তোমার মনকে নিজের ইচ্ছা আর আবেগের পেছনে না ছুটিয়ে সবসময় ঈশ্বরের ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করো। কারণ আমাদের অনুভূতিগুলো পরিবর্তনশীল, আর আমাদের মন কখনো কখনো খারাপ চিন্তাও করে। পবিত্র আত্মা যেন আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ পরিচালনা করেন, সেটাই ভালো।
আমাদের লক্ষ্য আর পরিকল্পনাগুলো ঈশ্বরের হাতে তুলে দেওয়াই আমাদের সফলতার আসল চাবিকাঠি। কারণ তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ জানেন, আর আমাদের আত্মার জন্য আসলে কী কল্যাণকর সেটাও তিনি জানেন।
তাই নিজের বুদ্ধির উপর ভরসা না করে সবসময় তাঁর সাহায্য চাওয়া খুবই জরুরি। কারণ আমাদের পাপী স্বভাবের জন্য আমরা সবসময় ভুল পথে যেতে চাই।
যখন এরকম হয়, তখন ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে এমন সবকিছু থেকে নিজেকে সাবধানে রাখতে হবে এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি আমাদেরকে একটি বিশুদ্ধ মন দেন।
লোভ থেকে দূরে থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে পাপ, আর শেষ পর্যন্ত এটি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। যারা লোভ করে তাদের কোনো লাভ হয় না।
লোভ শুরুতে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি তিক্ত অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়, যা কখনো অনুভব না করলেই ভালো থাকতাম।
তাই, পিতার কাছে প্রার্থনা করো যেন তিনি আমাদের হৃদয় পরীক্ষা করেন এবং আমাদেরকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং বিশুদ্ধ করে তোলেন - আমাদের উদ্দেশ্যে এবং চিন্তায়। যাতে আমরা পৃথিবীতে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারি। লূক ১২:১৫{[1]} আমাদের মনে করিয়ে দেয়, "তিনি তাদের বললেন, 'সাবধান! সব রকমের লোভ থেকে নিজেদের রক্ষা কর। কারণ, অনেক সম্পত্তির মালিক হলেও জীবন তার উপর নির্ভর করে না।'"
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
পরে তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সাবধান, সর্বপ্রকার লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সমপত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সর্বপ্রকার অশুদ্ধতার বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রগণের উপযুক্ত।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
লোভের বশে তাহারা কল্পিত বাক্য দ্বারা তোমাদের হইতে অর্থলাভ করিবে; তাহাদের বিচারাজ্ঞা দীর্ঘকাল বিলম্ব করে নাই, এবং তাহাদের বিনাশ ঢুলিয়া পড়ে নাই।
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;
কেননা তোমরা নিশ্চয় জানিতেছ, বেশ্যাগামী কি অশুদ্ধাচারী কি লোভী- সে ত প্রতিমাপূজক- কেহই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।
যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; ইহাও অসার।
এই জন্য আমি অন্য লোকদিগকে তাহাদের স্ত্রী, এবং অন্য অধিকারীদিগকে তাহাদের ক্ষেত্র দিব; কেননা ক্ষুদ্র কি মহান সকলেই লোভে লুব্ধ, ভাববাদী ও যাজকসুদ্ধ সমস্ত লোক প্রবঞ্চনায় রত।
কোন ভৃত্য দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না, কেননা সে হয় একজনকে ঘৃণা করিবে, অন্যকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনে অনুরক্ত হইবে, অন্যকে তুচ্ছ করিবে। তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
তাহাদের চক্ষু ব্যভিচারে পরিপূর্ণ এবং পাপ হইতে নিরস্ত হইতে পারে না; তাহারা চঞ্চলমতিদিগকে প্রলোভিত করে; তাহাদের হৃদয় অর্থলালসায় অভ্যস্ত; তাহারা শাপের সন্তান।
তোমার প্রতিবাসীর গৃহে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর স্ত্রীতে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গরুতে কি গর্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না।
আবার তোমাদিগকে কহিতেছি, ঈশ্বরের রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করা অপেক্ষা বরং সূচের ছিদ্র দিয়া উটের যাওয়া সহজ।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
কি চোর কি লোভী কি মাতাল কি কটূভাষী কি পরধনগ্রাহী, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
তখন ফরীশীরা, যাহারা টাকা ভালবাসিত, এই সকল কথা শুনিতেছিল, আর তাহারা তাঁহাকে উপহাস করিতে লাগিল।তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরাই ত মনুষ্যদের সাক্ষাতে আপনাদিগকে ধার্মিক দেখাইয়া থাক, কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের অন্তঃকরণ জানেন; কেননা মনুষ্যদের মধ্যে যাহা উচ্চ, তাহা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ঘৃণিত।
তাহারা ক্ষেত্রের প্রতি লোভ করিয়া সবলে তাহা গ্রহণ করে, এবং ঘরের প্রতিও লোভ করিয়া তাহা হরণ করে; এইরূপে তাহারা পুরুষের ও তাহার ঘরের প্রতি, মনুষ্যের ও তাহার পৈতৃক অধিকারের প্রতি দৌরাত্ম্য করে।
ধন সঞ্চয় করিতে অত্যন্ত যত্ন করিও না, তোমার নিজ বুদ্ধি হইতে ক্ষান্ত হও।তুমি যখন ধনের দিকে চাহিতেছ? তাহা আর নাই; কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়িয়া যায়, তেমনি ধন আপনার জন্য নিশ্চয়ই পক্ষ প্রস্তুত করে।
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
সেই কুকুরগণ উদরম্ভরি, তাহাদের কখনও তৃপ্তি বোধ হয় না; আর ইহারা বিবেচনা-বিহীন পালক; সকলে নির্বিশেষে আপন আপন পথের দিকে, আপন আপন লাভের চেষ্টায়, ফিরিয়াছে।
আর প্রজালোক যেমন আইসে, তেমনি তাহারা তোমার কাছে আইসে, আমার প্রজা বলিয়া তোমার সম্মুখে বসে, ও তোমার বাক্য সকল শুনে, কিন্তু তাহা পালন করে না; কেননা মুখে তাহারা বিলক্ষণ প্রেম দেখায়,
কোন ব্যক্তি একা থাকে, তাহার দ্বিতীয় কেহ নাই, পুত্রও নাই, ভ্রাতাও নাই, তথাপি তাহার পরিশ্রমের সীমা নাই, তাহার চক্ষুও ধনে তৃপ্ত হয় না। [সে বলে,] তবে আমি কাহার নিমিত্ত পরিশ্রম করিতেছি, ও আপন প্রাণকে মঙ্গল হইতে বঞ্চিত করিতেছি? ইহাও অসার ও ভারী কষ্টজনক।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর। আপনাদের জন্য এমন থলি প্রস্তুত কর, যাহা জীর্ণ হয় না; স্বর্গে অক্ষয় ধন সঞ্চয় কর, যেখানে চোর নিকটে আইসে না, কীটেও ক্ষয় করে না;কেননা যেখানে তোমাদের ধন, সেখানে তোমাদের মনও থাকিবে।
নিজের ধনবৃদ্ধির জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করে, আর যে ধনবানকে দান করে, উভয়েরই অভাব ঘটে।
এই কথা আমি অনটন সম্বন্ধে বলিতেছি না, কেননা আমি যে অবস্থায় থাকি, তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে শিখিয়াছি।আমি অবনত হইতে জানি, উপচয় ভোগ করিতেও জানি; প্রত্যেক বিষয়ে ও সর্ববিষয়ে আমি তৃপ্ত কি ক্ষুধিত হইতে, এবং উপচয় কি অনটন ভোগ করিতে দীক্ষিত হইয়াছি।
আর যে কাঁটাবনের মধ্যে উপ্ত, এ সেই যে সেই বাক্য শুনে, আর সংসারের চিন্তা ও ধনের মায়া সেই বাক্য চাপিয়া রাখে, তাহাতে সে ফলহীন হয়।
আমি কাহারও রৌপ্যের কি স্বর্ণের কি বস্ত্রের প্রতি লোভ করি নাই।তোমরা আপনারা জান, আমার নিজের এবং আমার সঙ্গীদের অভাব দূর করণার্থে এই দুই হস্ত কার্য করিয়াছে।সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,
তাহার লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হইলাম ও তাহাকে আঘাত করিলাম, আপন [মুখ] লুকাইয়া ক্রোধ করিলাম, তথাপি সে বিমুখ হইয়া আপন মনের মত পথে চলিল।
সে মাতৃগর্ভ হইতে উলঙ্গ আইসে; যেমন আইসে তেমনি উলঙ্গই পুনরায় চলিয়া যায়; পরিশ্রম করিলেও সে যাহা সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতে পারে, এমন কিছুই নাই।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
এখন দেখ, হে ধনবানেরা, তোমাদের উপরে যে সকল দুর্দশা আসিতেছে, সেই সকলের জন্য রোদন ও হাহাকার কর।হে ভ্রাতৃগণ, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাদিগকে দুঃখভোগের ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত বলিয়া মান।দেখ, যাহারা স্থির রহিয়াছে, তাহাদিগকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনিয়াছ; প্রভুর পরিণামও দেখিয়াছ, ফলতঃ প্রভু স্নেহপূর্ণ ও দয়াময়।আবার, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্য করিও না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য করিও না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হউক, পাছে বিচারে পতিত হও। তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।তোমাদের মধ্যে কেহ কি রোগগ্রস্ত? সে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে আহ্বান করুক; এবং তাঁহারা প্রভুর নামে তাহাকে তৈলাভিষিক্ত করিয়া তাহার উপরে প্রার্থনা করুন।তাহাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে, এবং প্রভু তাহাকে উঠাইবেন; আর সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।এলিয় আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সহিত প্রার্থনা করিলেন, যেন বৃষ্টি না হয়, এবং তিন বৎসর ছয় মাস ভূমিতে বৃষ্টি হইল না।পরে তিনি আবার প্রার্থনা করিলেন; আর আকাশ জল প্রদান করিল, এবং ভূমি নিজ ফল উৎপন্ন করিল। হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।আর তাহার কলঙ্ক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে, এবং অগ্নির ন্যায় তোমাদের মাংস খাইবে। তোমরা শেষকালে ধন-সঞ্চয় করিয়াছ।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা গৃহের সঙ্গে গৃহ যোগ করে, ক্ষেত্রের সঙ্গে ক্ষেত্র সংযোগ করে, অবশেষে আর স্থান থাকে না, তোমাদিগকে দেশমধ্যে একাকী বাস করান হয়!
প্রসব না করিলেও যেমন তিত্তির পক্ষী শাবকদিগকে সংগ্রহ করে, তেমনি সেই ব্যক্তি যে অন্যায়ে ধন সঞ্চয় করে, সেই ধন অর্ধ বয়সে তাহাকে ছাড়িয়া যাইবে, এবং শেষকালে সে মূঢ় হইয়া পড়িবে।
তখন তাহার প্রতি দৃষ্টি করিয়া যীশু কহিলেন, যাহাদের ধন আছে, তাহাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা কেমন দুষ্কর!বাস্তবিক ঈশ্বরের রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করা অপেক্ষা বরং সূচের ছিদ্র দিয়া উষ্ট্রের প্রবেশ করা সহজ।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
কেননা তোমরা বন্দিগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলে, এবং আনন্দপূর্বক আপন আপন সমপত্তির লুট স্বীকার করিয়াছিলে, কারণ তোমরা জানিতে, তোমাদের আরও উত্তম নিজ সমপত্তি আছে, আর তাহা নিত্যস্থায়ী।
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
যে দীনহীনের প্রতি উপদ্রব করে, সে তাহার নির্মাতাকে উপহাস করে; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁহাকে সম্মান করে।
এই জগতের ব্যভিচারী কি লোভী কি পরধনগ্রাহী কি প্রতিমাপূজকদের সংসর্গ একেবারে ছাড়িতে হইবে, তাহা নয়, কেননা তাহা হইলে জগতের বাহিরে যাওয়া তোমাদের আবশ্যক হইয়া পড়ে।কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটূভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।
আর সৈনিকেরাও তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আমাদেরই বা কি করিতে হইবে? তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করিও না, অন্যায়পূর্বক কিছু আদায়ও করিও না, এবং তোমাদের বেতনে সন্তুষ্ট থাকিও।
আহাব নাবোৎকে কহিলেন, তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্র আমাকে দেও; আমি উহা সব্জির ক্ষেত্র করিব, কারণ উহা আমার বাটীর নিকটবর্তী; উহার পরিবর্তে তোমাকে আরও উত্তম একখানি দ্রাক্ষাক্ষেত্র দিব; কিম্বা যদি তোমার বিহিত বোধ হয়, তবে তাহার মূল্য অনুসারে রৌপ্য মুদ্রা তোমাকে দিব।তখন আহাব এলিয়কে কহিলেন, হে আমার শত্রু, তুমি কি আমাকে পাইয়াছ? তিনি কহিলেন, তোমাকে পাইয়াছি; কারণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তুমি তাহাই করিবার জন্য আপনাকে বিক্রয় করিয়াছ।দেখ, আমি তোমার উপরে অমঙ্গল উপস্থিত করিব, ও তোমাকে নিঃশেষে ঝাঁটি দিব; এবং আহাব-বংশের প্রত্যেক পুরুষকে এবং ইস্রায়েলের মধ্যে বদ্ধ ও মুক্ত সকল লোককে উচ্ছেদ করিব।আর আমি তোমার কুল নবাটের পুত্র যারবিয়ামের কুলের সমান ও অহিয়ের পুত্র বাশার কুলের সমান করিব; ইহার কারণ তোমার সেই অসন্তোষজনক আচার-ব্যবহার, যদ্দ্বারা তুমি আমাকে অসন্তুষ্ট করিয়াছ, আর ইস্রায়েলকে পাপ করাইয়াছ।আবার ঈষেবলের বিষয়েও সদাপ্রভু বলিলেন যে, কুকুরেরা যিষ্রিয়েলের দুর্গপ্রাচীরের কাছে ঈষেবলকে খাইবে।আহাবের যে কেহ নগরে মরিবে, কুকুরেরা তাহাকে খাইবে; এবং যে কেহ মাঠে মরিবে, আকাশের পক্ষীরা তাহাকে খাইবে।[আহাব, যিনি আপন স্ত্রী ঈষেবল কর্তৃক উত্তেজিত হইয়া সদাপ্রভুর সাক্ষাতে কদাচরণ করিতে আপনাকে বিক্রয় করিয়াছিলেন, তাহার তুল্য আর কেহ কখনও হয় নাই।আর সদাপ্রভু যে ইমোরীয়দিগকে ইস্রায়েল-সন্তানগণের সম্মুখ হইতে অধিকারচ্যুত করিয়াছিলেন, তাহাদের সমস্ত ক্রিয়ানুসারে তিনি পুত্তলিদের অনুগামী হইয়া অতিশয় ঘৃণার্হ কর্ম করিতেন।]আহাব যখন ঐ সকল কথা শুনিলেন, তখন আপন বস্ত্র ছিঁড়িলেন, এবং গায়ে চট বাঁধিয়া উপবাস করিলেন, চটে শয়ন করিলেন, এবং ধীরে ধীরে বেড়াইলেন।পরে তিশ্বীয় এলিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হইল,আহাব আমার সাক্ষাতে আপনাকে অবনত করিয়াছে, ইহা কি তুমি দেখিতেছ? সে আমার সাক্ষাতে আপনাকে অবনত করিয়াছে, এই জন্য আমি তাহার জীবনকালে ঐ অমঙ্গল ঘটাইব না, কিন্তু তাহার পুত্রের জীবনকালে তাহার কুলের উপরে সেই অমঙ্গল উপস্থিত করিব।নাবোৎ আহাবকে কহিলেন, আমি যে আপন পৈতৃক অধিকার আপনাকে দিই, সদাপ্রভু ইহা নিবারণ করুন।তখন, ‘আমি পৈতৃক অধিকার আপনাকে দিব না,’ যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের উক্ত এই কথায় আহাব বিষণ্ন ও রুষ্ট হইয়া আপন গৃহে আসিলেন, এবং শয্যাতে পড়িয়া রহিলেন, মুখ ফিরাইয়া থাকিলেন, খাদ্য গ্রহণ করিলেন না।
রক্তপাত করণার্থে তোমার মধ্যে লোকে উৎকোচ গ্রহণ করিয়াছে; তুমি সুদ ও বৃদ্ধি লইয়াছ, উপদ্রব করিয়া লোভে প্রতিবাসীদের কাছে লাভ করিয়াছ, এবং আমাকেই ভুলিয়া গিয়াছ, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
কেননা যদি তোমাদের সমাজগৃহে স্বর্ণময় অঙ্গুরীয়ে ও শুভ্র বস্ত্রে ভূষিত কোন ব্যক্তি আইসে, এবং মলিন বস্ত্র পরিহিত কোন দরিদ্রও আইসে,কিন্তু হে অসার মনুষ্য, তুমি কি জানিতে চাও যে, কর্মবিহীন বিশ্বাস কোন কাজের নয়।আমাদের পিতা অব্রাহাম কর্মহেতু, অর্থাৎ যজ্ঞবেদির উপরে আপন পুত্র ইস্হাককে উৎসর্গ করণ হেতু, কি ধার্মিক গণিত হইলেন না?তুমি দেখিতেছ, বিশ্বাস তাহার ক্রিয়ার সহকারী ছিল, এবং কর্ম হেতু বিশ্বাস সিদ্ধ হইল;তাহাতে এই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হইল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল”, আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পাইলেন।তোমরা দেখিতেছ, কর্মহেতু মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়, শুধু বিশ্বাস হেতু নয়।আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই প্রকারে কর্মহেতু ধার্মিকা গণিত হইল না? সে ত দূতগণকে অতিথি করিয়াছিল, এবং অন্য পথ দিয়া বাহিরে পাঠাইয়া দিয়াছিল।বাস্তবিক যেমন আত্মাবিহীন দেহ মৃত, তেমন কর্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত।আর তোমরা সেই শুভ্রবস্ত্র পরিহিত ব্যক্তির মুখ চাহিয়া বল, ‘আপনি এখানে উত্তম স্থানে বসুন,’ কিন্তু সেই দরিদ্রকে যদি বল, ‘তুমি ওখানে দাঁড়াও, কিম্বা আমার পাদপীঠের তলে বস,’তাহা হইলে তোমরা কি আপনাদের মধ্যে ভেদাভেদ করিতেছ না, এবং মন্দ বিতর্কে লিপ্ত বিচারকর্তা হইতেছ না?
তাহার উদরে শান্তি হইত না, সে আপন অভীষ্ট বস্তুর কিছুই রক্ষা করিতে পারিবে না।তাহার গ্রাসে কিছু অবশিষ্ট থাকিত না, অতএব তাহার সুদশা থাকিবে না।
তোমার প্রতিবাসীর স্ত্রীতে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর গৃহে কি ক্ষেত্রে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গরুতে কি গর্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না।
কারণ, তোমরা জান, আমরা কখনও চাটুবাদে কিম্বা লোভের জন্য ছলে লিপ্ত হই নাই, ঈশ্বর ইহার সাক্ষী;
যাহারা আপনাদের ধনে নির্ভর করে, আপনাদের সম্পত্তিবাহুল্যের শ্লাঘা করে,তাহাদের মধ্যে কেহই কোন মতে ভ্রাতাকে মুক্ত করিতে পারে না, কিম্বা তাহার প্রায়শ্চিত্তের জন্য ঈশ্বরকে কিছু দিতে পারে না,
তখন ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের চাকর গেহসি কহিল, দেখ, আমার প্রভু ঐ অরামীয় নামানকে অমনি ছাড়িয়া দিলেন, তাঁহার হস্ত হইতে তাঁহার আনীত দ্রব্য গ্রহণ করিলেন না; জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, আমি তাঁহার পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়াইয়া গিয়া তাঁহার নিকট হইতে কিছু লইব।পরে গেহসি নামানের পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়াইয়া গেল; তাহাতে নামান আপনার পশ্চাতে পশ্চাতে একজনকে দৌড়াইয়া আসিতে দেখিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করণার্থে রথ হইতে নামিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মঙ্গল ত? সে কহিল, মঙ্গল।আমার প্রভু এই বলিয়া আমাকে পাঠাইলেন, দেখুন, এক্ষণে পর্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশ হইতে শিষ্য-ভাববাদীদের মধ্যে দুই জন যুবক আসিল; বিনয় করি, তাহাদের জন্য এক তালন্ত রৌপ্য ও দুই জোড়া বস্ত্র দান করুন।নামান কহিলেন, অনুগ্রহ করিয়া দুই তালন্ত লও। পরে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করিয়া দুই থলিতে দুই তালন্ত রৌপ্য বাঁধিয়া দুই জোড়া বস্ত্রের সহিত আপনার দুই জন চাকরকে দিলে তাহারা উহার অগ্রে অগ্রে বহিতে লাগিল।পরে পাহাড়ে উপস্থিত হইলে সে তাহাদের হস্ত হইতে সেই সকল লইয়া গৃহের মধ্যে রাখিল, এবং সেই লোকদিগকে বিদায় করিলে তাহারা চলিয়া গেল।পরে আপনি ভিতরে গিয়া আপন প্রভুর সম্মুখে দাঁড়াইল। তখন ইলীশায় তাহাকে কহিলেন, গেহসি, তুমি কোথা হইতে আসিলে? সে কহিল, আপনার দাস কোন স্থানে যায় নাই।তখন তিনি তাহাকে কহিলেন, সেই ব্যক্তি যখন তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে রথ হইতে নামিলেন, তখন আমার মন কি যায় নাই? রৌপ্য লইবার এবং বস্ত্র, জলপাইবৃক্ষের উদ্যান ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র, মেষ, গরু ও দাস দাসী লইবার সময় কি এই?অতএব নামানের কুষ্ঠরোগ তোমাতে ও তোমার বংশে চিরকাল লাগিয়া থাকিবে। তাহাতে গেহসি হিমের ন্যায় শ্বেতকুষ্ঠগ্রস্ত হইয়া তাঁহার সম্মুখ হইতে প্রস্থান করিল।
বাস্তবিক দুর্গ নির্মাণ করিতে ইচ্ছা হইলে তোমাদের মধ্যে কে অগ্রে বসিয়া ব্যয় হিসাব করিয়া না দেখিবে, সমাপ্ত করিবার সঙ্গতি তাহার আছে কি না?কি জানি ভিত্তিমূল বসাইলে পর যদি সে সমাপ্ত করিতে না পারে, তবে যত লোক তাহা দেখিবে, সকলে তাহাকে বিদ্রূপ করিতে আরম্ভ করিবে,যীশু জিজ্ঞাসা করিয়া ব্যবস্থাবেত্তাদিগকে ও ফরীশীগণকে কহিলেন, বিশ্রামবারে আরোগ্য করা বিধেয় কিনা?বলিবে, এ ব্যক্তি নির্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, কিন্তু সমাপ্ত করিতে পারিল না।
যীশু তাহাকে কহিলেন, যদি সিদ্ধ হইতে ইচ্ছা কর, তবে চলিয়া যাও, তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।কিন্তু এই কথা শুনিয়া সেই যুবক দুঃখিত হইয়া চলিয়া গেল, কারণ তাহার বিস্তর সমপত্তি ছিল।
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।যাচ্ঞা করিতেছ, তথাপি ফল পাইতেছ না; কারণ মন্দ ভাবে যাচ্ঞা করিতেছ, যেন আপন আপন সুখাভিলাষে ব্যয় করিতে পার।
কিন্তু মার্থা পরিচর্যা বিষয়ে অধিক ব্যতিব্যস্ত ছিলেন; আর তিনি নিকটে আসিয়া কহিলেন, প্রভু, আপনি কি কিছু মনে করিতেছেন না যে, আমার ভগিনী পরিচর্যার ভার একা আমার উপরে ফেলিয়া রাখিয়াছে? অতএব উহাকে বলিয়া দিউন, যেন আমার সাহায্য করে।কিন্তু প্রভু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, মার্থা, মার্থা, তুমি অনেক বিষয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন আছ;কিন্তু অল্প কয়েকটি বিষয়, বরং একটি মাত্র বিষয় আবশ্যক; বাস্তবিক মরিয়ম সেই উত্তম অংশটি মনোনীত করিয়াছে, যাহা তাহার নিকট হইতে লওয়া যাইবে না।
তাহারা আপন আপন রৌপ্য চকে ফেলিয়া দিবে, তাহাদের সুবর্ণ অশুচি বস্তু হইবে; সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তাহাদের স্বর্ণ কি রৌপ্য তাহাদিগকে রক্ষা করিতে পারিবে না; তাহা তাহাদের প্রাণ তৃপ্ত, কিম্বা তাহাদের উদর পূর্ণ করিবে না, কেননা তাহাই তাহাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইয়াছে।
কিন্তু অননিয় নামে এক ব্যক্তি, এবং তাহার সহিত তাহার স্ত্রী সাফীরা, একটি সমপত্তি বিক্রয় করিল,সে তৎক্ষণাৎ তাহার চরণে পড়িয়া প্রাণত্যাগ করিল; আর ঐ যুবকেরা ভিতরে আসিয়া তাহাকে মৃত দেখিল, এবং বাহিরে লইয়া গিয়া তাহার স্বামীর পার্শ্বে কবর দিল।
আমি তোমার কাছে দুই বর ভিক্ষা করিয়াছি, আমার জীবন থাকিতে তাহা অস্বীকার করিও না;অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
কেননা যদি আগ্রহ থাকে, তবে যাহার যাহা আছে, তদনুসারে তাহা গ্রাহ্য হয়; যাহার যাহা নাই, তদনুসারে নয়।
আমি যদি স্বর্ণকে আশাভূমি করিয়া থাকি, সুবর্ণকে বলিয়া থাকি, তুমি মম আশ্রয়,যদি আনন্দ করিয়া থাকি, সম্পদ বাড়িয়াছে বলিয়া, হস্তে সমৃদ্ধি লাভ হইয়াছে বলিয়া;
তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।
তখন তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তবে কৈসরের যাহা যাহা, কৈসরকে দেও, আর ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে দেও।
কিন্তু প্রভু তাহাকে কহিলেন, তোমরা ফরীশীরা ত পানপাত্র ও ভোজনপাত্র বাহিরে পরিষ্কার করিয়া থাক, কিন্তু তোমাদের ভিতরে দৌরাত্ম্য ও দুষ্টতা ভরা।আর আমাদের পাপ সকল ক্ষমা কর; কেননা আমরাও আপনাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না।নির্বোধেরা, যিনি বাহিরের ভাগ নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি কি ভিতরের ভাগও নির্মাণ করেন নাই?বরং ভিতরে যাহা যাহা আছে, তাহা দান কর, আর দেখ, তোমাদের পক্ষে সকলই শুচি।
অধিকন্তু তুমি এই লোকসমূহের মধ্য হইতে কার্যদক্ষ পুরুষদিগকে, ঈশ্বরভীত, সত্যবাদী ও অন্যায়-লাভ-ঘৃণাকারী ব্যক্তিদিগকে মনোনীত করিয়া লোকদের উপরে সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি ও দশপতি করিয়া নিযুক্ত কর।
দুঃখিতের ন্যায়, কিন্তু সর্বদা আনন্দিত; দীনহীনের ন্যায়, কিন্তু অনেকের ধনদাতা; আমাদের যেন কিছুই নাই, অথচ আমরা সর্বাধিকারী।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
আর ঈশ্বর তাঁহাকে কহিলেন, তুমি এই বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছ, আপনার জন্য দীর্ঘায়ু যাচ্ঞা কর নাই, আপনার জন্য ঐশ্বর্য যাচ্ঞা কর নাই, এবং আপন শত্রুগণের প্রাণ যাচ্ঞা কর নাই; কিন্তু বিচার শ্রবণার্থে আপনার জন্য বুদ্ধি যাচ্ঞা করিয়াছ;এই কারণ দেখ, আমি তোমার বাক্যানুসারেই করিলাম। দেখ, আমি তোমাকে এমন জ্ঞানশালী ও বুঝিবার চিত্ত দিলাম যে, তোমার পূর্বে তোমার তুল্য কেহ হয় নাই, এবং পরেও তোমার তুল্য কেহ উৎপন্ন হইবে না।আবার তুমি যাহা যাচ্ঞা কর নাই, তাহাও তোমাকে দিলাম, এমন ঐশ্বর্য ও গৌরব দিলাম যে, তোমার জীবনকালে রাজবর্গের মধ্যে কেহ তোমার তুল্য হইবে না।
আর শিমোন যখন দেখিল, প্রেরিতদের হস্তার্পণ দ্বারা পবিত্র আত্মা দত্ত হইতেছেন, তখন সে তাঁহাদের নিকটে টাকা আনিয়া কহিল,আমাকেও এই ক্ষমতা দিউন, যেন আমি যাহার উপরে হস্তার্পণ করিব, সে পবিত্র আত্মা পায়।আর কয়েক জন ভক্ত লোক স্তিফানের কবর দিলেন, ও তাঁহার নিমিত্ত মহাবিলাপ করিলেন।কিন্তু পিতর তাহাকে বলিলেন, তোমার রৌপ্য তোমার সঙ্গে বিনষ্ট হউক, কেননা ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়া ক্রয় করিতে মনস্থ করিয়াছ।
পরে সে তাঁহাকে উপরে লইয়া গিয়া মুহূর্তকালের মধ্যে জগতের সমস্ত রাজ্য দেখাইল।আর দিয়াবল তাঁহাকে বলিল, তোমাকেই আমি এই সমস্ত কর্তৃত্ব ও এই সকলের প্রতাপ দিব; কেননা ইহা আমার কাছে সমর্পিত হইয়াছে, আর আমার যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দান করি;অতএব তুমি যদি আমার সম্মুখে পড়িয়া প্রণাম কর, তবে এই সকলই তোমার হইবে।যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, লেখা আছে, “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে”।
তখন ঈশ্বর শলোমনকে কহিলেন, ইহাই তোমার মনে উদয় হইয়াছে; তুমি ঐশ্বর্য, সম্পত্তি, গৌরব কিম্বা বৈরীদের প্রাণ যাচ্ঞা কর নাই, দীর্ঘায়ুও যাচ্ঞা কর নাই; কিন্তু আমি আমার যে প্রজাদের উপরে তোমাকে রাজা করিয়াছি, তুমি তাহাদের বিচার করিবার জন্য আপনার নিমিত্ত বুদ্ধি ও জ্ঞান যাচ্ঞা করিয়াছ।বুদ্ধি ও জ্ঞান তোমাকে দত্ত হইল; অধিকন্তু তোমার পূর্বে কোন রাজার যাদৃশ হয় নাই, এবং তোমার পরেও যাদৃশ হইবে না, তাদৃশ ঐশ্বর্য, সম্পত্তি ও গৌরব আমি তোমাকে দিব।
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?বৎসেরা, আইস, আমরা বাক্যে কিম্বা জিহ্বাতে নয়, কিন্তু কার্যে ও সত্যে প্রেম করি।
কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সমপত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে তখনই গেল, তাহা দিয়া ব্যবসা করিল, এবং আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিল।যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও তদ্রূপ করিয়া আর দুই তালন্ত লাভ করিল।কিন্তু যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সে গিয়া ভূমিতে গর্ত খুঁড়িয়া আপন প্রভুর টাকা লুকাইয়া রাখিল।দীর্ঘকালের পর সেই দাসদের প্রভু আসিয়া তাহাদের নিকট হইতে হিসাব লইলেন।তাহাদের মধ্যে পাঁচ জন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।তখন যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে আসিয়া আরও পাঁচ তালন্ত আনিয়া কহিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে পাঁচ তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া বলিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে দুই তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর দুই তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া কহিল, প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বুনেন নাই, সেখানে কাটিয়া থাকেন, ও যেখানে ছড়ান নাই, সেখানে কুড়াইয়া থাকেন।তাই আমি ভীত হইয়া গিয়া আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম; দেখুন, আপনার যাহা আপনি পাইলেন।কিন্তু তাহার প্রভু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, দুষ্ট অলস দাস, তুমি নাকি জানিতে, আমি যেখানে বুনি নাই, সেখানে কাটি, এবং যেখানে ছড়াই নাই, সেখানে কুড়াই?তবে পোদ্দারদের হাতে আমার টাকা রাখিয়া দেওয়া তোমার উচিৎ ছিল; তাহা করিলে আমি আসিয়া আমার যাহা তাহা সুদের সহিত পাইতাম।অতএব তোমরা ইহার নিকট হইতে ঐ তালন্ত লও, এবং যাহার দশ তালন্ত আছে, তাহাকে দেও;কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।কারণ যাহারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না;আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।