তোমাকে আল্লাহ্ তৈরি করেছেন যেন তুমি তোমার চারপাশের মানুষের জীবনে আশীর্বাদের একটা মাধ্যম হও, যেন পৃথিবীতে তাঁর মহিমা প্রকাশ পাও। মথি ২২:৩৭-৩৯ পদে, যীশু আমাদের একটা বিরাট আদেশ দিয়েছেন: "তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, সমস্ত প্রাণ এবং সমস্ত মন দিয়ে তোমার প্রভু ঈশ্বরকে ভালোবাসবে। এটাই প্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আদেশ। আর দ্বিতীয়টা এর মতোই: তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো ভালোবাসবে।" যদি তুমি বলো যে তুমি আল্লাহ্কে ভালোবাসো, কিন্তু তোমার প্রতিবেশীকে ভালোবাসো না এবং তাদের উপকার করো না, তাহলে তুমি এই আদেশ পালনে ব্যর্থ হচ্ছো। আল্লাহ্র প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা অন্যদের প্রতি ভালো ব্যবহারের মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। যাকে দেখো না তাকে ভালোবাসার কথা বলে পাশের মানুষকে অবহেলা করা ঠিক না। তোমাকে বাবার ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি হতে হবে, যেখানে তুমি থাকো সেখানে উদার হৃদয় নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। শুধু কথায় নয়, কাজে প্রতিবেশীর জন্য কিছু করতে হবে। যদি তোমার ভালো কাজ করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে করো, এবং মনে রাখো: "যে দরিদ্রকে দান করে সে প্রভুকে ঋণ দেয়" (হিতোপদেশ ১৯:১৭)। নিজের স্বার্থ না দেখে অন্যের স্বার্থ দেখো। যীশুর বাক্য পালন করো, তাঁর মন ভালো করো এবং অন্যদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকো। তোমার উদ্দেশ্য হলো যারা আল্লাহ্কে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বোধ করে তাদের মুখে হাসি ফোটানো। শুধু নিজের জন্য কাজ করো না, মনে রেখো তোমাকে আশীর্বাদ দেওয়া হয়েছে যেন তুমি অন্যদের আশীর্বাদ করো।
আমি তোমা হইতে এক মহাজাতি উৎপন্ন করিব, এবং তোমাকে আশীর্বাদ করিয়া তোমার নাম মহৎ করিব; তাহাতে তুমি আশীর্বাদের আকর হইবে।
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?
যাহারা তোমাদিগকে শাপ দেয়, তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিও; যাহারা তোমাদিগকে নিন্দা করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও।
আর দেখ, একজন ব্যবস্থাবেত্তা উঠিয়া তাঁহার পরীক্ষা করিয়া কহিল, হে গুরু, কি করিলে আমি অনন্ত জীবনের অধিকারী হইব?
তিনি তাহাকে কহিলেন, ব্যবস্থায় কি লেখা আছে? কিরূপ পাঠ করিতেছ?
সে উত্তর করিয়া কহিল, “তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত শক্তি ও তোমার সমস্ত চিত্ত দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, এবং তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
তিনি তাহাকে কহিলেন, যথার্থ উত্তর করিলে; তাহাই কর, তাহাতে জীবন পাইবে।
কিন্তু সে আপনাকে নির্দোষ দেখাইবার ইচ্ছায় যীশুকে বলিল, ভাল, আমার প্রতিবাসী কে?
তোমরা যাও, দেখ, কেন্দুয়াদের মধ্যে যেমন মেষশাবক, তদ্রূপ তোমাদিগকে প্রেরণ করিতেছি।
এই কথা লইয়া যীশু বলিলেন, এক ব্যক্তি যিরূশালেম হইতে যিরীহোতে নামিয়া যাইতেছিল, এমন সময়ে দস্যুদলের হস্তে পড়িল; তাহারা তাহার বস্ত্র খুলিয়া লইল, এবং তাহাকে আঘাত করিয়া আধমরা অবস্থায় ফেলিয়া চলিয়া গেল।
ঘটনাক্রমে একজন যাজক সেই পথ দিয়া নামিয়া যাইতেছিল; সে তাহাকে দেখিয়া এক পার্শ্ব দিয়া চলিয়া গেল।
পরে সেইরূপে একজন লেবীয়ও সেই স্থানে আসিয়া দেখিয়া এক পার্শ্ব দিয়া চলিয়া গেল।
কিন্তু একজন শমরীয় সেই পথ দিয়া যাইতে যাইতে তাহার নিকটে আসিল;
আর তাহাকে দেখিয়া করুণাবিষ্ট হইল, এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রতি যত্ন করিল।
পরদিবসে দুইটি সিকি বাহির করিয়া পান্থশালার কর্তাকে দিয়া বলিল, এই ব্যক্তির প্রতি যত্ন করিও, অধিক যাহা কিছু ব্যয় হয়, আমি যখন ফিরিয়া আইসি, তখন পরিশোধ করিব।
তোমার কেমন বোধ হয়, এই তিন জনের মধ্যে কে ঐ দস্যুদের হস্তে পতিত ব্যক্তির প্রতিবাসী হইয়া উঠিল?
সে কহিল, যে ব্যক্তি তাহার প্রতি দয়া করিল, সেই। তখন যীশু তাহাকে কহিলেন, যাও, তুমিও সেইরূপ কর।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
কেননা আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দিয়াছিলে; পিপাসিত হইয়াছিলাম, আর আমাকে পান করাইয়াছিলে; অতিথি হইয়াছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দিয়াছিলে;
বস্ত্রহীন হইয়াছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাইয়াছিলে; পীড়িত হইয়াছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান করিয়াছিলে; কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার নিকটে আসিয়াছিলে।
তখন ধার্মিকেরা উত্তর করিয়া তাঁহাকে বলিবে, প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধিত দেখিয়া ভোজন করাইয়াছিলাম, কিম্বা পিপাসিত দেখিয়া পান করাইয়াছিলাম?
কবেই বা আপনাকে অতিথি দেখিয়া আশ্রয় দিয়াছিলাম, কিম্বা বস্ত্রহীন দেখিয়া বস্ত্র পরাইয়াছিলাম?
কবেই বা আপনাকে পীড়িত কিম্বা কারাগারস্থ দেখিয়া আপনার নিকটে গিয়াছিলাম?
কিন্তু সুবুদ্ধিরা আপন আপন প্রদীপের সহিত পাত্রে করিয়া তৈল লইল।
তখন রাজা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমার এই ভ্রাতৃগণের- এই ক্ষুদ্রতমদের- মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।
এবং স্বহস্তে কার্য করিয়া পরিশ্রম করিতেছি; নিন্দিত হইতে হইতে আশীর্বাদ করিতেছি, তাড়িত হইতে হইতে সহ্য করিতেছি,
তোমরা পরস্পর মধুর স্বভাব ও করুণচিত্ত হও, পরস্পর ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন।
দেখ, আমি আশীর্বাদ করিবার আজ্ঞা পাইলাম, তিনি আশীর্বাদ করিয়াছেন, আমি অন্যথা করিতে পারি না।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তাহার কর্ম না থাকে, তবে তাহার কি ফল দর্শিবে? সেই বিশ্বাস কি তাহার পরিত্রাণ করিতে পারে?
কোন ভ্রাতা কিম্বা ভগিনী বস্ত্রহীন ও দৈনিক খাদ্যবিহীন হইলে যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহাদিগকে বলে,
কুশলে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাহাদিগকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দেও, তবে তাহাতে কি ফল দর্শিবে?
তদ্রূপ বিশ্বাসও কর্মবিহীন হইলে আপনি একা বলিয়া তাহা মৃত।
কিন্তু বলবান যে আমরা, আমাদের উচিত, যেন দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করি, আর আপনাদিগকে তুষ্ট না করি।
আর যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার প্রাণের ইষ্ট ভক্ষ্য দেও, ও দুঃখার্ত প্রাণীকে আপ্যায়িত কর, তবে অন্ধকারে তোমার দীপ্তি উদিত হইবে, ও তোমার তিমির মধ্যাহ্নের সমান হইবে।
সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
যাহাদের মঙ্গল করা উচিত, তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিও না, যখন তাহা করিবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকে।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
দুষ্টতার গাঁট সকল খুলিয়া দেওয়া, জোঁয়ালির খিল মুক্ত করা, এবং দলিত লোকদিগকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া, ও প্রত্যেক জোঁয়ালি ভগ্ন করা কি নয়?
ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
তখন লোকেরা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তবে আমাদের কি করিতে হইবে?
তিনি উত্তর করিয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, যাহার দুইটি আঙ্রাখা আছে, সে, যাহার নাই, তাহাকে একটি দিউক; আর যাহার কাছে খাদ্য দ্রব্য আছে, সেও তদ্রূপ করুক।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।
আর এই সকলের উপরে প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।
চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার হাতে কিছু থাকে।
অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি-গ্রন্থের সার।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।
তিনি উত্তর করিয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, যাহার দুইটি আঙ্রাখা আছে, সে, যাহার নাই, তাহাকে একটি দিউক; আর যাহার কাছে খাদ্য দ্রব্য আছে, সেও তদ্রূপ করুক।
আর যে কেহ এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে কোন একজনকে শিষ্য বলিয়া কেবল এক বাটি শীতল জল পান করিতে দেয়, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, সে কোন মতে আপন পুরস্কারে বঞ্চিত হইবে না।
সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
সদাপ্রভু বিদেশীদের রক্ষাকারী; তিনি পিতৃহীন ও বিধবাকে সুস্থির রাখেন, কিন্তু দুষ্টগণের পথ বক্র করেন।
আপনাদের মধ্যে ঐক্য রাখ। আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে বিনয় করিতেছি, যাহারা অনিয়মিতরূপে চলে, তাহাদিগকে চেতনা দেও, ক্ষীণসাহসদিগকে সান্ত্বনা কর, দুর্বলদের সাহায্য কর, সকলের প্রতি দীর্ঘসহিষ্ণু হও।
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
পরে সদাপ্রভু মম্রির এলোন বনের নিকটে তাঁহাকে দর্শন দিলেন। তিনি দিনের উত্তাপ সময়ে তাম্বুদ্বারে বসিয়াছিলেন;
তাহাতে তাঁহাদের এক ব্যক্তি কহিলেন, এই ঋতু পুনরায় উপস্থিত হইলে আমি অবশ্য তোমার নিকটে ফিরিয়া আসিব; আর দেখ, তোমার স্ত্রী সারার এক পুত্র হইবে। এই কথা সারা তাম্বুদ্বারে তাঁহার পশ্চাৎ থাকিয়া শুনিলেন।
সেই সময়ে অব্রাহাম ও সারা বৃদ্ধ ও গতবয়স্ক ছিলেন; সারার স্ত্রীধর্ম নিবৃত্ত হইয়াছিল।
অতএব সারা মনে মনে হাসিয়া কহিলেন, আমার এই শীর্ণ দশার পরে কি এমন আনন্দ হইবে? আমার প্রভুও ত বৃদ্ধ।
তখন সদাপ্রভু অব্রাহামকে কহিলেন, সারা কেন এই বলিয়া হাসিল যে, আমি কি সত্যই প্রসব করিব, আমি যে বুড়ী?
কোন কর্ম কি সদাপ্রভুর অসাধ্য? নিরূপিত সময়ে এই ঋতু আবার উপস্থিত হইলে আমি তোমার কাছে ফিরিয়া আসিব, আর সারার পুত্র হইবে।
তাহাতে সারা অস্বীকার করিয়া কহিলেন, আমি হাসি নাই; কেননা তিনি ভয় পাইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি কহিলেন, অবশ্য হাসিয়াছিলে।
পরে সেই ব্যক্তিরা তথা হইতে উঠিয়া সদোমের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন, আর অব্রাহাম তাঁহাদিগকে বিদায় দিতে তাঁহাদের সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন।
তাহাতে সদাপ্রভু কহিলেন, আমি যাহা করিব, তাহা কি অব্রাহাম হইতে লুকাইব?
অব্রাহাম হইতে মহতী ও বলবতী এক জাতি উৎপন্ন হইবে, এবং পৃথিবীর যাবতীয় জাতি তাহাতেই আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।
কেননা আমি তাহাকে জানিয়াছি, যেন সে আপন ভাবী সন্তানগণকে ও পরিবারদিগকে আদেশ করে, যেন তাহারা ধর্মসঙ্গত ও ন্যায্য আচরণ করিতে করিতে সদাপ্রভুর পথে চলে; এইরূপে সদাপ্রভু যেন অব্রাহামের বিষয়ে কথিত আপনার বাক্য সফল করেন।
আর চক্ষু তুলিয়া দৃষ্টিপাত করিলেন, আর দেখ, তিন জন পুরুষ সম্মুখে দণ্ডায়মান। দেখিবামাত্র তিনি তাম্বুদ্বার হইতে তাঁহাদের নিকট দৌড়াইয়া গিয়া ভূমিতে প্রণিপাত করিয়া কহিলেন,
পরে সদাপ্রভু কহিলেন, সদোম ও ঘমোরার ক্রন্দন অত্যধিক, এবং তাহাদের পাপ অতিশয় ভারী;
আমি নিচে গিয়া দেখিব, আমার নিকটে আগত ক্রন্দনানুসারে তাহারা সর্বতোভাবে করিয়াছে কি না; যদি না করিয়া থাকে তাহা জানিব।
পরে সেই ব্যক্তিরা তথা হইতে ফিরিয়া সদোমের দিকে গমন করিলেন; কিন্তু অব্রাহাম তখনও সদাপ্রভুর সাক্ষাতে দণ্ডায়মান থাকিলেন।
পরে অব্রাহাম নিকটে গিয়া কহিলেন, আপনি কি দুষ্টের সহিত ধার্মিককেও সংহার করিবেন?
সেই নগরের মধ্যে যদি পঞ্চাশ জন ধার্মিক পাওয়া যায়, তবে আপনি কি তথাকার পঞ্চাশ জন ধার্মিকের অনুরোধে সেই স্থানের প্রতি দয়া না করিয়া তাহা বিনষ্ট করিবেন?
দুষ্টের সহিত ধার্মিকের বিনাশ করা, এই প্রকার কর্ম আপনা হইতে দূরে থাকুক; ধার্মিককে দুষ্টের সমান করা আপনা হইতে দূরে থাকুক। সমস্ত পৃথিবীর বিচারকর্তা কি ন্যায়বিচার করিবেন না?
সদাপ্রভু কহিলেন, আমি যদি সদোমের মধ্যে পঞ্চাশ জন ধার্মিক দেখি, তবে তাহাদের অনুরোধে সেই সমস্ত স্থানের প্রতি দয়া করিব।
অব্রাহাম উত্তর করিয়া কহিলেন, দেখুন, ধূলি ও ভস্মমাত্র যে আমি, আমি প্রভুর সঙ্গে কথা কহিতে সাহসী হইয়াছি।
কি জানি, পঞ্চাশ জন ধার্মিকের পাঁচ জন কম হইবে; সেই পাঁচ জন অভাব প্রযুক্ত আপনি কি সমস্ত নগর বিনষ্ট করিবেন? তিনি কহিলেন, সেই স্থানে পঁয়তাল্লিশ জন পাইলে আমি তাহা বিনষ্ট করিব না।
তিনি তাঁহাকে আবার কহিলেন, বলিলেন, সেই স্থানে যদি চল্লিশ জন পাওয়া যায়? তিনি কহিলেন, সেই চল্লিশ জনের অনুরোধে তাহা করিব না।
হে প্রভু, বিনয় করি, যদি আমি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হইয়া থাকি তবে আপনার এই দাসের নিকট হইতে অগ্রসর হইবেন না।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
ক্লেশাপন্ন পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা, এবং সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে শুচি ও বিমল ধর্ম।
তখন তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা এই ক্ষুদ্রতম লোকদের কোন একজনের প্রতি যখন ইহা কর নাই, তখন আমারই প্রতি কর নাই।
যদি কেহ বলে, আমি ঈশ্বরকে প্রেম করি, আর আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে মিথ্যাবাদী; কেননা যাহাকে দেখিয়াছে, আপনার সেই ভ্রাতাকে যে প্রেম না করে, সে যাঁহাকে দেখে নাই, সেই ঈশ্বরকে প্রেম করিতে পারে না।
আর আমরা তাঁহা হইতে এই আজ্ঞা পাইয়াছি যে, ঈশ্বরকে যে প্রেম করে, সে আপন ভ্রাতাকেও প্রেম করুক।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;
কিম্বা যে উপদেশ দেয়, সে উপদেশ দানে নিবিষ্ট হউক; যে দান করে, সে সরল ভাবে, যে শাসন করে, সে উদ্যোগ সহকারে, যে দয়া করে, সে হৃষ্টচিত্তে করুক।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
আর তদ্দ্বারা প্রভুর যোগ্যরূপে সর্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ কর, সমস্ত সৎকর্মে ফলবান ও ঈশ্বরের তত্ত্বজ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও,
যখনই তোমাদিগকে স্মরণ হয়, সর্বদাই আমি আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া,
কারণ আমাতে যেরূপ দেখিয়াছ, এবং এখনও আমাতে হইতেছে শুনিতেছ, সেইরূপ প্রাণপণ তোমাদেরও হইতেছে।
আমার সমস্ত বিনতিতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে প্রার্থনা করিয়া থাকি;
কারণ প্রথম দিবসাবধি অদ্য পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগিতা আছে।
কিন্তু তুমি যখন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদিগকে নিমন্ত্রণ করিও;
তাহাতে ধন্য হইবে, কেননা তোমার প্রতিদান করিতে তাহাদের কিছু নাই, তাই ধার্মিকগণের পুনরুত্থানের সময়ে তুমি প্রতিদান পাইবে।
পিতা সন্তানদের প্রতি যেমন করুণা করেন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তাহাদের প্রতি তিনি তেমনি করুণা করেন।
তোমার শত্রুর গরু কিম্বা গর্দভকে পথহারা দেখিলে তুমি অবশ্য তাহার নিকটে তাহাকে লইয়া যাইবে।
তুমি আপন শত্রুর গর্দভকে ভারের নিচে পতিত দেখিলে যদ্যপি তাহাকে ভারমুক্ত করিতে অনিচ্ছুক হও, তথাপি অবশ্য উহার সঙ্গে তাহাকে ভারমুক্ত করিবে।
আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এইরূপ করিবেন, যদি তোমরা প্রতিজন অন্তঃকরণের সহিত আপন আপন ভ্রাতাকে ক্ষমা না কর।
এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।
কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁহার নিজের প্রেম প্রদর্শন করিতেছেন; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন।
যুবসিংহদের অনটন ও ক্ষুধায় ক্লেশ হয়, কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে, তাহাদের কোন মঙ্গলের অভাব হয় না।
অসম্পূর্ণকে অধিক আদর করিয়াছেন, যেন দেহের মধ্যে বিচ্ছেদ না হয়, বরং অঙ্গ সকল যেন পরস্পরের জন্য সমভাবে চিন্তা করে।
আর এক অঙ্গ দুঃখ পাইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই দুঃখ পায়, এবং এক অঙ্গ গৌরব প্রাপ্ত হইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই আনন্দ করে।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;
সে বিতরণ করিয়াছে, দরিদ্রদিগকে দান করিয়াছে, তাহার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী; তাহার শৃঙ্গ গৌরবে উন্নত হইবে।
তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথ সকলের জন্য খোল।
তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর।
হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, শুন, সংসারে যাহারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাহাদিগকে মনোনীত করেন নাই, যেন তাহারা বিশ্বাসে ধনবান হয়, এবং যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে, তাহাদের কাছে অঙ্গীকৃত রাজ্যের অধিকারী হয়?
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
সদাপ্রভু, তোমার প্রজাদের প্রতি তোমার যে মমতা, সেই মমতায় আমাকে স্মরণ কর; তোমার পরিত্রাণসহ আমার তত্ত্ব লও;
তাহাতে আপন প্রজাদের উপরে সদাপ্রভুর ক্রোধ জ্বলিয়া উঠিল, তিনি আপন অধিকারকে ঘৃণা করিলেন।
তিনি তাহাদিগকে জাতিগণের হস্তে সমর্পণ করিলেন, তাহাতে তাহাদের বিদ্বেষিগণ তাহাদের উপরে কর্তৃত্ব করিল।
তাহাদের শত্রুগণও তাহাদের প্রতি দৌরাত্ম্য করিল, এবং তাহারা উহাদের হস্তের বশে নত হইল।
অনেক বার তিনি তাহাদিগকে উদ্ধার করিলেন, কিন্তু তাহারা আপনাদের মন্ত্রণায় বিদ্রোহী হইল, ও আপনাদের অপরাধে ক্ষীণ হইয়া পড়িল।
তথাচ তিনি যখন তাহাদের কাকূক্তি শুনিলেন, তখন তাহাদের সঙ্কটের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন।
তিনি তাহাদের পক্ষে আপনার নিয়ম স্মরণ করিলেন, নিজ দয়ার মহত্ত্বানুসারে অনুশোচনা করিলেন।
যাহারা তাহাদিগকে বন্দি করিয়াছিল, তাহাদের সকলের দৃষ্টিতে তিনি তাহাদিগকে করুণাপ্রাপ্ত করিলেন।
হে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের ত্রাণ কর, জাতিগণের মধ্য হইতে আমাদিগকে সংগ্রহ কর; যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের স্তব করি, যেন তোমার প্রশংসার জয়ধ্বনি করি।
ধন্য সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। সমস্ত লোক বলুক, আমেন্। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
যেন আমি তোমার মনোনীত লোকদের মঙ্গল দেখি, যেন তোমার জাতির আনন্দে আনন্দ করি, যেন তোমার অধিকারের সহিত শ্লাঘা করি।
ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
আর আপনি যে তাঁহার পিতার কুটুম্ব ও রিবিকার পুত্র, যাকোব রাহেলকে এই পরিচয় দিলে রাহেল দৌড়াইয়া গিয়া আপন পিতাকে সংবাদ দিলেন।
তাহাতে লাবন আপন ভাগিনেয় যাকোবের সংবাদ পাইয়া দৌড়াইয়া তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। তিনি তাঁহাকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করিলেন, ও আপন বাটীতে লইয়া গেলেন। পরে তিনি লাবনকে উক্ত সমস্ত বৃত্তান্ত জ্ঞাত করিলেন।
নিজ মিত্রকে ও পিতার মিত্রকে ত্যাগ করিও না; নিজ বিপদকালে ভ্রাতার গৃহে যাইও না; দূরস্থ ভ্রাতা অপেক্ষা নিকটস্থ প্রতিবাসী ভাল।
কেননা ফল দ্বারাই গাছ চেনা যায়। হে সর্পের বংশেরা, তোমরা মন্দ হইয়া কেমন করিয়া ভাল কথা কহিতে পার? কেননা হৃদয় হইতে যাহা ছাপিয়া উঠে, মুখ তাহাই বলে।
তোমরা কাহারও কিছু ধারিও না, কেবল পরসপর প্রেম ধারিও; কেননা পরকে যে প্রেম করে, সে ব্যবস্থা পূর্ণরূপে পালন করিয়াছে।
আমরা যে তোমাদের বিশ্বাসের উপরে প্রভুত্ব করি, এমন নয়, বরং তোমাদের আনন্দের সহকারী হই; কারণ বিশ্বাসেই তোমরা দাঁড়াইয়া আছ।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,
মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
সদাপ্রভু সঙ্কটের দিনে তোমাকে উত্তর দিউন, যাকোবের ঈশ্বরের নাম তোমাকে উন্নত করুক,
তিনি পবিত্র স্থান হইতে তব সাহায্য প্রেরণ করুন, সিয়োন হইতে তোমাকে সুস্থির রাখুন,
তখন তিনি বাহির হইয়া বিস্তর লোক দেখিয়া তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, এবং তাহাদের পীড়িত লোকদিগকে সুস্থ করিলেন।
অতএব প্রিয় বৎসদের ন্যায় তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।
প্রভুর প্রীতিজনক কি, তাহার পরীক্ষা কর।
আর অন্ধকারের ফলহীন কর্ম সকলের সহভাগী হইও না, বরং সেইগুলির দোষ দেখাইয়া দেও।
কেননা উহারা গোপনে যে সকল কর্ম করে, তাহা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।
কিন্তু দোষ দেখাইয়া দেওয়া হইলে সকলই দীপ্তি দ্বারা প্রকাশ হইয়া পড়ে; বস্তুতঃ যাহা প্রকাশ হইয়া পড়ে, তাহা সকলই দীপ্তিময়।
এই জন্য উক্ত আছে, “হে নিদ্রাগত ব্যক্তি, জাগ্রত হও, এবং মৃতগণের মধ্য হইতে উঠ, তাহাতে খ্রীষ্ট তোমার উপরে আলোক উদয় করিবেন।”
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।
সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।
এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ।
আর দ্রাক্ষারসে মত্ত হইও না, তাহাতে নষ্টামি আছে;
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;
আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার আজ্ঞাতে অতিমাত্র প্রীত হয়।
দুষ্ট লোক তাহা দেখিয়া বিরক্ত হইবে; সে দন্ত ঘর্ষণ করিবে, ও গলিয়া যাইবে; দুষ্টগণের অভীষ্ট বিনষ্ট হইবে।
তাহার বংশ পৃথিবীতে বিক্রমশালী হইবে; সরল লোকের গোষ্ঠী ধন্য হইবে।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিচয় পাইয়াছ, বরং ঈশ্বরকর্তৃক পরিচিত হইয়াছ; তবে কেমন করিয়া পুনর্বার ঐ দুর্বল অকিঞ্চন অক্ষরমালার প্রতি ফিরিতেছ, আবার ফিরিয়া সেইগুলির দাস হইতে চাহিতেছ?
আর তাহারা উপকারের পরিবর্তে অপকার করে, তাহারা আমার বিপক্ষ, কারণ যাহা ভাল, আমি তাহারই অনুগামী।
অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।
ইহা করিলে অরুণের ন্যায় তোমার দীপ্তি প্রকাশ পাইবে, তোমার আরোগ্য শীঘ্রই অঙ্কুরিত হইবে; আর তোমার ধার্মিকতা তোমার অগ্রগামী হইবে; সদাপ্রভুর প্রতাপ তোমার পশ্চাদ্বর্তী হইবে।
কিন্তু কেহ বলিবে, তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কর্ম আছে; তোমার কর্মবিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কর্ম হইতে বিশ্বাস দেখাইব।
কিন্তু তুমি যখন দান কর, তখন তোমার দক্ষিণ হস্ত কি করিতেছে, তাহা তোমার বাম হস্তকে জানিতে দিও না।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।
দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর। আপনাদের জন্য এমন থলি প্রস্তুত কর, যাহা জীর্ণ হয় না; স্বর্গে অক্ষয় ধন সঞ্চয় কর, যেখানে চোর নিকটে আইসে না, কীটেও ক্ষয় করে না;
আর যথাসর্বস্ব যদি দরিদ্রদিগকে খাওয়াইয়া দিই, এবং পোড়াইবার জন্য আপন দেহ দান করি, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নাই।
সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন, ও তোমাকে রক্ষা করুন;
সদাপ্রভু তোমার প্রতি আপন মুখ উজ্জ্বল করুন, ও তোমাকে অনুগ্রহ করুন;
সদাপ্রভু তোমার প্রতি নিজ মুখ উত্তোলন করুন, ও তোমাকে শান্তি দান করুন।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা আপন আপন শত্রুদিগকে প্রেম করিও, এবং যাহারা তোমাদিগকে তাড়না করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও;
মন্দের পরিশোধে মন্দ করিও না, এবং নিন্দার পরিশোধে নিন্দা করিও না; বরং আশীর্বাদ কর, কেননা আশীর্বাদের অধিকারী হইবার নিমিত্তই তোমরা আহূত হইয়াছ।