মিথ্যা কথার মধ্যে কোনো ভালো কিছু নেই, এটা কখনোই নির্দোষ নয়। আল্লাহর কাছে মিথ্যা কথা বলা খুবই ক্ষতিকর এবং যারা মিথ্যা বলে পরে ধরা পড়ে তাদের জন্য এর পরিণতি খুবই তিক্ত।
দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বা কারও সামনে ভালো হওয়ার জন্য মিথ্যা বলো না, কারণ মিথ্যা বললে তুমি এমন একজন মানুষে পরিণত হবে যার উপর কেউ বিশ্বাস রাখতে পারবে না।
যখন তুমি মিথ্যা বলো, তুমি সচেতনভাবেই সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছ। আর যদি তোমার বিবেক তোমাকে অপরাধী বোধ না করায়, তাহলে বুঝবে তুমি আল্লাহর ভয় হারিয়ে ফেলেছ এবং মিথ্যাকে অভ্যাসে পরিণত করেছ।
যদি তুমি কারও চোখের দিকে তাকিয়েও মিথ্যা বলতে পারো, তাহলে তুমি ভুল পথে আছো। সেই ব্যক্তির সাথে তুমি কী করছো তার চেয়েও বড় কথা হলো, আল্লাহর দৃষ্টিতে তুমি নিজেকে কেমন দেখাচ্ছ সেটা তোমার মোটেও চিন্তার বিষয় নয়।
একবার কেউ যদি মিথ্যাবাদী হয়ে যায়, সে একজন দূরবর্তী ও ঠান্ডা মানুষে পরিণত হয়। শুরুতে তুমি হয়তো ভাববে একবার মিথ্যা বললে কিছু হয় না, কিন্তু আবার যদি মিথ্যা বলো, তাহলে তুমি একটা দরজা খুলে দিচ্ছ। এবং যখন বুঝতে পারবে, তখন খুব দেরি হয়ে যাবে, তুমি আর থামতে পারবে না এবং একটা বিরাট ফাটল তৈরি হয়ে যাবে।
মিথ্যা তোমাকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে এবং তোমার মূল্যবান বন্ধুত্ব ও সম্পর্কগুলো নষ্ট করে দিতে পারে। মিথ্যাবাদী নিজেকেই প্রতারিত করে, সম্মান, প্রশংসা এবং নিরাপত্তা হারায়।
এখন যেহেতু তুমি এই সব জানো, তাই তোমার মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখো এবং মিথ্যার দাসে পরিণত হয়ো না। শয়তান চায় যে তুমি সত্য কথা না বলো।
মিথ্যা একটা ফাঁদে পরিণত হয়, যার থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো খ্রিস্টের কাছে তোমার পাপ স্বীকার করা, মন্দ থেকে দূরে থাকা এবং সবসময় সৎ হৃদয় ধারণ করা।
মিথ্যা তোমাকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়, তার অনুপস্থিতিতে জীবন যাপন করো না। তোমার পথ সংঠিত করার এবং সঠিক কাজ করার সময় এখনও আছে।
বাহিরে রহিয়াছে কুকুরগণ, মায়াবিগণ, বেশ্যাগামীরা, নরঘাতকেরা ও প্রতিমাপূজকেরা, এবং যে কেহ মিথ্যা কথা ভালবাসে ও রচনা করে।
একজন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা কহিও না; কেননা তোমরা পুরাতন মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়াসুদ্ধ বস্ত্রবৎ ত্যাগ করিয়াছ, এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান করিয়াছ,
কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী, বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু।
তখন পিতর কহিলেন, অননিয়, শয়তান কেন তোমার হৃদয় এমন পূর্ণ করিয়াছে যে, তুমি পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বলিলে, এবং ভূমির মূল্য হইতে কতকটা রাখিয়া দিলে?
নরহন্তা, ব্যভিচারী, পুঙ্গামী, মনুষ্যচোর, মিথ্যাবাদী, মিথ্যাশপথকারী, তাহাদের জন্য, এবং আর যাহা কিছু নিরাময় শিক্ষার বিপরীত, তাহার জন্য ব্যবস্থা স্থাপিত হইয়াছে।
এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ,যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত করে।
ইস্রায়েলের অবশিষ্ট লোক অন্যায় করিবে না, মিথ্যা কথা বলিবে না, এবং তাহাদের মুখে প্রতারক জিহ্বা থাকিবে না; বস্তুতঃ তাহারা চরিবে ও শয়ন করিবে, তাহাদিগকে ভয় দেখাইবার কেহ থাকিবে না।
পরে বিচারকর্তারা সযত্নে অনুসন্ধান করিবে, আর দেখ, সে সাক্ষী যদি মিথ্যাসাক্ষী হয় ও তাহার ভ্রাতার বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়া থাকে;তবে সে তাহার ভ্রাতার প্রতি যেরূপ করিতে কল্পনা করিয়াছিল, তাহার প্রতি তোমরা তদ্রূপ করিবে; এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
মিথ্যাবাদী ওষ্ঠ সদাপ্রভুর ঘৃণিত; কিন্তু যাহারা বিশ্বস্ততায় চলে, তাহারা তাঁহার সন্তোষ-পাত্র।
অতএব তোমরা, যাহা মিথ্যা, তাহা ত্যাগ করিয়া প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীর সহিত সত্য আলাপ করিও; কারণ আমরা পরস্পর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।
তাহাদের কন্ঠ অনাবৃত কবরস্বরূপ; তাহারা জিহ্বাতে ছলনা করিয়াছে; তাহাদের ওষ্ঠাধরের নিম্নে কালসর্পের বিষ থাকে;তাহাদের মুখ অভিশাপ ও কটুকাটব্যে পূর্ণ;
তোমরা তোমাদের পিতা দিয়াবলের, এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা; সে আদি হইতেই নরঘাতক, সত্যে থাকে নাই, কারণ তাহার মধ্যে সত্য নাই। সে যখন মিথ্যা বলে, তখন আপনা হইতেই বলে, কেননা সে মিথ্যাবাদী ও তাহার পিতা।
কারণ, “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসিতে চায়, ও মঙ্গলের দিন দেখিতে চায়, সে মন্দ হইতে আপন জিহ্বাকে, ছলনাবাক্য হইতে আপন ওষ্ঠকে নিবৃত্ত করুক।
তোমার জিহ্বা দুষ্টতার কল্পনা করিতেছে; হে ছলসাধক, তাহা শাণিত ক্ষুরের সদৃশ।তুমি সৎক্রিয়া অপেক্ষা দুষ্ক্রিয়া, এবং ধর্মবাক্য অপেক্ষা মিথ্যা কথা ভালবাস। [সেলা]হে ছলনার জিহ্বা, তুমি সমুদয় বিনাশক কথা ভালবাস।
তোমরা এই সকল কার্য করিও, আপন আপন প্রতিবাসীর কাছে সত্য বলিও, তোমাদের নগর-দ্বারে সত্য ও শান্তিজনক বিচার করিও।
কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ও মিথ্যা কহিও না।সেই জ্ঞান এমন নয়, যাহা উপর হইতে নামিয়া আইসে এবং তাহা পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
কেননা অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চৌর্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।
অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;
যে ব্যক্তি বলে, আমি তাঁহাকে জানি, তথাপি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন না করে, সে মিথ্যাবাদী এবং তাঁহার অন্তরে সত্য নাই।
মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক লইও না, কেননা যে কেহ তাঁহার নাম অনর্থক লয়, সদাপ্রভু তাহাকে নির্দোষ করিবেন না।
তুমি আপন মুখকে বেগে কথা কহিতে দিও না, এবং ঈশ্বরের সাক্ষাতে কথা উচ্চারণ করিতে তোমার হৃদয় ত্বরান্বিত না হউক; কেননা ঈশ্বর স্বর্গে ও তুমি পৃথিবীতে, অতএব তোমার কথা অল্প হউক।
তখন প্রধান যাজকগণ এবং সমস্ত মহাসভা যীশুকে বধ করিবার জন্য তাঁহার বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য অন্বেষণ করিল,যীশু যখন বৈথনিয়ায় কুষ্ঠ রোগী শিমোনের বাটীতে ছিলেন,কিন্তু অনেক মিথ্যাসাক্ষী আসিয়া যুটিলেও তাহা পাইল না।
বরং লজ্জার গুপ্ত কার্যসমূহে জলাঞ্জলি দিয়াছি, ধূর্ততায় চলি না, ঈশ্বরের বাক্যে ভাঁজ দিই না, কিন্তু সত্য প্রকাশ দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে মনুষ্যমাত্রের বিবেকের কাছে আপনাদিগকে যোগ্যপাত্র দেখাইতেছি।
আমি বিবেচনাপূর্বক সিদ্ধপথে গমন করিব; তুমি কবে আমার নিকটে আসিবে? আমার গৃহমধ্যে আমি হৃদয়ের সিদ্ধতায় চলিব।আমি কোন জঘন্য পদার্থ চক্ষের সম্মুখে রাখিব না, আমি বিপথগামীদের ক্রিয়া ঘৃণা করি, তাহা আমাতে লিপ্ত হইবে না।
ভাল, তুমি যে পরকে শিক্ষা দিতেছ, তুমি কি আপনাকে শিক্ষা দেও না? তুমি যে চুরি করিতে নাই বলিয়া প্রচার করিতেছ, তুমি কি চুরি করিতেছ না?
কিন্তু এখন তোমরাও এই সকল ত্যাগ কর- ক্রোধ, রাগ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখনির্গত কুৎসিত আলাপ।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কপটতায় ঘটিবে, যাহাদের নিজ বিবেক তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে।
অনর্থক বাক্য দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে না ভুলায়; কেননা এই সকল দোষ প্রযুক্ত অবাধ্যতার সন্তানগণের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ বর্তে।
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
আর আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যেরা যত অনর্থক কথা বলে, বিচার-দিনে সেই সকলের হিসাব দিতে হইবে।
আমরা যদি বলি যে, তাঁহার সহিত আমাদের সহভাগিতা আছে, আর যদি অন্ধকারে চলি, তবে মিথ্যা বলি, সত্য আচরণ করি না।
কারণ ঈশ্বরের ক্রোধ স্বর্গ হইতে সেই মনুষ্যদের সমস্ত ভক্তিহীনতা ও অধার্মিকতার উপরে প্রকাশিত হইতেছে, যাহারা অধার্মিকতায় সত্যের প্রতিরোধ করে।
যে ব্যক্তি আপনাকে ধর্মশীল বলিয়া মনে করে, আর আপন জিহ্বাকে বল্গা দ্বারা বশে না রাখে, কিন্তু নিজ হৃদয়কে ভুলায় তাহার ধর্ম অলীক।
যে কেহ গরু কিম্বা মেষ চুরি করিয়া বধ করে, কিম্বা বিক্রয় করে, সে একটি গরুর পরিশোধে পাঁচটি গরু, ও একটি মেষের পরিশোধে চারিটি মেষ দিবে।
যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্মকর্ম করে, এবং হৃদয়ে সত্য কহে।যে পরীবাদ জিহ্বাগ্রে আনে না, মিত্রের অপকার করে না, আপন প্রতিবাসীর দুর্নাম করে না।
কিন্তু আমি যখন দেখিলাম, তাঁহারা সুসমাচারের সত্য অনুসারে সরল পথে চলেন না, তখন আমি সকলের সাক্ষাতে কৈফাকে কহিলাম, তুমি নিজে যিহূদী হইয়া যদি যিহূদীদের মত নয়, কিন্তু পরজাতিগণের মত আচরণ কর, তবে কেন পরজাতিগণকে যিহূদীদের মত আচরণ করিতে বাধ্য করিতেছ?
আমি কোন জঘন্য পদার্থ চক্ষের সম্মুখে রাখিব না, আমি বিপথগামীদের ক্রিয়া ঘৃণা করি, তাহা আমাতে লিপ্ত হইবে না।
তাহা অধর্ম ও সদাপ্রভুকে অস্বীকার, আপন ঈশ্বরের অনুগমন হইতে বিমুখ হওয়া, উপদ্রবের ও বিদ্রোহের কথাবার্তা, মিথ্যা কথা গর্ভে ধারণ ও হৃদয় হইতে বাহির করণ।
অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
যে আপন অধর্ম সকল ঢাকে, সে কৃতকার্য হইবে না; কিন্তু যে তাহা স্বীকার করিয়া ত্যাগ করে, সে করুণা পাইবে।
বীরগণ! তোমরা কি ধর্মনীতি কহিতেছ? মনুষ্য-সন্তানগণ! তোমরা কি ন্যায় বিচার করিতেছ?ধার্মিক লোক প্রতিফল দেখিয়া আনন্দিত হইবে, সে দুর্জনের রক্তে আপন পাদ প্রক্ষালন করিবে;তাহাতে মনুষ্যগণ কহিবে, ধার্মিক সত্যই ফল পায়, সত্যই পৃথিবীতে বিচারসাধক ঈশ্বর আছেন।তোমরা হৃদয়ে দুষ্টতা সাধন করিতেছ। দেশে স্বহস্তের উপদ্রব তৌল করিতেছ।
আমি খ্রীষ্টেতে সত্য কহিতেছি, মিথ্যা কহিতেছি না, আমার বিবেকও পবিত্র আত্মাতে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতেছে যে,
মিথ্যা বিষয় হইতে দূরে থাকিও, এবং নির্দোষের কি ধার্মিকের প্রাণ নষ্ট করিও না, কেননা আমি দুষ্টকে নির্দোষ করিব না।
ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।
কারণ, “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসিতে চায়, ও মঙ্গলের দিন দেখিতে চায়, সে মন্দ হইতে আপন জিহ্বাকে, ছলনাবাক্য হইতে আপন ওষ্ঠকে নিবৃত্ত করুক।সে মন্দ হইতে ফিরুক ও সদাচরণ করুক, শান্তির চেষ্টা করুক, ও তাহার অনুধাবন করুক।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;
দুর্জনদের ও অধর্মাচারীদের সহিত আমাকে টানিয়া লইও না; তাহারা স্ব স্ব প্রতিবাসীদের সহিত শান্তির কথা কহে, কিন্তু তাহাদের অন্তঃকরণে হিংসাভাব আছে।
যে প্রথমে নিজ পক্ষ সমর্থন করে, তাহাকে ধার্মিক বোধ হয়; কিন্তু তাহার প্রতিবাসী আসিয়া তাহার পরীক্ষা করে।
আমি বিবেচনাপূর্বক সিদ্ধপথে গমন করিব; তুমি কবে আমার নিকটে আসিবে? আমার গৃহমধ্যে আমি হৃদয়ের সিদ্ধতায় চলিব।
আমি খ্রীষ্টেতে সত্য কহিতেছি, মিথ্যা কহিতেছি না, আমার বিবেকও পবিত্র আত্মাতে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতেছে যে,কেবল তাহা নয়, কিন্তু আবার রিবিকা এক ব্যক্তি হইতে, আমাদের পিতৃপুরুষ ইস্হাক হইতে, গর্ভবতী হইলে পর,যখন সন্তানেরা ভূমিষ্ঠ হয় নাই, এবং ভাল-মন্দ কিছুই করে নাই, তখন- ঈশ্বরের নির্বাচনানুরূপ সঙ্কল্প যেন স্থির থাকে, কর্ম হেতু নয়, কিন্তু আহ্বানকারীর ইচ্ছা হেতু- তাঁহাকে বলা গিয়াছিল,“জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের দাস হইবে”,যেমন লিখিত আছে, “আমি যাকোবকে প্রেম করিয়াছি, কিন্তু এষৌকে অপ্রেম করিয়াছি।” তবে আমরা কি বলিব? ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে? তাহা দূরে থাকুক।কারণ তিনি মোশিকে বলেন, “আমি যাহাকে দয়া করি, তাহাকে দয়া করিব; ও যাহার প্রতি করুণা করি, তাহার প্রতি করুণা করিব।”অতএব যে ইচ্ছা করে, বা যে দৌড়ায়, তাহা হইতে এটি হয় না, কিন্তু দয়াকারী ঈশ্বর হইতে হয়।কেননা শাস্ত্র ফরৌণকে বলে, “আমি এই জন্যই তোমাকে পাঠাইয়াছি, যেন তোমাতে আমার পরাক্রম দেখাই, আর যেন সমস্ত পৃথিবীতে আমার নাম কীর্তিত হয়।”অতএব তিনি যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দয়া করেন; এবং যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে কঠিন করেন।ইহাতে তুমি আমাকে বলিবে, তবে তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাহার ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করে?আমার হৃদয়ে ভারী দুঃখ ও নিরন্তর যাতনা হইতেছে।হে মনুষ্য, বরং, তুমি কে যে ঈশ্বরের প্রতিবাদ করিতেছ? নির্মিত বস্তু কি নির্মাতাকে বলিতে পারে, আমাকে এইরূপ কেন গড়িলে?কিম্বা কাদার উপরে কুম্ভকারের কি এমন অধিকার নাই যে, একই মৃৎপিণ্ড হইতে একটি সমাদরের পাত্র, আর একটি অনাদরের পাত্র গড়িতে পারে?আর ইহাতেই বা কি? যদি ঈশ্বর আপন ক্রোধ দেখাইবার ও আপন পরাক্রম জানাইবার ইচ্ছা করিয়া, বিনাশার্থে পরিপক্ব ক্রোধপাত্রদের প্রতি বিপুল সহিষ্ণুতায় ধৈর্য ধরিয়া থাকেন,এবং [এই জন্য করিয়া থাকেন,] যেন সেই দয়াপাত্রদের উপরে তাঁহার প্রতাপ-ধন জ্ঞাত করেন, যাহাদিগকে প্রতাপের নিমিত্ত পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছেন,আর যাহাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, কেবল যিহূদীদের মধ্য হইতে নয়, পরজাতিদেরও মধ্য হইতে আমাদিগকেই করিয়াছেন।যেমন তিনি হোশেয় গ্রন্থেও বলেন, “যাহারা আমার প্রজা নয়, তাহাদিগকে আমি নিজ প্রজা বলিব, এবং যে প্রিয়তমা ছিল না, তাহাকে প্রিয়তমা বলিব।আর যে স্থানে তাহাদিগকে বলা গিয়াছিল, ‘তোমরা আমার প্রজা নও,’ সেই স্থানে তাহাদিগকে বলা যাইবে ‘জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র’।” আর যিশাইয় ইস্রায়েলের বিষয়ে এই কথা উচ্চৈঃস্বরে বলেন, “ইস্রায়েল-সন্তানগণের সংখ্যা যদি সমুদ্রের বালুকার ন্যায়ও হয়, অবশিষ্টাংশই পরিত্রাণ পাইবে;যেহেতু প্রভু পৃথিবীতে আপন বাক্য সাধন করিবেন, তাহা সম্পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত করিবেন।”আর যেমন যিশাইয় পূর্বে বলিয়াছিলেন, “বাহিনীগণের প্রভু যদি আমাদের জন্য একটি বীজ অবশিষ্ট না রাখিতেন, তবে আমরা সদোমের তুল্য হইতাম, ও ঘমোরার তুল্য হইতাম।” কেননা আমার ভ্রাতৃগণের জন্য, যাহারা মাংসের সম্বন্ধে আমার স্বজাতীয় তাহাদের জন্য, আমিই যেন খ্রীষ্ট হইতে পৃথক থাকিয়া অভিশপ্ত হই, এমন কামনা করিতে পারিতাম।
আর প্রজালোক যেমন আইসে, তেমনি তাহারা তোমার কাছে আইসে, আমার প্রজা বলিয়া তোমার সম্মুখে বসে, ও তোমার বাক্য সকল শুনে, কিন্তু তাহা পালন করে না; কেননা মুখে তাহারা বিলক্ষণ প্রেম দেখায়,
তোমরা সত্য জান না বলিয়া যে আমি তোমাদিগকে লিখিলাম, তাহা নয়; বরং সত্য জান, এবং কোন মিথ্যা কথা সত্য হইতে হয় না বলিয়া লিখিলাম।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।
তদ্রূপ তোমরাও বাহিরে লোকদের কাছে ধার্মিক বলিয়া দেখাইয়া থাক, কিন্তু ভিতরে তোমরা কপটতা ও অধর্মে পরিপূর্ণ।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
হে সদাপ্রভু, তোমার তাম্বুতে কে প্রবাস করিবে? তোমার পবিত্র পর্বতে কে বসতি করিবে?যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্মকর্ম করে, এবং হৃদয়ে সত্য কহে।