তোমার জন্য ভাবছি, ঈশ্বর যখন নারীর কথা ভেবেছিলেন, তখন তিনি একজন বিশ্বস্ত, সাহসী এবং অনুগত সঙ্গী, একজন বিশ্বাসী বন্ধু, একজন পরিশ্রমী এবং যোদ্ধা, এমন একজন ব্যক্তির কথা ভেবেছিলেন যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতেও থেমে থাকেন না, সম্পূর্ণ খাঁটি, ঝড়ের মধ্যেও নাচতে পারেন, শীতে আশ্রয় হতে পারেন এবং গরমে প্রাণের প্রশান্তি হতে পারেন। নারী হলেন ভালোবাসার প্রতিশব্দ, তাদের হৃদয় বিশাল, ক্ষমাশীল এবং বিশ্বাসে পরিপূর্ণ, তাই তারা যীশুর নামে মহান যুদ্ধে লড়াই করতে পারেন।
সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীর ভূমিকা অপরিসীম, কারণ নারীর মাধ্যমেই জীবন আসে। তাদের সাহস এবং সমর্থনের জন্যই একটি প্রাণী এই পৃথিবীতে আসে, এবং তারা এতটাই অক্লান্ত যে কোনও রোগ তাদের থামাতে পারে না। তাদের একমাত্র শত্রু হলো তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা। সব ভালো জিনিস নিয়ে ধ্যান করার চেষ্টা করো, কারণ ঈশ্বর তোমাদেরকে এতটাই সম্পূর্ণ করে সৃষ্টি করেছেন যে শয়তান সবসময় তোমাদের থামানোর জন্য আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।
তোমরা সাহসী এবং সকল সৎকর্মে নিবেদিত, তাই বিশ্বাস রাখো যে ঈশ্বর এবং তোমাদের আশেপাশের মানুষদের সেবা করার জন্য তোমরা স্বর্গ থেকে পুরষ্কার পাবে। তোমরা যা করো তার কিছুই বৃথা যায় না। পিতা তোমাদের কাজের খবর রাখেন এবং যথাসময়ে তিনি সবার সামনে তোমাদের সম্মান করবেন। তাই ভালো কাজ করা থেকে বিরত থেকো না, পবিত্র আত্মার ইচ্ছা পালন করার জন্য অপেক্ষা করো এবং তাঁর বাক্য থেকে দূরে সরে যেও না।
ঈশ্বর এবং তাঁর প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস রাখো, এবং যদিও তাঁর বাক্য পূর্ণ হতে দেরি হতে পারে, সাহসী হও, কারণ অনন্তকালীন ঈশ্বর তোমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে দেরি করেন না। তোমার পরিবার, সন্তান এবং স্বামী যীশুর হাতে, তাই তোমার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় পেও না এবং প্রতিদিন সকালে তোমাদেরকে জাগ্রত করেন তাঁর অনুগ্রহের শক্তিতে শক্তিশালী হও।
আর এখন, আমার মেয়েরা, ভয় পেও না। তোমরা যা চাও আমি তোমাদের জন্য তাই করব। আমার সবাই জানে যে তোমরা আদর্শ নারী, রূত ৩:১১।
গুণবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধিক।তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।তিনি মেষলোম ও মসীনা অন্বেষণ করেন, প্রফুল্লভাবে আপন হস্তে কর্ম করেন।তিনি বাণিজ্য-জাহাজ সমূহের ন্যায়, তিনি দূর হইতে আপন খাদ্যসামগ্রী আনয়ন করেন।তিনি রাত্রি থাকিতে উঠেন, আর নিজ পরিজনদিগকে খাদ্য দেন, নিজ দাসীদিগকে নিরূপিত কর্ম দেন। তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে সঙ্কল্প করিয়া তাহা ক্রয় করেন, স্বহস্তের ফল দিয়া দ্রাক্ষার উদ্যান প্রস্তুত করেন।তিনি বলে কটি বন্ধন করেন, আপন বাহুযুগল বলশালী করেন।তিনি দেখিতে পান, তাঁহার ব্যবসায় উত্তম, রাত্রিতে তাঁহার দীপ নির্বাপিত হয় না।তিনি টেকুয়া লইতে আপন হস্ত প্রসারণ করেন, তাঁহার করদ্বয় পাঁজ ধরে।হে বৎস, কি বলিব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলিব? হে আমার মানতের পুত্র, কি বলিব?তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের প্রতি হস্ত প্রসারণ করেন।তিনি নিজ পরিবারের বিষয়ে তুষার হইতে ভয় পান না; কারণ তাঁহার সমস্ত পরিজন লাল বস্ত্র পরিধান করে।তিনি আপনার জন্য বুটিদার চাদর নির্মাণ করেন। তাঁহার পরিচ্ছদ শুভ্র মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনে বস্ত্র।তাঁহার স্বামী নগর-দ্বারে প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনবর্গের সহিত বসেন।তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া বিক্রয় করেন, বণিকের হস্তে কটিবস্ত্র সমর্পণ করেন।বল ও সমাদর তাঁহার পরিচ্ছদ; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাস্য করেন।তিনি প্রজ্ঞার সহিত মুখ খোলেন, তাঁহার জিহ্বাগ্রে দয়ার ব্যবস্থা থাকে।তিনি আপন পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি আলস্যের খাদ্য খান না।তাঁহার সন্তানগণ উঠিয়া তাঁহাকে ধন্য বলে; তাঁহার স্বামীও বলেন, আর তাঁহার এইরূপ প্রশংসা করেন-“অনেক মেয়ে গুণবত্তা প্রদর্শন করিয়াছে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”তুমি নারিগণকে আপন শক্তি দিও না, যাহা রাজগণের বিনাশক, তাহাতে লিপ্ত হইও না।লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।তোমরা তাঁহার হস্তের ফল তাঁহাকে দেও, নগর-দ্বারসমূহে তাঁহার ক্রিয়া তাঁহার প্রশংসা করুক।
তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে সঙ্কল্প করিয়া তাহা ক্রয় করেন, স্বহস্তের ফল দিয়া দ্রাক্ষার উদ্যান প্রস্তুত করেন।
এখন বৎসে, ভয় করিও না, তুমি যাহা বলিবে, আমি তোমার জন্য সেই সমস্ত করিব; কেননা তুমি যে সাধ্বী, ইহা আমার স্বজাতীয়দের নগর-দ্বারের সকলেই জানে।
কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
তিনি নিজ পরিবারের বিষয়ে তুষার হইতে ভয় পান না; কারণ তাঁহার সমস্ত পরিজন লাল বস্ত্র পরিধান করে।
তিনি আপনার জন্য বুটিদার চাদর নির্মাণ করেন। তাঁহার পরিচ্ছদ শুভ্র মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনে বস্ত্র।
তোমার গৃহের অন্তঃপুরে তোমার স্ত্রী ফলবতী দ্রাক্ষালতার ন্যায় হইবে, তোমার মেজের চারিদিকে তোমার সন্তানগণ জলপাই বৃক্ষের চারার ন্যায় হইবে।
সদাপ্রভু আমার বল ও আমার ঢাল; আমার অন্তঃকরণ তাঁহার উপরে নির্ভর করিয়াছে, তাই আমি সাহায্য পাইয়াছি; এই জন্য আমার অন্তঃকরণ উল্লসিত হইয়াছে, আমি নিজ গীত দ্বারা তাঁহার প্রশংসা করিব।
সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম হইতে গৃহীত সেই পঞ্জরে একজন স্ত্রী নির্মাণ করিলেন ও তাঁহাকে আদমের নিকটে আনিলেন।
তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।
তাঁহার সন্তানগণ উঠিয়া তাঁহাকে ধন্য বলে; তাঁহার স্বামীও বলেন, আর তাঁহার এইরূপ প্রশংসা করেন-
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে এই আজ্ঞা দিলেন, তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও;
নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বশীভূত হও।কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের ত্রাণকর্তা;
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর কহিলেন, মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়, আমি তাহার জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিণী নির্মাণ করি।
অয়ি মম প্রিয়ে! দেখ, তুমি সুন্দরী, দেখ, তুমি সুন্দরী; ঘোমটার মধ্যে তোমার নয়নযুগল কপোতের ন্যায়; তোমার কেশপাশ এমন ছাগপালের ন্যায়, যাহারা গিলিয়দ-পর্বতের পার্শ্বে শুইয়া থাকে।
আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
আর তিনি আমাকে বলিয়াছেন, আমার অনুগ্রহ তোমার পক্ষে যথেষ্ট; কেননা আমার শক্তি দুর্বলতায় সিদ্ধি পায়। অতএব আমি বরং অতিশয় আনন্দের সহিত নানা দুর্বলতায় শ্লাঘা করিব, যেন খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপরে অবস্থিতি করে।
আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়,কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
কারণ শ্রান্তিতে আমার জীবন ও দীর্ঘ নিশ্বাসে আমার বয়স গেল, আমার অপরাধ প্রযুক্ত আমার শক্তি লোপ পাইতেছে, আর আমার অস্থি শীর্ণ হইল।
তাঁহারা যেন যুবতীদিগকে সংযত করিয়া তুলেন, যেন ইহারা পতিপ্রিয়া, সন্তানপ্রিয়া, সংযতা, সতী, গৃহকার্যে ব্যাপৃতা,সুশীলা ও আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হয়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের বাক্য নিন্দিত না হয়।
কিন্তু, হে সদাপ্রভু, তুমিই আমার বেষ্টনকারী ঢাল, আমার গৌরব, ও আমার মস্তক উত্তোলনকারী।আমি স্বরবে সদাপ্রভুকে ডাকি, আর তিনি আপন পবিত্র পর্বত হইতে আমাকে উত্তর দেন। [সেলা]
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
সদাপ্রভু মঙ্গলস্বরূপ, সঙ্কটের দিনে তিনি দুর্গ; আর যাহারা তাঁহার শরণ লয়, তিনি তাহাদিগকে জানেন।
এই সমস্ত তোমাদিগকে বলিলাম, যেন তোমরা আমাতে শান্তি প্রাপ্ত হও। জগতে তোমরা ক্লেশ পাইতেছ; কিন্তু সাহস কর, আমিই জগৎকে জয় করিয়াছি।
নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বশীভূত হও।কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের ত্রাণকর্তা;কিন্তু মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বশীভূত, তেমনি নারীগণ, সর্ববিষয়ে আপন আপন স্বামীর বশীভূত হউক।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
বৎস, শ্রবণ কর, দেখ, কর্ণপাত কর; তোমার জাতি ও তোমার পিতৃকুল ভুলিয়া যাও।তাহাতে রাজা তোমার সৌন্দর্য বাসনা করিবেন; কেননা তিনিই তোমার প্রভু, তুমি তাঁহার কাছে প্রণিপাত কর।
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
পরে মিসরের রাজা শিফ্রা নামে ও পূয়া নামে দুই জন ইব্রীয়া ধাত্রীকে এই কথা কহিলেন,যে সময়ে তোমরা ইব্রীয় স্ত্রীলোকদের ধাত্রীকার্য করিবে, ও তাহাদিগকে প্রসব-আধারে দেখিবে, যদি পুত্রসন্তান হয় তাহাকে বধ করিবে; আর যদি কন্যা হয় তাহাকে জীবিত রাখিবে।কিন্তু ঐ ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করিত, সুতরাং মিসর-রাজের আজ্ঞানুসারে না করিয়া পুত্রসন্তানদিগকে জীবিত রাখিত।তাই মিসর-রাজ সেই ধাত্রীদিগকে ডাকাইয়া কহিলেন, এই কর্ম কেন করিয়াছ? পুত্রসন্তানগণকে কেন জীবিত রাখিয়াছ? ধাত্রীরা ফরৌণকে উত্তর করিল,ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা মিসরীয় স্ত্রীলোকদের ন্যায় নহে; তাহারা বলবতী, তাহাদের কাছে ধাত্রী যাইবার পূর্বেই তাহারা প্রসব করে।রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি ও যিহূদা,অতএব ঈশ্বর ঐ ধাত্রীদের মঙ্গল করিলেন; এবং লোকেরা বৃদ্ধি পাইয়া অতিশয় বলবান হইল।
কিন্তু রূৎ কহিল, তোমাকে ত্যাগ করিয়া যাইতে, তোমার পশ্চাদ্গমন হইতে ফিরিয়া যাইতে, আমাকে অনুরোধ করিও না; তুমি যেখানে যাইবে, আমিও তথায় যাইব; এবং তুমি যেখানে থাকিবে, আমিও তথায় থাকিব; তোমার লোকই আমার লোক, তোমার ঈশ্বরই আমার ঈশ্বর;তুমি যেখানে মরিবে, আমিও তথায় মরিব, সেই স্থানেই কবরপ্রাপ্ত হইব; কেবল মৃত্যু ব্যতীত আর কিছুই যদি আমাকে ও তোমাকে পৃথক করিতে পারে, তবে সদাপ্রভু আমাকে অমুক ও ততোধিক দণ্ড দিউন।
তুমি আমার ভ্রমণ গণনা করিতেছ; আমার নেত্রজল তোমার কুপাতে রাখ; তাহা কি তোমার পুস্তকে লিখিত নাই?
সেইরূপে প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপবাদিকা কি সুরার দাসী না হন, সুশিক্ষাদায়িনী হন;
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
কেননা তোমার নির্মাতা তোমার পতি, তাঁহার নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু; আর ইস্রায়েলের পবিত্রতম তোমার মুক্তিদাতা, তিনি সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর বলিয়া আখ্যাত হইবেন।
সেই পুরুষের নাম নাবল ও তাহার স্ত্রীর নাম অবীগল; ঐ স্ত্রী সুবুদ্ধি ও সুবদনা, কিন্তু ঐ পুরুষ কঠিন ও দুর্বৃত্ত ছিল; সে কালেবের বংশজাত।
সে জলস্রোতের তীরে রোপিত বৃক্ষের সদৃশ হইবে, যাহা যথা সময়ে ফল দেয়, যাহার পত্র ম্লান হয় না; আর সে যাহা কিছু করে, তাহাতেই কৃতকার্য হয়।
পরে সদাপ্রভু আপন বাক্যানুসারে সারার তত্ত্বাবধান করিলেন; সদাপ্রভু যাহা বলিয়াছিলেন, সারার প্রতি তাহা করিলেন।তাহাতে তিনি অব্রাহামকে কহিলেন, তুমি ঐ দাসীকে ও উহার পুত্রকে দূর করিয়া দেও; কেননা আমার পুত্র ইস্হাকের সহিত ঐ দাসীর পুত্র উত্তরাধিকারী হইবে না।এই কথায় অব্রাহাম আপন পুত্রের বিষয়ে অতি অসন্তুষ্ট হইলেন।আর ঈশ্বর অব্রাহামকে কহিলেন, ঐ বালকের বিষয়ে ও তোমার ঐ দাসীর বিষয়ে অসন্তুষ্ট হইও না; সারা তোমাকে যাহা বলিতেছে, তাহার সেই কথা শুন; কেননা ইস্হাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে।আর ঐ দাসীপুত্র হইতেও আমি এক জাতি উৎপন্ন করিব, কারণ সে তোমার বংশীয়।পরে অব্রাহাম প্রত্যুষে উঠিয়া রুটি ও জলপূর্ণ কুপা লইয়া হাগারের স্কন্ধে দিয়া বালকটিকে সমর্পণ করিয়া তাহাকে বিদায় করিলেন। তাহাতে সে প্রস্থান করিয়া বের্-শেবা প্রান্তরে ঘুরিয়া বেড়াইল।পরে কুপার জল শেষ হইল, তাহাতে সে এক ঝোপের নিচে বালকটিকে ফেলিয়া রাখিল;আর আপনি তাহার সম্মুখ হইতে অনেকটা দূরে, অনুমান এক তীর দূরে গিয়া বসিল, কারণ সে কহিল, বালকটির মৃত্যু আমি দেখিব না। আর সে তাহার সম্মুখ হইতে দূরে বসিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিল।তখন ঈশ্বর বালকটির রব শুনিলেন; আর ঈশ্বরের দূত আকাশ হইতে ডাকিয়া হাগারকে কহিলেন, হাগার, তোমার কি হইল? ভয় করিও না, বালকটি যেখানে আছে, ঈশ্বর তথা হইতে উহার রব শুনিলেন;তুমি উঠিয়া বালকটিকে তুলিয়া তোমার হাতে ধর; কারণ আমি উহাকে এক মহাজাতি করিব।তখন ঈশ্বর তাহার চক্ষু খুলিয়া দিলেন, তাহাতে সে এক সজল কূপ দেখিতে পাইল, আর তথায় গিয়া কুপাতে জল পূরিয়া বালকটিকে পান করাইল।আর সারা গর্ভবতী হইয়া ঈশ্বরের উক্ত নিরূপিত সময়ে অব্রাহামের বৃদ্ধকালে তাঁহার নিমিত্ত পুত্র প্রসব করিলেন।
আমি ইস্রায়েলের শান্তিপ্রিয় ও বিশ্বস্ত লোকদের একজন, কিন্তু আপনি ইস্রায়েলের মাতৃস্থানীয় একটি নগর বিনষ্ট করিতে চেষ্টা করিতেছেন; আপনি কেন সদাপ্রভুর অধিকার গ্রাস করিবেন?
সদাপ্রভু আমার পক্ষে সকলই সিদ্ধ করিবেন; হে সদাপ্রভু, তোমার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তোমার স্বহস্তের কর্ম পরিত্যাগ করিও না।
তিনি রাত্রি থাকিতে উঠেন, আর নিজ পরিজনদিগকে খাদ্য দেন, নিজ দাসীদিগকে নিরূপিত কর্ম দেন। তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে সঙ্কল্প করিয়া তাহা ক্রয় করেন, স্বহস্তের ফল দিয়া দ্রাক্ষার উদ্যান প্রস্তুত করেন।
আমাদের পুত্রগণ যেন বৃক্ষের চারার ন্যায় যৌবনে বর্ধনশীল হয়, আমাদের কন্যাগণ যেন প্রাসাদের গাঁথনীর অনুরূপে তক্ষিত কোণের স্তম্ভসদৃশ হয়;
আমাদের ভগিনী, কিংক্রিয়াস্থ মণ্ডলীর পরিচারিকা, ফৈবীর জন্য আমি তোমাদের কাছে সুপারিশ করিতেছি,খ্রীষ্টে পরীক্ষাসিদ্ধ আপিল্লিকে মঙ্গলবাদ কর। আরিষ্টবুলের পরিজনগণকে মঙ্গলবাদ কর।আমার স্বজাতীয় হেরোদিয়োনকে মঙ্গলবাদ কর। নার্কিসের পরিজনবর্গের মধ্যে যাঁহারা প্রভুতে আছেন, তাঁহাদিগকে মঙ্গলবাদ কর।ত্রুফেণা ও ত্রুফোষা, যাঁহারা প্রভুতে পরিশ্রম করেন, তাঁহাদিগকে মঙ্গলবাদ কর। প্রিয়া পর্ষী, যিনি প্রভুতে অত্যন্ত পরিশ্রম করিয়াছেন, তাঁহাকে মঙ্গলবাদ কর।প্রভুতে মনোনীত রূফকে, আর তাঁহার মাতাকে- যিনি আমারও মাতা- মঙ্গলবাদ কর।অসুংক্রিত, ফ্রিগোন, হর্মিপাত্রোবা, হর্মা, এবং তাঁহাদের সঙ্গের ভ্রাতৃগণকে মঙ্গলবাদ কর।ফিললগ ও যুলিয়া, নীরিয় ও তাঁহার ভগিনী এবং ওলুমপ, ও তাঁহাদের সঙ্গের সমস্ত পবিত্র লোককে মঙ্গলবাদ কর।তোমরা পবিত্র চুম্বনে পরস্পর মঙ্গলবাদ কর। খ্রীষ্টের সমস্ত মণ্ডলী তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছে।ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সরল লোকদের মন ভুলায়।কেননা তোমাদের আজ্ঞাবহতার কথা সকল লোকের নিকটে ব্যাপিয়াছে। অতএব তোমাদের জন্য আমি আনন্দ করিতেছি; কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, তোমরা উত্তম বিষয়ে বিজ্ঞ ও মন্দ বিষয়ে অমায়িক হও।যেন তোমরা তাঁহাকে প্রভুতে, পবিত্রগণের যথাযোগ্য ভাবে, গ্রহণ কর, এবং যে কোন বিষয়ে তোমাদের হইতে উপকারের তাঁহার প্রয়োজন হইতে পারে, তাহা কর; কেননা তিনিও অনেকের এবং আমার নিজেরও উপকারিণী হইয়াছেন।
আবার, হে প্রকৃত সহযুগ্য, তোমাকেও বিনয় করিতেছি, তুমি ইঁহাদের সাহায্য কর, কেননা ইঁহারা সুসমাচারে আমার সহিত পরিশ্রম করিয়াছিলেন, ক্লীমেন্ত এবং আমার অন্যান্য সহকর্মচারীও তাহা করিয়াছিলেন, তাঁহাদের নাম জীবন-পুস্তকে লেখা আছে।
আর ধন্য যিনি বিশ্বাস করিলেন, কারণ প্রভু হইতে যাহা যাহা তাঁহাকে বলা গিয়াছে, সেই সমস্ত সিদ্ধ হইবে।
তখন রাহেল পিতাকে কহিলেন, কর্তা, আপনার সাক্ষাতে আমি উঠিতে পারিলাম না, ইহাতে বিরক্ত হইবেন না, কেননা আমি স্ত্রীধর্মিণী আছি। এইরূপে তিনি অন্বেষণ করিলেও সেই ঠাকুরগুলিকে পাইলেন না।
তখন ইস্হাক রিবিকাকে গ্রহণ করিয়া সারা মাতার তাম্বুতে লইয়া গিয়া তাঁহাকে বিবাহ করিলেন, এবং তাঁহাকে প্রেম করিলেন। তাহাতে ইস্হাক মাতৃবিয়োগের শোক হইতে সান্ত্বনা পাইলেন।
তুমি ত মৃত্যু হইতে আমার প্রাণ উদ্ধার করিয়াছ, তুমি কি পতন হইতে আমার চরণ [উদ্ধার কর নাই,] যেন আমি জীবিতদের দীপ্তিতে ঈশ্বরের সাক্ষাতে গমনাগমন করি?
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
এবং যাহার পক্ষে নানা সৎকর্মের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করিয়া থাকে, যদি অতিথিসেবা করিয়া থাকে, যদি পবিত্রদের পা ধুইয়া থাকে, যদি ক্লিষ্টদের উপকার করিয়া থাকে, যদি সমস্ত সৎকর্মের অনুসরণ করিয়া থাকে।
তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।
তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।
যাহারা তোমার নাম জানে, তাহারা তোমাতে বিশ্বাস রাখিবে; কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার অন্বেষণকারীদিগকে পরিত্যাগ কর নাই।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
অতএব যেমন তোমরা করিয়াও থাক, তেমনি তোমরা পরস্পরকে আশ্বাস দেও, এবং একজন অন্যকে গাঁথিয়া তুল।
তুমি আমাদিগকে অনেক দারুণ সঙ্কট দেখাইয়াছ, তুমি ফিরিয়া আমাদিগকে সঞ্জীবিত করিবে, পৃথিবীর অধঃস্থান হইতে পুনর্বার উঠাইবে।তুমি আমার মহত্ত্ব বৃদ্ধি কর, এবং ফিরিয়া আমাকে সান্ত্বনা দেও।
গুণবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধিক।তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।