তোমার হৃদয় কি লোভী? ভেবে দেখো, প্রতিদিন ঈশ্বর তোমার জন্য যা কিছু করেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো কি? নাকি আরও বেশি বেশি চাও, টাকা-পয়সার পিছনে ছুটো, ঈশ্বরের ইচ্ছা ভুলে? অনেককেই এই লোভ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, অসৎ পথে উপার্জনের লোভ দেখিয়ে, সৎ মানুষদের প্রতি উদাসীন করে তুলেছে।
মনে রেখো, ঈশ্বর অপরাধীকে ছাড় দেন না। তিনি তোমার প্রতিটি কাজের বিচার করবেন। তাই, নিষ্ঠার সাথে তাঁর সামনে দাঁড়াও। যদি কাউকে ঠকিয়ে থাকো, চুরি করে থাকো, প্রতারণা করে থাকো, তাহলে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাও এবং অন্যের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যা নিয়েছো, তা ফেরত দাও।
লোভ তোমাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে, তোমার ঘুম কেড়ে নিতে পারে। যা কিছু করবে, তার কোনো আনন্দই পাবে না। তোমার বিবেক তোমাকে অভিযুক্ত করবে, শান্তি তোমার থেকে দূরে সরে যাবে।
আজই সঠিক কাজ শুরু করার জন্য একটা ভালো দিন। যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলো। এক এক করে এগিয়ে যাও, রাতারাতি কিছুই হয় না। প্রভুতে, তাঁর দেওয়া শক্তিতে ভরসা রাখো। খ্রীষ্ট তোমাকে শক্তি যোগান, তাঁর মাধ্যমে তুমি সবকিছু করতে পারো, এই বিশ্বাস রাখো। (ফিলিপীয় ৪:১৩)
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
তোমার প্রতিবাসীর গৃহে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর স্ত্রীতে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গরুতে কি গর্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না।
পরে তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সাবধান, সর্বপ্রকার লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সমপত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
অলসের অভিলাষ তাহাকে মৃত্যুসাৎ করে, কেননা তাহার হস্ত শ্রম করিতে অসম্মত।কেহ সমস্ত দিন অতিমাত্র লোভ করে; কিন্তু ধার্মিক দান করে, কাতর হয় না।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
তোমরা তাহাদের ক্ষোদিত দেবপ্রতিমা সকল অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে; তুমি যেন ফাঁদে না পড়, এই জন্য তাহাদের গাত্রের রৌপ্যে কি স্বর্ণে লোভ করিবে না, ও আপনার জন্য তাহা গ্রহণ করিবে না, কেননা তাহা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণিত বস্তু;
কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সর্বপ্রকার অশুদ্ধতার বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রগণের উপযুক্ত।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা আপন আপন শয্যায় অধর্ম কল্পনা করে ও কুকর্ম স্থির করে! তাহারা রাত্রি প্রভাত হইবামাত্র তাহা সাধন করে, কেননা তাহা তাহাদের হস্তের ক্ষমতাধীন।উঠ, প্রস্থান কর, এটা ত বিশ্রামের স্থান নয়, কেননা অশুচিতা বিনাশ করিতেছে, আর সেই বিনাশ ভয়ানক।বায়ুর ও মিথ্যা কথার অনুগামী কোন লোক যদি মিথ্যা করিয়া বলে, আমি দ্রাক্ষারস ও সুরার বিষয়ে তোমার পক্ষে বাক্য বর্ষাইব, তবে সে এই লোকদের বাক্য-বর্ষক হইবে।হে যাকোব, আমি নিশ্চয়ই তোমার সমস্ত লোককে সমবেত করিব, আমি নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের অবশিষ্টাংশকে সংগ্রহ করিব; তাহাদিগকে বস্রার মেষগণের ন্যায় একত্র করিব; যেমন বাথানের মধ্যস্থিত পাল, তেমনি তাহারা মনুষ্য-বাহুল্যে কোলাহল করিবে।ভঞ্জক উঠিয়া তাহাদের অগ্রগামী হইলেন; তাহারা বেড়া ভাঙ্গিয়াছে, দ্বারে পৌঁছিয়াছে, তাহা দিয়া বাহিরে গিয়াছে, এবং তাহাদের রাজা তাহাদের সম্মুখে চলিয়া গেলেন; আর সদাপ্রভু তাহাদের অগ্রগামী হইলেন।তাহারা ক্ষেত্রের প্রতি লোভ করিয়া সবলে তাহা গ্রহণ করে, এবং ঘরের প্রতিও লোভ করিয়া তাহা হরণ করে; এইরূপে তাহারা পুরুষের ও তাহার ঘরের প্রতি, মনুষ্যের ও তাহার পৈতৃক অধিকারের প্রতি দৌরাত্ম্য করে।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল।
কিন্তু পাপ সুযোগ পাইয়া সেই আজ্ঞা দ্বারা আমার অন্তরে সর্বপ্রকার লোভ সমপন্ন করিল; কেননা ব্যবস্থা ব্যতিরেকে পাপ মৃত থাকে।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
কারণ “ব্যভিচার করিও না, নরহত্যা করিও না, চুরি করিও না, লোভ করিও না,” এবং আর যে কোন আজ্ঞা থাকুক, সেই সকল এই বচনে সঙ্কলিত হইয়াছে, “প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিও।”
কি চোর কি লোভী কি মাতাল কি কটূভাষী কি পরধনগ্রাহী, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
এই সকল বিষয় আমাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটিয়াছিল, যেন তাঁহারা যেমন অভিলাষ করিয়াছিলেন, আমরা তেমনি মন্দ বিষয়ের অভিলাষ না করি।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।
এই জন্য আমি অন্য লোকদিগকে তাহাদের স্ত্রী, এবং অন্য অধিকারীদিগকে তাহাদের ক্ষেত্র দিব; কেননা ক্ষুদ্র কি মহান সকলেই লোভে লুব্ধ, ভাববাদী ও যাজকসুদ্ধ সমস্ত লোক প্রবঞ্চনায় রত।
কোন ভৃত্য দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না, কেননা সে হয় একজনকে ঘৃণা করিবে, অন্যকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনে অনুরক্ত হইবে, অন্যকে তুচ্ছ করিবে। তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
কেননা তোমরা নিশ্চয় জানিতেছ, বেশ্যাগামী কি অশুদ্ধাচারী কি লোভী- সে ত প্রতিমাপূজক- কেহই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।
অধিকন্তু তুমি এই লোকসমূহের মধ্য হইতে কার্যদক্ষ পুরুষদিগকে, ঈশ্বরভীত, সত্যবাদী ও অন্যায়-লাভ-ঘৃণাকারী ব্যক্তিদিগকে মনোনীত করিয়া লোকদের উপরে সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি ও দশপতি করিয়া নিযুক্ত কর।
তাহার লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হইলাম ও তাহাকে আঘাত করিলাম, আপন [মুখ] লুকাইয়া ক্রোধ করিলাম, তথাপি সে বিমুখ হইয়া আপন মনের মত পথে চলিল।
এই জন্য আমি ভ্রাতৃগণকে এই অনুরোধ করা আবশ্যক বুঝিলাম, যেন তাঁহারা অগ্রে তোমাদের নিকটে যান, এবং পূর্বে অঙ্গীকৃত তোমাদের সেই দান ঠিকঠাক করেন, যেন এইরূপে তাহা পীড়াপীড়ির বিষয় বলিয়া নয়, কিন্তু বদান্যতার বিষয় বলিয়া প্রস্তুত থাকে।
আবার তোমাদিগকে কহিতেছি, ঈশ্বরের রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করা অপেক্ষা বরং সূচের ছিদ্র দিয়া উটের যাওয়া সহজ।
ধন সঞ্চয় করিতে অত্যন্ত যত্ন করিও না, তোমার নিজ বুদ্ধি হইতে ক্ষান্ত হও।তুমি যখন ধনের দিকে চাহিতেছ? তাহা আর নাই; কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়িয়া যায়, তেমনি ধন আপনার জন্য নিশ্চয়ই পক্ষ প্রস্তুত করে।
যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; ইহাও অসার।
তাহারা ক্ষেত্রের প্রতি লোভ করিয়া সবলে তাহা গ্রহণ করে, এবং ঘরের প্রতিও লোভ করিয়া তাহা হরণ করে; এইরূপে তাহারা পুরুষের ও তাহার ঘরের প্রতি, মনুষ্যের ও তাহার পৈতৃক অধিকারের প্রতি দৌরাত্ম্য করে।
কিন্তু ঈশ্বর তাহাকে কহিলেন, হে নির্বোধ, অদ্য রাত্রিতেই তোমার প্রাণ তোমা হইতে দাবি করিয়া লওয়া যাইবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করিলে, এই সকল কাহার হইবে?যে কেহ আপনার জন্য ধন সঞ্চয় করে, এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান নয়, সে এইরূপ।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
কিন্তু যাহারা ধনী হইতে বাসনা করে, তাহারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানাবিধ মূঢ় ও হানিকর অভিলাষে পতিত হয়, সেই সকল মনুষ্যদিগকে সংহারে ও বিনাশে মগ্ন করে।
তখন ফরীশীরা, যাহারা টাকা ভালবাসিত, এই সকল কথা শুনিতেছিল, আর তাহারা তাঁহাকে উপহাস করিতে লাগিল।তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরাই ত মনুষ্যদের সাক্ষাতে আপনাদিগকে ধার্মিক দেখাইয়া থাক, কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের অন্তঃকরণ জানেন; কেননা মনুষ্যদের মধ্যে যাহা উচ্চ, তাহা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ঘৃণিত।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর। আপনাদের জন্য এমন থলি প্রস্তুত কর, যাহা জীর্ণ হয় না; স্বর্গে অক্ষয় ধন সঞ্চয় কর, যেখানে চোর নিকটে আইসে না, কীটেও ক্ষয় করে না;কেননা যেখানে তোমাদের ধন, সেখানে তোমাদের মনও থাকিবে।
লোভের বশে তাহারা কল্পিত বাক্য দ্বারা তোমাদের হইতে অর্থলাভ করিবে; তাহাদের বিচারাজ্ঞা দীর্ঘকাল বিলম্ব করে নাই, এবং তাহাদের বিনাশ ঢুলিয়া পড়ে নাই।
কোন ব্যক্তি একা থাকে, তাহার দ্বিতীয় কেহ নাই, পুত্রও নাই, ভ্রাতাও নাই, তথাপি তাহার পরিশ্রমের সীমা নাই, তাহার চক্ষুও ধনে তৃপ্ত হয় না। [সে বলে,] তবে আমি কাহার নিমিত্ত পরিশ্রম করিতেছি, ও আপন প্রাণকে মঙ্গল হইতে বঞ্চিত করিতেছি? ইহাও অসার ও ভারী কষ্টজনক।
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।যাচ্ঞা করিতেছ, তথাপি ফল পাইতেছ না; কারণ মন্দ ভাবে যাচ্ঞা করিতেছ, যেন আপন আপন সুখাভিলাষে ব্যয় করিতে পার।
তখন তাহার প্রতি দৃষ্টি করিয়া যীশু কহিলেন, যাহাদের ধন আছে, তাহাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা কেমন দুষ্কর!বাস্তবিক ঈশ্বরের রাজ্যে ধনবানের প্রবেশ করা অপেক্ষা বরং সূচের ছিদ্র দিয়া উষ্ট্রের প্রবেশ করা সহজ।
এই কথা আমি অনটন সম্বন্ধে বলিতেছি না, কেননা আমি যে অবস্থায় থাকি, তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে শিখিয়াছি।আমি অবনত হইতে জানি, উপচয় ভোগ করিতেও জানি; প্রত্যেক বিষয়ে ও সর্ববিষয়ে আমি তৃপ্ত কি ক্ষুধিত হইতে, এবং উপচয় কি অনটন ভোগ করিতে দীক্ষিত হইয়াছি।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
কিন্তু আমি বলি, তোমরা আত্মার বশে চল, তাহা হইলে মাংসের অভিলাষ পূর্ণ করিবে না।কেননা মাংস আত্মার বিরুদ্ধে, এবং আত্মা মাংসের বিরুদ্ধে অভিলাষ করে; কারণ এই দুইয়ের একটি অন্যটির বিপরীত, তাই তোমরা যাহা ইচ্ছা কর, তাহা সাধন কর না।
আর সৈনিকেরাও তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আমাদেরই বা কি করিতে হইবে? তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করিও না, অন্যায়পূর্বক কিছু আদায়ও করিও না, এবং তোমাদের বেতনে সন্তুষ্ট থাকিও।
কেননা তোমরা বন্দিগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলে, এবং আনন্দপূর্বক আপন আপন সমপত্তির লুট স্বীকার করিয়াছিলে, কারণ তোমরা জানিতে, তোমাদের আরও উত্তম নিজ সমপত্তি আছে, আর তাহা নিত্যস্থায়ী।
অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
তখন ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের চাকর গেহসি কহিল, দেখ, আমার প্রভু ঐ অরামীয় নামানকে অমনি ছাড়িয়া দিলেন, তাঁহার হস্ত হইতে তাঁহার আনীত দ্রব্য গ্রহণ করিলেন না; জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, আমি তাঁহার পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়াইয়া গিয়া তাঁহার নিকট হইতে কিছু লইব।পরে গেহসি নামানের পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়াইয়া গেল; তাহাতে নামান আপনার পশ্চাতে পশ্চাতে একজনকে দৌড়াইয়া আসিতে দেখিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করণার্থে রথ হইতে নামিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মঙ্গল ত? সে কহিল, মঙ্গল।আমার প্রভু এই বলিয়া আমাকে পাঠাইলেন, দেখুন, এক্ষণে পর্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশ হইতে শিষ্য-ভাববাদীদের মধ্যে দুই জন যুবক আসিল; বিনয় করি, তাহাদের জন্য এক তালন্ত রৌপ্য ও দুই জোড়া বস্ত্র দান করুন।নামান কহিলেন, অনুগ্রহ করিয়া দুই তালন্ত লও। পরে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করিয়া দুই থলিতে দুই তালন্ত রৌপ্য বাঁধিয়া দুই জোড়া বস্ত্রের সহিত আপনার দুই জন চাকরকে দিলে তাহারা উহার অগ্রে অগ্রে বহিতে লাগিল।পরে পাহাড়ে উপস্থিত হইলে সে তাহাদের হস্ত হইতে সেই সকল লইয়া গৃহের মধ্যে রাখিল, এবং সেই লোকদিগকে বিদায় করিলে তাহারা চলিয়া গেল।পরে আপনি ভিতরে গিয়া আপন প্রভুর সম্মুখে দাঁড়াইল। তখন ইলীশায় তাহাকে কহিলেন, গেহসি, তুমি কোথা হইতে আসিলে? সে কহিল, আপনার দাস কোন স্থানে যায় নাই।তখন তিনি তাহাকে কহিলেন, সেই ব্যক্তি যখন তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে রথ হইতে নামিলেন, তখন আমার মন কি যায় নাই? রৌপ্য লইবার এবং বস্ত্র, জলপাইবৃক্ষের উদ্যান ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র, মেষ, গরু ও দাস দাসী লইবার সময় কি এই?অতএব নামানের কুষ্ঠরোগ তোমাতে ও তোমার বংশে চিরকাল লাগিয়া থাকিবে। তাহাতে গেহসি হিমের ন্যায় শ্বেতকুষ্ঠগ্রস্ত হইয়া তাঁহার সম্মুখ হইতে প্রস্থান করিল।
কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সমপত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে তখনই গেল, তাহা দিয়া ব্যবসা করিল, এবং আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিল।যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও তদ্রূপ করিয়া আর দুই তালন্ত লাভ করিল।কিন্তু যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সে গিয়া ভূমিতে গর্ত খুঁড়িয়া আপন প্রভুর টাকা লুকাইয়া রাখিল।দীর্ঘকালের পর সেই দাসদের প্রভু আসিয়া তাহাদের নিকট হইতে হিসাব লইলেন।তাহাদের মধ্যে পাঁচ জন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।তখন যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে আসিয়া আরও পাঁচ তালন্ত আনিয়া কহিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে পাঁচ তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া বলিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে দুই তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর দুই তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া কহিল, প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বুনেন নাই, সেখানে কাটিয়া থাকেন, ও যেখানে ছড়ান নাই, সেখানে কুড়াইয়া থাকেন।তাই আমি ভীত হইয়া গিয়া আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম; দেখুন, আপনার যাহা আপনি পাইলেন।কিন্তু তাহার প্রভু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, দুষ্ট অলস দাস, তুমি নাকি জানিতে, আমি যেখানে বুনি নাই, সেখানে কাটি, এবং যেখানে ছড়াই নাই, সেখানে কুড়াই?তবে পোদ্দারদের হাতে আমার টাকা রাখিয়া দেওয়া তোমার উচিৎ ছিল; তাহা করিলে আমি আসিয়া আমার যাহা তাহা সুদের সহিত পাইতাম।অতএব তোমরা ইহার নিকট হইতে ঐ তালন্ত লও, এবং যাহার দশ তালন্ত আছে, তাহাকে দেও;কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।কারণ যাহারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না;আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।
এখন দেখ, হে ধনবানেরা, তোমাদের উপরে যে সকল দুর্দশা আসিতেছে, সেই সকলের জন্য রোদন ও হাহাকার কর।হে ভ্রাতৃগণ, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাদিগকে দুঃখভোগের ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত বলিয়া মান।দেখ, যাহারা স্থির রহিয়াছে, তাহাদিগকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনিয়াছ; প্রভুর পরিণামও দেখিয়াছ, ফলতঃ প্রভু স্নেহপূর্ণ ও দয়াময়।আবার, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্য করিও না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য করিও না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হউক, পাছে বিচারে পতিত হও। তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।তোমাদের মধ্যে কেহ কি রোগগ্রস্ত? সে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে আহ্বান করুক; এবং তাঁহারা প্রভুর নামে তাহাকে তৈলাভিষিক্ত করিয়া তাহার উপরে প্রার্থনা করুন।তাহাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে, এবং প্রভু তাহাকে উঠাইবেন; আর সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।এলিয় আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সহিত প্রার্থনা করিলেন, যেন বৃষ্টি না হয়, এবং তিন বৎসর ছয় মাস ভূমিতে বৃষ্টি হইল না।পরে তিনি আবার প্রার্থনা করিলেন; আর আকাশ জল প্রদান করিল, এবং ভূমি নিজ ফল উৎপন্ন করিল। হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।আর তাহার কলঙ্ক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে, এবং অগ্নির ন্যায় তোমাদের মাংস খাইবে। তোমরা শেষকালে ধন-সঞ্চয় করিয়াছ।
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
যে দীনহীনের প্রতি উপদ্রব করে, সে তাহার নির্মাতাকে উপহাস করে; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁহাকে সম্মান করে।
কারণ আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, তখন তোমাদিগকে এই আদেশ দিতাম যে, যদি কেহ কার্য করিতে না চায়, তবে সে আহারও না করুক।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
পীড়িতদিগকে সুস্থ করিও, মৃতদিগকে উত্থাপন করিও, কুষ্ঠীদিগকে শুচি করিও, ভূতদিগকে ছাড়াইও; তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।
কিন্তু প্রভু তাহাকে কহিলেন, তোমরা ফরীশীরা ত পানপাত্র ও ভোজনপাত্র বাহিরে পরিষ্কার করিয়া থাক, কিন্তু তোমাদের ভিতরে দৌরাত্ম্য ও দুষ্টতা ভরা।আর আমাদের পাপ সকল ক্ষমা কর; কেননা আমরাও আপনাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না।নির্বোধেরা, যিনি বাহিরের ভাগ নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি কি ভিতরের ভাগও নির্মাণ করেন নাই?বরং ভিতরে যাহা যাহা আছে, তাহা দান কর, আর দেখ, তোমাদের পক্ষে সকলই শুচি।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
দুঃখিতের ন্যায়, কিন্তু সর্বদা আনন্দিত; দীনহীনের ন্যায়, কিন্তু অনেকের ধনদাতা; আমাদের যেন কিছুই নাই, অথচ আমরা সর্বাধিকারী।
আর তিনি তাহাদিগকে এই দৃষ্টান্ত কহিলেন, একজন ধনবানের ভূমিতে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হইয়াছিল।তাহাতে সে মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিল, কি করি?আমার শস্য রাখিবার স্থান নাই। পরে কহিল, এইরূপ করিব, আমার গোলাঘর সকল ভাঙ্গিয়া বড় বড় গোলাঘর নির্মাণ করিব, এবং তাহার মধ্যে আমার সমস্ত শস্য ও আমার দ্রব্য রাখিব।আর আপন প্রাণকে বলিব, প্রাণ, বহু বৎসরের নিমিত্ত তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।কিন্তু এমন ঢাকা কিছুই নাই, যাহা প্রকাশ পাইবে না, এবং এমন গুপ্ত কিছুই নাই, যাহা জানা যাইবে না।কিন্তু ঈশ্বর তাহাকে কহিলেন, হে নির্বোধ, অদ্য রাত্রিতেই তোমার প্রাণ তোমা হইতে দাবি করিয়া লওয়া যাইবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করিলে, এই সকল কাহার হইবে?
কারণ, তোমরা জান, আমরা কখনও চাটুবাদে কিম্বা লোভের জন্য ছলে লিপ্ত হই নাই, ঈশ্বর ইহার সাক্ষী;
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
কেহ যেন সীমা অতিক্রম করিয়া এই ব্যাপারে আপন ভ্রাতাকে না ঠকায়; কেননা আমরা পূর্বে তোমাদিগকে যেমন বলিয়াছি ও সাক্ষ্য দিয়াছি তদনুসারে, প্রভু এই সকলের প্রতিফলদাতা।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
সে মাতৃগর্ভ হইতে উলঙ্গ আইসে; যেমন আইসে তেমনি উলঙ্গই পুনরায় চলিয়া যায়; পরিশ্রম করিলেও সে যাহা সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতে পারে, এমন কিছুই নাই।
তাহার উদরে শান্তি হইত না, সে আপন অভীষ্ট বস্তুর কিছুই রক্ষা করিতে পারিবে না।তাহার গ্রাসে কিছু অবশিষ্ট থাকিত না, অতএব তাহার সুদশা থাকিবে না।
আমি কাহারও রৌপ্যের কি স্বর্ণের কি বস্ত্রের প্রতি লোভ করি নাই।তোমরা আপনারা জান, আমার নিজের এবং আমার সঙ্গীদের অভাব দূর করণার্থে এই দুই হস্ত কার্য করিয়াছে।সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
যাহারা আপনাদের ধনে নির্ভর করে, আপনাদের সম্পত্তিবাহুল্যের শ্লাঘা করে,তাহাদের মধ্যে কেহই কোন মতে ভ্রাতাকে মুক্ত করিতে পারে না, কিম্বা তাহার প্রায়শ্চিত্তের জন্য ঈশ্বরকে কিছু দিতে পারে না,
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?
তখন তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তবে কৈসরের যাহা যাহা, কৈসরকে দেও, আর ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে দেও।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।
আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি-গ্রন্থের সার।
এই কথা শুনিয়া যীশু তাহাকে কহিলেন, এখনও এক বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে; তোমার যাহা কিছু আছে, সমস্ত বিক্রয় কর, আর দরিদ্রদিগকে বিতরণ কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।
ভ্রান্ত হইও না, কুসংসর্গ শিষ্টাচার নষ্ট করে।ধার্মিক হইবার জন্য চেতন হও, পাপ করিও না, কেননা কাহারও কাহারও ঈশ্বর-জ্ঞান নাই; আমি তোমাদের লজ্জার নিমিত্ত এই কথা কহিতেছি।
কেননা যাহারা মাংসের বশে আছে, তাহারা মাংসিক বিষয় ভাবে; কিন্তু যাহারা আত্মার বশে আছে, তাহারা আত্মিক বিষয় ভাবে।কারণ মাংসের ভাব মৃত্যু, কিন্তু আত্মার ভাব জীবন ও শান্তি।
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা গৃহের সঙ্গে গৃহ যোগ করে, ক্ষেত্রের সঙ্গে ক্ষেত্র সংযোগ করে, অবশেষে আর স্থান থাকে না, তোমাদিগকে দেশমধ্যে একাকী বাস করান হয়!
আর যে কাঁটাবনের মধ্যে উপ্ত, এ সেই যে সেই বাক্য শুনে, আর সংসারের চিন্তা ও ধনের মায়া সেই বাক্য চাপিয়া রাখে, তাহাতে সে ফলহীন হয়।
কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে।কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার-ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য, নানাবিধ তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করিয়াছ;আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার প্রতি কি কি ঘটিয়াছিল; কত তাড়না সহ্য করিয়াছি। আর সেই সমস্ত হইতে প্রভু আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন।আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,
চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার হাতে কিছু থাকে।