তোমার মনে যেন ঈশ্বরের প্রতি কোন ভয় না থাকে, বরং তুমি যেন আত্মবিশ্বাসের সাথে তাঁর কাছে যেতে পারো, ঈশ্বর সেটাই চান। ঈশ্বরের ভয় সম্পর্কে বলা মানে তোমাকে তাঁর বাক্য পালন করতে, তাঁর আদেশ ও বিধি অনুসরণ করতে, সবসময় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতে উৎসাহিত করা। ঈশ্বরের ভয় একটা অনুভূতি যা তোমার ভেতর থেকে জন্ম নেয় এবং তোমাকে ভালো ও সঠিক কাজ করতে পরিচালিত করে কারণ তুমি তাঁকে ভালোবাসো।
অন্যদিকে, ভয় তোমাকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, ঈশ্বরকে ভালোবাসার জন্য নয়, বরং শাস্তির ভয়ে। ঈশ্বরের ভয় কেবল ভীতির চেয়ে অনেক বেশি কিছু; এটা হল আত্মসমর্পণকারী হৃদয়ের প্রকাশ যা তাঁকে উপাসনা করে, শ্রদ্ধা করে এবং তাঁর নামের সম্মান করে।
ঈশ্বরকে ভয় করার জন্য, তাঁর সাথে একটা সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে তুমি বুঝতে পারো যে তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে কষ্ট দিতে চাও না। ঈশ্বর মানুষের মধ্যে বোকামি পছন্দ করেন না, বরং তিনি জ্ঞান ও বুদ্ধি কামনা করেন, যাতে সে সবসময় তার জীবনের জন্য সর্বোত্তমটা করতে পারে। যে প্রভুকে ভয় করে সে মন্দকে ঘৃণা করে; আমি অহংকার, দম্ভ, দুর্ব্যবহার এবং কুৎসিত ভাষাকে ঘৃণা করি (হিতোপদেশ ৮:১৩)।
যখন তুমি ঈশ্বরকে জানো এবং তাঁর সৌন্দর্য অনুভব করো, তখন তুমি তাঁকে হতাশ না করার একটা প্রতিজ্ঞা অনুভব করো, প্রতিদিন তুমি যা তাঁকে অপছন্দনীয় তা ত্যাগ করার চেষ্টা করো। পবিত্র আত্মার প্রকৃত জ্ঞানের মাধ্যমেই তুমি বক্রটাকে সোজা করো এবং তোমার হৃদয়কে পাপ থেকে রক্ষা করো।
সবশেষে, ঈশ্বরকে ভয় করো এবং তাঁর আদেশ পালন করো, কারণ মানুষের জন্য এটাই সব (উপদেশক ১২:১৩)।
আপনার দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হইও না; সদাপ্রভুকে ভয় কর, মন্দ হইতে দূরে যাও।ইহা তোমার দেহের স্বাস্থ্যস্বরূপ হইবে, তোমার অস্থির মজ্জাস্বরূপ হইবে।
দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,
আর তোমার সময়ে সুস্থিরতা হইবে, ত্রাণের, প্রজ্ঞার ও জ্ঞানের বাহুল্য হইবে; সদাপ্রভুর ভয় তাহার ধনকোষ।
আইস, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্তব্য।
অতএব, প্রিয়তমেরা এই সকল প্রতিজ্ঞার অধিকারী হওয়াতে আইস, আমরা মাংসের ও আত্মার সমস্ত মালিন্য হইতে আপনাদিগকে শুচি করি, ঈশ্বরভয়ে পবিত্রতা সিদ্ধ করি।
সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেহ তদনুযায়ী কর্ম করে, সে সদ্বুদ্ধি পায়; তাঁহার প্রশংসা নিত্যস্থায়ী।
এখন হে ইস্রায়েল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার কাছে কি চাহেন? কেবল এই, যেন তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় কর, তাঁহার সকল পথে চল ও তাঁহাকে প্রেম কর, এবং তোমার সমস্ত হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সহিত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর,অদ্য আমি তোমার মঙ্গলার্থে সদাপ্রভুর যে যে আজ্ঞা ও বিধি তোমাকে দিতেছি, সেই সকল যেন পালন কর।
আহা, সর্বদা আমাকে ভয় করিতে ও আমার আজ্ঞা সকল পালন করিতে যদি উহাদের এইরূপ মন থাকে, তবে উহাদের ও উহাদের সন্তানদের চিরস্থায়ী মঙ্গল হইবে।
কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,
আর তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা সকল পালন করিয়া তাঁহার পথে গমন করিবে, ও তাঁহাকে ভয় করিবে।
তোমরা কেবল সদাপ্রভুকে ভয় কর, ও সমস্ত অন্তঃকরণের সহিত সত্যে তাঁহার সেবা কর; কেননা দেখ, তিনি তোমাদের জন্য কেমন মহৎ মহৎ কর্ম করিলেন।
আর সদাপ্রভু আমাদিগকে এই সমস্ত বিধি পালন করিতে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করিতে আজ্ঞা করিলেন, যেন যাবজ্জীবন আমাদের মঙ্গল হয়, আর তিনি অদ্যকার মত যেন আমাদিগকে জীবিত রাখেন।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার আজ্ঞাতে অতিমাত্র প্রীত হয়।
সদাপ্রভুর ভয় জীবনে লইয়া যায়, যাহার তাহা আছে, সে তৃপ্ত হইয়া বসতি করে, অমঙ্গল তাহার নিকটে যায় না।
আর সদাপ্রভুর আত্মা প্রজ্ঞার ও বিবেচনার আত্মা, মন্ত্রণার ও পরাক্রমের আত্মা, জ্ঞানের ও সদাপ্রভু-ভয়ের আত্মা তাঁহাতে অধিষ্ঠান করিবেন; আর তিনি সদাপ্রভু-ভয়ে আমোদিত হইবেন।
দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,মৃত্যু হইতে তাহাদের প্রাণ রক্ষা করিবার জন্য, দুর্ভিক্ষে তাহাদিগকে বাঁচাইয়া রাখিবার জন্য।
আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।
সদাপ্রভুর দূত, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন, আর তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।
সত্যই তাঁহার পরিত্রাণ তাহাদেরই নিকটবর্তী, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যেন আমাদের দেশে গৌরব বাস করিতে পায়।
তুমি লোকদিগকে, পুরুষ, স্ত্রী, বালক-বালিকা ও তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী সকলকে একত্র করিবে, যেন তাহারা শুনিয়া শিক্ষা পায় ও তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করে, এবং এই ব্যবস্থার সমস্ত কথা যত্নপূর্বক পালন করে;আর তাহাদের যে সন্তানগণ এই সকল জানে না, তাহারা যেন শুনে, এবং যে দেশ অধিকার করিতে তোমরা যর্দন পার হইয়া যাইতেছ, সেই দেশে যত কাল প্রাণধারণ করে, তাহারা তত কাল যেন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করিতে শিখে।
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।কেননা আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ।
আমি জানি, ঈশ্বর যাহা কিছু করেন, তাহা চিরস্থায়ী; তাহা বাড়াইতেও পারা যায় না, কমাইতেও পারা যায় না; আর ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, যেন তাঁহার সম্মুখে মনুষ্যগণ ভীত হয়।
এ সকলই ত আমার হস্ত দ্বারা নির্মিত, তাই এই সকল উৎপন্ন হইল, ইহা সদাপ্রভু কহেন। কিন্তু এই ব্যক্তির প্রতি, অর্থাৎ যে দুঃখী, ভগ্নাত্মা ও আমার বাক্যে কম্পমান, তাহার প্রতি আমি দৃষ্টিপাত করিব।
তিনি ত প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কার্যানুযায়ী ফল দিবেন,সৎক্রিয়ায় ধৈর্য সহযোগে যাহারা প্রতাপ, সমাদর ও অক্ষয়তার অন্বেষণ করে, তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিবেন;কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
বৎস, তুমি যদি আমার কথা সকল গ্রহণ কর, যদি আমার আজ্ঞা সকল তোমার কাছে সঞ্চয় কর,কেননা প্রজ্ঞা তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, জ্ঞান তোমার প্রাণের তুষ্টি জন্মাইবে,পরিণামদর্শিতা তোমার প্রহরী হইবে, বুদ্ধি তোমাকে রক্ষা করিবে;যেন তোমাকে উদ্ধার করে, দুষ্টের পথ হইতে, সেই সকল লোক হইতে, যাহারা কুটিল বাক্য বলে,যাহারা সরলতার পথ ত্যাগ করে, অন্ধকার-পথে চলিবার নিমিত্ত;যাহারা কুক্রিয়াসাধনে আনন্দিত হয়, দুষ্টতার কুটিলতায় উল্লসিত হয়;যাহারা বক্র পথের পথিক, আপন আপন আচরণে বিপথগামী।সে তোমাকে উদ্ধার করিবে পরকীয়া স্ত্রী হইতে, সেই চাটুবাদিনী বিজাতীয়া হইতে,যে যৌবনকালের মিত্রকে ত্যাগ করে, আপন ঈশ্বরের নিয়ম ভুলিয়া যায়;কেননা উহার গৃহ মৃত্যুর দিকে অবনত, উহার পথ প্রেতলোকের দিকে অবনত;যাহারা উহার কাছে যায়, তাহারা আর ফিরে না, তাহারা জীবনের পথ পায় না;যদি প্রজ্ঞার দিকে কর্ণপাত কর, যদি বুদ্ধিতে মনোনিবেশ কর;যেন তুমি সুশীলদের পথে চলিতে পার, যেন ধার্মিকগণের পথ অবলম্বন কর;কেননা সরলগণ দেশে বাস করিবে, সিদ্ধ ব্যক্তিরা তথায় অবশিষ্ট থাকিবে।কিন্তু দুষ্টগণ দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উৎপাটিত হইবে।হাঁ, যদি সুবিবেচনাকে আহ্বান কর, যদি বুদ্ধির জন্য উচ্চৈঃস্বরে মিনতি কর;যদি রৌপ্যের ন্যায় তাহার অন্বেষণ কর, গুপ্ত ধনের ন্যায় তাহার অনুসন্ধান কর;তবে সদাপ্রভুর ভয় বুঝিতে পারিবে, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রাপ্ত হইবে।
প্রেমে ভয় নাই, বরং সিদ্ধ প্রেম ভয়কে বাহির করিয়া দেয়, কেননা ভয় দণ্ডযুক্ত, আর যে ভয় করে, সে প্রেমে সিদ্ধ হয় নাই।
সেই ব্যক্তি কে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে? তিনি তাহাকে ইষ্ট পথ দেখাইয়া দিবেন।তাহার প্রাণ কুশলে বাস করিবে, তাহার বংশ দেশের অধিকারী হইবে।
তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার দাসের রবে কর্ণপাত করে? যে অন্ধকারে চলে যাহার দীপ্তি নাই, সে সদাপ্রভুর নামে বিশ্বাস করুক, আপন ঈশ্বরে নির্ভর দিউক।
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”
বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা, বলিয়া ডাকি।
পাপী যদিও শত বার দুষ্কর্ম করিয়া দীর্ঘকাল থাকে, তথাপি আমি নিশ্চয় জানি, ঈশ্বর-ভীত লোকদের, যাহারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ভীত হয়, তাহাদের মঙ্গল হইবে;কিন্তু দুষ্ট লোকের মঙ্গল হইবে না, ও সে দীর্ঘকাল থাকিবে না; তাহার আয়ু ছায়াস্বরূপ; কারণ সে ঈশ্বরের সাক্ষাতে ভীত হয় না।
অশুভ সংবাদেও সে ভয় করিবে না; তাহার চিত্ত স্থির, তাহা সদাপ্রভুতে নির্ভর করে।তাহার চিত্ত সুস্থির; সে ভয় করে না, শেষে সে আপন বিপক্ষদের দশা দেখিবে।
আর সদাপ্রভু আমাদিগকে এই সমস্ত বিধি পালন করিতে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করিতে আজ্ঞা করিলেন, যেন যাবজ্জীবন আমাদের মঙ্গল হয়, আর তিনি অদ্যকার মত যেন আমাদিগকে জীবিত রাখেন।আর আমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা অনুসারে তাঁহার সম্মুখে এই সমস্ত বিধি যত্নপূর্বক পালন করিলে আমাদের ধার্মিকতা হইবে।
ঈশ্বরে আমি তাঁহার বাক্যের প্রশংসা করিব; আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না; মাংসপিণ্ড আমার কি করিতে পারে?
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
সদাপ্রভু আমার জ্যোতি, আমার পরিত্রাণ, আমি কাহা হইতে ভীত হইব? সদাপ্রভু আমার জীবন-দুর্গ, আমি কাহা হইতে ত্রাসযুক্ত হইব?
হে আমার প্রাণ, নীরবে ঈশ্বরেরই অপেক্ষা কর; কেননা তাঁহা হইতেই আমার প্রত্যাশা।কেবল তিনিই মম শৈল ও মম পরিত্রাণ; তিনি মম উচ্চদুর্গ, আমি বিচলিত হইব না।
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
কারণ তাহারা জ্ঞানকে ঘৃণা করিত, সদাপ্রভুর ভয় মনোনীত করিত না;উপদেশ পাওয়া যায় বিজ্ঞতার আচরণ সম্বন্ধে, ধার্মিকতা, বিচার ও ন্যায় সম্বন্ধে;আমার পরামর্শে সম্মত হইত না, আমার সমস্ত অনুযোগ তুচ্ছ করিত;তাই তাহারা স্ব স্ব আচরণের ফল ভোগ করিবে, স্ব স্ব কুপরামর্শের ফল দিয়া উদর পূর্ণ করিবে।
বাহিনীগণের সদাপ্রভুকেই পবিত্র বলিয়া মান, তিনিই তোমাদের ভয়স্থান হউন, তিনিই তোমাদের ত্রাসভূমি হউন।
আর আমরা জানি, ব্যবস্থা যাহা কিছু বলে, তাহা ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে বলে; যেন প্রত্যেক মুখ বদ্ধ এবং সমস্ত জগৎ ঈশ্বরের বিচারের অধীন হয়।
হে সদাপ্রভু, দুষ্টের হস্ত হইতে আমাকে নিস্তার কর, দুর্জন হইতে আমাকে রক্ষা কর; তাহারা আমার চরণ ঠেলিয়া দিবার সঙ্কল্প করিয়াছে।
দেখ, ঈশ্বর আমার পরিত্রাণ; আমি সাহস করিব, ভীত হইব না; কেননা সদাপ্রভু যিহোবা আমার বল ও গান; তিনি আমার পরিত্রাণ হইয়াছেন।
তোমার ইষ্ট সাধন করিতে আমাকে শিক্ষা দেও; কেননা তুমিই আমার ঈশ্বর; তোমার আত্মা মঙ্গলময়, আমাকে সরল ভূমি দিয়া চালাও।
হে ঈশ্বর, তুমি তোমার ধর্মধামে ভয়াবহ; ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তিনিই আপন প্রজাদিগকে পরাক্রম ও শক্তি দেন। ধন্য ঈশ্বর।
সদাপ্রভুর নামের গৌরব কীর্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে লইয়া তাঁহার সম্মুখে আইস, পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুকে প্রণিপাত কর।
সদাপ্রভু, তোমার দয়া আকাশমণ্ডলে ব্যাপ্ত, তোমার বিশ্বস্ততা গগনস্পর্শী।তোমার ধর্মশীলতা ঈশ্বরের পর্বতসমূহের তুল্য, তোমার শাসন সকল মহাজলধিস্বরূপ; সদাপ্রভু, তুমি মনুষ্য ও পশু রক্ষা করিয়া থাক।
তাহাতে সদাপ্রভুর নাম হইতে পশ্চিম দেশীয়েরা, তাঁহার প্রতাপ হইতে সূর্যোদয়স্থানের লোকেরা ভীত হইবে; কারণ তিনি এমন প্রবল বন্যার ন্যায় আসিবেন, যাহা সদাপ্রভুর বায়ু দ্বারা তাড়িত
কেননা লিখিত আছে, “প্রভু কহিতেছেন, আমার জীবনের দিব্য, আমার কাছে প্রত্যেক জানু পাতিত হইবে, এবং প্রত্যেক জিহ্বা ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করিবে।” সুতরাং আমাদের প্রত্যেক জনকে ঈশ্বরের কাছে আপন আপন নিকাশ দিতে হইবে।
সদাপ্রভুর ভয়কারিগণ! তাঁহার প্রশংসা কর; যাকোবের সমস্ত বংশ! তাঁহাকে সমাদর কর; তাঁহাকে ভয় কর, ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ!
যাহার দৃষ্টিতে পামর তুচ্ছনীয় হয়; যে সদাপ্রভুর ভয়কারীদিগকে মান্য করে, দিব্য করিলে ক্ষতি হইলেও অন্যথা করে না;
হে সদাপ্রভু, তোমার পথ আমাকে শিক্ষা দেও, আমি তোমার সত্যে চলিব; তোমার নাম ভয় করিতে আমার চিত্তকে একাগ্র কর।
কেননা আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর তোমার দক্ষিণ হস্ত ধারণ করিব; তোমাকে বলিব, ভয় করিও না, আমি তোমার সাহায্য করিব।
ঈশ্বর উঠুন, তাঁহার শত্রুগণ ছিন্নভিন্ন হউক, তাঁহার বিদ্বেষিগণ তাঁহার সম্মুখ হইতে পলায়ন করুক।তোমার সমাজ তাহার মধ্যে বাস করিল; হে ঈশ্বর, তুমি আপন মঙ্গলভাবে দুঃখীর নিমিত্ত আয়োজন করিলে।প্রভু বাক্য দেন, শুভবার্তার প্রচারিকাগণ মহাবাহিনী।বাহিনীগণের রাজারা পলায়ন করেন, পলায়ন করেন, আর গৃহস্বামিনী দ্রব্য বিভাগ করিয়া লয়।তোমরা কি বাথান মধ্যে শয়ন করিবে, রৌপ্যমণ্ডিত কপোতের পক্ষবৎ হইবে, যাহার পালখ হরিৎ সুবর্ণমণ্ডিত?সর্বশক্তিমান যখন রাজাদিগকে দেশে ছিন্নভিন্ন করিলেন, তখন সল্মোন পর্বতে [যেন] তুষার পড়িল।বাশন পর্বত ঈশ্বরের পর্বত; বাশন পর্বত বহুশৃঙ্গ পর্বত।হে বহুশৃঙ্গ পর্বতগণ, ঈশ্বর আপন নিবাসের নিমিত্ত যে পর্বতে প্রীত হইয়াছেন, তৎপ্রতি তোমরা কেন কুটিল দৃষ্টি করিতেছ? অবশ্য সদাপ্রভু চিরকাল তথায় বাস করিবেন।ঈশ্বরের রথ অযুত অযুত ও লক্ষ লক্ষ, প্রভু সেই সকলের মধ্যবর্তী; যেমন সীনয়ে, তাঁহার পবিত্র স্থানে তুমি ঊর্ধ্বে উঠিয়াছ, বন্দিগণকে বন্দি করিয়াছ, মনুষ্যদের মধ্যে দান গ্রহণ করিয়াছ; এমন কি, বিদ্রোহীদের মধ্যেও গ্রহণ করিয়াছ, যেন সদাপ্রভু ঈশ্বর [তথায়] বাস করেন।ধন্য প্রভু, যিনি দিন দিন আমাদের ভার বহন করেন; সেই ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ। [সেলা]যেমন ধূম চালিত হয়, তেমনি তুমি তাহাদিগকে চালিত কর; যেমন অগ্নির সম্মুখে মোম গলিয়া যায়, তেমনি ঈশ্বরের সম্মুখে দুষ্টগণ বিনষ্ট হউক।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
আহা! তোমার দত্ত মঙ্গল কেমন মহৎ, যাহা তুমি তোমার ভয়কারীদের জন্য সঞ্চয় করিয়াছ, যাহা মনুষ্য-সন্তানদের সাক্ষাতে তোমার শরণাপন্নদের পক্ষে সাধন করিয়াছ।
কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
অতএব প্রভুর ভয় কি, তাহা জানাতে আমরা মনুষ্যদিগকে বুঝাইয়া লওয়াইতেছি, কিন্তু ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ রহিয়াছি; আর আমি প্রত্যাশা করি যে, আমরা তোমাদের বিবেকেরও প্রত্যক্ষ রহিয়াছি।
তুমি আপন নিদেশমালা আদেশ করিয়াছ, যেন আমরা যত্নপূর্বক তাহা পালন করি।দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকলের আকাঙ্ক্ষা করিয়া আসিতেছি, তোমার ধর্মশীলতায় আমাকে সঞ্জীবিত কর।আমার প্রতি তোমার দয়া বর্তুক, হে সদাপ্রভু, তোমার বচনানুসারে তোমার পরিত্রাণ বর্তুক।তবে আমি আমার দুর্নামকারীকে উত্তর দিতে পারিব, কেননা আমি তোমার বাক্যে নির্ভর করিতেছি।আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না, কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।আমি সতত তোমার ব্যবস্থা পালন করিব, যুগে যুগে চিরকাল করিব।আর আমি প্রশস্ত স্থানে যাতায়াত করিব, কেননা আমি তোমার নিদেশ সকলের অন্বেষণ করিয়াছি।আমি রাজগণের সাক্ষাতেও তোমার সাক্ষ্যকলাপের কথা বলিব, আর আমি লজ্জিত হইব না।আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে আমোদ করিব, সেই সকল আমি ভালবাসি।আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সেই সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।তোমার দাসের পক্ষে সেই বাক্য স্মরণ কর, যদ্দ্বারা তুমি আমাকে প্রত্যাশাযুক্ত করিয়াছ।আহা! আমার পথ সকল সুস্থির হউক, যেন আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করি।
ধন্য সেই জন, যে কেহ সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার সকল পথে চলে।বাস্তবিক তুমি স্বহস্তের শ্রম-ফল ভোগ করিবে, তুমি ধন্য হইবে, ও তোমার মঙ্গল হইবে।
সেই ব্যক্তি কে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে? তিনি তাহাকে ইষ্ট পথ দেখাইয়া দিবেন।তাহার প্রাণ কুশলে বাস করিবে, তাহার বংশ দেশের অধিকারী হইবে।সদাপ্রভুর গূঢ় মন্ত্রণা তাঁহার ভয়কারীদের অধিকার, তিনি তাহাদিগকে আপন নিয়ম জানাইবেন।
কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,তাহাদের প্রতি, যাহারা তাঁহার নিয়ম রক্ষা করে, ও তাঁহার বিধি সকল পালনার্থে স্মরণ করে।
কিন্তু তোমরা যে আমার নাম ভয় করিয়া থাক, তোমাদের প্রতি ধার্মিকতা-সূর্য উদিত হইবেন, তাঁহার পক্ষপুট আরোগ্যদায়ক; এবং তোমরা বাহির হইয়া পালের গোবৎসদের ন্যায় নাচিবে।