13 অর্থহীন সব বলিদান আমার কাছে আর এনো না! তোমাদের ধূপদাহ আমার কাছে ঘৃণ্য মনে হয়। অমাবস্যা, সাব্বাথের দিন ও ধর্মীয় সভাগুলি— আমি তোমাদের এসব মন্দ জমায়েত সহ্য করতে পারি না।
13 বৃথা তোমাদের এই নৈবেদ্য উপহার। তোমাদের জ্বালানো ঐ ধূপের গন্ধ আমার কাছে বিরক্তিকর। তোমাদের নতুন চাঁদের পার্বণ, সাব্বাথদিন ও তোমাদের ধর্মসভা আমার কাছে অসহ্য। তোমাদের পাপে সব কলুষিত হয়েছে।
13 “এই অসার নৈবেদ্য আমি চাই না। আমার উদ্দেশ্যে নিবেদিত ধুপধূনোর প্রজ্জ্বলনকে আমি ঘৃণা করি। অমাবস্যার দিনে, বিশ্রামের দিনে তোমাদের বিশেষ ভোজ বা প্রার্থনা সভাকে আমি সহ্য করতে পারি না। তোমাদের পবিত্র সমাবেশের দিনে পাপ আচারকে আমি মনেপ্রাণে ঘৃণা করি।
যে ব্যক্তি গো হনন করে, সে নরহত্যা করে; যে ব্যক্তি মেষশাবক বলিদান করে, সে কুকুরের গলা ভাঙ্গিয়া ফেলে; যে ব্যক্তি নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, সে শূকরের রক্ত দেয়; যে ব্যক্তি সুগন্ধিধূপ জ্বালায়, সে মিথ্যাদেবের ধন্যবাদ করে; হাঁ, তাহারা আপন আপন পথ মনোনীত করিয়াছে, এবং তাহাদের প্রাণ আপন আপন ঘৃণার্হ বস্তুতে প্রীত হয়;
আঃ। তোমাদেরই মধ্যে একজন যদি কবাট রুদ্ধ করিত, তাহা হইতে তোমরা আমার যজ্ঞবেদির উপরে বৃথা অগ্নি জ্বালিতে না! তোমাদের প্রতি আমার কিছু প্রীতি নাই, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন; এবং তোমাদের হস্ত হইতে আমি নৈবেদ্য গ্রাহ্য করিব না।
পরন্তু হে ইস্রায়েল-কুল, প্রভু সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে এই কথা বলেন, তোমরা যাও, প্রত্যেকে আপন আপন পুত্তলিগণের সেবা কর; কিন্তু উত্তরকালে তোমরা আমার কথায় অবধান করিবেই করিবে; তখন আপন আপন উপহার ও পুত্তলিগণ দ্বারা আমার পবিত্র নাম আর অপবিত্র করিবে না।
কিন্তু হা ফরীশীরা, ধিক্ তোমাদিগকে, কেননা তোমরা পুদিনা, তেজপত্র ও সকল প্রকার শাকের দশমাংশ দান করিয়া থাক, আর ন্যায়বিচার ও ঈশ্বর-প্রেম উপেক্ষা করিয়া থাক; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকল পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
আর প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র সভা হইবে, এবং সপ্তম দিনেও তোমাদের পবিত্র সভা হইবে; সেই দুই দিন প্রত্যেক প্রাণীর খাদ্য আয়োজন ব্যতিরেকে অন্য কোন কর্ম করিবে না, কেবল সেই কর্ম করিতে পারিবে।