ভাবো, গীতসংহিতা ৫:৪ পদে লেখা আছে, "তুমি এমন ঈশ্বর নও যিনি মন্দকে পছন্দ করেন; দুষ্ট লোক তোমার কাছে থাকতে পারবে না।" আমাদের জীবনে ঈশ্বরের বাক্যের উপর ধ্যান করা কত জরুরি, তাই না? এতেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য সব নির্দেশনা পাওয়া যায়। আমরা যদি সুন্দর সময় কাটাতে চাই, তাহলে ঈশ্বরের আজ্ঞা ও বিধি অনুযায়ী চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইবেলে আমাদের জন্য যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত।
তাই, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে যা ভুল, তা থেকে নিজেকে দূরে রাখো। তোমার পথ সোজা করো এবং ঈশ্বরের বাণীকে তোমাকে তাঁর সত্যের পথে পরিচালিত করতে দাও। কারণ তিনি মানুষের মন্দতা ঘৃণা করেন। তোমার পুরো মন দিয়ে চেষ্টা করো যাতে তোমার মধ্যে কোনো পাপাচার না থাকে। বরং ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করো এবং তোমার পাপের জন্য অনুতপ্ত হও। কারণ তাঁর করুণা তোমার আত্মাকে বাঁচাতে, তোমাকে শুদ্ধ করতে এবং পুনরুদ্ধার করতে চায়, যাতে তুমি তাঁর সামনে সুগন্ধির মতো জীবন যাপন করতে পারো।
বিনয় করি, দুষ্টগণের দুষ্টতা শেষ হউক, কিন্তু তুমি ধার্মিককে সুস্থির কর; ধর্মময় ঈশ্বর ত অন্তঃকরণ ও মর্মের পরীক্ষক।
এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ,যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত করে।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা আপন আপন শয্যায় অধর্ম কল্পনা করে ও কুকর্ম স্থির করে! তাহারা রাত্রি প্রভাত হইবামাত্র তাহা সাধন করে, কেননা তাহা তাহাদের হস্তের ক্ষমতাধীন।
দুর্জনদের পথে প্রবেশ করিও না, দুর্বৃত্তদের পথে চলিও না,তাহা পরিত্যাগ কর, তাহার নিকট দিয়া যাইও না; তাহা হইতে বিমুখ হইয়া অগ্রসর হও।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা মন্দকে ভাল, আর ভালকে মন্দ বলে, আলোকে আঁধার, ও আঁধারকে আলো বলিয়া ধরে, মিষ্টকে তিক্ত, আর তিক্তকে মিষ্ট মনে করে!
তিনি কহিলেন, এ দুষ্টতা। পরে তিনি ঐ স্ত্রীকে ঐফার মধ্যে ফেলিয়া দিয়া তাহার মুখে সেই সীসার ঢাকনী দিলেন।
কেননা তুমি দুষ্টতাপ্রিয় ঈশ্বর নহ, মন্দ তোমার অতিথি হইতে পারে না।দর্পকারিগণ তোমার সাক্ষাতে দাঁড়াইবে না, তুমি সমুদয় অধর্মাচারীকে ঘৃণা করিয়া থাক।
কেননা অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চৌর্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।কেননা আহার করিবার সময়ে তাহারা হাত ধোয় না।এই সকলই মনুষ্যকে অশুচি করে; কিন্তু অধৌত হস্তে ভোজন করিলে মনুষ্য তাহাতে অশুচি হয় না।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;তাহা তাঁহার পুত্র বিষয়ক, যিনি মাংসের সম্বন্ধে দায়ূদের বংশজাত,কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,নির্বোধ, নিয়ম ভঙ্গকারী, স্নেহ-রহিত, নির্দয়।তাহারা ঈশ্বরের এই বিচার জ্ঞাত ছিল যে, যাহারা এইরূপ আচরণ করে, তাহারা মৃত্যুর যোগ্য, তথাপি তাহারা তদ্রূপ আচরণ করে, কেবল তাহা নয়, কিন্তু তদাচারী সকলের অনুমোদন করে।
সদাপ্রভুর পথ সিদ্ধের পক্ষে দুর্গ, কিন্তু তাহা অধর্মাচারীদের পক্ষে সর্বনাশ।সদাপ্রভু ধার্মিকের প্রাণ ক্ষুধায় ক্ষীণ হইতে দেন না; কিন্তু তিনি দুষ্টদের কামনা দূর করেন।ধার্মিক লোক কখনও বিচলিত হইবে না; কিন্তু দুষ্টগণ দেশে বাস করিবে না।
তিনি তাহাদের অধর্ম তাহাদেরই উপরে বর্তাইয়াছেন, তাহাদের দুষ্টতায় তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিবেন; সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিবেন।
তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; অধর্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না।আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই।কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতিকূলে কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিরুদ্ধে দন্তঘর্ষণ করে।প্রভু তাহাকে উপহাস করিবেন, কেননা তিনি দেখেন, তাহার দিন আসিতেছে। দুষ্টেরা খড়্গ নিষ্কোষ ও ধনুক আকর্ষণ করিয়াছে,যেন দুঃখী ও দরিদ্রকে নিপাত করিতে পারে, যেন সরলপথগামীদিগকে বধ করিতে পারে,তাহাদের খড়্গ তাহাদেরই হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, তাহাদের ধনুক ভাঙ্গিয়া যাইবে।ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল, বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।সদাপ্রভু সিদ্ধদের দিন সকল জানেন; তাহাদের অধিকার চিরকাল থাকিবে।তাহারা বিপদকালে লজ্জিত হইবে না, দুর্ভিক্ষের সময়ে তৃপ্ত হইবে।কেননা তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে।
কিন্তু তুমি দুষ্টকে চেতনা দিলে, সে যদি আপন দুষ্টতা ও কুপথ হইতে না ফিরে, তবে সে নিজ অপরাধে মরিবে, কিন্তু তুমি আপন প্রাণ রক্ষা করিলে।
কিন্তু তোমাদের অপরাধ সকল তোমাদের ঈশ্বরের সহিত তোমাদের বিচ্ছেদ জন্মাইয়াছে, তোমাদের পাপ সকল তোমাদের হইতে তাঁহার শ্রীমুখ আচ্ছাদন করিয়াছে, এই জন্য তিনি শুনেন না।আর, এক মুক্তিদাতা আসিবেন, সিয়োনের জন্য, যাকোবের মধ্যে যাহারা অধর্ম হইতে ফিরিয়া আইসে, তাহাদের জন্য, ইহা সদাপ্রভু কহেন।সদাপ্রভু কহেন, তাহাদের সহিত আমার নিয়ম এই, আমার আত্মা, যিনি তোমাতে অধিষ্ঠান করিয়াছেন, ও আমার বাক্য সকল, যাহা আমি তোমার মুখে দিয়াছি, সেই সকল তোমার মুখ হইতে, তোমার বংশের মুখ হইতে ও তোমার বংশোৎপন্ন বংশের মুখ হইতে অদ্যাবধি অনন্তকাল পর্যন্ত কখনও দূর করা যাইবে না; ইহা সদাপ্রভু কহেন।বস্তুতঃ তোমাদের করতল রক্তে ও তোমাদের অঙ্গুলি অপরাধে অশুচি হইয়াছে, তোমাদের ওষ্ঠ মিথ্যা কথা কহিয়াছে, তোমাদের জিহ্বা দুষ্টতার কথা কহে।কেহ ধার্মিকতায় অভিযোগ করে না, কেহ সত্যে হেতুবাদ করে না; তাহারা অবস্তুতে নির্ভর করে, ও মিথ্যা কহে, অনিষ্ট গর্ভে ধারণ করে, অন্যায় প্রসব করে।
আর সদাপ্রভু দেখিলেন, পৃথিবীতে মনুষ্যদের দুষ্টতা অত্যধিক, এবং তাহাদের অন্তঃকরণের চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ।
কেননা দুষ্কর্ম না করিলে তাহাদের নিদ্রা হয় না, কাহারও উছোট না লাগাইলে তাহাদের নিদ্রা দূরে যায়।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে।কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার-ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য, নানাবিধ তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করিয়াছ;আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার প্রতি কি কি ঘটিয়াছিল; কত তাড়না সহ্য করিয়াছি। আর সেই সমস্ত হইতে প্রভু আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন।আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়, প্রচণ্ড, সদ্বিদ্বেষী,বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে।লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে; তুমি এইরূপ লোকদের হইতে সরিয়া যাও।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
কে আমার পক্ষে দুরাচারগণের বিরুদ্ধে উঠিবে? কে আমার পক্ষে অধর্মাচারিগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াইবে?সদাপ্রভু যদি আমার সাহায্য না করিতেন, আমার প্রাণ শীঘ্র নিঃশব্দ-স্থানে বসতি করিত।
রাত্রি প্রায় গেল, দিবস আগত প্রায়; অতএব আইস, আমরা অন্ধকারের ক্রিয়া সকল ত্যাগ করি, এবং দীপ্তির রণসজ্জা পরিধান করি।
যে পাপাচরণ করে, সে দিয়াবলের; কেননা দিয়াবল আদি হইতে পাপ করিতেছে, ঈশ্বরের পুত্র এই জন্যই প্রকাশিত হইলেন, যেন দিয়াবলের কার্য সকল লোপ করেন।
সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে।ভাল গাছে মন্দ ফল ধরিতে পারে না, এবং মন্দ গাছে ভাল ফল ধরিতে পারে না।
আর আমি জগতের উপরে দুর্বৃত্তির ফল ও দুষ্টগণের উপরে তাহাদের অপরাধের ফল বর্তাইব; আমি অহঙ্কারীদের দর্প শেষ করিব, দুর্দান্তদের গর্ব খর্ব করিব।
তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; দুষ্টগণের প্রতি ঈর্ষা করিও না।কেননা তাহাদের চিত্ত অপহারের কল্পনা করে, তাহাদের ওষ্ঠাধর অনিষ্টের কথা কহে।যেহেতু দুর্বৃত্ত লোকের শেষ ফল হইবে না, দুষ্টগণের প্রদীপ নিভিয়া যাইবে।
এই জন্য দুষ্টগণ বিচারে দাঁড়াইবে না, পাপীরা ধার্মিকদের মণ্ডলীতে দাঁড়াইবে না।কারণ সদাপ্রভু ধার্মিকগণের পথ জানেন, কিন্তু দুষ্টদের পথ বিনষ্ট হইবে।
দুষ্ট আপন পথ, অধার্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক; এবং সে সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিয়া আইসুক, তাহাতে তিনি তাহার প্রতি করুণা করিবেন; আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসুক, কেননা তিনি প্রচুররূপে ক্ষমা করিবেন।
সর্বপ্রকার কটুকাটব্য, রোষ, ক্রোধ, কলহ, নিন্দা এবং সর্বপ্রকার হিংসা তোমাদের হইতে দূরীকৃত হউক।
মনুষ্যপুত্র আপন দূতগণকে প্রেরণ করিবেন; তাঁহারা তাঁহার রাজ্য হইতে সমস্ত বিঘ্নজনক বিষয় ও অধর্মাচারীদিগকে সংগ্রহ করিবেন, এবং তাহাদিগকে অগ্নিকুণ্ডে ফেলিয়া দিবেন;সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।
যে ব্যক্তি পাষণ্ড, যে লোক অপরাধী, সে মুখের কুটিলতায় চলে,সে চক্ষু দ্বারা ইঙ্গিত করে, পদ দ্বারা কথা বলে, সে অঙ্গুলি দ্বারা সঙ্কেত করে,তাহার হৃদয়ে কুটিলতা থাকে, সে সতত কুকল্পনা করে, সে বিবাদ ছড়াইয়া দেয়।সেই জন্য অকস্মাৎ তাহার বিপদ আসিবে, হঠাৎ সে ভগ্ন হইবে; আর প্রতিকার হইবে না।
মূঢ় মনে মনে বলিয়াছে, ‘ঈশ্বর নাই’। তাহারা নষ্ট, তাহারা ঘৃণার্হ কর্ম করিয়াছে; সৎকর্ম করে এমন কেহই নাই।সদাপ্রভু স্বর্গ হইতে মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি নিরীক্ষণ করিলেন; দেখিতে চাহিলেন, বুদ্ধিপূর্বক কেহ চলে কি না, ঈশ্বরের অন্বেষণকারী কেহ আছে কি না।সকলে বিপথে গিয়াছে, সকলেই বিকারপ্রাপ্ত হইয়াছে; সৎকর্ম করে, এমন কেহই নাই, একজনও নাই।
কেননা মূঢ় মূঢ়তার কথা কহিবে, ও তাহার মন দুষ্টতার কল্পনা করিবে; সে পামরতার কার্য করিবে ও সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে ভ্রান্তির কথা কহিবে, ক্ষুধার্ত লোকের প্রাণ শূন্য রাখিবে, তৃষ্ণার্ত লোকের জল বারণ করিবে।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সরল লোকদের মন ভুলায়।
দেখ, ঈশ্বর সিদ্ধকে নিগ্রহ করেন না, আর তিনি দুরাচারদের হস্ত ধরিয়া রাখেন না।এখনও তিনি তোমার মুখ হাস্যে পূর্ণ করিবেন, তোমার ওষ্ঠাধর হর্ষধ্বনিতে পূর্ণ করিবেন।তোমার বিদ্বেষিগণ লজ্জা পরিহিত হইবে, দুষ্টগণের তাম্বু থাকিবে না।
হে সদাপ্রভু, দুর্বৃত্ত মনুষ্য হইতে আমাকে উদ্ধার কর, দুর্জন হইতে আমাকে রক্ষা কর।তাহাদের উপরে জ্বলন্ত অঙ্গার পড়ুক, তাহারা নিক্ষিপ্ত হউক অগ্নিতে, নিক্ষিপ্ত হউক গভীর খাতে, আর না উঠুক।পৃথিবীতে দুর্মুখ স্থির থাকিতে পারিবে না; অমঙ্গল দুর্জনকে নিপাত করিবার জন্য মৃগয়া করিবে।আমি জানি, সদাপ্রভু দুঃখীর বিবাদ, ও দরিদ্রবর্গের বিচার নিষ্পন্ন করিবেন।ধার্মিকেরা অবশ্য তোমার নামের স্তব করিবে; সরলগণ তোমার সাক্ষাতে বাস করিবে।তাহারা মনে মনে দুষ্ট কল্পনা করে। প্রতিদিন যুদ্ধ উত্তেজিত করে।
তাহাদের চরণ দুষ্কর্মের দিকে দৌড়াইয়া যায়, তাহারা নির্দোষের রক্তপাত করিতে ত্বরান্বিত হয়; তাহাদের চিন্তা সকল অধর্মের চিন্তা, তাহাদের পথে ধ্বংস ও বিনাশ থাকে।তাহারা শান্তির পথ জানে না, তাহাদের মার্গে বিচার নাই; তাহারা আপনাদের পথ বক্র করিয়াছে; যে কেহ সেই পথে যায়, সে শান্তি জানে না।
তুমি দুর্বৃত্ত লোকদের উপরে ঈর্ষা করিও না, তাহাদের সঙ্গে থাকিতেও বাসনা করিও না।সঙ্কটের দিনে যদি অবসন্ন হও, তবে তোমার শক্তি সঙ্কুচিত।তাহাদিগকে উদ্ধার কর, যাহারা মৃত্যুর কাছে নীত হইতেছে, যাহারা কাঁপিতে কাঁপিতে বধ্যভূমিতে যাইতেছে, আহা! তাহাদিগকে রক্ষা কর।যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তৌল করেন, তিনি কি তাহা বুঝেন না? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহা জানিতে পারেন না? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কর্মানুযায়ী ফল দিবেন না?হে বৎস, মধু খাও, যেহেতু তাহা উত্তম, মধুর চাক খাও, তাহা তোমার রসনায় মিষ্ট লাগে;জানিও, তোমার প্রাণের পক্ষে প্রজ্ঞা তদ্রূপ; তাহা পাইলে শেষ ফল হইবে, তোমার আশা ছিন্ন হইবে না।রে দুষ্ট, তুমি ধার্মিকের নিবাসের বিরুদ্ধে ঘাঁটি বসাইও না, তাহার শয়ন-স্থান নষ্ট করিও না।কেননা ধার্মিক সাত বার পড়িলেও আবার উঠে; কিন্তু দুষ্টেরা দুর্যোগে নিপাতিত হইবে।তোমার শত্রুর পতনে আনন্দ করিও না, সে নিপাতিত হইলে তোমার চিত্ত উল্লসিত না হউক;পাছে সদাপ্রভু তাহা দেখিয়া অসন্তুষ্ট হন, এবং তাহার উপর হইতে আপন ক্রোধ ফিরান।তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; দুষ্টগণের প্রতি ঈর্ষা করিও না।কেননা তাহাদের চিত্ত অপহারের কল্পনা করে, তাহাদের ওষ্ঠাধর অনিষ্টের কথা কহে।
দুষ্টের হৃদয়মধ্যে অধর্ম তাহার কাছে কথা বলে, ঈশ্বর-ভয় তাহার চক্ষুর অগোচর।যাহারা তোমাকে জানে, তুমি তাহাদের প্রতি তোমার দয়া, ও সরলচিত্তদের প্রতি তোমার ধর্মশীলতা চিরস্থায়ী কর।অহঙ্কারের চরণ আমার নিকটে না আইসুক, দুষ্টদের হস্ত আমাকে তাড়াইয়া না দিউক।ঐ যে অধর্মাচারিগণ পতিত হইল; অধঃক্ষিপ্ত হইল, আর উঠিতে পারিবে না।সে নিজের দৃষ্টিতে আত্মশ্লাঘা করিয়া বলে, আমার অধর্ম আবিষ্কৃত ও ঘৃণিত হইবে না।তাহার মুখের বাক্য অধর্ম ও ছলমাত্র; সে সুবিবেচনা ও সদাচরণ ত্যাগ করিয়াছে।সে আপন শয্যাতে অধর্ম কল্পনা করে, সে কুপথে দাঁড়াইয়া থাকে, সে দুষ্কর্ম ঘৃণা করে না।
যে দ্বেষ করে, সে ওষ্ঠাধরে ভাণ করে, কিন্তু মনের মধ্যে ছল রাখে;তাহার রব মধুময় হইলে তাহাকে বিশ্বাস করিও না, কারণ তাহার হৃদয়মধ্যে সাতটা ঘৃণার্হ বস্তু থাকে।যদিও তাহার দ্বেষ কপটতায় আচ্ছন্ন, তাহার দুষ্টামি সমাজে প্রকাশিত হইবে।
আমি কোন জঘন্য পদার্থ চক্ষের সম্মুখে রাখিব না, আমি বিপথগামীদের ক্রিয়া ঘৃণা করি, তাহা আমাতে লিপ্ত হইবে না।কুটিল অন্তঃকরণ আমা হইতে দূরে যাইবে; দুষ্টতার সহিত আমার পরিচয় হইবে না।
তোমরা আপনাদিগকে ধৌত কর, বিশুদ্ধ কর, আমার নয়নগোচর হইতে তোমাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা দূর কর; কদাচরণ ত্যাগ কর;সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।
কিন্তু তাহারা শুনিল না, কর্ণপাতও করিল না, বরং আপনাদের মন্ত্রণায়, আপনাদের হৃদয়ের কঠিনতায় আচরণ করিল, তাহারা অগ্রসর না হইয়া পিছে হটিয়া গেল।
কিন্তু যাহারা আপনাদের বক্র পথে ফিরে, সদাপ্রভু তাহাদিগকে অধর্মাচারীদের সহপথিক করিবেন। ইস্রায়েলের উপরে শান্তি বর্তুক।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা আপন আপন শয্যায় অধর্ম কল্পনা করে ও কুকর্ম স্থির করে! তাহারা রাত্রি প্রভাত হইবামাত্র তাহা সাধন করে, কেননা তাহা তাহাদের হস্তের ক্ষমতাধীন।উঠ, প্রস্থান কর, এটা ত বিশ্রামের স্থান নয়, কেননা অশুচিতা বিনাশ করিতেছে, আর সেই বিনাশ ভয়ানক।বায়ুর ও মিথ্যা কথার অনুগামী কোন লোক যদি মিথ্যা করিয়া বলে, আমি দ্রাক্ষারস ও সুরার বিষয়ে তোমার পক্ষে বাক্য বর্ষাইব, তবে সে এই লোকদের বাক্য-বর্ষক হইবে।হে যাকোব, আমি নিশ্চয়ই তোমার সমস্ত লোককে সমবেত করিব, আমি নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের অবশিষ্টাংশকে সংগ্রহ করিব; তাহাদিগকে বস্রার মেষগণের ন্যায় একত্র করিব; যেমন বাথানের মধ্যস্থিত পাল, তেমনি তাহারা মনুষ্য-বাহুল্যে কোলাহল করিবে।ভঞ্জক উঠিয়া তাহাদের অগ্রগামী হইলেন; তাহারা বেড়া ভাঙ্গিয়াছে, দ্বারে পৌঁছিয়াছে, তাহা দিয়া বাহিরে গিয়াছে, এবং তাহাদের রাজা তাহাদের সম্মুখে চলিয়া গেলেন; আর সদাপ্রভু তাহাদের অগ্রগামী হইলেন।তাহারা ক্ষেত্রের প্রতি লোভ করিয়া সবলে তাহা গ্রহণ করে, এবং ঘরের প্রতিও লোভ করিয়া তাহা হরণ করে; এইরূপে তাহারা পুরুষের ও তাহার ঘরের প্রতি, মনুষ্যের ও তাহার পৈতৃক অধিকারের প্রতি দৌরাত্ম্য করে।
পরীক্ষার সময়ে কেহ না বলুক, ঈশ্বর হইতে আমার পরীক্ষা হইতেছে; কেননা মন্দ বিষয়ের দ্বারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করা যাইতে পারে না, আর তিনি কাহারও পরীক্ষা করেন না;কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কামনা দ্বারা আকর্ষিত ও প্ররোচিত হইয়া পরীক্ষিত হয়।পরে কামনা সগর্ভা হইয়া পাপ প্রসব করে, এবং পাপ পরিপক্ব হইয়া মৃত্যুকে জন্ম দেয়।
যেন তোমাকে উদ্ধার করে, দুষ্টের পথ হইতে, সেই সকল লোক হইতে, যাহারা কুটিল বাক্য বলে,যাহারা সরলতার পথ ত্যাগ করে, অন্ধকার-পথে চলিবার নিমিত্ত;যাহারা কুক্রিয়াসাধনে আনন্দিত হয়, দুষ্টতার কুটিলতায় উল্লসিত হয়;যাহারা বক্র পথের পথিক, আপন আপন আচরণে বিপথগামী।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা আপন আপন শত্রুদিগকে প্রেম করিও, এবং যাহারা তোমাদিগকে তাড়না করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও;
কেননা মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা, কারণ তাহা ঈশ্বরের ব্যবস্থার বশীভূত হয় না, বাস্তবিক হইতে পারেও না।আর যাহারা মাংসের অধীনে থাকে, তাহারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিতে পারে না।
আমি আপন প্রজাগণের মধ্যে তোমাকে পরীক্ষক করিয়া দুর্গরূপে স্থাপন করিয়াছি; যেন তুমি তাহাদের পথ জ্ঞাত হও ও পরীক্ষা কর।তাহারা সকলে দারুণ অবাধ্য, পরিবাদ করিয়া বেড়ায়; তাহারা পিত্তল ও লৌহস্বরূপ; তাহারা সকলেই ভ্রষ্টাচারী।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;সেই ব্যক্তি উচ্চস্থানে বাস করিবে, শৈলগণের দুরাক্রম স্থান তাহার দুর্গস্বরূপ হইবে; তাহাকে ভক্ষ্য দেওয়া যাইবে, সে নিশ্চয়ই জল পাইবে।
অতএব পাপ তোমাদের মর্ত্যদেহে রাজত্ব্ব না করুক- করিলে তোমরা তাহার অভিলাষ-সমূহের আজ্ঞাবহ হইয়া পড়িবে;আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
হে সদাপ্রভু, দুষ্টের হস্ত হইতে আমাকে নিস্তার কর, দুর্জন হইতে আমাকে রক্ষা কর; তাহারা আমার চরণ ঠেলিয়া দিবার সঙ্কল্প করিয়াছে।অহঙ্কারিগণ গোপনে আমার নিমিত্ত ফাঁদ ও দড়ি প্রস্তুত করিয়াছে, তাহারা পথের পার্শ্বে জাল পাতিয়াছে, আমার জন্য যন্ত্র বসাইয়াছে। [সেলা]
যেমন লিখিত আছে, “ধার্মিক কেহই নাই, একজনও নাই,বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, এমন কেহই নাই।সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা এক সঙ্গে অকর্মণ্য হইয়াছে; সৎকর্ম করে এমন কেহই নাই, একজনও নাই।
কেননা দেখ, যাহারা তোমা হইতে দূরে থাকে, তাহারা বিনষ্ট হইবে; যে সকল লোক তোমা হইতে অপসরণ করিয়া ব্যভিচার করে, সেই সকলকে তুমি উচ্ছিন্ন করিয়াছ।
সদাপ্রভু সকলই স্ব স্ব উদ্দেশ্যে করিয়াছেন, দুষ্টকেও দুর্দশাদিনের জন্য করিয়াছেন।যে কেহ হৃদয়ে গর্বিত, সে সদাপ্রভুর ঘৃণাস্পদ, হস্তে হস্ত দিলেও সে অদণ্ডিত থাকিবে না।
যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারিবে।সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য করি নাই?তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।
হে সদাপ্রভুর প্রেমিকগণ, দুষ্টতাকে ঘৃণা কর; তিনি আপন সাধুবর্গের প্রাণ রক্ষা করেন, দুষ্টগণের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।
আর সেই বিচার এই যে, জগতে জ্যোতি আসিয়াছে, এবং মনুষ্যেরা জ্যোতি হইতে অন্ধকার অধিক ভাল বাসিল, কেননা তাহাদের কর্ম সকল মন্দ ছিল।তিনি রাত্রিকালে যীশুর নিকটে আসিলেন, এবং তাঁহাকে কহিলেন, রব্বি, আমরা জানি, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে আগত গুরু; কেননা আপনি এই যে সকল চিহ্ন-কার্য সাধন করিতেছেন, ঈশ্বর সহবর্তী না থাকিলে এই সকল কেহ করিতে পারে না।কারণ যে কেহ কদাচরণ করে, সে জ্যোতি ঘৃণা করে, এবং জ্যোতির নিকটে আইসে না, পাছে তাহার কর্ম সকলের দোষ ব্যক্ত হয়।
যে অপকারের সঙ্কল্প করে, লোকে তাহাকে কুসঙ্কল্পকারী বলিবে।অজ্ঞানতার সঙ্কল্প পাপময়, আর যে নিন্দুক, সে মনুষ্যদের ঘৃণিত।
সদাপ্রভু, আমাকে লজ্জিত হইতে দিও না, কেননা আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; দুষ্টগণ লজ্জিত হউক, পাতালে নীরব হউক।সেই মিথ্যাবাদী ওষ্ঠাধর সকল বোবা হউক, যাহারা ধার্মিকের বিপক্ষে দর্পকথা কহে, অহঙ্কার ও তুচ্ছজ্ঞান সহকারে কহে।
কেননা সদাচরণের নিমিত্ত তিনি তোমার পক্ষে ঈশ্বরেরই পরিচারক। কিন্তু যদি মন্দ আচরণ কর, তবে ভীত হও, কেননা তিনি বৃথা খড়্গ ধারণ করেন না; কারণ তিনি ঈশ্বরের পরিচারক, যে মন্দ আচরণ করে, ক্রোধ সাধনের জন্য তাহার প্রতিশোধদাতা।
এইরূপ যুগান্তে হইবে; দূতগণ আসিয়া ধার্মিকদের মধ্য হইতে দুষ্টদিগকে পৃথক করিবেন, এবং তাহাদিগকে অগ্নিকুণ্ডে ফেলিয়া দিবেন;আর কতক বীজ পাষাণময় ভূমিতে পড়িল, যেখানে অধিক মৃত্তিকা ছিল না, তাহাতে অধিক মৃত্তিকা না পাওয়াতে তাহা শীঘ্র অঙ্কুরিত হইয়া উঠিল,সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।
যাহারা উৎকোচের জন্য দুষ্ট লোককে নির্দোষ করে, আর ধার্মিকের ধার্মিকতা তাহা হইতে দূর করে!অতএব অগ্নির জিহ্বা যেমন নাড়া গ্রাস করে, শুষ্ক তৃণ যেমন অগ্নিশিখায় পরিণত হয়, তেমনি তাহাদের মূল জীর্ণ কাষ্ঠের ন্যায় হইবে, ও তাহাদের পুষ্প ধুলার ন্যায় উড়িয়া যাইবে। কেননা তাহারা বাহিনীগণের সদাপ্রভুর ব্যবস্থা অগ্রাহ্য করিয়াছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমের বাক্য অবজ্ঞা করিয়াছে।
কারণ, “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসিতে চায়, ও মঙ্গলের দিন দেখিতে চায়, সে মন্দ হইতে আপন জিহ্বাকে, ছলনাবাক্য হইতে আপন ওষ্ঠকে নিবৃত্ত করুক।সে মন্দ হইতে ফিরুক ও সদাচরণ করুক, শান্তির চেষ্টা করুক, ও তাহার অনুধাবন করুক।
বিনাশের পূর্বে অহঙ্কার, পতনের পূর্বে মনের গর্ব।বরং দীনহীনদের সহিত নম্রাত্মা হওয়া ভাল, তবু অহঙ্কারীদের সহিত লুণ্ঠন বিভাগ করা ভাল নয়।