তোমার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। রাগ, এই রাগটা শয়তানের একটা হাতিয়ার, যা দিয়ে সে আমাদেরকে আল্লাহর বিরুদ্ধে পাপ করতে প্ররোচিত করে। যখন আমরা অনিয়ন্ত্রিত রাগের বশে চলি, তখন অনিবার্যভাবেই আমাদেরকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ নিজেও মানুষের উপর রাগ করেছেন, কিন্তু তিনি সবসময় আমাদেরকে তাঁর সাথে পুনর্মিলনের সুযোগ দিয়েছেন। রাগ শুধু আমাদের জীবন থেকে আল্লাহর রহমত কেড়ে নেয় না, বরং আমাদেরকে মানসিকভাবেও কষ্ট দেয়।
হয়তো আমাদের রাগের পেছনে ন্যায্য বা অন্যায় কোন কারণ থাকতে পারে। ইফিষীয় ৪:২৬-২৭ পদে বলা আছে, রাগ করা যায়, কিন্তু সেই রাগ যেন আমাদেরকে পাপের দিকে ঠেলে না দেয়। “রাগ কর, কিন্তু পাপ করো না; সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই তোমাদের রাগ থেমে যাক, আর শয়তানকে সুযোগ দিও না।” অন্যায়ের বিরুদ্ধে বা আল্লাহর নিন্দার প্রতিবাদে রাগ করা স্বাভাবিক। কিন্তু মনে রাখতে হবে, প্রভু বলেছেন, “প্রতিশোধ আমার, আমিই প্রতিফল দেব” (রোমীয় ১২)।
আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পবিত্র আত্মার ফল আমাদের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে, তাঁর সাথে একটা নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখা খুবই জরুরি। এভাবেই আমাদের অন্তরাত্মা শক্তিশালী হবে।
হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, তোমরা ইহা জ্ঞাত আছ। কিন্তু তোমাদের প্রত্যেক জন শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর, ক্রোধে ধীর হউক,
কিন্তু এখন তোমরাও এই সকল ত্যাগ কর- ক্রোধ, রাগ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখনির্গত কুৎসিত আলাপ।
তাহাতে সদাপ্রভু কয়িনকে কহিলেন, তুমি কেন ক্রোধ করিয়াছ? তোমার মুখ কেন বিষণ্ন হইয়াছে?যদি সদাচরণ কর, তবে কি গ্রাহ্য হইবে না? আর যদি সদাচরণ না কর, তবে পাপ দ্বারে গুঁড়ি মারিয়া রহিয়াছে। তোমার প্রতি তাহার বাসনা থাকিবে, এবং তুমি তাহার উপরে কর্তৃত্ব করিবে।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
ফলতঃ সদাপ্রভু তাঁহার সম্মুখ দিয়া গমন করতঃ এই ঘোষণা করিলেন, ‘সদাপ্রভু, সদাপ্রভু, স্নেহশীল ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান;
সর্বপ্রকার কটুকাটব্য, রোষ, ক্রোধ, কলহ, নিন্দা এবং সর্বপ্রকার হিংসা তোমাদের হইতে দূরীকৃত হউক।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যে কেহ আপন ভ্রাতার প্রতি ক্রোধ করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে; আর যে কেহ আপন ভ্রাতাকে বলে, ‘রে নির্বোধ,’ সে মহাসভার দায়ে পড়িবে। আর যে কেহ বলে, ‘রে মূঢ়,’ সে অগ্নিময় নরকের দায়ে পড়িবে।
তুমি ত বলিয়াছ, সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান এবং অধর্মের ও অপরাধের ক্ষমাকারী, তথাপি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন, তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত সন্তানদের উপরে পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল বর্তান।
তোমরা হোরেবেও সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করিয়াছিলে, এবং সদাপ্রভু ক্রুদ্ধ হইয়া তোমাদিগকে বিনাশ করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন।
প্রতিশোধ ও প্রতিফলদান আমারই কর্ম, যে সময়ে তাহাদের পা পিছলিয়া যাইবে; কেননা তাহাদের বিপদের দিন নিকটবর্তী, তাহাদের জন্য যাহা যাহা নিরূপিত, শীঘ্রই আসিবে।
আমি যদি আপন খড়্গবজ্রে শাণ দিই, যদি বিচারসাধনে হস্তক্ষেপ করি, তবে আমার বিপক্ষগণের প্রতিশোধ লইব, আমার বিদ্বেষীদিগকে প্রতিফল দিব।
কিন্তু তিনি স্নেহময়, তাই অপরাধ ক্ষমা করিলেন, ধ্বংস করিলেন না, অনেকবার আপন ক্রোধ সম্বরণ করিলেন, আপনার সমস্ত ক্রোধ উদ্দীপিত করিলেন না।
কোপন স্বভাব লোকের সহিত বন্ধুত্ব করিও না, ক্রোধীর সঙ্গে যাতায়াত করিও না;পাছে তুমি তাহার আচরণ শিক্ষা কর, আপন প্রাণের জন্য ফাঁদ প্রস্তুত কর।
এই জন্য আমি আকাশমণ্ডলকে কম্পান্বিত করিব, এবং বাহিনীগণের সদাপ্রভুর ক্রোধে ও তাঁহার প্রজ্বলিত কোপের দিনে পৃথিবী টলিয়া স্থানভ্রষ্ট হইবে।
কেননা জাতিমাত্রের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ, তাহাদের সৈন্য সামন্তের বিরুদ্ধে তাঁহার প্রচণ্ড কোপ প্রজ্বলিত হইল; তিনি তাহাদিগকে নিঃশেষে বিনষ্ট করিলেন, তাহাদিগকে বধে সমর্পণ করিলেন।
আমি আপন নামের অনুরোধে ক্রোধ সম্বরণ করিব, এবং আপনার প্রশংসার্থে তোমার প্রতি সংযত হইব, তোমাকে উচ্ছেদ করিব না।
আমি কোপাবেশে এক নিমেষমাত্র তোমা হইতে আপন মুখ লুকাইয়াছিলাম, কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী দয়াতে তোমার প্রতি করুণা করিব, ইহা তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু কহেন।
কারণ আমি নিত্য বিবাদ করিব না, সর্বদা ক্রোধ করিব না; করিলে আত্মা, এবং আমার নির্মিত প্রাণী সকল, আমার সম্মুখে মূর্চ্ছাপন্ন হইবে।
‘আমি কুণ্ডের দ্রাক্ষা একাকী দলন করিয়াছি, জাতিগণের মধ্যে কেহই আমার সঙ্গে ছিল না। আমি ক্রোধে তাহাদিগকে দলন করিলাম, কোপভরে তাহাদিগকে মর্দন করিলাম; আর তাহাদের রক্তের ছিটা আমার বস্ত্রে লাগিল, আমার সমস্ত পরিচ্ছদ কলঙ্কিত করিলাম।
তুমি যাও, এই সকল কথা উত্তর দিকে প্রচার কর, বল, সদাপ্রভু কহেন, হে বিপথগামিনী ইস্রায়েল, ফিরিয়া আইস; আমি তোমাদের প্রতি ক্রোধদৃষ্টি করিব না; যেহেতু আমি দয়াবান, ইহা সদাপ্রভু বলেন, আমি চিরকাল ক্রোধ রাখিব না।
হে সদাপ্রভু, আমাকে শাসন কর, কেবল বিচারপূর্বক কর; ক্রোধপূর্বক করিও না, পাছে তুমি আমাকে ক্ষীণ করিয়া ফেল।
যে পর্যন্ত সদাপ্রভু আপন মনের অভিপ্রায় সফল ও সিদ্ধ না করেন, সেই পর্যন্ত তাঁহার প্রজ্বলিত ক্রোধ ফিরিবে না; তোমরা শেষকালে তাহা বুঝিতে পারিবে।
হে আমার প্রজাগণ, তোমরা তাহার মধ্য হইতে বাহির হও, প্রত্যেক জন সদাপ্রভুর প্রজ্বলিত ক্রোধ হইতে আপন আপন প্রাণ রক্ষা কর।
আমি এখন অবিলম্বে তোমার উপরে আপন ক্রোধ ঢালিয়া দিব, তোমার প্রতি আপন কোপ সাধন করিব, তোমার আচারানুসারে বিচার করিব, তোমার সমস্ত ঘৃণার্হ কার্যের ফল তোমার উপরে রাখিব।
আমি তোমার প্রতি আপন ক্রোধ চরিতার্থ করিয়া শান্ত হইব, তাহাতে তোমার উপর হইতে আমার অন্তর্জ্বালা যাইবে, আমি ক্ষান্ত হইব, আর অসন্তুষ্ট হইব না।
আর আমি কোপজনিত বিবিধ ভর্ৎসনা দ্বারা তাহাদের ভারী প্রতিশোধ লইব; আমি যখন তাহাদের প্রতিশোধ লইব, তখন তাহারা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
সেই দিন যখন গোগ ইস্রায়েল-দেশের বিরুদ্ধে আসিবে, তখন আমার কোপাগ্নি আমার নাসিকায় উঠিবে, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।কারণ আমি নিজ অন্তর্জ্বালায় ও রোষানলে বলিয়াছি, অবশ্য সেই দিন ইস্রায়েল-দেশে মহাকমপ হইবে।
আমি আপন প্রচণ্ড ক্রোধ সফল করিব না, ইফ্রয়িমের সর্বনাশ করিতে ফিরিব না, কেননা আমি ঈশ্বর, মনুষ্য নহি; আমি তোমার মধ্যবর্তী পবিত্রতম, কোপে উপস্থিত হইব না।
আর আপন আপন বস্ত্র না ছিঁড়িয়া অন্তঃকরণ চির, এবং আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরিয়া আইস, কেননা তিনি কৃপাময় ও স্নেহশীল ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান, এবং অমঙ্গলের বিষয়ে অনুশোচনা করেন।
তিনি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করিয়া কহিলেন, হে সদাপ্রভু, বিনতি করি, আমি স্বদেশে থাকিতে কি ইহাই বলি নাই? সেই জন্য ত্বরা করিয়া তর্শীশে পলাইতে গিয়াছিলাম; কেননা আমি জানিতাম, তুমি কৃপাময় ও স্নেহশীল ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান, এবং অমঙ্গলের বিষয়ে অনুশোচনাকারী।
সদাপ্রভু স্বগৌরব-রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর, তিনি প্রতিফলদাতা; সদাপ্রভু প্রতিফলদাতা ও ক্রোধশালী; সদাপ্রভু আপন বিপক্ষগণকে প্রতিফল দেন, আপন শত্রুগণের জন্য ক্রোধ সঞ্চয় করেন।সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও পরাক্রমে মহান, এবং তিনি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন; ঘূর্ণবায়ু ও ঝড় সদাপ্রভুর পথ, মেঘ তাঁহার পদধূলি।
হে দেশস্থ সমস্ত নম্র লোক, তাঁহার শাসন পালন করিয়াছ যে তোমরা, তোমরা সদাপ্রভুর অন্বেষণ কর, ধর্মের অনুশীলন কর, নম্রতার অনুশীলন কর; হয় ত সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তোমরা গুপ্তস্থানে রক্ষা পাইবে।
এই জন্য সদাপ্রভু কহেন, তোমরা সেই দিন পর্যন্ত আমার অপেক্ষায় থাক, যে দিন আমি হরণ করিতে উঠিব; কেননা আমার বিচার এই; আমি জাতিগণকে সংগ্রহ করিয়া ও রাজ্য সকল একত্র করিয়া তাহাদের উপরে আমার ক্রোধ, আমার সমস্ত কোপাগ্নি ঢালিয়া দিব; বস্তুতঃ আমার অন্তর্জ্বালার তাপে সমস্ত পৃথিবী অগ্নিভক্ষিত হইবে।
আর নিশ্চিন্ত জাতিগণের প্রতি আমি মহাক্রোধাবিষ্ট হইয়াছি; কেননা আমি যৎকিঞ্চিৎ ক্রোধাবিষ্ট হইলে তাহারা অমঙ্গলার্থে সাহায্য করিল।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা আপন আপন শত্রুদিগকে প্রেম করিও, এবং যাহারা তোমাদিগকে তাড়না করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও;
পরে যীশু ঈশ্বরের ধর্মধামে প্রবেশ করিলেন, এবং যত লোক ধর্মধামে ক্রয়-বিক্রয় করিতেছিল, সেই সকলকে বাহির করিয়া দিলেন, এবং পোদ্দারদের মেজ ও যাহারা কপোত বিক্রয় করিতেছিল, তাহাদের আসন সকল উল্টাইয়া ফেলিলেন,আর তাহাদিগকে কহিলেন, লেখা আছে, “আমার গৃহ প্রার্থনা-গৃহ বলিয়া আখ্যাত হইবে,” কিন্তু তোমরা ইহা “দস্যুগণের গহ্বর” করিয়া তুলিতেছ।
তখন তিনি তাহাদের অন্তঃকরণের কাঠিন্যে দুঃখিত হইয়া সক্রোধে চারিদিকে তাহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া সেই লোকটিকে কহিলেন, তোমার হাত বাড়াইয়া দেও; সে তাহা বাড়াইয়া দিল, আর তাহার হাত আগে যেমন ছিল, তেমনি হইল।
যাহারা তোমাদিগকে শাপ দেয়, তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিও; যাহারা তোমাদিগকে নিন্দা করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও।যে তোমার এক গালে চড় মারে, তাহার দিকে অন্য গালও পাতিয়া দিও; এবং যে তোমার চোগা তুলিয়া লয়, তাহাকে আঙ্রাখাটিও লইতে বারণ করিও না।
তাহা দেখিয়া তাঁহার শিষ্য যাকোব ও যোহন বলিলেন, প্রভু, আপনি কি ইচ্ছা করেন যে, এলিয় যেমন করিয়াছিলেন, তেমনি আমরা বলি, আকাশ হইতে অগ্নি নামিয়া আসিয়া ইহাদিগকে ভস্ম করিয়া ফেলুক?কিন্তু তিনি মুখ ফিরাইয়া তাঁহাদিগকে ধমক্ দিলেন, আর কহিলেন, তোমরা কি প্রকার আত্মার লোক, তাহা জান না।
তখন তৃণ দ্বারা এক গাছি কশা প্রস্তুত করিয়া গরু, মেষ সমস্তই ধর্মধাম হইতে বাহির করিয়া দিলেন, এবং পোদ্দারদের মুদ্রা ছড়াইয়া ও মেজ উল্টাইয়া ফেলিলেন;আর যাহারা কপোত বিক্রয় করিতেছিল, তাহাদিগকে কহিলেন, এই স্থান হইতে এই সকল লইয়া যাও; আমার পিতার গৃহকে বাণিজ্যের গৃহ করিও না।
কারণ ঈশ্বরের ক্রোধ স্বর্গ হইতে সেই মনুষ্যদের সমস্ত ভক্তিহীনতা ও অধার্মিকতার উপরে প্রকাশিত হইতেছে, যাহারা অধার্মিকতায় সত্যের প্রতিরোধ করে।
কিন্তু তোমার কঠিন ভাব এবং অপরিবর্তনশীল চিত্ত অনুসারে তুমি নিজের জন্য এমন ক্রোধ সঞ্চয় করিতেছ, যাহা ক্রোধের ও ঈশ্বরের ন্যায়বিচার-প্রকাশের দিনে আসিবে;
সুতরাং সমপ্রতি তাঁহার রক্তে যখন ধার্মিক গণিত হইয়াছি, তখন আমরা কত অধিক নিশ্চিত যে, তাঁহা দ্বারা ঈশ্বরের ক্রোধ হইতে পরিত্রাণ পাইব।
কেননা সদাচরণের নিমিত্ত তিনি তোমার পক্ষে ঈশ্বরেরই পরিচারক। কিন্তু যদি মন্দ আচরণ কর, তবে ভীত হও, কেননা তিনি বৃথা খড়্গ ধারণ করেন না; কারণ তিনি ঈশ্বরের পরিচারক, যে মন্দ আচরণ করে, ক্রোধ সাধনের জন্য তাহার প্রতিশোধদাতা।
প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না,
কেননা আমার ভয় হয়, পাছে উপস্থিত হইলে আমি তোমাদিগকে যেরূপ দেখিতে চাই, সেইরূপ না দেখি, এবং তোমরা আমাকে যে রূপ দেখিতে না চাও, সেইরূপ দেখ, পাছে কোন মতে বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, পরনিন্দা, কানভাঙ্গানি, দর্প, গণ্ডগোল বাধিয়া উঠে;
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
অনর্থক বাক্য দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে না ভুলায়; কেননা এই সকল দোষ প্রযুক্ত অবাধ্যতার সন্তানগণের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ বর্তে।
এই সকলের কারণ অবাধ্যতার সন্তানগণের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ উপস্থিত হয়।পূর্বে যখন তোমরা এই সকলে জীবন ধারণ করিতে, তখন তোমরাও এই সকলে চলিতে।কিন্তু এখন তোমরাও এই সকল ত্যাগ কর- ক্রোধ, রাগ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখনির্গত কুৎসিত আলাপ।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ক্রোধের জন্য নিযুক্ত করেন নাই, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পরিত্রাণ লাভের জন্য;
অতএব আমার বাসনা এই, সকল স্থানে পুরুষেরা বিনা ক্রোধে ও বিনা বির্তকে শুচি হস্ত তুলিয়া প্রার্থনা করুক।
কেননা ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষ বলিয়া অনিন্দনীয় হন; স্বেচ্ছাচারী কি আশুক্রোধী কি মদ্যপানে আসক্ত কি প্রহারক কি কুৎসিত লাভের লোভী না হন,
এই জন্য আমি এই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট হইলাম, আর কহিলাম, ইহারা সর্বদা হৃদয়ে ভ্রান্ত হয়; আর তাহারা আমার পথ জ্ঞাত হইল না;তখন আমি আপন ক্রোধে এই শপথ করিলাম, ইহারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করিবে না।”
আবার তিনি পুনরায় এক দিন নিরূপণ করিয়া দায়ূদ-গ্রন্থে এত কালের পর বলেন, “অদ্য,” যেমন পূর্বে বলা হইয়াছে, “অদ্য যদি তোমরা তাঁহার রব শ্রবণ কর, তবে আপন আপন হৃদয় কঠিন করিও না।”
কেননা এই কথা যিনি বলিয়াছেন, তাঁহাকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব;” আবার, “প্রভু আপন প্রজাবৃন্দের বিচার করিবেন।”জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়।
হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, তোমরা ইহা জ্ঞাত আছ। কিন্তু তোমাদের প্রত্যেক জন শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর, ক্রোধে ধীর হউক,হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা যখন নানাবিধ পরীক্ষায় পড়, তখন তাহা সর্বতোভাবে আনন্দের বিষয় জ্ঞান করিও;কারণ মনুষ্যের ক্রোধ ঈশ্বরের ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করে না।
তোমাদের মধ্যে কোথা হইতে যুদ্ধ ও কোথা হইতে বিবাদ উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে সকল সুখাভিলাষ যুদ্ধ করে, সেই সকল হইতে কি নয়?প্রভুর সাক্ষাতে নত হও, তাহাতে তিনি তোমাদিগকে উন্নত করিবেন।হে ভ্রাতৃগণ, পরস্পর পরিবাদ করিও না; যে ব্যক্তি ভ্রাতার পরিবাদ করে, কিম্বা ভ্রাতার বিচার করে, সে ব্যবস্থার পরিবাদ করে ও ব্যবস্থার বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি ব্যবস্থার বিচার কর, তবে ব্যবস্থার পালনকারী না হইয়া বিচারকর্তা হইয়াছ।একমাত্র ব্যবস্থাপক ও বিচারকর্তা আছেন, তিনিই পরিত্রাণ করিতে ও বিনষ্ট করিতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবাসীর বিচার কর?এখন দেখ, তোমাদের কেহ কেহ বলে, অদ্য কিম্বা কল্য, আমরা অমুক নগরে যাইব, এবং সেখানে এক বৎসর যাপন করিব, বাণিজ্য করিব ও লাভ করিব।তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না; তোমাদের জীবন কি প্রকার? তোমরা ত বাষপস্বরূপ, যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।উহার পরিবর্তে বরং ইহা বল, ‘প্রভুর ইচ্ছা হইলেই আমরা বাঁচিয়া থাকিব, এবং এ কাজটি বা ও কাজটি করিব’।কিন্তু এখন তোমরা আপন আপন দর্পে শ্লাঘা করিতেছ; এই প্রকারের সমস্ত শ্লাঘা মন্দ।বস্তুতঃ যে কেহ সৎকর্ম করিতে জানে, অথচ না করে, তাহার পাপ হয়।তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।
তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাহার উপর ভার রাখিতেন।
মন্দের পরিশোধে মন্দ করিও না, এবং নিন্দার পরিশোধে নিন্দা করিও না; বরং আশীর্বাদ কর, কেননা আশীর্বাদের অধিকারী হইবার নিমিত্তই তোমরা আহূত হইয়াছ।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
ইহাতে জানি, প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্মিকদিগকে দণ্ডাধীনে বিচারদিনের জন্য রাখিতে জানেন।
প্রভু নিজ প্রতিজ্ঞা বিষয়ে দীর্ঘসূত্রী নহেন- যেমন কেহ কেহ দীর্ঘসূত্রিতা জ্ঞান করে- কিন্তু তোমাদের পক্ষে তিনি দীর্ঘসহিষ্ণু; কতকগুলি লোক যে বিনষ্ট হয়, এমন বাসনা তাঁহার নাই; বরং সকলে যেন মনপরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে, এই তাঁহার বাসনা।
যে কেহ আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে নরঘাতক; এবং তোমরা জান, অনন্ত জীবন কোন নরঘাতকের অন্তরে অবস্থিতি করে না।
প্রেমে ভয় নাই, বরং সিদ্ধ প্রেম ভয়কে বাহির করিয়া দেয়, কেননা ভয় দণ্ডযুক্ত, আর যে ভয় করে, সে প্রেমে সিদ্ধ হয় নাই।
যদি কেহ আপন ভ্রাতাকে এমন পাপ করিতে দেখে, যাহা মৃত্যুজনক নয়, তবে সে যাচ্ঞা করিবে, এবং [ঈশ্বর] তাহাকে জীবন দিবেন- যাহারা মৃত্যুজনক পাপ করে না, তাহাদিগকেই দিবেন। মৃত্যুজনক পাপ আছে, সেই বিষয়ে আমি বলি না যে, তাহাকে বিনতি করিতে হইবে।
আর পর্বত ও শৈল সকলকে কহিতে লাগিল, আমাদের উপরে পতিত হও, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখ হইতে এবং মেষশাবকের ক্রোধ হইতে আমাদিগকে লুকাইয়া রাখ;কেননা তাঁহাদের ক্রোধের মহাদিন আসিয়া পড়িল, আর কে দাঁড়াইতে পারে?
আর জাতিগণ ক্রুদ্ধ হইয়াছিল, কিন্তু তোমার ক্রোধ উপস্থিত হইল, আর মৃত লোকদের বিচার করিবার সময় এবং তোমার দাস ভাববাদিগণকে ও পবিত্রগণকে ও যাহারা তোমার নাম ভয় করে, তাহাদের ক্ষুদ্র ও মহান সকলকে পুরস্কার দিবার, এবং পৃথিবী-নাশকদিগকে নাশ করিবার সময় উপস্থিত হইল।’
তবে সেই ব্যক্তিও ঈশ্বরের সেই “রোষ-মদিরা পান করিবে, যাহা তাঁহার কোপের পানপাত্রে অমিশ্রিতরূপে প্রস্তুত হইয়াছে”; এবং পবিত্র দূতগণের সাক্ষাতে ও মেষশাবকের সাক্ষাতে “অগ্নিতে ও গন্ধকে যাতনা পাইবে।
তাহাতে ঐ দূত পৃথিবীতে আপন কাস্তে লাগাইয়া পৃথিবীর দ্রাক্ষা-গুচ্ছ ছেদন করিলেন, আর ঈশ্বরের রোষের মহাকুণ্ডে নিক্ষেপ করিলেন।
পরে আমি স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখিলাম, তাহা মহৎ ও অদ্ভুত; সপ্ত দূতকে সপ্ত আঘাত লইয়া আসিতে দেখিলাম; সেই সকল শেষ আঘাত, কেননা সেই সকলে ঈশ্বরের রোষ সমাপ্ত হইল।
পরে চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণী ঐ সপ্ত দূতকে সপ্ত সুবর্ণ বাটি দিলেন, সেগুলি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ।
পরে আমি মন্দির হইতে এক উচ্চ বাণী শুনিলাম, তাহা ঐ সপ্ত দূতকে কহিল, তোমরা যাও, ঈশ্বরের রোষের ঐ সপ্ত বাটি পৃথিবীতে ঢালিয়া দেও।
তাহাতে মহানগরী তিন ভাগে বিভক্ত হইল, এবং জাতিগণের নগর সকল পতিত হইল; এবং মহতী বাবিলকে ঈশ্বরের সাক্ষাতে স্মরণ করা গেল, যেন ঈশ্বরের ক্রোধের রোষ-মদিরাতে পূর্ণ পানপাত্র তাহাকে দেওয়া যায়।
আর তাঁহার মুখ হইতে এক তীক্ষ্ণ তরবারি নির্গত হয়, যেন তদ্দ্বারা তিনি জাতিগণকে আঘাত করেন; আর তিনি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাসন করিবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধরূপ মদিরাকুণ্ড দলন করেন।
কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী, বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু।
“দেখ, আমি শীঘ্র আসিতেছি; এবং আমার দাতব্য পুরস্কার আমার সহবর্তী, যাহার যেমন কার্য, তাহাকে তেমন ফল দিব।