তোমার জীবনে যদি কোনো কিছু তোমাকে আনন্দ উপভোগ করতে বাধা দেয়, তাহলে সেটা হলো ঈর্ষা। এই অনুভূতি একবার তোমাকে গ্রাস করলে, এতোটা অনিশ্চয়তা তৈরি করে যে তুমি উদ্বিগ্নতায় ভুগতে শুরু করতে পারো। বিশ্বাসঘাতকতা, হতাশা, অসন্তুষ্টি, অন্যের প্রতি ঈর্ষা, অহংকার, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব, ভয়, নিজের মূল্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার অভাব, এমনকি জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা থেকেও ঈর্ষা তৈরি হতে পারে। স্পষ্টতই, এই মনোভাব স্বাস্থ্যকর নয় এবং তোমার জীবন ধ্বংস করতে পারে, তোমার শরীর ও মনকে প্রভাবিত করতে পারে। ঈশ্বর তোমাকে এই ভয়ানক অনুভূতির সাথে লড়াই করতে দেখে কষ্ট পান। তিনি তোমাকে মুক্ত করার জন্য এবং মুক্ত জীবন দান করার জন্যই তাঁর পুত্রকে তোমার জন্য প্রাণ দিতে পাঠিয়েছেন। তিনি চান তুমি তোমার প্রতি তাঁর দান করা মূল্যকে গ্রহণ করো, তোমার জন্য তিনি সবকিছু দিয়েছেন। তিনি এমন কিছু করেছেন যা কোনো মানুষ করতে পারে না এবং তোমাকে এমন কিছু দিয়েছেন যা আর কেউ তোমাকে দিতে পারবে না।
আমি জানি না তুমি কী কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছো, কিন্তু এই মুহূর্তে আমি তোমাকে ঈশ্বরের ভালোবাসা দেখাতে চাই যাতে তুমি তাঁর সামনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উজাড় করে দিতে পারো, যা কিছু তোমার আত্মাকে কলুষিত করে এবং তোমার হাড়ে যন্ত্রণা দেয়, সে সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে পারো। এই মুহূর্তে যীশুর কাছে প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত নাও, তাঁর পায়ে নিজেকে নত করো এবং তোমার হৃদয়কে সুস্থ করার সময় তাঁর সামনে অশ্রু ঝরতে দাও। অন্যদের উন্নতি দেখে যে কষ্ট তোমার হয়, সেই যন্ত্রণা এবং অনুভূতি থেকে নিজেকে মুক্ত করো। অন্যের যা আছে তা আকাঙ্ক্ষা করো না; তুমি জানো না তার মূল্য কত। তোমার প্রপঞ্চের যা আছে তা ঈর্ষা করো না, কারণ এটি ঈশ্বরকে খুশি করে না।
ভালোবাসার ক্ষেত্রে কারও প্রতি ঈর্ষা করা বা অন্যের সম্পত্তির প্রতি ঈর্ষা করা এমন একটি রোগের মতো যা তোমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে ফেলে। "প্রশান্ত চিত্ত শরীরের জন্য জীবন, কিন্তু ক্রোধ হাড়ের জন্য ক্ষয়" (হিতোপদেশ ১৪:৩০)। যাকোবের পুস্তকে, ঈশ্বর বলেন: "কিন্তু যদি তোমাদের অন্তরে তিক্ত ঈর্ষা এবং বিবাদ থাকে, তবে গর্ব করো না এবং সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলো না। কারণ এই প্রজ্ঞা উপর থেকে আসে না, বরং এটা পার্থিব, প্রাণীক, শয়তানীয়। কারণ যেখানে ঈর্ষা এবং বিবাদ আছে, সেখানে অশান্তি এবং সব ধরনের দুষ্কর্ম আছে।"
প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি মহৎ অন্তর্জ্বালায় সিয়োনের জন্য জ্বলিয়াছি, আর আমি তাহার জন্য মহাক্রোধে জ্বলিয়াছি।
তুমি আমাকে মোহরের ন্যায় তোমার হৃদয়ে, মোহরের ন্যায় তোমার বাহুতে রাখ; কেননা প্রেম মৃত্যুর ন্যায় বলবান; অন্তর্জ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর; তাহার শিখা অগ্নির শিখা, তাহা সদাপ্রভুরই অগ্নি।
যাকোব তাঁহার পিতা হইতে আশীর্বাদ পাইয়াছিলেন বলিয়া এষৌ যাকোবকে দ্বেষ করিতে লাগিলেন। আর এষৌ মনে মনে কহিলেন, আমার পিতৃশোকের কাল প্রায় উপস্থিত, তৎপরে আমার ভাই যাকোবকে বধ করিব।
রাহেল যখন দেখিলেন, তাঁহা হইতে যাকোবের সন্তান জন্মে নাই, তখন তিনি ভগিনীর প্রতি ঈর্ষা করিলেন, ও যাকোবকে কহিলেন, আমাকে সন্তান দেও, নতুবা আমি মরিব।
কিন্তু পিতা তাহার সকল ভ্রাতা অপেক্ষা তাহাকে অধিক ভালবাসেন, ইহা দেখিয়া তাহার ভ্রাতৃগণ তাহাকে দ্বেষ করিত, তাহার সঙ্গে প্রণয়ভাবে কথা কহিতে পারিত না।
কিন্তু যিহূদীরা লোকসমারোহ দেখিয়া ঈর্ষাতে পরিপূর্ণ হইল, এবং নিন্দা করিতে করিতে পৌলের কথার প্রতিবাদ করিতে লাগিল।
এমন কি, এখনও তোমাদের শক্তি হয় নাই, কারণ এখনও তোমরা মাংসিক রহিয়াছ; বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রহিয়াছে, তখন তোমরা কি মাংসিক নও, এবং মনুষ্যের রীতিক্রমে কি চলিতেছ না?
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।যাচ্ঞা করিতেছ, তথাপি ফল পাইতেছ না; কারণ মন্দ ভাবে যাচ্ঞা করিতেছ, যেন আপন আপন সুখাভিলাষে ব্যয় করিতে পার।
যেহেতু অন্তর্জ্বালা স্বামীর চণ্ডতা, প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করিবে না;সে কোন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত গ্রাহ্য করিবে না, অনেক উৎকোচ দিলেও সম্মত হইবে না।
পরে আমি সমস্ত পরিশ্রম ও সমস্ত কার্যকৌশল দেখিয়া বুঝিলাম, ইহাতে মনুষ্য প্রতিবাসীর ঈর্ষাভাজন হয়; ইহাও অসার ও বায়ুর অনুধাবন মাত্র।
তোমার বচনানুসারে আমাকে ধারণ কর, তাহাতে বাঁচিব, আমাকে নিজ আশার সম্বন্ধে লজ্জিত হইতে দিও না।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
তোমরা শুনিয়াছ, পূর্বকালের লোকদের নিকটে উক্ত হইয়াছিল, “তুমি নরহত্যা করিও না,” আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে’।কিন্তু আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যে কেহ আপন ভ্রাতার প্রতি ক্রোধ করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে; আর যে কেহ আপন ভ্রাতাকে বলে, ‘রে নির্বোধ,’ সে মহাসভার দায়ে পড়িবে। আর যে কেহ বলে, ‘রে মূঢ়,’ সে অগ্নিময় নরকের দায়ে পড়িবে।
তুমি অন্য দেবতার কাছে প্রণিপাত করিও না, কেননা সদাপ্রভু স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী নাম ধারণ করেন; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
আর ইফ্রয়িমের ঈর্ষা দূর হইবে, ও যাহারা যিহূদাকে ক্লেশ দেয়, তাহারা উচ্ছিন্ন হইবে; ইফ্রয়িম যিহূদার উপর ঈর্ষা করিবে না, ও যিহূদা ইফ্রয়িমকে ক্লেশ দিবে না।
তুমি দুর্বৃত্ত লোকদের উপরে ঈর্ষা করিও না, তাহাদের সঙ্গে থাকিতেও বাসনা করিও না।সঙ্কটের দিনে যদি অবসন্ন হও, তবে তোমার শক্তি সঙ্কুচিত।তাহাদিগকে উদ্ধার কর, যাহারা মৃত্যুর কাছে নীত হইতেছে, যাহারা কাঁপিতে কাঁপিতে বধ্যভূমিতে যাইতেছে, আহা! তাহাদিগকে রক্ষা কর।যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তৌল করেন, তিনি কি তাহা বুঝেন না? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহা জানিতে পারেন না? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কর্মানুযায়ী ফল দিবেন না?হে বৎস, মধু খাও, যেহেতু তাহা উত্তম, মধুর চাক খাও, তাহা তোমার রসনায় মিষ্ট লাগে;জানিও, তোমার প্রাণের পক্ষে প্রজ্ঞা তদ্রূপ; তাহা পাইলে শেষ ফল হইবে, তোমার আশা ছিন্ন হইবে না।রে দুষ্ট, তুমি ধার্মিকের নিবাসের বিরুদ্ধে ঘাঁটি বসাইও না, তাহার শয়ন-স্থান নষ্ট করিও না।কেননা ধার্মিক সাত বার পড়িলেও আবার উঠে; কিন্তু দুষ্টেরা দুর্যোগে নিপাতিত হইবে।তোমার শত্রুর পতনে আনন্দ করিও না, সে নিপাতিত হইলে তোমার চিত্ত উল্লসিত না হউক;পাছে সদাপ্রভু তাহা দেখিয়া অসন্তুষ্ট হন, এবং তাহার উপর হইতে আপন ক্রোধ ফিরান।তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; দুষ্টগণের প্রতি ঈর্ষা করিও না।কেননা তাহাদের চিত্ত অপহারের কল্পনা করে, তাহাদের ওষ্ঠাধর অনিষ্টের কথা কহে।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
তাহাদের প্রেম, তাহাদের দ্বেষ ও তাহাদের ঈর্ষা সকলই বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে; সূর্যের নিচে যে কোন কার্য করা যায়, তাহাতে কোন কালেও তাহাদের আর কোন অধিকার হইবে না।
আমি তাহা বুঝিবার জন্য চিন্তা করিলাম, কিন্তু তাহা আমার দৃষ্টিতে কষ্টকর হইল,যাবৎ আমি ঈশ্বরের ধর্মধামে প্রবেশ না করিলাম, ও তাহাদের শেষ ফল বিবেচনা না করিলাম।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
আর হেবলও আপন পালের প্রথমজাত কয়েকটি পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন;কিন্তু কয়িনকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন না; এই নিমিত্ত কয়িন অতিশয় ক্রুদ্ধ হইল, তাহার মুখ বিষণ্ন হইল।
তোমার শত্রু যদি ক্ষুধিত হয়, তাহাকে অন্ন ভোজন করাও; যদি সে পিপাসিত হয়, তাহাকে জল পান করাও;কেননা তুমি তাহার মস্তকে জ্বলন্ত অঙ্গার রাশি করিয়া রাখিবে, আর সদাপ্রভু তোমাকে পুরস্কার দিবেন।
কিন্তু প্রত্যেক জন নিজ নিজ কর্মের পরীক্ষা করুক, তাহা হইলে সে কেবল আপনার কাছে শ্লাঘা করিবার হেতু পাইবে, অপরের কাছে নয়;
অবশেষে বলি, তোমরা সকলে সমমনা, পরদুঃখে দুঃখিত, ভ্রাতৃপ্রেমিক, স্নেহবান ও নম্রমনা হও।মন্দের পরিশোধে মন্দ করিও না, এবং নিন্দার পরিশোধে নিন্দা করিও না; বরং আশীর্বাদ কর, কেননা আশীর্বাদের অধিকারী হইবার নিমিত্তই তোমরা আহূত হইয়াছ।
কোন মন্দ বিষয়ে আমার চিত্তকে প্রবৃত্ত হইতে দিও না, আমি যেন অধর্মাচারী লোকদের সহিত দুষ্ক্রিয়ায় ব্যাপৃত না হই, এবং উহাদের সুস্বাদু ভক্ষ্য ভোজন না করি।
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
তোমাদের মধ্যে কোথা হইতে যুদ্ধ ও কোথা হইতে বিবাদ উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে সকল সুখাভিলাষ যুদ্ধ করে, সেই সকল হইতে কি নয়?প্রভুর সাক্ষাতে নত হও, তাহাতে তিনি তোমাদিগকে উন্নত করিবেন।হে ভ্রাতৃগণ, পরস্পর পরিবাদ করিও না; যে ব্যক্তি ভ্রাতার পরিবাদ করে, কিম্বা ভ্রাতার বিচার করে, সে ব্যবস্থার পরিবাদ করে ও ব্যবস্থার বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি ব্যবস্থার বিচার কর, তবে ব্যবস্থার পালনকারী না হইয়া বিচারকর্তা হইয়াছ।একমাত্র ব্যবস্থাপক ও বিচারকর্তা আছেন, তিনিই পরিত্রাণ করিতে ও বিনষ্ট করিতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবাসীর বিচার কর?এখন দেখ, তোমাদের কেহ কেহ বলে, অদ্য কিম্বা কল্য, আমরা অমুক নগরে যাইব, এবং সেখানে এক বৎসর যাপন করিব, বাণিজ্য করিব ও লাভ করিব।তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না; তোমাদের জীবন কি প্রকার? তোমরা ত বাষপস্বরূপ, যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।উহার পরিবর্তে বরং ইহা বল, ‘প্রভুর ইচ্ছা হইলেই আমরা বাঁচিয়া থাকিব, এবং এ কাজটি বা ও কাজটি করিব’।কিন্তু এখন তোমরা আপন আপন দর্পে শ্লাঘা করিতেছ; এই প্রকারের সমস্ত শ্লাঘা মন্দ।বস্তুতঃ যে কেহ সৎকর্ম করিতে জানে, অথচ না করে, তাহার পাপ হয়।তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
কিন্তু তোমরা যদি পরস্পর দংশন ও গ্রাস কর, তবে দেখিও, যেন পরসপরের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হও।
যে বাক্য সম্বরণ করে, সে জ্ঞানবান; আর যে শীতলাত্মা, সে বুদ্ধিমান।মূর্খও নীরব থাকিলে জ্ঞানবান বলিয়া গণিত হয়; যে ওষ্ঠাধর বদ্ধ রাখে, সে বুদ্ধিমান [বলিয়া গণিত]।
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
কিন্তু তুমি কেন তোমার ভ্রাতার বিচার কর? কেনই বা তুমি তোমার ভ্রাতাকে তুচ্ছ কর? আমরা সকলেই ত ঈশ্বরের বিচারাসনের সম্মুখে দাঁড়াইব।
তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র্র্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
কোপন স্বভাব লোকের সহিত বন্ধুত্ব করিও না, ক্রোধীর সঙ্গে যাতায়াত করিও না;পাছে তুমি তাহার আচরণ শিক্ষা কর, আপন প্রাণের জন্য ফাঁদ প্রস্তুত কর।
আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এইরূপ করিবেন, যদি তোমরা প্রতিজন অন্তঃকরণের সহিত আপন আপন ভ্রাতাকে ক্ষমা না কর।
রাহেল যখন দেখিলেন, তাঁহা হইতে যাকোবের সন্তান জন্মে নাই, তখন তিনি ভগিনীর প্রতি ঈর্ষা করিলেন, ও যাকোবকে কহিলেন, আমাকে সন্তান দেও, নতুবা আমি মরিব।তাহাতে লেয়ার দাসী সিল্পা যাকোবের জন্য এক পুত্র প্রসব করিল।তখন লেয়া কহিলেন, সৌভাগ্য হইল; আর তাহার নাম গাদ [সৌভাগ্য] রাখিলেন।পরে লেয়ার দাসী সিল্পা যাকোবের জন্য দ্বিতীয় পুত্র প্রসব করিল।তখন লেয়া কহিলেন, আমি ধন্যা, যুবতীগণ আমাকে ধন্যা বলিবে; আর তিনি তাহার নাম আশের [ধন্য] রাখিলেন।আর গম কাটিবার সময়ে রূবেণ বাহিরে গিয়া ক্ষেত্রে দূদাফল পাইয়া আপন মাতা লেয়াকে আনিয়া দিল; তাহাতে রাহেল লেয়াকে কহিলেন, তোমার পুত্রের কতকগুলি দূদাফল আমাকে দেও না।তাহাতে তিনি কহিলেন, তুমি আমার স্বামীকে হরণ করিয়াছ, ইহা কি ক্ষুদ্র বিষয়? আমার পুত্রের দূদাফলও কি হরণ করিবে? তখন রাহেল কহিলেন, তবে তোমার পুত্রের দূদাফলের পরিবর্তে তিনি অদ্য রাত্রিতে তোমার সহিত শয়ন করিবেন।পরে সন্ধ্যাকালে ক্ষেত্র হইতে যাকোবের আগমনের সময়ে লেয়া বাহিরে তাঁহার কাছে গিয়া কহিলেন, আমার কাছে আসিতে হইবে, কেননা আমি আপন পুত্রের দূদাফল দিয়া তোমাকে ভাড়া করিয়াছি; তাই সেই রাত্রিতে তিনি তাঁহার সহিত শয়ন করিলেন।আর ঈশ্বর লেয়ার প্রার্থনা শ্রবণ করাতে তিনি গর্ভবতী হইয়া যাকোবের জন্য পঞ্চম পুত্র প্রসব করিলেন।তখন লেয়া কহিলেন, আমি স্বামীকে আপন দাসী দিয়াছিলাম, তাহার বেতন ঈশ্বর আমাকে দিলেন; আর তিনি তাহার নাম ইষাখর্ [বেতন] রাখিলেন।পরে লেয়া পুনর্বার গর্ভধারণ করিয়া যাকোবের জন্য ষষ্ঠ পুত্র প্রসব করিলেন।তাহাতে রাহেলের প্রতি যাকোবের ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল; তিনি কহিলেন, আমি কি ঈশ্বরের প্রতিনিধি? তিনিই তোমাকে গর্ভফল দিতে অস্বীকার করিয়াছেন।
কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
আর, হে প্রভু, আমাদের প্রতিবাসিগণ যে তিরস্কারে তোমাকে তিরস্কার করিয়াছে, তাহার সাত গুণ পরিশোধ তাহাদের কোলে ফিরাইয়া দেও।
তাহারা যে সযত্নে তোমাদের অন্বেষণ করিতেছে, তাহা ভাল ভাবে করে না; বরং তাহারা তোমাদিগকে বাহিরে রাখিতে চায়, যেন তোমরা সযত্নে তাহাদেরই অন্বেষণ কর।
তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে, তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন, আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই।
[আমার] দক্ষিণে নিরীক্ষণ করিয়া দেখ, আমাকে চিনে এমন কেহই নাই, আমার আশ্রয় বিনষ্ট হইল; কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে না।
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”
মৃত মক্ষিকাদের দ্বারা বণিকের সুগন্ধি তৈল দুর্গন্ধ হয় ও মাতিয়া উঠে; প্রজ্ঞা ও সম্মান অপেক্ষা যৎকিঞ্চিৎ অজ্ঞানতা গুরুভার।
প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
পাছে তিক্ততার কোন মূল অঙ্কুরিত হইয়া তোমাদিগকে উৎপীড়িত করে, এবং ইহাতে অধিকাংশ লোক দূষিত হয়;
কিন্তু যাহারা ধনী হইতে বাসনা করে, তাহারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানাবিধ মূঢ় ও হানিকর অভিলাষে পতিত হয়, সেই সকল মনুষ্যদিগকে সংহারে ও বিনাশে মগ্ন করে।
যে কেহ আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে নরঘাতক; এবং তোমরা জান, অনন্ত জীবন কোন নরঘাতকের অন্তরে অবস্থিতি করে না।
কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ও মিথ্যা কহিও না।
কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
হে সদাপ্রভু, আর কতকাল তুমি নিরন্তর ক্রুদ্ধ থাকিবে? তোমার অন্তর্জ্বালা কি অগ্নির ন্যায় জ্বলিবে?
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;