ইর্ষা এমন একটা অনুভূতি যা তোমাকে মুক্ত আর পূর্ণ জীবন উপভোগ করতে দেয় না। অন্যের যা আছে তা না থাকার কারণে এই অনুভূতি তোমার মনে গভীর দুঃখের সৃষ্টি করতে পারে। এটাকে একটা অসুস্থ বাসনাও বলা যায়, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হও তুমি নিজেই। দুনিয়াতে তুমি সবসময় এমন মানুষ দেখবে যারা এই অসন্তুষ্টির অনুভূতিতে ভোগে। তারা সুখী নয় এবং তাদের হৃদয় সৃষ্টিকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞতায় ভরা থাকে। ঈশ্বর তাদের জন্য যতই কিছু করুন না কেন, তারা অন্যের প্রতি লোভ করে। কখনও কখনও, তারা এতটাই ইর্ষান্বিত হয় যে তারা প্রতিবেশীর উন্নতি চায় না।
অনেকে ইর্ষাকে তুচ্ছ মনে করতে পারে, কিন্তু তারা ভুলে যায় যে একটা ছোট্ট অমূলক বাসনা কীভাবে একটা রোগে পরিণত হতে পারে, যা একজন মানুষকে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে পাপ কাজে প্ররোচিত করে। যদি তুমি এই ধরণের বাধা বয়ে বেড়াচ্ছ, আমি তোমাকে যীশুর কাছে প্রার্থনা করার জন্য আহ্বান জানাই যাতে তুমি সত্যিকার অর্থে পবিত্র হতে পারো এবং মুক্ত জীবন যাপন করতে পারো। ইর্ষা একটা ভারী বোঝা যা পিতা চান না তুমি বহন করো।
প্রতিবেশীর যা আছে তা লোভ করো না, তোমার চারপাশের মানুষের আশীর্বাদ দেখে দুঃখ করো না। তোমাকে শুধু যীশু খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হতে হবে, যিনি আশীর্বাদের উৎস। বাইবেলে ইর্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ঈশ্বর এই ধরণের আচরণ পছন্দ করেন না। বরং বলা হয়েছে: "আমরা দিনের মত আচরণ করি, সততার সঙ্গে; পেটুকামি ও মদ্যপানে নয়, ব্যভিচার ও লম্পটতায় নয়, কলহ ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, এবং মাংসের বাসনার জন্য কোন প্রস্তুতি নাও না" (রোমীয় ১৩:১৩-১৪)।
শাস্ত্র আমাদের বলে যে ইর্ষা মাংসের কাজ এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় হল পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ জীবন যাপন করা। আজ তুমি যে কারণে অগ্রগতি করতে পারছ না তা হল তুমি পবিত্র আত্মাকে তোমার জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে দাওনি। আমি তোমাকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন তুমি পবিত্র আত্মার দ্বারা নিজেকে গড়ে তুলো, যাতে তুমি সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হতে পারো এবং তোমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত শান্তিতে উপভোগ করতে পারো।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
কেননা পূর্বে আমরাও নির্বোধ, অবাধ্য, ভ্রান্ত, নানাবিধ অভিলাষের ও সুখভোগের দাস, হিংসাতে ও মাৎসর্যে কালক্ষেপকারী, ঘৃণার্হ ও পরস্পর দ্বেষকারী ছিলাম।
সত্য, কেহ কেহ, এমন কি, মাৎসর্য ও বিবাদেচ্ছা প্রযুক্ত, আর কেহ কেহ সুবাসনা প্রযুক্ত খ্রীষ্টকে প্রচার করিতেছে।
তোমার প্রতিবাসীর গৃহে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর স্ত্রীতে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গরুতে কি গর্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না।
অতএব তোমরা সমস্ত দুষ্টতা ও সমস্ত ছল এবং কপটতা ও মাৎসর্য ও সমস্ত পরিবাদ ত্যাগ করিয়া,পূর্বে তোমরা “প্রজা ছিলে না, কিন্তু এখন ঈশ্বরের প্রজা হইয়াছ; দয়াপ্রাপ্ত ছিলে না কিন্তু এখন দয়া পাইয়াছ।” প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।আর পরজাতীয়দের মধ্যে আপন আপন আচার-ব্যবহার উত্তম করিয়া রাখ; তাহা হইলে তাহারা যে বিষয়ে দুষ্কর্মকারী বলিয়া তোমাদের পরিবাদ করে, স্বচক্ষে তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিলে সেই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের দিনে ঈশ্বরের গৌরব করিবে।তোমরা প্রভুর জন্য মানব-সৃষ্ট সমস্ত নিয়োগের বশীভূত হও, রাজার বশীভূত হও, তিনি প্রধান;দেশাধ্যক্ষদের বশীভূত হও, তাঁহারা দুরাচারদের প্রতিফল দিবার নিমিত্ত ও সদাচারদের প্রশংসার নিমিত্ত তাঁহার দ্বারা প্রেরিত।কেননা ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, যেন এইরূপে তোমরা সদাচরণ করিতে করিতে নির্বোধ মনুষ্যদের অজ্ঞানতাকে নিরুত্তর কর।আপনাদিগকে স্বাধীন জানিও; আর স্বাধীনতাকে দুষ্টতার আবরণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে ঈশ্বরের দাস জানিও।সকলকে সমাদর কর, ভ্রাতৃসমাজকে প্রেম কর, ঈশ্বরকে ভয় কর, রাজাকে সমাদর কর।হে দাসগণ, তোমরা সম্পূর্ণ ভয়ের সহিত আপন আপন মনিবদের বশীভূত হও; কেবল সজ্জন ও শান্ত মনিবদের নয়, কিন্তু কুটিল মনিবদেরও বশীভূত হও।কেননা কেহ যদি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বিবেক প্রযুক্ত অন্যায় ভোগ করিয়া দুঃখ সহ্য করে, তবে তাহাই সাধুবাদের বিষয়।নবজাত শিশুদের ন্যায় সেই পারমার্থিক অমিশ্রিত দুগ্ধের লালসা কর, যেন তাহার গুণে পরিত্রাণের জন্য বৃদ্ধি পাও,
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।
প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,
কিন্তু পিতা তাহার সকল ভ্রাতা অপেক্ষা তাহাকে অধিক ভালবাসেন, ইহা দেখিয়া তাহার ভ্রাতৃগণ তাহাকে দ্বেষ করিত, তাহার সঙ্গে প্রণয়ভাবে কথা কহিতে পারিত না।
আর ইফ্রয়িমের ঈর্ষা দূর হইবে, ও যাহারা যিহূদাকে ক্লেশ দেয়, তাহারা উচ্ছিন্ন হইবে; ইফ্রয়িম যিহূদার উপর ঈর্ষা করিবে না, ও যিহূদা ইফ্রয়িমকে ক্লেশ দিবে না।
সদাপ্রভুর নিকটে নীরব হও, তাঁহার অপেক্ষায় থাক; যে আপন পথে কৃতকার্য হয়, তাহার বিষয়ে, যে ব্যক্তি কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিষয়ে রুষ্ট হইও না।
তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না; তোমরা নরহত্যা ও ঈর্ষা করিতেছ, কিন্তু পাইতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করিয়া থাক, কিছু প্রাপ্ত হও না, কারণ তোমরা যাচ্ঞা কর না।যাচ্ঞা করিতেছ, তথাপি ফল পাইতেছ না; কারণ মন্দ ভাবে যাচ্ঞা করিতেছ, যেন আপন আপন সুখাভিলাষে ব্যয় করিতে পার।
দুষ্ট লোক তাহা দেখিয়া বিরক্ত হইবে; সে দন্ত ঘর্ষণ করিবে, ও গলিয়া যাইবে; দুষ্টগণের অভীষ্ট বিনষ্ট হইবে।
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
এমন কি, এখনও তোমাদের শক্তি হয় নাই, কারণ এখনও তোমরা মাংসিক রহিয়াছ; বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রহিয়াছে, তখন তোমরা কি মাংসিক নও, এবং মনুষ্যের রীতিক্রমে কি চলিতেছ না?
দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতিকূলে কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিরুদ্ধে দন্তঘর্ষণ করে।প্রভু তাহাকে উপহাস করিবেন, কেননা তিনি দেখেন, তাহার দিন আসিতেছে। দুষ্টেরা খড়্গ নিষ্কোষ ও ধনুক আকর্ষণ করিয়াছে,
তুমি অন্য দেবতার কাছে প্রণিপাত করিও না, কেননা সদাপ্রভু স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী নাম ধারণ করেন; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
তাহাদের প্রেম, তাহাদের দ্বেষ ও তাহাদের ঈর্ষা সকলই বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে; সূর্যের নিচে যে কোন কার্য করা যায়, তাহাতে কোন কালেও তাহাদের আর কোন অধিকার হইবে না।
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
কিন্তু তোমার চক্ষু যদি মন্দ হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর অন্ধকারময় হইবে। অতএব তোমার আন্তরিক দীপ্তি যদি অন্ধকার হয়, সেই অন্ধকার কত বড়!
কারণ আমার চিত্ত তাপিত হইল, আমার মর্ম বিদ্ধ হইল;আমি মূর্খ ও অজ্ঞান, তোমার কাছে পশুবৎ ছিলাম।
কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কামনা দ্বারা আকর্ষিত ও প্ররোচিত হইয়া পরীক্ষিত হয়।পরে কামনা সগর্ভা হইয়া পাপ প্রসব করে, এবং পাপ পরিপক্ব হইয়া মৃত্যুকে জন্ম দেয়।
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
কিন্তু তোমরা যদি পরস্পর দংশন ও গ্রাস কর, তবে দেখিও, যেন পরসপরের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হও।
কোন শত্রু যে আমাকে তিরস্কার করিয়াছে তাহা নয়, করিলে আমি তাহা সহিতে পারিতাম; বিদ্বেষীও আমার বিরুদ্ধে দর্প করে নাই, করিলে তাহা হইতে আপনাকে লুকাইতাম।কিন্তু, আমার সমকক্ষ মনুষ্য যে তুমি, আমার মিত্র ও আমার আত্মীয়, তুমিই তাহা করিয়াছ।আমরা একত্র হইয়া মধুর মন্ত্রণা করিতাম, আমরা সদলে ঈশ্বরের গৃহে গমন করিতাম।
তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; অধর্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না।আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই।কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতিকূলে কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিরুদ্ধে দন্তঘর্ষণ করে।প্রভু তাহাকে উপহাস করিবেন, কেননা তিনি দেখেন, তাহার দিন আসিতেছে। দুষ্টেরা খড়্গ নিষ্কোষ ও ধনুক আকর্ষণ করিয়াছে,যেন দুঃখী ও দরিদ্রকে নিপাত করিতে পারে, যেন সরলপথগামীদিগকে বধ করিতে পারে,তাহাদের খড়্গ তাহাদেরই হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, তাহাদের ধনুক ভাঙ্গিয়া যাইবে।ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল, বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।সদাপ্রভু সিদ্ধদের দিন সকল জানেন; তাহাদের অধিকার চিরকাল থাকিবে।তাহারা বিপদকালে লজ্জিত হইবে না, দুর্ভিক্ষের সময়ে তৃপ্ত হইবে।কেননা তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে।
কিন্তু তুমি কেন তোমার ভ্রাতার বিচার কর? কেনই বা তুমি তোমার ভ্রাতাকে তুচ্ছ কর? আমরা সকলেই ত ঈশ্বরের বিচারাসনের সম্মুখে দাঁড়াইব।
কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ও মিথ্যা কহিও না।সেই জ্ঞান এমন নয়, যাহা উপর হইতে নামিয়া আইসে এবং তাহা পার্থিব, প্রাণিক, পৈশাচিক।
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
আর পরজাতীয়দের মধ্যে আপন আপন আচার-ব্যবহার উত্তম করিয়া রাখ; তাহা হইলে তাহারা যে বিষয়ে দুষ্কর্মকারী বলিয়া তোমাদের পরিবাদ করে, স্বচক্ষে তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিলে সেই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের দিনে ঈশ্বরের গৌরব করিবে।
কিন্তু প্রত্যেক জন নিজ নিজ কর্মের পরীক্ষা করুক, তাহা হইলে সে কেবল আপনার কাছে শ্লাঘা করিবার হেতু পাইবে, অপরের কাছে নয়;
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায়, তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলিয়া দেও; কেননা তোমার সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।ধন্য যাহারা আত্মাতে দীনহীন, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাহাদেরই।আর তোমার দক্ষিণ হস্ত যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায়, তবে তাহা কাটিয়া দূরে ফেলিয়া দেও; কেননা তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।
আর এক অঙ্গ দুঃখ পাইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই দুঃখ পায়, এবং এক অঙ্গ গৌরব প্রাপ্ত হইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই আনন্দ করে।
পরে কালানুক্রমে কয়িন উপহার রূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভূমির ফল উৎসর্গ করিল।আর হেবলও আপন পালের প্রথমজাত কয়েকটি পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন;কিন্তু কয়িনকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন না; এই নিমিত্ত কয়িন অতিশয় ক্রুদ্ধ হইল, তাহার মুখ বিষণ্ন হইল।
আর যেমন তাহারা ঈশ্বরকে আপনাদের জ্ঞানে ধারণ করিতে সম্মত হয় নাই, তেমনি ঈশ্বর তাহাদিগকে অনুচিত ক্রিয়া করিতে ভ্রষ্ট মতিতে সমর্পণ করিলেন।
তোমাদের মধ্যে কোথা হইতে যুদ্ধ ও কোথা হইতে বিবাদ উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে সকল সুখাভিলাষ যুদ্ধ করে, সেই সকল হইতে কি নয়?
ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল, বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
পরদার পুরুষ বুদ্ধিবিহীন, সে তাহা করিয়া আপনার প্রাণ আপনি নষ্ট করে।সে আঘাত ও অবমাননা পাইবে; তাহার দুর্নাম কখনও ঘুচিবে না।যেহেতু অন্তর্জ্বালা স্বামীর চণ্ডতা, প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করিবে না;সে কোন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত গ্রাহ্য করিবে না, অনেক উৎকোচ দিলেও সম্মত হইবে না।
কারণ “ব্যভিচার করিও না, নরহত্যা করিও না, চুরি করিও না, লোভ করিও না,” এবং আর যে কোন আজ্ঞা থাকুক, সেই সকল এই বচনে সঙ্কলিত হইয়াছে, “প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিও।”
কেননা অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চৌর্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।
অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;
বৃথাই তোমরা প্রত্যুষে উঠ ও বিলম্বে শয়ন কর, এবং পরিশ্রমের খাদ্য ভক্ষণ কর, তিনি আপন প্রিয়পাত্রকে নিদ্রাযোগে এইরূপে দেন।
আমিও তাহাদের নানা মায়া মনোনীত করিব, এবং তাহাদের নিজ ত্রাসের বিষয় তাহাদের প্রতি ঘটাইব; কারণ আমি ডাকিলে কেহ উত্তর দিত না, আমি কথা কহিলে তাহারা শুনিত না, কিন্তু আমার দৃষ্টিতে যাহা মন্দ তাহাই সাধন করিত, এবং যাহাতে আমার প্রীতি নাই তাহাই মনোনীত করিত।
যেমন লিখিত আছে, “ধার্মিক কেহই নাই, একজনও নাই,বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই।সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা এক সঙ্গে অকর্মণ্য হইয়াছে; সৎকর্ম করে এমন কেহই নাই, একজনও নাই।
পরীক্ষার সময়ে কেহ না বলুক, ঈশ্বর হইতে আমার পরীক্ষা হইতেছে; কেননা মন্দ বিষয়ের দ্বারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করা যাইতে পারে না, আর তিনি কাহারও পরীক্ষা করেন না;কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কামনা দ্বারা আকর্ষিত ও প্ররোচিত হইয়া পরীক্ষিত হয়।পরে কামনা সগর্ভা হইয়া পাপ প্রসব করে, এবং পাপ পরিপক্ব হইয়া মৃত্যুকে জন্ম দেয়।
কিন্তু তোমাদের হৃদয়ে যদি তিক্ত ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা রাখ, তবে সত্যের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না ও মিথ্যা কহিও না।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
পরে আমি সমস্ত পরিশ্রম ও সমস্ত কার্যকৌশল দেখিয়া বুঝিলাম, ইহাতে মনুষ্য প্রতিবাসীর ঈর্ষাভাজন হয়; ইহাও অসার ও বায়ুর অনুধাবন মাত্র।