শয়তানরা অতিপ্রাকৃত সত্তা যারা মানুষকে অনুপযুক্ত কাজ করতে প্ররোচিত করে। এইসব আত্মা নিজে নিজে কিছু করতে পারে না, তাই প্রকাশ পেতে তাদের মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু তারা কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে আবিষ্ট করতে পারে না, বরং আমাদের সম্মতি নিয়েই তারা আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে। আমরা যা দেখি, শুনি বা স্পর্শ করি, সেসব ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমেই তারা আমাদের জীবনে প্রবেশ করতে পারে।
শয়তান কখনোই আমাদের মঙ্গল চায় না, আর শয়তানের প্রভাবে যারা থাকে, তারা অপবিত্র জীবন যাপন করে। আল্লাহর বাণীতে এমন অনেকের কথা বলা হয়েছে যারা ভূত-প্রেত দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল, এবং এর ফলে তাদের শারীরিক সমস্যাও হয়েছিল। যিহূদা এর একটি উদাহরণ, যে প্রতারিত হয়েছিল এবং মন্দকে নিজের উপর প্রভাব বিস্তার করতে দিয়েছিল।
আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর, আল্লাহ রাজা শৌলকে মন্দ আত্মা দ্বারা পীড়িত হতে দিয়েছিলেন, যা তার বিষণ্ণ মেজাজ এবং দায়ূদকে হত্যা করার প্রবল ইচ্ছায় প্রতিফলিত হয়েছিল (১ শমূয়েল ১৮:১০-১১)।
সুসংবাদ হলো, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের কখনোই ত্যাগ করেন না, আমাদের অবস্থা যাই হোক না কেন, বা অন্যরা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও। প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের একমাত্র উপায় হলো যীশুর কাছে যাওয়া, কারণ কেবল তাঁর উপস্থিতিই আমাদের জীবনে আমাদেরকে পুরোপুরি মুক্ত করতে পারে। তাই তোমার অন্তরকে পবিত্র রাখো এবং যীশুকে তোমার আত্মাকে শাসন করার জন্য প্রার্থনা করো, যাতে শয়তানের তোমার মধ্যে কোনো স্থান না থাকে।
কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা মন্দ-আত্মা ছাড়াই, তবে ত ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে আসিয়া পড়িয়াছে।
আর অগ্রে সেই বলবান ব্যক্তিকে না বাঁধিয়া কে কেমন করিয়া সেই বলবানের গৃহে প্রবেশ করিয়া তাহার ঘরের দ্রব্য লুট করিতে পারিবে? বাঁধিলে পরেই সে তাহার ঘর লুট করিবে।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, দায়ূদ ও তাঁহার সঙ্গীরা ক্ষুধিত হইলে তিনি যাহা করিয়াছিলেন, তাহা কি তোমরা পাঠ কর নাই?
যে আমার সপক্ষ নয়, সে আমার বিপক্ষ; এবং যে আমার সহিত কুড়ায় না, সে ছড়াইয়া ফেলে।
স্ত্রীলোকটি গ্রীক, জাতিতে সুর-ফৈনীকী। সে তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল, যেন তিনি তাহার কন্যার ভূত ছাড়াইয়া দেন।
পরে সন্ধ্যাকালে, সূর্য অস্ত গেলে লোকেরা সমস্ত পীড়িত লোককে, এবং ভূতগ্রস্তদিগকে তাঁহার নিকটে আনিল।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদের মধ্যে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে।
পরে যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে সেই ভূত তাহাকে ছাড়িয়া গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড অবধি সুস্থ হইল।
কারণ অশুচি আত্মাবিষ্ট অনেক লোক হইতে সেই সকল আত্মা উচ্চৈঃস্বরে চেঁচাইয়া বাহির হইয়া আসিল, এবং অনেক পক্ষাঘাতী ও খঞ্জ সুস্থ হইল;
পরে তাঁহারা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে উপস্থিত হইলেন।
কারণ আমরা অনেকগুলি আছি। পরে সে অনেক বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদিগকে সেই অঞ্চল হইতে পাঠাইয়া না দেন।
সেই স্থানে পর্বতের পার্শ্বে এক বৃহৎ শূকরপাল চরিতেছিল।
আর তাহারা বিনতি করিয়া কহিল, ঐ শূকরগুলির মধ্যে প্রবেশ করিতে আমাদিগকে পাঠাইয়া দিউন।
তিনি তাহাদিগকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই অশুচি আত্মারা বাহির হইয়া শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করিল; তাহাতে সেই শূকর-পাল, কমবেশ দুই সহস্র শূকর, মহাবেগে দৌড়াইয়া ঢালু পাড় দিয়া সমুদ্রে গিয়া পড়িল, এবং সমুদ্রে ডুবিয়া মরিল।
তখন যাহারা সেইগুলিকে চরাইতেছিল, তাহারা পলায়ন করিয়া নগরে ও পল্লীতে পল্লীতে গিয়া সংবাদ দিল। তখন কি ঘটিয়াছে, দেখিবার জন্য লোকেরা আসিল;
এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখে, সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তি, যাহাকে বাহিনী-ভূতে পাইয়াছিল, সে কাপড় পরিয়া সুবোধ হইয়া বসিয়া আছে;
তাহাতে তাহারা ভয় পাইল। আর ঐ ভূতগ্রস্ত লোকটির ও শূকর-পালের ঘটনা যাহারা দেখিয়াছিল, তাহারা তাহাদিগকে সমস্ত বৃত্তান্ত বলিল।
তখন তাহারা আপনাদের সীমা হইতে প্রস্থান করিতে তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল।
পরে তিনি নৌকায় উঠিতেছেন, এমন সময়ে যে ব্যক্তিকে ভূতে পাইয়াছিল, সে তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তাঁহার সঙ্গে থাকিতে পারে।
কিন্তু তিনি তাহাকে অনুমতি দিলেন না, বরং কহিলেন, তুমি বাটীতে তোমার আত্মীয়গণের নিকটে চলিয়া যাও, এবং প্রভু তোমার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছেন, ও তোমার প্রতি যে কৃপা করিয়াছেন, তাহা তাহাদিগকে জ্ঞাত কর।
তিনি নৌকা হইতে বাহির হইলে তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি কবর-স্থান হইতে তাঁহার সম্মুখে আসিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল।
তখন সে প্রস্থান করিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছিলেন, তাহা দিকাপলিতে প্রচার করিতে লাগিল; তাহাতে সকলেই আশ্চর্য জ্ঞান করিল।
আর দেখ, ঐ অঞ্চলের একজন কনানীয় স্ত্রীলোক আসিয়া এই বলিয়া চেঁচাইতে লাগিল, হে প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমার প্রতি দয়া করুন, আমার কন্যাটি ভূতগ্রস্ত হইয়া অত্যন্ত ক্লেশ পাইতেছে।
তাহাতে লোকদের মধ্যে একজন উত্তর করিল, হে গুরু, আমার পুত্রটিকে আপনার কাছে আনিয়াছিলাম, তাহাকে বোবা আত্মায় পাইয়াছে;
আর সেটি তাহাকে যেখানে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তাহার মুখে ফেনা উঠে, এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত হইয়া যায়; আমি আপনার শিষ্যদিগকে তাহা ছাড়াইতে বলিলাম, কিন্তু তাঁহারা পারিলেন না।
আর যিরূশালেমের চারিদিকের নগরসমূহ হইতেও অনেক লোক রোগীদিগকে এবং অশুচি আত্মা দ্বারা ক্লিষ্ট ব্যক্তিদিগকে লইয়া সমাগত হইত, আর তাহারা সকলেই সুস্থ হইত।
পরে তিনি অন্য পারে গাদারীয়দের দেশে গেলে দুই জন ভূতগ্রস্ত লোক কবর স্থান হইতে বাহির হইয়া তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইল; তাহারা এত বড় দুর্দান্ত ছিল যে, ঐ পথ দিয়া কেহই যাইতে পারিত না।
আর দেখ, তাঁহারা চেঁচাইয়া উঠিল, বলিল, হে ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি নিরূপিত সময়ের পূর্বে আমাদিগকে যাতনা দিতে এখানে আসিলেন?
তখন তিনি হাত বাড়াইয়া তাহাকে স্পর্শ করিলেন, কহিলেন, আমার ইচ্ছা, তুমি শুচিকৃত হও; আর তখনই সে কুষ্ঠরোগ হইতে শুচিকৃত হইল।
তখন তাহাদের হইতে কিছু দূরে বৃহৎ এক শূকর-পাল চরিতেছিল।
তাহাতে মন্দ-আত্মারা বিনতি করিয়া তাঁহাকে কহিল, যদি আমাদিগকে ছাড়ান, তবে ঐ শূকর-পালে পাঠাইয়া দিউন।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, চলিয়া যাও। তখন তাহারা বাহির হইয়া সেই শূকর-পালে প্রবেশ করিল; আর দেখ, সমুদয় শূকর মহাবেগে ঢালু পাড় দিয়া দৌড়াইয়া গিয়া সমুদ্রে পড়িল, ও জলে ডুবিয়া মরিল।
তখন পালকেরা পলায়ন করিল, এবং নগরে গিয়া সমস্ত বিষয়, বিশেষতঃ সেই ভূতগ্রস্তদের বিষয় বর্ণনা করিল।
আর দেখ, নগরের সমস্ত লোক যীশুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য বাহির হইয়া আসিল, এবং তাঁহাকে দেখিয়া আপনাদের সীমা হইতে চলিয়া যাইতে বিনতি করিল।
পরে তিনি নৌকায় উঠিতেছেন, এমন সময়ে যে ব্যক্তিকে ভূতে পাইয়াছিল, সে তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তাঁহার সঙ্গে থাকিতে পারে।
পরে তাঁহারা গালীলের অন্য পারস্থ গেরাসেনীদের অঞ্চলে পৌঁছিলেন।
আর তিনি স্থলে নামিলে ঐ নগরের একজন ভূতগ্রস্ত লোক সম্মুখে উপস্থিত হইল; সে অনেক দিন হইতে কাপড় পরিত না, ও গৃহে বাস করিত না, কিন্তু কবরে থাকিত।
যীশুকে দেখিবামাত্র সে চিৎকার করিয়া উঠিল, এবং তাঁহার সম্মুখে পড়িয়া উচ্চ রবে কহিল, হে যীশু, পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সহিত আমার সমপর্ক কি? আপনাকে বিনতি করি, আমাকে যাতনা দিবেন না।
কারণ তিনি সেই অশুচি আত্মাকে লোকটির মধ্য হইতে বাহির হইয়া যাইতে আজ্ঞা করিলেন; কেননা ঐ আত্মা দীর্ঘকাল অবধি তাহাকে ধরিয়াছিল, আর শৃঙ্খল ও বেড়ী দ্বারা বদ্ধ হইয়া রক্ষিত হইলেও সে বন্ধন ছিঁড়িয়া ভূতের বশে নির্জন স্থানে চালিত হইত।
যোহানা, যিনি হেরোদের বিষয়াধ্যক্ষ কূষের স্ত্রী, এবং শোশন্না ও অন্য অনেক স্ত্রীলোক ছিলেন; তাঁহারা আপন আপন সমপত্তি হইতে তাঁহাদের পরিচর্যা করিতেন।
যীশু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার নাম কি? সে কহিল, বাহিনী; কেননা অনেক ভূত তাহার মধ্যে প্রবেশ করিয়াছিল।
পরে তাহারা তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল, যেন তিনি তাহাদিগকে রসাতলে চলিয়া যাইতে আজ্ঞা না দেন।
সেই স্থানে পর্বতের উপরে বৃহৎ এক শূকর পাল চরিতেছিল; তাহাতে ভূতগণ তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদিগকে শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করিতে অনুমতি দেন; তিনি তাহাদিগকে অনুমতি দিলেন।
তখন ভূতগণ সেই লোকটি হইতে বাহির হইয়া শূকরগুলির মধ্যে প্রবেশ করিল, তাহাতে সেই পাল বেগে ঢালু পাড় দিয়া দৌড়াইয়া গিয়া হ্রদে পড়িয়া ডুবিয়া মরিল।
এই ঘটনা দেখিয়া, যাহারা সেইগুলিকে চরাইতেছিল, তাহারা পলায়ন করিল, এবং নগরে ও পল্লীতে পল্লীতে সংবাদ দিল।
তখন কি ঘটিয়াছে, দেখিবার জন্য লোকেরা বাহির হইল, এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখিল, যে লোকটি হইতে ভূতগণ বাহির হইয়াছে, সে কাপড় পরিয়া ও সুবোধ হইয়া যীশুর চরণ তলে বসিয়া আছে; তাহাতে তাহারা ভয় পাইল।
আর যাহারা দেখিয়াছিল, তাহারা সেই ভূতগ্রস্ত কিরূপে সুস্থ হইয়াছিল, তাহা তাহাদিগকে বলিল।
তাহাতে গেরাসেনীদের প্রদেশের চারিদিকের সমস্ত লোক তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া যান; কেননা তাহারা মহাভয়ে আক্রান্ত হইয়াছিল, তখন তিনি নৌকায় উঠিয়া ফিরিয়া আসিলেন।
আর যাহা হইতে ভূতগণ বাহির হইয়াছিল, সেই লোকটি প্রার্থনা করিল, যেন তাঁহার সঙ্গে থাকিতে পারে;
কিন্তু তিনি তাহাকে বিদায় করিয়া কহিলেন, তুমি তোমার গৃহে ফিরিয়া যাও, এবং তোমার নিমিত্ত ঈশ্বর যে যে মহৎ কার্য করিয়াছেন, তাহার বৃত্তান্ত বল। তাহাতে সে চলিয়া গিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছেন, তাহা নগরের সর্বত্র প্রচার করিতে লাগিল।
তিনি নৌকা হইতে বাহির হইলে তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি কবর-স্থান হইতে তাঁহার সম্মুখে আসিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল।
পরে সন্ধ্যাকালে, সূর্য অস্ত গেলে লোকেরা সমস্ত পীড়িত লোককে, এবং ভূতগ্রস্তদিগকে তাঁহার নিকটে আনিল।
আর নগরের সকল লোক দ্বারে একত্র হইল।
তাহাতে তিনি নানা প্রকার রোগে পীড়িত অনেক লোককে সুস্থ করিলেন, এবং অনেক ভূত ছাড়াইলেন, আর তিনি ভূতদিগকে কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা তাঁহাকে চিনিত।
যখন অশুচি আত্মা মনুষ্য হইতে বাহির হইয়া যায়, তখন জলবিহীন নানা স্থান দিয়া ভ্রমণ করতঃ বিশ্রামের অন্বেষণ করে; কিন্তু না পাইয়া বলে, আমি যেখান হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি, আমার সেই গৃহে ফিরিয়া যাই।
তখন ঐ সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাঁহাকে অশুচি ভূতের আত্মায় পাইয়াছিল;
সে উচ্চরবে চেঁচাইয়া কহিল, আহা, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন? আমি জানি আপনি কে, ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
তখন যীশু তাহাকে ধম্কাইয়া কহিলেন, চুপ্ কর, এবং উহা হইতে বাহির হও, তখন সেই ভূত তাহাকে মাঝখানে ফেলিয়া দিয়া তাহা হইতে বাহির হইয়া গেল,
তাহার কোন হানি করিল না। তখন সকলে চমৎকৃত হইল, এবং পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল, এ কেমন কথা? ইনি ক্ষমতায় ও পরাক্রমে অশুচি আত্মাদিগকে আজ্ঞা করেন, আর তাহারা বাহির হইয়া যায়।
পরে তিনি অন্য পারে গাদারীয়দের দেশে গেলে দুই জন ভূতগ্রস্ত লোক কবর স্থান হইতে বাহির হইয়া তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইল; তাহারা এত বড় দুর্দান্ত ছিল যে, ঐ পথ দিয়া কেহই যাইতে পারিত না।
তখন তাহাদের সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল;
সে চেঁচাইয়া কহিল, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সমপর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন?
আমি জানি, আপনি কে; ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি। তখন যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, চুপ কর, উহা হইতে বাহির হও।
তাহাতে সেই অশুচি আত্মা তাহাকে মুচড়াইয়া ধরিয়া উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করিয়া তাহার মধ্য হইতে বাহির হইয়া গেল।
আর দেখ, একজন স্ত্রীলোক, যাহাকে আঠার বৎসর ধরিয়া দুর্বলতার আত্মায় পাইয়াছিল, সে কুব্জা, কোন মতে সোজা হইতে পারিত না।
পরে লোকেরা এক সঙ্গে দৌড়াইয়া আসিতেছে দেখিয়া যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকাইয়া কহিলেন, হে বধির গোঁগা আত্মা, আমিই তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হও, আর কখনও ইহার মধ্যে প্রবেশ করিও না।
আর তিনি একটা ভূত ছাড়াইয়াছিলেন, সে গোঁগা। ভূত বাহির হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তাহাতে লোকেরা আশ্চর্য জ্ঞান করিল।
কিন্তু তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ বলিল, এই ব্যক্তি ভূতগণের অধিপতি বেল্সবূলের দ্বারা ভূত ছাড়ায়।
পরদিন তাঁহারা সেই পর্বত হইতে নামিয়া আসিলে বিস্তর লোক তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিল।
আর দেখ, ভিড়ের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি উচ্চৈঃস্বরে কহিল, হে গুরু, বিনয় করি, আমার পুত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন, কেননা এটি আমার একমাত্র সন্তান।
আর দেখুন, একটা আত্মা ইহাকে আক্রমণ করে, আর এ হঠাৎ চেঁচাইয়া উঠে; এবং সে ইহাকে মুচড়াইয়া ধরে, তাহাতে এ ফেনা বাহির করে, আর সে ইহাকে ক্ষত-বিক্ষত করিয়া কষ্টে ছাড়িয়া যায়।
আর তোমরা যে কোন বাটীতে প্রবেশ কর, তথায় থাকিও, এবং তথা হইতে প্রস্থান করিও।
আর আমি আপনার শিষ্যদিগকে নিবেদন করিয়াছিলাম, যেন তাঁহারা এটাকে ছাড়ান, কিন্তু তাঁহারা পারিলেন না।
তখন যীশু উত্তর করিয়া কহিলেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, কত কাল আমি তোমাদের নিকটে থাকিব ও তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব? তোমার পুত্রকে এখানে আন।
সে আসিতেছে, এমন সময়ে ঐ ভূত তাহাকে ফেলিয়া দিল, ও ভয়ানক মুচড়াইয়া ধরিল। কিন্তু যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমক্ দিলেন, বালকটিকে সুস্থ করিলেন, ও তাহার পিতার কাছে তাহাকে সমর্পণ করিলেন।
তখন সকলে ঈশ্বরের মহিমায় চমৎকৃত হইল।
তখন একজন ভূতগ্রস্ত তাঁহার নিকটে আনীত হইল, সে অন্ধ ও গোঁগা; আর তিনি তাহাকে সুস্থ করিলেন, তাহাতে সেই বোবা কথা কহিতে ও দেখিতে লাগিল।
একদিন আমরা সেই প্রার্থনা-স্থানে যাইতেছিলাম, এমন সময়ে দৈবজ্ঞ আত্মাবিষ্ট এক দাসী আমাদের সম্মুখে পড়িল; সে ভাগ্য-কথন দ্বারা তাহার কর্তাদের বিস্তর লাভ জন্মাইত।
সে পৌলের এবং আমাদের পশ্চাৎ চলিতে চলিতে চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, এই ব্যক্তিরা পরাৎপর ঈশ্বরের দাস, ইহাঁরা তোমাদিগকে পরিত্রাণের পথ জানাইতেছেন।
সে অনেক দিন পর্যন্ত এইরূপ করিতে থাকিল। কিন্তু পৌল বিরক্ত হইয়া মুখ ফিরাইয়া সেই আত্মাকে কহিলেন, আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হইয়া যাও; তাহাতে সেই দণ্ডেই সে বাহির হইয়া গেল।
পরে তিনি আপনার বারো জন শিষ্যকে নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদিগকে অশুচি আত্মাদের উপরে ক্ষমতা দিলেন, যেন তাঁহারা তাহাদিগকে ছাড়াইতে, এবং সর্বপ্রকার রোগ ও ব্যাধি আরোগ্য করিতে পারেন।
তাহাতে লোকদের মধ্যে একজন উত্তর করিল, হে গুরু, আমার পুত্রটিকে আপনার কাছে আনিয়াছিলাম, তাহাকে বোবা আত্মায় পাইয়াছে;
আর সেটি তাহাকে যেখানে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তাহার মুখে ফেনা উঠে, এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত হইয়া যায়; আমি আপনার শিষ্যদিগকে তাহা ছাড়াইতে বলিলাম, কিন্তু তাঁহারা পারিলেন না।
তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, হে অবিশ্বাসী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের নিকটে থাকিব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব? উহাকে আমার নিকটে আন।
ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে করিয়া বিরলে এক উচ্চ পর্বতে লইয়া গেলেন, আর তিনি তাঁহাদের সাক্ষাতে রূপান্তরিত হইলেন।
তাহারা তাহাকে তাঁহার নিকটে আনিল; তাঁহাকে দেখিবামাত্র সেই আত্মা তাহাকে অতিশয় মুচড়াইয়া ধরিল, আর সে ভূমিতে পড়িয়া ফেনা ভাঙ্গিয়া গড়াগড়ি দিতে লাগিল।
তখন তিনি তাহার পিতাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহার কতদিন এমন হইয়াছে? সে কহিল, ছেলে বেলা হইতে;
আর সেই আত্মা ইহাকে বিনাশ করিবার নিমিত্ত অনেক বার আগুনে ও অনেক বার জলে ফেলিয়া দিয়াছে; কিন্তু আপনি যদি কিছু করিতে পারেন, তবে আমাদের প্রতি দয়া করিয়া উপকার করুন।
যীশু তাহাকে কহিলেন, যদি পারেন! যে বিশ্বাস করে, তাহার পক্ষে সকলই সাধ্য।
অমনি সেই বালকের পিতা চেঁচাইয়া অশ্রুপাতপূর্বক বলিয়া উঠিল, বিশ্বাস করিতেছি, আমার অবিশ্বাসের প্রতীকার করুন।
পরে লোকেরা এক সঙ্গে দৌড়াইয়া আসিতেছে দেখিয়া যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকাইয়া কহিলেন, হে বধির গোঁগা আত্মা, আমিই তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হও, আর কখনও ইহার মধ্যে প্রবেশ করিও না।
তখন সে চেঁচাইয়া তাহাকে অতিশয় মুচড়াইয়া দিয়া বাহির হইয়া গেল; তাহাতে বালকটি মরার মতন হইয়া পড়িল; এমন কি অধিকাংশ লোক বলিল, সে মরিয়া গিয়াছে।
কিন্তু যীশু তাহার হাত ধরিয়া তাহাকে তুলিলে সে উঠিল।
কারণ তখনই একজন স্ত্রীলোক, যাহার একটি মেয়ে ছিল, আর তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল, তাঁহার বিষয় শুনিতে পাইয়া আসিয়া তাঁহার চরণে পড়িল।
স্ত্রীলোকটি গ্রীক, জাতিতে সুর-ফৈনীকী। সে তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল, যেন তিনি তাহার কন্যার ভূত ছাড়াইয়া দেন।
তিনি তাহাকে কহিলেন, প্রথমে সন্তানেরা তৃপ্ত হউক, কেননা সন্তানদের খাদ্য লইয়া কুকুরদের কাছে ফেলিয়া দেওয়া ভাল নয়।
কিন্তু স্ত্রীলোকটি উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিল, হাঁ, প্রভু, আর কুকুরেরাও মেজের নিচে ছেলেদের খাদ্যের গুঁড়াগাঁড়া খায়।
তখন তিনি তাহাকে বলিলেন, এই বাক্য প্রযুক্ত চলিয়া যাও, তোমার কন্যার ভূত ছাড়িয়া গিয়াছে।
ফরীশীগণ ও যিহূদীরা সকলে প্রাচীনদের পরমপরাগত বিধি মান্য করায় ভাল করিয়া হাত না ধুইয়া আহার করে না।
পরে সে গৃহে গিয়া দেখিতে পাইল, কন্যাটি শয্যায় শুইয়া আছে, এবং ভূত বাহির হইয়া গিয়াছে।
তাহারা বাহিরে যাইতেছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ত গোঁগাকে তাঁহার নিকটে আনিল।
ভূত ছাড়ান হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তখন লোক সকল আশ্চর্য জ্ঞান করিয়া কহিল, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায় নাই।
আর সন্ধ্যা হইলে লোকেরা অনেক ভূতগ্রস্তকে তাঁহার নিকটে আনিল, তাহাতে তিনি বাক্য দ্বারাই সেই আত্মাগণকে ছাড়াইলেন, এবং সকল পীড়িত লোককে সুস্থ করিলেন;
পরে তাঁহারা লোকসমূহের নিকটে আসিলে এক ব্যক্তি তাঁহার কাছে আসিয়া জানু পাতিয়া কহিল,
প্রভু, আমার পুত্রের প্রতি দয়া করুন, কেননা সে মৃগীরোগগ্রস্ত, এবং অত্যন্ত ক্লেশ পাইতেছে, কারণ সে বার বার আগুনে ও বার বার জলে পড়িয়া থাকে।
আর আমি আপনার শিষ্যদের নিকটে তাহাকে আনিয়াছিলাম, কিন্তু তাঁহারা তাহাকে সুস্থ করিতে পারিলেন না।
যীশু উত্তর করিয়া কহিলেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকিব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব? তোমরা উহাকে এখানে আমার কাছে আন।
পরে যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে সেই ভূত তাহাকে ছাড়িয়া গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড অবধি সুস্থ হইল।
একদিন আমরা সেই প্রার্থনা-স্থানে যাইতেছিলাম, এমন সময়ে দৈবজ্ঞ আত্মাবিষ্ট এক দাসী আমাদের সম্মুখে পড়িল; সে ভাগ্য-কথন দ্বারা তাহার কর্তাদের বিস্তর লাভ জন্মাইত।
এবং যাঁহারা দুষ্ট আত্মা কিম্বা রোগ হইতে মুক্ত হইয়াছিলেন, এমন কয়েক জন স্ত্রীলোক ছিলেন, মগ্দলীনী নাম্নী মরিয়ম, যাঁহা হইতে সাতটি ভূত বাহির হইয়াছিল,
তখন যে ব্যক্তি দুষ্ট আত্মাবিষ্ট, সে তাহাদের উপরে লাফ দিয়া পড়িল, দুই জনকে পরাজিত করিয়া তাহাদের উপরে এমন বল প্রকাশ করিল যে, তাহারা উলঙ্গ ও ক্ষত-বিক্ষত হইয়া সেই গৃহ হইতে পলায়ন করিল।
পীড়িতদিগকে সুস্থ করিও, মৃতদিগকে উত্থাপন করিও, কুষ্ঠীদিগকে শুচি করিও, ভূতদিগকে ছাড়াইও; তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।
আর অশুচি আত্মারা তাঁহাকে দেখিলেই তাঁহার সম্মুখে পড়িয়া চেঁচাইয়া বলিত,
আপনি ঈশ্বরের পুত্র; কিন্তু তিনি তাহাদিগকে দৃঢ়রূপে নিষেধ করিয়া দিতেন, যেন তাহারা তাঁহার পরিচয় না দেয়।
পরে সেই সত্তর জন আনন্দে ফিরিয়া আসিয়া কহিল, প্রভু, আপনার নামে ভূতগণও আমাদের বশীভূত হয়।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, আমি শয়তানকে বিদ্যুতের ন্যায় স্বর্গ হইতে পতিত দেখিতেছিলাম।
দেখ, আমি তোমাদিগকে সর্প ও বৃশ্চিক পদতলে দলিত করিবার, এবং শত্রুর সমস্ত শক্তির উপরে কর্তৃত্ব করিবার ক্ষমতা দিয়াছি। কিছুতেই কোন মতে তোমাদের হানি করিবে না;
তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প; অতএব শস্যক্ষেত্রের মালিকের নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
তথাপি আত্মারা যে তোমাদের বশীভূত হয়, ইহাতে আনন্দ করিও না; কিন্তু তোমাদের নাম যে স্বর্গে লিখিত আছে, ইহাতেই আনন্দ কর।
পরে লোকেরা এক সঙ্গে দৌড়াইয়া আসিতেছে দেখিয়া যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকাইয়া কহিলেন, হে বধির গোঁগা আত্মা, আমিই তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হও, আর কখনও ইহার মধ্যে প্রবেশ করিও না।
তখন সে চেঁচাইয়া তাহাকে অতিশয় মুচড়াইয়া দিয়া বাহির হইয়া গেল; তাহাতে বালকটি মরার মতন হইয়া পড়িল; এমন কি অধিকাংশ লোক বলিল, সে মরিয়া গিয়াছে।
কিন্তু যীশু তাহার হাত ধরিয়া তাহাকে তুলিলে সে উঠিল।
এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখে, সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তি, যাহাকে বাহিনী-ভূতে পাইয়াছিল, সে কাপড় পরিয়া সুবোধ হইয়া বসিয়া আছে;
বৎসেরা, তোমরা ঈশ্বর হইতে এবং উহাদিগকে জয় করিয়াছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যবর্তী, তিনি জগতের মধ্যবর্তী ব্যক্তি অপেক্ষা মহান।
স্বাধীনতার নিমিত্তই খ্রীষ্ট আমাদিগকে স্বাধীন করিয়াছেন; অতএব তোমরা স্থির থাক, এবং দাসত্ব-জোঁয়ালিতে আর বদ্ধ হইও না।
আর শান্তির ঈশ্বর ত্বরায় শয়তানকে তোমাদের পদতলে দলিত করিবেন। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হউক।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে।
তিনিই আমাদিগকে অন্ধকারের কর্তৃত্ব হইতে উদ্ধার করিয়া আপন প্রেমভূমি পুত্রের রাজ্যে আনয়ন করিয়াছেন;