আল্লাহ কত অসাধারণ! আমাদের জীবনে উৎসব আর আনন্দের জন্য এত সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত দেন, পরিবার আর বন্ধুদের সাথে কাটানোর জন্য। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, বিয়ে, আরও কত বিশেষ দিন! এই দিনগুলোর জন্য আমরা কত অপেক্ষা করি, কত আনন্দ পাই।
কিন্তু জানেন তো, আল্লাহ আমাদের প্রতিদিন নতুন করে করুণা করেন। প্রতিটা সকাল কে বিশেষ করে তোলেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সাথে আনন্দ উদযাপন করার, তাঁর অসাধারণ কাজগুলো স্মরণ করার একটা নতুন সুযোগ।
আমাদের প্রিয়জনের সাথে যখন এই বিশেষ দিনগুলো উদযাপন করি, তখন আল্লাহর বাণী শেয়ার করার, তাঁর অশেষ দয়ার কথা চিন্তা করার সুযোগটা হাতছাড়া করি না। [১]
[১] বাইবেলের বিভিন্ন স্থানে এই বিষয়গুলো পাওয়া যায়।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর; উচ্চধ্বনি কর, আনন্দগান কর, প্রশংসা গাও।
গান কর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বীণা সহকারে, বীণা সহকারে ও গানের রবে।
তূরী ও ভেরিবাদ্য সহকারে রাজা সদাপ্রভুর সম্মুখে জয়ধ্বনি কর।
তিনি উপস্থিত হইয়া পর্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশে তূরী বাজাইলেন; আর ইস্রায়েল-সন্তানগণ তাঁহার সহিত পর্বতময় দেশ হইতে নামিয়া গেল, তিনি তাহাদের অগ্রগামী হইয়া চলিলেন।
আবার আমি নেবল যন্ত্রে তোমার স্তব করিব, হে আমার ঈশ্বর, তোমার সত্যের স্তব করিব, হে ইস্রায়েলের পবিত্রতম, বীণাতে তোমার উদ্দেশে সঙ্গীত করিব।
তূরীধ্বনি-সহ তাঁহার প্রশংসা কর; নেবল ও বীণাযন্ত্রে তাঁহার প্রশংসা কর।
তবল ও নৃত্যযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; তারযুক্ত যন্ত্রে ও বংশীতে তাঁহার প্রশংসা কর;
সুশ্রাব্য করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; উচ্চধ্বনি করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর।
তখন সমস্ত লোক মেঘগর্জন, বিদ্যুৎ, তূরীধ্বনি ও ধূমময় পর্বত দেখিয়া ত্রাসযুক্ত হইল, এবং দূরে দাঁড়াইয়া রহিল।
আর দায়ূদ ও সমস্ত ইস্রায়েল সমস্ত শক্তিতে ঈশ্বরের সম্মুখে গীত সহকারে বীণা, নেবল, তবল, করতাল ও তূরী বাজাইলেন।
সেই চন্দনকাষ্ঠ দ্বারা রাজা সদাপ্রভুর গৃহের ও রাজবাটীর নিমিত্ত গরাদিয়া ও গায়কদের জন্য বীণা এবং নেবল প্রস্তুত করিলেন; তদ্রূপ চন্দনকাষ্ঠ অদ্যাপি আর আইসে নাই, দেখাও যায় নাই।
এই প্রকারে জয়ধ্বনি সহকারে এবং শৃঙ্গ, তূরী, করতাল, নেবল ও বীণাধ্বনি সহকারে সমস্ত ইস্রায়েল সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক আনয়ন করিল।
আর দায়ূদ ও ইস্রায়েলের সমস্ত কুল সদাপ্রভুর সম্মুখে দেবদারু কাষ্ঠনির্মিত সর্বপ্রকার বাদ্যযন্ত্র এবং বীণা, নেবল, তবল, জয়শৃঙ্গ ও করতাল বাজাইলেন।
পরে তৃতীয় দিন প্রভাত হইলে মেঘগর্জন ও বিদ্যুৎ এবং পর্বতের উপরে নিবির মেঘ হইল, আর অতিশয় উচ্চরবে তূরীধ্বনি হইতে লাগিল; তাহাতে শিবিরস্থ সমস্ত লোক কাঁপিতে লাগিল।
তাহাতে আমি ঈশ্বরের বেদির কাছে যাইব, আমার পরমানন্দজনক ঈশ্বরের সম্মুখে যাইব; আর হে ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর, আমি বীণাযন্ত্রে তোমার স্তব করিব।
বীণা ও নেবল, তবল ও বাঁশী ও দ্রাক্ষারস, এই সকল তাহাদের ভোজে বিদ্যমান; কিন্তু তাহারা সদাপ্রভুর কার্য নেহারে না, তাঁহার হস্তের ক্রিয়া দেখিল না।
আর যিরূশালেমের প্রাচীর প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে লোকেরা লেবীয়দের সকল স্থানে [গিয়া] যিরূশালেমে আনিবার জন্য তাহাদের অন্বেষণ করিল, যেন করতাল, নেবল ও বীণাবাদ্য সহকারে স্তব ও গান করিয়া আনন্দ সহকারে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
হে ঈশ্বর, লোকে তোমার গমন দেখিয়াছে; পবিত্র স্থানে আমার ঈশ্বরের, আমার রাজার, গমন [দেখিয়াছে]।
অগ্রে গায়কগণ, পশ্চাতে বাদ্যকরগণ চলিল, বাদ্যবাদিনী কুমারীদের মধ্যস্থানে।
আসফ অধ্যক্ষ, দ্বিতীয় সখরিয়, অপর যিয়ীয়েল, শমীরামোৎ, যিহীয়েল, মত্তিথিয়, ইলীয়াব, বনায়, ওবেদ-ইদোম ও যিয়ীয়েল ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকের সম্মুখে নেবল ও বীণা, আসফ উচ্চধ্বনির করতল,
আর বনায় ও যহসীয়েল, এই দুই জন যাজক নিত্য তূরী বাজাইতেন।
আর দায়ূদ লেবীয়দের অধ্যক্ষদিগকে কহিলেন, তোমরা উচ্চৈঃস্বরে আনন্দ ধ্বনি করণার্থে আপনাদের গায়ক ভ্রাতৃগণকে বাদ্যযন্ত্র সহকারে, নেবল, বীণা ও করতাল সহকারে নিযুক্ত কর।
তখন সপ্তম মাসের দশম দিনে তুমি জয়ধ্বনির তূরীবাদ্য করিবে; প্রায়শ্চিত্ত দিনে তোমাদের সমস্ত দেশে তূরী বাজাইবে।
তোমরা বীণাতে সদাপ্রভুর স্তব কর, দশতন্ত্রী নেবলে তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও।
আমাদের প্রাণ সদাপ্রভুর অপেক্ষায় রহিয়াছে; তিনিই আমাদের সহায় ও আমাদের ঢাল।
হাঁ, আমাদের চিত্ত তাঁহাতেই আনন্দ করিবে, কেননা আমরা তাঁহার পবিত্র নামে বিশ্বাস করিয়াছি।
সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাদের উপরে বর্তুক, কেননা আমরা তোমার অপেক্ষা করিয়াছি।
তাঁহার উদ্দেশে নূতন গীত গাও, জয়ধ্বনিসহ মনোহর বাদ্য কর।
তুমি আমাকে বঞ্চনা করিয়া কেন গোপনে পলাইলে? কেন আমাকে সংবাদ দিলে না? দিলে আমি তোমাকে আহ্লাদ ও গান এবং তবলের ও বীণার বাদ্য সহকারে বিদায় দিতাম।
সদাপ্রভুর স্তব করা, হে পরাৎপর, তোমার নামের উদ্দেশে সঙ্গীত করা উত্তম;
কিন্তু তুমি আমার শৃঙ্গ গবয়ের শৃঙ্গবৎ উন্নত করিয়াছ; আমি নব তৈলে অভিষিক্ত হইয়াছি।
আর আমার চক্ষু আমার শত্রুদের দশা নিরীক্ষণ করিয়াছে; আমার কর্ণ আমার বিরোধী দুরাচারগণের দশা শুনিতে পাইয়াছে।
ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।
যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।
তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;
তদ্দ্বারা প্রচারিত হইবে যে, সদাপ্রভু সরল; তিনি আমার শৈল, এবং তাঁহাতে অন্যায় নাই।
প্রাতঃকালে তোমার দয়া, ও প্রতিরাত্রে তোমার বিশ্বস্ততা প্রচার করা উত্তম,
দশতন্ত্রী ও নেবলযন্ত্র সহকারে, গম্ভীর বীণা-ধ্বনি সহকারে।
সেই তূরীবাদকেরা ও গায়কেরা সকলে একরবে সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিবার জন্য এক ব্যক্তির ন্যায় উপস্থিত ছিল; এবং যখন তাহারা তূরী ও করতালাদি বাদ্যের সহিত মহাশব্দ করিয়া ‘তিনি মঙ্গলময়, হাঁ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী,’ এই কথা বলিয়া সদাপ্রভুর প্রশংসা করিল, তৎকালে গৃহ, সদাপ্রভুর গৃহ মেঘে এমন পরিপূর্ণ হইল যে,
মেঘ প্রযুক্ত যাজকেরা পরিচর্যা করিবার জন্য দাঁড়াইতে পারিল না; কেননা ঈশ্বরের গৃহ সদাপ্রভুর প্রতাপে পরিপূর্ণ হইয়াছিল।
হে ঈশ্বর, আমার চিত্ত সুস্থির; আমি গান করিব, আমার গৌরব সহ স্তব করিব।
কে আমাকে ঐ দৃঢ় নগরে লইয়া যাইবে? কে ইদোম পর্যন্ত আমাকে পথ দেখাইয়া দিবে?
হে ঈশ্বর, তুমি কি আমাদিগকে ত্যাগ কর নাই? হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের বাহিনিগণ সহ গমন কর না।
বিপক্ষের প্রতিকূলে আমাদের সাহায্য কর; কেননা মনুষ্যের সাহায্য অলীক।
ঈশ্বরের দ্বারা আমরা বীরের কর্ম করিব; তিনিই আমাদের বিপক্ষদিগকে মর্দন করিবেন।
জাগ্রত হও, নেবল ও বীণা; আমি ঊষাকে জাগাইব।
পরে হারোণের ভগিনী মরিয়ম ভাববাদিনী হস্তে মৃদঙ্গ লইলেন, এবং তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ অন্য স্ত্রীলোকেরা সকলে মৃদঙ্গ লইয়া নৃত্য করিতে করিতে বাহির হইল।
তখন মরিয়ম লোকদের কাছে এই ধূয়া গাইলেন- তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান কর; কেননা তিনি মহামহিমান্বিত হইলেন; তিনি অশ্ব ও তদারোহীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলেন।
আর উচ্চধ্বনির নিমিত্ত তূরী ও করতাল এবং ঈশ্বরীয় সঙ্গীতের নিমিত্ত বাদ্যযন্ত্র বাজাইতে হেমন ও যিদূথূন উহাদের সঙ্গী, এবং যিদূথূনের পুত্রগণ দ্বারপাল হইলেন।
পরে পলেষ্টীয়দের প্রহরী সৈন্যদল যেখানে আছে, তুমি ঈশ্বরের সেই পর্বতে উপস্থিত হইবে, তথায় নগরে পৌঁছিলে, এমন এক দল ভাববাদীর সহিত সাক্ষাৎ হইবে, যাহারা নেবল, তবল, বাঁশী ও বীণা লইয়া উচ্চস্থলী হইতে নামিয়া আসিতেছে, আর ভাবোক্তি প্রচার করিতেছে।
এবং গায়ক লেবীয়েরা সকলে, আসফ, হেমন, যিদূথূন ও তাঁহাদের পুত্রগণ ও ভ্রাতৃগণ, মসীনাবস্ত্র পরিহিত হইয়া, এবং করতাল, নেবল ও বীণা সহকারে যজ্ঞবেদির পূর্ব প্রান্তে দণ্ডায়মান রহিল, এবং তূরীবাদক একশত বিংশতি জন যাজক তাহাদের সঙ্গে ছিল।
সেই তূরীবাদকেরা ও গায়কেরা সকলে একরবে সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিবার জন্য এক ব্যক্তির ন্যায় উপস্থিত ছিল; এবং যখন তাহারা তূরী ও করতালাদি বাদ্যের সহিত মহাশব্দ করিয়া ‘তিনি মঙ্গলময়, হাঁ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী,’ এই কথা বলিয়া সদাপ্রভুর প্রশংসা করিল, তৎকালে গৃহ, সদাপ্রভুর গৃহ মেঘে এমন পরিপূর্ণ হইল যে,
আর সমস্ত লোক তাঁহার পশ্চাতে পশ্চাতে উঠিয়া আসিল, এবং জনসমূহ এমন বংশীবাদ্য ও মহাহর্ষনাদ করিল যে, তাহার শব্দে পৃথিবী বিদীর্ণ হইল।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার শক্তির বিতানে তাঁহার প্রশংসা কর।
তাঁহার পরাক্রম-কার্য সকলের জন্য তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার মহিমার বাহুল্যানুসারে তাঁহার প্রশংসা কর।
আর যিরূশালেমের প্রাচীর প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে লোকেরা লেবীয়দের সকল স্থানে [গিয়া] যিরূশালেমে আনিবার জন্য তাহাদের অন্বেষণ করিল, যেন করতাল, নেবল ও বীণাবাদ্য সহকারে স্তব ও গান করিয়া আনন্দ সহকারে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আর গায়কদের সন্তানগণ যিরূশালেমের চারিদিকের অঞ্চল হইতে ও নটোফাতীয়দের সকল গ্রাম হইতে,
সদাপ্রভু আমার পরিত্রাণ করিতে [সম্মত]; অতএব আমার সঙ্গীত-মালা আমার তারযুক্ত যন্ত্রে গান করিব, যত দিন জীবিত থাকি, সদাপ্রভুর গৃহে গাহিব।
আর সদাপ্রভু তাহাদের ঊর্ধ্বে দর্শন দিবেন, ও তাঁহার বাণ বিদ্যুতের ন্যায় নির্গত হইবে; এবং প্রভু সদাপ্রভু তূরী বাজাইবেন, আর দক্ষিণের ঘূর্ণবায়ু সহকারে গমন করিবেন।
তিনি যখন পুস্তকখানি গ্রহণ করেন, তখন ঐ চারি প্রাণী ও চব্বিশ জন প্রাচীন মেষশাবকের সাক্ষাতে প্রণিপাত করিলেন; তাঁহাদের প্রত্যেকের কাছে একটি বীণা ও সুগন্ধি ধূপে পরিপূর্ণ স্বর্ণময় বাটি ছিল; সেই ধূপ পবিত্রগণের প্রার্থনাস্বরূপ।
আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, ‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;
আর চারি সহস্র লোক দ্বারপাল; এবং দায়ূদ প্রশংসার্থে যে সকল বাদ্যযন্ত্র নির্মাণ করেন, তাহা দ্বারা চারি সহস্র লোক সদাপ্রভুর প্রশংসা করিত।
তিনি আমার মুখে নূতন গীত, আমাদের ঈশ্বরের স্তব দিলেন; অনেকে ইহা দেখিবে, ভীত হইবে, ও সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিবে।
সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর, ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
ইহারা সকলে ঈশ্বরের গৃহের সেবাকর্মের জন্য করতাল, নেবল ও বীণা দ্বারা সদাপ্রভুর গৃহে গান করিবার জন্য তাহাদের পিতার অধীন ছিলেন; আসফ, যিদূথূন ও হেমন রাজার অধীন ছিলেন।
সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীতগানে শিক্ষিত তাহারা ও তাহাদের ভ্রাতৃগণ সংখ্যায় সর্বসুদ্ধ দুই শত অষ্টাশি জন সঙ্গীত পারদর্শী লোক ছিল।
সকল বিষয়েরই সময় আছে, ও আকাশের নিচে সমস্ত ব্যাপারের কাল আছে। জন্মের কাল ও মরণের কাল;
ঈশ্বর মনুষ্য-সন্তানদিগকে কষ্টযুক্ত করণার্থে যে কষ্ট দেন, তাহা আমি দেখিয়াছি।
তিনি সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন, আবার তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্যন্ত যে সকল কার্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।
আমি জানি, যাবজ্জীবন আনন্দ ও সৎকর্ম করণ ব্যতীত আর মঙ্গল তাহাদের হয় না।
আর প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।
আমি জানি, ঈশ্বর যাহা কিছু করেন, তাহা চিরস্থায়ী; তাহা বাড়াইতেও পারা যায় না, কমাইতেও পারা যায় না; আর ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, যেন তাঁহার সম্মুখে মনুষ্যগণ ভীত হয়।
যাহা আছে, তাহাই ছিল এবং যাহা হইবে, তাহাই ছিল; এবং যাহা চলিয়া গিয়াছে, ঈশ্বর তাহার অনুসন্ধান করেন।
আরও আমি সূর্যের নিচে, বিচারের স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে; এবং ধার্মিকতার স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে।
আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।
আমি মনে মনে কহিলাম, ইহা মনুষ্য-সন্তানদের নিমিত্ত হইতেছে, যেন ঈশ্বর তাহাদের পরীক্ষা করেন, আর যেন তাহারা দেখিতে পায় যে, তাহারা নিজেই পশুবৎ।
কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার।
রোপণের কাল ও রোপিত বীজ উৎপাটনের কাল;
সকলেই এক স্থানে গমন করে, সকলেই ধূলি হইতে উৎপন্ন, এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।
মনুষ্য-সন্তানদের আত্মা ঊর্ধ্বগামী হয় ও পশুর আত্মা ভূতলের দিকে অধোগামী হয়, ইহা কে জানে?
অতএব আমি দেখিলাম, আপন কর্মে আনন্দ করণ ব্যতীত আর মঙ্গল মনুষ্যের নাই; কেননা ইহাই তাহার অধিকার। মনুষ্যের মৃত্যুর পরে যাহা ঘটিবে, কে তাহাকে আনিয়া তাহা দেখাইতে পারে?
বধ করিবার কাল ও সুস্থ করিবার কাল;
ভাঙ্গিবার কাল ও গাঁথিবার কাল; রোদন করিবার কাল ও হাস্য করিবার কাল; বিলাপ করিবার কাল ও নৃত্য করিবার কাল;