প্রবচন ১৭:১৫ পদে বলা হয়েছে, "যে দুষ্টকে ধার্মিক বলে এবং ধার্মিককে দুষ্ট বলে, উভয়ই সদাপ্রভুর কাছে ঘৃণ্য।" আমাদের ঈশ্বর দুষ্টদের ধার্মিক বলে যাদেরকে ন্যায্যতা দেয় এবং ধার্মিকদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের উভয়কেই ঘৃণা করেন। এটা আমাদের দেখায় যে, তাঁর ন্যায়বিচারে পক্ষপাতিত্ব বা দুর্নীতির কোনো স্থান নেই, বরং তিনি সর্বদা ভারসাম্য এবং নিরপেক্ষতা খোঁজেন, কারণ তিনি তাঁর সমস্ত পথে ধার্মিক।
আরও, যিশাইয় ১:১৭ পদে ঈশ্বর আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন: "ভালো কাজ শেখো, ন্যায়বিচার অনুসন্ধান করো, অত্যাচারিতকে সাহায্য করো, এতিমের প্রতি ন্যায়বিচার করো, বিধবার প্রতি সহানুভূতিশীল হও।" এই পদটি আমাদেরকে পরিবর্তনের কারিগর হতে এবং কেবল কথায় নয়, কাজেও সমস্ত ধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উৎসাহিত করে। অন্যায় এমন একটি সমস্যা যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে, তাই আমাদের প্রার্থনা করা উচিত যেন ঈশ্বর আমাদের সকল প্রকার অধর্ম এবং অন্যায়ের কাজ থেকে মুক্ত রাখেন।
মীখা ৬:৮ পদে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে: "হে মানব, তিনি তোমাকে জানিয়েছেন কী ভালো এবং সদাপ্রভু তোমার কাছ থেকে কী চান: কেবল ন্যায়বিচার করা, দয়া প্রেম করা এবং তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে নম্রভাবে চলা।" খ্রিস্টান হিসেবে, যীশুর উদাহরণ অনুসরণ করা এবং এমন একটি বিশ্বে যেখানে প্রায়শই ন্যায়বিচারের অভাব, সেখানে ন্যায়বিচারের উপকরণ হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া আমাদের দায়িত্ব।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ন্যায়বিচার আমাদের হাতে নয়, বরং ঈশ্বরের হাতে। ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের সংগ্রামে আমাদের তাঁর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস রাখা উচিত এবং তাঁর পথনির্দেশনা খোঁজা উচিত।
ইহাতে জানি, প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্মিকদিগকে দণ্ডাধীনে বিচারদিনের জন্য রাখিতে জানেন।
হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
মিথ্যাবাদী ওষ্ঠ সদাপ্রভুর ঘৃণিত; কিন্তু যাহারা বিশ্বস্ততায় চলে, তাহারা তাঁহার সন্তোষ-পাত্র।
ধিক্ সেই ব্যবস্থাপকদিগকে, যাহারা অধর্মের ব্যবস্থা স্থাপন করে, ও সেই লেখকদিগকে, যাহারা উপদ্রব লিখে;সেই সকল প্রতিমার রাজ্য আমার হস্তগত হইয়াছে, সেইগুলির ক্ষোদিত মূর্তি যিরূশালেমের ও শমরিয়ার মূর্তি সকল অপেক্ষা উত্তম;আমি শমরিয়াকে ও তাহার প্রতিমা সকলকে যেরূপ করিয়াছি, যিরূশালেমকে ও তাহার পুত্তলী সকলকেও কি সেইরূপ করিব না?’অতএব এইরূপ ঘটিবে; সিয়োন পর্বতে ও যিরূশালেমে প্রভু আপনার সমস্ত কার্য সমাপ্ত করিলে পর আমি অশূর-রাজের চিত্তস্ফীতিরূপ ফলের ও তাহার উচ্চদৃষ্টিরূপ আড়ম্বরের প্রতিফল দিব।কেননা সে বলিয়াছে, ‘আমার হস্তের বল ও আমার বিজ্ঞতা দ্বারা আমি কার্য সিদ্ধ করিয়াছি, কেননা আমি বুদ্ধিমান; আমি জাতিগণের সীমা সকল দূর করিয়াছি, ও তাহাদের সঞ্চিত ধন লুট করিয়াছি; এবং বীরের ন্যায় আমি সুখাসীনদিগকে নিচে নামাইয়াছি।আর পক্ষীর বাসার ন্যায় জাতিগণের ধন আমার হস্তগত হইয়াছে; লোকে যেমন পরিত্যক্ত ডিম্ব কুড়ায়, তেমনি আমি সমস্ত পৃথিবীকে সংগ্রহ করিয়াছি; পক্ষ নাড়িতে, কি ঠোঁট খুলিতে, কি চিঁ চিঁ শব্দ করিতে কেহ ছিল না।’কুড়ালি কি ছেদকের বিপরীতে দর্প করিবে? করপত্র কি করপত্রী হইতে আপনাকে শ্রেষ্ঠ মানিবে? যাহারা দণ্ড তুলে, দণ্ড যেন তাহাদিগকে চালনা করিতেছে; যে কাষ্ঠ নয়, যষ্টি যেন তাহাকে উঠাইতেছে। অতএব প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তাহার স্থূলকায় লোকদের মধ্যে কৃশতা প্রেরণ করিবেন, ও তাহার প্রতাপের নিচে অগ্নিদাহের ন্যায় দাহ হইবে।বাস্তবিক ইস্রায়েলের জ্যোতি অগ্নিস্বরূপ হইবেন, ও যিনি তাহার পবিত্রতম, তিনি শিখাসদৃশ হইবেন; তাহা এক দিনে উহার শ্যাকুল ও কণ্টক দগ্ধ করিয়া ভস্ম করিবে।আর তিনি তাহার বনের ও উদ্যানের গৌরবকে, প্রাণ ও শরীরকে, সংহার করিবেন; তাহাতে সে রোগীর ন্যায় ক্ষয় পাইবে।আর তাহার বনের অবশিষ্ট বৃক্ষ এমন অল্প হইবে যে, বালক তাহা গণনা করিয়া লিখিতে পারিবে।যেন দরিদ্রগণকে ন্যায়বিচার হইতে ফিরাইয়া দেয়, ও আমার দুঃখী প্রজাদের অধিকার হরণ করে, যেন বিধবারা তাহাদের লুটদ্রব্য হয়, আর তাহারা পিতৃহীনদিগকে তাহাদের লুন্ঠিত দ্রব্য করিতে পারে।
এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ,যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত করে।
দীনহীন ও পিতৃহীন লোকদের বিচার কর; দুঃখী ও অকিঞ্চনদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার কর।দীনহীন ও দরিদ্রকে নিস্তার কর; দুষ্ট লোকদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার কর।
হে ঈশ্বর, আমার বিচার কর, অসাধু জাতির সহিত আমার বিবাদ নিষপন্ন কর; ছলপ্রিয় ও অন্যায়কারী মনুষ্য হইতে আমাকে উদ্ধার কর।
হে আমাদের ঈশ্বর, শ্রবণ কর, কেননা আমরা তুচ্ছীকৃত হইলাম; উহাদের টিট্কারি উহাদেরই মস্তকে বর্তাও, এবং উহাদিগকে বন্দি হইয়া লুন্ঠিত বস্তুর ন্যায় বিদেশে থাকিতে দেও;উহাদের অপরাধ ঢাকিয়া রাখিও না, ও উহাদের পাপ তোমার সম্মুখ হইতে মুছিয়া যাইতে দিও না; কেননা উহারা গাঁথকদের সম্মুখে [তোমাকে] অসন্তুষ্ট করিয়াছে।
দুঃখীদের সর্বনাশ, দীনহীনের কাতরোক্তি প্রযুক্ত, আমি এক্ষণে উঠিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আমি ত্রাণাকাঙ্ক্ষীর ত্রাণ করিব।
তুমি মন্দ হইতে দূরে যাও, সদাচরণ কর, চিরকাল বাস করিবে।কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।ধার্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।
বাস্তবিক ঈশ্বরের কাছে ইহা ন্যায্য যে, যাহারা তোমাদিগকে ক্লেশ দেয়, তিনি তাহাদিগকে প্রতিফলরূপে ক্লেশ দিবেন,এবং ক্লেশ পাইতেছ যে তোমরা, তোমাদিগকে আমাদের সহিত বিশ্রাম দিবেন, [ইহা তখনই হইবে] যখন প্রভু যীশু স্বর্গ হইতে তাঁহার পরাক্রমশালী দূতগণের সহিত জ্বলন্ত অগ্নিবেষ্টনে প্রকাশিত হইবেন,
হে স্বর্গ, হে পবিত্রগণ, হে প্রেরিতগণ, হে ভাববাদিগণ, তোমরা তাহার বিষয়ে আনন্দ কর; কেননা সে তোমাদের প্রতি যে অন্যায় করিয়াছে, ঈশ্বর তাহার প্রতীকার করিয়াছেন।
তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথ সকলের জন্য খোল।তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর।
আলেক্সান্দর কাংস্যকার আমার বিস্তর অপকার করিয়াছে; প্রভু তাহার কর্মের সমুচিত প্রতিফল তাহাকে দিবেন।
তুমি অন্যায় বিচার করিবে না, কাহারও মুখাপেক্ষা করিবে না, ও উৎকোচ লইবে না; কেননা উৎকোচ জ্ঞানীদের চক্ষু অন্ধ করে ও ধার্মিকদের বাক্য বিপরীত করে।
কেননা আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি; আর আমি সত্যে তাহাদের ক্রিয়ার ফল দিব, ও তাহাদের সহিত চিরস্থায়ী এক নিয়ম করিব।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, এবং লুণ্ঠিত ব্যক্তিকে উপদ্রবকারীর হস্ত হইতে উদ্ধার কর; বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবাদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করিও না, এবং এই স্থানে নির্দোষের রক্তপাত করিও না।
তোমরা দীনহীন লোককে পদতলে দলিতেছ, ও তাহা হইতে গমরূপ দর্শনী গ্রহণ করিতেছ; এই জন্য তোমরা ক্ষোদিত প্রস্তরের গৃহ নির্মাণ করিয়াছ বটে, কিন্তু তাহাতে বাস করিতে পাইবে না; তোমরা রম্য দ্রাক্ষাক্ষেত্র রোপণ করিয়াছ বটে, কিন্তু তাহার দ্রাক্ষারস পান করিতে পাইবে না।কেননা আমি জানি, তোমাদের অধর্ম বহুবিধ, তোমাদের পাপ কঠোর; তোমরা ধার্মিককে ক্লেশ দিতেছ, উৎকোচ গ্রহণ করিতেছ, এবং নগর-দ্বারে দরিদ্র লোকদের প্রতি অন্যায় করিতেছ।
হে সদাপ্রভু, তুমি নম্রদের আকাঙ্ক্ষা শুনিয়াছ; তুমি তাহাদের চিত্ত সুস্থির করিবে, তুমি কর্ণপাত করিবে;পিতৃহীনের ও উপদ্রুত লোকদের বিচার করিবার জন্য, যেন মৃত্তিকাজাত মর্ত্য আর দুর্দান্ত না থাকে।
কেহ যেন সীমা অতিক্রম করিয়া এই ব্যাপারে আপন ভ্রাতাকে না ঠকায়; কেননা আমরা পূর্বে তোমাদিগকে যেমন বলিয়াছি ও সাক্ষ্য দিয়াছি তদনুসারে, প্রভু এই সকলের প্রতিফলদাতা।
তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; অধর্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না।আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই।কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতিকূলে কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিরুদ্ধে দন্তঘর্ষণ করে।প্রভু তাহাকে উপহাস করিবেন, কেননা তিনি দেখেন, তাহার দিন আসিতেছে। দুষ্টেরা খড়্গ নিষ্কোষ ও ধনুক আকর্ষণ করিয়াছে,যেন দুঃখী ও দরিদ্রকে নিপাত করিতে পারে, যেন সরলপথগামীদিগকে বধ করিতে পারে,তাহাদের খড়্গ তাহাদেরই হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, তাহাদের ধনুক ভাঙ্গিয়া যাইবে।ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল, বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।সদাপ্রভু সিদ্ধদের দিন সকল জানেন; তাহাদের অধিকার চিরকাল থাকিবে।তাহারা বিপদকালে লজ্জিত হইবে না, দুর্ভিক্ষের সময়ে তৃপ্ত হইবে।কেননা তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে।
সর্বতোভাবে যাহা ন্যায্য তাহারই অনুগামী হইবে, তাহাতে তুমি জীবিত থাকিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত দেশ অধিকার করিবে।
দুষ্ট লোক কৃপা পাইলেও ধার্মিকতা শিখে না; সরলতার দেশে সে অন্যায় করে, সদাপ্রভুর মহিমা দেখে না।হে সদাপ্রভু, তোমার হস্ত উত্তোলিত হইয়াছে, তবু তাহারা দেখে না; কিন্তু তাহারা প্রজাগণের পক্ষে তোমার উদ্যোগ দেখিবে ও লজ্জা পাইবে, হাঁ, অগ্নি তোমার বিপক্ষদিগকে দগ্ধ করিবে।
দরিদ্র প্রতিবাসীর বিচারে তাহার প্রতি অন্যায় করিও না।মিথ্যা বিষয় হইতে দূরে থাকিও, এবং নির্দোষের কি ধার্মিকের প্রাণ নষ্ট করিও না, কেননা আমি দুষ্টকে নির্দোষ করিব না।
তুমি বিদেশীর প্রতি অন্যায় করিও না, তাহার প্রতি উপদ্রব করিও না, কেননা মিসর দেশে তোমরাও বিদেশী ছিলে।তোমরা কোন বিধবাকে কিম্বা পিতৃহীনকে দুঃখ দিও না।
যে জন গোপনে প্রতিবাসীর পরীবাদ করে, তাহাকে আমি উচ্ছেদ করিব; যাহার সাহংকার দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়, তাহাকে সহ্য করিব না।
আরও আমি সূর্যের নিচে, বিচারের স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে; এবং ধার্মিকতার স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে।আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ইস্রায়েলের তিনটা অধর্ম প্রযুক্ত ও চারিটা প্রযুক্ত আমি তাহার দণ্ড নিবারণ করিব না, কেননা তাহারা রৌপ্যের বিনিময়ে ধার্মিককে ও এক জোড়া পাদুকার বিনিময়ে দরিদ্রকে বিক্রয় করিয়াছে।তাহারা দীনহীন লোকদের মস্তকে ভূমির ধূলির আকাঙ্ক্ষা করে, ও নম্র লোকদের পথ বক্র করে, এবং পিতা ও পুত্র এক যুবতীতে গমন করে, যেন আমার পবিত্র নাম অপবিত্রীকৃত হয়।
আর আমি বিচার করিতে তোমাদের নিকটে আসিব; এবং মায়াবী, পারদারিক, ও মিথ্যাশপথকারিগণের বিরুদ্ধে, ও যাহারা বেতনের বিষয়ে বেতনজীবীর প্রতি, এবং বিধবা ও পিতৃহীন লোকের প্রতি, অত্যাচার করে, বিদেশীর প্রতি অন্যায় করে, ও আমাকে ভয় করে না, তাহাদের বিরুদ্ধে আমি সত্বর সাক্ষী হইব, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন।
কিন্তু যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে এই বিষয়ের শ্লাঘা করুক যে, সে বুঝিতে পারে ও আমার এই পরিচয় পাইয়াছে যে, আমি সদাপ্রভু পৃথিবীতে দয়া, বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করি, কারণ ঐ সকলে আমি প্রীত, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
তাহারা ত বাক্কৌশলে মনুষ্যকে দোষী করে, নগর-দ্বারে দোষবক্তার জন্য ফাঁদ পাতে, অকারণে ধার্মিকের প্রতি অন্যায় করে।
তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।সদাপ্রভু অন্ধদের চক্ষু খুলিয়া দেন; সদাপ্রভু অবনতদিগকে উত্থাপন করেন; সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে প্রেম করেন।সদাপ্রভু বিদেশীদের রক্ষাকারী; তিনি পিতৃহীন ও বিধবাকে সুস্থির রাখেন, কিন্তু দুষ্টগণের পথ বক্র করেন।
বীরগণ! তোমরা কি ধর্মনীতি কহিতেছ? মনুষ্য-সন্তানগণ! তোমরা কি ন্যায় বিচার করিতেছ?ধার্মিক লোক প্রতিফল দেখিয়া আনন্দিত হইবে, সে দুর্জনের রক্তে আপন পাদ প্রক্ষালন করিবে;তাহাতে মনুষ্যগণ কহিবে, ধার্মিক সত্যই ফল পায়, সত্যই পৃথিবীতে বিচারসাধক ঈশ্বর আছেন।তোমরা হৃদয়ে দুষ্টতা সাধন করিতেছ। দেশে স্বহস্তের উপদ্রব তৌল করিতেছ।
দুষ্টতার গাঁট সকল খুলিয়া দেওয়া, জোঁয়ালির খিল মুক্ত করা, এবং দলিত লোকদিগকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া, ও প্রত্যেক জোঁয়ালি ভগ্ন করা কি নয়?ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
সতী নগরী কেমন বেশ্যা হইয়াছে। সে ত ন্যায়বিচারে পূর্ণা ছিল। ধার্মিকতা তাহাতে বাস করিত, কিন্তু এখন হত্যাকারী লোকেরা থাকে।
তোমার ভ্রাতা হউক, কিম্বা তোমার দেশের নগরদ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী হউক, দীনদুঃখী বেতনজীবীর প্রতি উপদ্রব করিবে না।কার্যের দিবসে তাহার বেতন তাহাকে দিবে; সূর্যের অস্তগমন পর্যন্ত তাহা রাখিবে না; কেননা সে দরিদ্র, এবং সেই বেতনের উপরে তাহার মন পড়িয়া থাকে; পাছে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুকে ডাকে, আর এই বিষয়ে তোমার পাপ হয়।
দীনহীন বলিয়া দীনহীন লোকের দ্রব্য হরণ করিও না, দুঃখীকে পুরদ্বারে চূর্ণ করিও না।কেননা সদাপ্রভু তাহাদের পক্ষ সমর্থন করিবেন, আর যাহারা তাহাদের দ্রব্য হরণ করে, তাহাদের প্রাণ হরণ করিবেন।
কিন্তু তিনি খড়্গ হইতে, উহাদের কবল হইতে, পরাক্রমীদের হস্ত হইতে, দরিদ্রকে নিস্তার করেন।এই কারণ দীনহীন আশাযুক্ত হয়, অধর্ম নিজ মুখ বদ্ধ করে।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা মন্দকে ভাল, আর ভালকে মন্দ বলে, আলোকে আঁধার, ও আঁধারকে আলো বলিয়া ধরে, মিষ্টকে তিক্ত, আর তিক্তকে মিষ্ট মনে করে!
যে দীনহীনের প্রতি উপদ্রব করে, সে তাহার নির্মাতাকে উপহাস করে; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁহাকে সম্মান করে।
কিন্তু হা ফরীশীরা, ধিক্ তোমাদিগকে, কেননা তোমরা পুদিনা, তেজপত্র ও সকল প্রকার শাকের দশমাংশ দান করিয়া থাক, আর ন্যায়বিচার ও ঈশ্বর-প্রেম উপেক্ষা করিয়া থাক; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকল পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
অহো, তোমরা যাহারা দরিদ্র লোককে গ্রাস করিতেছ ও দেশের হীন লোকদিগকে লোপ করিতেছ, তোমরা এই বাক্য শুন।তোমরা বলিয়া থাক, ‘অমাবস্যা কখন গত হইবে? আমরা শস্য বিক্রয় করিতে চাই। বিশ্রামদিন কখন গত হইবে? আমরা গমের ব্যবসা করিতে চাই। ঐফা ক্ষুদ্র ও শেকল ভারী করিব, আর ছলনার দাঁড়িপাল্লা দ্বারা ঠকাইব;রৌপ্য দিয়া দীনহীনদিগকে ও এক জোড়া পাদুকা দিয়া দরিদ্রকে ক্রয় করিব, এবং গমের ছাঁট বিক্রয় করিব।’
তুমি মিথ্যা জনরব উত্থাপন করিও না; অন্যায় সাক্ষী হইয়া দুর্জনের সহায়তা করিও না।তুমি আপন ভূমিতে ছয় বৎসর যাবৎ বীজ বপন করিও, ও উৎপন্ন শস্য সংগ্রহ করিও।কিন্তু সপ্তম বৎসরে তাহাকে বিশ্রাম দিও, ফেলিয়া রাখিও; তাহাতে তোমার স্বজাতীয় দরিদ্রগণ খাইতে পাইবে, আর তাহারা যাহা অবশিষ্ট রাখে, তাহা বন্য পশুতে খাইবে। তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের ও জলপাইবৃক্ষের বিষয়েও সেইরূপ করিও।তুমি ছয় দিন আপন কর্ম করিও, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিও; যেন তোমার গরু ও গর্দভ বিশ্রাম পায়, এবং তোমার দাসীপুত্র ও বিদেশী লোক প্রাণ জুড়ায়।আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা কহিলাম, সকল বিষয়ে সাবধান থাকিও। ইতর দেবগণের নাম উল্লেখ করিও না, তোমাদের মুখে যেন তাহা শুনা না যায়।তুমি বৎসরের মধ্যে তিন বার আমার উদ্দেশে উৎসব করিও।তাড়ীশুন্য রুটির উৎসব পালন করিও; আমার আজ্ঞা অনুসারে, নিরূপিত সময়ে, আবীব মাসে, সাত দিন তাড়ীশুন্য রুটি ভোজন করিও, কেননা এই মাসে তুমি মিসর দেশ হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছ। আর কেহ রিক্তহস্তে আমার নিকটে উপস্থিত না হউক।আর তুমি শস্যচ্ছেদনের উৎসব, অর্থাৎ ক্ষেত্রে যাহা যাহা বুনিয়াছ, তাহার আশুপক্ব ফলের উৎসব পালন করিও। আর বৎসরের শেষে ক্ষেত্র হইতে ফল সংগ্রহকরণ কালে ফলসঞ্চয়ের উৎসব পালন করিও।বৎসরের মধ্যে তিন বার তোমার সমস্ত পুরুষ, প্রভু সদাপ্রভুর সাক্ষাতে উপস্থিত হইবে।তুমি আমার বলির রক্ত তাড়ীযুক্ত দ্রব্যের সহিত নিবেদন করিও না; আর আমার উৎসব সম্পর্কীয় মেদ প্রাতঃকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি না থাকুক।তোমার ভূমির আশুপক্ব ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনিও। ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে পাক করিও না।তুমি দুষ্কর্ম করিতে বহু লোকের অনুসরণ করিও না, এবং বিচারে অন্যায় করণার্থে বহু লোকের পক্ষ লইয়া প্রতিবাদ করিও না।দেখ, আমি পথে তোমাকে রক্ষা করিতে, এবং আমি যে স্থান প্রস্তুত করিয়াছি, সেই স্থানে তোমাকে লইয়া যাইতে তোমার অগ্র্রে এক দূত প্রেরণ করিতেছি।তাঁহা হইতে সাবধান থাকিও, এবং তাঁহার রবে অবধান করিও, তাঁহার অসন্তোষ জন্মাইও না; কেননা তিনি তোমাদের অধর্ম ক্ষমা করিবেন না; কারণ তাঁহার অন্তরে আমার নাম রহিয়াছে।কিন্তু তুমি যদি নিশ্চয় তাঁহার রবে অবধান কর, এবং আমি যাহা যাহা বলি, সেই সমস্ত কর, তবে আমি তোমার শত্রুদের শত্রু ও তোমার বিপক্ষদের বিপক্ষ হইব।কেননা আমার দূত তোমার অগ্রে অগ্রে যাইবেন, এবং ইমোরীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়ের দেশে তোমাকে প্রবেশ করাইবেন; আর আমি তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিব।তুমি তাহাদের দেবগণের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না ও তাহাদের ক্রিয়ার ন্যায় ক্রিয়া করিও না; কিন্তু তাহাদিগকে সমূলে উৎপাটন করিও, এবং তাহাদের স্তম্ভ সকল ভাঙ্গিয়া ফেলিও।তোমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করিও; তাহাতে তিনি তোমার অন্নজলে আশীর্বাদ করিবেন, এবং আমি তোমার মধ্য হইতে রোগ দূর করিব।তোমার দেশে কাহারও গর্ভপাত হইবে না, এবং কেহ বন্ধ্যা হইবে না; আমি তোমার আয়ুর পরিমাণ পূর্ণ করিব।আমি তোমার অগ্রে আমাবিষয়ক ত্রাস প্রেরণ করিব; এবং তুমি যে সকল জাতির নিকটে উপস্থিত হইবে তাহাদিগকে ব্যাকুল করিব, ও তোমার শত্রুগণকে তোমা হইতে ফিরাইয়া দিব।আর আমি তোমার অগ্রে অগ্রে ভিমরুল পাঠাইব; তাহারা হিব্বীয়, কনানীয় ও হিত্তীয়কে তোমার সম্মুখ হইতে তাড়াইয়া দিবে।কিন্তু দেশ যেন ধ্বংসস্থান না হয়, ও তোমার বিরুদ্ধে বন্য পশুর সংখ্যা যেন বৃদ্ধি না পায়, এই জন্য আমি এক বৎসরেই তোমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিব না।দরিদ্রের বিচারে তাহারও পক্ষপাত করিও না।
তোমরা বিচারে অন্যায় করিও না; তুমি দরিদ্রের মুখাপেক্ষা করিও না, ও ধনবানের সমাদর করিও না; তুমি ধার্মিকতায় স্বজাতীয়ের বিচার নিষপন্ন করিও।
আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।
প্রসব না করিলেও যেমন তিত্তির পক্ষী শাবকদিগকে সংগ্রহ করে, তেমনি সেই ব্যক্তি যে অন্যায়ে ধন সঞ্চয় করে, সেই ধন অর্ধ বয়সে তাহাকে ছাড়িয়া যাইবে, এবং শেষকালে সে মূঢ় হইয়া পড়িবে।
পরে আমি ফিরিয়া, সূর্যের নিচে যে সকল উপদ্রব হয়, তাহা নিরীক্ষণ করিতে লাগিলাম। আর দেখ, উপদ্রুত লোকদের অশ্রুপাত হইতেছে, কিন্তু তাহাদের সান্ত্বনাকারী কেহ নাই; উপদ্রবী লোকদের হস্তে বল আছে, কিন্তু উপদ্রুত লোকদের সান্ত্বনাকারী কেহ নাই।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
তোমরা কোন বিধবাকে কিম্বা পিতৃহীনকে দুঃখ দিও না।তাহাদিগকে কোন মতে দুঃখ দিলে যদি তাহারা আমার নিকটে ক্রন্দন করে, তবে আমি অবশ্য তাহাদের ক্রন্দন শুনিব।
আর বিচার পশ্চাতে হটিয়া পড়িয়াছে, এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে; বস্তুতঃ চকে সত্য উছোট খাইয়া পড়িয়াছে, ও সরলতা প্রবেশ করিতে পায় না।সত্য হারাইয়া গিয়াছে, দুষ্কর্মত্যাগী লোক লুণ্ঠিত হইতেছে।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
যে কেহ বিদেশীর, পিতৃহীনের, কি বিধবার বিচারে অন্যায় করে, সে শাপগ্রস্ত। তখন সমস্ত লোক বলিবে, আমেন।
সদাপ্রভু আপন প্রজাদের প্রাচীনবর্গকে ও অধ্যক্ষগণকে বিচারে আনিবেন; [বলিবেন,] তোমরাই দ্রাক্ষাক্ষেত্র গ্রাস করিয়াছ, দুঃখী লোক হইতে অপহৃত বস্তু তোমাদের গৃহে আছে।তোমরা কি জন্য আমার প্রজাগণকে দলাইতেছ, ও দুঃখীদের মুখ ঘষিতেছ? প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, এই কথা কহিতেছেন।
কিন্তু সদাপ্রভু চিরকাল সমাসীন থাকিবেন; তিনি বিচারার্থে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন।আর তিনিই ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, ন্যায়ে জাতিগণের শাসন করিবেন।আর সদাপ্রভু হইবেন ক্লিষ্টের জন্য উচ্চ দুর্গ, সঙ্কটের সময়ে উচ্চ দুর্গ।
কারণ আমার প্রজাদের মধ্যে দুষ্ট লোক পাওয়া যায়, তাহারা ব্যাধের ন্যায় হেঁট হইয়া লুকাইয়া থাকে, তাহারা ফাঁদ পাতে ও মানুষ ধরে।পিঞ্জর যেমন পক্ষীতে পরিপূর্ণ, তদ্রূপ তাহাদের বাটী ছলে পরিপূর্ণ; এই জন্য তাহারা উন্নত ও ধনবান হইয়াছে;তাহারা স্থূলকায় ও চাকচিক্যশালী হইয়াছে; হাঁ, তাহারা দুষ্টতার রীতি অপেক্ষাও পাপ করে, তাহারা বিচার করে না, পিতৃহীনের কল্যাণার্থে বিচার করে না, ও দরিদ্রদের বিচার নিষপত্তি করে না।সদাপ্রভু কহেন, আমি কি এই সকলের প্রতিফল দিব না? আমার প্রাণ কি এই প্রকার জাতির প্রতিশোধ দিবে না?
যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধার্মিক, জাতিগণ তাহাকে শাপ দিবে, লোকবৃন্দ তাহাকে ঘৃণা করিবে।কিন্তু যাহারা তাহাকে ধমক্ দেয়, তাহারা প্রীতি-পাত্র হইবে, তাহাদের প্রতি উত্তম আশীর্বাদ বর্তিবে।
তুমি কেন আমাকে অধর্ম দেখাইতেছ, কেন দুষ্কার্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছ? লুটপাট ও দৌরাত্ম্য আমার সম্মুখে হইতেছে, বিরোধ উপস্থিত, বিসংবাদ বাড়িয়া উঠিতেছে।তাই ব্যবস্থা নিস্তেজ হইতেছে, বিচার কোন মতে নিষ্পন্ন হইতেছে না; কারণ দুর্জনেরা ধার্মিককে ঘেরিয়া থাকে, তজ্জন্য বিচার বিপরীত হইয়া পড়ে।
তবে ঈশ্বর কি আপনার সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন না, যাহারা দিবারাত্র তাহার কাছে রোদন করে, যদিও তিনি তাঁহাদের বিষয়ে দীর্ঘসহিষ্ণু?আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তিনি শীঘ্রই তাহাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন। কিন্তু মনুষ্যপুত্র যখন আসিবেন, তখন কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?
নিজের ধনবৃদ্ধির জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করে, আর যে ধনবানকে দান করে, উভয়েরই অভাব ঘটে।
আর তুমি উৎকোচ গ্রহণ করিও না, কেননা উৎকোচ মুক্তচক্ষুদিগকে অন্ধ করে, এবং ধার্মিকদের কথা সকল উল্টায়।
দুষ্টতার সিংহাসন কি তোমার সখা হইতে পারে, যাহা বিধান দ্বারা উপদ্রব রচনা করে?তাহারা ধার্মিকের প্রাণের বিরুদ্ধে দল বাঁধে, নির্দোষের রক্তকে দোষী করে।
তখন নাবোৎ মরিয়াছে, এই কথা শুনিয়া আহাব উঠিয়া যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের দ্রাক্ষাক্ষেত্র অধিকার করিতে গেলেন।
তুমি দেশে দরিদ্রের পীড়ন, কিম্বা বিচারের ও ধার্মিকতার খণ্ডন দেখিলে সেই ব্যাপারে চমৎকৃত হইও না, কেননা উচ্চপদান্বিত লোক অপেক্ষা উচ্চতর পদান্বিত এক রক্ষক আছেন; আবার যিনি উচ্চতম, তিনি উভয়ের কর্তা।
কেননা আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দিয়াছিলে; পিপাসিত হইয়াছিলাম, আর আমাকে পান করাইয়াছিলে; অতিথি হইয়াছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দিয়াছিলে;বস্ত্রহীন হইয়াছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাইয়াছিলে; পীড়িত হইয়াছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান করিয়াছিলে; কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার নিকটে আসিয়াছিলে।
ধিক্ তাহাকে, যে অধর্ম দ্বারা আপন বাটী, ও অন্যায় দ্বারা আপন উচ্চ কুঠরি নির্মাণ করে, যে বিনা বেতনে আপন প্রতিবাসীকে খাটায়, এবং তাহার শ্রমের ফল তাহাকে দেয় না;
পরে তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সাবধান, সর্বপ্রকার লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সমপত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
প্রতিফল দিবার দিনে, ও দূর হইতে যখন বিনাশ আসিবে, তখন তোমরা কি করিবে? সাহায্যের নিমিত্ত কাহার কাছে পলাইবে?
এখন দেখ, হে ধনবানেরা, তোমাদের উপরে যে সকল দুর্দশা আসিতেছে, সেই সকলের জন্য রোদন ও হাহাকার কর।হে ভ্রাতৃগণ, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাদিগকে দুঃখভোগের ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত বলিয়া মান।দেখ, যাহারা স্থির রহিয়াছে, তাহাদিগকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনিয়াছ; প্রভুর পরিণামও দেখিয়াছ, ফলতঃ প্রভু স্নেহপূর্ণ ও দয়াময়।আবার, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্য করিও না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য করিও না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হউক, পাছে বিচারে পতিত হও। তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।তোমাদের মধ্যে কেহ কি রোগগ্রস্ত? সে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে আহ্বান করুক; এবং তাঁহারা প্রভুর নামে তাহাকে তৈলাভিষিক্ত করিয়া তাহার উপরে প্রার্থনা করুন।তাহাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে, এবং প্রভু তাহাকে উঠাইবেন; আর সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।এলিয় আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সহিত প্রার্থনা করিলেন, যেন বৃষ্টি না হয়, এবং তিন বৎসর ছয় মাস ভূমিতে বৃষ্টি হইল না।পরে তিনি আবার প্রার্থনা করিলেন; আর আকাশ জল প্রদান করিল, এবং ভূমি নিজ ফল উৎপন্ন করিল। হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।আর তাহার কলঙ্ক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে, এবং অগ্নির ন্যায় তোমাদের মাংস খাইবে। তোমরা শেষকালে ধন-সঞ্চয় করিয়াছ।দেখ, যে মজুরেরা তোমাদের ক্ষেত্রের শস্য কাটিয়াছে, তাহারা তোমাদের দ্বারা যে বেতনে বঞ্চিত হইয়াছে, তাহার চিৎকার করিতেছে, এবং সেই শস্যচ্ছেদকদের আর্তনাদ বাহিনীগণের প্রভুর কর্ণে প্রবিষ্ট হইয়াছে।
আমার সকল অস্থি বলিবে, সদাপ্রভু,তোমার তুল্য কে? তুমিই দুঃখীকে তদপেক্ষা বলবান ব্যক্তি হইতে, দুঃখী দরিদ্রকে তাহার লুন্ঠনকারী হইতে, উদ্ধার করিয়া থাক।
তুমি বিদেশীর প্রতি অন্যায় করিও না, তাহার প্রতি উপদ্রব করিও না, কেননা মিসর দেশে তোমরাও বিদেশী ছিলে।
বস্তুতঃ পামর ধন সঞ্চয় করিলেও তাহার প্রত্যাশা কি? কেননা ঈশ্বর তাহার প্রাণ হরণ করিবেন।যখন তাহার সঙ্কট ঘটে, ঈশ্বর কি তাহার ক্রন্দন শুনিবেন?
অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি-গ্রন্থের সার।
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
তুমি দুঃখীদিগকে নিস্তার করিবে, কিন্তু গর্বীদের উপরে তোমার দৃষ্টি আছে, তুমি তাহাদিগকে অবনত করিবে।
কিন্তু আমি ত সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতাম, আপনার নিবেদন ঈশ্বরে সমর্পণ করিতাম।তিনি মহৎ মহৎ কর্ম করেন, যাহার সন্ধান করা যায় না, আশ্চর্য ক্রিয়া করেন, যাহার সংখ্যা নাই।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;
কেহ কেহ ভূমির আলি সরাইয়া দেয়, তাহারা সবলে মেষপাল হরণ করিয়া চরায়।গর্ভ তাহাদিগকে ভুলিয়া যাইবে, তাহারা কীটের সুস্বাদু ভক্ষ্য হইবে, তাহারা কাহারও স্মরণে থাকিবে না; বৃক্ষের মত অন্যায় ভাঙ্গিয়া পড়িবে।সে নিঃসন্তান বন্ধ্যা স্ত্রীকে গ্রাস করে, সে বিধবার প্রতি সৌজন্য প্রকাশ করে না।[ঈশ্বর] শক্তি দ্বারা পরাক্রমীদিগকে আকর্ষণ করেন, তিনি উঠিলে কাহারও জীবনের আশা থাকে না।তিনি কাহাকে আশ্রয় দিলে সে নির্ভয়ে থাকে; কিন্তু তাহাদের পথে তাঁহার দৃষ্টি থাকে।তাহারা উচ্চ হয়, ক্ষণকাল গেলে তাহারা নাই, তাহারা নত হয়, অন্য সকলের ন্যায় অপনীত হয়, শস্যের শীষাগ্রের ন্যায় ছিন্ন হয়।যদি এইরূপ না হয়, কে আমাকে মিথ্যাবাদী করিবে? কে আমার কথা নিরর্থক বলিয়া দেখাইবে?তাহারা পিতৃহীনদের গর্দভ লইয়া যায়, তাহারা বিধবার গরু বন্ধক রাখে।তাহারা দরিদ্রদিগকে পথ হইতে তাড়াইয়া দেয়; দেশের দীনহীনেরা একেবারে লুকাইয়া থাকে।
হে সদাপ্রভু, তুমিই জ্ঞাত আছ; আমাকে স্মরণ কর, আমার তত্ত্বানুসন্ধান কর, আমার তাড়নাকারীদিগকে অন্যায়ের প্রতিশোধ দেও, তোমার দীর্ঘসহিষ্ণুতায় আমাকে হরণ করিও না; জানিও আমি তোমার নিমিত্ত টিট্কারি সহ্য করিয়াছি।
আমি এই সকলই দেখিয়াছি, ও সূর্যের নিচে যে সকল কার্য করা যায়, তাহার প্রতি মনোনিবেশ করিয়াছি; কোন কোন সময়ে একজন অন্যের উপরে তাহার অমঙ্গলার্থে কর্তৃত্ব করে।
তখন লোকেরা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তবে আমাদের কি করিতে হইবে?তিনি উত্তর করিয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, যাহার দুইটি আঙ্রাখা আছে, সে, যাহার নাই, তাহাকে একটি দিউক; আর যাহার কাছে খাদ্য দ্রব্য আছে, সেও তদ্রূপ করুক।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
আপনাদিগকে সহবন্দি জানিয়া বন্দিগণকে স্মরণ করিও, আপনাদিগকে দেহবাসী জানিয়া দুর্দশাপন্ন সকলকে স্মরণ করিও।
প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কেননা নম্রগণের কাছে সুসমাচার প্রচার করিতে সদাপ্রভু আমাকে অভিষেক করিয়াছেন; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমি ভগ্নান্তঃকরণ লোকদের ক্ষত বাঁধিয়া দিই; যেন বন্দি লোকদের কাছে মুক্তি, ও কারাবদ্ধ লোকদের কাছে কারামোচন প্রচার করি;‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’বস্তুতঃ ভূমি যেমন আপন অঙ্কুর নির্গত করে, উদ্যান যেমন আপনার মধ্যে উপ্ত বীজ অঙ্কুরিত করে, তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমুদয় জাতির সাক্ষাতে ধার্মিকতা ও প্রশংসা অঙ্কুরিত করিবেন।যেন সদাপ্রভুর প্রসন্নতার বৎসর ও আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশোধের দিন ঘোষণা করি; যেন সমস্ত শোকার্তকে সান্ত্বনা করি;
আর তুমি বিদেশীর প্রতি উপদ্রব করিও না; তোমরা ত বিদেশীর হৃদয় জান, কেননা তোমরা মিসর দেশে বিদেশী ছিলে।
আর খলের যন্ত্র সকল মন্দ; সে মিথ্যা কথা দ্বারা নম্রদিগকে নষ্ট করিবার জন্য, যখন দরিদ্র ব্যক্তি ন্যায় কথা বলে তখনও কুসঙ্কল্প করে।