আপনার জীবনে চুরি করাটা কখনোই ঠিক না। আমাদের ধর্মগ্রন্থে স্পষ্টভাবে বলা আছে, চুরি করা পাপ। আল্লাহ্র বিধান এবং দেশের আইন, দুই জায়গায়ই এটা নিষিদ্ধ। চুরি করলে শুধু শাস্তিই পাবেন, কোনো লাভ হবে না। বরং এটা যেন নিজের গলায় নিজেই ফাঁস লাগানোর মতো।
তাই আপনার অন্তর থেকে সব খারাপ চিন্তা দূর করে দিন। মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাওয়া পাপের পথ ছেড়ে দিন। কতটুকু চুরি করছেন, সেটা বড় কথা না। অন্যের জিনিস নিলেই তো চোর। আপনার যতই অভাব থাকুক, আল্লাহ্র কাছে এর কোনো ব্যাখ্যা চলবে না।
ধর্মগ্রন্থে বলা আছে, “যে চুরি করত, সে যেন আর চুরি না করে; বরং নিজের হাতে কাজ করে যেন অভাবীদের সাহায্য করতে পারে।” যীশু চান, আপনি যেন অন্যের থেকে কেড়ে না নিয়ে, বরং মহানুভব হন এবং সবসময় অন্যকে দান করেন। তাই কষ্ট করে কাজ করা জরুরি। যারা কষ্ট করে সম্পদ অর্জন করেছেন, তাদের সম্পত্তির প্রতি লোভ করা উচিত না।
হয়তো প্রথমবার ধরা পড়েননি, কিন্তু মনে রাখবেন, সবকিছুই একদিন প্রকাশ পায়। আর তখন হয়তো জেলে থেকে দীর্ঘ দিন কাটাতে হবে। ভেবে দেখুন কোনটা আপনার জন্য ভালো। ক্ষণিকের মোহে পড়ে ভুল পথে যাবেন না। আল্লাহ্র শরণাপন্ন হোন। তিনি তার অসীম করুণায় আপনার প্রয়োজন মেটাবেন।
শয়তানের প্রলোভনে পড়বেন না। সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করুন। খারাপ অভ্যাসগুলো ছেড়ে দিন। পবিত্র আত্মার বাণী শুনুন। আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করবেন না। তার বানীতে অটল থাকুন। দেখবেন, প্রতিদিন সকালে তিনি আপনাকে সাহায্য করবেন।
তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।
দীনহীন বলিয়া দীনহীন লোকের দ্রব্য হরণ করিও না, দুঃখীকে পুরদ্বারে চূর্ণ করিও না।কেননা সদাপ্রভু তাহাদের পক্ষ সমর্থন করিবেন, আর যাহারা তাহাদের দ্রব্য হরণ করে, তাহাদের প্রাণ হরণ করিবেন।
তিনি আমাকে কহিলেন, উহা সমস্ত দেশের উপরে নির্গত অভিশাপ; বস্তুতঃ যে কেহ চুরি করে, সে উহার এক পৃষ্ঠের বিধান অনুসারে উচ্ছিন্ন হইবে, এবং যে কেহ শপথ করে, সে উহার অন্য পৃষ্ঠের বিধান অনুসারে উচ্ছিন্ন হইবে।বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, আমি উহাকে বাহির করিয়া আনিব, উহা চোরের বাটীতে ও আমার নামে মিথ্যা শপথকারীর বাটীতে প্রবেশ করিবে, এবং তাহার বাটীর মধ্যে অবস্থিতি করিয়া কাষ্ঠ ও প্রস্তরসুদ্ধ বাটী বিনাশ করিবে।
কি চোর কি লোভী কি মাতাল কি কটূভাষী কি পরধনগ্রাহী, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কেননা অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চৌর্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।
সে কহিল, কোন্ কোন্ আজ্ঞা? যীশু বলিলেন, এই এই, “নরহত্যা করিও না, ব্যভিচার করিও না, চুরি করিও না,
তখন সক্কেয় দাঁড়াইয়া প্রভুকে কহিল, প্রভু, দেখুন, আমার সমপত্তির অর্ধেক আমি দরিদ্রদিগকে দান করি; আর যদি অন্যায়পূর্বক কাহারও কিছু হরণ করিয়া থাকি, তাহার চতুর্গুণ ফিরাইয়া দিই।
ভাল, তুমি যে পরকে শিক্ষা দিতেছ, তুমি কি আপনাকে শিক্ষা দেও না? তুমি যে চুরি করিতে নাই বলিয়া প্রচার করিতেছ, তুমি কি চুরি করিতেছ না?
কিছুই আত্মসাৎ না করে, কিন্তু সর্বপ্রকার উত্তম বিশ্বস্ততা দেখায়; যেন তাহারা আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের শিক্ষা সর্ববিষয়ে ভূষিত করে।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কেহ যেন সীমা অতিক্রম করিয়া এই ব্যাপারে আপন ভ্রাতাকে না ঠকায়; কেননা আমরা পূর্বে তোমাদিগকে যেমন বলিয়াছি ও সাক্ষ্য দিয়াছি তদনুসারে, প্রভু এই সকলের প্রতিফলদাতা।
অতএব সদাপ্রভু কহেন, দেখ, যে সকল ভাববাদী আপন আপন প্রতিবাসী হইতে আমার বাক্য হরণ করে, আমি তাহাদের বিপক্ষ।
কেননা আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি; আর আমি সত্যে তাহাদের ক্রিয়ার ফল দিব, ও তাহাদের সহিত চিরস্থায়ী এক নিয়ম করিব।
যে কেহ গরু কিম্বা মেষ চুরি করিয়া বধ করে, কিম্বা বিক্রয় করে, সে একটি গরুর পরিশোধে পাঁচটি গরু, ও একটি মেষের পরিশোধে চারিটি মেষ দিবে।কেহ যদি তাহার গর্দভ কিম্বা গরু কিম্বা মেষ কিম্বা কোন পশু প্রতিবাসীর কাছে পালনার্থে রাখে, এবং লোকের অগোচরে সেই পশু মরিয়া যায়, বা ভগ্নাঙ্গ হয়, কিম্বা তাড়িত হয়,তবে ‘আমি প্রতিবাসীর দ্রব্যে হস্তার্পণ করি নাই’, ইহা বলিয়া একজন অন্য জনের কাছে সদাপ্রভুর নামে দিব্য করিবে, আর পশুর মালিক সেই দিব্য গ্রাহ্য করিবে। ঐ ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ করিবে না।কিন্তু যদি তাহার নিকট হইতে উহা চুরি হইয়া যায়, তবে সে তাহার মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণ করিবে।যদি সেটি বিদীর্ণ হয়, তবে সে প্রমাণার্থে তাহা উপস্থিত করুক; সেই বিদীর্ণ পশুর জন্য সে ক্ষতিপূরণ দিবে না।আর কেহ যদি আপন প্রতিবাসীর পশু চাহিয়া লয়, ও তাহার মালিক তাহার সহিত না থাকিবার সময়ে সেই পশু ভগ্নাঙ্গ হয় কিম্বা মরিয়া যায়, তবে সে অবশ্য ক্ষতিপূরণ করিবে।যদি তাহার মালিক তাহার কাছে থাকে, তবে সে ক্ষতিপূরণ করিবে না; তাহা যদি ভাড়া করা পশু হয়, তবে তাহার ভাড়াতে শোধ হইল।আর কেহ যদি অবাগ্দত্তা কুমারীকে ভুলাইয়া তাহার সহিত শয়ন করে, তবে সে অবশ্য কন্যাপণ দিয়া তাহাকে বিবাহ করিবে।যদি সেই ব্যক্তির সহিত আপন কন্যার বিবাহ দিতে পিতা নিতান্ত অসম্মত হয়, তবে কন্যাপণের ব্যবস্থানুসারে তাহাকে রৌপ্য দিতে হইবে।তুমি মায়াবিনীকে জীবিত রাখিও না।পশুর সহিত শৃঙ্গারকারী ব্যক্তির প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে।আর চোর যদি সিঁধ কাটিবার সময়ে ধরা পড়িয়া আহত হয় ও মারা পড়ে, তবে তাহার জন্য রক্তপাতের দোষ হইবে না।যে ব্যক্তি কেবল সদাপ্রভু ব্যতিরেকে কোন দেবতার কাছে বলিদান করে, সে সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হইবে।তুমি বিদেশীর প্রতি অন্যায় করিও না, তাহার প্রতি উপদ্রব করিও না, কেননা মিসর দেশে তোমরাও বিদেশী ছিলে।তোমরা কোন বিধবাকে কিম্বা পিতৃহীনকে দুঃখ দিও না।তাহাদিগকে কোন মতে দুঃখ দিলে যদি তাহারা আমার নিকটে ক্রন্দন করে, তবে আমি অবশ্য তাহাদের ক্রন্দন শুনিব।আর আমার ক্রোধ প্রজ্বলিত হইবে, এবং আমি তোমাদিগকে খড়্গ দ্বারা বধ করিব, তাহাতে তোমাদের স্ত্রীরা বিধবা ও তোমাদের সন্তানগণ পিতৃহীন হইবে।তুমি যদি আমার প্রজাদের মধ্যে তোমার স্বজাতীয় কোন দীন-দুঃখীকে টাকা ধার দেও, তবে তাহার কাছে সুদগ্রাহীর ন্যায় হইও না; তোমরা তাহার উপরে সুদ চাপাইবে না।যদি তুমি আপন প্রতিবাসীর বস্ত্র বন্ধক রাখ, তবে সূর্যাস্তের পূর্বে তাহা ফিরাইয়া দিও;কেননা তাহা তাহার একমাত্র আচ্ছাদন, তাহার গাত্রের বস্ত্র; সে কিসে শয়ন করিবে? আর যদি সে আমার কাছে ক্রন্দন করে, তবে আমি তাহা শুনিব, কেননা আমি কৃপাবান।তুমি ঈশ্বরকে ধিক্কার দিও না, এবং স্বজাতীয় লোকদের অধ্যক্ষকে শাপ দিও না।তোমার পক্ব শস্য ও দ্রাক্ষারস নিবেদন করিতে বিলম্ব করিও না। তোমার প্রথমজাত পুত্রগণ আমাকে দিও।যদি তাহার উপরে সূর্য উদিত হয়, তবে রক্তপাতের দোষ হইবে। ক্ষতিপূরণ করা চোরের কর্তব্য, যদি তাহার কিছু না থাকে, তবে চৌর্যহেতু সে বিক্রীত হইবে।তোমার গরু ও মেষ সম্বন্ধেও তদ্রূপ করিও; তাহা সাত দিন আপন মাতার সহিত থাকিবে, অষ্টম দিনে তুমি তাহা আমাকে দিও।আর তোমরা আমার উদ্দেশে পবিত্র লোক হইবে; ক্ষেত্রে বিদীর্ণ কোন মাংস খাইবে না; তাহা কুকুরদের নিকটে ফেলিয়া দিবে।গরু, গর্দভ বা মেষ, চুরির কোন বস্তু যদি চোরের হস্তে জীবিত পাওয়া যায়, তবে সে তাহার দ্বিগুণ দিবে।
তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
কোন মনুষ্য যদি আপন ভ্রাতৃগণের- ইস্রায়েল-সন্তানদের- মধ্যে কোন প্রাণীকে চুরি করে, এবং তাহার প্রতি দাসবৎ ব্যবহার করে, বা বিক্রয় করে, এবং ধরা পড়ে, তবে সেই চোর হত হইবে; এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
কারণ “ব্যভিচার করিও না, নরহত্যা করিও না, চুরি করিও না, লোভ করিও না,” এবং আর যে কোন আজ্ঞা থাকুক, সেই সকল এই বচনে সঙ্কলিত হইয়াছে, “প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিও।”
অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি-গ্রন্থের সার।
যাহারা আপনাদের ধনে নির্ভর করে, আপনাদের সম্পত্তিবাহুল্যের শ্লাঘা করে,তাহাদের মধ্যে কেহই কোন মতে ভ্রাতাকে মুক্ত করিতে পারে না, কিম্বা তাহার প্রায়শ্চিত্তের জন্য ঈশ্বরকে কিছু দিতে পারে না,
আমরা যখন তোমাদের কাছে আত্মিক বীজ বপন করিয়াছি, তখন যদি তোমাদের মাংসিক ফল গ্রহণ করি, তবে তাহা কি মহৎ বিষয়?
যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; ইহাও অসার।
কিন্তু ইহা জানিও, চোর কোন্ প্রহরে আসিবে, তাহা যদি গৃহকর্তা জানিত, তবে জাগিয়া থাকিত, নিজ গৃহে সিঁধ কাটিতে দিত না।এই জন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কেননা যে দণ্ড তোমরা মনে করিবে না, সেই দণ্ডে মনুষ্যপুত্র আসিবেন।
তোমার অধ্যক্ষগণ বিদ্রোহী এবং চোরদের সখা; তাহাদের প্রত্যেক জন উৎকোচ ভালবাসে ও পারিতোষিকের অনুধাবন করে; তাহারা পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি করে না, এবং বিধবার বিবাদ তাহাদের নিকটে আসিতে পারে না।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;তাহা তাঁহার পুত্র বিষয়ক, যিনি মাংসের সম্বন্ধে দায়ূদের বংশজাত,কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
সেই কুকুরগণ উদরম্ভরি, তাহাদের কখনও তৃপ্তি বোধ হয় না; আর ইহারা বিবেচনা-বিহীন পালক; সকলে নির্বিশেষে আপন আপন পথের দিকে, আপন আপন লাভের চেষ্টায়, ফিরিয়াছে।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা আপন আপন শয্যায় অধর্ম কল্পনা করে ও কুকর্ম স্থির করে! তাহারা রাত্রি প্রভাত হইবামাত্র তাহা সাধন করে, কেননা তাহা তাহাদের হস্তের ক্ষমতাধীন।
আর সৈনিকেরাও তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আমাদেরই বা কি করিতে হইবে? তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করিও না, অন্যায়পূর্বক কিছু আদায়ও করিও না, এবং তোমাদের বেতনে সন্তুষ্ট থাকিও।
মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।
আর যে তোমার সহিত বিচার-স্থানে বিবাদ করিয়া তোমার আঙ্রাখা লইতে চায়, তাহাকে চোগাও লইতে দেও।আর যে কেহ এক ক্রোশ যাইতে তোমাকে পীড়াপীড়ি করে, তাহার সঙ্গে দুই ক্রোশ যাও।যে তোমার কাছে যাচ্ঞা করে, তাহাকে দেও; এবং যে তোমার নিকটে ধার চায়, তাহা হইতে বিমুখ হইও না।
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
তুমি ভীত হইও না, যখন কেহ ধনবান হয়, যখন তাহার কুলের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়,কেননা মরণকালে সে কিছুই সঙ্গে লইয়া যাইবে না, তাহার ঐশ্বর্য তাহার অনুগমন করিবে না।
তিনি আপন দাস দায়ূদকে মনোনীত করিলেন, তাঁহাকে মেষের খোঁয়াড় হইতে গ্রহণ করিলেন;তিনি স্তন্যদাত্রী মেষীদের পশ্চাৎ হইতে তাঁহাকে আনিলেন, আপন প্রজা যাকোবকে ও আপন অধিকার ইস্রায়েলকে চরাইতে দিলেন।আর উনি হৃদয়ের সিদ্ধতানুসারে তাহাদিগকে চরাইলেন, আপন হস্তের দক্ষতায় তাহাদিগকে চালাইলেন।
এবং বিধবা, পিতৃহীন, বিদেশী ও দুঃখী লোকদের প্রতি উপদ্রব করিও না, এবং তোমরা কেহ মনে মনে আপন ভ্রাতার অনিষ্ট চিন্তা করিও না।
ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল, বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।
কেহ মুদ্রা কিম্বা জিনিসপত্র আপন প্রতিবাসীর নিকটে গচ্ছিত রাখিলে যদি তাহার গৃহ হইতে কেহ তাহা চুরি করে, এবং সেই চোর ধরা পড়ে, তবে সে তাহার দ্বিগুণ দিবে।
কোন ব্যক্তি একা থাকে, তাহার দ্বিতীয় কেহ নাই, পুত্রও নাই, ভ্রাতাও নাই, তথাপি তাহার পরিশ্রমের সীমা নাই, তাহার চক্ষুও ধনে তৃপ্ত হয় না। [সে বলে,] তবে আমি কাহার নিমিত্ত পরিশ্রম করিতেছি, ও আপন প্রাণকে মঙ্গল হইতে বঞ্চিত করিতেছি? ইহাও অসার ও ভারী কষ্টজনক।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
যে সরল লোকদিগকে কুপথে লইয়া ভ্রান্ত করে, সে নিজের খাতে পতিত হইবে; কিন্তু সিদ্ধ লোকেরা মঙ্গলরূপ অধিকার পায়।
এখন দেখ, হে ধনবানেরা, তোমাদের উপরে যে সকল দুর্দশা আসিতেছে, সেই সকলের জন্য রোদন ও হাহাকার কর।হে ভ্রাতৃগণ, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাদিগকে দুঃখভোগের ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত বলিয়া মান।দেখ, যাহারা স্থির রহিয়াছে, তাহাদিগকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনিয়াছ; প্রভুর পরিণামও দেখিয়াছ, ফলতঃ প্রভু স্নেহপূর্ণ ও দয়াময়।আবার, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্য করিও না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য করিও না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হউক, পাছে বিচারে পতিত হও। তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।তোমাদের মধ্যে কেহ কি রোগগ্রস্ত? সে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে আহ্বান করুক; এবং তাঁহারা প্রভুর নামে তাহাকে তৈলাভিষিক্ত করিয়া তাহার উপরে প্রার্থনা করুন।তাহাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে, এবং প্রভু তাহাকে উঠাইবেন; আর সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।এলিয় আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সহিত প্রার্থনা করিলেন, যেন বৃষ্টি না হয়, এবং তিন বৎসর ছয় মাস ভূমিতে বৃষ্টি হইল না।পরে তিনি আবার প্রার্থনা করিলেন; আর আকাশ জল প্রদান করিল, এবং ভূমি নিজ ফল উৎপন্ন করিল। হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।আর তাহার কলঙ্ক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে, এবং অগ্নির ন্যায় তোমাদের মাংস খাইবে। তোমরা শেষকালে ধন-সঞ্চয় করিয়াছ।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;
তাহাদের কন্ঠ অনাবৃত কবরস্বরূপ; তাহারা জিহ্বাতে ছলনা করিয়াছে; তাহাদের ওষ্ঠাধরের নিম্নে কালসর্পের বিষ থাকে;তাহাদের মুখ অভিশাপ ও কটুকাটব্যে পূর্ণ;
আর তাহাদিগকে কহিলেন, লেখা আছে, “আমার গৃহ প্রার্থনা-গৃহ বলিয়া আখ্যাত হইবে,” কিন্তু তোমরা ইহা “দস্যুগণের গহ্বর” করিয়া তুলিতেছ।
দুঃখীদের সর্বনাশ, দীনহীনের কাতরোক্তি প্রযুক্ত, আমি এক্ষণে উঠিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আমি ত্রাণাকাঙ্ক্ষীর ত্রাণ করিব।
এই কথা লইয়া যীশু বলিলেন, এক ব্যক্তি যিরূশালেম হইতে যিরীহোতে নামিয়া যাইতেছিল, এমন সময়ে দস্যুদলের হস্তে পড়িল; তাহারা তাহার বস্ত্র খুলিয়া লইল, এবং তাহাকে আঘাত করিয়া আধমরা অবস্থায় ফেলিয়া চলিয়া গেল।ঘটনাক্রমে একজন যাজক সেই পথ দিয়া নামিয়া যাইতেছিল; সে তাহাকে দেখিয়া এক পার্শ্ব দিয়া চলিয়া গেল।পরে সেইরূপে একজন লেবীয়ও সেই স্থানে আসিয়া দেখিয়া এক পার্শ্ব দিয়া চলিয়া গেল।কিন্তু একজন শমরীয় সেই পথ দিয়া যাইতে যাইতে তাহার নিকটে আসিল;আর তাহাকে দেখিয়া করুণাবিষ্ট হইল, এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রতি যত্ন করিল।পরদিবসে দুইটি সিকি বাহির করিয়া পান্থশালার কর্তাকে দিয়া বলিল, এই ব্যক্তির প্রতি যত্ন করিও, অধিক যাহা কিছু ব্যয় হয়, আমি যখন ফিরিয়া আইসি, তখন পরিশোধ করিব।তোমার কেমন বোধ হয়, এই তিন জনের মধ্যে কে ঐ দস্যুদের হস্তে পতিত ব্যক্তির প্রতিবাসী হইয়া উঠিল?সে কহিল, যে ব্যক্তি তাহার প্রতি দয়া করিল, সেই। তখন যীশু তাহাকে কহিলেন, যাও, তুমিও সেইরূপ কর।
দুষ্ট ঋণ করিয়া পরিশোধ করে না, কিন্তু ধার্মিক দয়াবান ও দানশীল।কেননা তাঁহার আশীর্বাদের পাত্রেরা দেশের অধিকারী হইবে, কিন্তু তাঁহার শাপের পাত্রেরা উচ্ছিন্ন হইবে।
তাহাদের জালের সূতায় বস্ত্র হইবে না, তাহাদের কর্মে তাহারা আচ্ছাদিত হইবে না, তাহাদের কর্ম সকল অধর্মের কর্ম, তাহাদের হস্তে দৌরাত্ম্যের কার্য থাকে।
অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।
তুমি তাহাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করিয়াছ, যাহারা তোমার বিধি-পথ হইতে ভ্রমে চলে; কেননা তাহাদের প্রবঞ্চনা অসার।
আর, হে প্রভু, আমাদের প্রতিবাসিগণ যে তিরস্কারে তোমাকে তিরস্কার করিয়াছে, তাহার সাত গুণ পরিশোধ তাহাদের কোলে ফিরাইয়া দেও।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে এইরূপ আচরণ করে এবং সেই মানব-সন্তান, যে ইহা দৃঢ় করিয়া রাখে, যে বিশ্রামবার পালন করে, অপবিত্র করে না, এবং সমস্ত দুষ্ক্রিয়া হইতে আপন হস্ত রক্ষা করে।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
অধর্মাচারীদের কি কিছুই জ্ঞান নাই? তাহারা খাদ্য গ্রাস করিবার ন্যায় আমার প্রজাগণকে গ্রাস করে, আর ঈশ্বরকে ডাকে না।
মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
নিজের ধনবৃদ্ধির জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করে, আর যে ধনবানকে দান করে, উভয়েরই অভাব ঘটে।
কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর সূর্য ও ঢাল; সদাপ্রভু অনুগ্রহ ও প্রতাপ প্রদান করেন; যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।
মনুষ্য কি ঈশ্বরকে ঠকাইবে? তোমরা ত আমাকে ঠকাইয়া থাক। কিন্তু তোমরা বলিতেছ, কিসে তোমাকে ঠকাইয়াছি? দশমাংশে ও উপহারে।
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ দ্বার দিয়া মেষদের খোঁয়াড়ে প্রবেশ না করে, কিন্তু আর কোন দিক্ দিয়া উঠে, সে চোর ও দস্যু।
তোমরা কি চুরি, নরহত্যা, ব্যভিচার, মিথ্যাশপথ এবং বালের উদ্দেশে ধূপদাহ করিবে, এবং যাহাদিগকে জান নাই, এমন অন্য দেবগণের পশ্চাদ্গমন করিবে, আর এখানে আসিয়া,
যে কেহ গরু কিম্বা মেষ চুরি করিয়া বধ করে, কিম্বা বিক্রয় করে, সে একটি গরুর পরিশোধে পাঁচটি গরু, ও একটি মেষের পরিশোধে চারিটি মেষ দিবে।
চোর ধরা পড়িলে যেমন লজ্জিত হয়, তেমনি ইস্রায়েল-কুল, আপনারা ও তাহাদের রাজগণ, অধ্যক্ষবর্গ, যাজকগণ ও ভাববাদিগণ লজ্জিত হইয়াছে;
তুমি আজ্ঞা সকল জান, “নরহত্যা করিও না, ব্যভিচার করিও না, চুরি করিও না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না, প্রবঞ্চনা করিও না, তোমার পিতামাতাকে সমাদর করিও”।
চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার হাতে কিছু থাকে।