ্যবর্তী তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর। সাবধান, পাছে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ তোমার প্রতিকূলে প্রজ্বলিত হয়, আর তিনি ভূমণ্ডল হইতে তোমাকে উচ্ছিন্ন করেন।
অতএব অদ্য জ্ঞাত হও, মনে রাখ যে, উপরিস্থ স্বর্গে ও নিচস্থ পৃথিবীতে সদাপ্রভুই ঈশ্বর, অন্য কেহ নাই।
উহাদের প্রতিমা সকল রৌপ্য ও স্বর্ণ, মনুষ্যের হস্তের কার্য।
মুখ থাকিতেও তাহারা কথা কহে না; চক্ষু থাকিতেও দেখিতে পায় না;
কর্ণ থাকিতেও শুনিতে পায় না; নাসিকা থাকিতেও ঘ্রাণ পায় না;
হস্ত থাকিতেও স্পর্শ করিতে পারে না; চরণ থাকিতেও চলিতে পারে না; তাহারা কন্ঠে কথা কহিতে পারে না।
যেমন তাহারা, তেমনি হইবে তাহাদের নির্মাতারা, আর যে কেহ সেগুলিতে নির্ভর করে।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
তথাপি আমিই মিসর দেশ অবধি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু; আমা ব্যতিরেকে আর কোন ঈশ্বরকে তুমি জানিবে না, এবং আমা ভিন্ন ত্রাণকর্তা আর কেহ নাই।
জাতিগণের প্রতিমা সকল রৌপ্য ও সুবর্ণ, সেগুলি মনুষ্যের হস্তের কার্য।
মুখ থাকিতেও তাহারা কথা কহে না; চক্ষু থাকিতেও দেখিতে পায় না;
কর্ণ থাকিতেও শুনিতে পায় না; তাহাদের মুখে শ্বাসমাত্রও নাই।
যেমন তাহারা, তেমনি হইবে তাহাদের নির্মাতারা, আর যে কেহ সেইগুলিতে নির্ভর করে।
তবে তোমরা কাহার সহিত ঈশ্বরের তুলনা দিবে? তাঁহার সদৃশ বলিয়া কি প্রকার মূর্তি উপস্থিত করিবে?
শিল্পকর প্রতিমা ছাঁচে ঢালে, স্বর্ণকার তাহা স্বর্ণপত্রে মোড়ে, ও তাহার নিমিত্ত রৌপ্যের শৃঙ্খল প্রস্তুত করে।
যে ব্যক্তি এইরূপ উপহার দিতে পারে না, সে দুষপচ্য কোন কাষ্ঠ মনোনীত করে; আপনার জন্য একজন বিজ্ঞ শিল্পকর খুঁজে, যেন সে এমন একটি প্রতিমা প্রস্তুত করে, যাহা টলিবে না।
যদি সদাপ্রভুর সেবা করা তোমাদের মন্দ বোধ হয়, তবে যাহার সেবা করিবে, তাহাকে অদ্য মনোনীত কর; নদীর ওপারস্থ তোমাদের পিতৃপুরুষদের সেবিত দেবগণ হয় হউক, কিম্বা যাহাদের দেশে তোমরা বাস করিতেছ সেই ইমোরীয়দের দেবগণ হয় হউক; কিন্তু আমি ও আমার পরিজন আমরা সদাপ্রভুর সেবা করিব।
ক্ষোদিত প্রতিমার নির্মাতারা সকলে অবস্তু, তাহাদের পুত্তলিরত্ন সকল উপকারী নয়; এবং তাহাদের নিজের সাক্ষিগণ দেখে না, জানে না, যেন তাহারা লজ্জাপ্রাপ্ত হয়।
কে দেবতা নির্মাণ করিয়াছে, বা যাহা উপকারী নয়, এমন প্রতিমা ঢালিয়াছে?
দেখ, তাহার সমস্ত সহায় লজ্জিত হইবে; সেই শিল্পকরেরা মর্ত্যমাত্র, তাহারা সকলে একত্র হউক, উঠিয়া দাঁড়াউক; তাহারা একেবারে কম্পান্বিত ও লজ্জিত হইবে।
কর্মকার অস্ত্র [নির্মাণ করে], তপ্ত অঙ্গারে পরিশ্রম করে, হাতুড়ি দ্বারা তাহা গড়ে, নিজ বলবান বাহু দ্বারা তাহা প্রস্তুত করে; আবার সে ক্ষুধিত হইয়া দুর্বল হয়, জল পান না করিয়া ক্লান্ত হয়।
সূত্রধর সূত্রপাত করে, সে সিন্দূর দ্বারা তাহার আকৃতি লিখে, তাহাতে রেঁদা বুলায়, কম্পাস দিয়া তাহার আকার নিরূপণ করে, এবং পুরুষের আকৃতি ও মনুষ্যের সৌন্দর্য অনুসারে তাহা নির্মাণ করে, যেন তাহা বাটীতে বাস করিতে পারে।
কেহ আপনার নিমিত্ত এরস বৃক্ষ ছেদন করে, তর্সা ও অলোন বৃক্ষ গ্রহণ করে, বনতরুগণের মধ্যে কোন দৃঢ় বৃক্ষ মনোনীত করে; সে শরল বৃক্ষ রোপন করে, আর বৃষ্টি তাহা পালন করে।
পরে তাহা জ্বালানি কাষ্ঠ হইয়া মনুষ্যের ব্যবহারে আইসে; সে তাহার কিছু লইয়া আগুন পোহায়; আবার তুন্দুর তপ্ত করিয়া রুটি পাক করে; আবার এক দেবতা নির্মাণ করিয়া তাহার কাছে প্রণিপাত করে, এক প্রতিমা নির্মাণ করিয়া তাহার কাছে দণ্ডবৎ হয়।
সে তাহার এক অংশ আগুনে পোড়ায়, অন্য অংশ দ্বারা মাংস [পাক করিয়া] ভোজন করে, শূল্যমাংস প্রস্তুত করিয়া তৃপ্ত হয়, আবার আগুন পোহাইয়া বলে, আহা, আমি আগুন পোহাইলাম, আগুনের তাপ লইলাম!
আর সে তাহার অবশিষ্ট অংশ দ্বারা এক দেবতা, আপনার জন্য এক প্রতিমা নির্মাণ করে, সে তাহার কাছে দণ্ডবৎ হইয়া প্রণিপাত করে, এবং তাহার কাছে প্রার্থনা করিয়া বলে, আমাকে উদ্ধার কর, কেননা তুমি আমার দেবতা।
তাহারা জানে না, ও বিবেচনা করে না; কেননা তিনি তাহাদের চক্ষু বদ্ধ করিয়াছেন, তাই তাহারা দেখিতে পায় না; তাহাদের চিত্ত বদ্ধ করিয়াছেন, তাই তাহারা বুঝিতে পারে না।
কেহই মনে করে না, কাহারও এমন জ্ঞান কি বুদ্ধি নাই যে বলিবে, আমি ইহার এক অংশ আগুনে পোড়াইয়াছি, আবার ইহার তপ্ত অঙ্গারে রুটি পাক করিয়াছি, আমি শূল্যমাংস প্রস্তুত করিয়া ভোজন করিয়াছি, তবে ইহার অবশিষ্ট অংশ দ্বারা কি ঘৃণার্হ বস্তু নির্মাণ করিব? কাষ্ঠখণ্ডের কাছে কি দণ্ডবৎ হইব?
সে ভস্মভোজী, মুগ্ধচিত্ত তাহাকে ভ্রান্ত করিয়াছে, সে আপন প্রাণ উদ্ধার করিতে পারে না, এবং ইহাও বলে না যে, আমার দক্ষিণ হস্তে কি মিথ্যা কথা নাই?
কেননা জাতিগণের বিধি সকল অসার; লোকে বনে যে কাষ্ঠ ছেদন করে, তাহাই বাটালি সহকারে কারুকরের হস্তকৃত কর্ম হইয়া উঠে।
লোকে তাহা রৌপ্য ও সুবর্ণে অলঙ্কৃত করে; এবং যেন না নড়ে, তজ্জন্য হাতুড়ি দিয়া প্রেক মারিয়া তাহা দৃঢ় করে।
সেই সকল খোদিত স্তম্ভস্বরূপ; কথা কহিতে পারে না; তাহাদিগকে বহন করিতে হয়, কারণ তাহারা চলিতে পারে না। তোমরা তাহাদের হইতে ভীত হইও না; কারণ তাহারা অহিত করিতে পারে না, হিত করিতেও তাহাদের সাধ্য নাই।
[তিনি কহিলেন,] তবে এখন আপনাদের মধ্যস্থিত বিজাতীয় দেবগণকে দূর করিয়া দেও, ও আপন আপন হৃদয় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে রাখ।
হে মনুষ্য-সন্তান, ঐ লোকেরা আপন আপন পুত্তলিকে আপন আপন হৃদয়ে উঠিতে দিয়াছে, ও আপন আপন দৃষ্টির সম্মুখে আপনাদের অপরাধজনক বিঘ্ন রাখিয়াছে; আমি কি কোন মতে উহাদিগকে আমার কাছে অনুসন্ধান করিতে দিব?
অতএব তুমি উহাদের সহিত আলাপ করিয়া উহাদিগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ইস্রায়েল-কুলের যে কোন ব্যক্তি আপন পুত্তলিকে হৃদয়ে উঠিতে দেয়, ও আপন দৃষ্টির সম্মুখে আপনার অপরাধজনক বিঘ্ন রাখে, এবং ভাববাদীর কাছে আইসে, সেই ব্যক্তিকে আমি সদাপ্রভু তাহার যত পুত্তলিগণের বাহুল্যানুসারে তদ্বিষয়ে উত্তর দিব;
যেন আমি ইস্রায়েল-কুলকে তাহাদের হৃদয়রূপ ফাঁদে ধরি, কেননা আপন আপন পুত্তলিগণের অনুরাগে তাহারা সকলে আমা হইতে সরিয়া গিয়াছে।
কারণ তাহারা নিজেরা আমাদের বিষয়ে এই বার্তা প্রচার করিয়া থাকে যে, তোমাদের নিকটে আমরা কিরূপে উপস্থিত হইয়াছিলাম, আর তোমরা কিরূপে প্রতিমাগণ হইতে ঈশ্বরের দিকে ফিরিয়া আসিয়াছ, যেন জীবন্ত সত্য ঈশ্বরের সেবা করিতে পার,
পরন্তু সেই সময়ে তোমরা ঈশ্বরকে না জানিয়া, যাহারা স্বভাবতঃ ঈশ্বর নহে, তাহাদের দাস ছিলে;
কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিচয় পাইয়াছ, বরং ঈশ্বরকর্তৃক পরিচিত হইয়াছ; তবে কেমন করিয়া পুনর্বার ঐ দুর্বল অকিঞ্চন অক্ষরমালার প্রতি ফিরিতেছ, আবার ফিরিয়া সেইগুলির দাস হইতে চাহিতেছ?
তোমরা আপনাদের জন্য অবস্তু প্রতিমা নির্মাণ করিও না, এবং ক্ষোদিত প্রতিমা কিম্বা স্তম্ভ স্থাপন করিও না, ও তাহার কাছে প্রণিপাত করিবার জন্য তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রাখিও না; কেননা আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
যাহারা অন্য [দেবতাকে] উপহার দেয়, তাহাদের যাতনা বৃদ্ধি পাইবে; রক্তরূপ তাহাদের পেয় নৈবেদ্য আমি উৎসর্গ করিব না, আপন ওষ্ঠাধরে তাহাদের নাম লইব না।
পর্বত হইতে নামিতে মোশির বিলম্ব হইতেছে দেখিয়া লোকেরা হারোণের নিকটে একত্র হইয়া তাঁহাকে কহিল, উঠুন, আমাদের অগ্রগামী হইবার জন্য আমাদের নিমিত্ত দেবতা নির্মাণ করুন, কেননা যে মোশি মিসর দেশ হইতে আমাদিগকে বাহির করিয়া আনিয়াছেন, সেই ব্যক্তির কি হইল, তাহা আমরা জানি না।
তখন হারোণ তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা আপন আপন স্ত্রী ও পুত্রকণ্যাগণের কর্ণের সুবর্ণ কুণ্ডল খুলিয়া আমার কাছে আন।
তাহাতে সমস্ত লোক তাহাদের কর্ণ হইতে সুবর্ণ কুণ্ডল সকল খুলিয়া হারোণের নিকটে আনিল।
তখন তিনি তাহাদের হস্ত হইতে তাহা গ্রহণ করিয়া শিল্পাস্ত্রে গঠন করিলেন, এবং একটি ছাঁচে ঢালা গোবৎস নির্মাণ করিলেন। তখন লোকেরা বলিতে লাগিল, হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিসর দেশ হইতে তোমাকে বাহির করিয়া আনিয়াছেন।
তোমরা অবস্তু প্রতিমাগণের অভিমুখ হইও না, ও আপনাদের জন্য ছাঁচে ঢালা দেবতা নির্মাণ করিও না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
আর যিহূদার নগর সকল ও যিরূশালেম-নিবাসিগণ যে দেবগণের কাছে ধূপ জ্বালাইয়া থাকে, তাহাদের কাছে গমন করিয়া ক্রন্দন করিবে, কিন্তু তাহারা বিপদের সময়ে তাহাদিগকে কোন মতে নিস্তার করিবে না।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
কোন ভৃত্য দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না, কেননা সে হয় একজনকে ঘৃণা করিবে, অন্যকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনে অনুরক্ত হইবে, অন্যকে তুচ্ছ করিবে। তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
হে জাতিগণের মধ্য হইতে উত্তীর্ণ লোক সকল, তোমরা একত্র হইয়া আইস, একসঙ্গে নিকটে আইস, তাহারা কিছুই জানে না, যাহারা আপনাদের প্রতিমার কাষ্ঠ বহিয়া বেড়ায়, যাহারা এমন দেবতার কাছে প্রার্থনা করে, যে পরিত্রাণ করিতে পারে না।
কারণ ঈশ্বরকে জ্ঞাত হইয়াও তাহারা তাঁহাকে ঈশ্বর বলিয়া তাঁহার গৌরব করে নাই; ধন্যবাদও করে নাই; কিন্তু আপনাদের তর্কবিতর্কে অসার হইয়া পড়িয়াছে, এবং তাহাদের অবোধ হৃদয় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে।
আপনাদিগকে বিজ্ঞ বলিয়া তাহারা মূর্খ হইয়াছে,
এবং ক্ষয়ণীয় মনুষ্যের ও পক্ষীর ও চতুসপদের ও সরীসৃপের মূর্তিবিশিষ্ট প্রতিকৃতির সহিত অক্ষয় ঈশ্বরের গৌরব পরিবর্তন করিয়াছে।
এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না।
পৌল যখন তাহাদের অপেক্ষায় আথীনীতে ছিলেন, তখন সেই নগর প্রতিমাতে পরিপূর্ণ দেখিয়া তাঁহার অন্তরে তাঁহার আত্মা উত্তপ্ত হইয়া উঠিল।
অতএব তিনি সমাজ-গৃহে যিহূদী ও ভক্ত লোকদের কাছে, এবং বাজারে প্রতিদিন যাহাদের সঙ্গে দেখা হইত, তাহাদের কাছে কথা প্রসঙ্গ করিতেন।
আবার ইপিকুরেয় ও স্তোয়িকীয় কয়েক জন দার্শনিক তাঁহার সহিত তর্কবিতর্ক করিতে লাগিল। আর কেহ কেহ কহিল, এই বাচালটা কি কহিতে চায়? আর কেহ কেহ বলিল, উহাকে বিজাতীয় দেবতাদের প্রচারক বলিয়া বোধ হয়; কারণ তিনি যীশু ও পুনরুত্থান বিষয়ক সুসমাচার প্রচার করিতেন।
পরে তাহারা তাঁহার হাত ধরিয়া আরেয়পাগে লইয়া গিয়া কহিল, এই যে নূতন শিক্ষা আপনি প্রচার করিতেছেন, ইহা কি প্রকার, আমরা কি জানিতে পারি?
কারণ আপনি কতকগুলি অদ্ভুত কথা আমাদের কর্ণে তুলিতেছেন; অতএব আমরা জানিতে বাসনা করি, এই সকল কথার অর্থ কি।
(আথীনীয় সকল লোক ও তথাকার প্রবাসী বিদেশীরা কেবল নূতন কোন কথা বলা বা শুনা ছাড়া আর কিছুতে কালক্ষেপ করিত না।)
তখন পৌল আরেয়পাগের মধ্যস্থলে দাঁড়াইয়া কহিলেন, হে আথীনীয় লোকেরা, দেখিতেছি, তোমরা সর্ব বিষয়ে বড়ই দেবতাভক্ত।
কেননা বেড়াইবার সময়ে তোমাদের উপাস্য বস্তু সকল দেখিতে দেখিতে একটি বেদি দেখিলাম, যাহার উপরে লিখিত আছে, ‘অপরিচিত দেবতার উদ্দেশে।’ অতএব তোমরা যে অপরিচিতের ভজনা করিতেছ, তাঁহাকে আমি তোমাদের নিকটে প্রচার করি।
ঈশ্বর, যিনি জগৎ ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত বস্তু নির্মাণ করিয়াছেন, তিনিই স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, সুতরাং হস্তনির্মিত মন্দিরে বাস করেন না;
কোন কিছুর অভাব প্রযুক্ত মনুষ্যদের হস্ত দ্বারা সেবিতও হন না, তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও সমস্তই দিতেছেন।
আর তিনি এক ব্যক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন, যেন তাহারা সমস্ত ভূতলে বাস করে; তিনি তাহাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করিয়া দিয়াছেন;
যেন তাহারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, যদি কোন মতে হাতড়াইয়া হাতড়াইয়া তাঁহার উদ্দেশ পায়; অথচ তিনি আমাদের কাহারও হইতে দূরে নহেন।
কেননা তাঁহাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলিয়াছেন, ‘কারণ আমরাও তাঁহার বংশ’।
অতএব আমরা যখন ঈশ্বরের বংশ, তখন ঈশ্বরের স্বরূপকে মনুষ্যের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে ক্ষোদিত স্বর্ণের কি রৌপ্যের কি প্রস্তরের সদৃশ জ্ঞান করা আমাদের কর্তব্য নহে।
ঈশ্বর সেই অজ্ঞানতার কাল উপেক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন সর্বস্থানের সকল মনুষ্যকে মনপরিবর্তন করিতে আজ্ঞা দিতেছেন;
কেননা তিনি একটি দিন স্থির করিয়াছেন, যে দিনে আপনার নিরূপিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ে জগৎ সংসারের বিচার করিবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দিয়াছেন, ফলতঃ মৃতগণের মধ্য হইতে তাঁহাকে উঠাইয়াছেন।
আর তদ্দেশীয় সকলের কর্ণগোচরে ইফ্রোণকে কহিলেন, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, নিবেদন করি, আমার কথা শুনুন, আমি সেই ক্ষেত্রের মূল্য দিই, আপনি আমার নিকট হইতে তাহা গ্রহণ করুন, পরে আমি সেই স্থানে আমার মৃতকে কবর দিব।
তাহারা লোকদিগকে ডাকিলে লোকেরা দৃষ্টিপথ হইতে দূরে গেল, বাল দেবগণের উদ্দেশে যজ্ঞ করিল, এবং প্রতিমাগণের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইল।
আর তাহাদের দেশ প্রতিমায় পরিপূর্ণ, তাহারা আপনাদের হস্তকৃত বস্তুর কাছে প্রণিপাত করে, তাহা ত তাহাদেরই অঙ্গুলি দ্বারা নির্মিত।
এবং ক্ষয়ণীয় মনুষ্যের ও পক্ষীর ও চতুসপদের ও সরীসৃপের মূর্তিবিশিষ্ট প্রতিকৃতির সহিত অক্ষয় ঈশ্বরের গৌরব পরিবর্তন করিয়াছে।
এবং আমি তোমার মধ্য হইতে তোমার ক্ষোদিত প্রতিমা ও তোমার স্তম্ভ সকল উচ্ছিন্ন করিব; তুমি আর আপন হস্তকৃত বস্তুর কাছে প্রণিপাত করিবে না।
আর উহাদের প্রতিমা সকলের সেবা করিল, তাহাতে সেই সকল তাহাদের ফাঁদ হইয়া উঠিল;
ফলে তাহারা আপনাদের পুত্রদিগকে, আর আপনাদের কন্যাদিগকে ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করিল;
তাহারা নির্দোষদের রক্তপাত, স্ব স্ব পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করিল, কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল; দেশ রক্তে অশুদ্ধ হইল।
এইরূপে তাহারা আপনাদের কার্যে অশুচি, আপনাদের ক্রিয়াতে ব্যভিচারী হইল।
ক্ষোদিত প্রতিমায় উপকার কি যে, তাহার নির্মাতা তাহা ক্ষোদন করে? ছাঁচে ঢালা প্রতিমার ও মিথ্যার শিক্ষকেই বা [উপকার কি] যে, আপনার নির্মিত বস্তুর নির্মাতা তাহাতে বিশ্বাস করিয়া অবাক্ অবস্তু নির্মাণ করে?
পরে এলিয় সমস্ত লোকের নিকটে উপস্থিত হইয়া কহিলেন, তোমরা কতকাল দুই নৌকায় পা দিয়া থাকিবে? সদাপ্রভু যদি ঈশ্বর হন, তবে তাঁহার অনুগামী হও; আর বাল যদি ঈশ্বর হয়, তবে তাহার অনুগামী হও। কিন্তু লোকেরা তাঁহাকে কোন উত্তর দিল না।
পৌল যখন তাহাদের অপেক্ষায় আথীনীতে ছিলেন, তখন সেই নগর প্রতিমাতে পরিপূর্ণ দেখিয়া তাঁহার অন্তরে তাঁহার আত্মা উত্তপ্ত হইয়া উঠিল।
আর তাঁহার বিধি সকল ও তাহাদের পিতৃপুরুষদের সহিত কৃত তাঁহার নিয়ম, ও তাহাদের কাছে প্রদত্ত তাঁহার সাক্ষ্য সকল অগ্রাহ্য করিয়াছিল; আর অসার বস্তুর অনুগামী হইয়া আপনারাও অসার হইয়াছিল; এবং সদাপ্রভু যাহাদের মত কর্ম করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন, সেই চতুর্দিকস্থ জাতিগণের অনুগামী হইয়াছিল।
তাহারা আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমস্ত আজ্ঞা ত্যাগ করিয়া আপনাদের জন্য ছাঁচে ঢালা প্রতিমা, দুই গোবৎস, নির্মাণ করিয়াছিল, আশেরা-মূর্তিও নির্মাণ করিয়াছিল, এবং আকাশের সমস্ত বাহিনীর কাছে প্রণিপাত ও বালদেবের সেবা করিত।
আর তাহারা আপন আপন পুত্রকন্যাদিগকে অগ্নির মধ্য দিয়া গমন করাইত, এবং মন্ত্র ও মায়াক্রিয়ার ব্যবহার করিত, আর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিবার জন্য আপনাদিগকে বিক্রয় করিয়াছিল, এইরূপে তাঁহাকে অসন্তুষ্ট করিল।
তুমি যখন ক্রন্দন কর, তখন তোমার সঞ্চিত [পুত্তলিগণ] তোমাকে উদ্ধার করুক। কিন্তু বায়ু তাহাদিগকে উড়াইয়া লইবে, একটি নিশ্বাস সেই সকলকে লইয়া যাইবে; কিন্তু যে ব্যক্তি আমার শরণাপন্ন সে দেশাধিকার পাইবে, ও আমার পবিত্র পর্বত অধিকার করিবে।
তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি চক্ষু তুলিয়া উত্তরদিকে দৃষ্টিপাত কর; তাহাতে আমি উত্তরদিকে চক্ষু তুলিলাম, আর দেখ যজ্ঞবেদির দ্বারের উত্তরে, প্রবেশস্থানে ঐ অন্তর্জ্বালার প্রতিমা রহিয়াছে।
আর তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, ইহারা কি করে, তুমি কি দেখিতেছ? ইস্রায়েল-কুল আমার ধর্মধাম হইতে আমাকে দূর করণার্থে এখানে অধিক ঘৃণার্হ কার্য করিতেছে। কিন্তু ইহার পরেও তুমি আবার কত অধিক ঘৃণার্হ কার্য দেখিবে।
প্রত্যেক মনুষ্য পশুবৎ হইয়াছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার আপন প্রতিমা দ্বারা লজ্জিত হয়; কারণ তাহার ছাঁচে ঢালা বস্তু মিথ্যামাত্র, তাহার মধ্যে শ্বাসবায়ু নাই।
সেই সকল অসার, মায়ার কর্মমাত্র; তাহাদের প্রতিফল দানকালে তাহারা বিনষ্ট হইবে।
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
তোমরা তাহাদের ক্ষোদিত দেবপ্রতিমা সকল অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে; তুমি যেন ফাঁদে না পড়, এই জন্য তাহাদের গাত্রের রৌপ্যে কি স্বর্ণে লোভ করিবে না, ও আপনার জন্য তাহা গ্রহণ করিবে না, কেননা তাহা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণিত বস্তু;
আর তুমি ঘৃণিত বস্তু আপন গৃহে আনিবে না, পাছে তাহার মত বর্জিত হও; কিন্তু তাহা অতিশয় ঘৃণা করিবে, ও অতিশয় অবজ্ঞা করিবে, যেহেতু তাহা বর্জনীয় বস্তু।
দেখ, উহারা সকলে, উহাদের কর্ম সকল অসার, অকিঞ্চন; উহাদের ছাঁচে ঢালা প্রতিমা সকল বায়ু ও অবস্তুমাত্র।
সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের রাজা, তাহার মুক্তিদাতা, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমিই আদি, আমিই অন্ত, আমি ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর নাই।
আমার ন্যায় কে ডাকিবে, ও তাহা জ্ঞাত করিবে, এবং আমার জন্য তাহা বিন্যাস করিবে, যে অবধি আমি পুরাকালীন প্রজাবৃন্দকে স্থাপন করিয়াছিলাম? আর যাহা যাহা আসিতেছে, এবং যাহা যাহা ঘটিবে, উহারা তাহা জ্ঞাত করুক।
প্রত্যেক মনুষ্য পশুবৎ হইয়াছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার আপন প্রতিমা দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তাহার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তাহার মধ্যে শ্বাসবায়ু নাই।
ভাল, প্রতিমার কাছে উৎসৃষ্ট বলি ভোজনের বিষয়ে আমরা জানি, প্রতিমা জগতে কিছুই নয়, এবং ঈশ্বর এক ছাড়া দ্বিতীয় নাই।
কেননা কি স্বর্গে কি পৃথিবীতে যাহাদিগকে দেবতা বলা যায়, এমন কতকগুলি যদিও আছে- বাস্তবিক অনেক দেবতা ও অনেক প্রভু আছে-
তথাপি আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁহা হইতে সকলই হইয়াছে, ও আমরা যাঁহারই জন্য; এবং একমাত্র প্রভু সেই যীশু খ্রীষ্ট, যাঁহার দ্বারা সকলই হইয়াছে, এবং আমরা যাঁহারই দ্বারা বিদ্যমান আছি।
বেল নত হইল, নবো উবুড় হইয়া পড়িল; তাহাদের প্রতিমাগণ জন্তুদের উপরে ও পশুদের উপরে; তোমরা যাহাদিগকে তুলিয়া লইয়া বেড়াইতে, তাহারা বোঝা হইল, ক্লান্ত পশুর ভার হইল।
তাহারা একসঙ্গে উবুড় হইল, নত হইয়া পড়িল, বোঝা রক্ষা করিতে পারিল না, বরং আপনারা বন্দি হইয়া চলিয়া গেল।
আমার নিকটে যাচ্ঞা কর, আমি জাতিগণকে তোমার দায়াংশ করিব, পৃথিবীর প্রান্ত সকল তোমার অধিকারে আনিয়া দিব।
তুমি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে ভাঙ্গিবে, কুম্ভকারের পাত্রের ন্যায় খণ্ড বিখণ্ড করিবে।
কারণ তাহারা মিথ্যার সহিত ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করিয়াছে, এবং সৃষ্ট বস্তুর পূজা ও আরাধনা করিয়াছে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে নয়, যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন।
আর সেই সময়ে তাঁহারা একটা গোবৎস নির্মাণ করিলেন, এবং সেই মূর্তির উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করিলেন, ও আপনাদের হস্তকৃত বস্তুতে আমোদ করিতে লাগিলেন।
কিন্তু ঈশ্বর বিমুখ হইলেন, তাঁহাদিগকে আকাশের বাহিনী পূজা করিবার জন্য সমর্পণ করিলেন; যেমন ভাববাদিগণের গ্রন্থে লেখা আছে, “হে ইস্রায়েল-কুল, প্রান্তরে চল্লিশ বৎসর কাল তোমরা কি আমার উদ্দেশে পশুবলি ও উপহার উৎসর্গ করিয়াছিলে?
তোমরা বরং মোলকের তাম্বু ও রিফন্ দেবতার তারা তুলিয়া বহন করিয়াছিলে, সেই মূর্তিদ্বয়, যাহা তোমরা পূজা করিবার জন্য গড়িয়াছিলে; আর আমি তোমাদিগকে বাবিলের ওদিকে নির্বাসিত করিব।”
আর তিনি আপনার নির্মিত এক ক্ষোদিত প্রতিমা ঈশ্বরের সেই গৃহে স্থাপন করিলেন, যাহার বিষয়ে ঈশ্বর দায়ূদকে ও তাঁহার পুত্র শলোমনকে এই কথা বলিয়াছিলেন, আমি এই গৃহে, ও ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে আমার মনোনীত এই যিরূশালেমে আপন নাম চিরকালের নিমিত্ত স্থাপন করিব;
আর আমি তোমাদের পিতৃপুরুষদের নিমিত্ত যে দেশ নিরূপণ করিয়াছি, সেই দেশ হইতে ইস্রায়েলের চরণ আর সরাইয়া দিব না; কেবল যদি তাহারা, আমি তাহাদিগকে যে সকল আজ্ঞা দিয়াছি, অর্থাৎ আমার দাস মোশির হস্ত দ্বারা তাহাদিগকে যে সমস্ত ব্যবস্থা, বিধি ও শাসন দিয়াছি, তদনুসারে যত্নপূর্বক চলে।
তথাপি মনঃশি যিহূদাকে ও যিরূশালেম-নিবাসীদিগকে বিপথগামী করিলেন, তাহাতে সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানদের সম্মুখ হইতে যে জাতিদিগকে বিনষ্ট করিয়াছিলেন, উহারা তাহাদের অপেক্ষা অধিক কদাচরণ করিত।
লজ্জিত হউক সেই সকলে, যাহারা ক্ষোদিত প্রতিমার সেবা করে, যাহারা অবস্তুর শ্লাঘা করে; হে দেবগণ! সকলে তাঁহাকে প্রণিপাত কর।
আর তোমাদের পাপ, সেই যে গোবৎস তোমরা নির্মাণ করিয়াছিলে, তাহা লইয়া অগ্নিতে পোড়াইয়া দিলাম, ও যে পর্যন্ত তাহা ধূলির মত সূক্ষ্ম না হইল তাবৎ পিষিয়া উত্তমরূপে চূর্ণ করিলাম; পরে পর্বত হইতে প্রবাহিত জলস্রোতে তাহার ধূলি নিক্ষেপ করিলাম।
আর তোমরা আপনাদের ক্ষোদিত রৌপ্য-প্রতিমার সাজ ও ছাঁচে ঢালা স্বর্ণ-প্রতিমার আভরণ অশুচি করিবে, তুমি তাহা অশুচি বস্তুর ন্যায় ফেলিয়া দিবে, বলিবে, দূর, দূর।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
কেননা ইস্রায়েল-কুলের মধ্যে ও ইস্রায়েলে প্রবাসকারী বিদেশীদের মধ্যে যে কেহ আমা হইতে আপনাকে পৃথক করে, আপন পুত্তলিগণকে হৃদয়ে উঠিতে দেয়, ও আপন দৃষ্টির সম্মুখে অপরাধজনক বিঘ্ন রাখে, সে যদি আমার কাছে অনুসন্ধান করিবার জন্য ভাববাদীর কাছে আইসে, তবে আমি সদাপ্রভু আপনি তাহাকে উত্তর দিব।
তুমি তাহাদের দেবগণের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না ও তাহাদের ক্রিয়ার ন্যায় ক্রিয়া করিও না; কিন্তু তাহাদিগকে সমূলে উৎপাটন করিও, এবং তাহাদের স্তম্ভ সকল ভাঙ্গিয়া ফেলিও।
তখন সাবধান থাকিও, পাছে তোমার সম্মুখ হইতে তাহাদের বিনাশ হইলে পর তুমি তাহাদের অনুগামী হইয়া ফাঁদে পড়, এবং পাছে তাহাদের দেবগণের অন্বেষণ করিয়া বল, এই জাতিগণ আপন আপন দেবগণের সেবা কিরূপে করে? আমিও সেইরূপ করিব।
তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি তদ্রূপ করিবে না; কেননা তাহারা আপন আপন দেবগণের উদ্দেশে সদাপ্রভুর ঘৃণিত যাবতীয় কুকার্য করিয়া আসিয়াছে; এমন কি, তাহারা সেই দেবগণের উদ্দেশে আপন আপন পুত্রকন্যাগণকেও অগ্নিতে পোড়ায়।
তাহারা নির্দোষদের রক্তপাত, স্ব স্ব পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করিল, কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল; দেশ রক্তে অশুদ্ধ হইল।
তখন যীশু তাঁহাকে কহিলেন, দূর হও, শয়তান; কেননা লেখা আছে, “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রনাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে।”
কেহই মনে করে না, কাহারও এমন জ্ঞান কি বুদ্ধি নাই যে বলিবে, আমি ইহার এক অংশ আগুনে পোড়াইয়াছি, আবার ইহার তপ্ত অঙ্গারে রুটি পাক করিয়াছি, আমি শূল্যমাংস প্রস্তুত করিয়া ভোজন করিয়াছি, তবে ইহার অবশিষ্ট অংশ দ্বারা কি ঘৃণার্হ বস্তু নির্মাণ করিব? কাষ্ঠখণ্ডের কাছে কি দণ্ডবৎ হইব?
মহাশয়েরা, এই সকল কেন করিতেছেন? আমরাও আপনাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য; আমরা আপনাদিগকে এই সুসমাচার জানাইতেছি যে, এই সকল অসার বস্তু হইতে সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আসিতে হইবে, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং সেই সকলের মধ্যবর্তী সমস্তই নির্মাণ করিয়াছেন।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,
প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,
মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
আর যোশিয় ইস্রায়েল-সন্তানগণের অধিকৃত সকল দেশ হইতে সমস্ত ঘৃণার্হ বস্তু দূর করিলেন, এবং ইস্রায়েলের মধ্যে যত লোক উপস্থিত ছিল, সকলকে সেবা, তাহাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা, করাইলেন। তিনি যত দিন ছিলেন, তত দিন তাহারা আপনাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগমনে নিবৃত্ত হইল না।
আমিই সংবাদ দিয়াছি, পরিত্রাণ করিয়াছি, ঘোষণা করিয়াছি, কোন ইতর [দেবতা] তোমাদের মধ্যে ছিল না; অতএব তোমরাই আমার সাক্ষী, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আর আমিই ঈশ্বর।
আর আমি ইহাদের সমস্ত দুষ্ক্রিয়ার জন্য ইহাদের বিরুদ্ধে আমার শাসন সকল প্রচার করিব; কেননা ইহারা আমাকে পরিত্যাগ করিয়া অন্য দেবতাদের নিকটে ধূপ জ্বালাইয়াছে, ও আপন আপন হস্তকৃত বস্তুর কাছে প্রণিপাত করিয়াছে।
আমি সদাপ্রভু, ইহাই আমার নাম; আমি আপন গৌরব অন্যকে, কিম্বা আপন প্রশংসা ক্ষোদিত প্রতিমাগণকে দিব না।
কিন্তু প্রজাবৃন্দের মধ্যে ভাক্ত ভাববাদিগণও উৎপন্ন হইয়াছিল; সেই প্রকারে তোমাদের মধ্যেও ভাক্ত গুরুরা উপস্থিত হইবে, তাহারা গোপনে বিনাশজনক দলভেদ উপস্থিত করিবে, যিনি তাহাদিগকে ক্রয় করিয়াছেন, সেই অধিপতিকেও অস্বীকার করিবে, এইরূপে শীঘ্র আপনাদের বিনাশ ঘটাইবে।
বরং পরজাতিগণ যাহা যাহা বলিদান করে, তাহা ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করে, ঈশ্বরের উদ্দেশে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা নয় যে, তোমরা ভূতদের সহভাগী হও।
প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করিতে পার না; প্রভুর মেজ ও ভূতদের মেজ, তোমরা এই উভয় মেজের অংশী হইতে পার না।
অথবা আমরা কি প্রভুর অন্তর্জ্বালা জন্মাইতেছি? তাঁহা হইতে কি আমরা বলবান?
কেননা দেখ, যাহারা তোমা হইতে দূরে থাকে, তাহারা বিনষ্ট হইবে; যে সকল লোক তোমা হইতে অপসরণ করিয়া ব্যভিচার করে, সেই সকলকে তুমি উচ্ছিন্ন করিয়াছ।
সেকালের পুরাতন কার্য সকল স্মরণ কর; কারণ আমিই ঈশ্বর, আর কেহ নয়; আমি ঈশ্বর, আমার তুল্য কেহ নাই।
তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা পালনার্থে যাহার নিকটে দাসরূপে আপনাদিগকে সমর্পণ কর, যাহার আজ্ঞা মান, তোমরা তাহারই দাস; হয় মৃত্যুজনক পাপের দাস, নয় ধার্মিকতাজনক আজ্ঞা পালনের দাস?
আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা কহিলাম, সকল বিষয়ে সাবধান থাকিও। ইতর দেবগণের নাম উল্লেখ করিও না, তোমাদের মুখে যেন তাহা শুনা না যায়।
তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।
তোমরা কম্পান্বিত হইও না, ভয় করিও না; আমি কি পূর্বাবধি তোমাদিগকে শুনাই নাই ও জানাই নাই? আর তোমরাই আমার সাক্ষী। আমি ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর কি আছে? অন্য শৈল নাই, আমি কাহাকেও জানি না।
আমাদের ঈশ্বর ত স্বর্গে থাকেন; তিনি যাহা ইচ্ছা করিয়াছেন, তাহাই করিয়াছেন।
উহাদের প্রতিমা সকল রৌপ্য ও স্বর্ণ, মনুষ্যের হস্তের কার্য।
পৃথিবী ও তাহার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুরই; জগৎ ও তন্নিবাসিগণ তাঁহার।
কেননা তিনিই সমুদ্রগণের উপরে তাহা স্থাপন করিয়াছেন, নদীগণের উপরে তাহা দৃঢ় করিয়া রাখিয়াছেন।
আর যখন তাহারা বলিবে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের প্রতি এই সকল কেন করিলেন। তখন তুমি তাহাদিগকে বলিবে, তোমরা যেমন আমাকে ত্যাগ করিয়াছ ও আপনাদের দেশে বিজাতীয় দেবতাদের দাসত্ব করিয়াছ, তেমনি বিদেশে বিদেশীদের দাসত্ব করিবে।
তুমি সেই শাপগ্রস্ত অহঙ্কারীদিগকে ভর্ৎসনা করিয়াছ, যাহারা তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়ায়।
নবাটের পুত্র যারবিয়ামের পাপ-পথে গমন করা যেন তাঁহার পক্ষে লঘু বিষয় বোধ হইত, তাই তিনি সীদোনীয়দের ইৎবাল রাজার কন্যা ঈষেবলকে বিবাহ করিলেন, আর গিয়া বালের সেবা ও তাঁহার কাছে প্রণিপাত করিতে লাগিলেন।
আর তিনি শমরিয়াতে যে বাল-মন্দির নির্মাণ করিয়াছিলেন, তাঁহার মধ্যে বালের জন্য এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করিলেন।
আর আহাব আশেরা-মূর্তি নির্মাণ করিলেন। তাঁহার পূর্বে ইস্রায়েলে যত রাজা ছিলেন, সেই সকল অপেক্ষা আহাব ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অসন্তোষজনক আরও অধিক কাজ করিলেন।
কিন্তু আমাদেরই মুখনির্গত সমস্ত বাক্যানুরূপ কার্য করিবই করিব, আকাশরাণীর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইব ও পেয় নৈবেদ্য ঢালিব; আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষগণ, আমাদের রাজগণ, ও আমাদের অধ্যক্ষগণ যিহূদার নগরে নগরে ও যিরূশালেমের পথে পথে তাহাই করিতাম, আর তৎকালে আমরা ভক্ষ্যদ্রব্যে তৃপ্ত হইতাম, এবং সুখে ছিলাম, কোন অমঙ্গল দেখিতাম না।
কিন্তু যে অবধি আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশে ধূপ জ্বালান ও পেয় নৈবেদ্য ঢালা ছাড়িয়া দিয়াছি, সেই অবধি আমাদের সমস্ত বস্তুর অভাব হইতেছে, এবং আমরা খড়্গ ও দুর্ভিক্ষ দ্বারা বিনষ্ট হইতেছি।
আর আমরা যখন আকাশরাণীর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইতাম ও পেয় নৈবেদ্য ঢালিতাম, তখন কি আপন আপন স্বামী ব্যতিরেকে তাঁহার পূজার জন্য পূপ প্রস্তুত করিতাম, ও তাঁহার উদ্দেশে পেয় নৈবেদ্য ঢালিতাম?
তোমরা আমাকে কাহার সদৃশ ও কাহার সমান বলিবে, কিম্বা কাহার সহিত আমার উপমা দিলে আমরা পরস্পর সমান হইব?
আহস বিংশতি বৎসর বয়সে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করেন, এবং যিরূশালেমে ষোল বৎসর কাল রাজত্ব করেন; তিনি আপন পিতৃপুরুষ দায়ূদের ন্যায় সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা ন্যায্য, তাহা করিতেন না;
কিন্তু ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলিতেন, আর বাল দেবগণের উদ্দেশে ছাঁচে ঢালা প্রতিমা নির্মাণ করাইলেন।
আর তিনি হিন্নোমের পুত্রের উপত্যকাতে ধূপ জ্বালাইতেন, এবং সদাপ্রভু ইস্রায়েলের সন্তানগণের সম্মুখ হইতে যে জাতিগণকে অধিকারচ্যুত করিয়াছিলেন, তাহাদের ঘৃণিত ক্রিয়ানুসারে তিনি আপন সন্তানদিগকে অগ্নিতে দগ্ধ করিলেন।
আর যেমন তাহারা ঈশ্বরকে আপনাদের জ্ঞানে ধারণ করিতে সম্মত হয় নাই, তেমনি ঈশ্বর তাহাদিগকে অনুচিত ক্রিয়া করিতে ভ্রষ্ট মতিতে সমর্পণ করিলেন।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
নির্বোধ, নিয়ম ভঙ্গকারী, স্নেহ-রহিত, নির্দয়।
তাহারা ঈশ্বরের এই বিচার জ্ঞাত ছিল যে, যাহারা এইরূপ আচরণ করে, তাহারা মৃত্যুর যোগ্য, তথাপি তাহারা তদ্রূপ আচরণ করে, কেবল তাহা নয়, কিন্তু তদাচারী সকলের অনুমোদন করে।
আমা হইতে তোমার মুখ আচ্ছাদন করিও না। ক্রোধে তোমার দাসকে দূর করিও না; তুমি আমার সহায় হইয়া আসিতেছ; আমার ত্রাণেশ্বর, আমাকে ফেলিও না, ত্যাগ করিও না।
তোমার মধ্যে বিদেশীয় কোন দেবতা থাকিবে না। তুমি কোন বিজাতীয় দেবতার কাছে প্রণিপাত করিবে না।
আমিই সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমাকে মিসর দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছি, তোমার মুখ খুলিয়া বিস্তার কর, আমি তাহা পূর্ণ করিব।
তুমি অন্য দেবতার কাছে প্রণিপাত করিও না, কেননা সদাপ্রভু স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী নাম ধারণ করেন; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
সাবধান হইয়া আমার আদিষ্ট এই সমস্ত বাক্য মান্য করিও, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গোচরে যাহা উত্তম ও ন্যায্য, তাহা করিলে তোমার ও যুগানুক্রমে তোমার ভাবী সন্তানদের মঙ্গল হয়।
তাহার প্রহরিগণ অন্ধ, সকলেই অজ্ঞান; তাহারা সকলে বোবা কুকুর, ঘেউ ঘেউ করিতে পারে না; তাহারা স্বপ্নদর্শী, নিদ্রালু ও তন্দ্রাপ্রিয়।
সেই কুকুরগণ উদরম্ভরি, তাহাদের কখনও তৃপ্তি বোধ হয় না; আর ইহারা বিবেচনা-বিহীন পালক; সকলে নির্বিশেষে আপন আপন পথের দিকে, আপন আপন লাভের চেষ্টায়, ফিরিয়াছে।
পরে তুমি আপন সৌন্দর্যে নির্ভর করিয়া নিজ কীর্তির অভিমানে ব্যভিচারিণী হইলে; যে কেহ নিকট দিয়া যাইত, তাহার উপরে তোমার ব্যভিচাররূপ জল সেচন করিতে; উহা তাহারই ভোগ্য হইত।
আর তুমি আপনার কোন কোন বস্ত্র লইয়া আপনার জন্য চিত্র বিচিত্র উচ্চস্থলী প্রস্তুত করিয়া তাহার উপরে বেশ্যাক্রিয়া করিতে; এরূপ হইবেও না, হইবারও নয়।
আর আমার সুবর্ণ ও আমার রৌপ্য দ্বারা নির্মিত যে সকল চারু আভরণ আমি তোমাকে দিয়াছিলাম, তুমি তাহা লইয়া পুরুষাকৃতি প্রতিমা নির্মাণ করিয়া তাহাদের সহিত ব্যভিচার করিতে।
আর তুমি আপন বিচিত্র বস্ত্র সকল লইয়া তাহাদিগকে পরিধান করাইতে, এবং আমার তৈল ও আমার ধূপ তাহাদের সম্মুখে রাখিতে।
আর আমি তোমাকে আমার যে খাদ্য দিয়াছিলাম, যে সূক্ষ্ম সুজি, তৈল ও মধু তোমাকে খাইতে দিয়াছিলাম, তাহা তুমি সৌরভার্থে তাহাদের সম্মুখে রাখিতে; ইহাই করা হইত, ইহা প্রভু সদাপ্রভু কহেন।
সে আপন হস্তকৃত যজ্ঞবেদি সমূহের প্রতি দৃষ্টি রাখিবে না, ও তাহার চক্ষু আপন অঙ্গুলিকৃত বস্তু, আশেরা-মূর্তি বা সূর্য-প্রতিমা সকল দেখিবে না।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।