তোমার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে চাই, আর তা হলো সঙ্গীত। ভেবে দেখো, সঙ্গীত আসলে কার দান? সৃষ্টিকর্তার! তিনিই তো আমাদের এই অসাধারণ প্রতিভা দিয়েছেন সুর তৈরি করার, গান গাওয়ার। তার অসীম সৃজনশীলতার একটা অংশই হলো এই সঙ্গীত।
পবিত্র বাইবেলে¹ দেখো, কত সুন্দরভাবে সঙ্গীত ব্যবহার করা হয়েছে! ঈশ্বরের নামের প্রশংসা করার জন্য, তার মহিমা ঘোষণা করার জন্য, তার সামনে নৃত্য করার জন্য, মনের অশান্তিতে শান্তি পাওয়ার জন্য, শত্রুর পরাজয় আর বিজয় উদযাপন করার জন্য! অনেক গীতসংহিতা² আসলে গান হিসেবেই লেখা হয়েছিল। কিছু গান আবার ঐতিহাসিক ঘটনার সাথেও জড়িত, যেমন শত্রুর উপর বিজয়। কিছু গানে আবার ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, কিছুতে আবার সাহায্য ও পথনির্দেশনার আকুতি। এমনকি যীশুর জন্মের সময় ফেরেশতারাও গান গেয়েছিলেন।³
দুঃখের বিষয় হলো, শয়তান সঙ্গীতের পবিত্রতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করে। অসৎ পথে প্রলুব্ধ করার জন্য সঙ্গীতকে ব্যবহার করে। ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো সঙ্গীতের মূল উদ্দেশ্য স্মরণ রাখা এবং একে পৃথিবীর মন্দ প্রভাব থেকে রক্ষা করা। কারণ, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কি মন্দ হতে পারে?
¹ বাইবেল
² গীতসংহিতা (যাত্রাপুস্তক ১৫.১-১৮; বিচারকর্ত্তৃগণ ৫.১-৩১)
³ (লূক ২:১৩-১৪)
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন। সর্বদা সর্ববিষয়ের নিমিত্ত আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর;
তখন মোশি ও ইস্রায়েল-সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই গীত গান করিলেন; তাঁহারা বলিলেন, আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; কেননা তিনি মহিমান্বিত হইলেন, তিনি অশ্ব ও তদারোহীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলেন।তুমি নিজ বায়ু দ্বারা ফুঁ দিলে, সমুদ্র তাহাদিগকে আচ্ছাদন করিল; তাহারা প্রবল জলে সীসাবৎ তলাইয়া গেল।হে সদাপ্রভু, দেবগণের মধ্যে কে তোমার তুল্য? কে তোমার ন্যায় পবিত্রতায় আদরণীয়, প্রশংসায় ভয়ার্হ, আশ্চর্য ক্রিয়াকারী?তুমি আপন দক্ষিণ হস্ত বিস্তার করিলে, পৃথিবী উহাদিগকে গ্রাস করিল।তুমি যে লোকদিগকে মুক্ত করিয়াছ, তাহাদিগকে নিজ দয়াতে চালাইতেছ, তুমি নিজ পরাক্রমে তাহাদিগকে তোমার পবিত্র নিবাসে লইয়া যাইতেছ।জাতি সকল ইহা শুনিল, কম্পান্বিত হইল, পলেষ্টীয়া-বাসিগণ ব্যথাগ্রস্ত হইয়া পড়িল।তখন ইদোমের দলপতিগণ বিহ্বল হইল; মোয়াবের নেতৃবর্গ কমপগ্রস্ত হইল; কনান-নিবাসী সকলে গলিয়া গেল।ত্রাস ও আশংকা তাহাদের উপরে পড়িতেছে; তোমার বাহুবলে তাহারা প্রস্তরবৎ স্তব্ধ হইয়া আছে; যাবৎ, হে সদাপ্রভু, তোমার প্রজাগণ উত্তীর্ণ না হয়, যাবৎ তোমার ক্রীত প্রজাগণ উত্তীর্ণ না হয়।তুমি তাহাদিগকে লইয়া যাইবে, আপন অধিকার-পর্বতে রোপণ করিবে, হে সদাপ্রভু, তথায় তুমি আপন নিবাসার্থ স্থান প্রস্তুত করিয়াছ; হে প্রভু, তথায় তোমার হস্ত ধর্মধাম স্থাপন করিয়াছে।সদাপ্রভু যুগে যুগে অনন্তকাল রাজত্ব করিবেন।কেননা ফরৌণের অশ্বগণ তাঁহার রথ সকল ও অশ্বারোহীগণ সহ সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করিল, আর সদাপ্রভু সমুদ্রের জল তাহাদের উপরে ফিরাইয়া আনিলেন; কিন্তু ইস্রায়েল-সন্তানেরা শুষ্ক পথে সমুদ্রের মধ্য দিয়া গমন করিল।সদাপ্রভু আমার বল ও গান, তিনি আমার পরিত্রাণ হইলেন; এই আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহার প্রশংসা করিব; আমার পৈতৃক ঈশ্বর, আমি তাঁহার প্রতিষ্ঠা করিব।
আইস, আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আনন্দগান করি, আমাদের ত্রাণ-শৈলের উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত আমি সেই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলাম, আমি বলিয়াছিলাম, ইহারা ভ্রান্তচিত্ত লোক; ইহারা আমার পথ জ্ঞাত হইল না।অতএব আমি আপন ক্রোধে শপথ করিলাম, ইহারা আমার বিশ্রামস্থানে প্রবেশ করিবে না।আমরা স্তবসহ তাঁহার সম্মুখে গমন করি, সঙ্গীত দ্বারা তাঁহার উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।
আমার হৃদয়ে শুভকথা উথলিয়া উঠিতেছে; আমি রাজার বিষয়ে আপন রচনা বিবৃত করিব; আমার জিহ্বা দ্রুত লেখকের লেখনীস্বরূপ।
রাজগণ, শ্রবণ কর; নৃপতিগণ, কর্ণ দেও; আমি, আমিই সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত করিব,
তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।
পরে ঈশ্বর হইতে সেই আত্মা যখন শৌলের কাছে আসিত, তখন দায়ূদ বীণা লইয়া আপন হস্তে বাজাইতেন; তাহাতে শৌল সুস্থির হইতেন, উপশম পাইতেন, এবং সেই দুষ্ট আত্মা তাঁহাকে ছাড়িয়া যাইত।
আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; আমি যতকাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
আর দায়ূদ ও সমস্ত ইস্রায়েল সমস্ত শক্তিতে ঈশ্বরের সম্মুখে গীত সহকারে বীণা, নেবল, তবল, করতাল ও তূরী বাজাইলেন।
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
আর দায়ূদ লেবীয়দের অধ্যক্ষদিগকে কহিলেন, তোমরা উচ্চৈঃস্বরে আনন্দ ধ্বনি করণার্থে আপনাদের গায়ক ভ্রাতৃগণকে বাদ্যযন্ত্র সহকারে, নেবল, বীণা ও করতাল সহকারে নিযুক্ত কর।
তোমরা বীণাতে সদাপ্রভুর স্তব কর, দশতন্ত্রী নেবলে তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও।আমাদের প্রাণ সদাপ্রভুর অপেক্ষায় রহিয়াছে; তিনিই আমাদের সহায় ও আমাদের ঢাল।হাঁ, আমাদের চিত্ত তাঁহাতেই আনন্দ করিবে, কেননা আমরা তাঁহার পবিত্র নামে বিশ্বাস করিয়াছি।সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাদের উপরে বর্তুক, কেননা আমরা তোমার অপেক্ষা করিয়াছি।তাঁহার উদ্দেশে নূতন গীত গাও, জয়ধ্বনিসহ মনোহর বাদ্য কর।
আর চারি সহস্র লোক দ্বারপাল; এবং দায়ূদ প্রশংসার্থে যে সকল বাদ্যযন্ত্র নির্মাণ করেন, তাহা দ্বারা চারি সহস্র লোক সদাপ্রভুর প্রশংসা করিত।
সমস্ত ভুবন! সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, দিন দিন তাঁহার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।প্রচার কর জাতিগণের মধ্যে তাঁহার গৌরব, সমস্ত লোক-সমাজে তাঁহার আশ্চর্য কর্ম সকল।কেননা সদাপ্রভু মহান ও অতি কীর্তনীয়, তিনি সমস্ত দেবতা অপেক্ষা ভয়ার্হ।
আর যিরূশালেমের প্রাচীর প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে লোকেরা লেবীয়দের সকল স্থানে [গিয়া] যিরূশালেমে আনিবার জন্য তাহাদের অন্বেষণ করিল, যেন করতাল, নেবল ও বীণাবাদ্য সহকারে স্তব ও গান করিয়া আনন্দ সহকারে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সেই তূরীবাদকেরা ও গায়কেরা সকলে একরবে সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিবার জন্য এক ব্যক্তির ন্যায় উপস্থিত ছিল; এবং যখন তাহারা তূরী ও করতালাদি বাদ্যের সহিত মহাশব্দ করিয়া ‘তিনি মঙ্গলময়, হাঁ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী,’ এই কথা বলিয়া সদাপ্রভুর প্রশংসা করিল, তৎকালে গৃহ, সদাপ্রভুর গৃহ মেঘে এমন পরিপূর্ণ হইল যে,
সদাপ্রভু আমার পরিত্রাণ করিতে [সম্মত]; অতএব আমার সঙ্গীত-মালা আমার তারযুক্ত যন্ত্রে গান করিব, যত দিন জীবিত থাকি, সদাপ্রভুর গৃহে গাহিব।
পরে হিষ্কিয় রাজা ও অধ্যক্ষগণ দায়ূদের ও আসফ দর্শকের বাক্য দ্বারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা-গীত গান করিতে লেবীয়দিগকে আজ্ঞা করিলেন। আর তাহারা আনন্দপূর্বক প্রশংসা-গীত গান করিল, এবং মস্তক নমন করিয়া প্রণিপাত করিল।
আর সেই লোকেরা বিশ্বস্তরূপে কার্য করিল, এবং মরারি-সন্তানদের মধ্যে দুই জন লেবীয়, অর্থাৎ যহৎ ও ওবদিয়, তাহাদের তত্ত্বাবধায়ক ছিল, এবং কহাৎ-সন্তানদের মধ্যে সখরিয় ও মশুল্লম, এবং অন্য লেবীয়দের মধ্যে বাদ্য বাদনে নিপুণ লোকেরা কর্ম চালাইবার জন্য নিযুক্ত ছিল।
তাহারা সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিয়া পালানুসারে এই গান করিল; “তিনি মঙ্গলময়, ইস্রায়েলের প্রতি তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী”। আর সদাপ্রভুর গৃহের ভিত্তিমূল স্থাপনের সময়ে সদাপ্রভুর প্রশংসা করিতে করিতে সমস্ত লোক উচ্চৈঃস্বরে জয়ধ্বনি করিল।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সাধুগণের সমাজে তাঁহার প্রশংসা গাও।
হে ঈশ্বর, আমার চিত্ত সুস্থির; আমি গান করিব, আমার গৌরব সহ স্তব করিব।কে আমাকে ঐ দৃঢ় নগরে লইয়া যাইবে? কে ইদোম পর্যন্ত আমাকে পথ দেখাইয়া দিবে?হে ঈশ্বর, তুমি কি আমাদিগকে ত্যাগ কর নাই? হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের বাহিনিগণ সহ গমন কর না।বিপক্ষের প্রতিকূলে আমাদের সাহায্য কর; কেননা মনুষ্যের সাহায্য অলীক।ঈশ্বরের দ্বারা আমরা বীরের কর্ম করিব; তিনিই আমাদের বিপক্ষদিগকে মর্দন করিবেন।জাগ্রত হও, নেবল ও বীণা; আমি ঊষাকে জাগাইব।সদাপ্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, আমি লোকবৃন্দের মধ্যে তোমার প্রশংসা গাহিব।
ধার্মিকগণ সদাপ্রভুতে আনন্দ ধ্বনি কর; প্রশংসা করা সরল লোকদের উপযুক্ত।সদাপ্রভু জাতিগণের মন্ত্রণা ব্যর্থ করেন, তিনি লোকবৃন্দের সঙ্কল্প সকল বিফল করেন।সদাপ্রভুর মন্ত্রণা চিরকাল স্থির থাকে, তাঁহার চিত্তের সঙ্কল্প পুরুষানুক্রমে স্থায়ী।ধন্য সেই জাতি, যাহার ঈশ্বর সদাপ্রভু, সেই লোকসমাজ, যাহাকে তিনি নিজ অধিকারার্থে মনোনীত করিয়াছেন।সদাপ্রভু স্বর্গ হইতে দৃষ্টিপাত করেন, তিনি সমুদয় মনুষ্য-সন্তানকে নিরীক্ষণ করেন।তিনি আপন বাসস্থান হইতে দৃষ্টিপাত করেন পৃথিবীর সমস্ত নিবাসীর উপরে।তিনি একে একে তাহাদের হৃদয় গঠন করেন, তিনি তাহাদের সমস্ত কার্যালোচনা করেন।কোন রাজা মহাসৈন্য দ্বারা ত্রাণ পায় না; বীর মহাশক্তি দ্বারা নিস্তার পায় না;ত্রাণের জন্য অশ্ব মিথ্যা, সে আপন মহাশক্তিতে রক্ষা করিতে পারে না।দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,মৃত্যু হইতে তাহাদের প্রাণ রক্ষা করিবার জন্য, দুর্ভিক্ষে তাহাদিগকে বাঁচাইয়া রাখিবার জন্য।তোমরা বীণাতে সদাপ্রভুর স্তব কর, দশতন্ত্রী নেবলে তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও।আমাদের প্রাণ সদাপ্রভুর অপেক্ষায় রহিয়াছে; তিনিই আমাদের সহায় ও আমাদের ঢাল।হাঁ, আমাদের চিত্ত তাঁহাতেই আনন্দ করিবে, কেননা আমরা তাঁহার পবিত্র নামে বিশ্বাস করিয়াছি।সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাদের উপরে বর্তুক, কেননা আমরা তোমার অপেক্ষা করিয়াছি।তাঁহার উদ্দেশে নূতন গীত গাও, জয়ধ্বনিসহ মনোহর বাদ্য কর।
ভাঙ্গিবার কাল ও গাঁথিবার কাল; রোদন করিবার কাল ও হাস্য করিবার কাল; বিলাপ করিবার কাল ও নৃত্য করিবার কাল;
তিনি আমার মুখে নূতন গীত, আমাদের ঈশ্বরের স্তব দিলেন; অনেকে ইহা দেখিবে, ভীত হইবে, ও সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিবে।
আমি ইহা স্মরণ করিয়া অন্তরে আপন প্রাণ ঢালি, কেননা আমি লোকারণ্যের সহিত যাত্রা করিতাম, তাহাদিগকে ঈশ্বরের গৃহে লইয়া যাইতাম, আনন্দ ও স্তবগানের ধ্বনির সহিত বহুলোক পর্ব পালন করিত।
তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের কীর্তন কর; যিনি মরুভূমি দিয়া বাহনে আসিতেছেন, তাঁহার জন্য রাজপথ বাঁধ; তাঁহার নাম ‘যাঃ’, তাঁহার সাক্ষাতে উল্লাস কর।
তোমরা আমাদের বলস্বরূপ ঈশ্বরের উদ্দেশে আনন্দধ্বনি কর, যাকোবের ঈশ্বরের উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর।আমিই সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমাকে মিসর দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছি, তোমার মুখ খুলিয়া বিস্তার কর, আমি তাহা পূর্ণ করিব।কিন্তু আমার প্রজাগণ আমার রব শুনিল না, ইস্রায়েল আমাকে চাহিল না।তাই আমি তাহাদিগকে তাহাদের হৃদয়ের কঠিনতায় ছাড়িয়া দিলাম; তাহারা আপনাদের মন্ত্রণায় চলিল।আহা, যদি আমার প্রজাগণ আমার কথা শুনে, যদি ইস্রায়েল আমার পথে চলে!তাহা হইলে আমি তাহাদের শত্রুগণকে ত্বরায় দমন করিব, তাহাদের বিপক্ষগণের প্রতিকূলে আপন হস্ত ফিরাইব।সদাপ্রভুর বিদ্বেষিগণ তাঁহার কর্তৃত্ব স্বীকার করিবে; কিন্তু ইহাদের শাস্তি চিরকাল থাকিবে।তিনি ইহাদিগকে সুগোধূম ভোজন করাইবেন; আমি শৈলস্থ মধু দ্বারা তোমাকে তৃপ্ত করিব।’ধর সঙ্গীত, বাজাও ডম্ফ, বাজাও নেবল সহকারে মনোহর বীণা।
সদাপ্রভুর স্তব করা, হে পরাৎপর, তোমার নামের উদ্দেশে সঙ্গীত করা উত্তম;কিন্তু তুমি আমার শৃঙ্গ গবয়ের শৃঙ্গবৎ উন্নত করিয়াছ; আমি নব তৈলে অভিষিক্ত হইয়াছি।আর আমার চক্ষু আমার শত্রুদের দশা নিরীক্ষণ করিয়াছে; আমার কর্ণ আমার বিরোধী দুরাচারগণের দশা শুনিতে পাইয়াছে।ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;তদ্দ্বারা প্রচারিত হইবে যে, সদাপ্রভু সরল; তিনি আমার শৈল, এবং তাঁহাতে অন্যায় নাই।প্রাতঃকালে তোমার দয়া, ও প্রতিরাত্রে তোমার বিশ্বস্ততা প্রচার করা উত্তম,দশতন্ত্রী ও নেবলযন্ত্র সহকারে, গম্ভীর বীণা-ধ্বনি সহকারে।
তাহাতে আমি ঈশ্বরের বেদির কাছে যাইব, আমার পরমানন্দজনক ঈশ্বরের সম্মুখে যাইব; আর হে ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর, আমি বীণাযন্ত্রে তোমার স্তব করিব।
তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও।জাতিগণের মধ্যে বল, সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; জগৎও অটল, তাহা বিচলিত হইবে না; তিনি ন্যায়ে জাতিগণের বিচার করিবেন।আকাশমণ্ডল আনন্দ করুক, পৃথিবী উল্লসিত হউক; সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সকলই গর্জন করুক;ক্ষেত্র ও তথাকার সকলই উল্লসিত হউক; তখন বনের সমস্ত বৃক্ষ আনন্দে গান করিবে;সদাপ্রভুর সাক্ষাতেই করিবে, কেননা তিনি আসিতেছেন, তিনি পৃথিবীর বিচার করিতে আসিতেছেন; তিনি ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, আপন বিশ্বস্ততায় জাতিগণের বিচার করিবেন।সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর, দিন দিন তাঁহার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর; উচ্চধ্বনি কর, আনন্দগান কর, প্রশংসা গাও।গান কর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বীণা সহকারে, বীণা সহকারে ও গানের রবে।তূরী ও ভেরিবাদ্য সহকারে রাজা সদাপ্রভুর সম্মুখে জয়ধ্বনি কর।
সেই তূরীবাদকেরা ও গায়কেরা সকলে একরবে সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিবার জন্য এক ব্যক্তির ন্যায় উপস্থিত ছিল; এবং যখন তাহারা তূরী ও করতালাদি বাদ্যের সহিত মহাশব্দ করিয়া ‘তিনি মঙ্গলময়, হাঁ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী,’ এই কথা বলিয়া সদাপ্রভুর প্রশংসা করিল, তৎকালে গৃহ, সদাপ্রভুর গৃহ মেঘে এমন পরিপূর্ণ হইল যে,মেঘ প্রযুক্ত যাজকেরা পরিচর্যা করিবার জন্য দাঁড়াইতে পারিল না; কেননা ঈশ্বরের গৃহ সদাপ্রভুর প্রতাপে পরিপূর্ণ হইয়াছিল।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর;সানন্দে সদাপ্রভুর সেবা কর; আনন্দগানসহ তাঁহার সম্মুখে আইস।
তুমি আমার বিলাপ নৃত্যে পরিণত করিয়াছ; তুমি আমার চট খুলিয়া আমাকে আনন্দ পটুকায় বদ্ধকটি করিয়াছ,যেন আমার গৌরব তোমার প্রশংসা গান করে, নীরব না থাকে। সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি চিরকাল তোমার স্তব করিব।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।সদাপ্রভু অনন্তকাল রাজত্ব করিবেন; তোমার ঈশ্বর, হে সিয়োন, পুরুষানুক্রমে করিবেন। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর প্রশংসা করিব; আমি যত কাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সাধুগণের সমাজে তাঁহার প্রশংসা গাও।ইস্রায়েল আপন নির্মাণকর্তাতে আনন্দ করুক, সিয়োন-সন্তানগণ আপনাদের রাজাতে উল্লসিত হউক।তাহারা নৃত্যযোগে তাঁহার নামের প্রশংসা করুক, তবল ও বীণাযোগে তাঁহার প্রশংসা গান করুক।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার শক্তির বিতানে তাঁহার প্রশংসা কর।তাঁহার পরাক্রম-কার্য সকলের জন্য তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার মহিমার বাহুল্যানুসারে তাঁহার প্রশংসা কর।তূরীধ্বনি-সহ তাঁহার প্রশংসা কর; নেবল ও বীণাযন্ত্রে তাঁহার প্রশংসা কর।তবল ও নৃত্যযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; তারযুক্ত যন্ত্রে ও বংশীতে তাঁহার প্রশংসা কর;সুশ্রাব্য করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; উচ্চধ্বনি করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর।শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, ‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;
সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত কর; কেননা তিনি মহিমার কর্ম করিয়াছেন; তাহা সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞানগোচর হউক।
আর সদাপ্রভুর নিস্তারিত লোকেরা ফিরিয়া আসিবে, আনন্দগান পূর্বক সিয়োনে আসিবে, এবং তাহাদের মস্তকে নিত্যস্থায়ী হর্ষমুকুট থাকিবে; তাহারা আমোদ ও আনন্দ প্রাপ্ত হইবে, এবং খেদ ও আর্তস্বর দূরে পলায়ন করিবে।
বস্তুতঃ সদাপ্রভু সিয়োনকে সান্ত্বনা করিয়াছেন, তিনি তাহার সমস্ত উৎসন্ন স্থানকে সান্ত্বনা করিয়াছেন, এবং তাহার প্রান্তরকে এদনের ন্যায়, ও তাহার শুষ্ক ভূমিকে সদাপ্রভুর উদ্যানের ন্যায় করিয়াছেন; তাহার মধ্যে আমোদ ও আনন্দ, স্তবগান ও সঙ্গীতের ধ্বনি পাওয়া যাইবে।
তোমার প্রহরিগণের রব! তাহারা উচ্চধ্বনি করিতেছে, তাহারা একসঙ্গে আনন্দগান করিতেছে, কেননা সদাপ্রভু যখন সিয়োনে ফিরিয়া আইসেন, তখন তাহারা প্রত্যক্ষ দেখিবে।হে যিরূশালেমের উৎসন্ন স্থান সকল, উচ্চরব কর, একসঙ্গে আনন্দগান কর, কেননা সদাপ্রভু আপন প্রজাদিগকে সান্ত্বনা করিয়াছেন, তিনি যিরূশালেমকে মুক্ত করিয়াছেন।
তাহারা আসিয়া উচ্চ সিয়োনে আনন্দগান করিবে, এবং স্রোতের ন্যায় প্রবাহিত হইয়া সদাপ্রভুর মঙ্গলদানের নিকটে, গমের, দ্রাক্ষারসের, তৈলের, মেষবৎসদের ও গোবৎসদের জন্য আসিবে, এবং তাহাদের প্রাণ সুসিক্ত উদ্যানের ন্যায় হইবে;তাহারা আর অবসন্ন হইবে না। তখন কন্যারা নাচিয়া আনন্দ করিবে, এবং যুবকগণ ও বৃদ্ধেরা একত্র হইয়া আনন্দ করিবে; কারণ আমি তাহাদের শোক আমোদে পরিণত করিব; তাহাদিগকে সান্ত্বনা করিব, ও দুঃখ ঘুচাইয়া আহ্লাদিত করিব।
তাহারা নেবল-যন্ত্রের বাদ্যে বিষম গান করে, দায়ূদের ন্যায় আপনাদের জন্য নানা বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভাবন করে;
তখন তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্ষেত্রে ছিল; পরে সে আসিতে আসিতে যখন বাটীর নিকটে পৌঁছাইল, তখন বাদ্য ও নৃত্যের শব্দ শুনিতে পাইল।
কিন্তু মধ্যরাত্রে পৌল ও সীল প্রার্থনা করিতে করিতে ঈশ্বরের উদ্দেশে স্ত্রোত্রগান করিতেছিলেন, এবং বন্দিগণ তাঁহাদের গান কান পাতিয়া শুনিতেছিল।
এবং পরজাতীয়েরা যেন ঈশ্বরের দয়ার জন্যই তাঁহার গৌরব করে; যেমন লিখিত আছে, “এই জন্য আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার গৌরব স্বীকার করিব, তোমার নামের উদ্দেশে স্তোত্র গান করিব।”
তবে দাঁড়াইল কি? আমি আত্মাতে প্রার্থনা করিব, বুদ্ধিতেও প্রার্থনা করিব; আত্মাতে গান করিব, বুদ্ধিতেও গান করিব।
তিনি বলেন, “আমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে তোমার নাম প্রচার করিব, মণ্ডলীর মধ্যে তোমার প্রশংসা-গান করিব।”
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
তিনি যখন পুস্তকখানি গ্রহণ করেন, তখন ঐ চারি প্রাণী ও চব্বিশ জন প্রাচীন মেষশাবকের সাক্ষাতে প্রণিপাত করিলেন; তাঁহাদের প্রত্যেকের কাছে একটি বীণা ও সুগন্ধি ধূপে পরিপূর্ণ স্বর্ণময় বাটি ছিল; সেই ধূপ পবিত্রগণের প্রার্থনাস্বরূপ।আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, ‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;
পরে স্বর্গ হইতে বহুজলের কল্লোল ও মহামেঘধ্বনির ন্যায় রব শুনিলাম; যে রব শুনিলাম, তাহাতে বোধ হইল, যেন বীণাবাদক দল আপন আপন বীণা বাজাইতেছে;পরে নগরের বাহিরে ঐ কুণ্ডে তাহা দলন করা গেল, তাহাতে কুণ্ড হইতে রক্ত বাহির হইল, এবং অশ্বগণের বল্গা পর্যন্ত উঠিয়া এক সহস্র ছয়শত তীর ব্যাপ্ত হইল।আর তাহারা সিংহাসনের সম্মুখে ও সেই চারি প্রাণীর ও প্রাচীনবর্গের সম্মুখে নূতন একটি গীত গান করে; পৃথিবী হইতে ক্রীত সেই এক লক্ষ চুয়াল্লিশ সহস্র লোক ব্যতিরেকে আর কেহ সেই গীত শিখিতে পারিল না।
আর আমি দেখিলাম, যেন অগ্নিমিশ্রিত কাচময় সমুদ্র; এবং যাহারা সেই পশু ও তাহার প্রতিমা ও তাহার নামের সংখ্যার উপরে বিজয়ী হইয়াছে, তাহারা ঐ কাচময় সমুদ্রের তীরে দাঁড়াইয়া আছে, তাহাদের হস্তে ঈশ্বরের বীণা।আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্!