আল্লাহর বাণীতেই ভাষার উৎপত্তির কথা লেখা আছে, সেটা তো জানোই। আর ভাবো, তাঁর এই বাণী কত কত ভাষায় অনুবাদ হয়েছে! আমাদের জন্য কত বড় নিয়ামত যে আমরা আমাদের নিজের ভাষাতেই আল্লাহর বাণী পড়তে পারি। যখন কেউ আমাকে বোঝে না, যখন মনে হয় আমি একা, ঠিক তখনই এই বাণী আমার আশ্রয়। ঠিক যেন এক নিরাপদ আশ্রয়। মনে হয়, আল্লাহ আমার ভাষায় কথা বলছেন। তাঁর বাণীতে আমি সান্ত্বনা পাই, উৎসাহ পাই, শিক্ষা পাই। আমার সমস্যার সমাধানও পাই। এই পবিত্র গ্রন্থ আমাদের জীবন যাপনের পথ দেখায়। কী করা উচিত, আর কী করা উচিত নয়, সবই এখানে লেখা আছে। আল্লাহ তাঁর অসীম দয়ায় আমাদের এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি, দেশ-বিদেশ যেকোনো জায়গায় থাকি না কেন। এটা কি আমাদের জন্য একটা বিশাল নিয়ামত নয়?
কেননা লিখিত আছে, “প্রভু কহিতেছেন, আমার জীবনের দিব্য, আমার কাছে প্রত্যেক জানু পাতিত হইবে, এবং প্রত্যেক জিহ্বা ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করিবে।”
সমস্ত পৃথিবীতে এক ভাষা ও একরূপ কথা ছিল।
শেমের বংশ-বৃত্তান্ত এই। শেম একশত বৎসর বয়সে, জলপ্লাবনের দুই বৎসর পরে, অর্ফক্ষদের জন্ম দিলেন।
অর্ফক্ষদের জন্ম দিলে পর শেম পাঁচ শত বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
অর্ফক্ষদ পঁয়ত্রিশ বৎসর বয়সে শেলহের জন্ম দিলেন।
শেলহের জন্ম দিলে পর অর্ফক্ষদ চারি শত তিন বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
শেলহ ত্রিশ বৎসর বয়সে এবরের জন্ম দিলেন।
এবরের জন্ম দিলে পর শেলহ চারি শত তিন বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
এবর চৌত্রিশ বৎসর বয়সে পেলগের জন্ম দিলেন।
পেলগের জন্ম দিলে পর এবর চারি শত ত্রিশ বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
পেলগ ত্রিশ বৎসর বয়সে রিয়ূর জন্ম দিলেন।
রিয়ূর জন্ম দিলে পর পেলগ দুই শত নয় বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
পরে লোকেরা পূর্বদিকে ভ্রমণ করিতে করিতে শিনিয়র দেশে এক সমস্থলী পাইয়া সেই স্থানে বসতি করিল;
রিয়ূ বত্রিশ বৎসর বয়সে সরূগের জন্ম দিলেন।
সরূগের জন্ম দিলে পর রিয়ূ দুই শত সাত বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
সরূগ ত্রিশ বৎসর বয়সে নাহোরের জন্ম দিলেন।
নাহোরের জন্ম দিলে পর সরূগ দুই শত বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
নাহোর ঊনত্রিশ বৎসর বয়সে তেরহের জন্ম দিলেন।
তেরহের জন্ম দিলে পর নাহোর একশত ঊনিশ বৎসর জীবিত থাকিয়া আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
তেরহ সত্তর বৎসর বয়সে অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন।
তেরহের বংশ-বৃত্তান্ত এই। তেরহ অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন।
আর হারণ লোটের জন্ম দিলেন। কিন্তু হারণ তাঁহার নিজের পিতা তেরহের সাক্ষাতে আপন জন্মস্থান কল্দীয় দেশের ঊরে প্রাণত্যাগ করিলেন।
অব্রাম ও নাহোর উভয়েই বিবাহ করিলেন; অব্রামের স্ত্রীর নাম সারী ও নাহোরের স্ত্রীর নাম মিল্কা। এই স্ত্রী হারণের কন্যা;
আর পরস্পর কহিল, আইস, আমরা ইষ্টক নির্মাণ করিয়া অগ্নিতে দগ্ধ করি; তাহাতে ইষ্টক তাহাদের প্রস্তর ও মেটিয়া তৈল তাহাদের চুন হইল।
হারণ মিল্কার ও যিষ্কার পিতা। সারী বন্ধ্যা ছিলেন, তাঁহার সন্তান হইল না।
আর তেরহ আপন পুত্র অব্রামকে ও হারণের পুত্র অর্থাৎ আপন পৌত্র লোটকে এবং অব্রামের স্ত্রী সারী নাম্নী পুত্রবধূকে সঙ্গে লইলেন; তাঁহারা একসঙ্গে কনান দেশে যাইবার নিমিত্তে কল্দীয় দেশের ঊর হইতে যাত্রা করিলেন; আর হারণ নগর পর্যন্ত গিয়া তথায় বসতি করিলেন।
পরে তেরহের দুই শত পাঁচ বৎসর বয়স হইলে ঐ হারণে তাঁহার মৃত্যু হইল।
পরে তাহারা বলিল, আইস, আমরা আপনাদের নিমিত্তে এক নগর ও গগনস্পর্শী এক উচ্চগৃহ নির্মাণ করিয়া আপনাদের নাম বিখ্যাত করি, পাছে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন হই।
পরে মনুষ্য-সন্তানেরা যে নগর ও উচ্চগৃহ নির্মাণ করিতেছিল তাহা দেখিতে সদাপ্রভু নামিয়া আসিলেন।
আর সদাপ্রভু কহিলেন, দেখ, তাহারা সকলে এক জাতি ও এক ভাষাবাদী; এখন এই কর্মে প্রবৃত্ত হইল; ইহার পরে যাহা কিছু করিতে সঙ্কল্প করিবে তাহা হইতে নিবারিত হইবে না।
আইস, আমরা নিচে গিয়া সেই স্থানে তাহাদের ভাষার ভেদ জন্মাই, যেন তাহারা একজন অন্য জনের ভাষা বুঝিতে না পারে।
আর সদাপ্রভু তথা হইতে সমস্ত ভূমণ্ডলে তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন, এবং তাহারা নগর পত্তন হইতে নিবৃত্ত হইল।
এই জন্য সেই নগরের নাম বাবিল (ভেদ) থাকিল; কেননা সেই স্থানে সদাপ্রভু সমস্ত পৃথিবীর ভাষার ভেদ জন্মাইয়াছিলেন, এবং সেই স্থান হইতে সদাপ্রভু তাহাদিগকে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলেন।
আর সদাপ্রভু কহিলেন, দেখ, তাহারা সকলে এক জাতি ও এক ভাষাবাদী; এখন এই কর্মে প্রবৃত্ত হইল; ইহার পরে যাহা কিছু করিতে সঙ্কল্প করিবে তাহা হইতে নিবারিত হইবে না।
আইস, আমরা নিচে গিয়া সেই স্থানে তাহাদের ভাষার ভেদ জন্মাই, যেন তাহারা একজন অন্য জনের ভাষা বুঝিতে না পারে।
তিনি যোষেফের মধ্যে এই সাক্ষ্য স্থাপন করিলেন, যখন তিনি মিসর দেশের বিরুদ্ধে বাহির হন; আমি এক বাণী শুনিলাম, যাহা জানিতাম না।
বাক্য নাই, ভাষাও নাই, তাহাদের রব শুনা যায় না।
তাহাদের মানরজ্জু সমস্ত পৃথিবীতে ব্যাপ্ত, তাহাদের বাক্য জগতের সীমা পর্যন্ত ব্যাপ্ত; তাহাদের মধ্যে তিনি সূর্যের নিমিত্ত এক তাম্বু স্থাপন করিয়াছেন।
সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে অতি দূর হইতে, পৃথিবীর প্রান্ত হইতে এক জাতিকে আনিবেন; যেমন ঈগল পক্ষী উড়িয়া আইসে, [সে সেইরূপ আসিবে]; সেই জাতির ভাষা তুমি বুঝিতে পারিবে না।
তুমি আর সেই ক্রুর জাতিকে দেখিতে পাইবে না, সেই জাতিকে, যাহার গভীর ভাষা তুমি জান না, যাহার অস্পষ্ট বাক্য তুমি বুঝিতে পার না।
অতএব, হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা ভাববাণী বলিবার জন্য উদ্যোগী হও, এবং বিশেষ বিশেষ ভাষা কহিতে বারণ করিও না।
যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে আপনাকে গাঁথিয়া তুলে, কিন্তু যে ভাববাণী বলে, সে মণ্ডলীকে গাঁথিয়া তুলে।
কিন্তু সকলই শিষ্ট ও সুনিয়মিতরূপে করা হউক।
আর আমাদিগকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে যখন আমরা বিশেষ বিশেষ বর প্রাপ্ত হইয়াছি, তখন সেই বর যদি ভাববাণী হয়, তবে আইস, বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলি;
তখন ঘোষক উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, ‘হে লোকবৃন্দ, জাতিগণ ও নানা ভাষাবাদিগণ, তোমাদের প্রতি এই আজ্ঞা দত্ত হইতেছে;
যে সময়ে তোমরা শৃঙ্গ, বংশী, বীণা, চতুস্তন্ত্রী, পরিবাদিনী ও মৃদঙ্গ প্রভৃতি সর্বপ্রকার যন্ত্রের বাদ্য শুনিবে, তৎকালে রাজা নবূখদ্নিৎসরের স্থাপিত স্বর্ণময় প্রতিমার সম্মুখে উবুড় হইয়া প্রণাম করিবে।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, অনেকে উপদেশক হইও না; তোমরা জান, অন্য অপেক্ষা আমাদের ভারী বিচার হইবে।
একই মুখ হইতে ধন্যবাদ ও শাপ বাহির হয়। হে আমার ভ্রাতৃগণ, এই সকল এমন হওয়া অনুচিত।
উনুই কি একই ছিদ্র দিয়া মিষ্ট ও তিক্ত দুই প্রকার জল বাহির করে?
হে আমার ভ্রাতৃগণ, ডুমুরগাছে কি জলপাই ফল, অথবা দ্রাক্ষালতায় কি ডুমুর ফল ধরিতে পারে? লোনা জলও মিষ্ট জল দিতে পারে না।
লিখিত কথাটি এই, ‘মিনে মিনে, তকেল, উপারসীন,’ গণিত, গণিত, তুলাতে পরিমিত, ও খণ্ডিত।
ইহার তাৎপর্য এই- ‘গণিত,’ ঈশ্বর আপনার রাজ্যের গণনা করিয়াছেন, তাহা শেষ করিয়াছেন;
‘তুলাতে পরিমিত,’ আপনি তুলাতে পরিমিত হইয়া লঘুরূপে নির্ণীত হইয়াছেন;
‘খণ্ডিত,’ আপনার রাজ্য খণ্ডিত হইয়া মাদীয় ও পারসীকদিগকে দত্ত হইল।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;
আর যাহারা বিশ্বাস করে, এই চিহ্নগুলি তাহাদের অনুবর্তী হইবে; তাহারা আমার নামে ভূত ছাড়াইবে, তাহারা নূতন নূতন ভাষায় কথা কহিবে, তাহারা সর্প তুলিবে,
তাহাতে তাঁহারা সকলে পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন, এবং আত্মা তাঁহাদিগকে যেরূপ বক্তৃতা দান করিলেন, তদনুসারে অন্য অন্য ভাষায় কথা কহিতে লাগিলেন।
আর অনেক কথায় তিনি সাক্ষ্য দিলেন, ও তাহাদিগকে উপদেশ দিয়া কহিলেন, এই কালের কুটিল লোকদের হইতে আপনাদিগকে রক্ষা কর।
তখন যাহারা তাঁহার কথা গ্রাহ্য করিল, তাহারা বাপ্তাইজিত হইল; তাহাতে সেই দিন কমবেশ তিন হাজার লোক তাঁহাদের সহিত সংযুক্ত হইল।
আর তাহারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগিতায়, রুটি ভাঙ্গায় ও প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকিল।
তখন সকলের ভয় উপস্থিত হইল, এবং প্রেরিতগণ কর্তৃক অনেক অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন-কার্য সাধিত হইত।
আর যাহারা বিশ্বাস করিল, তাহারা সকলে একসঙ্গে সমস্তই সাধারণে রাখিত;
আর স্থাবর অস্থাবর সমপত্তি বিক্রয় করিয়া, যাহার যেমন প্রয়োজন, তদনুসারে সকলকে অংশ করিয়া দিত।
আর তাহারা প্রতিদিন একচিত্তে ধর্মধামে নিবিষ্ট থাকিয়া এবং বাটীতে রুটি ভাঙ্গিয়া উল্লাসে ও হৃদয়ের সরলতায় খাদ্য গ্রহণ করিত; তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা করিত, এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হইল।
আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল, প্রভু দিন দিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত সংযুক্ত করিতেন।
ঐ সময়ে যিহূদীরা, আকাশের নিম্নস্থিত সমস্ত জাতি হইতে আগত ভক্ত লোকেরা, যিরূশালেমে বাস করিতেছিল।
আর সেই ধ্বনি হইলে অনেক লোক সমাগত হইল, এবং তাঁহারা হতবুদ্ধি হইয়া পড়িল, কারণ প্রত্যেক জন আপন আপন ভাষায় তাঁহাদিগকে কথা কহিতে শুনিতেছিল।
যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক।
এই স্থানে গ্রীক কি যিহূদী, ছিন্নত্বক্ কি অচ্ছিন্নত্বক্, বর্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলিয়া কিছু হইতে পারে না, কিন্তু খ্রীষ্টই সর্বেসর্বা।
তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজন মতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।
আর পৌল তাহাদের উপরে হস্তার্পণ করিলে পবিত্র আত্মা তাহাদের উপরে আসিলেন, তাহাতে তাহারা নানা ভাষায় কথা কহিতে এবং ভাববাণী বলিতে লাগিল।
আর একজনকে পরাক্রম-কার্য-সাধক গুণ, আর একজনকে ভাববাণী, আর একজনকে আত্মাদিগকে চিনিয়া লইবার শক্তি, আর একজনকে নানাবিধ ভাষা কহিবার শক্তি, এবং আর একজনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার অর্থ করিবার শক্তি দত্ত হয়;
হে ঈশ্বর-ভীত লোক সকলে, তোমরা আসিয়া শ্রবণ কর; আমার প্রাণের জন্য তিনি যাহা করিয়াছেন, তাহার বর্ণনা করি।
আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমতঃ প্রেরিতগণকে, দ্বিতীয়তঃ ভাববাদিগণকে, তৃতীয়তঃ উপদেশকগণকে স্থাপন করিয়াছেন; তৎপরে নানাবিধ পরাক্রমকার্য, তৎপরে আরোগ্যসাধক অনুগ্রহ-দান, উপকার, শাসনপদ, নানাবিধ ভাষা [দিয়াছেন]।
যদি আমি মনুষ্যদের, এবং দূতগণেরও ভাষা বলি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি শব্দকারক পিত্তল ও ঝম্ঝম্কারী করতাল হইয়া পড়িয়াছি।
কেননা যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে মানুষের কাছে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে বলে; কারণ কেহ তাহা বুঝে না, বরং সে আত্মায় নিগূঢ়তত্ত্ব বলে।
এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
আমি ইচ্ছা করি, যেন তোমরা সকলে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলিতে পার, কিন্তু অধিক ইচ্ছা করি, যেন ভাববাণী বলিতে পার; কেননা যে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, মণ্ডলীকে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সে যদি অর্থ বুঝাইয়া না দেয়, তবে ভাববাণী-প্রচারক তাহা হইতে মহান।
হয় ত জগতে এত প্রকার রব আছে, আর রববিহীন কিছুই নাই।
ভাল, আমি যদি রব বিশেষের অর্থ না জানি, তবে যে জন বলে, তাহার পক্ষে আমি বর্বর হইব, এবং আমার পক্ষে সেই বক্তা বর্বর।
যদি কেহ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলিতেছে; যদি পরিচর্যা করে, সে ঈশ্বর-দত্ত শক্তি অনুসারে করুক; যেন সর্ববিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ঈশ্বর গৌরবান্বিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই। আমেন।
ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি, তোমাদের সকলের অপেক্ষা আমি অধিক ভাষায় কথা বলিয়া থাকি;
কিন্তু মণ্ডলীর মধ্যে, বিশেষ ভাষায় দশ সহস্র কথা অপেক্ষা, বরং বুদ্ধি দ্বারা পাঁচটি কথা কহিতে চাই, যেন অন্য লোকদিগকেও শিক্ষা দিতে পারি।
তখন পিতর তাহাদিগকে কহিলেন, মন ফিরাও, এবং তোমরা প্রত্যেক জন তোমাদের পাপমোচনের নিমিত্ত যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তাইজিত হও; তাহা হইলে পবিত্র আত্মারূপ দান প্রাপ্ত হইবে।
কারণ এই প্রতিজ্ঞা তোমাদের জন্য ও তোমাদের সন্তানগণের জন্য এবং দূরবর্তী সকলের জন্য যত লোককে আমাদের ঈশ্বর প্রভু ডাকিয়া আনিবেন।
কেননা ফল দ্বারাই গাছ চেনা যায়। হে সর্পের বংশেরা, তোমরা মন্দ হইয়া কেমন করিয়া ভাল কথা কহিতে পার? কেননা হৃদয় হইতে যাহা ছাপিয়া উঠে, মুখ তাহাই বলে।
ভাল মানুষ ভাল ভাণ্ডার হইতে ভাল দ্রব্য বাহির করে, এবং মন্দ মানুষ মন্দ ভাণ্ডার হইতে মন্দ দ্রব্য বাহির করে।
আর আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যেরা যত অনর্থক কথা বলে, বিচার-দিনে সেই সকলের হিসাব দিতে হইবে।
কারণ তোমার বাক্য দ্বারা তুমি নির্দোষ বলিয়া গণিত হইবে, আর তোমার বাক্য দ্বারাই তুমি দোষী বলিয়া গণিত হইবে।
ব্যবস্থায় লেখা আছে, “আমি পরভাষীদের দ্বারা এবং পরদেশীদের ওষ্ঠ দ্বারা এই জাতির কাছে কথা কহিব, কিন্তু তাহা করিলেও তাহারা আমার কথা শুনিবে না, ইহা প্রভু বলেন।”
অতএব সেই বিশেষ বিশেষ ভাষা বিশ্বাসীদের নিমিত্ত নয়, বরং অবিশ্বাসীদেরই নিমিত্ত চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভাববাণী অবিশ্বাসীদের নিমিত্ত নয়, বরং বিশ্বাসীদেরই নিমিত্ত।
ভ্রাতৃগণ, তবে দাঁড়াইল কি? তোমরা যখন সমবেত হও, তখন কাহারও গীত থাকে, কাহারও উপদেশ থাকে, কাহারও প্রত্যাদেশ থাকে, কাহারও বিশেষ ভাষা থাকে, কাহারও অর্থ ব্যাখ্যা থাকে, সকলই গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত হউক।
যদি কেহ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, তবে দুই জন, কিম্বা অধিক হইলে তিন জন বলুক, পালানুক্রমেই বলুক, আর একজন অর্থ বুঝাইয়া দিউক।
কিন্তু অর্থকারক না থাকিলে সেই ব্যক্তি মণ্ডলীতে নীরব হইয়া থাকুক, কেবল আপনার ও ঈশ্বরের উদ্দেশে কথা বলুক।
ইহার পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক, তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না; তাহারা সিংহাসনের সম্মুখে ও মেষ শাবকের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; তাহারা শুক্লবস্ত্র পরিহিত, ও তাহাদের হস্তে খর্জুর-পত্র;
পরে তাঁহারা আমাকে কহিলেন, অনেক প্রজাবৃন্দের ও জাতির ও ভাষার ও রাজার বিষয়ে তোমাকে আবার ভাববাণী বলিতে হইবে।
তাহারা সর্পের ন্যায় স্ব স্ব জিহ্বা তীক্ষ্ণ করিয়াছে, তাহাদের ওষ্ঠাধরের নিম্নভাগে কালসর্পের বিষ থাকে। [সেলা]
পরে আমি আর এক দূতকে দেখিলাম, তিনি আকাশের মধ্যপথে উড়িতেছেন, তাঁহার কাছে অনন্তকালীন সুসমাচার আছে, যেন তিনি পৃথিবী-নিবাসীদিগকে, প্রত্যেক জাতি ও বংশ ও ভাষা ও প্রজাবৃন্দকে, সুসমাচার জানান;
কেননা লোকে আমার বিরুদ্ধে দুষ্টতার মুখ ও ছলের মুখ খুলিয়াছে; তাহারা মিথ্যাবাদী জিহ্বা দ্বারা আমার সহিত কথা কহিয়াছে।
তোমাদের বাক্য সর্বদা অনুগ্রহযুক্ত হউক, লবণে আস্বাদযুক্ত হউক, কাহাকে কেমন উত্তর দিতে হয়, তাহা যেন তোমরা জানিতে পার।
পরে প্রভুর এক দূত ফিলিপকে এই কথা কহিলেন, উঠ, দক্ষিণ দিকে, যে পথ যিরূশালেম হইতে ঘসার দিকে নামিয়া গিয়াছে, সেই পথে যাও; সেই স্থান প্রান্তর।
তাহাতে তিনি উঠিয়া গমন করিলেন। আর দেখ, ইথিয়পিয়া দেশের এক ব্যক্তি, ইথিয়পীয়দের কান্দাকি রাণীর অধীন উচ্চপদস্থ একজন নপুংসক, যিনি রাণীর সমস্ত ধনকোষের অধ্যক্ষ ছিলেন, তিনি ভজনা করিবার জন্য যিরূশালেমে আসিয়াছিলেন;
পরে ফিরিয়া যাইতেছিলেন, এবং আপন রথে বসিয়া যিশাইয় ভাববাদীর গ্রন্থ পাঠ করিতেছিলেন।
তখন আত্মা ফিলিপকে কহিলেন, নিকটে যাও, ঐ রথের সঙ্গ ধর।
কিন্তু শৌল মণ্ডলীর উচ্ছেদ সাধন করিতে লাগিলেন, ঘরে ঘরে প্রবেশ করিয়া পুরুষ ও স্ত্রীলোকদিগকে টানিয়া আনিয়া কারাগারে সমর্পণ করিতে লাগিলেন।
তাহাতে ফিলিপ দৌড়াইয়া নিকটে গিয়া শুনিলেন, তিনি যিশাইয় ভাববাদীর গ্রন্থ পাঠ করিতেছেন; ফিলিপ কহিলেন, আপনি যাহা পাঠ করিতেছেন, তাহা কি বুঝিতে পারিতেছেন?
তিনি কহিলেন, কেহ আমাকে বুঝাইয়া না দিলে কেমন করিয়া বুঝিতে পারিব? পরে তিনি ফিলিপকে আপনার কাছে উঠিয়া বসিতে নিবেদন করিলেন।
শাস্ত্রের যে কথা তিনি পড়িতেছিলেন, তাহা এই, “তিনি হত হইবার জন্য মেষের ন্যায় নীত হইলেন, এবং লোমচ্ছেদকের সম্মুখে মেষশাবক যেমন নীরব থাকে, সেইরূপ তিনি মুখ খুলেন না।
তাঁহার হীনাবস্থায় তাঁহার সম্বন্ধীয় বিচার অপনীত হইল, তাঁহার সমকালীন লোকদের বর্ণনা কে করিতে পারে? যেহেতু তাঁহার জীবন পৃথিবী হইতে অপনীত হইল।”
নপুংসক উত্তর করিয়া ফিলিপকে বলিলেন, নিবেদন করি, ভাববাদী কাহার বিষয় এই কথা কহেন? নিজের বিষয়ে, না অন্য কাহারও বিষয়ে?
তখন ফিলিপ মুখ খুলিয়া শাস্ত্রের সেই বচন হইতে আরম্ভ করিয়া তাঁহার কাছে যীশু-বিষয়ক সুসমাচার প্রচার করিলেন।
পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছিলাম, আমার সেই বাক্য এই, মোশির ব্যবস্থায় ও ভাববাদিগণের গ্রন্থে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে, সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হইবে।
তখন তিনি তাঁহাদের বুদ্ধিদ্বার খুলিয়া দিলেন, যেন তাঁহারা শাস্ত্র বুঝিতে পারেন;
আর তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, এইরূপ লিখিত আছে যে, খ্রীষ্ট দুঃখভোগ করিবেন, এবং তৃতীয় দিনে মৃতগণের মধ্য হইতে উঠিবেন;
আর তাঁহার নামে পাপমোচনার্থক মন পরিবর্তনের কথা সর্বজাতির কাছে প্রচারিত হইবে- যিরূশালেম হইতে আরম্ভ করা হইবে।
তোমরাই এই সকলের সাক্ষী।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;
আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।
আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
আইস, আমরা নিচে গিয়া সেই স্থানে তাহাদের ভাষার ভেদ জন্মাই, যেন তাহারা একজন অন্য জনের ভাষা বুঝিতে না পারে।
এই জন্য সেই নগরের নাম বাবিল (ভেদ) থাকিল; কেননা সেই স্থানে সদাপ্রভু সমস্ত পৃথিবীর ভাষার ভেদ জন্মাইয়াছিলেন, এবং সেই স্থান হইতে সদাপ্রভু তাহাদিগকে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলেন।
বিশেষতঃ রাজবংশের ও প্রধানবর্গের মধ্যে কয়েক জন যুবককে আনয়ন করেন, যাহারা নিষ্কলঙ্ক, সুন্দর ও সমুদয় বিদ্যায় তৎপর, বুদ্ধিতে বিচক্ষণ, জ্ঞানে বিজ্ঞ ও রাজপ্রাসাদে দাঁড়াইবার যোগ্য; আর যেন তিনি তাহাদিগকে কল্দীয়দের গ্রন্থ ও ভাষা শিক্ষা দেন।
প্রভু সদাপ্রভু আমাকে শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা দিয়াছেন, যেন আমি বুঝিতে পারি, কিরূপে ক্লান্ত লোককে বাক্য দ্বারা সুস্থির করিতে হয়; তিনি প্রভাতে প্রভাতে জাগরিত করেন, আমার কর্ণ জাগরিত করেন, যেন আমি শিক্ষাগ্রাহীদের ন্যায় শুনিতে পাই।
এবং তাহাদের সন্তানেরা অর্ধ অস্দোদীয় ভাষায় কথা কহিতেছে, যিহূদীদের ভাষায় কথা কহিতে জানে না, কিন্তু স্ব স্ব জাতির ভাষানুসারে কথা কহে।
সে যদি বলিত, না, তবে তাহারা বলিত, “শিব্বোলেৎ” বল দেখি; সে বলিত, “সিব্বোলেৎ,” কারণ সে শুদ্ধরূপে তাহা উচ্চারণ করিতে পারিত না; তখন তাহারা তাহাকে ধরিয়া লইয়া যর্দনের পার ঘাটে বধ করিত। সেই সময়ে ইফ্রয়িমের বিয়াল্লিশ সহস্র লোক হত হইল।
আর অর্তক্ষস্তের সময়ে বিশ্লম, মিত্রদাৎ, টাবেল ও তাহার অন্য সঙ্গীরা পারস্যের অর্তক্ষস্ত রাজার কাছে এক পত্র লিখিল, তাহা অরামীয় অক্ষরে লিপিবদ্ধ ও অরামীয় ভাষায় বিরচিত হইয়াছিল।
তখন হিল্কিয়ের পুত্র ইলিয়াকিম, শিব্ন ও যোয়াহ রব্শাকিকে কহিলেন, বিনয় করি, আপনার দাসদিগকে অরামীয় ভাষায় বলুন, কেননা আমরা তাহা বুঝিতে পারি; প্রাচীরের উপরিস্থ লোকদের কর্ণগোচরে আমাদের সহিত যিহূদী ভাষায় কথা বলিবেন না।