তোমার জীবনে মদ্যপানের কুফল সম্পর্কে একটু ভেবে দেখো। আমাদের কাজের প্রভাব আমাদের চারপাশের মানুষের উপর কেমন পড়ে, সেটা বোঝা খুব জরুরি। মদ্যপ অবস্থায়, বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আসলে, অন্য যেকোনো নেশার মতো মদ্যাসক্তিও এক ধরনের মূর্তিপূজা। ঈশ্বর ছাড়া অন্য যে কোনো কিছু যা আমরা আমাদের হৃদয়ের গভীর প্রয়োজন পূরণ করার জন্য ব্যবহার করি, তা একটা মূর্তিতে পরিণত হয়, আর সেটা আমাদের আত্মাকে বেঁধে ফেলে।
আমি আজ তোমাকে এমন একটা সমাধানের কথা বলতে চাই যা তোমাকে এই অন্ধকার জগৎ থেকে বের করে আনতে সাহায্য করবে। খ্রীষ্টের রক্তের শক্তিতে মদ্যাসক্তি থেকে মুক্ত হও। তাঁর রক্ত তোমার শরীরকে শুদ্ধ করার, তোমাকে বিষমুক্ত করার এবং তোমাকে একজন নতুন মানুষে রূপান্তরিত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।
কি চোর কি লোভী কি মাতাল কি কটূভাষী কি পরধনগ্রাহী, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
হে মত্তগণ, জাগিয়া উঠ ও রোদন কর; হে মদ্যপায়ী সকলে, মিষ্ট দ্রাক্ষারসের জন্য হাহাকার কর; কেননা তাহা তোমাদের মুখ হইতে অপহৃত হইয়াছে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
মাংস ভক্ষণ বা দ্রাক্ষারস পান, অথবা যাহা কিছুতে তোমার ভ্রাতা ব্যাঘাত কি বিঘ্ন পায়, কি দুর্বল হয়, এমন কিছুই না করা ভাল।
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
দ্রাক্ষারসের প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না, যদিও উহা রক্তবর্ণ, যদিও উহা পাত্রে চক্মক্ করে, যদিও উহা সহজে গলায় নামিয়া যায়;
রাজগণের জন্য, হে লমূয়েল, রাজগণের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, ‘সুরা কোথায়?’ [বলা] শাসনকর্তাদের অনুচিত।
তাই এলি তাঁহাকে কহিলেন, তুমি কতক্ষণ মত্ত হইয়া থাকিবে? তোমার দ্রাক্ষারস তোমা হইতে দূর কর।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,
দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।
প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,
মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা খুব সকালে উঠে, যেন সুরার অনুধাবন করিতে পারে; যাহারা অনেক রাত্রি বসিয়া থাকে, যাবৎ না দ্রাক্ষারস তাহাদিগকে উত্তপ্ত করে!
বীণা ও নেবল, তবল ও বাঁশী ও দ্রাক্ষারস, এই সকল তাহাদের ভোজে বিদ্যমান; কিন্তু তাহারা সদাপ্রভুর কার্য নেহারে না, তাঁহার হস্তের ক্রিয়া দেখিল না।
মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোজীদের সঙ্গী হইও না;
কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্যদশা ঘটে, এবং ঢুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেক্ড়া পরায়।
কে হায় হায় বলে? কে হাহাকার করে? কে বিবাদ করে? কে বিলাপ করে? কে অকারণ আঘাত পায়? কাহার চক্ষু লাল হয়?
তাহার সুস্বাদু খাদ্যে লালসা করিও না, কারণ তাহা বঞ্চনার আহার।
যাহারা দ্রাক্ষারসের নিকটে বহুকাল থাকে, যাহারা সুরার সন্ধানে যায়।
দ্রাক্ষারসের প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না, যদিও উহা রক্তবর্ণ, যদিও উহা পাত্রে চক্মক্ করে, যদিও উহা সহজে গলায় নামিয়া যায়;
অবশেষে উহা সর্পের ন্যায় কামড়ায়, বিষধরের ন্যায় দংশন করে।
তোমার চক্ষু পরকীয়া স্ত্রীদিগকে দেখিবে, তোমার চিত্ত কুটিল কথা কহিবে;
তুমি তাহার তুল্য হইবে, যে সমুদ্রের মধ্যস্থলে শয়ন করে, যে মাস্তুলের উপরে শয়ন করে।
[তুমি বলিবে,] লোকে আমাকে মারিয়াছে, কিন্তু আমি ব্যথা পাই নাই; তাহারা আমাকে প্রহার করিয়াছে, কিন্তু আমি টের পাই নাই। আমি কখন্ জাগ্রত হইব? আবার তাহার অন্বেষণ করিব।
কেননা পরজাতীয়দের বাসনা সাধন করিয়া, লমপটতা, সুখাভিলাষ, মদ্যপান, রঙ্গরস পানার্থক সভা ও ঘৃণার্হ প্রতিমাপূজারূপ পথে চলিয়া যে কাল অতীত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট।
সেইরূপ পরিচারকদেরও আবশ্যক, যেন তাঁহারা ধীর হন, যেন দ্বিবাক্যবাদী, বহু মদ্যপানে আসক্ত, কুৎসিত লোভের আকাঙ্ক্ষী না হন,
রাজগণের জন্য, হে লমূয়েল, রাজগণের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, ‘সুরা কোথায়?’ [বলা] শাসনকর্তাদের অনুচিত।
পাছে পান করিয়া তাঁহারা বিধি বিস্মৃত হন, এবং কোন দুঃখীর বিচার বিপরীত করেন।
কেননা সদাপ্রভুর হস্তে এক পানপাত্র আছে, তাহার দ্রাক্ষারস মাতিয়া উঠিয়াছে, তাহা মিশ্রিত মদ্যে পরিপূর্ণ, আর তিনি তাহা হইতে ঢালেন, পৃথিবীর দুষ্ট সকলে তাহার তলানি পর্যন্ত চাটিয়া খাইবে।
কিন্তু আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে;
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটূভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
মৃতকল্প ব্যক্তিকে সুরা দেও, তিক্তপ্রাণ লোককে দ্রাক্ষারস দেও;
সে পান করিয়া দৈন্যদশা ভুলিয়া যাউক, আপন দুর্দশা আর মনে না করুক।
মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কারণ যাহারা নিদ্রা যায়, তাহারা রাত্রিতেই নিদ্রা যায়; এবং যাহারা মদ্যপায়ী, তাহারা রাত্রিতেই মত্ত হয়।
হে দেশ, ধন্য তুমি, যদি কুলীন-পুত্র তোমার রাজা হন, এবং তোমার অধ্যক্ষগণ উপযুক্ত সময়ে ভোজন করেন, বলবৃদ্ধির নিমিত্ত, মত্ততার নিমিত্ত নয়।
তুমি আমার শত্রুগণের সাক্ষাতে আমার সম্মুখে মেজ সাজাইয়া থাক; তুমি আমার মস্তক তৈলে সিক্ত করিয়াছ; আমার পানপাত্র উথলিয়া পড়িতেছে।
কিন্তু সেই দাস যদি মনে মনে বলে, আমার প্রভুর আসিবার বিলম্ব আছে, এবং সে দাস-দাসীদিগকে প্রহার করিতে, ভোজন পান করিতে ও মত্ত হইতে আরম্ভ করে,
তবে যে দিন সে অপেক্ষা না করিবে, ও যে দণ্ড সে না জানিবে, সেই দিন সেই দণ্ডে সেই দাসের প্রভু আসিবেন, এবং তাহাকে দ্বিখণ্ড করিয়া অবিশ্বস্তদের মধ্যে তাহার অংশ নিরূপণ করিবেন।
কেননা ভোজনকালে প্রত্যেক জন অপরের অগ্রে তাহার নিজের ভোজ গ্রহণ করে, তাহাতে একজন ক্ষুধিত থাকে, আর একজন বা মত্ত হয়। এ কেমন?
আমি মনে মনে আন্দোলন, কিরূপে মদ্যপানে শরীরকে তুষ্ট করিব- তখনও আমার মন প্রজ্ঞাসহকারে আমাকে পথ প্রদর্শন করিতেছিল- আর কিরূপে অজ্ঞানতা অবলম্বন করিব শেষে দেখিতে পারিব, আকাশের নিচে মনুষ্য-সন্তানদের সমস্ত জীবনকালে কি কি করা ভাল।
প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
হায়! ইফ্রয়িমের মাতালদের দর্প-মুকুট; হায়! তাহার তেজোময় শোভার ্নানপ্রায় পুষ্প, যাহা দ্রাক্ষারসে পরাভূতদের ফলশালী উপত্যকার মস্তকে রহিয়াছে।
কেননা বিধির উপরে বিধি, বিধির উপরে বিধি; পাঁতির উপরে পাঁতি, পাঁতির উপরে পাঁতি; এখানে একটুকু, সেখানে একটুকু।’
‘শুন, তিনি অস্পষ্টবাক্ ওষ্ঠ ও পরভাষা দ্বারা এই লোকদের সহিত কথাবার্তা কহিবেন,
যাহাদিগকে তিনি বলিলেন, ‘এই বিশ্রামস্থানে, তোমরা ক্লান্তকে বিশ্রাম দেও, আর এই প্রাণ জুড়াইবার স্থান;’ তথাপি তাহারা শুনিতে সম্মত হইল না।
সেই জন্য তাহাদের প্রতি সদাপ্রভুর বাক্য ‘বিধির উপরে বিধি, বিধির উপরে বিধি; পাঁতির উপরে পাঁতি, পাঁতির উপরে পাঁতি; এখানে একটুকু, সেখানে একটুকু’ হইবে; যেন তাহারা গিয়া পশ্চাতে পড়িয়া ভগ্ন হয়, ও ফাঁদে বদ্ধ হইয়া ধরা পড়ে।
অতএব, হে নিন্দাপ্রিয় লোকেরা, যিরূশালেমস্থ এই জাতির শাসনকর্তৃগণ, সদাপ্রভুর বাক্য শুন।
তোমরা বলিয়াছ, ‘আমরা মৃত্যুর সহিত নিয়ম করিয়াছি, পাতালের সহিত সন্ধি স্থির করিয়াছি; জলপ্রলয়রূপ কশা যখন উপনীত হইবে, তখন আমাদের কাছে আসিবে না, কেননা আমরা অলীকতাকে আপনাদের আশ্রয় করিয়াছি, ও মিথ্যা ছলের আড়ালে লুকাইয়াছি।’
এই কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি সিয়োনে ভিত্তিমূলের নিমিত্ত এক প্রস্তর স্থাপন করিলাম; তাহা পরীক্ষাসিদ্ধ প্রস্তর, বহুমূল্য কোণের প্রস্তর, অতি দৃঢ়রূপে বসান; যে ব্যক্তি বিশ্বাস করিবে, সে চঞ্চল হইবে না।
আর আমি ন্যায়বিচারকে মানরজ্জু, ও ধার্মিকতাকে ওলোনসূত্র করিব; শিলাবৃষ্টি ঐ অলীকতারূপ আশ্রয় ফেলিয়া দিবে, এবং বন্যা ঐ লুকাইবার স্থান ভাসাইয়া লইয়া যাইবে।
আর মৃত্যুর সহিত কৃত তোমাদের নিয়ম বিলোপ করা যাইবে, ও পাতালের সহিত তোমাদের সন্ধি স্থির থাকিবে না; জলপ্রলয়রূপ কশা যখন উপনীত হইবে, তখন তোমরা তদ্দ্বারা দলিত হইবে।
তাহা যতবার উপনীত হইবে, ততবার তোমাদিগকে ধরিবে, বস্তুতঃ সে প্রভাতে প্রভাতে, দিনে ও রাত্রিতে, উপনীত হইবে; আর এই বার্তা বুঝিলে কেবল ত্রাস জন্মিবে।
দেখ, প্রভুর একজন বলবান ও বীর্যশালী লোক আছে; সে শিলাযুক্ত ধারাসম্পাতের, প্রলয়কারী ঝটিকার ন্যায়, অতি বেগে ধাবমান প্রবল ধারাসমপাতের ন্যায়, বলপূর্বক [সকলই] ভূমিতে নিক্ষেপ করিবে।
বাস্তবিক গাত্র বিস্তার করিবার পক্ষে বিছানা খাট, ও সর্বাঙ্গে জড়াইবার পক্ষে লেপ ছোট।
বস্তুতঃ সদাপ্রভু উঠিবেন, যেমন পরাসীম পর্বতে উঠিয়াছিলেন; তিনি ক্রোধ করিবেন, যেমন গিবিয়োনের তলভূমিতে করিয়াছিলেন; এইরূপে তিনি আপন কার্য, আপন অসম্ভব কার্য সিদ্ধ করিবেন; আপন ব্যাপার, আপন বিজাতীয় ব্যাপার সম্পন্ন করিবেন।
অতএব তোমরা নিন্দায় রত হইও না, পাছে তোমাদের বন্ধন দৃঢ়তর হয়; কেননা প্রভুর মুখে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুরই মুখে আমি সমস্ত পৃথিবীর জন্য উচ্ছেদের, নিরূপিত উচ্ছেদের কথা শুনিয়াছি।
তোমরা কান দেও, আমার রব শুন; কর্ণপাত কর, আমার বাক্য শুন।
বীজ বপন করিবার জন্য কৃষক কি সমস্ত দিন হাল বহে, ও মাটি খুঁড়িয়া ভূমির ঢেলা ভাঙ্গে?
ভূমিতল সমান করিলে পর সে কি মহুরী ছড়ায় না, ও জীরা বপন করে না? এবং শ্রেণী শ্রেণী করিয়া গম নিরূপিত স্থানে যব ও ক্ষেত্রের সীমাতে জনার কি বুনে না?
কারণ তাহার ঈশ্বর তাহাকে যথার্থ শিক্ষা দেন; তিনি তাহাকে জ্ঞান দেন।
বস্তুতঃ মহুরী হাতগাড়ী দ্বারা মর্দন করা যায় না, এবং জীরার উপরে গাড়ীর চক্র ঘুরে না, কিন্তু মহুরী দণ্ড দিয়া ও জীরা যষ্টি দিয়া মাড়া যায়।
রুটির শস্য চূর্ণ করিতে হয়; কারণ সে কখনও তাহা মর্দন করিবে না; আর তাহার গাড়ীর চক্র ও তাহার অশ্বগণ তাহা ছড়ায় বটে, কিন্তু সে তাহা চূর্ণ করে না।
ইহাও বাহিনীগণের সদাপ্রভু হইতে হয়; তিনি মন্ত্রণাতে আশ্চর্য ও বুদ্ধিকৌশলে মহান।
ইফ্রয়িমের মাতালদের দর্প-মুকুট পদতলে দলিত হইবে;
তাহার মুখ নবনীতের ন্যায় কোমল, কিন্তু তাহার অন্তঃকরণ যুদ্ধময়; তাহার বাক্য সকল তৈল অপেক্ষা চিক্কণ, তথাপি সেই সকল বিকোষিত খড়্গস্বরূপ।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
এখন অবধি কেবল জল পান করিও না, কিন্তু তোমার উদরের জন্য ও তোমার বার বার অসুখ হয় বলিয়া কিঞ্চিৎ দ্রাক্ষারস ব্যবহার করিও।
তোমরা কি জান না যে, দৌড়ের স্থলে যাহারা দৌড়ায়, তাহারা সকলে দৌড়ায়, কিন্তু কেবল একজন পুরস্কার পায়? তোমরা এইরূপে দৌড়াও, যেন পুরস্কার পাও।
আর যে কেহ মল্লযুদ্ধ করে, সে সর্ববিষয়ে ইন্দ্রিয়দমন করে। তাহার ক্ষয়ণীয় মুকুট পাইবার জন্য তাহা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাইবার জন্য করি।
অতএব আমি এইরূপে দৌড়াইতেছি যে বিনালক্ষ্যে নয়; এইরূপে মুষ্টিযুদ্ধ করিতেছি যে শূন্যে আঘাত করিতেছি না।
বরং আমার নিজ দেহকে প্রহার করিয়া দাসত্বে রাখিতেছি, পাছে অন্য লোকদের কাছে প্রচার করিবার পর আমি নিজে কোন ক্রমে অগ্রাহ্য হইয়া পড়ি।
কারণ সে প্রভুর সম্মুখে মহান হইবে, এবং দ্রাক্ষারস কি সুরা কিছুই পান করিবে না; আর সে মাতার গর্ভ হইতেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইবে;
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
কোন মন্দ বিষয়ে আমার চিত্তকে প্রবৃত্ত হইতে দিও না, আমি যেন অধর্মাচারী লোকদের সহিত দুষ্ক্রিয়ায় ব্যাপৃত না হই, এবং উহাদের সুস্বাদু ভক্ষ্য ভোজন না করি।
আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, এখন অবধি আমি এই দ্রাক্ষাফলের রস আর কখনও পান করিব না, সেই দিন পর্যন্ত, যখন আমি আপন পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে ইহা নূতনভাবে পান করিব।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে মানতে বদ্ধ; আমি তোমাকে স্তবের উপহার দিব।
তুমি ত মৃত্যু হইতে আমার প্রাণ উদ্ধার করিয়াছ, তুমি কি পতন হইতে আমার চরণ [উদ্ধার কর নাই,] যেন আমি জীবিতদের দীপ্তিতে ঈশ্বরের সাক্ষাতে গমনাগমন করি?
মনুষ্যপুত্র আসিয়া ভোজন পান করেন; তাহাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু। কিন্তু প্রজ্ঞা নিজ কর্মসমূহ দ্বারা নির্দোষ বলিয়া গণিত হয়।
আর তোমরা বল, সে ভূতগ্রস্ত। মনুষ্যপুত্র আসিয়া ভোজন পান করেন, আর তোমরা বল, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু।
যখন তুমি শাসকর্তার সহিত ভোজনে বসিবে, তখন তোমার সম্মুখে কে আছে, ভালরূপে বিবেচনা করিও;
সীমার পুরাতন চিহ্ন স্থানান্তর করিও না, পিতৃহীনদের ক্ষেত্রে প্রবেশ করিও না।
কেননা তাহাদের মুক্তিকর্তা বলবান; তিনি তোমার বিরুদ্ধে তাহাদের পক্ষ সমর্থন করিবেন।
তুমি শাসনে মন দেও, জ্ঞানের কথায় কর্ণপাত কর।
বালককে শাসন করিতে ত্রুটি করিও না; তুমি দণ্ড দ্বারা তাহাকে মারিলে সে মরিবে না।
তুমি তাহাকে দণ্ড দ্বারা প্রহার করিবে, পাতাল হইতে তাহার প্রাণকে রক্ষা করিবে।
বৎস, তোমার চিত্ত যদি জ্ঞানশালী হয়, তবে আমারও চিত্ত আনন্দিত হইবে;
বাস্তবিক আমার চিত্ত উল্লসিত হইবে। যখন তোমার ওষ্ঠ ন্যায়বাদী হয়,
তোমার মন পাপীদের প্রতি ঈর্ষা না করুক, কিন্তু তুমি সমস্ত দিন সদাপ্রভুর ভয়ে থাক।
কেননা শেষ ফল অবশ্য আছে, তোমার আশা ছিন্ন হইবে না।
বৎস, তুমি শুন, জ্ঞানবান হও, তোমার হৃদয় সৎপথে চালাও।
আর যদি তুমি উদরম্ভরি হও, তবে আপনার গলায় আপনি ছুরি দিবে।
মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোজীদের সঙ্গী হইও না;
কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্যদশা ঘটে, এবং ঢুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেক্ড়া পরায়।
তোমার জন্মদাতা পিতার কথা শুন, তোমার মাতা বৃদ্ধা হইলে তাঁহাকে তুচ্ছ করিও না।
সত্য ক্রয় কর, বিক্রয় করিও না; প্রজ্ঞা, শাসন ও সুবিবেচনা [ক্রয় কর]।
ধার্মিকের পিতা মহা-উল্লসিত হন, জ্ঞানবানের জন্মদাতা তাহাতে আনন্দ করেন।
তোমার পিতামাতা আহ্লাদিত হউন, তোমার জননী উল্লসিতা হউন।
হে বৎস, তোমার হৃদয় আমাকে দেও, তোমার চক্ষু আমার পথসমূহে প্রীত হউক।
কেননা বেশ্যা গভীর খাত, বিজাতীয়া স্ত্রী সঙ্কীর্ণ কূপ।
সে দস্যুর ন্যায় ঘাঁটি বসায়, মনুষ্যদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক দলের বৃদ্ধি করে।
কে হায় হায় বলে? কে হাহাকার করে? কে বিবাদ করে? কে বিলাপ করে? কে অকারণ আঘাত পায়? কাহার চক্ষু লাল হয়?
তাহার সুস্বাদু খাদ্যে লালসা করিও না, কারণ তাহা বঞ্চনার আহার।
কেননা মাংস আত্মার বিরুদ্ধে, এবং আত্মা মাংসের বিরুদ্ধে অভিলাষ করে; কারণ এই দুইয়ের একটি অন্যটির বিপরীত, তাই তোমরা যাহা ইচ্ছা কর, তাহা সাধন কর না।
[প্রত্যেক জন বলে,] চল, আমি দ্রাক্ষারস আনি, আমরা সুরাপানে মত্ত হইব, এবং যেমন অদ্যকার দিন, তেমনি কল্যও হইবে; তাহা অত্যন্ত অধিক বলিয়া মহাদিন হইবে।
কিন্তু যাহার সন্দেহ আছে, সে যদি ভোজন করে, তবে সে দোষী সাব্যস্ত হইল, কারণ তাহার ভোজন বিশ্বাসমূলক নয়; আর যাহা কিছু বিশ্বাসমূলক নয়, তাহাই পাপ।
এই জগতের ব্যভিচারী কি লোভী কি পরধনগ্রাহী কি প্রতিমাপূজকদের সংসর্গ একেবারে ছাড়িতে হইবে, তাহা নয়, কেননা তাহা হইলে জগতের বাহিরে যাওয়া তোমাদের আবশ্যক হইয়া পড়ে।
যে প্রজ্ঞা ভালবাসে, সে পিতার আনন্দজনক হয়; কিন্তু যে বেশ্যাদের প্রতি অনুরক্ত হয়, তাহার ধন নষ্ট হইবে।
কিন্তু বলবান যে আমরা, আমাদের উচিত, যেন দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করি, আর আপনাদিগকে তুষ্ট না করি।
আবার তিনি বলেন, “জাতিগণ! তাঁহার প্রজাদের সহিত হর্ষনাদ কর।”
আবার “সমস্ত জাতি, প্রভুর প্রশংসা কর, সমস্ত লোকবৃন্দ তাঁহার প্রশংসা করুক।”
আবার যিশাইয় বলেন, “যিশয়ের মূল থাকিবে, আর জাতিগণের উপরে কর্তৃত্ব করিতে একজন দাঁড়াইবেন, তাঁহারই উপরে জাতিগণ প্রত্যাশা রাখিবে।”
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
আর, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝিতেছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমুদয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
তথাপি তোমাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিতেছি বলিয়া কয়েকটি বিষয় অপেক্ষাকৃত সাহসপূর্বক লিখিলাম, কারণ ঈশ্বরকর্তৃক আমাকে এই অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে,
যেন আমি পরজাতীয়দের নিকটে খ্রীষ্ট যীশুর সেবক হইয়া, ঈশ্বরের সুসমাচারের যাজকত্ব করি, যেন পরজাতীয়েরা পবিত্র আত্মাতে পবিত্রীকৃত উপহাররূপে প্রাহ্য হয়।
অতএব খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বর সম্বন্ধীয় বিষয়ে আমার শ্লাঘা করিবার অধিকার আছে।
কেননা আমি সেই বিষয়ে এমন একটি কথাও বলিতে সাহস করিব না, যাহা পরজাতীয়দিগকে আজ্ঞাবহ করণার্থে খ্রীষ্ট আমা দ্বারা সাধন করেন নাই;
তিনি বাক্যে ও কার্যে, নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের পরাক্রমে, পবিত্র আত্মার পরাক্রমে এইরূপ সাধন করিয়াছেন যে, যিরূশালেম হইতে ইল্লুরিকা পর্যন্ত চারিদিকে আমি খ্রীষ্টের সুসমাচার সম্পূর্ণরূপে প্রচার করিয়াছি।
আমাদের প্রত্যেক জন যাহা উত্তম, তাহার জন্য, গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত, প্রতিবাসীকে তুষ্ট করুক।
কিন্তু হে ঈশ্বর, তুমিই উহাদিগকে বিনাশের কূপে নামাইবে; রক্তপাতী ও ছলপ্রিয়েরা আয়ুর অর্ধকালও বাঁচিবে না; কিন্তু আমি তোমার উপরে নির্ভর করিব।
সকলই বিধেয়, কিন্তু সকলই যে হিতজনক, তাহা নয়; সকলই বিধেয়, কিন্তু সকলই যে গাঁথিয়া তুলে, তাহা নয়।
কিন্তু ইহারাও দ্রাক্ষারসে ভ্রান্ত ও সুরাপানে টলটলায়মান হইয়াছে; যাজক ও ভাববাদী সুরাপানে ভ্রান্ত হইয়াছে; তাহারা দ্রাক্ষারসে কবলিত ও সুরাপানে টলটলায়মান হয়, তাহারা দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচারে বিচলিত হয়।
বরং আমার নিজ দেহকে প্রহার করিয়া দাসত্বে রাখিতেছি, পাছে অন্য লোকদের কাছে প্রচার করিবার পর আমি নিজে কোন ক্রমে অগ্রাহ্য হইয়া পড়ি।
সে অভিশাপকে বস্ত্রের ন্যায় পরিধান করিত, তাহা তাহার অন্তরে জলের ন্যায় প্রবেশ করিল, তাহার অস্থিতে তৈলের ন্যায় প্রবিষ্ট হইল।
বৎস, তুমি শুন, জ্ঞানবান হও, তোমার হৃদয় সৎপথে চালাও।
আর যদি তুমি উদরম্ভরি হও, তবে আপনার গলায় আপনি ছুরি দিবে।
মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোজীদের সঙ্গী হইও না;
কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্যদশা ঘটে, এবং ঢুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেক্ড়া পরায়।
যাহারা আমার বিপদে আনন্দিত হয়, তাহারা একসঙ্গে লজ্জিত ও হতাশ হউক; যাহারা আমার বিরুদ্ধে শ্লাঘা করে, তাহারা লজ্জায় ও অপমানে আচ্ছন্ন হউক।
আর আপন প্রাণকে বলিব, প্রাণ, বহু বৎসরের নিমিত্ত তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।