তোমার জীবন আর মৃত্যুর উপর ক্ষমতা কেবল আল্লাহর হাতেই। তিনিই ঠিক করেন তুমি পৃথিবীতে কতদিন থাকবে, তিনিই তোমার প্রাণে প্রাণ সঞ্চার করেছেন। কিন্তু, আদিকাল থেকেই একটা শক্তি আছে যা আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে, যা সবসময় আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি, মানুষকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। অনেকেই অকালে মারা যায়, আল্লাহর ইচ্ছায় নয়, বরং আল্লাহর পথ থেকে সরে যাওয়ার কারণে। শয়তানের দল প্রতিদিন মানুষের মন কঠিন করে তোলে, ঈর্ষা, জেলা, অলসতা, উদাসীনতা ছড়ায়, এমনকি তাদের হৃদয়কে পাথরের মতো করে তোলে। কেউ হত্যাকারী হয়ে জন্মায় না। সমস্যা শুরু হয় যখন তুমি আল্লাহকে ছেড়ে চলে যাও। পাপের প্রবৃত্তি তোমাকে সবসময় মন্দের দিকে টেনে নেয়, আর তুমি যত আল্লাহ থেকে দূরে থাকবে, তোমার জীবন ততই বিশৃঙ্খল হয়ে উঠবে, এমনকি অনেকে তাদের স্রষ্টার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।
প্রতিদিন মানুষ একে অপরকে হত্যা করে, এটা দেখে আল্লাহ কান্নাকাটি করেন। তার বানীতে তো স্পষ্ট বলা আছে, "তুমি হত্যা করিও না" (যাত্রাপুস্তক ২০:১৩)। হত্যা কোন সমাধান নয়। যীশু চান তুমি তোমার হাত রক্তে মাখানোর আগেই তোমাকে বাঁচাতে, যাতে পরে তোমাকে অনুশোচনায় ভুগতে না হয়। তোমার আত্মাকে নরক থেকে রক্ষা করো, আল্লাহর আদেশ পালন করো আর তার রহমত পাবে। বিচারক হওয়ার অধিকার তোমার নেই; এই পৃথিবীতে একমাত্র মধ্যস্থতাকারী হলেন নাসরতের যীশু। বুঝতে শিখো তোমাকে প্রতারিত করা হচ্ছে। কাউকে মেরে তুমি মৃত্যু থেকে মুক্তি পাবে না, বরং তুমি নিজেই ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। আল্লাহর বানীতে বলা হয়েছে, "যে মানুষ অন্য মানুষকে প্রাণ দণ্ড দেয়, তাকেও প্রাণ দণ্ড দিতে হবে" (লেবীয় পুস্তক ২৪:১৭)। শান্তিতে জীবন যাপন করার চেষ্টা করো, সৎ পথে চলো, কুপথে পা বাড়িও না। আজই আল্লাহর সাথে মিল করো, তোমার সব পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, আর তুমি স্বর্গে অনন্ত জীবন লাভ করবে, নরকের অনন্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
তোমরা শুনিয়াছ, পূর্বকালের লোকদের নিকটে উক্ত হইয়াছিল, “তুমি নরহত্যা করিও না,” আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে’।কিন্তু আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যে কেহ আপন ভ্রাতার প্রতি ক্রোধ করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে; আর যে কেহ আপন ভ্রাতাকে বলে, ‘রে নির্বোধ,’ সে মহাসভার দায়ে পড়িবে। আর যে কেহ বলে, ‘রে মূঢ়,’ সে অগ্নিময় নরকের দায়ে পড়িবে।
কারণ “ব্যভিচার করিও না, নরহত্যা করিও না, চুরি করিও না, লোভ করিও না,” এবং আর যে কোন আজ্ঞা থাকুক, সেই সকল এই বচনে সঙ্কলিত হইয়াছে, “প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিও।”
যে কেহ মনুষ্যের রক্তপাত করিবে, মনুষ্য কর্তৃক তাহার রক্তপাত করা যাইবে; কেননা ঈশ্বর আপন প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে নির্মাণ করিয়াছেন।
যে কেহ আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে নরঘাতক; এবং তোমরা জান, অনন্ত জীবন কোন নরঘাতকের অন্তরে অবস্থিতি করে না।
তাহারা নির্দোষদের রক্তপাত, স্ব স্ব পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করিল, কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল; দেশ রক্তে অশুদ্ধ হইল।
যেন দুঃখী ও দরিদ্রকে নিপাত করিতে পারে, যেন সরলপথগামীদিগকে বধ করিতে পারে,তাহাদের খড়্গ তাহাদেরই হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, তাহাদের ধনুক ভাঙ্গিয়া যাইবে।
সে কহিল, কোন্ কোন্ আজ্ঞা? যীশু বলিলেন, এই এই, “নরহত্যা করিও না, ব্যভিচার করিও না, চুরি করিও না,
এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,
কেননা তুমি বলিদানে প্রীত নহ, হইলে তাহা দিতাম, হোমে তোমার সন্তোষ নাই।ঈশ্বরের গ্রাহ্যবলি ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর, তুমি ভগ্ন ও চূর্ণ অন্তঃকরণ তুচ্ছ করিবে না।
বস্তুতঃ তোমাদের করতল রক্তে ও তোমাদের অঙ্গুলি অপরাধে অশুচি হইয়াছে, তোমাদের ওষ্ঠ মিথ্যা কথা কহিয়াছে, তোমাদের জিহ্বা দুষ্টতার কথা কহে।
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কিন্তু যদি কেহ দুঃসাহস করিয়া ছলে আপন প্রতিবাসীকে বধ করণার্থে তাহার উপর চড়াও হয়, তবে সেই ব্যক্তির প্রাণদণ্ড করণার্থে তাহাকে আমার বেদির নিকট হইতেও লইয়া যাইবে।
কিন্তু যদি কেহ আপন প্রতিবাসীকে দ্বেষ করিয়া তাহার জন্য ঘাঁটি বসায় ও তাহার প্রতিকূলে উঠিয়া তাহাকে সাংঘাতিক আঘাত করে, আর সে মরিয়া যায়, পরে ঐ ব্যক্তি যদি ঐ সকল নগরের মধ্যে কোন একটি নগরে পলায়ন করে;তবে তাহার নিবাস-নগরের প্রাচীনবর্গ লোক পাঠাইয়া তথা হইতে তাহাকে আনাইবে, ও তাহাকে বধ করিবার জন্য রক্তের প্রতিশোধদাতার হস্তে সমর্পণ করিবে।তোমার চক্ষু তাহার প্রতি দয়া না করুক, কিন্তু তুমি ইস্রায়েলের মধ্য হইতে নিরপরাধের রক্তপাতের দোষ দূর করিবে; তাহাতে তোমার মঙ্গল হইবে।
আমার বিপক্ষগণের ইচ্ছায় আমাকে সমর্পণ করিও না; কেননা মিথ্যা সাক্ষিগণ আমার বিরুদ্ধে উঠিয়াছে, তাহারা নিষ্ঠুরতা ফূৎকার করে।
তোমরা শুনিয়াছ, উক্ত হইয়াছিল, “চক্ষুর পরিশোধে চক্ষু ও দন্তের পরিশোধে দন্ত”।কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা দুষ্টের প্রতিরোধ করিও না; বরং যে কেহ তোমার দক্ষিণ গালে চড় মারে, অন্য গাল তাহার দিকে ফিরাইয়া দেও।
তাহারা যদি বলে, ‘আমাদের সঙ্গে আইস, আমরা রক্তপাত করিবার জন্য লুকাইয়া থাকি, নির্দোষদিগকে অকারণে ধরিবার জন্য গুপ্ত থাকি,পাতালের ন্যায় তাহাদিগকে জীবন্ত গ্রাস করি, গর্তগামীদের ন্যায় সর্বাঙ্গীণ গ্রাস করি,
দুষ্কর্মের দণ্ডাজ্ঞা ত্বরায় সিদ্ধ হয় না, এই কারণ মনুষ্যসন্তানদের অন্তঃকরণ দুষ্কর্ম করিতে সম্পূর্ণরূপে রত হয়।
হে সদাপ্রভু, দুর্বৃত্ত মনুষ্য হইতে আমাকে উদ্ধার কর, দুর্জন হইতে আমাকে রক্ষা কর।তাহাদের উপরে জ্বলন্ত অঙ্গার পড়ুক, তাহারা নিক্ষিপ্ত হউক অগ্নিতে, নিক্ষিপ্ত হউক গভীর খাতে, আর না উঠুক।পৃথিবীতে দুর্মুখ স্থির থাকিতে পারিবে না; অমঙ্গল দুর্জনকে নিপাত করিবার জন্য মৃগয়া করিবে।আমি জানি, সদাপ্রভু দুঃখীর বিবাদ, ও দরিদ্রবর্গের বিচার নিষ্পন্ন করিবেন।ধার্মিকেরা অবশ্য তোমার নামের স্তব করিবে; সরলগণ তোমার সাক্ষাতে বাস করিবে।তাহারা মনে মনে দুষ্ট কল্পনা করে। প্রতিদিন যুদ্ধ উত্তেজিত করে।
দুষ্টগণের কথাবার্তা রক্তপাতের জন্য লুকাইয়া থাকামাত্র; কিন্তু সরলদের মুখ তাহাদিগকে রক্ষা করে।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
তোমরা অঞ্জলি প্রসারণ করিলে আমি তোমাদের হইতে আমার চক্ষু আচ্ছাদন করিব; যদ্যপি অনেক প্রার্থনা কর, তথাপি শুনিব না; তোমাদের হস্ত রক্তে পরিপূর্ণ।
তখন যীশু তাঁহাকে কহিলেন, তোমার খড়্গ পুনরায় স্বস্থানে রাখ, কেননা যে সকল লোক খড়্গ ধারণ করে, তাহারা খড়্গ দ্বারা বিনষ্ট হইবে।
তাহারা একত্র হয়, ঘাঁটি বসায়, আমার পদচিহ্ন লক্ষ্য করে, এইরূপে তাহারা আমার প্রাণের অপেক্ষা করিতেছে।
সন্তানের জন্য পিতার, কিম্বা পিতার জন্য সন্তানের প্রাণদণ্ড করা যাইবে না; প্রতিজন আপন আপন পাপপ্রযুক্তই প্রাণদণ্ড ভোগ করিবে।
তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।
তাহাতে সারী অব্রামকে কহিলেন, আমার প্রতি কৃত এই অন্যায় তোমাতেই ফলুক; আমি আপনার দাসীকে তোমার ক্রোড়ে দিয়াছিলাম, সে আপনাকে গর্ভবতী দেখিয়া আমাকে তুচ্ছ জ্ঞান করিতেছে; সদাপ্রভুই তোমার ও আমার বিচার করুন!
তোমরা উহার সন্তানদের জন্য বধস্থান প্রস্তুত কর, উহাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধ প্রযুক্ত কর; তাহারা উঠিয়া পৃথিবী অধিকার না করুক, জগৎকে নগরে পরিপূর্ণ না করুক।
যে কেহ আপন প্রতিবাসীকে গোপনে বধ করে, সে শাপগ্রস্ত। তখন সমস্ত লোক বলিবে, আমেন।যে কেহ নিরপরাধের প্রাণ হত্যা করিবার জন্য উৎকোচ গ্রহণ করে, সে শাপগ্রস্ত। তখন সমস্ত লোক বলিবে, আমেন।
অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি-গ্রন্থের সার।
কেননা দেখ, সদাপ্রভু আপন স্থান হইতে নির্গমন করিতেছেন, পৃথিবী-নিবাসীদের অপরাধের প্রতিফল দিবার নিমিত্ত; পৃথিবী আপনার [উপরে পাতিত] রক্ত প্রকাশ করিবে, আপনার নিহতদিগকে আর আচ্ছাদিত রাখিবে না।
হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।তাহারা দুষ্টভাবে তোমার নাম উচ্চারণ করে; তোমার শত্রুগণ তাহা অনর্থক লয়। হে সদাপ্রভু, যাহারা তোমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না?আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।
আর কেহ আপন দাসকে কিম্বা দাসীকে যষ্টি দ্বারা প্রহার করিলে সে যদি তাহার হস্তে মরে, তবে সে অবশ্য দণ্ডনীয় হইবে।কিন্তু সে যদি দুই এক দিন বাঁচে, তবে তাহার মনিব দণ্ড ভোগ করিবে না, কেননা সে তাহার রৌপ্যস্বরূপ।
কিন্তু হে ঈশ্বর, তুমিই উহাদিগকে বিনাশের কূপে নামাইবে; রক্তপাতী ও ছলপ্রিয়েরা আয়ুর অর্ধকালও বাঁচিবে না; কিন্তু আমি তোমার উপরে নির্ভর করিব।
কারণ তোমরা যদি লোকের অপরাধ ক্ষমা কর, তবে তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তোমাদিগকেও ক্ষমা করিবেন।কিন্তু তোমরা যদি লোকদিগকে ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের পিতা তোমাদেরও অপরাধ ক্ষমা করিবেন না।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারার্থে যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, তাহার মধ্যে যদি ক্ষেত্রে পতিত কোন হত লোককে পাওয়া যায়, এবং তাহাকে কে বধ করিল, তাহা জানা না যায়;তুমি তোমার শত্রুগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করিলে যদি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাহাদিগকে তোমার হস্তে সমর্পণ করেন, ও তুমি তাহাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া যাও;এবং সেই বন্দিদের মধ্যে কোন সুন্দরী স্ত্রী দেখিয়া প্রেমাসক্ত হইয়া যদি তুমি তাহাকে বিবাহ করিতে চাও;তবে তাহাকে আপন গৃহমধ্যে আনিবে, এবং সে আপন মস্তক মুণ্ডন করিবে ও নখ কাটিবে;আর আপনার বন্দিত্ব দশার বস্ত্র ত্যাগ করিবে; পরে তোমার গৃহে থাকিয়া আপন পিতামাতার জন্য সম্পূর্ণ এক মাস বিলাপ করিবে; তাহার পরে তুমি তাহার নিকটে গমন করিতে পারিবে, তুমি তাহার স্বামী হইবে ও সে তোমার স্ত্রী হইবে।আর যদি তাহাতে তোমার প্রীতি না হয়, তবে যে স্থানে তাহার ইচ্ছা, সেই স্থানে তাহাকে যাইতে দিবে; কিন্তু কোন প্রকারে টাকা লইয়া তাহাকে বিক্রয় করিবে না; তাহার প্রতি দাসবৎ ব্যবহার করিবে না, কেননা তুমি তাহাকে মানভ্রষ্টা করিয়াছ।যদি কোন পুরুষের প্রিয়া অপ্রিয়া দুই স্ত্রী থাকে, এবং প্রিয়া ও অপ্রিয়া উভয়ে তাহার জন্য পুত্র প্রসব করে, আর জ্যেষ্ঠ পুত্র অপ্রিয়ার সন্তান হয়;তবে আপন পুত্রদিগকে সর্বস্বের অধিকার দিবার সময়ে অপ্রিয়াজাত জ্যেষ্ঠ পুত্র থাকিতে সে প্রিয়াজাত পুত্রকে জ্যেষ্ঠাধিকার দিতে পারিবে না।কিন্তু সে অপ্রিয়ার পুত্রকে জ্যেষ্ঠরূপে স্বীকার করিয়া আপন সর্বস্বের দুই অংশ তাহাকে দিবে; কারণ সে তাহার শক্তির প্রথম ফল, জ্যেষ্ঠাধিকার তাহারই।যদি কাহারও পুত্র অবাধ্য ও বিরোধী হয়, পিতামাতার কথা না শুনে, এবং শাসন করিলেও তাহাদিগকে অমান্য করে;তবে তাহার পিতামাতা তাহাকে ধরিয়া নগরের প্রাচীনবর্গের নিকটে ও তাহার নিবাস-স্থানের নগর-দ্বারে লইয়া যাইবে;তবে তোমার প্রাচীনবর্গ ও বিচারকর্তৃগণ বাহিরে গিয়া সেই শবের চারিদিকে কোন্ নগর কত দূর, তাহা মাপিবে।আর তাহারা নগরের প্রাচীনবর্গকে বলিবে, আমাদের এই পুত্র অবাধ্য ও বিরোধী, আমাদের কথা মানে না, সে অপব্যয়ী ও মদ্যপায়ী।তাহাতে সেই নগরের সমস্ত পুরুষ তাহাকে প্রস্তরাঘাতে বধ করিবে; এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে, আর সমস্ত ইস্রায়েল শুনিয়া ভয় পাইবে।যদি কোন মনুষ্য প্রাণদণ্ডের যোগ্য পাপ করে, আর তাহার প্রাণদণ্ড হয়, এবং তুমি তাহাকে গাছে টাঙ্গাইয়া দেও,তবে তাহার শব রাত্রিতে গাছের উপরে থাকিতে দিবে না, কিন্তু নিশ্চয় সেই দিনই তাহাকে কবর দিবে; কেননা যে ব্যক্তিকে টাঙ্গান যায়, সে ঈশ্বরের শাপগ্রস্ত; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারার্থে যে ভূমি তোমাকে দিতেছেন, তুমি তোমার সেই ভূমি অশুচি করিবে না।তাহাতে যে নগর ঐ হত লোকের নিকটস্থ হইবে, তথাকার প্রাচীনবর্গ পাল হইতে এমন একটি গোবৎসা লইবে, যাহা দ্বারা কোন কার্য হয় নাই, যে জোয়ালি বহন করে নাই।পরে সেই নগরের প্রাচীনবর্গ সেই গোবৎসাকে এমন কোন একটি উপত্যকায় আনিবে, যেখানে জলস্রোত নিত্য বহে, এবং চাষ বা বীজবপন হয় না, সেই উপত্যকায় তাহার গ্রীবা ভাঙ্গিয়া ফেলিবে।পরে লেবির সন্তান যাজকেরা নিকটে আসিবে, কেননা তাহাদিগকেই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনার পরিচর্যার্থে ও সদাপ্রভুর নামে আশীর্বাদ করণার্থে মনোনীত করিয়াছেন; এবং তাহাদের বাক্যানুসারে প্রত্যেক বিবাদের ও আঘাতের বিচার হইবে।পরে শবের নিকটস্থ ঐ নগরের সমস্ত প্রাচীন উপত্যকাতে ভগ্নগ্রীবা গোবৎসার উপরে আপন আপন হস্ত ধুইয়া দিবে,আর তাহারা উত্তর করিয়া বলিবে, আমাদের হস্ত এই রক্তপাত করে নাই, আমাদের চক্ষু ইহা দেখে নাই;হে সদাপ্রভু, তুমি আপনার প্রজা যে ইস্রায়েলকে মুক্ত করিয়াছ, তাহাকে ক্ষমা কর; আপনার প্রজা ইস্রায়েলের মধ্যে নিরপরাধের রক্তপাতের জন্য দোষ থাকিতে দিও না। তাহাতে তাহাদের পক্ষে সেই রক্তপাতের দোষ ক্ষমা হইবে।এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে নিরপরাধের রক্তপাতের দোষ দূর করিবে; কেননা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে যাহা যথার্থ, তাহাই তুমি করিবে।
দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতি লক্ষ্য রাখে, তাহাকে বধ করিতে চেষ্টা করে।সদাপ্রভু তাহাকে উহার হস্তে ছাড়িয়া দিবেন না, তাহার বিচারকালে তাহাকে দোষী করিবেন না।
ভাল, তুমি যে পরকে শিক্ষা দিতেছ, তুমি কি আপনাকে শিক্ষা দেও না? তুমি যে চুরি করিতে নাই বলিয়া প্রচার করিতেছ, তুমি কি চুরি করিতেছ না?
তাহাদের চরণ দুষ্কর্মের দিকে দৌড়াইয়া যায়, তাহারা নির্দোষের রক্তপাত করিতে ত্বরান্বিত হয়; তাহাদের চিন্তা সকল অধর্মের চিন্তা, তাহাদের পথে ধ্বংস ও বিনাশ থাকে।তাহারা শান্তির পথ জানে না, তাহাদের মার্গে বিচার নাই; তাহারা আপনাদের পথ বক্র করিয়াছে; যে কেহ সেই পথে যায়, সে শান্তি জানে না।
আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এইরূপ করিবেন, যদি তোমরা প্রতিজন অন্তঃকরণের সহিত আপন আপন ভ্রাতাকে ক্ষমা না কর।
জাতিগণ কেন বলিবে, উহাদের ঈশ্বর কোথায়? তোমার দাসগণের যে রক্ত পাতিত হইয়াছে, তাহার প্রতিফল আমাদের দৃষ্টিগোচরে জাতিগণ জানিতে পারুক।
প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,
আর আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যেরা যত অনর্থক কথা বলে, বিচার-দিনে সেই সকলের হিসাব দিতে হইবে।
তাহারা সর্পের ন্যায় স্ব স্ব জিহ্বা তীক্ষ্ণ করিয়াছে, তাহাদের ওষ্ঠাধরের নিম্নভাগে কালসর্পের বিষ থাকে। [সেলা]
তাহাদের চরণ রক্তপাতের জন্য ত্বরান্বিত।তাহাদের পথে পথে ধ্বংস ও বিনাশ,এবং শান্তির পথ তাহারা জানে নাই;
হে বাবিল-কন্যা, হে বিনাশপাত্রি, ধন্য সেই, যে তোমাকে সেইরূপ প্রতিফল দিবে, যেরূপ তুমি আমাদের প্রতি করিয়াছ।ধন্য সেই, যে তোমার শিশুগণকে ধরে, আর শৈলের উপরে আছড়ায়।
তোমরা কি জন্য আমার প্রজাগণকে দলাইতেছ, ও দুঃখীদের মুখ ঘষিতেছ? প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, এই কথা কহিতেছেন।
সদাপ্রভু, তোমার পথ আমাকে শিখাও, সমান পথে আমাকে গমন করাও, আমার শত্রুগণ প্রযুক্ত ইহা কর।আমার বিপক্ষগণের ইচ্ছায় আমাকে সমর্পণ করিও না; কেননা মিথ্যা সাক্ষিগণ আমার বিরুদ্ধে উঠিয়াছে, তাহারা নিষ্ঠুরতা ফূৎকার করে।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;
তুমি যখন বিপক্ষের সঙ্গে পথে থাক, তখন তাহার সহিত শীঘ্র মিলন করিও, পাছে বিপক্ষ তোমাকে বিচারকর্তার হস্তে সমর্পণ করে, ও বিচারকর্তা তোমাকে রক্ষীর হস্তে সমর্পণ করে, আর তুমি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হও।আমি তোমাকে সত্য কহিতেছি, যাবৎ শেষ কড়িটা পর্যন্ত পরিশোধ না করিবে, তাবৎ তুমি কোন মতে সেই স্থান হইতে বাহিরে আসিতে পারিবে না।
বন্দির হাহাকার তোমার সম্মুখে উপস্থিত হউক, তুমি আপন বাহুর মহত্ত্বানুসারে মৃত্যুর সন্তানদিগকে বাঁচাও।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
কেননা সে দয়া করিবার বিষয় মনে করিত না, কিন্তু তাড়না করিত দুঃখী ও দরিদ্র ব্যক্তিকে, ও ভগ্নান্তঃকরণ লোককে, বধ করিবার নিমিত্ত।
দুষ্টের হৃদয়মধ্যে অধর্ম তাহার কাছে কথা বলে, ঈশ্বর-ভয় তাহার চক্ষুর অগোচর।যাহারা তোমাকে জানে, তুমি তাহাদের প্রতি তোমার দয়া, ও সরলচিত্তদের প্রতি তোমার ধর্মশীলতা চিরস্থায়ী কর।অহঙ্কারের চরণ আমার নিকটে না আইসুক, দুষ্টদের হস্ত আমাকে তাড়াইয়া না দিউক।ঐ যে অধর্মাচারিগণ পতিত হইল; অধঃক্ষিপ্ত হইল, আর উঠিতে পারিবে না।সে নিজের দৃষ্টিতে আত্মশ্লাঘা করিয়া বলে, আমার অধর্ম আবিষ্কৃত ও ঘৃণিত হইবে না।তাহার মুখের বাক্য অধর্ম ও ছলমাত্র; সে সুবিবেচনা ও সদাচরণ ত্যাগ করিয়াছে।সে আপন শয্যাতে অধর্ম কল্পনা করে, সে কুপথে দাঁড়াইয়া থাকে, সে দুষ্কর্ম ঘৃণা করে না।
তাহাদের জালের সূতায় বস্ত্র হইবে না, তাহাদের কর্মে তাহারা আচ্ছাদিত হইবে না, তাহাদের কর্ম সকল অধর্মের কর্ম, তাহাদের হস্তে দৌরাত্ম্যের কার্য থাকে।
তাহাতে সদাপ্রভু তাহাকে কহিলেন, এই জন্য কয়িনকে যে বধ করিবে, সে সাত গুণ প্রতিফল পাইবে। আর সদাপ্রভু কয়িনের নিমিত্ত এক চিহ্ন রাখিলেন, পাছে কেহ তাহাকে পাইলে বধ করে।
কি প্রাণ-সংশয়? কি খড়্গ? যেমন লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন নিহত হইতেছি; আমরা বধ্য মেষের ন্যায় গণিত হইলাম।”
হে সদাপ্রভু, দুষ্টের হস্ত হইতে আমাকে নিস্তার কর, দুর্জন হইতে আমাকে রক্ষা কর; তাহারা আমার চরণ ঠেলিয়া দিবার সঙ্কল্প করিয়াছে।
পরে তিনি বামদিকে স্থিত লোকদিগকেও বলিবেন, ওহে শাপগ্রস্ত সকল, আমার নিকট হইতে দূর হও, দিয়াবলের ও তাহার দূতগণের জন্য যে অনন্ত অগ্নি প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার মধ্যে যাও।
তথাপি তাহারা অপহৃত ও লুণ্ঠিত জাতি; তাহারা সকলে গর্তে পাশবদ্ধ ও কারাগারে লুক্কায়িত হইয়াছে; তাহারা অপহৃত হইয়াছে, উদ্ধারকর্তা কেহ নাই; লুন্ঠিত হইয়াছে, কেহ বলে না, ফিরাইয়া দেও।
যে জন গোপনে প্রতিবাসীর পরীবাদ করে, তাহাকে আমি উচ্ছেদ করিব; যাহার সাহংকার দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়, তাহাকে সহ্য করিব না।
মিথ্যা বিষয় হইতে দূরে থাকিও, এবং নির্দোষের কি ধার্মিকের প্রাণ নষ্ট করিও না, কেননা আমি দুষ্টকে নির্দোষ করিব না।
কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী, বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু।
তোমরা শুনিয়াছ, পূর্বকালের লোকদের নিকটে উক্ত হইয়াছিল, “তুমি নরহত্যা করিও না,” আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে’।
আর চোর যদি সিঁধ কাটিবার সময়ে ধরা পড়িয়া আহত হয় ও মারা পড়ে, তবে তাহার জন্য রক্তপাতের দোষ হইবে না।
পরে মোশির প্রতি সদাপ্রভুর দত্ত আজ্ঞা অনুসারে তাহারা মিদিয়নের সহিত যুদ্ধ করিল, ও সমস্ত পুরুষকে বধ করিল।
অতএব তোমরা এখন বালক-বালিকাদের মধ্যে সমস্ত বালককে বধ কর, এবং শয়নে পুরুষের পরিচয়প্রাপ্ত সমস্ত স্ত্রীলোককেও বধ কর;
কয়িন যেমন সেই পাপাত্মার লোক এবং আপন ভ্রাতাকে বধ করিয়াছিল, তেমন যেন না হই। আর সে কেন তাঁহাকে বধ করিয়াছিল? কারণ এই যে, তাহার নিজের কার্য মন্দ, কিন্তু তাহার ভ্রাতার কার্য ধর্মানুযায়ী ছিল।