আপনার বয়স, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থান যা-ই হোক, অহংকার আমাদের সবাইকেই কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করে। বাইবেলে অহংকারের ফাঁদে পা দেওয়ার বিপদ সম্পর্কে অনেক কথা বলা আছে, যা আমাদেরকে এই বিষয়টি ভালো করে চিন্তা করতে সাহায্য করে।
উপদেশক গ্রন্থে জ্ঞানী সলোমন জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব এবং ধন-সম্পদ ও পার্থিব সম্মান লাভের অর্থহীনতা সম্পর্কে বলেছেন। তিনি আমাদেরকে ঈশ্বরের উপর আমাদের আশা এবং বিশ্বাস স্থাপন করতে উৎসাহিত করেছেন, কারণ আমাদের সব সম্পত্তি এবং উপলব্ধি ক্ষণস্থায়ী এবং অনন্তকালে তার কোনো মূল্য থাকবে না।
নতুন নিয়মেও যীশু আমাদের অনন্ত এবং চিরন্তন বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্ব শিখিয়েছেন, অন্যদের প্রশংসা এবং স্বীকৃতি অর্জনের চেয়ে এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তাঁর বাক্যের মাধ্যমে আমাদের সত্যিকারের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে এবং ঈশ্বর এবং আমাদের প্রতিবেশীকে ভালোবাসার উপর কেন্দ্রীভূত একটি অর্থপূর্ণ জীবন যাপন করতে সাহায্য করেন।
অহংকার আমাদেরকে নম্রতা থেকে দূরে সরিয়ে নেয় এবং আমাদের নিজেদের মহিমা অর্জনের জন্য প্ররোচিত করে, অন্যদের প্রতি ভালোবাসা এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা ভুলে যাই।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; ইহাও অসার।
অতএব তোমার হৃদয় হইতে বিরক্তি দূর কর, শরীর হইতে দুঃখ অপসারণ কর, কেননা তরুণ বয়স ও জীবনের অরুণোদয়কাল অসার।
অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
পরে আমি সমস্ত পরিশ্রম ও সমস্ত কার্যকৌশল দেখিয়া বুঝিলাম, ইহাতে মনুষ্য প্রতিবাসীর ঈর্ষাভাজন হয়; ইহাও অসার ও বায়ুর অনুধাবন মাত্র।
আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়,কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
হে মানব-সন্তানগণ কতকাল আমার সম্মান অপমানে পরিণত করিবে, অলীকতা ভালবাসিবে, ও মিথ্যা কথার অন্বেষণ করিবে? [সেলা]
ইহার কারণ বাশার সমস্ত পাপ ও তাঁহার পুত্র এলার পাপাচার; তাঁহারা আপনারা পাপ করিয়াছিলেন, এবং ইস্রায়েলকেও পাপ করাইয়া ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে আপনাদের অসার প্রতিমার দ্বারা অসন্তুষ্ট করিয়াছিলেন।
আর তাঁহার বিধি সকল ও তাহাদের পিতৃপুরুষদের সহিত কৃত তাঁহার নিয়ম, ও তাহাদের কাছে প্রদত্ত তাঁহার সাক্ষ্য সকল অগ্রাহ্য করিয়াছিল; আর অসার বস্তুর অনুগামী হইয়া আপনারাও অসার হইয়াছিল; এবং সদাপ্রভু যাহাদের মত কর্ম করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন, সেই চতুর্দিকস্থ জাতিগণের অনুগামী হইয়াছিল।
দেখ, তুমি আমার আয়ু কতিপয় মুষ্টি পরিমিত করিয়াছ, আমার জীবনকাল তোমার দৃষ্টিতে অবস্তুবৎ; সত্য, প্রত্যেক মনুষ্য স্থিরীকৃত হইলেও নিতান্ত অসার। [সেলা]
বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে? কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্তে কি দিবে?
তুমি যখন অপরাধ প্রযুক্ত মনুষ্যকে ভর্ৎসনা দ্বারা শাসন কর, তখন কীটের ন্যায় তাহার সৌন্দর্য বিলীন করিয়া থাক; সত্য, প্রত্যেক মনুষ্য অসারমাত্র। [সেলা]
বাস্তবিকই ভক্তি, সন্তোষযুক্ত হইলে, মহালাভের উপায়,কেননা আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে আনি নাই, কিছুই সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতেও পারি না;
সামান্য লোকেরা বাষপমাত্র, মান্যবান লোকেরা মিথ্যা; তাহাদিগকে তৌল করিলে তাহারা উপরে উঠে; তাহাদের সর্বস্ব বাষপ অপেক্ষা লঘু।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, জ্ঞানবান আপন জ্ঞানের শ্লাঘা না করুক, বিক্রমী আপন বিক্রমের শ্লাঘা না করুক, ধনবান আপন ধনের শ্লাঘা না করুক।কিন্তু যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে এই বিষয়ের শ্লাঘা করুক যে, সে বুঝিতে পারে ও আমার এই পরিচয় পাইয়াছে যে, আমি সদাপ্রভু পৃথিবীতে দয়া, বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করি, কারণ ঐ সকলে আমি প্রীত, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
সামান্য লোকের উচ্চ দৃষ্টি অবনত হইবে, মান্য লোকদের গর্ব খর্ব হইবে, আর সেই দিন কেবল সদাপ্রভুই উন্নত হইবেন।
পরে তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সাবধান, সর্বপ্রকার লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সমপত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;
আমাকে উদ্ধার কর, সেই বিজাতি-সন্তানদের হস্ত হইতে রক্ষা কর, যাহাদের মুখ অলীক কথা কহে, যাহাদের দক্ষিণ হস্ত মিথ্যার দক্ষিণ হস্ত।
একজনের রব, সে বলিতেছে, ‘ঘোষণা কর,’ একজন কহিল, ‘কি ঘোষণা করিব?’ ‘মর্ত্যমাত্র তৃণস্বরূপ, তাহার সমস্ত কান্তি ক্ষেত্রস্থ পুষ্পের তুল্য।তৃণ শুষ্ক হইয়া যায়, পুষ্প ম্লান হইয়া পড়ে, কারণ তাহার উপরে সদাপ্রভুর নিশ্বাস বহে; সত্যই লোকেরা তৃণস্বরূপ।তৃণ শুষ্ক হইয়া যায়, পুষ্প ম্লান হইয়া পড়ে, কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য চিরকাল থাকিবে।’
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
আমি মনে মনে বলিলাম, ‘আইস, আমি একবার আমোদের দ্বারা তোমার পরীক্ষা করি, তুমি সুখভোগ কর;’ আর দেখ, তাহাও অসার।
তখন আমি মনে মনে বলিলাম, হীনবুদ্ধির প্রতি যাহা ঘটে, তাহাই ত আমার প্রতি ঘটে, তবে আমি কি নিমিত্ত অধিক জ্ঞানবান হইলাম? পরে আমি মনে মনে বলিলাম, ইহাও অসার।
পরে আমার হস্ত যে সকল কার্য করিত, যে পরিশ্রমে আমি পরিশ্রান্ত হইতাম, সেই সমস্তের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, সে সকলই অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র; সূর্যের নিচে কিছুই লাভ নাই।
সুতরাং আমি জীবনে বিরক্ত হইলাম; কেননা সূর্যের নিচে কৃত কার্য আমার ক্লেশদায়ক বোধ হইল; কারণ সকলই অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র।
আর যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে; আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
কিন্তু সদাপ্রভু শমূয়েলকে কহিলেন, তুমি উহার মুখশ্রীর বা কায়িক দীর্ঘতার প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না; কারণ আমি উহাকে অগ্রাহ্য করিলাম। কেননা মনুষ্য যাহা দেখে, তাহা কিছু নয়; যেহেতু মনুষ্য প্রত্যক্ষ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, কিন্তু সদাপ্রভু অন্তঃকরণের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।
তাহারা ত বাক্কৌশলে মনুষ্যকে দোষী করে, নগর-দ্বারে দোষবক্তার জন্য ফাঁদ পাতে, অকারণে ধার্মিকের প্রতি অন্যায় করে।
কেননা “মর্ত্যমাত্র তৃণের তুল্য ও তাহার সমস্ত কান্তি তৃণপুষ্পের তুল্য; তৃণ শুষ্ক হইয়া গেল, এবং পুষ্প ঝরিয়া পড়িল,কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর ইহা সেই সুসমাচারের বাক্য, যাহা তোমাদের নিকটে প্রচারিত হইয়াছে।
দেখ, উহারা সকলে, উহাদের কর্ম সকল অসার, অকিঞ্চন; উহাদের ছাঁচে ঢালা প্রতিমা সকল বায়ু ও অবস্তুমাত্র।
কেননা যাহারা মাংসের বশে আছে, তাহারা মাংসিক বিষয় ভাবে; কিন্তু যাহারা আত্মার বশে আছে, তাহারা আত্মিক বিষয় ভাবে।কারণ মাংসের ভাব মৃত্যু, কিন্তু আত্মার ভাব জীবন ও শান্তি।
সত্যই, উপপর্বতস্থ সমস্ত, গিরিস্থ লোকারণ্য মিথ্যামাত্র, সত্যই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে ইস্রায়েলের পরিত্রাণ।
কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার।রোপণের কাল ও রোপিত বীজ উৎপাটনের কাল;সকলেই এক স্থানে গমন করে, সকলেই ধূলি হইতে উৎপন্ন, এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।
কেননা জাতিগণের বিধি সকল অসার; লোকে বনে যে কাষ্ঠ ছেদন করে, তাহাই বাটালি সহকারে কারুকরের হস্তকৃত কর্ম হইয়া উঠে।
আমাদের আয়ুর পরিমাণ সত্তর বৎসর; বলযুক্ত হইলে আশি বৎসর হইতে পারে; তথাপি তাহাদের দর্প ক্লেশ ও দুঃখমাত্র, কেননা তাহা বেগে পলায়ন করে, এবং আমরা উড়িয়া যাই।
কেননা কে তোমাকে বিশিষ্ট করে? আর যাহা না পাইয়াছ, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পাইয়াছ, তখন যেন পাও নাই এইরূপ শ্লাঘা কেন করিতেছ?
তোমার ভাববাদিগণ তোমার নিমিত্ত অলীকতার ও মূর্খতার দর্শন পাইয়াছে, তাহারা তোমার বন্দিদশা ফিরাইবার জন্য তোমার অধর্ম ব্যক্ত করে নাই, কিন্তু তোমার নিমিত্ত অলীকতার ভাববাণী সকল ও নির্বাসনের বিষয় সকল দর্শন করিয়াছে।
কারণ ঈশ্বরকে জ্ঞাত হইয়াও তাহারা তাঁহাকে ঈশ্বর বলিয়া তাঁহার গৌরব করে নাই; ধন্যবাদও করে নাই; কিন্তু আপনাদের তর্কবিতর্কে অসার হইয়া পড়িয়াছে, এবং তাহাদের অবোধ হৃদয় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে।আপনাদিগকে বিজ্ঞ বলিয়া তাহারা মূর্খ হইয়াছে,
সে মাতৃগর্ভ হইতে উলঙ্গ আইসে; যেমন আইসে তেমনি উলঙ্গই পুনরায় চলিয়া যায়; পরিশ্রম করিলেও সে যাহা সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতে পারে, এমন কিছুই নাই।
কেহ আপনাকে ধনবান দেখায় কিন্তু তাহার কিছুই নাই; কেহ বা নিজেকে দরিদ্র দেখায় কিন্তু তাহার মহাধন আছে।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমাদের পিতৃপুরুষেরা আমার কি অন্যায় দেখিয়াছে যে, তাহারা আমা হইতে দূরে গিয়াছে, অসারতার অনুগামী হইয়া অসার হইয়াছে?
তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না; তোমাদের জীবন কি প্রকার? তোমরা ত বাষপস্বরূপ, যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।
তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।
কেননা যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে, আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
অতএব আমি এই বলিতেছি, ও প্রভুতে দৃঢ়রূপে আদেশ করিতেছি, তোমরা আর পরজাতীয়দের ন্যায় চলিও না; তাহারা আপন আপন মনের অসার ভাবে চলে;তাহারা চিত্তে অন্ধীভূত, ঈশ্বরের জীবনের বহির্ভূত হইয়াছে, আন্তরিক অজ্ঞানতা প্রযুক্ত, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হইয়াছে।
কারণ সে দেখে যে, জ্ঞানবানেরা মরে, হীনবুদ্ধি ও পশুবৎ লোক নির্বিশেষে বিনষ্ট হয়, তাহারা অন্যদের জন্য আপনাদের ধন রাখিয়া যায়।তাহাদের আন্তরিক ভাব এই, তাহাদের বাটী চিরস্থায়ী, তাহাদের বাসস্থান পুরুষানুক্রমে থাকিবে, তাহারা স্ব স্ব নামানুসারে ভূমির নাম রাখে।কিন্তু মনুষ্য ঐশ্বর্যশালী হইলেও স্থির থাকে না; সে নশ্বর পশুদের সদৃশ।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
তুমি যখন ক্রন্দন কর, তখন তোমার সঞ্চিত [পুত্তলিগণ] তোমাকে উদ্ধার করুক। কিন্তু বায়ু তাহাদিগকে উড়াইয়া লইবে, একটি নিশ্বাস সেই সকলকে লইয়া যাইবে; কিন্তু যে ব্যক্তি আমার শরণাপন্ন সে দেশাধিকার পাইবে, ও আমার পবিত্র পর্বত অধিকার করিবে।
কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
তবে “যে শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক;”কেননা আপনার প্রশংসা যে করে, সে নয়, কিন্তু প্রভু যাহার প্রশংসা করেন, সেই পরীক্ষাসিদ্ধ।
যাহাতে অসারতা বাড়ে, এমন অনেক কথা আছে, তাহাতে মানুষের কি উৎকর্ষ?বস্তুতঃ জীবনকালে মনুষ্যের মঙ্গল কি, তাহা কে জানে? তাহার অসার জীবনকাল ত সে ছায়ার ন্যায় যাপন করে; আর মনুষ্যের পরে সূর্যের নিচে কি ঘটিবে, তাহা তাহাকে কে জানাইতে পারে?
বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; এই কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
এই জন্য অহঙ্কার তাহাদের কন্ঠের হারবৎ, দৌরাত্ম্য বস্ত্রবৎ তাহাদিগকে আচ্ছাদন করে।তাহাদের চক্ষু মেদে ঠেলিয়া উঠে, তাহাদের মনের সঙ্কল্প অপরিমিত।
কিন্তু যাহা যাহা আমার লাভ ছিল, সেই সমস্ত খ্রীষ্টের নিমিত্ত ক্ষতি বলিয়া গণ্য করিলাম।আর বাস্তবিক আমার প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর জ্ঞানের শ্রেষ্ঠতা প্রযুক্ত আমি সকলই ক্ষতি বলিয়া গণ্য করিতেছি; তাঁহার নিমিত্ত সমস্তেরই ক্ষতি সহ্য করিয়াছি, এবং তাহা মলবৎ গণ্য করিতেছি, যেন খ্রীষ্টকে লাভ করি,
পৃথিবীতে এই অসারতা সাধিত হয়; এমন ধার্মিক লোক আছে, যাহাদের প্রতি দুষ্টদের কর্মানুযায়ী ফল ঘটে; আবার এমন দুষ্ট লোক আছে, যাহাদের প্রতি ধার্মিকদের কর্মানুযায়ী ফল ঘটে; আমি কহিলাম, ইহাও অসার।তখন আমি আমোদের প্রশংসা করিলাম, কেননা ভোজন পান ও আমোদ করণ ব্যতীত সূর্যের নিচে মানুষের আর ভাল কিছু নাই; সূর্যের নিচে ঈশ্বরদত্ত তাহার জীবনকালে উহাই তাহার পরিশ্রমে তাহার সহবর্তী হইবে।
যদি সদাপ্রভু গৃহ নির্মাণ না করেন, তবে নির্মাতারা বৃথাই পরিশ্রম করে; যদি সদাপ্রভু নগর রক্ষা না করেন, রক্ষক বৃথাই জাগরণ করে।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
আমি ফিরিলাম, ও সূর্যের নিচে দেখিলাম যে, দ্রুতগামীদের দ্রুতগমন, কি বীরদের যুদ্ধ, কি জ্ঞানবানদের অন্ন, কি বুদ্ধিমানদের ধন, কি বিজ্ঞদেরই অনুগ্রহলাভ হয়, এমন নয়, কিন্তু সকলের প্রতি কাল ও দৈব ঘটে।বাস্তবিক মনুষ্যও আপনার কাল জানে না; যেমন মৎস্যগণ সকল অশুভ জালে ধৃত হয়, কিম্বা যেমন পক্ষিগণ ফাঁদে ধৃত হয়, তেমনি মনুষ্য-সন্তানেরা অশুভকালে ধরা পড়ে, তাহা ত হঠাৎ তাহাদের উপরে পড়িয়া থাকে।
আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
তুমি ভীত হইও না, যখন কেহ ধনবান হয়, যখন তাহার কুলের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়,কেননা মরণকালে সে কিছুই সঙ্গে লইয়া যাইবে না, তাহার ঐশ্বর্য তাহার অনুগমন করিবে না।
দেখ, জাতিগণ কলসের একটি জলবিন্দুর তুল্য, আর পাল্লাতে লগ্ন ধূলিকণার ন্যায় গণ্য; দেখ, তিনি দ্বীপ সকলকে একটি পরমাণুর ন্যায় তুলেন।আর জ্বাল দিবার নিমিত্তে লিবানোনে, হোমবলির নিমিত্ত তাহার জন্তু সকলে কুলায় না।তাঁহার সম্মুখে সমস্ত জাতি অবস্তুবৎ, তিনি তাহাদিগকে অসার ও শূন্য জ্ঞান করেন।
অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর উপর হইতে আইসে, জ্যোতির্গণের সেই পিতা হইতে নামিয়া আইসে, যাঁহাতে অবস্থান্তর কিম্বা পরিবর্তনের ছায়া নাই।
‘দেখ, ঐ ব্যক্তি ঈশ্বরকে আপন বল করিত না, সে আপনার ধনবাহুল্যে নির্ভর করিত; সে দুষ্টতায় আপনাকে বলবান করিত।’
আর ঐ গৌরবে ও উৎকর্ষে তিনি আমাদিগকে মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞা সকল প্রদান করিয়াছেন, যেন তদ্দ্বারা তোমরা অভিলাষমূলক সংসারব্যাপী ক্ষয় হইতে পলায়ন করিয়া, ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান;তাহা কর্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা না করে।
আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
কিন্তু আমি কহিলাম, আহা! আমি পণ্ডশ্রম করিয়াছি, শূন্যতার ও অসারতার জন্য আপন শক্তি ব্যয় করিয়াছি; নিশ্চয়ই আমার বিচার সদাপ্রভুর কাছে, ও আমার শ্রমের ফল আমার ঈশ্বরের কাছে রহিয়াছে।
কোন ভৃত্য দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না, কেননা সে হয় একজনকে ঘৃণা করিবে, অন্যকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনে অনুরক্ত হইবে, অন্যকে তুচ্ছ করিবে। তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারিবে।সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য করি নাই?তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।
কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়, প্রচণ্ড, সদ্বিদ্বেষী,বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে।
সেই লোকসমূহের, যাহাদের উপরে সে অধ্যক্ষ ছিল, তাহাদের সকলের সীমা নাই; তথাপি উত্তরকালীন লোকেরা সেই ব্যক্তিতে আনন্দ করিবে না। বস্তুতঃ ইহাও অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র।
যেহেতু আমি জানি যে আমাতে, অর্থাৎ আমার মাংসে, উত্তম কিছুই বাস করে না; আমার ইচ্ছা উপস্থিত বটে, কিন্তু উত্তম ক্রিয়া সাধন উপস্থিত নয়।
মর্ত্য, তাহার আয়ু তৃণ সদৃশ; যেমন মাঠের পুষ্প, তেমনি সে প্রফুল্ল হয়।তাহার উপর দিয়া বায়ু বহিলেই সে আর নাই, তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না।
আইস, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্তব্য। কারণ ঈশ্বর সমস্ত কর্ম এবং ভাল হউক, কি মন্দ হউক, সমস্ত গুপ্ত বিষয়, বিচারে আনিবেন।