তোমার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে চাই। বাইবেলে বলা আছে, ঈশ্বর দূর থেকে অহংকারীদের দেখেন। অহংকার এমন একটা স্বভাব যা ঈশ্বর পছন্দ করেন না। অনেকেই এই অহংকারে ভোগে, নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে এবং সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়।
যারা অহংকারী তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে না, বরং অন্যের দোষ ধরতে ব্যস্ত থাকে। নিজেদের ভুলগুলো তারা দেখতে পায় না। মন আর হৃদয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন অনুভূতি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো তুমি যা কিছু করো না কেন, সবকিছুতে ঈশ্বরকে স্বীকার করা। তাঁর সামনে নত হয়ে বলো যে তুমি তাঁর উপর নির্ভরশীল। তোমার নিজের শক্তি আর যোগ্যতার উপর ভরসা করো না, বরং তাঁর অনুগ্রহ এবং প্রেমের উপর নির্ভর করো।
বিশ্বাস করো, এটা করলেই তাঁর মহান প্রেম তোমাকে ঢেকে ফেলবে, তোমার চিন্তাধারা বদলে দেবে, এবং তাঁর মতো করে তোমাকে নতুন সৃষ্টি করবেন। ঈশ্বরের মহান হাতের কাছে নিজেকে নম্র করো। সময় হলে তিনি তোমাকে উন্নত করবেন এবং অনন্তকালের জন্য যে স্থান তিনি তোমার জন্য ঠিক করে রেখেছেন, সেখানে তোমাকে স্থাপন করবেন।
আর যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে; আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।
সামান্য লোকের উচ্চ দৃষ্টি অবনত হইবে, মান্য লোকদের গর্ব খর্ব হইবে, আর সেই দিন কেবল সদাপ্রভুই উন্নত হইবেন।
সদাপ্রভু, আমার চিত্ত গর্বিত নয়, আমার দৃষ্টি উচ্চ নয়, আমি ব্যাপৃত হই নাই মহৎ বিষয়ে, আমার বোধের অতীত আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয়ে।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; এই কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
তবে “যে শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক;”কেননা আপনার প্রশংসা যে করে, সে নয়, কিন্তু প্রভু যাহার প্রশংসা করেন, সেই পরীক্ষাসিদ্ধ।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
কার্যের আরম্ভ হইতে তাহার অন্ত ভাল, এবং গর্বিত আত্মা অপেক্ষা ধীর আত্মা ভাল।তোমার আত্মাকে সত্বর বিরক্ত হইতে দিও না, কেননা হীনবুদ্ধি লোকদেরই বক্ষঃ বিরক্তির আশ্রয়।
আমি তোমাদিগকে সেই কথা কহিলাম, কিন্তু তোমরা সেই কথায় কান দিলে না; বরং সদাপ্রভুর আজ্ঞার বিরুদ্ধাচারী ও দুঃসাহসী হইয়া পর্বতে উঠিতেছিলে।
তুমি কাহাকে টিট্কারি দিয়াছ? কাহার নিন্দা করিয়াছ? কাহার বিরুদ্ধে উচ্চশব্দ করিয়াছ ও ঊর্ধ্বদিকে চক্ষু তুলিয়াছ? ইস্রায়েলের পবিত্রতমেরই বিরুদ্ধে।
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
তুমি কি নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান লোক দেখিতেছ? তাহা অপেক্ষা, বরং হীনবুদ্ধির বিষয়ে অধিক প্রত্যাশা আছে।
যে জন গোপনে প্রতিবাসীর পরীবাদ করে, তাহাকে আমি উচ্ছেদ করিব; যাহার সাহংকার দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়, তাহাকে সহ্য করিব না।
জ্ঞানবানের মুখনির্গত বাক্য অনুগ্রহজনক, কিন্তু হীনবুদ্ধির নিজ ওষ্ঠ তাহাকে গ্রাস করে।তাহার মুখনির্গত কথার আরম্ভই অজ্ঞানতা, ও তাহার মুখের শেষফল দুঃখদায়ক প্রলাপ।
তুমি যদি নিজের বড়াই করিয়া মূর্খের কর্ম করিয়া থাক, কিম্বা যদি কুসঙ্কল্প করিয়া থাক, তবে তোমার মুখে হাত দেও।
আর আমি জগতের উপরে দুর্বৃত্তির ফল ও দুষ্টগণের উপরে তাহাদের অপরাধের ফল বর্তাইব; আমি অহঙ্কারীদের দর্প শেষ করিব, দুর্দান্তদের গর্ব খর্ব করিব।
হে দর্প, প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, দেখ, আমি তোমার বিপক্ষ, কেননা তোমার সেই দিন উপস্থিত, যে দিন আমি তোমাকে প্রতিফল দিব।
অহঙ্কারিগণ গোপনে আমার নিমিত্ত ফাঁদ ও দড়ি প্রস্তুত করিয়াছে, তাহারা পথের পার্শ্বে জাল পাতিয়াছে, আমার জন্য যন্ত্র বসাইয়াছে। [সেলা]
তথায় দুরাত্মাদের অহঙ্কার প্রযুক্ত লোকে ক্রন্দন করে, কিন্তু তিনি উত্তর করেন না।বাস্তবিক ঈশ্বর অলীক কথা শুনেন না, সর্বশক্তিমান তাহা নিরীক্ষণ করেন না।
তাহাদের ওষ্ঠাধরের বাক্য মুখের পাপমাত্র; তাহাদের অভিশাপ ও মিথ্যা কথা হেতু তাহারা আপনাদের অহঙ্কারে ধরা পড়ুক,
তুমি মনে মনে বলিয়াছিলে, ‘আমি স্বর্গারোহণ করিব, ঈশ্বরের নক্ষত্রগণের ঊর্ধ্বে আমার সিংহাসন উন্নত করিব; সমাগম-পর্বতে, উত্তরদিকের প্রান্তে, উপবিষ্ট হইব;আমি মেঘরূপ উচ্চস্থলীর উপরে উঠিব, আমি পরাৎপরের তুল্য হইব।’
তোমার শত্রুর পতনে আনন্দ করিও না, সে নিপাতিত হইলে তোমার চিত্ত উল্লসিত না হউক;পাছে সদাপ্রভু তাহা দেখিয়া অসন্তুষ্ট হন, এবং তাহার উপর হইতে আপন ক্রোধ ফিরান।
তোমাদের মধ্যে জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান কে? সে সদাচরণ দ্বারা জ্ঞানের মৃদুতায় নিজ ক্রিয়া দেখাইয়া দিউক।
আমি গর্বিত লোকদিগকে কহিলাম, গর্ব করিও না; দুষ্ট লোকদিগকে কহিলাম, শৃঙ্গ তুলিও না।তোমাদের শৃঙ্গ উচ্চে তুলিও না; শক্তগ্রীব হইয়া কথা কহিও না।”
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
তিনি নিজ পরাক্রমে অনন্তকাল কর্তৃত্ব করেন; তাঁহার চক্ষু জাতিগণকে নিরীক্ষণ করিতেছে; বিদ্রোহীরা আপনাদিগকে উচ্চ না করুক। [সেলা]
কেননা কে তোমাকে বিশিষ্ট করে? আর যাহা না পাইয়াছ, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পাইয়াছ, তখন যেন পাও নাই এইরূপ শ্লাঘা কেন করিতেছ?
তোমার চিত্ত তোমার সৌন্দর্যে গর্বিত হইয়াছিল; তুমি নিজ দীপ্তি হেতু আপন জ্ঞান নষ্ট করিয়াছ; আমি তোমাকে ভূমিতে নিক্ষেপ করিলাম, রাজগণের সম্মুখে রাখিলাম, যেন তাহারা তোমাকে দেখিতে পায়।
বস্তুতঃ যাহা কিছু গর্বিত ও উদ্ধত এবং যাহা কিছু উচ্চীকৃত, সেই সমস্তের প্রতিকূলে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর এক দিন আসিতেছে; সেই সকল নত হইবে।
তুমি কে, যে অপরের ভৃত্যের বিচার কর? নিজ প্রভুরই নিকটে হয় সে স্থির থাকে, নয় পতিত হয়। বরং তাহাকে স্থির রাখা যাইবে, কেননা প্রভু তাহাকে স্থির রাখিতে পারেন।
সাবধান, লোককে দেখাইবার জন্য তাহাদের সাক্ষাতে তোমাদের ধর্মকর্ম করিও না, করিলে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার নিকটে তোমাদের পুরস্কার নাই।
ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে আপন বিশ্বাসভূমি করে, এবং তাহাদের দিকে না ফিরে, যাহারা অহঙ্কারী ও মিথ্যা পথে ভ্রমণ করে।
বেশ কথা, অবিশ্বাস হেতুই উহাদিগকে ভাঙ্গিয়া ফেলা হইয়াছে, এবং বিশ্বাস হেতুই তুমি দাঁড়াইয়া আছ। উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, বরং ভয় কর;
অতএব তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নিচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদিগকে উন্নত করেন;
তাহারা ভারী দুর্বহ বোঝা বাঁধিয়া লোকদের কাঁধে চাপাইয়া দেয়, কিন্তু আপনারা অঙ্গুলি দিয়াও তাহা সরাইতে চাহে না।
তাহারা বক বক করিতেছে, সগর্বে কথা কহিতেছে, অধর্মাচারী সকলে আত্মশ্লাঘা করিতেছে।হে সদাপ্রভু, তোমার প্রজাদিগকেই তাহারা চূর্ণ করিতেছে, তোমার অধিকারকে দুঃখ দিতেছে।
সদাপ্রভু, আমার চিত্ত গর্বিত নয়, আমার দৃষ্টি উচ্চ নয়, আমি ব্যাপৃত হই নাই মহৎ বিষয়ে, আমার বোধের অতীত আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয়ে।আমি আপন প্রাণকে শান্ত দান্ত করিয়াছি, সেই শিশুর ন্যায়, যে স্তন্য ছাড়িয়া মাতার সঙ্গে আছে, আমার প্রাণ ত্যক্তস্তন্য শিশুর ন্যায় আমার সঙ্গে আছে।
অতি ধার্মিক হইও না, ও আপনাকে অতিশয় জ্ঞানবান দেখাইও না;কেন আপনাকে নষ্ট করিবে? অতি দুষ্ট হইও না, অজ্ঞানও হইও না; তোমার সময় না হইতে কেন মরিবে?
রাজার সম্মুখে আত্ম গৌরব করিও না, মহৎ লোকদের স্থানে দাঁড়াইও না;কেননা বরং ইহা ভাল যে, তোমাকে বলা যাইবে, ‘এখানে উঠিয়া আইস’; কিন্তু তোমার চক্ষু যাঁহাকে দর্শন করিয়াছে, সেই অধিপতির সাক্ষাতে নীচীকৃত হওয়া তোমার পক্ষে ভাল নয়।
কিন্তু প্রত্যেক জন নিজ নিজ কর্মের পরীক্ষা করুক, তাহা হইলে সে কেবল আপনার কাছে শ্লাঘা করিবার হেতু পাইবে, অপরের কাছে নয়;
সামান্য লোকেরা বাষপমাত্র, মান্যবান লোকেরা মিথ্যা; তাহাদিগকে তৌল করিলে তাহারা উপরে উঠে; তাহাদের সর্বস্ব বাষপ অপেক্ষা লঘু।
দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতিকূলে কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিরুদ্ধে দন্তঘর্ষণ করে।প্রভু তাহাকে উপহাস করিবেন, কেননা তিনি দেখেন, তাহার দিন আসিতেছে। দুষ্টেরা খড়্গ নিষ্কোষ ও ধনুক আকর্ষণ করিয়াছে,
আর তোমরা গর্ব করিতেছ! বরং বিলাপ কর নাই কেন, যেন এমন কর্ম যে ব্যক্তি করিয়াছে, তাহাকে তোমাদের মধ্য হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হয়?
তুমি ভীত হইও না, যখন কেহ ধনবান হয়, যখন তাহার কুলের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়,কেননা মরণকালে সে কিছুই সঙ্গে লইয়া যাইবে না, তাহার ঐশ্বর্য তাহার অনুগমন করিবে না।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।কেননা যেমন আমাদের এক দেহে অনেক অঙ্গ, কিন্তু সকল অঙ্গের একরূপ কার্য নয়,তেমনি এই অনেক যে আমরা, আমরা খ্রীষ্টে এক দেহ এবং প্রত্যেকে পরস্পর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
তোমরা ‘আচার্য’ বলিয়া সম্ভাষিত হইও না, কারণ তোমাদের আচার্য একজন, তিনি খ্রীষ্ট।কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, সে তোমাদের পরিচারক হইবে।আর যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে; আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
তাহারা যদি কথা শুনে, ও তাঁহার সেবা করে, তবে সুসম্পদে স্ব স্ব আয়ু কাটাইবে, সুখে স্ব স্ব বৎসর সকল যাপন করিবে।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
তাহারা শাপ দিউক, কিন্তু তুমি আশীর্বাদ করিও; তাহারা উঠিলে লজ্জিত হইবে, কিন্তু তোমার এই দাস আনন্দ করিবে।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
বিনাশের পূর্বে অহঙ্কার, পতনের পূর্বে মনের গর্ব।বরং দীনহীনদের সহিত নম্রাত্মা হওয়া ভাল, তবু অহঙ্কারীদের সহিত লুণ্ঠন বিভাগ করা ভাল নয়।
প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না,প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না,
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।