আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকা, তাঁর অপার মহিমায় আচ্ছন্ন হওয়া—এ এক অসাধারণ অনুভূতি, পৃথিবীর কোনো সুখের সাথে এর তুলনা হয় না। তাঁর দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়া মানে বুঝতে পারা যে তাঁর সান্নিধ্যে এক মুহূর্তই যথেষ্ট নিজেকে বদলে ফেলার জন্য, আর আগের মতো থাকা যাবে না। আল্লাহর মহিমা তোমাকে বদলে দেয়, পুনরুদ্ধার করে, সুস্থ করে, মুক্ত করে, আর পবিত্র আত্মার সাথে তোমার সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে।
তাই প্রতিদিন তোমার সমস্ত শক্তি, মন আর হৃদয় দিয়ে তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো। তাহলেই বুঝতে পারবে, তোমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো আল্লাহ, আর তিনিই তোমার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।
আল্লাহর মহিমার সাথে সাক্ষাৎ মানে বুঝতে পারা যে তোমার সব পাপ উন্মোচিত হবে, সব ভণ্ডামি প্রকাশ পাবে, আর তুমি যেমন তেমনই তাঁর সামনে দাঁড়াবে। কিন্তু জানো কি? এই মহিমা তোমাকে ধ্বংস করবে না, তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করবে না। বরং এটা তোমার ভেতর থেকে যা বিকৃত, যা অপ্রকৃত, তা বের করে আনবে, আর তোমাকে প্রকৃত অনুতপ্তিতে নিয়ে যাবে, যাতে তুমি পিতার হৃদয়ানুযায়ী হতে পারো, খ্রিস্টের মতো হতে পারো।
মনে রেখো, এই মহিমা তোমাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিজের শক্তিতে কিছু করার, নিজের প্রচার করার কোনো প্রয়োজন হবে না। যীশু তোমাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন যা তুমি কল্পনাও করতে পারো না, কারণ তিনি তোমার মধ্যে তাঁর চরিত্র গড়ে তুলছেন, আর তোমাকে তাঁর রহস্য প্রকাশ করার, মানুষের সামনে তোমাকে স্থাপন করার আস্থা তাঁর আছে।
আল্লাহর মহিমার জন্যই তুমি তোমার সব লক্ষ্যে পৌঁছাবে, যাতে তোমার হৃদয়ে কোনো অহংকার না থাকে, বরং তোমার একমাত্র গর্বের বিষয় হয় যীশুকে জানা, আর স্বর্গে তোমার নামে সুখ্যাতি থাকা। ২ করিন্থীয় ৩:১৮ পদে বলা হয়েছে, "আর আমরা সকলেই অবগুণ্ঠিত মুখে প্রভুর প্রতাপ প্রতিফলিত করিতে করিতে, সেই প্রভুর আত্মা দ্বারা প্রতাপ হইতে প্রতাপান্তরে তাঁহারই প্রতিমূর্ত্তিতে রূপান্তরিত হইতেছি।"
তখন তিনি কহিলেন, বিনয় করি, তুমি আমাকে তোমার প্রতাপ দেখিতে দেও।
ঈশ্বর কহিলেন, আমি তোমার সম্মুখ দিয়া আপনার সমস্ত উত্তমতা গমন করাইব, ও তোমার সম্মুখে সদাপ্রভুর নাম ঘোষণা করিব; আর আমি যাহাকে দয়া করি, তাহাকে দয়া করিব ও যাহার প্রতি করুণা করি, তাহার প্রতি করুণা করিব।
আর তাঁহারা পরস্পর ডাকিয়া বলিতে লাগিলেন, ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, বাহিনীগণের সদাপ্রভু; সমস্ত পৃথিবী তাঁহার প্রতাপে পরিপূর্ণ।’
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
সদাপ্রভুর রব হরিণীদিগকে প্রসব করাইতেছে, বনরাজিকে পত্রহীন করিতেছে; আর তাঁহার মন্দিরে সকলই বলিতেছে, গৌরব।
পরে মোশি দুই সাক্ষ্যপ্রস্তর হস্তে লইয়া সীনয় পর্বত হইতে নামিলেন; যখন পর্বত হইতে নামিলেন, তখন, সদাপ্রভুর সহিত আলাপে তাঁহার মুখের চর্ম যে উজ্জ্বল হইয়াছিল, তাহা মোশি জানিতে পারিলেন না।
কিন্তু তোমার সহিত কোন মনুষ্য উপরে না আইসুক, এবং এই পর্বতের কোথাও কোন মনুষ্য দৃষ্ট না হউক, আর গোমেষাদির পালও এই পর্বতের সম্মুখে না চরুক।
পরে যখন হারোণ ও সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তান মোশিকে দেখিতে পাইল, তখন দেখ, তাঁহার মুখের চর্ম উজ্জ্বল, আর তাহারা তাঁহার নিকটে আসিতে ভীত হইল।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমি কি তোমাকে বলি নাই যে, যদি বিশ্বাস কর, তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখিতে পাইবে? তখন তাহারা পাথরখানি সরাইয়া ফেলিল।
আর সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ।
আর সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পাইবে, আর সমস্ত মর্ত্য একসঙ্গে তাহা দেখিবে, কারণ সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।’
পিতঃ, আমার ইচ্ছা এই, আমি যেখানে থাকি, তুমি আমায় যাহাদিগকে দিয়াছ, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে, যেন তাহারা আমার সেই মহিমা দেখিতে পায়, যাহা তুমি আমাকে দিয়াছ, কেননা জগৎ পত্তনের পূর্বে তুমি আমাকে প্রেম করিয়াছিলে।
ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে ধারণকর্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্ধ্বলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
কিন্তু আমরা সকলে অনাবৃত মুখে প্রভুর তেজ দর্পণের ন্যায় প্রতিফলিত করিতে করিতে তেজ হইতে তেজ পর্যন্ত যেমন প্রভু হইতে, আত্মা হইতে হইয়া থাকে, তেমনি সেই মূর্তিতে স্বরূপান্তরীকৃত হইতেছি।
কারণ যে ঈশ্বর বলিয়াছিলেন, ‘অন্ধকারের মধ্য হইতে দীপ্তি প্রকাশিত হইবে,’ তিনিই আমাদের হৃদয়ে দীপ্তি প্রকাশ করিলেন, যেন যীশু খ্রীষ্টের মুখমণ্ডলে ঈশ্বরের গৌরবের জ্ঞান-দীপ্তি প্রকাশ পায়।
এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
যেন মনুষ্য-সন্তানগণকে জানাইতে পারে তাঁহার পরাক্রমের কার্য সকল, এবং তাঁহার রাজ্যের প্রতাপের গৌরব।
হে প্রভু, তোমার বিরচিত সর্বজাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে প্রণিপাত করিবে, তাহারা তোমার নামের গৌরব করিবে।
উঠ, দীপ্তিমতী হও, কেননা তোমার দীপ্তি উপস্থিত, সদাপ্রভুর প্রতাপ তোমার উপরে উদিত হইল।
আর বিজাতি-সন্তানেরা তোমার প্রাচীর গাঁথিবে, তাহাদের রাজগণ তোমার পরিচর্যা করিবে; কেননা আমি কোপভরে তোমাকে প্রহার করিয়াছি, কিন্তু অনুগ্রহে তোমার প্রতি করুণা করিলাম।
আর তোমার পুরদ্বার সকল সর্বদা খোলা থাকিবে, কি দিন কি রাত্রি কখনও রুদ্ধ হইবে না; জাতিগণের ঐশ্বর্য তোমার কাছে আনা যাইবে, আর তাহাদের রাজগণকেও সঙ্গে আনা যাইবে।
কারণ যে জাতি বা রাজ্য তোমার দাসত্ব স্বীকার না করিবে, তাহা বিনষ্ট হইবে; হাঁ, সেই জাতিগণ নিঃশেষে ধ্বংসিত হইবে।
লিবানোনের গৌরব তোমার কাছে আসিবে, দেবদারু, তিধর ও তাশূর বৃক্ষ একত্র আসিবে, আমার পবিত্র স্থান বিভূষিত করিবার নিমিত্ত আসিবে, এবং আমি আপন চরণের স্থান গৌরবান্বিত করিব।
আর যাহারা তোমাকে দুঃখ দিত, তাহাদের সন্তানগণ হেঁট হইয়া তোমার নিকট আসিবে; এবং যাহারা তোমাকে হেয়জ্ঞান করিত, তাহারা সকলে তোমার পদতলে প্রণিপাত করিবে, আর তোমাকে বলিবে, এ সদাপ্রভুর নগরী, এ ইস্রায়েলের পবিত্রতমের সিয়োন।
তুমি পরিত্যক্তা ও ঘৃণিতা ছিলে, তোমার মধ্য দিয়া কেহ যাতায়াত করিত না, তৎপরিবর্তে আমি তোমাকে চিরস্থায়ী শ্লাঘার পাত্র, বহু পুরুষপরম্পরার আনন্দের পাত্র করিব।
আর তুমি জাতিগণের দুগ্ধ পান করিবে, এবং রাজগণের স্তন চুষিবে; আর জানিবে যে, আমি সদাপ্রভুই তোমার ত্রাণকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের এক বীর।
আমি পিত্তলের পরিবর্তে সুবর্ণ, এবং লৌহের পরিবর্তে রৌপ্য আনিব, কাষ্ঠের পরিবর্তে পিত্তল, ও প্রস্তরের পরিবর্তে লৌহ আনিব; আর আমি শান্তিকে তোমার অধ্যক্ষ করিব, ধার্মিকতাকে তোমার শাসনকর্তা করিব।
আর শুনা যাইবে না- তোমার দেশে উপদ্রবের কথা, তোমার সীমার মধ্যে ধ্বংস ও বিনাশের কথা; কিন্তু তুমি আপন প্রাচীরের নাম ‘পরিত্রাণ’ রাখিবে, আপন পুরদ্বারের নাম ‘প্রশংসা’ রাখিবে।
সূর্য আর দিবসে তোমার জ্যোতি হইবে না, আলোকের জন্য চন্দ্রও তোমাকে জ্যোৎস্না দিবে না, কিন্তু সদাপ্রভুই তোমার চিরজ্যোতি হইবেন, তোমার ঈশ্বরই তোমার ভূষণ হইবেন।
কেননা, দেখ, অন্ধকার পৃথিবীকে, ঘোর তিমির জাতিগণকে, আচ্ছন্ন করিতেছে, কিন্তু তোমার উপরে সদাপ্রভু উদিত হইবেন, এবং তাঁহার প্রতাপ তোমার উপরে দৃষ্ট হইবে।
তোমার সূর্য আর অস্তমিত হইবে না, তোমার চন্দ্র আর ডুবিয়া যাইবে না; কেননা সদাপ্রভু তোমার চিরজ্যোতি হইবেন, এবং তোমার শোকের দিন সমাপ্ত হইবে।
আর তোমার প্রজারা সকলে ধার্মিক হইবে, তাহারা চিরকাল তরে দেশ অধিকার করিবে, তাহারা আমার রোপিত তরুর শাখা, আমার হস্তের কার্য, যেন আমি বিভূষিত হই।
যে ছোট, সে সহস্র হইয়া উঠিবে, যে ক্ষুদ্র, সে বলবান জাতি হইয়া উঠিবে; আমি সদাপ্রভু যথাকালে ইহা সম্পন্ন করিতে সত্বর হইব।
আর জাতিগণ তোমার দীপ্তির কাছে আগমন করিবে, রাজগণ তোমার অরুণোদয়ের আলোর কাছে আসিবে।
হে সদাপ্রভু, আমাদের প্রভু, সমস্ত পৃথিবীতে তোমার নাম কেমন মহিমান্বিত। তুমি আকাশমণ্ডলের ঊর্ধ্বেও তোমার প্রভা সংস্থাপন করিয়াছ।
আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
তখন মেঘ সমাগম-তাম্বু আচ্ছাদন করিল, এবং সদাপ্রভুর প্রতাপ আবাস পরিপূর্ণ করিল।
তাহাতে মোশি সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিতে পারিলেন না, কারণ মেঘ তাহার উপরে অবস্থিতি করিতেছিল, এবং সদাপ্রভুর প্রতাপ আবাস পরিপূর্ণ করিয়াছিল।
হে ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি সযত্নে তোমার অন্বেষণ করিব; আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসু, আমার মাংস তোমার জন্য লালায়িত, শুষ্ক ও শ্রান্তিকর দেশে, জলবিহীন দেশে।
তাহারা খড়্গের হস্তে সমর্পিত হইবে, তাহারা শৃগালের খাদ্য হইবে।
কিন্তু রাজা ঈশ্বরে আনন্দ করিবেন; যে কেহ তাঁহাতে শপথ করে, সে শ্লাঘা করিবে; কারণ মিথ্যাবাদীদের মুখ রুদ্ধ হইবে।
এইরূপে আমি পবিত্র স্থানে তোমার মুখ চাহিয়া থাকিতাম, তোমার পরাক্রম ও তোমার গৌরব দেখিবার জন্য।
কারণ তোমার দয়া জীবন হইতেও উত্তম; আমার ওষ্ঠাধর তোমার প্রশংসা করিবে।
পরে তিনি তাঁহাদের সাক্ষাতে রূপান্তরিত হইলেন; তাঁহার মুখ সূর্যের ন্যায় দেদীপ্যমান, এবং তাঁহার বস্ত্র দীপ্তির ন্যায় শুভ্র হইল।
হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও প্রতাপ তোমারই; কেননা স্বর্গে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সকলই তোমার; হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই, এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।
কেননা সদাপ্রভু মঙ্গলময়; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তাঁহার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
হে আকাশমণ্ডল, উপর হইতে শিশির বর্ষণ কর, মেঘমালা ধার্মিকতা বর্ষণ করুক; ভূমি বিদীর্ণ হউক, ও মেঘমালা পরিত্রাণ-ফল উৎপন্ন করুক, পৃথিবী সঙ্গে সঙ্গে ধার্মিকতা অঙ্কুরিত করুক, আমি সদাপ্রভু ইহার সৃষ্টিকর্তা।
আর তাঁহারই দ্বারা আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাঁড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি।
সদাপ্রভু সর্বজাতির উপরে উন্নত, তাঁহার গৌরব আকাশমণ্ডলের উপরে উন্নত।
কে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর তুল্য? তিনি ঊর্ধ্বে সমাসীন;
ধন্য সেই, যাহাকে তুমি মনোনীত করিয়া নিকটে আন, সে তোমার প্রাঙ্গণে বাস করিবে; আমরা পরিতৃপ্ত হইব, তোমার গৃহের উত্তম দ্রব্যে, তোমার পবিত্র মন্দিরের উত্তম দ্রব্যে।
সদাপ্রভুর কাছে আমি একটি বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছি, তাহারই অন্বেষণ করিব, যেন জীবনের সমুদয় দিন সদাপ্রভুর গৃহে বাস করি, সদাপ্রভুর সৌন্দর্য দেখিবার ও তাঁহার মন্দিরে অনুসন্ধান করিবার জন্য।
যদি কেহ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলিতেছে; যদি পরিচর্যা করে, সে ঈশ্বর-দত্ত শক্তি অনুসারে করুক; যেন সর্ববিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ঈশ্বর গৌরবান্বিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই। আমেন।
তুমি আমাকে জীবনের পথ জ্ঞাত করিবে, তোমার সম্মুখে তৃপ্তিকর আনন্দ, তোমার দক্ষিণ হস্তে নিত্য সুখভোগ।
ইহা করিলে অরুণের ন্যায় তোমার দীপ্তি প্রকাশ পাইবে, তোমার আরোগ্য শীঘ্রই অঙ্কুরিত হইবে; আর তোমার ধার্মিকতা তোমার অগ্রগামী হইবে; সদাপ্রভুর প্রতাপ তোমার পশ্চাদ্বর্তী হইবে।
হে ঈশ্বরের সন্তানগণ, সদাপ্রভুর কীর্তন কর; সদাপ্রভুরই গৌরব ও পরাক্রম কীর্তন কর।
সদাপ্রভু জলপ্লাবনে সমাসীন ছিলেন; সদাপ্রভু চিরকাল তরে সমাসীন রাজা।
সদাপ্রভু আপন প্রজাদিগকে বল দিবেন; সদাপ্রভু আপন প্রজাদিগকে শান্তি দিয়া আশীর্বাদ করিবেন।
সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাঁহার নামের গৌরব কীর্তন কর; পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুর কাছে প্রণিপাত কর।
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। আমি সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর স্তব করিব, সরল লোকদের সভায় ও মণ্ডলীর মধ্যে করিব।
তোমরা শৈলে ঢুকিয়া যাও, ও ধূলিতে লুকাও, সদাপ্রভুর ভয়ানকত্ব প্রযুক্ত ও তাঁহার মহিমার আদরণীয়তা প্রযুক্ত।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সাধুগণের সমাজে তাঁহার প্রশংসা গাও।
কারণ পরজাতিগণের মধ্যে সেই নিগূঢ়তত্ত্বের গৌরব-ধন কি, তাহা পবিত্রগণকে জ্ঞাত করিতে ঈশ্বরের বাসনা হইল; তাহা তোমাদের মধ্যবর্তী খ্রীষ্ট, গৌরবের আশা;
তোমরা সদাপ্রভুর স্তব কর; কেননা তিনি মঙ্গলময়; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
[তাঁহার স্তব কর,] যিনি প্রথমজাতদের সম্বন্ধে মিসরকে আঘাত করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
এবং তাহাদের মধ্য হইতে ইস্রায়েলকে বাহির করিয়া আনিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
বলবান হস্ত ও বিস্তারিত বাহু দ্বারাই আনিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
[তাঁহার স্তব কর,] যিনি সূফ-সাগরকে দুই ভাগ করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
এবং তাহার মধ্য দিয়া ইস্রায়েলকে পার করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
কিন্তু ফরৌণ ও তাঁহার বাহিনীকে সূফ-সাগরে ঠেলিয়া দিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
[তাঁহার স্তব কর,] যিনি নিজ প্রজাগণকে প্রান্তরের মধ্য দিয়া গমন করাইলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
যিনি মহান রাজগণকে আঘাত করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
প্রতাপান্বিত রাজগণকে বধ করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
ঈশ্বরগণের ঈশ্বরের স্তব কর; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
ও বাশনের রাজা ওগকে [বধ করিলেন]; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
এবং তাহাদের দেশ অধিকারের জন্য দিলেন, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
নিজ দাস ইস্রায়েলকে অধিকারের জন্য দিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
তিনি আমাদের হীনাবস্থায় আমাদিগকে স্মরণ করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
বিপক্ষগণ হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিলেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
তিনি সমস্ত প্রাণীকে আহার দেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
স্বর্গের ঈশ্বরের স্তব কর; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী।
প্রভুদের প্রভুর স্তব কর; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
পরে হারোণ যখন ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে ইহা কহিতেছিলেন, তখন তাহারা প্রান্তরের দিকে মুখ ফিরাইল; আর দেখ, মেঘস্তম্ভের মধ্যে সদাপ্রভুর প্রতাপ দৃষ্ট হইল।
যেন আমার গৌরব তোমার প্রশংসা গান করে, নীরব না থাকে। সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি চিরকাল তোমার স্তব করিব।
যেহেতু সকলই তাঁহা হইতে ও তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁহারই গৌরব হউক। আমেন।
আমি তোমার অঙ্গুলি-নির্মিত আকাশ-মণ্ডল, তোমার স্থাপিত চন্দ্র ও তারকামালা নিরীক্ষণ করি,
[বলি,] মর্ত্য কি যে, তুমি তাহাকে স্মরণ কর? মনুষ্য-সন্তান বা কি যে, তাহার তত্ত্বাবধান কর?
লোকে সদাপ্রভুর স্তব করুক, তাঁহার দয়াপ্রযুক্ত, মনুষ্য-সন্তানদের জন্য তাঁহার আশ্চর্য কর্মপ্রযুক্ত।
কারণ তিনি আপ্যায়িত করেন আকাঙ্ক্ষী প্রাণকে, তিনি ক্ষুধিত প্রাণকে উত্তম দ্রব্যে তৃপ্ত করেন।
সে পুষ্পবাহুল্যে উৎফুল্ল হইবে, আর আনন্দ ও গান সহকারে উল্লাস করিবে; তাহাকে দত্ত হইবে লিবানোনের প্রতাপ, কর্মিলের ও শারোণের শোভা; তাহারা দেখিতে পাইবে সদাপ্রভুর প্রতাপ, আমাদের ঈশ্বরের শোভা।
কারণ সে দেখে যে, জ্ঞানবানেরা মরে, হীনবুদ্ধি ও পশুবৎ লোক নির্বিশেষে বিনষ্ট হয়, তাহারা অন্যদের জন্য আপনাদের ধন রাখিয়া যায়।
হে আমাদের ত্রাণেশ্বর, তোমার নামের গৌরবার্থে আমাদের সাহায্য কর, তোমার নামের অনুরোধে আমাদিগকে উদ্ধার কর, আমাদের সকল পাপ মার্জনা কর।
হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।
আমার বিপক্ষেরা আমাকে তিরস্কার করে, যেন অস্থি পর্যন্ত চূর্ণ করে, তাহারা সমস্ত দিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।
তিনি কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে দেখ, একখানি উজ্জ্বল মেঘ তাঁহাদিগকে ছায়া করিল, আর দেখ, সেই মেঘ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত, ইহাঁর কথা শুন’।
হে ঈশ্বর, তোমার দয়া কেমন বহুমূল্য! মনুষ্য-সন্তানবর্গ তোমার পক্ষচ্ছায়ার নিচে শরণ লয়।
তাহারা তোমার গৃহের পুষ্টিকর দ্রব্যে পরিতৃপ্ত হয়, তুমি তাহাদিগকে তোমার আনন্দ নদীর জল পান করাইয়া থাক।
কারণ তোমারই কাছে জীবনের উনুই আছে; তোমারই দীপ্তিতে আমরা দীপ্তি দেখিতে পাই।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, যীশু আমাদের জন্য ‘তিরস্করিণী’ দিয়া, অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া, যে পথ সংস্কার করিয়াছেন,
যদি পারিত, তবে ঐ যজ্ঞ কি শেষ হইত না? কেননা আরাধনাকারীরা একবার শুচিকৃত হইলে তাহাদের কোন পাপ-বিবেক আর থাকিত না।
আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি;
হে আমাদের ত্রাণেশ্বর, তুমি ধার্মিকতায় ভয়ানক ক্রিয়া দ্বারা আমাদিগকে উত্তর দিবে; তুমি পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তের, এবং দূরবর্তী সমুদ্রবাসীদের বিশ্বাস-ভূমি।
হে ঈশ্বর, তুমি তোমার ধর্মধামে ভয়াবহ; ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তিনিই আপন প্রজাদিগকে পরাক্রম ও শক্তি দেন। ধন্য ঈশ্বর।
তোমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতিষ্ঠা কর, তাঁহার পাদপীঠের অভিমুখে প্রণিপাত কর; তিনি পবিত্র।
সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেহ তদনুযায়ী কর্ম করে, সে সদ্বুদ্ধি পায়; তাঁহার প্রশংসা নিত্যস্থায়ী।
হে ইস্রায়েলের পালক, কর্ণপাত কর, যোষেফকে মেষপালবৎ চালাও যে তুমি, করূবদ্বয়ে আসীন যে তুমি, তুমি দেদীপ্যমান হও।
তাহার ছায়ায় পর্বতগণ ঢাকা পড়িয়া গেল, তাহার শাখা সকল ঈশ্বরের এরস বৃক্ষচয়ের তুল্য হইল।
তাহা সমুদ্র পর্যন্ত আপন শাখা, নদী পর্যন্ত আপন পল্লব বিস্তার করিল।
তুমি কেন তাহার বেড়া ভাঙ্গিয়া ফেলিলে? পথিক সকল যে তাহার পত্র ছিঁড়ে।
বন হইতে শূকর আসিয়া তাহা কুচায়, মাঠের পশু তাহা মুড়াইয়া খাইয়া ফেলে।
বিনয় করি, ফির, হে বাহিনীগণের ঈশ্বর, স্বর্গ হইতে চাহিয়া দেখ, এই দ্রাক্ষালতার তত্ত্ব কর;
রক্ষা কর তাহা, যাহা তোমার দক্ষিণ হস্ত রোপণ করিয়াছে, আর সেই পুত্রকে, যাহাকে তুমি আপনার জন্য সবল করিয়াছ।
ইহা অগ্নিতে দগ্ধ হইয়াছে, ইহা ছেদিত হইয়াছে; তোমার মুখের তর্জনে লোক বিনষ্ট হইতেছে।
তোমার হস্ত তোমার দক্ষিণ হস্তের মনুষ্যের উপরে, তোমার নিমিত্ত সবলীকৃত মনুষ্যপুত্রের উপরে থাকুক।
তাহাতে আমরা তোমা হইতে ফিরিয়া যাইব না; তুমি আমাদিগকে সঞ্জীবিত কর, আমরা তোমার নামে ডাকিব।
হে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, আমাদিগকে ফিরাও; তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, তাহাতে আমরা পরিত্রাণ পাইব।
ইফ্রয়িম, বিন্যামীন ও মনঃশির সম্মুখে আপন পরাক্রম সতেজ কর, আমাদের পরিত্রাণার্থে আগমন কর।
জাতিগণের গোষ্ঠী সকল! সদাপ্রভুর কীর্তন কর, সদাপ্রভুর গৌরব ও শক্তি কীর্তন কর।
সদাপ্রভুর নামের গৌরব কীর্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে লইয়া তাঁহার সম্মুখে আইস, পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুকে প্রণিপাত কর।
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
ধৈর্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর এমন বর দিউন, যাহাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর অনুরূপে পরস্পর একমনা হও,
যেন তোমরা একচিত্তে এক মুখে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরের ও পিতার গৌরব কর।
আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হস্তের রচনা।
সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; সেই সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে,
তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় সেই সকল জড়াইবে, বস্ত্রের ন্যায় জড়াইবে, আর সেই সমস্তের পরিবর্তন হইবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ, এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।”
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
যে কেহ আমার নামে আখ্যাত, যাহাকে আমি আমার গৌরবার্থে সৃষ্টি করিয়াছি [সেই ব্যক্তিকে আনিয়া দেও], আমি তাহাকে নির্মাণ করিয়াছি, আমি তাহাকে গঠন করিয়াছি।
যেমন তোমার নাম, হে ঈশ্বর, তেমনি তোমার প্রশংসা পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত; তোমার দক্ষিণ হস্ত ধর্মশীলতায় পরিপূর্ণ।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর; হে আমার অন্তরস্থ সকল, তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।
তিনি আমাদের প্রতি আমাদের পাপানুযায়ী ব্যবহার করেন নাই, আমাদের অধর্মানুযায়ী প্রতিফল আমাদিগকে দেন নাই।
কারণ পৃথিবীর উপরে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে তাঁহার দয়া তত মহৎ।
পশ্চিমদিক্ হইতে পূর্বদিক্ যেমন দূরবর্তী, তিনি আমাদের হইতে আমাদের অপরাধ সকল তেমনি দূরবর্তী করিয়াছেন।
পিতা সন্তানদের প্রতি যেমন করুণা করেন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তাহাদের প্রতি তিনি তেমনি করুণা করেন।
কারণ তিনিই আমাদের গঠন জানেন; আমরা যে ধূলিমাত্র, ইহা তাঁহার স্মরণে আছে।
মর্ত্য, তাহার আয়ু তৃণ সদৃশ; যেমন মাঠের পুষ্প, তেমনি সে প্রফুল্ল হয়।
তাহার উপর দিয়া বায়ু বহিলেই সে আর নাই, তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না।
কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,
তাহাদের প্রতি, যাহারা তাঁহার নিয়ম রক্ষা করে, ও তাঁহার বিধি সকল পালনার্থে স্মরণ করে।
সদাপ্রভু স্বর্গে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন, তাঁহার রাজ্য কর্তৃত্ব করে সমস্তের উপরে।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, তাঁহার সকল উপকার ভুলিয়া যাইও না।
সমস্ত পৃথিবী! ঈশ্বরের উদ্দেশে আনন্দধ্বনি কর।
কেননা, হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের পরীক্ষা করিয়াছ, রৌপ্য পোড় দিবার ন্যায় আমাদিগকে পোড় দিয়াছ;
তুমি আমাদিগকে জালে ফেলিয়াছ, আমাদের কটিদেশ ভারগ্রস্ত করিয়াছ।
তুমি আমাদের মস্তকের উপর দিয়া অশ্বারোহী মনুষ্যদিগকে চালাইয়াছ; আমরা অগ্নি ও জলমধ্য দিয়া গমন করিয়াছি; তথাপি তুমি আমাদিগকে সমৃদ্ধি-স্থানে আনিয়াছ।
আমি হোমবলি লইয়া তোমার গৃহে প্রবেশ করিব, তোমার উদ্দেশে আমার সেই মানত সকল পূর্ণ করিব,
যাহা আমার ওষ্ঠাধর উচ্চারণ করিয়াছে, যাহা সঙ্কটের সময়ে আমার মুখ বলিয়াছে।
আমি তোমার উদ্দেশে মেদযুক্ত হোমবলি উৎসর্গ করিব, তাহার সহিত মেষরূপ ধূপদাহ করিব; ছাগদের সহিত বৃষদিগকেও বলিদান করিব। [সেলা]
হে ঈশ্বর-ভীত লোক সকলে, তোমরা আসিয়া শ্রবণ কর; আমার প্রাণের জন্য তিনি যাহা করিয়াছেন, তাহার বর্ণনা করি।
আমি নিজ মুখে তাঁহাকে ডাকিলাম, তাঁহার প্রতিষ্ঠা আমার জিহ্বাগ্রে ছিল।
যদি চিত্তে অধর্মের প্রতি তাকাইতাম, তবে প্রভু শুনিতেন না।
কিন্তু সত্যই ঈশ্বর শুনিয়াছেন; তিনি আমার প্রার্থনার রবে অবধান করিয়াছেন।
তাঁহার নামের গৌরব কীর্তন কর, তাঁহার প্রশংসা গৌরবান্বিত কর।
ঈশ্বরের উদ্দেশে স্তব কর, স্তব কর; আমাদের রাজার উদ্দেশে স্তব কর, স্তব কর।
কেননা ঈশ্বর সমস্ত পৃথিবীর রাজা; বুদ্ধি সহযোগে স্তব কর।
অনেকে বলে, কে আমাদিগকে মঙ্গল দেখাইবে? হে সদাপ্রভু আমাদের প্রতি নিজ মুখের দীপ্তি উদিত কর।
তুমি আমার অন্তঃকরণে এমন আহ্লাদ দিয়াছ, যাহা উহাদের গোধূম ও দ্রাক্ষারসের বাহুল্যকালেও হয় না।
তখন সকলে অতিশয় আশ্চর্যান্বিত হইল, আর ঈশ্বরের গৌরব করিতে লাগিল, এবং ভয়ে পরিপূর্ণ হইয়া বলিতে লাগিল, আজ আমরা অলৌকিক ব্যাপার দেখিলাম।
তখন তিনি কহিলেন, আমার শ্রীমুখ তোমার সহিত গমন করিবেন, এবং আমি তোমাকে বিশ্রাম দিব।
তাহাতে তিনি তাঁহাকে কহিলেন, তোমার শ্রীমুখ যদি সঙ্গে না যান, তবে এই স্থান হইতে আমাদিগকে লইয়া যাইও না।
প্রত্যেক উপত্যকা উচ্চীকৃত হইবে, প্রত্যেক পর্বত ও উপপর্বত নিম্ন করা যাইবে; বক্র স্থান সরল হইবে, উচ্চনিচ ভূমি সমস্থলী হইবে;
আর সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পাইবে, আর সমস্ত মর্ত্য একসঙ্গে তাহা দেখিবে, কারণ সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।’
তখন ধার্মিকেরা আপনাদের পিতার রাজ্যে সূর্যের ন্যায় দেদীপ্যমান হইবে। যাহার কান থাকে, সে শুনুক।
কারণ আমার মীমাংসা এই, আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।
কারণ ঈশ্বরের যত প্রতিজ্ঞা, তাঁহাতেই সেই সকলের ‘হাঁ’ হয়, সেই জন্য তাঁহার দ্বারা ‘আমেন’ও হয়, যেন আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব হয়।
এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্যিক মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।
বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকাল স্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে;
আমাদের জীবনস্বরূপ খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হইবেন, তখন তোমরাও তাঁহার সহিত সপ্রতাপে প্রকাশিত হইবে।
কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর তথা হইতে আমরা ত্রাণকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, আগমন প্রতীক্ষা করিতেছি;
তিনি আমাদের দীনতার দেহকে রূপান্তর করিয়া নিজ প্রতাপের দেহের সমরূপ করিবেন, যেন কার্যসাধক শক্তিতে তিনি সকলই আপনার বশীভূত করিতে পারেন, তাহারই গুণে করিবেন।
পরে আমি “এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী” দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই।
পরে “তিনি আত্মাতে আমাকে এক উচ্চ মহাপর্বতে লইয়া গিয়া” পবিত্র নগরী যিরূশালেমকে দেখাইলেন, সে স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে,
নামিয়া আসিতেছিল, সে ঈশ্বরের প্রতাপ বিশিষ্ট; তাহার জ্যোতি বহুমূল্য মণির, স্ফটিকবৎ নির্মল সূর্যকান্তমণির তুল্য।
তাহার বৃহৎ ও উচ্চ প্রাচীর আছে, দ্বাদশ পুরদ্বার আছে; সেই সকল দ্বারে দ্বাদশ দূত থাকেন, এবং “কয়েকটি নাম সেইগুলির উপরে লিখিত আছে, সেই সকল ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বাদশ বংশের নাম;
পূর্বদিকে তিন দ্বার, উত্তরদিকে তিন দ্বার, দক্ষিণদিকে তিন দ্বার ও পশ্চিমদিকে তিন দ্বার”।
আর নগরের প্রাচীরের দ্বাদশ ভিত্তিমূল, সেইগুলির উপরে মেষশাবকের দ্বাদশ প্রেরিতের দ্বাদশ নাম আছে।
আর যিনি আমার সঙ্গে আলাপ করিতেছিলেন, তাঁহার হস্তে ঐ নগর ও তাহার দ্বার সকল ও তাহার প্রাচীর “মাপিবার জন্য একটি সুবর্ণ নল” ছিল।
ঐ নগর চতুষ্কোণ, তাহার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান। আর তিনি সেই নল দ্বারা নগর মাপিলে দ্বাদশ সহস্র তীর পরিমাণ হইল, তাহার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান।
পরে তাহার প্রাচীর মাপিলে, মনুষ্যের অর্থাৎ দূতের পরিমাণ অনুসারে একশত চুয়াল্লিশ হস্ত হইল।
প্রাচীরের গাঁথনি সূর্যকান্তমণির এবং নগর নির্মল কাচের সদৃশ পরিষ্কৃত সুবর্ণময়।
নগরের প্রাচীরের ভিত্তিমূল সকল সর্ববিধ মূল্যবান মণিতে ভূষিত; প্রথম ভিত্তিমূল সূর্যকান্তের,
আর আমি দেখিলাম, “পবিত্র নগরী, নূতন যিরূশালেম,” স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিয়া আসিতেছে; সে আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা কন্যার ন্যায় প্রস্তুত হইয়াছিল।
দ্বিতীয় নীলকান্তের, তৃতীয় তাম্রমণির, চতুর্থ মরকতের, পঞ্চম বৈদুর্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার।
আর দ্বাদশ দ্বার দ্বাদশটি মুক্তা, এক এক দ্বার এক এক মুক্তায় নির্মিত; এবং নগরের চক স্বচ্ছ কাচবৎ বিমল সুবর্ণময়।
আর আমি নগরের মধ্যে কোন মন্দির দেখিলাম না; কারণ সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর এবং মেষশাবক স্বয়ং তাহার মন্দিরস্বরূপ।
“আর সেই নগরে দীপ্তিদানার্থে সূর্যের বা চন্দ্রের কিছু প্রয়োজন নাই; কারণ ঈশ্বরের প্রতাপ তাহা আলোকময় করে, এবং মেষশাবক তাহার প্রদীপস্বরূপ।
আর জাতিগণ তাহার দীপ্তিতে গমনাগমন করিবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাহার মধ্যে আপন আপন প্রতাপ আনেন।
ঐ নগরের দ্বার সকল দিবাতে কখনও বদ্ধ হইবে না, বাস্তবিক সেখানে রাত্রি হইবে না।
আর জাতিগণের প্রতাপ ও ঐশ্বর্য তাহার মধ্যে আনীত হইবে।”
আর অপবিত্র কিছু অথবা ঘৃণ্যকর্মকারী ও মিথ্যাচারী কেহ কখনও তাহাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না; কেবল মেষশাবকের জীবন-পুস্তকে যাহাদের নাম লিখিত আছে, তাহারাই প্রবেশ করিবে।
পরে আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন।
আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।