কারনিভাল তো দুনিয়ার অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু ভেবে দেখেছ কি আমাদের জীবন কিভাবে যাপন করতে বলেছেন ঈশ্বর? বাইবেলে তো স্পষ্ট বলা আছে ঈশ্বরের আদেশ ও নিয়ম মেনে চলতে।
কারনিভালে যে অতিরিক্ত আনন্দ-ফুর্তি, উচ্ছৃঙ্খলতা, আর ইন্দ্রিয়পরায়ণতা দেখি, তা কি সত্যিই আমাদের উচিত? ঈশ্বর তো চান আমরা এই অন্ধকার দুনিয়ায় আলো হয়ে উঠি। এই জীবন তো ক্ষণস্থায়ী, আসল শান্তি আর আনন্দ পাওয়া যায় ঈশ্বরের সাথে গভীর সম্পর্কে। কারনিভালের ছায়াময় আনন্দের চেয়ে ঈশ্বরের কাছে আত্মিক পূর্ণতা খুঁজে পাওয়া কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
কারনিভালে আমাদের আচরণ অন্যদের উপর, বিশেষ করে যারা সহজেই প্রভাবিত হয়, তাদের উপর কি প্রভাব ফেলে তাও ভাবা জরুরি। আমাদের উদাহরণ দেখে তারা কি শিখছে? খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে তাদের ধারণা কি হচ্ছে?
বাইবেলের আলোকে কারনিভাল সম্পর্কে ভাবলে বুঝতে পারি এই উৎসবে আমাদের অংশগ্রহণ কতটা যুক্তিসঙ্গত। আমাদের আচরণ কি বাইবেলের শিক্ষার সাথে মিলছে? আমরা কি সবসময় ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ করছি? আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ঈশ্বরকে সম্মান করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া, যাতে ঈশ্বরের চরিত্র প্রতিফলিত হয়।
আমার প্রাণ তোমাদের অমাবস্যা ও নিরূপিত উৎসব সকল ঘৃণা করে; সেই সকল আমার পক্ষে ক্লেশকর, আমি সেই সকল বহন করিতে করিতে পরিশ্রান্ত হইয়াছি।
যে ব্যক্তি কেবল সদাপ্রভু ব্যতিরেকে কোন দেবতার কাছে বলিদান করে, সে সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হইবে।
অসার নৈবেদ্য আর আনিও না; ধূপদাহ আমার ঘৃণিত; অমাবস্যা, বিশ্রামবার, সভার ঘোষণা- আমি অধর্মযুক্ত পর্বসভা সহিতে পারি না।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি তদ্রূপ করিবে না; কেননা তাহারা আপন আপন দেবগণের উদ্দেশে সদাপ্রভুর ঘৃণিত যাবতীয় কুকার্য করিয়া আসিয়াছে; এমন কি, তাহারা সেই দেবগণের উদ্দেশে আপন আপন পুত্রকন্যাগণকেও অগ্নিতে পোড়ায়।
আর তাহারা আপন আপন পুত্রকন্যাদিগকে অগ্নির মধ্য দিয়া গমন করাইত, এবং মন্ত্র ও মায়াক্রিয়ার ব্যবহার করিত, আর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিবার জন্য আপনাদিগকে বিক্রয় করিয়াছিল, এইরূপে তাঁহাকে অসন্তুষ্ট করিল।
অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ?অথবা তোমরা কি জান না যে, পবিত্রগণ জগতের বিচার করিবেন? আর জগতের বিচার যদি তোমাদের দ্বারা হয়, তবে তোমরা কি যৎসামান্য বিষয়ের বিচার করিবার অযোগ্য?আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর।
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
অতএব আমি এই বলিতেছি, ও প্রভুতে দৃঢ়রূপে আদেশ করিতেছি, তোমরা আর পরজাতীয়দের ন্যায় চলিও না; তাহারা আপন আপন মনের অসার ভাবে চলে;তাহারা চিত্তে অন্ধীভূত, ঈশ্বরের জীবনের বহির্ভূত হইয়াছে, আন্তরিক অজ্ঞানতা প্রযুক্ত, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হইয়াছে।তাহারা অসাড় হইয়া লোভ প্রযুক্ত সর্বপ্রকার অশুচি ক্রিয়া করিবার জন্য আপনাদিগকে স্বৈরিতায় সমর্পণ করিয়াছে।
যেমন পবিত্র মেষপালে, যেমন যিরূশালেমের পর্বসময়ের মেষপালে, তেমনি মনুষ্যপালে এই উচ্ছিন্ন নগর সকল পরিপূর্ণ হইবে; তাহাতে তাহারা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু।
তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?আর বলীয়ালের [পাপদেবের] সহিত খ্রীষ্টের কি ঐক্য? অবিশ্বাসীর সহিত বিশ্বাসীরই বা কি অংশ?আর প্রতিমাদের সহিত ঈশ্বরের মন্দিরেরই বা কি সমপর্ক? আমরাই ত জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির, যেমন ঈশ্বর বলিয়াছেন, “আমি তাহাদের মধ্যে বসতি করিব ও গমনাগমন করিব; এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।”অতএব “তোমরা তাহাদের মধ্য হইতে বাহির হইয়া আইস, ও পৃথক হও, ইহা প্রভু কহিতেছেন, এবং অশুচি বস্তু স্পর্শ করিও না; তাহাতে আমিই তোমাদিগকে প্রহণ করিব,
আবার মাংসের কার্য সকল প্রকাশ আছে; সেইগুলি এই- বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা,দেখ, আমি পৌল তোমাদিগকে কহিতেছি, যদি তোমরা ত্বক্ছেদ পপ্রাপ্ত হও, তবে খ্রীষ্ট হইতে তোমাদের কিছুই লাভ হইবে না।প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কিন্তু যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, সেই পবিত্রতমের ন্যায় আপনারাও সমস্ত আচার ব্যবহারে পবিত্র হও;কেননা লেখা আছে, “তোমরা পবিত্র হইবে, কারণ আমি পবিত্র”।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।এই সকলের কারণ অবাধ্যতার সন্তানগণের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ উপস্থিত হয়।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আশীর্বাদ কর, আশীর্বাদ কর, শাপ দিও না।যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর; যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর।তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
কেননা যাহারা মাংসের বশে আছে, তাহারা মাংসিক বিষয় ভাবে; কিন্তু যাহারা আত্মার বশে আছে, তাহারা আত্মিক বিষয় ভাবে।
ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটূভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দুকদের সভায় বসে না।কিন্তু সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় আমোদ করে, তাঁহার ব্যবস্থা দিবারাত্র ধ্যান করে।
কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সর্বপ্রকার অশুদ্ধতার বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রগণের উপযুক্ত।কেননা আমরা তাঁহার দেহের অঙ্গ।“এই জন্য মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে।”এই নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের উদ্দেশে ও মণ্ডলীর উদ্দেশে ইহা কহিলাম।তথাপি তোমরাও প্রত্যেকে আপন আপন স্ত্রীকে তদ্রূপ আপনার মত প্রেম কর; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।আর কুৎসিত ব্যবহার এবং প্রলাপ কিম্বা শ্লেষোক্তি, এই সকল অনুচিত ব্যবহার যেন না হয়, বরং যেন ধন্যবাদ দেওয়া হয়।কেননা তোমরা নিশ্চয় জানিতেছ, বেশ্যাগামী কি অশুদ্ধাচারী কি লোভী- সে ত প্রতিমাপূজক- কেহই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।
ফলতঃ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, তোমাদের পবিত্রতা- যেন তোমরা ব্যভিচার হইতে দূরে থাক,তোমাদের প্রত্যেক জন যেন, যাহারা ঈশ্বরকে জানে না,সেই পরজাতীয়দের ন্যায় কামাভিলাষে নয়, কিন্তু পবিত্রতায় ও সমাদরে নিজ নিজ পাত্র লাভ করিতে জানে।
কেননা পরজাতীয়দের বাসনা সাধন করিয়া, লমপটতা, সুখাভিলাষ, মদ্যপান, রঙ্গরস পানার্থক সভা ও ঘৃণার্হ প্রতিমাপূজারূপ পথে চলিয়া যে কাল অতীত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট।এই বিষয়ে তোমরা উহাদের সঙ্গে একই নষ্টামির পঙ্কের দিকে ধাবমান হইতেছ না দেখিয়া তাহারা আশ্চর্য জ্ঞান করিয়া নিন্দা করে।
এই সকল বিষয় আমাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটিয়াছিল, যেন তাঁহারা যেমন অভিলাষ করিয়াছিলেন, আমরা তেমনি মন্দ বিষয়ের অভিলাষ না করি।আবার যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক হইয়াছিল, তোমরা তেমনি প্রতিমাপূজক হইও না; যথা লিখিত আছে, “লোকেরা ভোজন পান করিতে বসিল, পরে ক্রীড়া করিতে উঠিল।”আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক ব্যভিচার করিয়াছিল, এবং একদিনে তেইশ হাজার লোক মারা পড়িল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।
এই কারণে ঈশ্বর তাহাদিগকে আপন আপন হৃদয়ের নানা অভিলাষে এমন অশুচিতায় সমর্পণ করিলেন যে, তাহাদের দেহ তাহাদের মধ্যে অনাদৃত হইতেছে;কারণ তাহারা মিথ্যার সহিত ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করিয়াছে, এবং সৃষ্ট বস্তুর পূজা ও আরাধনা করিয়াছে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে নয়, যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোজীদের সঙ্গী হইও না;কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্যদশা ঘটে, এবং ঢুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেক্ড়া পরায়।
তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না।আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়।তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
অতএব পাপ তোমাদের মর্ত্যদেহে রাজত্ব্ব না করুক- করিলে তোমরা তাহার অভিলাষ-সমূহের আজ্ঞাবহ হইয়া পড়িবে;আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজন মতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।
অতএব তোমরা সকল অশুচিতা এবং দুষ্টতার উচ্ছ্বাস ফেলিয়া দিয়া, মৃদুভাবে সেই রোপিত বাক্য গ্রহণ কর, যাহা তোমাদের প্রাণের পরিত্রাণ সাধন করিতে পারে।
কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা সমুদয় মনুষ্যের জন্য পরিত্রাণ আনয়ন করে,তাহা আমাদিগকে শাসন করিতেছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ সকল অস্বীকার করিয়া সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্তমান যুগে জীবন যাপন করি,
ফলতঃ কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল; পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেইগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
তুমি কি জান না যে, তোমরা ঈশ্বরের মন্দির, এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বাস করেন?যদি কেহ ঈশ্বরের মন্দির নষ্ট করে, তবে ঈশ্বর তাহাকে নষ্ট করিবেন, কেননা ঈশ্বরের মন্দির পবিত্র, আর সেই মন্দির তোমরাই।
আমি কোন জঘন্য পদার্থ চক্ষের সম্মুখে রাখিব না, আমি বিপথগামীদের ক্রিয়া ঘৃণা করি, তাহা আমাতে লিপ্ত হইবে না।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা খুব সকালে উঠে, যেন সুরার অনুধাবন করিতে পারে; যাহারা অনেক রাত্রি বসিয়া থাকে, যাবৎ না দ্রাক্ষারস তাহাদিগকে উত্তপ্ত করে!
সকলই আমার পক্ষে বিধেয়, কিন্তু সকলই যে হিতজনক, তাহা নয়; সকলই আমার পক্ষে বিধেয়, কিন্তু আমি কিছুরই কর্তৃত্বাধীন হইব না।
রাত্রি প্রায় গেল, দিবস আগত প্রায়; অতএব আইস, আমরা অন্ধকারের ক্রিয়া সকল ত্যাগ করি, এবং দীপ্তির রণসজ্জা পরিধান করি।আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
কারণ যিনি নিজ গৌরবে ও সদ্গুণে আমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তাঁহার তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা তাঁহার ঈশ্বরীয় শক্তি আমাদিগকে জীবন ও ভক্তি সম্বন্ধীয় সমস্ত বিষয় প্রদান করিয়াছে।আর ঐ গৌরবে ও উৎকর্ষে তিনি আমাদিগকে মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞা সকল প্রদান করিয়াছেন, যেন তদ্দ্বারা তোমরা অভিলাষমূলক সংসারব্যাপী ক্ষয় হইতে পলায়ন করিয়া, ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;উঁহারা ত অল্পদিনের নিমিত্ত, উঁহাদের যেমন বিহিত বোধ হইত, তেমনই শাসন করিতেন, কিন্তু ইনি হিতের নিমিত্তই করিতেছেন, যেন আমরা তাঁহার পবিত্রতার ভাগী হই।কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়। সকলের সহিত শান্তির অনুধাবন কর, এবং যাহা ব্যতিরেকে কেহই প্রভুর দর্শন পাইবে না, সেই পবিত্রতার অনুধাবন কর; সাবধান হইয়া দেখ, পাছে কেহ ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হয়;পাছে তিক্ততার কোন মূল অঙ্কুরিত হইয়া তোমাদিগকে উৎপীড়িত করে, এবং ইহাতে অধিকাংশ লোক দূষিত হয়;পাছে কেহ ব্যভিচারী বা ধর্মবিরোধী হয়, যেমন এষৌ, সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল।তোমরা ত জান, তৎপরে যখন সে আশীর্বাদের অধিকারী হইতে বাঞ্ছা করিল, তখন সজল নয়নে সযত্নে তাহার চেষ্টা করিলেও অগ্রাহ্য হইল, কারণ সে মনপরিবর্তনের স্থান পাইল না। কারণ তোমরা সেই স্পৃশ্য ও অগ্নিতে প্রজ্বলিত পর্বত, কৃষ্ণবর্ণ মেঘ, অন্ধকার, ঝড়, তূরীর ধ্বনি ও বাক্যের শব্দ এই সকলের নিকট উপস্থিত হও নাই।সেই শব্দ যাহারা শুনিয়াছিল, তাহারা প্রার্থনা করিয়াছিল, যেন তাহাদের কাছে আর কথা বলা না হয়;বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।
প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলিয়া মাংসিক অভিলাষ সকল হইতে নিবৃত্ত হও, সেইগুলি আত্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
মুখের ভিতরে যাহা যায়, তাহা যে মনুষ্যকে অশুচি করে, এমন নয়, কিন্তু মুখ হইতে যাহা বাহির হয়, তাহাই মনুষ্যকে অশুচি করে।
কাহারও উপরে হস্তার্পণ করিতে সত্বর হইও না, এবং অন্যের পাপের ভাগী হইও না, আপনাকে শুদ্ধ করিয়া রক্ষা কর।
দুর্জনদের পথে প্রবেশ করিও না, দুর্বৃত্তদের পথে চলিও না,তাহা পরিত্যাগ কর, তাহার নিকট দিয়া যাইও না; তাহা হইতে বিমুখ হইয়া অগ্রসর হও।
ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
অতএব আইস, আমরা অন্য সকলের ন্যায় নিদ্রা না যাই, বরং জাগিয়া থাকি ও মিতাচারী হই।কারণ যাহারা নিদ্রা যায়, তাহারা রাত্রিতেই নিদ্রা যায়; এবং যাহারা মদ্যপায়ী, তাহারা রাত্রিতেই মত্ত হয়।কিন্তু আমরা দিবসের বলিয়া আইস, মিতাচারী হই, বিশ্বাস ও প্রেমরূপ বুকপাটা পরি, এবং পরিত্রাণের আশারূপ শিরস্ত্রাণ মস্তকে দিই;
হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।
তোমরা কি জান না যে, দৌড়ের স্থলে যাহারা দৌড়ায়, তাহারা সকলে দৌড়ায়, কিন্তু কেবল একজন পুরস্কার পায়? তোমরা এইরূপে দৌড়াও, যেন পুরস্কার পাও।আর যে কেহ মল্লযুদ্ধ করে, সে সর্ববিষয়ে ইন্দ্রিয়দমন করে। তাহার ক্ষয়ণীয় মুকুট পাইবার জন্য তাহা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাইবার জন্য করি।অতএব আমি এইরূপে দৌড়াইতেছি যে বিনালক্ষ্যে নয়; এইরূপে মুষ্টিযুদ্ধ করিতেছি যে শূন্যে আঘাত করিতেছি না।বরং আমার নিজ দেহকে প্রহার করিয়া দাসত্বে রাখিতেছি, পাছে অন্য লোকদের কাছে প্রচার করিবার পর আমি নিজে কোন ক্রমে অগ্রাহ্য হইয়া পড়ি।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।
সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে;কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।
আমরা বিতর্ক সকল এবং ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত উচ্চ বস্তু ভাঙ্গিয়া ফেলিতেছি, এবং সমুদয় চিন্তাকে বন্দি করিয়া খ্রীষ্টের আজ্ঞাবহ করিতেছি;
অতএব, আইস, আমরা পরস্পর কেহ কাহারও বিচার আর না করি, বরং তোমরা এই বিচার কর যে, ভ্রাতার ব্যাঘাতজনক কি বিঘ্নজনক কিছু রাখা অকর্তব্য।
লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
কেননা এমন সময় আসিবে, যে সময় লোকেরা নিরাময় শিক্ষা সহ্য করিবে না, কিন্তু কানচুল্কানি-বিশিষ্ট হইয়া আপন আপন অভিলাষ অনুসারে আপনাদের জন্য রাশি রাশি গুরু ধরিবে,এবং সত্য হইতে কান ফিরাইয়া গল্পের দিকে বিপথে যাইবে।
তবে কি বলিব? অনুগ্রহের বাহুল্য যেন হয় এই নিমিত্ত কি পাপে থাকিব? তাহা দূরে থাকুক।ফলতঃ তাঁহার যে মৃত্যু হইয়াছে, তদ্দ্বারা তিনি পাপের সম্বন্ধে একবারই মরিলেন; এবং তাঁহার যে জীবন আছে, তদ্দ্বারা তিনি ঈশ্বরের সম্বন্ধে জীবিত আছেন।তদ্রূপ তোমরাও আপনাদিগকে পাপের সম্বন্ধে মৃত, কিন্তু খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের সম্বন্ধে জীবিত বলিয়া গণনা কর।অতএব পাপ তোমাদের মর্ত্যদেহে রাজত্ব্ব না করুক- করিলে তোমরা তাহার অভিলাষ-সমূহের আজ্ঞাবহ হইয়া পড়িবে;আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।কেননা পাপ তোমাদের উপরে আর কর্তৃত্ব করিবে না; কারণ তোমরা ব্যবস্থার অধীন নহ, কিন্তু অনুগ্রহের অধীন।তবে দাঁড়াইল কি? আমরা ব্যবস্থার অধীন নই, অনুগ্রহের অধীন, এই জন্য কি পাপ করিব? তাহা দূরে থাকুক।তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা পালনার্থে যাহার নিকটে দাসরূপে আপনাদিগকে সমর্পণ কর, যাহার আজ্ঞা মান, তোমরা তাহারই দাস; হয় মৃত্যুজনক পাপের দাস, নয় ধার্মিকতাজনক আজ্ঞা পালনের দাস?কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক যে, তোমরা পাপের দাস ছিলে বটে, পরন্তু শিক্ষার যে আদর্শে সমর্পিত হইয়াছ, অন্তঃকরণের সহিত সেই আদর্শের আজ্ঞাবহ হইয়াছ;এবং পাপ হইতে স্বাধীনীকৃত হইয়া তোমরা ধার্মিকতার দাস হইয়াছ।তোমাদের মাংসের দুর্বলতা প্রযুক্ত আমি মানুষের মত কহিতেছি। কারণ, তোমরা যেমন পূর্বে অধর্মের নিমিত্তে আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অশুচিতার ও অধর্মের কাছে দাসরূপে সমর্পণ করিয়াছিলে, তেমনি এখন পবিত্রতার নিমিত্তে আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার কাছে দাসরূপে সমর্পণ কর।আমরা ত পাপের সম্বন্ধে মরিয়াছি, আমরা কি প্রকারে আবার পাপে জীবন যাপন করিব?
আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।
কোন মন্দ বিষয়ে আমার চিত্তকে প্রবৃত্ত হইতে দিও না, আমি যেন অধর্মাচারী লোকদের সহিত দুষ্ক্রিয়ায় ব্যাপৃত না হই, এবং উহাদের সুস্বাদু ভক্ষ্য ভোজন না করি।
কারণ যদি মাংসের বশে জীবন যাপন কর, তবে তোমরা নিশ্চয় মরিবে, কিন্তু যদি আত্মাতে দেহের ক্রিয়া সকল মৃত্যুসাৎ কর, তবে জীবিত থাকিবে।
আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়,কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পাইলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছাপূর্বক পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোন যজ্ঞ অবশিষ্ট থাকে না,
আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।
অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।এক ব্যক্তির বিশ্বাস আছে যে, সর্বপ্রকার দ্রব্যই খাইতে পারে, কিন্তু যে দুর্বল, সে শাক খায়।খাদ্যের নিমিত্ত ঈশ্বরের কর্ম ভাঙ্গিয়া ফেলিও না। সকল বস্তুই শুচি বটে, কিন্তু যে ব্যক্তির যাহা ভোজন করিলে ব্যাঘাত জন্মে, তাহার পক্ষে তাহা মন্দ।মাংস ভক্ষণ বা দ্রাক্ষারস পান, অথবা যাহা কিছুতে তোমার ভ্রাতা ব্যাঘাত কি বিঘ্ন পায়, কি দুর্বল হয়, এমন কিছুই না করা ভাল।
তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করিতে দিও না; কিন্তু বাক্যে, আচার ব্যবহারে, প্রেমে, বিশ্বাসে ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসিগণের আদর্শ হও।
অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা যখন এই সকলের অপেক্ষা করিতেছ, তখন যত্ন কর, যেন তাঁহার কাছে তোমাদিগকে নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ অবস্থায় শান্তিতে দেখিতে পাওয়া যায়!
ধন্য তাহারা, যাহারা আচরণে সিদ্ধ, যাহারা সদাপ্রভুর ব্যবস্থা-পথে চলে।আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি, আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।প্রাচীন লোক হইতেও আমি বুদ্ধিমান, কারণ আমি তোমার নিদেশ সকল পালন করিয়াছি।আমি সমস্ত কুপথ হইতে আমার চরণ নিবৃত্ত করিয়াছি, যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।আমি তোমার শাসনপথ হইতে ফিরি নাই, কারণ তুমিই আমাকে শিক্ষা দিয়াছ।তোমার বচন সকল আমার তালুতে কেমন মিষ্ট লাগে! তাহা আমার মুখে মধু হইতেও মধুর!তোমার নিদেশমালা দ্বারা আমার বুদ্ধিলাভ হয়, তাই আমি সমুদয় মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ, আমার পথের আলোক।আমি শপথ করিয়াছি, স্থির করিয়াছি, তোমার ধর্মময় শাসন সকল পালন করিব।আমি অতিশয় দুঃখার্ত; হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর, ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।আমার প্রাণ নিরন্তর আমার করতলে, তথাপি আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।তোমার বচন আমি হৃদয়মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি, যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।দুষ্টগণ আমার নিমিত্ত ফাঁদ পাতিয়াছে, কিন্তু আমি তোমার নিদেশপথ হইতে বিপথগামী হই না।তোমার সাক্ষ্যকলাপ আমি চিরতরে অধিকার করিয়াছি, কারণ সেই সকল আমার চিত্তের হর্ষজনক।আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিতে মনকে লওয়াইয়াছি, চিরকালের জন্য, শেষ পর্যন্ত।আমি দ্বিমনাদিগকে ঘৃণা করি, কিন্তু তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি।তুমি আমার অন্তরাল ও আমার ঢাল; আমি তোমার বাক্যে প্রত্যাশা রাখি।দুরাচারগণ, আমার নিকট হইতে দূর হও; আমি আপন ঈশ্বরের আজ্ঞা সকল পালন করিব।তোমার বচনানুসারে আমাকে ধারণ কর, তাহাতে বাঁচিব, আমাকে নিজ আশার সম্বন্ধে লজ্জিত হইতে দিও না।আমাকে ধরিয়া রাখ, তাহাতে পরিত্রাণ পাইব, আর তোমার বিধিকলাপ সর্বদা মান্য করিব।তুমি তাহাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করিয়াছ, যাহারা তোমার বিধি-পথ হইতে ভ্রমে চলে; কেননা তাহাদের প্রবঞ্চনা অসার।তুমি পৃথিবীর সমস্ত দুষ্টকে মলবৎ দূর করিয়া থাক, তাই আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ভালবাসি।ধন্য তুমি, হে সদাপ্রভু, আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।আমি ন্যায়বিচার ও ধর্মাচরণ করিয়াছি, আমাকে উপদ্রবীদের হস্তে সমর্পণ করিও না।তুমি মঙ্গলের জন্য নিজ দাসের প্রতিভূ হও, অহঙ্কারীরা আমার প্রতি উপদ্রব না করুক।আমার চক্ষু ক্ষীণ হইতেছে, তোমার পরিত্রাণের জন্য, ও তোমার ধর্মময় বচনের জন্য।তোমার দয়ানুসারে তোমার দাসের সহিত ব্যবহার কর, আর তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দেও, যেন তোমার সাক্ষ্য সকল বুঝিতে পারি।সদাপ্রভুর কার্য করিবার সময় হইল, [কেননা] লোকে তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করিয়াছে।তজ্জন্য আমি তোমার আজ্ঞা সকল ভালবাসি, স্বর্ণ হইতে, নির্মল স্বর্ণ হইতেও ভালবাসি।তজ্জন্য আমি সর্ব বিষয়ে তোমার সমুদয় নিদেশ ন্যায্য জ্ঞান করি, সমস্ত মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।তোমার সাক্ষ্যকলাপ আশ্চর্য, এই জন্য আমার প্রাণ সেই সকল পালন করে।আমি ওষ্ঠাধরে বর্ণনা করিয়াছি তোমার মুখের সমস্ত শাসন।তব বাক্যসমূহের বিকাশ আলোক প্রদান করে, তাহা অমায়িকদিগকে বুদ্ধিমান করে।আমি মুখ খুলিয়া শ্বাস ফেলিতেছিলাম, কেননা তোমার আজ্ঞা সকলের আকাঙ্ক্ষা করিতেছিলাম।আমার প্রতি ফির, ও আমার প্রতি কৃপা কর, যেমন তোমার নামপ্রিয়দের প্রতি করিয়া থাক।তোমার বচনে আমার পাদবিক্ষেপ স্থির রাখ, কোন অধর্ম আমার উপরে কর্তৃত্ব না করুক।মনুষ্যের উপদ্রব হইতে আমাকে মুক্ত কর, তাহাতে আমি তোমার নিদেশমালা পালন করিব।তোমার দাসের প্রতি তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, এবং তোমার বিধি সকল আমাকে শিক্ষা দেও।আমার চক্ষু হইতে জলধারা বহিতেছে, কারণ লোকে তোমার ব্যবস্থা পালন করে না।হে সদাপ্রভু, তুমি ধর্মময় ও তোমার শাসন সকল ন্যায্য।তুমি ধর্মশীলতায়, এবং অতীব বিশ্বস্ততায় তোমার সাক্ষ্যকলাপ আদেশ করিয়াছ।আমার উদ্যোগ আমাকে গ্রাস করিয়াছে, কারণ আমার বিপক্ষগণ তোমার বাক্য সকল ভুলিয়া গিয়াছে।আমি তোমার সাক্ষ্য-পথে আমোদ করিয়াছি, যেমন ধনসমূহে লোকে আমোদ করে।তোমার বচন অতীব পরীক্ষাসিদ্ধ, তাই তোমার দাস তাহা ভালবাসে।আমি ক্ষুদ্র ও অবজ্ঞাত, [কিন্তু] আমি তোমার নিদেশ সকল ভুলিয়া যাই নাই।তোমার ধর্মশীলতা চিরস্থায়ী ধর্মশীলতা, আর তোমার ব্যবস্থা সত্য।সঙ্কট ও দুর্দশা আমাকে পাইয়া বসিয়াছে, [তথাপি] তোমার আজ্ঞা সকল আমার হর্ষজনক।তোমার সাক্ষ্যকলাপ অনন্তকাল ধর্মময়; আমাকে বুদ্ধি দেও, তাহাতে আমি বাঁচিব।আমি সর্বান্তঃকরণে ডাকিয়াছি; হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও, আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব।আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; আমাকে পরিত্রাণ কর, তাহাতে আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিব।আমি প্রভাতের অগ্রেও আর্তনাদ করিলাম, আমি তোমার বাক্যসমূহের অপেক্ষাতে ছিলাম।আমার চক্ষু রাত্রিযামের পূর্বে উন্মীলিত ছিল, যেন তোমার বচন ধ্যান করিতে পারি।তোমার দয়ানুসারে আমার রব শুন; হে সদাপ্রভু, তোমার শাসনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর। আমি তোমার নিদেশমালা ধ্যান করিব, তোমার সকল পথের প্রতি দৃষ্টি রাখিব।কুকর্মের অনুগামীরা নিকটবর্তী; তাহারা তোমার ব্যবস্থা হইতে দূরবর্তী।হে সদাপ্রভু, তুমিই নিকটবর্তী, আর তোমার সমস্ত আজ্ঞা সত্য।আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপের দ্বারা পূর্বাবধি জানি, তুমি চিরতরে সে সমস্ত স্থাপন করিয়াছ।আমার দুঃখ দেখ, আমাকে উদ্ধার কর, কেননা আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।আমার বিবাদ নিষপত্তি কর, আমাকে মুক্ত কর, তোমার বচনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।পরিত্রাণ দুষ্টগণ হইতে দূরবর্তী, কারণ তাহারা তোমার বিধি সকলের অন্বেষণ করে না।হে সদাপ্রভু, তোমার করুণা বহুবিধ; তোমার শাসনকলাপ অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।আমার তাড়নাকারী ও বিপক্ষ অনেক, [তথাপি] আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ হইতে বিপথগামী হই নাই।আমি বিশ্বাসঘাতকদিগকে দেখিয়া ঘৃণা করিলাম, কারণ তাহারা তোমার বচন পালন করে না।দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকল কেমন ভালবাসি। সদাপ্রভু, তোমার দয়ানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।আমি তোমার বিধিকলাপে হর্ষিত হইব, তোমার বাক্য ভুলিয়া যাইব না।তোমার বাক্যের সমষ্টি সত্য, তোমার ধর্মময় প্রত্যেক শাসন চিরস্থায়ী।অধ্যক্ষেরা অকারণে আমাকে তাড়না করিয়াছে, কিন্তু আমার মন তোমার বাক্যসমূহে ভীত হয়।আমি তোমার বচনে আনন্দ করি, যেমন মহালুট পাইলে লোকে করে।আমি মিথ্যাকে দ্বেষ করি, ঘৃণা করি, তোমার ব্যবস্থাই ভালবাসি।আমি দিনে সাত বার তোমার স্তব করি, তোমার ধর্মময় শাসনকলাপের জন্য।যাহারা তোমার ব্যবস্থা ভালবাসে, তাহাদের পরম শান্তি, তাহাদের উছোট লাগে না।সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের প্রত্যাশা করিয়াছি, ও তোমার আজ্ঞা সকল পালন করিয়াছি।আমার প্রাণ তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছে, আমি সেই সকল অতিশয় ভালবাসি।আমি তোমার নিদেশমালা ও সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছি; কারণ আমার সমস্ত পথ তোমার সম্মুখে।সদাপ্রভু, আমার কাকূক্তি তোমার নিকটে উপস্থিত হউক, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে বুদ্ধি দেও।তোমার দাসের মঙ্গল কর, যেন আমি বাঁচি, তাহা হইলে আমি তোমার বাক্য পালন করিব।আমার বিনতি তোমার সম্মুখে উপস্থিত হউক, তোমার বচনানুসারে আমাকে নিস্তার কর।আমার ওষ্ঠাধর প্রশংসা করিবে, কারণ তুমি আমাকে তোমার বিধি সকল শিক্ষা দিতেছ।আমার জিহ্বা তোমার বচন কীর্তন করিবে, যেহেতু তোমার সমস্ত আজ্ঞা ধর্মময়।তোমার হস্ত আমার সহকারী হউক; কেননা আমি তোমার নিদেশমালা মনোনীত করিয়াছি।সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি, এবং তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক।আমার প্রাণ জীবিত থাকুক, সে তোমার প্রশংসা করিবে, আর তোমার শাসনকলাপ আমার সহকারী হউক।আমি হারানো মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; নিজ দাসের অন্বেষণ কর; কেননা আমি তোমার আজ্ঞাকলাপ ভুলিয়া যাই নাই।আমার নয়ন খুলিয়া দেও, যেন আমি দর্শন করি, তোমার ব্যবস্থায় আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয় দেখি।আমি পৃথিবীতে প্রবাসী, আমা হইতে তোমার আজ্ঞা সকল লুকাইও না।ধন্য তাহারা, যাহারা তাঁহার সাক্ষ্যকলাপ পালন করে; যাহারা সর্বান্তঃকরণে তাঁহার অন্বেষণ করে।
দেখিও, দর্শন বিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া না যায়; তাহা মনুষ্যদের পরমপরাগত শিক্ষার অনুরূপ, জগতের অক্ষরমালার অনুরূপ, খ্রীষ্টের অনুরূপ নয়;
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”এইটি মহৎ ও প্রথম আজ্ঞা। আর দ্বিতীয়টি ইহার তুল্য;“তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
আর তিনি সকলকে বলিলেন, কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, তবে সে আপনাকে অস্বীকার করুক, প্রতিদিন আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদ্গামী হউক।
ভ্রাতৃগণ, দেখিও, পাছে অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাহারও মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর হইতে সরিয়া পড়।বরং তোমরা দিন দিন পরস্পর চেতনা দেও, যাবৎ ‘অদ্য’ নামে আখ্যাত সময় থাকে, যেন তোমাদের মধ্যে কেহ পাপের প্রতারণায় কঠিনীভূত না হয়।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;সেই ব্যক্তি উচ্চস্থানে বাস করিবে, শৈলগণের দুরাক্রম স্থান তাহার দুর্গস্বরূপ হইবে; তাহাকে ভক্ষ্য দেওয়া যাইবে, সে নিশ্চয়ই জল পাইবে।
কিন্তু ঈশ্বর যেমন আমাদিগকে পরীক্ষাসিদ্ধ করিয়া আমাদের উপরে সুসমাচারের ভার রাখিয়াছেন, তেমনি কথা কহিতেছি; মনুষ্যকে সন্তুষ্ট করিব বলিয়া নয়, কিন্তু ঈশ্বর, যিনি আমাদের অন্তঃকরণ পরীক্ষা করেন, তাঁহাকে সন্তুষ্ট করিব বলিয়াই কহিতেছি।
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
অতএব তোমরা আপন আপন মনের কটি বাঁধিয়া মিতাচারী হও, এবং যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে যে অনুগ্রহ তোমাদের নিকটে আনীত হইবে, তাহার অপেক্ষাতে সম্পূর্ণ প্রত্যাশা রাখ।
কে সদাপ্রভুর পর্বতে উঠিবে? কে তাঁহার পবিত্র স্থানে দণ্ডায়মান হইবে?যাহার অঞ্জলি নির্দোষ ও অন্তঃকরণ বিমল, যে অলীকতার দিকে প্রাণ উত্তোলন করে নাই, ছলভাবে শপথ করে নাই।
কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে।কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার-ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য, নানাবিধ তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করিয়াছ;আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার প্রতি কি কি ঘটিয়াছিল; কত তাড়না সহ্য করিয়াছি। আর সেই সমস্ত হইতে প্রভু আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন।আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়, প্রচণ্ড, সদ্বিদ্বেষী,বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে।লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে; তুমি এইরূপ লোকদের হইতে সরিয়া যাও।
তোমাদের শ্লাঘা করা ভাল নয়। তোমরা কি জান না যে, অল্প তাড়ী সুজির সমস্ত তাল তাড়ীময় করিয়া ফেলে।পুরাতন তাড়ী বাহির করিয়া দেও; যেন তোমরা নূতন তাল হইতে পার- তোমরা ত তাড়ীশূন্য। কারণ আমাদের নিস্তারপর্বীয় মেষশাবক বলিকৃত হইয়াছেন, তিনি খ্রীষ্ট।অতএব আইস, আমরা পুরাতন তাড়ী দিয়া নয়, হিংসা ও দুষ্টতার তাড়ী দিয়া নয়, কিন্তু সরলতা ও সত্যশীলতার তাড়ীশূন্য রুটি দিয়া পর্বটি পালন করি।
দুষ্ট আপন পথ, অধার্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক; এবং সে সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিয়া আইসুক, তাহাতে তিনি তাহার প্রতি করুণা করিবেন; আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসুক, কেননা তিনি প্রচুররূপে ক্ষমা করিবেন।