তোমাকে বলছি, যীশু তাঁর শক্তি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। এই শক্তির মাধ্যমেই আমরা পাপের উপর জয়লাভ করতে পারি, যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারি। কেননা, তিনি আমাদেরকে বাঁচাতে এসেছেন, প্রতিটি প্রলোভনকে পাপ না করেই জয় করেছেন।
তাঁর আত্মত্যাগ আমাদেরকে ক্ষমা দান করেছে, আর তাঁর পুনরুত্থান মৃত্যুর উপর তাঁর জয়কে প্রমাণ করে। ঈশ্বর যে প্রতিকার দেন, তা কেবল মদ্যপান বা অন্যান্য নেশার তৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণ করার চেয়েও অনেক বেশি; তাঁর অসীম ক্ষমতা নেশার মূলকে সম্পূর্ণভাবে উপড়ে ফেলে।
যীশু শয়তানকে পরাজিত করেছেন এবং আমাদেরকে হতাশা ও মৃত্যু থেকে মুক্ত করার জন্য প্রস্তুত আছেন। আমাদের কেবল পবিত্র আত্মাকে কোনোরকম অজুহাত ছাড়াই আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করার সুযোগ দিতে হবে। কারণ, খ্রীষ্টেই আমরা যেকোনো পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার শক্তি পাই।
সাহস রাখো! তুমি যীশুর রূপান্তরকারী শক্তির একজন জীবন্ত সাক্ষী হবে।
স্বাধীনতার নিমিত্তই খ্রীষ্ট আমাদিগকে স্বাধীন করিয়াছেন; অতএব তোমরা স্থির থাক, এবং দাসত্ব-জোঁয়ালিতে আর বদ্ধ হইও না।
সকলই আমার পক্ষে বিধেয়, কিন্তু সকলই যে হিতজনক, তাহা নয়; সকলই আমার পক্ষে বিধেয়, কিন্তু আমি কিছুরই কর্তৃত্বাধীন হইব না।
কি চোর কি লোভী কি মাতাল কি কটূভাষী কি পরধনগ্রাহী, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
পরে নোহ কৃষিকর্মে প্রবৃত্ত হইয়া দ্রাক্ষাক্ষেত্র করিলেন।আর তিনি দ্রাক্ষারস পান করিয়া মত্ত হইলেন, এবং তাম্বুর মধ্যে বিবস্ত্র হইয়া পড়িলেন।
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
আইস, আমরা পিতাকে দ্রাক্ষারস পান করাইয়া তাঁহার সহিত শয়ন করি, এইরূপে পিতার বংশ রক্ষা করিব।তাহাতে তাহারা সেই রাত্রিতে আপনাদের পিতাকে দ্রাক্ষারস পান করাইল, পরে তাঁহার জ্যেষ্ঠা কন্যা পিতার সহিত শয়ন করিতে গেল; কিন্তু তাহার শয়ন ও উঠিয়া যাওয়া লোট টের পাইলেন না।আর পরদিন জ্যেষ্ঠা কন্যা কনিষ্ঠা কন্যাকে কহিল, দেখ, গত রাত্রিতে আমি পিতার সহিত শয়ন করিয়াছিলাম; আইস, আমরা অদ্য রাত্রিতেও পিতাকে দ্রাক্ষারস পান করাই; পরে তুমি গিয়া তাঁহার সহিত শয়ন কর, এইরূপে পিতার বংশ রক্ষা করিব।এইরূপে তাহারা সেই রাত্রিতেও পিতাকে দ্রাক্ষারস পান করাইল; পরে কনিষ্ঠা উঠিয়া তাঁহার সহিত শয়ন করিল; কিন্তু তাহার শয়ন ও উঠিয়া যাওয়া লোট টের পাইলেন না।
মনুষ্য যাহা সহ্য করিতে পারে, তাহা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি ঘটে নাই; আর ঈশ্বর বিশ্বাস্য; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা ঘটিতে দিবেন না, বরং পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করিয়া দিবেন, যেন তোমরা সহ্য করিতে পার।
মাংস ভক্ষণ বা দ্রাক্ষারস পান, অথবা যাহা কিছুতে তোমার ভ্রাতা ব্যাঘাত কি বিঘ্ন পায়, কি দুর্বল হয়, এমন কিছুই না করা ভাল।
তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য যে সময়ে তুমি কিম্বা তোমার পুত্রগণ সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিবে, তৎকালে দ্রাক্ষারস কি মদ্য পান করিও না; ইহা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
কেননা যখন আমরা তাঁহার মৃত্যুর সাদৃশ্যে তাঁহার সহিত একীভূত হইয়াছি, তখন অবশ্য পুনরুত্থানের সাদৃশ্যেও হইব।আমরা ত ইহা জানি যে, আমাদের পুরাতন মনুষ্য তাঁহার সহিত ক্রুশারোপিত হইয়াছে, যেন পাপদেহ শক্তিহীন হয়, যাহাতে আমরা পাপের দাস আর না থাকি।
কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা সমুদয় মনুষ্যের জন্য পরিত্রাণ আনয়ন করে,তাহা আমাদিগকে শাসন করিতেছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ সকল অস্বীকার করিয়া সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্তমান যুগে জীবন যাপন করি,
তখন সে দ্রাক্ষারস ও সুরা হইতে পৃথক থাকিবে, দ্রাক্ষারসের সিরকা বা সুরার সিরকা পান করিবে না, এবং দ্রাক্ষা-ফলোৎপন্ন কোন পেয় পান করিবে না, আর কাঁচা কি শুষ্ক দ্রাক্ষাফল খাইবে না।
তোমরা রুটি ভোজন কর নাই, এবং দ্রাক্ষারস কি সুরা পান কর নাই; যেন তোমরা জানিতে পার যে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
কিন্তু তিনি আমাকে কহিলেন, দেখ, তুমি গর্ভধারণ করিয়া পুত্র প্রসব করিবে; এখন দ্রাক্ষারস কিম্বা সুরা পান করিও না, এবং কোন অশুচি বস্তু ভোজন করিও না, কেননা, সেই বালক গর্ভ হইতে মরণ দিন পর্যন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশে নাসরীয় হইবে।
তাই এলি তাঁহাকে কহিলেন, তুমি কতক্ষণ মত্ত হইয়া থাকিবে? তোমার দ্রাক্ষারস তোমা হইতে দূর কর।হান্না উত্তর করিলেন, হে আমার প্রভু, তাহা নয়, আমি দুঃখিনী স্ত্রী, দ্রাক্ষারস কিম্বা সুরা পান করি নাই, কিন্তু সদাপ্রভুর সাক্ষাতে আমার মনের কথা ভাঙ্গিয়া বলিয়াছি।
আর দায়ূদ তাহাকে নিমন্ত্রণ করিলে সে তাঁহার সাক্ষাতে ভোজন পান করিল; আর তিনি তাহাকে মত্ত করিলেন; কিন্তু সে সন্ধ্যাকালে আপন প্রভুর দাসগণের সঙ্গে আপন শয্যায় শয়ন করিবার জন্য বাহিরে গেল, গৃহে গেল না।
পরে অবশালোম আপন চাকরদিগকে এই আজ্ঞা দিল, দেখিও, দ্রাক্ষারসে অম্নোনের চিত্ত প্রফুল্ল হইলে যখন আমি তোমাদিগকে বলিব, অম্নোনকে মার, তখন তোমরা তাহাকে বধ করিও, ভীত হইও না। আমি কি তোমাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই? তোমরা সাহস কর, বীর্যবান হও।
পরে তাঁহার অর্ধসংখ্যক রথের অধ্যক্ষ সিম্রি নামে তাঁহার দাস তাঁহার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করিলেন। এলা তির্সাতে রাজবাটীর অধ্যক্ষ অর্সার গৃহে পান করিয়া মত্ত হইলেন,
পরে তাহারা মধ্যাহ্নকালে বাহির হইল। তখন বিন্হদদ ও অন্য রাজগণ, তাঁহার সহায় বত্রিশ জন রাজা, কুটিরে কুটিরে পান করিয়া মত্ত হইয়াছিলেন।
তাহারা তিন দিবস সেখানে দায়ূদের সহিত থাকিয়া ভোজন পান করিল; কেননা তাহাদের ভ্রাতৃগণ তাহাদের জন্য আয়োজন করিয়াছিল।এবং গিবিয়োনীয় যিশ্ময়িয়, ইনি ত্রিশ জনের মধ্যে একজন বীর ও ত্রিশের উপরে নিযুক্ত ছিলেন; আর যিরমিয়, যহসীয়েল, যোহানন, গদেরাথীয় যোষাবদ,অধিকন্তু ইষাখর, সবূলূন ও নপ্তালি প্রদেশ পর্যন্ত তাহাদের প্রতিবাসীরা, গর্দভ, উষ্ট্র, অশ্বতর ও বলদের পৃষ্ঠে খাদ্রদ্রব্য, সুজিতে প্রস্তুত দ্রব্য, ডুমুরের চাপ, শুষ্ক দ্রাক্ষার থলুয়া, দ্রাক্ষারস ও তেল এবং বলদ ও মেষ অপর্যাপ্ত আনিল, কেননা ইস্রায়েলের মধ্যে আনন্দ হইয়াছিল।
কেননা সদাপ্রভুর হস্তে এক পানপাত্র আছে, তাহার দ্রাক্ষারস মাতিয়া উঠিয়াছে, তাহা মিশ্রিত মদ্যে পরিপূর্ণ, আর তিনি তাহা হইতে ঢালেন, পৃথিবীর দুষ্ট সকলে তাহার তলানি পর্যন্ত চাটিয়া খাইবে।
আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।
বৎস, তুমি শুন, জ্ঞানবান হও, তোমার হৃদয় সৎপথে চালাও।আর যদি তুমি উদরম্ভরি হও, তবে আপনার গলায় আপনি ছুরি দিবে।মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোজীদের সঙ্গী হইও না;
কে হায় হায় বলে? কে হাহাকার করে? কে বিবাদ করে? কে বিলাপ করে? কে অকারণ আঘাত পায়? কাহার চক্ষু লাল হয়?তাহার সুস্বাদু খাদ্যে লালসা করিও না, কারণ তাহা বঞ্চনার আহার।যাহারা দ্রাক্ষারসের নিকটে বহুকাল থাকে, যাহারা সুরার সন্ধানে যায়।
দ্রাক্ষারসের প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না, যদিও উহা রক্তবর্ণ, যদিও উহা পাত্রে চক্মক্ করে, যদিও উহা সহজে গলায় নামিয়া যায়;অবশেষে উহা সর্পের ন্যায় কামড়ায়, বিষধরের ন্যায় দংশন করে।
রাজগণের জন্য, হে লমূয়েল, রাজগণের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, ‘সুরা কোথায়?’ [বলা] শাসনকর্তাদের অনুচিত।
পাছে পান করিয়া তাঁহারা বিধি বিস্মৃত হন, এবং কোন দুঃখীর বিচার বিপরীত করেন।মৃতকল্প ব্যক্তিকে সুরা দেও, তিক্তপ্রাণ লোককে দ্রাক্ষারস দেও;সে পান করিয়া দৈন্যদশা ভুলিয়া যাউক, আপন দুর্দশা আর মনে না করুক।
আমি মনে মনে আন্দোলন, কিরূপে মদ্যপানে শরীরকে তুষ্ট করিব- তখনও আমার মন প্রজ্ঞাসহকারে আমাকে পথ প্রদর্শন করিতেছিল- আর কিরূপে অজ্ঞানতা অবলম্বন করিব শেষে দেখিতে পারিব, আকাশের নিচে মনুষ্য-সন্তানদের সমস্ত জীবনকালে কি কি করা ভাল।
তুমি যাও, আনন্দপূর্বক তোমার খাদ্য ভোজন কর, হৃষ্টচিত্তে তোমার দ্রাক্ষারস পান কর, কেননা ঈশ্বর পূর্ব কাল হইতে তোমার কর্ম সকল গ্রাহ্য করিয়া আসিতেছেন।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা খুব সকালে উঠে, যেন সুরার অনুধাবন করিতে পারে; যাহারা অনেক রাত্রি বসিয়া থাকে, যাবৎ না দ্রাক্ষারস তাহাদিগকে উত্তপ্ত করে!
হায়! ইফ্রয়িমের মাতালদের দর্প-মুকুট; হায়! তাহার তেজোময় শোভার ্নানপ্রায় পুষ্প, যাহা দ্রাক্ষারসে পরাভূতদের ফলশালী উপত্যকার মস্তকে রহিয়াছে।
কিন্তু ইহারাও দ্রাক্ষারসে ভ্রান্ত ও সুরাপানে টলটলায়মান হইয়াছে; যাজক ও ভাববাদী সুরাপানে ভ্রান্ত হইয়াছে; তাহারা দ্রাক্ষারসে কবলিত ও সুরাপানে টলটলায়মান হয়, তাহারা দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচারে বিচলিত হয়।
[প্রত্যেক জন বলে,] চল, আমি দ্রাক্ষারস আনি, আমরা সুরাপানে মত্ত হইব, এবং যেমন অদ্যকার দিন, তেমনি কল্যও হইবে; তাহা অত্যন্ত অধিক বলিয়া মহাদিন হইবে।
পরে আমি দ্রাক্ষারসে পূর্ণ কতিপয় ভাণ্ড ও কতকগুলি বাটি রেখবীয় কুলজাত লোকদের সম্মুখে রাখিয়া তাহাদিগকে কহিলাম, তোমরা দ্রাক্ষারস পান কর।কিন্তু তাহারা কহিল, আমরা দ্রাক্ষারস পান করিব না, কেননা আমাদের পিতৃপুরুষ রেখবের পুত্র যিহোনাদব আমাদিগকে এই আজ্ঞা দিয়াছেন, তোমরা ও তোমাদের সন্তানগণ কেহ কখনও দ্রাক্ষারস পান করিবে না;
কিন্তু দানিয়েল মনে স্থির করিলেন যে, তিনি রাজার আহারীয় দ্রব্যে ও তাঁহার পানীয় দ্রাক্ষারসে আপনাকে অশুচি করিবেন না। এই জন্য আপনাকে যেন অশুচি করিতে না হয়, এই অনুমতি নপুংসকগণের অধ্যক্ষের কাছে প্রার্থনা করিলেন।
রাজা বেল্শৎসর আপনার সহস্র মহল্লোকের নিমিত্ত মহাভোজ প্রস্তুত করিলেন, এবং সেই সহস্রের সাক্ষাতে দ্রাক্ষারস পান করিলেন।রাজার ও তাঁহার মহল্লোকদের সেই কথা শুনিয়া রাণী ভোজনশালায় আসিলেন। রাণী বলিলেন, হে রাজন্, চিরজীবী হউন; ভাবনাতে বিহ্বল হইবেন না, এবং মুখ বিবর্ণ হইতে দিবেন না।আপনার রাজ্যের মধ্যে এক ব্যক্তি আছেন, তাঁহার অন্তরে পবিত্র দেবগণের আত্মা আছেন; আপনার পিতার সময়ে তাঁহার মধ্যে দীপ্তি, বুদ্ধিকৌশল ও দেবগণের জ্ঞানের তুল্য জ্ঞান লক্ষিত হইয়াছিল, এবং আপনার পিতা রাজা নবূখদ্নিৎসর, হাঁ, রাজন্, আপনার পিতা তাঁহাকে মন্ত্রবেত্তাদের, গণকদের, কল্দীয়দের ও জ্যোতির্বেত্তাদের প্রধান করিয়া নিযুক্ত করিয়াছিলেন;কেননা উৎকৃষ্ট আত্মা, জ্ঞান, বুদ্ধিকৌশল এবং স্বপ্নের তাৎপর্য বলিবার, গূঢ়বাক্য প্রকাশ করিবার ও সন্দেহ ভঞ্জন করিবার ক্ষমতা সেই দানিয়েলে পাওয়া গিয়াছিল, যাঁহাকে রাজা বেল্টশৎসর নাম দিয়াছিলেন। অতএব সেই দানিয়েলকে আহ্বান করা হউক, তিনি তাৎপর্য জানাইবেন।তখন দানিয়েল রাজার নিকটে আনীত হইলেন। রাজা দানিয়েলকে কহিলেন, তুমিই কি দানিয়েল সেই নির্বাসিত যিহূদী লোকদের একজন, যাহাদিগকে আমার পিতা মহারাজ যিহূদা দেশ হইতে আনিয়াছিলেন?তোমার বিষয়ে আমি শুনিতে পাইয়াছি যে, তোমার অন্তরে দেবগণের আত্মা আছেন, এবং দীপ্তি, বুদ্ধিকৌশল ও উৎকৃষ্ট জ্ঞান তোমার মধ্যে লক্ষিত হয়।আর সম্প্রতি এই লেখা পাঠ করিবার ও ইহার তাৎপর্য আমাকে জানাইবার জন্য বিদ্বান ও গণকেরা আমার কাছে আনীত হইয়াছিল; কিন্তু তাহারা লেখার তাৎপর্য আমাকে জানাইতে পারে নাই।কিন্তু তোমার বিষয়ে শুনিয়াছি যে, তুমি তাৎপর্য প্রকাশ করিতে ও সন্দেহ ভঞ্জন করিতে পার; এখন যদি তুমি এই লেখা পাঠ করিতে ও ইহার তাৎপর্য আমাকে জানাইতে পার, তবে বেগুনিয়া বস্ত্রে বস্ত্রান্বিত হইবে, তোমার কন্ঠে সুবর্ণের হার দত্ত হইবে, এবং তুমি রাজ্যে তৃতীয় কর্তা হইবে।তখন দানিয়েল উত্তর করিয়া রাজার সম্মুখে কহিলেন, আপনার দান আপনারই থাকুক, আপনার পুরস্কার অন্যকে দিউন; কিন্তু আমি মহারাজের নিকটে এই লিপি পাঠ করিব, এবং ইহার তাৎপর্য তাঁহাকে জানাইব।হে রাজন্, পরাৎপর ঈশ্বর আপনার পিতা নবূখদ্নিৎসরকে রাজ্য, মহিমা, গৌরব ও প্রতাপ দিয়াছিলেন।তিনি তাঁহাকে যে মহিমা দিয়াছিলেন, তৎপ্রযুক্ত সমস্ত লোকবৃন্দ, জাতি ও ভাষাবাদিগণ তাঁহার সাক্ষাতে কাঁপিত ও ভয় করিত; তিনি যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে বধ করিতেন, যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে সজীব রাখিতেন, এবং যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে উচ্চপদ দিতেন, যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে অবনত করিতেন।দ্রাক্ষারসের স্বাদ গ্রহণ করিতে করিতে বেল্শৎসর আজ্ঞা করিলেন, আমার পিতা নবূখদ্নিৎসর যিরূশালেমস্থ মন্দির হইতে যে সকল স্বর্ণের ও রৌপ্যের পাত্র লইয়া আসিয়াছিলেন, সেই সকল আনীত হউক, যেন রাজা ও তাঁহার মহল্লোকেরা, তাঁহার পত্নীগণ ও তাঁহার উপপত্নীগণ সেই সকল পাত্রে পান করিতে পারেন।
কিন্তু স্বর্গাধিপতির বিরুদ্ধে আপনাকে উচ্চ করিয়াছেন; এবং তাঁহার গৃহের নানা পাত্র আপনার সম্মুখে আনীত হইয়াছে, আর আপনি, আপনার মহল্লোকেরা, আপনার পত্নীগণ ও আপনার উপপত্নীগণ সেই সকল পাত্রে দ্রাক্ষারস পান করিয়াছেন; এবং রৌপ্যময়, সুবর্ণময়, পিত্তলময়, লৌহময়, কাষ্ঠময় ও প্রস্তরময় যে দেবগণ দেখিতে পায় না, শুনিতে পায় না, কিছু জানিতেও পারে না, আপনি তাহাদের প্রশংসা করিয়াছেন; কিন্তু আপনার নিঃশ্বাস যাঁহার হস্তগত ও আপনার সকল পথ যাঁহার অধীন, আপনি সেই ঈশ্বরের সমাদর করেন নাই।
হে মত্তগণ, জাগিয়া উঠ ও রোদন কর; হে মদ্যপায়ী সকলে, মিষ্ট দ্রাক্ষারসের জন্য হাহাকার কর; কেননা তাহা তোমাদের মুখ হইতে অপহৃত হইয়াছে।
আর তাহারা সমস্ত বেদির কাছে বন্ধক বস্ত্রের উপরে শয়ন করে ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত লোকদের দ্রাক্ষারস আপনাদের ঈশ্বরের গৃহে পান করে।
বায়ুর ও মিথ্যা কথার অনুগামী কোন লোক যদি মিথ্যা করিয়া বলে, আমি দ্রাক্ষারস ও সুরার বিষয়ে তোমার পক্ষে বাক্য বর্ষাইব, তবে সে এই লোকদের বাক্য-বর্ষক হইবে।
আবার মদ্য প্রযুক্ত সে বিশ্বাসঘাতক; সে অভিমানী বীর, সে ঘরে থাকে না; সে পাতালের ন্যায় অপরিমিত লোভী, সে মৃত্যুর সদৃশ, তৃপ্ত হয় না, কিন্তু সর্বজাতিকে একত্র করিয়া আত্মসাৎ করে, এবং সর্বলোকবৃন্দকে আপনার কাছে সংগ্রহ করে।
ধিক্ তাহাকে, যে আপন প্রতিবাসীকে পান করায়; তুমি ভাণ্ডে তোমার বিষ মিশাইয়া থাক, আবার তাহাকে মত্ত করিয়া থাক, যেন তুমি তাহাদের উলঙ্গতার প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে পার।
কারণ যোহন আসিয়া ভোজন পান করেন নাই; তাহাতে লোকে বলে, সে ভূতগ্রস্ত।মনুষ্যপুত্র আসিয়া ভোজন পান করেন; তাহাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু। কিন্তু প্রজ্ঞা নিজ কর্মসমূহ দ্বারা নির্দোষ বলিয়া গণিত হয়।
কারণ সে প্রভুর সম্মুখে মহান হইবে, এবং দ্রাক্ষারস কি সুরা কিছুই পান করিবে না; আর সে মাতার গর্ভ হইতেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইবে;
কারণ যোহন বাপ্তাইজক আসিয়া রুটি খান না, দ্রাক্ষারসও পান করেন না,আর তোমরা বল, সে ভূতগ্রস্ত। মনুষ্যপুত্র আসিয়া ভোজন পান করেন, আর তোমরা বল, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু।
আর তাহাকে দেখিয়া করুণাবিষ্ট হইল, এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রতি যত্ন করিল।
কিন্তু সেই দাস যদি মনে মনে বলে, আমার প্রভুর আসিবার বিলম্ব আছে, এবং সে দাস-দাসীদিগকে প্রহার করিতে, ভোজন পান করিতে ও মত্ত হইতে আরম্ভ করে,
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটূভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
অতএব ভোজন কি পান, কি উৎসব, কি অমাবস্যা, কি বিশ্রামবার, এই সকলের সম্বন্ধে কেহ তোমাদের বিচার না করুক;
অতএব আইস, আমরা অন্য সকলের ন্যায় নিদ্রা না যাই, বরং জাগিয়া থাকি ও মিতাচারী হই।কারণ যাহারা নিদ্রা যায়, তাহারা রাত্রিতেই নিদ্রা যায়; এবং যাহারা মদ্যপায়ী, তাহারা রাত্রিতেই মত্ত হয়।কিন্তু আমরা দিবসের বলিয়া আইস, মিতাচারী হই, বিশ্বাস ও প্রেমরূপ বুকপাটা পরি, এবং পরিত্রাণের আশারূপ শিরস্ত্রাণ মস্তকে দিই;
অতএব ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ অনিন্দনীয়, এক স্ত্রীর স্বামী, মিতাচারী, আত্মসংযমী, পরিপাটী, অতিথি সেবক এবং শিক্ষাদানে নিপুণ হউন;মদ্যপানে আসক্ত কিম্বা প্রহারক না হন, কিন্তু ক্ষান্ত, নির্বিরোধ ও অর্থলোভ-শূন্য হন,
সেইরূপ পরিচারকদেরও আবশ্যক, যেন তাঁহারা ধীর হন, যেন দ্বিবাক্যবাদী, বহু মদ্যপানে আসক্ত, কুৎসিত লোভের আকাঙ্ক্ষী না হন,
এখন অবধি কেবল জল পান করিও না, কিন্তু তোমার উদরের জন্য ও তোমার বার বার অসুখ হয় বলিয়া কিঞ্চিৎ দ্রাক্ষারস ব্যবহার করিও।
কেননা ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষ বলিয়া অনিন্দনীয় হন; স্বেচ্ছাচারী কি আশুক্রোধী কি মদ্যপানে আসক্ত কি প্রহারক কি কুৎসিত লাভের লোভী না হন,
সেইরূপে প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপবাদিকা কি সুরার দাসী না হন, সুশিক্ষাদায়িনী হন;
অতএব তোমরা আপন আপন মনের কটি বাঁধিয়া মিতাচারী হও, এবং যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে যে অনুগ্রহ তোমাদের নিকটে আনীত হইবে, তাহার অপেক্ষাতে সম্পূর্ণ প্রত্যাশা রাখ।
কেননা পরজাতীয়দের বাসনা সাধন করিয়া, লমপটতা, সুখাভিলাষ, মদ্যপান, রঙ্গরস পানার্থক সভা ও ঘৃণার্হ প্রতিমাপূজারূপ পথে চলিয়া যে কাল অতীত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট।
সদাপ্রভু মিসরের অন্তরে কুটিলতার আত্মা মিশাইয়া দিয়াছেন; মত্ত ব্যক্তি যেমন আপন বমিতে ভ্রান্ত হইয়া পড়ে, তদ্রূপ উহারা মিসরকে তাহার সমস্ত কর্মে ভ্রান্ত করিয়াছে।
আর তুমি তাহাদিগকে এই কথা বলিবে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা কহেন, তোমরা পান করিয়া মত্ত হইয়া বমন কর, এবং তোমাদের মধ্যে আমার প্রেরিত খড়্গ প্রযুক্ত পতিত হও, আর উঠিও না।
তোমরা চমৎকৃত হও ও আশ্চর্য জ্ঞান কর, চক্ষু মুদ ও অন্ধ হও; উহারা মত্ত, কিন্তু দ্রাক্ষারসে নয়; উহারা টলটলায়মান, কিন্তু সুরাপানে নয়।
হান্না উত্তর করিলেন, হে আমার প্রভু, তাহা নয়, আমি দুঃখিনী স্ত্রী, দ্রাক্ষারস কিম্বা সুরা পান করি নাই, কিন্তু সদাপ্রভুর সাক্ষাতে আমার মনের কথা ভাঙ্গিয়া বলিয়াছি।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা দ্রাক্ষারস পান করিতে শূর, আর সুরা মিশাইতে বলবান;যাহারা উৎকোচের জন্য দুষ্ট লোককে নির্দোষ করে, আর ধার্মিকের ধার্মিকতা তাহা হইতে দূর করে!
মৃতকল্প ব্যক্তিকে সুরা দেও, তিক্তপ্রাণ লোককে দ্রাক্ষারস দেও;সে পান করিয়া দৈন্যদশা ভুলিয়া যাউক, আপন দুর্দশা আর মনে না করুক।
কিন্তু সেই দুষ্ট দাস যদি মনে মনে বলে, ‘আমার প্রভুর আসিবার বিলম্ব আছে,’আর যদি আপন সহদাসদিগকে মারিতে, এবং মত্ত লোকদের সঙ্গে ভোজন ও পান করিতে আরম্ভ করে,
বরং আমার নিজ দেহকে প্রহার করিয়া দাসত্বে রাখিতেছি, পাছে অন্য লোকদের কাছে প্রচার করিবার পর আমি নিজে কোন ক্রমে অগ্রাহ্য হইয়া পড়ি।
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ।আর দ্রাক্ষারসে মত্ত হইও না, তাহাতে নষ্টামি আছে;
আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এই সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।
কিন্তু আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে;
সদাপ্রভু আমার দায়াংশ ও আমার পানপাত্র; তুমিই আমার অধিকার স্থায়ী করিতেছ।আমার জন্য মানরজ্জু মনোহর স্থানে পড়িয়াছে, আমার অধিকার আমার পক্ষে শোভাযুক্ত।
তুমি আমার শত্রুগণের সাক্ষাতে আমার সম্মুখে মেজ সাজাইয়া থাক; তুমি আমার মস্তক তৈলে সিক্ত করিয়াছ; আমার পানপাত্র উথলিয়া পড়িতেছে।
হে দেশ, ধন্য তুমি, যদি কুলীন-পুত্র তোমার রাজা হন, এবং তোমার অধ্যক্ষগণ উপযুক্ত সময়ে ভোজন করেন, বলবৃদ্ধির নিমিত্ত, মত্ততার নিমিত্ত নয়।
কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্যের আগমন না হয়, এখন অবধি সেই পর্যন্ত আমি দ্রাক্ষাফলের রস আর পান করিব না।