বাইবেলে, দ্রাক্ষারসের কথা অনেকবারই উল্লেখ করা হয়েছে, আর এটা অনেক গল্পেরই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক সময় এটাকে আনন্দ আর উৎসবের প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে, আবার এর খারাপ দিকগুলোর কথাও বলা হয়েছে। কোথায়, কিভাবে বলা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে দ্রাক্ষারস আশীর্বাদও হতে পারে, বিপদও ডেকে আনতে পারে।
পুরাতন নিয়মে, দ্রাক্ষারস প্রাচুর্য আর ঈশ্বরের আশীর্বাদের সাথে যুক্ত। যেমন, उत्पत्ति-তে দেখি, মহাপ্লাবনের পর নূহ আঙ্গুর গাছ লাগিয়েছিলেন আর সেই আঙ্গুর থেকে দ্রাক্ষারস তৈরি করেছিলেন। দ্রাক্ষারস পৃথিবীর ফসল আর ঈশ্বরের আশীর্বাদের একটা প্রতীক হয়ে ওঠে।
কিন্তু, শাস্ত্রে আমাদের দ্রাক্ষারসের অপব্যবহারের বিপদের ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। হিতোপদেশে বলা হয়েছে, দ্রাক্ষারস প্রলোভন হতে পারে, আর এটা মাতলামি ও বিচার-বুদ্ধির অভাব ডেকে আনতে পারে। আমাদের অতিরিক্ত পান থেকে বিরত থাকতে এবং নিজেদের কাজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে বলা হয়েছে।
নতুন নিয়মে, কানার বিয়ের অনুষ্ঠানে যীশু তাঁর প্রথম অলৌকিক কাজটি করেন, পানি দ্রাক্ষারসে পরিণত করেন। এই কাজটি তাঁর শক্তির প্রতীক এবং আমাদের জীবনে আনন্দ ও উল্লাস আনার ইচ্ছার প্রকাশ। তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে যীশু সবসময় মিতাচার ও সংযমের কথা বলেছেন। তাই, সবকিছু ই শোভন ও বিধি মতো করি (১ করিন্থীয় ১৪:৪০)।
তুমি যাও, আনন্দপূর্বক তোমার খাদ্য ভোজন কর, হৃষ্টচিত্তে তোমার দ্রাক্ষারস পান কর, কেননা ঈশ্বর পূর্ব কাল হইতে তোমার কর্ম সকল গ্রাহ্য করিয়া আসিতেছেন।
তিনি গরুর নবনীত, মেষীর দুগ্ধ, মেষশাবকের মেদ সহ, বাশন দেশজাত মেষ ও ছাগ, এবং উত্তম গমের সার তাহাকে দিলেন; তুমি দ্রাক্ষার নির্যাস দ্রাক্ষারস পান করিলে।
পরে নোহ কৃষিকর্মে প্রবৃত্ত হইয়া দ্রাক্ষাক্ষেত্র করিলেন।আর তিনি দ্রাক্ষারস পান করিয়া মত্ত হইলেন, এবং তাম্বুর মধ্যে বিবস্ত্র হইয়া পড়িলেন।
আমি মনে মনে আন্দোলন, কিরূপে মদ্যপানে শরীরকে তুষ্ট করিব- তখনও আমার মন প্রজ্ঞাসহকারে আমাকে পথ প্রদর্শন করিতেছিল- আর কিরূপে অজ্ঞানতা অবলম্বন করিব শেষে দেখিতে পারিব, আকাশের নিচে মনুষ্য-সন্তানদের সমস্ত জীবনকালে কি কি করা ভাল।
এবং শালেমের রাজা মল্কীষেদক রুটি ও দ্রাক্ষারস বাহির করিয়া আনিলেন; তিনি ছিলেন পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক।
এখন অবধি কেবল জল পান করিও না, কিন্তু তোমার উদরের জন্য ও তোমার বার বার অসুখ হয় বলিয়া কিঞ্চিৎ দ্রাক্ষারস ব্যবহার করিও।
তখন ইস্হাক উত্তর করিয়া এষৌকে কহিলেন, দেখ, আমি তাহাকে তোমার কর্তা করিয়াছি, এবং তাহার জ্ঞাতি সকলকে তাহারই দাস করিয়াছি, আর তাহাকে শস্য ও দ্রাক্ষারস দিয়া সবল করিয়াছি; বৎস, এখন তোমার জন্য আর কি করিতে পারি?
আর প্রথম মেষশাবকের সহিত উখলিতে প্রস্তুত হিন পাত্রের চতুর্থাংশ তৈলে মিশ্রিত [ঐফা] পাত্রের দশমাংশ ময়দা, এবং পেয় নৈবেদ্যের জন্য হিনের চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস দিবে।
তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য যে সময়ে তুমি কিম্বা তোমার পুত্রগণ সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিবে, তৎকালে দ্রাক্ষারস কি মদ্য পান করিও না; ইহা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
পরে দ্রাক্ষারস সহযুক্ত ভোজের সময়ে রাজা ইষ্টেরকে কহিলেন, তোমার নিবেদন কি? তাহা তোমাকে দেওয়া যাইবে; তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হইলেও তাহা সিদ্ধ হইবে।
তাহার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য [এক ঐফার] দুই দশমাংশ তৈল মিশ্রিত সূক্ষ্ম সুজি; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার হইবে; ও তাহার পেয় নৈবেদ্য এক হিন দ্রাক্ষারসের চতুর্থাংশ হইবে।
রাজা বেল্শৎসর আপনার সহস্র মহল্লোকের নিমিত্ত মহাভোজ প্রস্তুত করিলেন, এবং সেই সহস্রের সাক্ষাতে দ্রাক্ষারস পান করিলেন।
তাঁহারা দ্রাক্ষারস পান করিতে করিতে সুবর্ণময়, রৌপ্যময়, পিত্তলময়, লৌহময়, কাষ্ঠময় ও প্রস্তরময় দেবগণের প্রশংসা করিতে লাগিলেন।
তখন সে দ্রাক্ষারস ও সুরা হইতে পৃথক থাকিবে, দ্রাক্ষারসের সিরকা বা সুরার সিরকা পান করিবে না, এবং দ্রাক্ষা-ফলোৎপন্ন কোন পেয় পান করিবে না, আর কাঁচা কি শুষ্ক দ্রাক্ষাফল খাইবে না।
কিন্তু স্বর্গাধিপতির বিরুদ্ধে আপনাকে উচ্চ করিয়াছেন; এবং তাঁহার গৃহের নানা পাত্র আপনার সম্মুখে আনীত হইয়াছে, আর আপনি, আপনার মহল্লোকেরা, আপনার পত্নীগণ ও আপনার উপপত্নীগণ সেই সকল পাত্রে দ্রাক্ষারস পান করিয়াছেন; এবং রৌপ্যময়, সুবর্ণময়, পিত্তলময়, লৌহময়, কাষ্ঠময় ও প্রস্তরময় যে দেবগণ দেখিতে পায় না, শুনিতে পায় না, কিছু জানিতেও পারে না, আপনি তাহাদের প্রশংসা করিয়াছেন; কিন্তু আপনার নিঃশ্বাস যাঁহার হস্তগত ও আপনার সকল পথ যাঁহার অধীন, আপনি সেই ঈশ্বরের সমাদর করেন নাই।
পরে সেই টাকা দিয়া তোমার প্রাণের অভিলাষানুসারে গরু কি মেষ কি দ্রাক্ষারস কি মদ্য, বা যে কোন দ্রব্যে তোমার প্রাণের বাঞ্ছা হয়, তাহা ক্রয় করিয়া সেই স্থানে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে ভোজন করিয়া সপরিবারে আনন্দ করিবে।
আর তাহারা সমস্ত বেদির কাছে বন্ধক বস্ত্রের উপরে শয়ন করে ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত লোকদের দ্রাক্ষারস আপনাদের ঈশ্বরের গৃহে পান করে।
তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।
তাহারা বড় বড় ভাণ্ডে দ্রাক্ষারস পান করে, এবং উৎকৃষ্ট তৈল গাত্রে লেপন করে, কিন্তু তাহারা যোষেফের দুর্দশায় দুঃখিত হয় না।
আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।
আর আমি আপন প্রজা ইস্রায়েলের বন্দিদশা ফিরাইব; তাহারা ধ্বংসিত নগর সকল নির্মাণ করিয়া তথায় বাস করিবে, দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া তাহার দ্রাক্ষারস পান করিবে, এবং উদ্যান প্রস্তুত করিয়া তাহার ফল ভোগ করিবে।
মাংস ভক্ষণ বা দ্রাক্ষারস পান, অথবা যাহা কিছুতে তোমার ভ্রাতা ব্যাঘাত কি বিঘ্ন পায়, কি দুর্বল হয়, এমন কিছুই না করা ভাল।
এবং তুমি হোমবলির সহিত অথবা বলির জন্য, প্রত্যেক মেষশাবকের জন্য, পেয় নৈবেদ্য বলিয়া এক হিনের চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস প্রস্তুত করিবে।
যাহারা দ্রাক্ষারসের নিকটে বহুকাল থাকে, যাহারা সুরার সন্ধানে যায়।দ্রাক্ষারসের প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না, যদিও উহা রক্তবর্ণ, যদিও উহা পাত্রে চক্মক্ করে, যদিও উহা সহজে গলায় নামিয়া যায়;অবশেষে উহা সর্পের ন্যায় কামড়ায়, বিষধরের ন্যায় দংশন করে।তোমার চক্ষু পরকীয়া স্ত্রীদিগকে দেখিবে, তোমার চিত্ত কুটিল কথা কহিবে;তুমি তাহার তুল্য হইবে, যে সমুদ্রের মধ্যস্থলে শয়ন করে, যে মাস্তুলের উপরে শয়ন করে।[তুমি বলিবে,] লোকে আমাকে মারিয়াছে, কিন্তু আমি ব্যথা পাই নাই; তাহারা আমাকে প্রহার করিয়াছে, কিন্তু আমি টের পাই নাই। আমি কখন্ জাগ্রত হইব? আবার তাহার অন্বেষণ করিব।
এবং তিনি তোমাকে প্রেম করিবেন, আশীর্বাদ করিবেন ও বর্ধিষ্ণু করিবেন; আর তিনি যে দেশ তোমাকে দিতে তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে দিব্য করিয়াছেন, সেই দেশে তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার শস্য, তোমার দ্রাক্ষারস, তোমার তৈল, তোমার গোবৎস ও তোমার মেষীদের শাবক- এই সকলেতে আশীর্বাদ করিবেন।
সেখানে উপস্থিত হইয়া তাহারা তাঁহাকে পিত্তমিশ্রিত দ্রাক্ষারস পান করিতে দিল; তিনি তাহা আস্বাদন করিয়া পান করিতে চাহিলেন না।
সেই দিন পর্বতগণ হইতে মিষ্ট দ্রাক্ষারস ক্ষরিবে, উপপর্বতগণ হইতে দুগ্ধস্রোত বহিবে, এবং যিহূদার সমস্ত প্রণালীতে জল বহিবে, আর সদাপ্রভুর গৃহ হইতে এক উৎস নির্গত হইবে, তাহা শিটীমের স্রোতোমার্গকে জল দিবে।
ভাববাদিগণের বিষয়। আমার অন্তরে হৃদয় ভগ্ন হইতেছে, আমার সমস্ত অস্থি বিচল হইতেছে; সদাপ্রভুর হেতু ও তাঁহার পবিত্র বাক্যের হেতু আমি মত্ত লোকের ন্যায়, দ্রাক্ষারসে অভিভূত ব্যক্তির ন্যায় হইয়াছি।
অহো, তৃষিত লোক সকল, তোমরা জলের কাছে আইস; যাহার রৌপ্য নাই, আইসুক; তোমরা আইস, খাদ্য ক্রয় কর, ভোজন কর; হাঁ, আইস, বিনা রৌপ্যে খাদ্য, বিনা মূল্যে দ্রাক্ষারস ও দুগ্ধ ক্রয় কর।
আর সেইরূপে তিনি ভোজন শেষ হইলে পানপাত্রটি লইয়া কহিলেন, এই পানপাত্র আমার রক্তে নূতন নিয়ম, যে রক্ত তোমাদের নিমিত্ত পাতিত হয়।
তখন ইস্হাক কহিলেন, আমার নিকটে আন; আমি পুত্রের আনীত মৃগ মাংস ভোজন করি, যেন আমার প্রাণ তোমাকে আশীর্বাদ করে। তখন তিনি মাংস আনিলে ইস্হাক ভোজন করিলেন, এবং দ্রাক্ষারস আনিয়া দিলে তাহা পান করিলেন।
তাহারা আসিয়া উচ্চ সিয়োনে আনন্দগান করিবে, এবং স্রোতের ন্যায় প্রবাহিত হইয়া সদাপ্রভুর মঙ্গলদানের নিকটে, গমের, দ্রাক্ষারসের, তৈলের, মেষবৎসদের ও গোবৎসদের জন্য আসিবে, এবং তাহাদের প্রাণ সুসিক্ত উদ্যানের ন্যায় হইবে;
কিন্তু দেখ, আমোদ প্রমোদ, বলদ ঘাতন ও মেষ হনন, মাংস ভক্ষণ ও দ্রাক্ষারস পান। ‘আইস, আমরা ভোজনপান করি, কেননা কল্য মরিব।’
আর লোকে পুরাতন কূপায় নূতন দ্রাক্ষারস রাখে না; রাখিলে কূপাগুলি ফাটিয়া যায়, তাহাতে দ্রাক্ষারস পড়িয়া যায়, কূপাগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নূতন কূপাতেই টাট্কা দ্রাক্ষারস রাখে, তাহাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।
আর বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই পর্বতে সর্বজাতির নিমিত্ত উত্তম উত্তম খাদ্য দ্রব্যের এক ভোজ, পুরাতন দ্রাক্ষারসের, মেদযুক্ত উত্তম খাদ্য দ্রব্যের ও নির্মলীকৃত পুরাতন দ্রাক্ষারসের এক ভোজ প্রস্তুত করিবেন,
আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, এখন অবধি আমি এই দ্রাক্ষাফলের রস আর কখনও পান করিব না, সেই দিন পর্যন্ত, যখন আমি আপন পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে ইহা নূতনভাবে পান করিব।
আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে দিন আমি ঈশ্বরের রাজ্যে ইহা নূতন ভাবে পান করিব, সেই দিন পর্যন্ত আমি দ্রাক্ষাফলের রস আর কখনও পান করিব না।
তোমরা রুটি ভোজন কর নাই, এবং দ্রাক্ষারস কি সুরা পান কর নাই; যেন তোমরা জানিতে পার যে, আমিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
আর পুরাতন কুপায় কেহ টাট্কা দ্রাক্ষারস রাখে না, রাখিলে দ্রাক্ষারসে কুপাগুলি ফাটিয়া যায়; তাহাতে দ্রাক্ষারস নষ্ট হয়, কুপাগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু টাট্কা দ্রাক্ষারস নূতন কুপাতে রাখিতে হইবে।
আর পুরাতন কুপায় কেহ টাট্কা দ্রাক্ষারস রাখে না; রাখিলে টাট্কা দ্রাক্ষারসে কুপাগুলি ফাটিয়া যাইবে, তাহাতে দ্রাক্ষারসও পড়িয়া যাইবে, কুপাগুলিও নষ্ট হইবে।কিন্তু টাট্কা দ্রাক্ষারস নূতন কুপাতেই রাখিতে হয়।
আর তোমরা বল, সে ভূতগ্রস্ত। মনুষ্যপুত্র আসিয়া ভোজন পান করেন, আর তোমরা বল, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু।
কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্যের আগমন না হয়, এখন অবধি সেই পর্যন্ত আমি দ্রাক্ষাফলের রস আর পান করিব না।
আর তৃতীয় দিবসে গালীলের কান্না নগরে এক বিবাহ হইল, এবং যীশুর মাতা সেখানে ছিলেন;সকল লোকেই প্রথমে উত্তম দ্রাক্ষারস পরিবেশন করে, এবং যথেষ্ট পান করা হইলে পর তাহা অপেক্ষা কিছু মন্দ পরিবেশন করে; তুমি উত্তম দ্রাক্ষারস এখন পর্যন্ত রাখিয়াছ।এইরূপে যীশু গালীলের কান্নাতে এই প্রথম চিহ্ন-কার্য সাধন করিলেন, নিজ মহিমা প্রকাশ করিলেন; আর তাঁহার শিষ্যেরা তাঁহাতে বিশ্বাস করিলেন।
প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করিতে পার না; প্রভুর মেজ ও ভূতদের মেজ, তোমরা এই উভয় মেজের অংশী হইতে পার না।
সেই প্রকারে তিনি ভোজনের পর পানপাত্রও লইয়া কহিলেন, ‘এই পানপাত্র আমার রক্তে নূতন নিয়ম; তোমরা যত বার পান করিবে, আমার স্মরণার্থে ইহা করিও’।
যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যাহা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পাওয়া যায়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
সেইরূপে প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপবাদিকা কি সুরার দাসী না হন, সুশিক্ষাদায়িনী হন;
আমাদের এক যজ্ঞবেদি আছে, তাহার সামগ্রী ভোজন করিবার ক্ষমতা তাহাদের নাই, যাহারা তাম্বু সম্বন্ধে আরাধনা করে।
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কেননা সদাপ্রভুর হস্তে এক পানপাত্র আছে, তাহার দ্রাক্ষারস মাতিয়া উঠিয়াছে, তাহা মিশ্রিত মদ্যে পরিপূর্ণ, আর তিনি তাহা হইতে ঢালেন, পৃথিবীর দুষ্ট সকলে তাহার তলানি পর্যন্ত চাটিয়া খাইবে।
তুমি আমার শত্রুগণের সাক্ষাতে আমার সম্মুখে মেজ সাজাইয়া থাক; তুমি আমার মস্তক তৈলে সিক্ত করিয়াছ; আমার পানপাত্র উথলিয়া পড়িতেছে।
তখন প্রভু জাগিলেন, সুপ্তোত্থিতের ন্যায়, দ্রাক্ষারসে হর্ষনাদকারী বীরের ন্যায়।তিনি আপন বিপক্ষ লোকদিগকে মারিয়া ফিরাইয়া দিলেন, তাহাদিগকে চিরকালীন তিরস্কারের পাত্র করিলেন।
মৃতকল্প ব্যক্তিকে সুরা দেও, তিক্তপ্রাণ লোককে দ্রাক্ষারস দেও;সে পান করিয়া দৈন্যদশা ভুলিয়া যাউক, আপন দুর্দশা আর মনে না করুক।
নূতন দ্রাক্ষারস শুষ্ক হইয়াছে, দ্রাক্ষালতা ম্লান হইয়াছে, প্রফুল্লচিত্ত সকলে দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিতেছে।
কেন অখাদ্যের নিমিত্ত রৌপ্য তৌল করিতেছ, যাহাতে তৃপ্তি নাই, তাহার জন্য স্ব স্ব শ্রমফল দিতেছ? শুন, আমার কথা শুন, উত্তম ভক্ষ্য ভোজন কর, পুষ্টিকর দ্রব্যে তোমাদের প্রাণ আপ্যায়িত হউক।
পরে আমি দ্রাক্ষারসে পূর্ণ কতিপয় ভাণ্ড ও কতকগুলি বাটি রেখবীয় কুলজাত লোকদের সম্মুখে রাখিয়া তাহাদিগকে কহিলাম, তোমরা দ্রাক্ষারস পান কর।কিন্তু তাহারা কহিল, আমরা দ্রাক্ষারস পান করিব না, কেননা আমাদের পিতৃপুরুষ রেখবের পুত্র যিহোনাদব আমাদিগকে এই আজ্ঞা দিয়াছেন, তোমরা ও তোমাদের সন্তানগণ কেহ কখনও দ্রাক্ষারস পান করিবে না;
সর্বপ্রকার ধনবাহুল্য হেতু তোমার নির্মিত দ্রব্যের প্রাচুর্য প্রযুক্ত দম্মেশক তোমার বণিক ছিল, তথাকার লোকেরা হিল্বোনের দ্রাক্ষারস ও শুভ্র মেষলোম আনিত।
হে মত্তগণ, জাগিয়া উঠ ও রোদন কর; হে মদ্যপায়ী সকলে, মিষ্ট দ্রাক্ষারসের জন্য হাহাকার কর; কেননা তাহা তোমাদের মুখ হইতে অপহৃত হইয়াছে।
বায়ুর ও মিথ্যা কথার অনুগামী কোন লোক যদি মিথ্যা করিয়া বলে, আমি দ্রাক্ষারস ও সুরার বিষয়ে তোমার পক্ষে বাক্য বর্ষাইব, তবে সে এই লোকদের বাক্য-বর্ষক হইবে।
আর ইফ্রয়িম বীরের তুল্য হইবে, এবং দ্রাক্ষারস দ্বারা যেমন আনন্দ হয়, তাহাদের অন্তঃকরণ তেমনি আনন্দ করিবে; তাহাদের সন্তানগণ দেখিবে ও আহ্লাদিত হইবে, তাহাদের অন্তঃকরণ সদাপ্রভুতে উল্লাস করিবে।
মনুষ্যপুত্র আসিয়া ভোজন পান করেন; তাহাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, একজন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু। কিন্তু প্রজ্ঞা নিজ কর্মসমূহ দ্বারা নির্দোষ বলিয়া গণিত হয়।
পরে তিনি পানপাত্র লইয়া ধন্যবাদপূর্বক তাঁহাদিগকে দিলেন, এবং তাঁহারা সকলেই তাহা হইতে পান করিলেন।
কারণ সে প্রভুর সম্মুখে মহান হইবে, এবং দ্রাক্ষারস কি সুরা কিছুই পান করিবে না; আর সে মাতার গর্ভ হইতেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইবে;
আর তাহাকে দেখিয়া করুণাবিষ্ট হইল, এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রতি যত্ন করিল।
আর, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝিতেছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমুদয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
কেননা ভোজনকালে প্রত্যেক জন অপরের অগ্রে তাহার নিজের ভোজ গ্রহণ করে, তাহাতে একজন ক্ষুধিত থাকে, আর একজন বা মত্ত হয়। এ কেমন?ভোজন পান করিবার জন্য কি তোমাদের গৃহ নাই? অথবা তোমরা কি ঈশ্বরের মণ্ডলীকে অবজ্ঞা করিতেছ, এবং যাহাদের কিছু নাই, তাহাদিগকে লজ্জা দিতেছ? আমি তোমাদিগকে কি বলিব? কি তোমাদের প্রশংসা করিব? এই বিষয়ে প্রশংসা করি না।
আমরা ধন্যবাদের যে পানপাত্র লইয়া ধন্যবাদ করি, তাহা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগিতা নয়? আমরা যে রুটি ভাঙ্গি, তাহা কি খ্রীষ্টের শরীরের সহভাগিতা নয়?
কারণ খ্রীষ্টের প্রেম আমাদিগকে বশে রাখিয়া চালাইতেছে; কেননা আমরা এইরূপ বিচার করিয়াছি যে, একজন সকলের জন্য মরিলেন, সুতরাং সকলেই মরিল;
অতএব খ্রীষ্টে যদি কোন আশ্বাস, যদি প্রেমের কোন সান্ত্বনা, যদি আত্মার কোন সহভাগিতা, যদি কোন স্নেহ ও করুণা থাকে,যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের “সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন। অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।তোমরা বচসা ও তর্কবিতর্ক বিনা সমস্ত কার্য কর,যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;ইহাতে খ্রীষ্টের দিনে আমি এই শ্লাঘা করিবার হেতু পাইব যে, আমি বৃথা দৌড়াই নাই, বৃথা পরিশ্রমও করি নাই।কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের যজ্ঞে ও সেবায় যদি আমি পেয় নৈবেদ্যরূপে সেচিতও হই, তথাপি আনন্দ করিতেছি, আর তোমাদের সকলের সঙ্গে আনন্দ করিতেছি।সেই প্রকারে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করিতেছি যে, তীমথিয়কে শীঘ্রই তোমাদের কাছে পাঠাইব, যেন তোমাদের অবস্থা জানিয়া আমারও প্রাণ জুড়ায়।তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
অতএব আইস, আমরা অন্য সকলের ন্যায় নিদ্রা না যাই, বরং জাগিয়া থাকি ও মিতাচারী হই।কারণ যাহারা নিদ্রা যায়, তাহারা রাত্রিতেই নিদ্রা যায়; এবং যাহারা মদ্যপায়ী, তাহারা রাত্রিতেই মত্ত হয়।কিন্তু আমরা দিবসের বলিয়া আইস, মিতাচারী হই, বিশ্বাস ও প্রেমরূপ বুকপাটা পরি, এবং পরিত্রাণের আশারূপ শিরস্ত্রাণ মস্তকে দিই;
কিন্তু কঠিন খাদ্য সেই সিদ্ধ বয়স্কদেরই জন্য, যাহাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাস প্রযুক্ত সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু হইয়াছে।
তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।তোমাদের মধ্যে কেহ কি রোগগ্রস্ত? সে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে আহ্বান করুক; এবং তাঁহারা প্রভুর নামে তাহাকে তৈলাভিষিক্ত করিয়া তাহার উপরে প্রার্থনা করুন।
কেননা পরজাতীয়দের বাসনা সাধন করিয়া, লমপটতা, সুখাভিলাষ, মদ্যপান, রঙ্গরস পানার্থক সভা ও ঘৃণার্হ প্রতিমাপূজারূপ পথে চলিয়া যে কাল অতীত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট।
অন্যায়ের বেতনস্বরূপে অন্যায় ভোগ করিবে। তাহারা দিনমানে উদরতৃপ্তিকে সুখ জ্ঞান করে; তাহারা কলঙ্ক ও মলস্বরূপ, তাহারা তোমাদের সহিত ভোজন পান করিয়া আপন আপন প্রেম ভোজে বিলাস করে।
কেননা তুমি ধার্মিককে আশীর্বাদ করিবে, হে সদাপ্রভু, তুমি ঢালের ন্যায় তাহাকে প্রসন্নতায় বেষ্টন করিবে।
আর ফলশালী ক্ষেত্র হইতে আনন্দ ও উল্লাস দূরীকৃত হইল; দ্রাক্ষাক্ষেত্রেও লোকেরা আর আনন্দগান বা হর্ষনাদ করে না; কেহ পদ দ্বারা চাপ দিয়া কুণ্ডে আর দ্রাক্ষারস বাহির করে না, আমি [দ্রাক্ষাপেষণের] গান নিবৃত্ত করাইয়াছি।
পর্বতের উপরে ভোজন করে নাই, ইস্রায়েল-কুলের পুত্তলিগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করে নাই, আপন প্রতিবাসীর স্ত্রীকে ভ্রষ্ট করে নাই, ও ঋতুমতী স্ত্রীর নিকটেও যায় নই;
সদাপ্রভু বলেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে হালবাহক শস্যচ্ছেদকের সহিত, ও দ্রাক্ষাপেষক বীজবাপকের সহিত মিলিবে; পর্বতগণ হইতে মিষ্ট দ্রাক্ষারস ক্ষরিবে, এবং সকল উপপর্বত গলিয়া যাইবে।
বীজ বুনিয়াও তুমি শস্য কাটিতে পাইবে না, জলপাই পেষণ করিয়াও গাত্রে তৈল লেপন করিতে পাইবে না, এবং দ্রাক্ষা নিষপীড়ন করিয়াও দ্রাক্ষারস পান করিতে পাইবে না।
তোমাদের মধ্যে সেইরূপ নয়; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেহ মহান হইতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হইবে;এবং তোমাদের মধ্যে যে কেহ প্রধান হইতে চায়, সে সকলের দাস হইবে।
আবার যে ব্যক্তি তাঁহাকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিল, তাহাকেও তিনি বলিলেন, তুমি যখন মধ্যাহ্ন-ভোজ কিম্বা রাত্রি-ভোজ প্রস্তুত কর, তখন তোমার বন্ধুগণকে, বা তোমার ভ্রাতাদিগকে, বা তোমার জ্ঞাতিদিগকে কিম্বা ধনী প্রতিবাসিগণকে ডাকিও না; কি জানি, তাহারাও তোমাকে পাল্টা নিমন্ত্রণ করিবে, আর তুমি প্রতিদান পাইবে।কিন্তু তুমি যখন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদিগকে নিমন্ত্রণ করিও;তাহাতে ধন্য হইবে, কেননা তোমার প্রতিদান করিতে তাহাদের কিছু নাই, তাই ধার্মিকগণের পুনরুত্থানের সময়ে তুমি প্রতিদান পাইবে।
সকল লোকেই প্রথমে উত্তম দ্রাক্ষারস পরিবেশন করে, এবং যথেষ্ট পান করা হইলে পর তাহা অপেক্ষা কিছু মন্দ পরিবেশন করে; তুমি উত্তম দ্রাক্ষারস এখন পর্যন্ত রাখিয়াছ।
সকলই আমার পক্ষে বিধেয়, কিন্তু সকলই যে হিতজনক, তাহা নয়; সকলই আমার পক্ষে বিধেয়, কিন্তু আমি কিছুরই কর্তৃত্বাধীন হইব না।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
কেননা ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষ বলিয়া অনিন্দনীয় হন; স্বেচ্ছাচারী কি আশুক্রোধী কি মদ্যপানে আসক্ত কি প্রহারক কি কুৎসিত লাভের লোভী না হন,
তোমরা বহুবিধ এবং বিজাতীয় শিক্ষা দ্বারা বিপথে চালিত হইও না; কেননা হৃদয় যে অনুগ্রহ দ্বারা স্থিরীকৃত হয়, তাহা ভাল; খাদ্য বিশেষ অবলম্বন করা ভাল নয়, তদাচারীদের কোন সুফল দর্শে নাই।
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
হাস্যের নিমিত্ত ভোজ প্রস্তুত করা হয়, এবং দ্রাক্ষারস জীবন আনন্দযুক্ত করে, আর রৌপ্য সকলই যোগায়।