আমি তোমাকে বলছি, অহংকার মানে হলো অতিরিক্ত গর্ব বা দম্ভ, যা আমাদের অন্যদের চেয়ে উপরে ভাবতে প্ররোচিত করে। ঈশ্বরের বানী অনুসারে, অহংকারীরা তাঁর থেকে দূরে সরে যায়। যেমন গীতসংহিতা ১০:৪ এ বলা হয়েছে, "দুষ্ট লোক তার অহংকারের জন্য ঈশ্বরকে খোঁজে না; তার কোন চিন্তাতেই ঈশ্বরের স্থান নেই।"
কিন্তু ঈশ্বর আমাদের মধ্যে নম্রতা খোঁজেন, যাতে আমরা বুঝতে পারি যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই এবং তাঁর প্রয়োজন। গীতসংহিতা ১৩৮:৬ এ বলা হয়েছে, "কেননা সদাপ্রভু মহান, তবু তিনি নম্রদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, কিন্তু অহংকারীদের দূর থেকে দেখেন।"
বিশ্বাসী হিসেবে, আমাদের জীবন থেকে অহংকার দূর করতে হবে, কারণ এটা আমাদের ঈশ্বরের উপস্থিতি থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে। আত্মসম্মান, যা নিজের প্রতি একটা ভালো ধারণা, তার সাথে অহংকারকে মিশিয়ে ফেলা যাবে না।
আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি আমাদের হৃদয় পরীক্ষা করেন এবং আমাদের মধ্যে যে কোন দুষ্টতার পথ সংশোধন করেন, যাতে আমরা তাঁর করুণা লাভ করে আমাদের জীবন রক্ষা পেতে পারি। ভেবে দেখ, আমাদের জীবনে কি কি বিষয় ঈশ্বরের নিকট আমাদের দূরে সরিয়ে নেয়। সেই বিষয়গুলো থেকে মুক্তি পেতে ঈশ্বরের সাহায্য নেওয়া জরুরি।
আমি তোমাদের বলের গর্ব চূর্ণ করিব, ও তোমাদের আকাশ লৌহের মত ও তোমাদের ভূমি পিত্তলের মত করিব।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,
আর আমি জগতের উপরে দুর্বৃত্তির ফল ও দুষ্টগণের উপরে তাহাদের অপরাধের ফল বর্তাইব; আমি অহঙ্কারীদের দর্প শেষ করিব, দুর্দান্তদের গর্ব খর্ব করিব।
এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমন অমঙ্গলের কল্পনা করি, যাহা হইতে তোমরা আপন আপন গ্রীবা বাহির করিতে পারিবে না, এবং গর্ব করিয়া চলিতে পারিবে না; কেননা সেই সময় দুঃসময়।
কুচিন্তা বহির হয়- বেশ্যাগমন, চৌর্য, নরহত্যা, ব্যভিচার, লোভ, দুষ্টতা, ছল, লমপটতা, কুদৃষ্টি, নিন্দা, অভিমান ও মূর্খতা;এই সকল মন্দ বিষয় ভিতর হইতে বাহির হয়, এবং মনুষ্যকে অশুচি করে।
তোমরা এমন মহাশ্লাঘার কথা আর কহিও না, তোমাদের মুখ হইতে দর্প নির্গত না হউক; কেননা সদাপ্রভু জ্ঞানের ঈশ্বর, তাঁহা কর্তৃক কর্ম সকল তুলাতে পরিমিত হয়।
তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।
হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
তুমি আপনার যে সকল ক্রিয়াতে আমার কাছে অপরাধিনী হইয়াছ, তৎপ্রযুক্ত সেই দিন লজ্জিতা হইবে না; কেননা সেই সময়ে আমি তোমার দর্পযুক্ত উল্লাসকারী লোকদিগকে তোমার মধ্য হইতে হরণ করিব; তাহাতে তুমি আমার পবিত্র পর্বতে আর অহঙ্কার করিবে না।
আর যথাসর্বস্ব যদি দরিদ্রদিগকে খাওয়াইয়া দিই, এবং পোড়াইবার জন্য আপন দেহ দান করি, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নাই।
আর তিনি সঙ্কট-সাগর দিয়া যাইবেন, তরঙ্গময় সমুদ্রকে প্রহার করিবেন, তাহাতে নীল নদের সকল গভীর স্থান শুষ্ক হইবে, অশূরের গর্ব খর্ব হইবে, ও মিসরের রাজদণ্ড দূরীকৃত হইবে।
তবে “যে শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক;”কেননা আপনার প্রশংসা যে করে, সে নয়, কিন্তু প্রভু যাহার প্রশংসা করেন, সেই পরীক্ষাসিদ্ধ।
কারণ দেখ, সেই দিন আসিতেছে, তাহা হাপরের ন্যায় জ্বলিবে, এবং দর্পী ও দুষ্টাচারীরা সকলে খড়ের ন্যায় হইবে; আর সেই যে দিন আসিতেছে, তাহা তাহাদিগকে পোড়াইয়া দিবে, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন; সে দিন তাহাদের মূল কি শাখা কিছুই অবশিষ্ট রাখিবে না।
আর যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে; আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
তাহারা লোককে দেখাইবার জন্যই তাহাদের সমস্ত কর্ম করে; কেননা তাহারা আপনাদের কবচ প্রশস্ত করে, এবং বস্ত্রের থোপ বড় করে,আর ভোজে প্রধান স্থান, সমাজগৃহে প্রধান প্রধান আসন,হাটে বাজারে মঙ্গলবাদ, এবং লোকের কাছে রব্বি [গুরু] বলিয়া সম্ভাষণ, এই সকল ভালবাসে।
তিনি আপন বাহু দ্বারা বিক্রম-কার্য করিয়াছেন; যাহারা আপনাদের হৃদয়ের কল্পনায় অহঙ্কারী, তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছেন।
কেননা যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে, আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরাই ত মনুষ্যদের সাক্ষাতে আপনাদিগকে ধার্মিক দেখাইয়া থাক, কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের অন্তঃকরণ জানেন; কেননা মনুষ্যদের মধ্যে যাহা উচ্চ, তাহা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ঘৃণিত।
তুমি কি নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান লোক দেখিতেছ? তাহা অপেক্ষা, বরং হীনবুদ্ধির বিষয়ে অধিক প্রত্যাশা আছে।
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
বেশ কথা, অবিশ্বাস হেতুই উহাদিগকে ভাঙ্গিয়া ফেলা হইয়াছে, এবং বিশ্বাস হেতুই তুমি দাঁড়াইয়া আছ। উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, বরং ভয় কর;
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
সেই মিথ্যাবাদী ওষ্ঠাধর সকল বোবা হউক, যাহারা ধার্মিকের বিপক্ষে দর্পকথা কহে, অহঙ্কার ও তুচ্ছজ্ঞান সহকারে কহে।
কেননা কে তোমাকে বিশিষ্ট করে? আর যাহা না পাইয়াছ, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পাইয়াছ, তখন যেন পাও নাই এইরূপ শ্লাঘা কেন করিতেছ?
তাহাদের ওষ্ঠাধরের বাক্য মুখের পাপমাত্র; তাহাদের অভিশাপ ও মিথ্যা কথা হেতু তাহারা আপনাদের অহঙ্কারে ধরা পড়ুক,
আর প্রতিমার কাছে উৎসৃষ্ট বলির বিষয়- আমরা জানি যে, আমাদের সকলের জ্ঞান আছে। জ্ঞান গর্বিত করে, কিন্তু প্রেমই গাঁথিয়া তুলে।
যে জন গোপনে প্রতিবাসীর পরীবাদ করে, তাহাকে আমি উচ্ছেদ করিব; যাহার সাহংকার দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়, তাহাকে সহ্য করিব না।
সামান্য লোকের উচ্চ দৃষ্টি অবনত হইবে, মান্য লোকদের গর্ব খর্ব হইবে, আর সেই দিন কেবল সদাপ্রভুই উন্নত হইবেন।বস্তুতঃ যাহা কিছু গর্বিত ও উদ্ধত এবং যাহা কিছু উচ্চীকৃত, সেই সমস্তের প্রতিকূলে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর এক দিন আসিতেছে; সেই সকল নত হইবে।
আর সামান্য লোক অধোমুখ হয়, মান্য লোক অবনত হয়, এবং দর্পীদের দৃষ্টি অবনত হয়।কিন্তু বাহিনীগণের সদাপ্রভু বিচারে উন্নত হন, পবিত্রতম ঈশ্বর ধর্মশীলতায় পবিত্র বলিয়া মান্য হন।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;
হে প্রভাতি-তারা! ঊষা-নন্দন! তুমি ত স্বর্গভ্রষ্ট হইয়াছ! হে জাতিগণের নিপাতনকারী, তুমি ছিন্ন ও ভূপাতিত হইয়াছ!তুমি মনে মনে বলিয়াছিলে, ‘আমি স্বর্গারোহণ করিব, ঈশ্বরের নক্ষত্রগণের ঊর্ধ্বে আমার সিংহাসন উন্নত করিব; সমাগম-পর্বতে, উত্তরদিকের প্রান্তে, উপবিষ্ট হইব;আমি মেঘরূপ উচ্চস্থলীর উপরে উঠিব, আমি পরাৎপরের তুল্য হইব।’তোমাকে ত নামান যাইবে পাতালে, গর্তের গভীরতম তলে।
খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তাহা তোমাদের মধ্যেও হউক।ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকিতে তিনি ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয় জ্ঞান করিলেন না,কিন্তু আপনাকে শূন্য করিলেন, দাসের রূপ ধারণ করিলেন, মনুষ্যদের সাদৃশ্যে জন্মিলেন;
বাহিনীগণের সদাপ্রভুই এই মন্ত্রণা করিয়াছেন; তিনি সমস্ত ভূষণের অহঙ্কার অশুচি করিবার, ও পৃথিবীর গৌরবান্বিত সকলকে অবমাননার পাত্র করিবার নিমিত্তই ইহা করিয়াছেন।
আর সন্তরণকারী যেমন সন্তরণের জন্য হস্ত বিস্তার করে, তেমনি সে তাহার মধ্যে হস্ত বিস্তার করিবে; কিন্তু তিনি তাহার হস্তকৌশলের সহিত তাহার গর্ব খর্ব করিবেন।
আমরাই ত ছিন্নত্বক্ লোক, আমরা যাহারা ঈশ্বরের আত্মাতে আরাধনা করি, এবং খ্রীষ্ট যীশুতে শ্লাঘা করি, মাংসে প্রত্যয় করি না।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
কারণ তিনি ঊর্ধ্বলোক-নিবাসীদিগকে, উন্নত নগরকে, অবনত করিয়াছেন; তিনি তাহা অবনত করেন, অবনত করিয়া ভূমিসাৎ করেন, ধূলিশায়ী পর্যন্ত করেন।
তুমি আপন দুষ্টতায় নির্ভর করিয়াছ, তুমি বলিয়াছ, কেহ আমাকে দেখিতে পায় না; তোমার বিদ্যা ও তোমার জ্ঞান তোমাকে বিপথগামিনী করিয়াছে; তুমি মনে মনে বলিয়াছ, আমিই আছি, আমা ভিন্ন আর কেহ নাই।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, জ্ঞানবান আপন জ্ঞানের শ্লাঘা না করুক, বিক্রমী আপন বিক্রমের শ্লাঘা না করুক, ধনবান আপন ধনের শ্লাঘা না করুক।
আমরা মোয়াবের অহঙ্কারের কথা শুনিয়াছি, সে অত্যন্ত অহঙ্কারী; তাহার অভিমান, অহঙ্কার, উদ্ধতভাব ও চিত্ত-গরিমার [কথা শুনিয়াছি]।হোরোণয়িম হইতে ক্রন্দনের শব্দ, ধ্বংস ও মহাবিনাশ।সদাপ্রভু কহেন, আমি তাহার ক্রোধ জানি, তাহা কিছু নয়; তাহার দর্প কিছু কাজের হয় নাই।
কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,
বাধ্য হয়, সর্বপ্রকার সৎক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, কাহারও নিন্দা না করে, নির্বিরোধ ও ক্ষান্তশীল হয়, সকল মনুষ্যের কাছে সম্পূর্ণ মৃদুতা দেখায়।
হে শৈলদরীবাসি, পর্বতশৃঙ্গ অবলম্বিন্, তোমার ভয়ঙ্করতার বিষয়ে তোমার অন্তঃকরণের অহঙ্কার তোমাকে বঞ্চনা করিয়াছে; তুমি যদ্যপি ঈগল পক্ষীর ন্যায় উচ্চ স্থানে বাসা কর, তথাপি আমি তোমাকে তথা হইতে নামাইব, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি সোরের অধ্যক্ষকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমার চিত্ত গর্বিত হইয়াছে, তুমি বলিয়াছ, আমি দেবতা, আমি সমুদ্রগণের মধ্যস্থলে ঈশ্বরের আসনে বসিয়া আছি; কিন্তু তুমি ত মনুষ্যমাত্র, দেবতা নহ, তথাপি আপন চিত্তকে ঈশ্বরের চিত্তের তুল্য বলিয়া মানিয়াছ।
কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ও মিথ্যা কহিও না।সেই জ্ঞান এমন নয়, যাহা উপর হইতে নামিয়া আইসে এবং তাহা পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক।কেননা যেখানে ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা, সেখানে অস্থিরতা ও সমুদয় দুষ্কর্ম থাকে।
তোমার চিত্ত তোমার সৌন্দর্যে গর্বিত হইয়াছিল; তুমি নিজ দীপ্তি হেতু আপন জ্ঞান নষ্ট করিয়াছ; আমি তোমাকে ভূমিতে নিক্ষেপ করিলাম, রাজগণের সম্মুখে রাখিলাম, যেন তাহারা তোমাকে দেখিতে পায়।
এখন আমি নবূখদ্নিৎসর সেই স্বর্গরাজের প্রশংসা, প্রতিষ্ঠা ও সমাদর করিতেছি; কেননা তাঁহার সমস্ত ক্রিয়া সত্য, ও তাঁহার পথ সকল ন্যায্য; আর যাহারা স্বগর্বে চলে, তিনি তাহাদিগকে খর্ব করিতে পারেন।
বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; এই কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
কিন্তু তাঁহার অন্তঃকরণ গর্বিত হইলে ও তাঁহার আত্মা কঠিন হইয়া পড়িলে তিনি দুঃসাহসী হইলেন, তাই আপন রাজসিংহাসন হইতে চ্যুত হইলেন, ও তাঁহা হইতে গৌরব নীত হইল।
কিন্তু স্বর্গাধিপতির বিরুদ্ধে আপনাকে উচ্চ করিয়াছেন; এবং তাঁহার গৃহের নানা পাত্র আপনার সম্মুখে আনীত হইয়াছে, আর আপনি, আপনার মহল্লোকেরা, আপনার পত্নীগণ ও আপনার উপপত্নীগণ সেই সকল পাত্রে দ্রাক্ষারস পান করিয়াছেন; এবং রৌপ্যময়, সুবর্ণময়, পিত্তলময়, লৌহময়, কাষ্ঠময় ও প্রস্তরময় যে দেবগণ দেখিতে পায় না, শুনিতে পায় না, কিছু জানিতেও পারে না, আপনি তাহাদের প্রশংসা করিয়াছেন; কিন্তু আপনার নিঃশ্বাস যাঁহার হস্তগত ও আপনার সকল পথ যাঁহার অধীন, আপনি সেই ঈশ্বরের সমাদর করেন নাই।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।” অতএব তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নিচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদিগকে উন্নত করেন;
আমি গর্বিত লোকদিগকে কহিলাম, গর্ব করিও না; দুষ্ট লোকদিগকে কহিলাম, শৃঙ্গ তুলিও না।তোমাদের শৃঙ্গ উচ্চে তুলিও না; শক্তগ্রীব হইয়া কথা কহিও না।”
অতএব এইরূপ ঘটিবে; সিয়োন পর্বতে ও যিরূশালেমে প্রভু আপনার সমস্ত কার্য সমাপ্ত করিলে পর আমি অশূর-রাজের চিত্তস্ফীতিরূপ ফলের ও তাহার উচ্চদৃষ্টিরূপ আড়ম্বরের প্রতিফল দিব।কেননা সে বলিয়াছে, ‘আমার হস্তের বল ও আমার বিজ্ঞতা দ্বারা আমি কার্য সিদ্ধ করিয়াছি, কেননা আমি বুদ্ধিমান; আমি জাতিগণের সীমা সকল দূর করিয়াছি, ও তাহাদের সঞ্চিত ধন লুট করিয়াছি; এবং বীরের ন্যায় আমি সুখাসীনদিগকে নিচে নামাইয়াছি।
দেখ, তোমার ভগিনী সদোমের এই অপরাধ ছিল; তাহার ও তাহার কন্যাদের দর্প, ভক্ষ্যের পূর্ণতা এবং নিশ্চিন্ততাযুক্ত শান্তি ছিল; আর সে দুঃখী ও দরিদ্রের হস্ত সবল করিত না।
দেখ, তাহার প্রাণ দর্পে স্ফীত, তাহার অন্তর সরল নয়, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি আপন বিশ্বাস দ্বারা বাঁচিবে।
কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
অতএব খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বর সম্বন্ধীয় বিষয়ে আমার শ্লাঘা করিবার অধিকার আছে।কেননা আমি সেই বিষয়ে এমন একটি কথাও বলিতে সাহস করিব না, যাহা পরজাতীয়দিগকে আজ্ঞাবহ করণার্থে খ্রীষ্ট আমা দ্বারা সাধন করেন নাই;
কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশ ছাড়া আমি যে আর কোন বিষয়ে শ্লাঘা করি, তাহা দূরে থাকুক; তাহারই দ্বারা আমার জন্য জগৎ, এবং জগতের জন্য আমি ক্রুশারোপিত।
সর্বপ্রকার কটুকাটব্য, রোষ, ক্রোধ, কলহ, নিন্দা এবং সর্বপ্রকার হিংসা তোমাদের হইতে দূরীকৃত হউক।
নম্রতায় ও দূতগণের পূজায় স্বেচ্ছাচারী কোন ব্যক্তি তোমাদিগকে বিজয়-মুকুটে বঞ্চিত না করুক; সে যাহা যাহা দেখিয়াছে, সেই গুলিতেই বিচরণ করে, আপন মাংসময় মনের গর্বে বৃথা গর্বিত হয়,
কারণ তাহারা অসার গর্বের কথা বলিয়া মাংসিক সুখাভিলাষে, লমপটতায়, সেই লোকদিগকে প্রলোভিত করে, যাহারা বিপথগামীদের নিকট হইতে সমপ্রতি পলায়ন করিতেছে।