তোমার জন্য, ভাবো, গির্জায় সংশোধন কতটা জরুরি। এটা আমাদের পবিত্রতা, ঐক্য আর আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রবচন ৩:১১-১২ পদে বলা হয়েছে, "হে আমার সন্তান, প্রভুর শাস্ত্র অগ্রাহ্য করো না, আর তাঁর অনুযোগে ক্লান্ত হয়ো না; কারণ প্রভু যাকে ভালোবাসেন তাকে শাসন করেন, যেমন একজন পিতা তার প্রিয় পুত্রকে শাসন করেন।" দেখো, সংশোধন আল্লাহ্র ভালোবাসার প্রমাণ। আমাদের চারপাশের মানুষ যখন আমাদের সংশোধন করে, তখন বুঝতে হবে এটাও ভালোবাসারই প্রকাশ।
হয়তো অনেক সময় আমাদের অহংকারের জন্য সংশোধন মেনে নেওয়া কঠিন লাগে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আল্লাহ্র শাসন আর সংশোধন আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য খুবই জরুরি। প্রবচন ১৫:৩২ পদে বলা হয়েছে, "যে সংশোধন অগ্রাহ্য করে সে নিজের ক্ষতি করে, কিন্তু যে তা গ্রহণ করে সে জ্ঞান লাভ করে।" যারা সংশোধন প্রত্যাখ্যান করে, তারা আসলে শিক্ষা, উন্নতি আর জ্ঞান লাভের সুযোগ হারায়।
সংশোধন মানে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং সঠিক পথ দেখানো। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা অসম্পূর্ণ, আর আমাদের উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে। সংশোধনের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভুল-ত্রুটি বুঝতে পারি, আর সেগুলো সংশোধন করে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারি।
এব্যাপারে ইব্রীয় ১২:১১ পদে বলা হয়েছে, "সমস্ত শাসন বর্তমানে আনন্দের বিষয় বলে মনে হয় না, বরং দুঃখের; কিন্তু পরে যারা এর দ্বারা শিক্ষিত হয়েছে, তাদের জন্য এটি ধার্মিকতার শান্তিপূর্ণ ফল বয়ে আনে।" তাই সংশোধনকে একটা কঠিন কিন্তু অস্থায়ী প্রক্রিয়া হিসেবে দেখো। এটা আমাদেরকে একটা সুন্দর আর সুস্থ জীবনের দিকে নিয়ে যাবে।
কেননা প্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাসন করেন, যে কোন পুত্রকে গ্রহণ করেন, তাহাকেই প্রহার করেন।”
তুমি এই সকল কথা বল, এবং সম্পূর্ণ ক্ষমতার সহিত উপদেশ দেও, ও অনুযোগ কর; তোমাকে তুচ্ছ করিতে কাহাকেও দিও না।
বৎস, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না, তাঁহার অনুযোগে ক্লান্ত হইও না;কেননা সদাপ্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাস্তি প্রদান করেন, যেমন পিতা প্রিয় পুত্রের প্রতি করেন।
আর তোমরা সেই আশ্বাস-বাক্য ভুলিয়া গিয়াছ, যাহা পুত্র বলিয়া তোমাদের সহিত কথাবার্তা কহিতেছে, “হে আমার পুত্র, প্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না, তাঁহার দ্বারা অনুযুক্ত হইলে ক্লান্ত হইও না।কেননা প্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাসন করেন, যে কোন পুত্রকে গ্রহণ করেন, তাহাকেই প্রহার করেন।”
তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে কার্যে অনুরক্ত হও, সম্পূর্ণ সহিষ্ণুতা ও শিক্ষাদান-পূর্বক অনুযোগ কর, ভর্ৎসনা কর, চেতনা দেও।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,
হে সদাপ্রভু, আমাকে শাসন কর, কেবল বিচারপূর্বক কর; ক্রোধপূর্বক করিও না, পাছে তুমি আমাকে ক্ষীণ করিয়া ফেল।
কেননা সদাপ্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাস্তি প্রদান করেন, যেমন পিতা প্রিয় পুত্রের প্রতি করেন।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যাহাকে তুমি শাসন কর, হে সদাপ্রভু, যাহাকে তুমি আপন ব্যবস্থা হইতে শিক্ষা দেও,
আর যদি তোমার ভ্রাতা তোমার নিকটে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তোমাতে ও তাহাতে থাক, তখন সেই দোষ তাহাকে বুঝাইয়া দেও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভ্রাতাকে লাভ করিলে।
দেখ, ধন্য সেই ব্যক্তি, যাহাকে ঈশ্বর অনুযোগ করেন, অতএব তুমি সর্বশক্তিমানের দত্ত শাস্তি তুচ্ছ করিও না।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
উঁহারা ত অল্পদিনের নিমিত্ত, উঁহাদের যেমন বিহিত বোধ হইত, তেমনই শাসন করিতেন, কিন্তু ইনি হিতের নিমিত্তই করিতেছেন, যেন আমরা তাঁহার পবিত্রতার ভাগী হই।কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
ধার্মিক লোক আমাকে প্রহার করুক, সেটি দয়া; সে আমাকে অনুযোগ করুক, তাহা মস্তকের তৈল; আমার মস্তক তাহা অগ্রাহ্য না করুক, উহাদের দুষ্টতাসমূহের মধ্যেও আমি প্রার্থনা করিব।
আপনাদের মধ্যে ঐক্য রাখ। আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে বিনয় করিতেছি, যাহারা অনিয়মিতরূপে চলে, তাহাদিগকে চেতনা দেও, ক্ষীণসাহসদিগকে সান্ত্বনা কর, দুর্বলদের সাহায্য কর, সকলের প্রতি দীর্ঘসহিষ্ণু হও।
আর, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝিতেছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমুদয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
নিন্দুককে অনুযোগ করিও না, পাছে সে তোমাকে দ্বেষ করে; জ্ঞানবানকেই অনুযোগ কর, সে তোমাকে প্রেম করিবে।জ্ঞানবানকে [শিক্ষা] দেও, সে আরও জ্ঞানবান হইবে; ধার্মিককে জ্ঞান দেও, তাহার পাণ্ডিত্য বৃদ্ধি পাইবে।
যে শাসন অমান্য করে, সে তাহার প্রাণকে তুচ্ছ করে; কিন্তু যে অনুযোগ শুনে, সে বুদ্ধি উপার্জন করে।
বৎস, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলিও না; তোমার চিত্ত আমার আজ্ঞা সকল পালন করুক।তাহাতে তোমার গোলাঘর সকল বহু শস্যে পূর্ণ হইবে, তোমার কুণ্ডে নূতন দ্রাক্ষারস উথলিয়া পড়িবে।বৎস, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না, তাঁহার অনুযোগে ক্লান্ত হইও না;কেননা সদাপ্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাস্তি প্রদান করেন, যেমন পিতা প্রিয় পুত্রের প্রতি করেন।ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা পায়, সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে;কেননা রৌপ্যের বাণিজ্য অপেক্ষাও তাহার বাণিজ্য উত্তম, সুবর্ণ অপেক্ষাও প্রজ্ঞা-লাভ উত্তম।তাহা মুক্তা হইতেও বহুমূল্য; তোমার অভীষ্ট কোন বস্তু তাহার সমান নয়।তাহার দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘ পরমায়ু, তাহার বাম হস্তে ধন ও সম্মান থাকে।তাহার পথ সকল মনোরঞ্জনের পথ, তাহার সমস্ত মার্গ শান্তিময়।যাহারা তাহাকে ধরিয়া রাখে, তাহাদের কাছে তাহা জীবনবৃক্ষ; যে কেহ তাহা গ্রহণ করে, সে ধন্য।সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারা পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছেন, বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল অটল করিয়াছেন;কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি প্রাপ্ত হইবে।
যে পুত্রকে দণ্ড না দেয়, সে তাহাকে দ্বেষ করে; কিন্তু যে তাহাকে প্রেম করে, সে সযত্নে শাস্তি দেয়।
আর অদ্য জ্ঞাত হও, যেহেতু তোমাদের বালকগণকে বলিতেছি না; তাহারা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কৃত শাস্তি জানে নাই ও দেখে নাই; তাঁহার মহত্ত, তাঁহার বলবান হস্ত, বিস্তারিত বাহু,
আমি যত লোককে ভালবাসি, সেই সকলকে অনুযোগ করি ও শাসন করি; অতএব উদ্যোগী হও, ও মন ফিরাও।
তোমরা আমার অনুযোগে ফির; দেখ, আমি তোমাদের উপরে আমার আত্মা সেচন করিব, আমার কথা তোমাদিগকে জ্ঞাত করিব।’
কিন্তু আমরা যখন প্রভু কর্তৃক বিচারিত হই, তখন শাসিত হই, যেন জগতের সহিত দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত না হই।
বরং প্রকাশ্য অনুযোগ ভাল, তবু গুপ্ত প্রেম ভাল নয়।প্রণয়ীর প্রহার বিশ্বস্ততাযুক্ত, কিন্তু শত্রুর চুম্বন অতিমাত্র।
আর পিতারা, তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও চেতনা প্রদানে তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুল।
তুমি যখন অপরাধ প্রযুক্ত মনুষ্যকে ভর্ৎসনা দ্বারা শাসন কর, তখন কীটের ন্যায় তাহার সৌন্দর্য বিলীন করিয়া থাক; সত্য, প্রত্যেক মনুষ্য অসারমাত্র। [সেলা]
তোমার ভ্রাতা যদি পাপ করে, তাহাকে অনুযোগ করিও; আর সে যদি অনুতাপ করে, তাহাকে ক্ষমা করিও।মনুষ্যপুত্র যে দিন প্রকাশিত হইবেন, সেই দিনেও সেইরূপ হইবে।সেই দিন যে কেহ ছাদের উপরে থাকিবে, আর তাহার জিনিসপত্র ঘরে থাকিবে, সে তাহা লইবার জন্য নিচে না নামুক; আর তদ্রূপ যে কেহ ক্ষেত্রে থাকিবে, সেও পশ্চাতে ফিরিয়া না আইসুক।লোটের স্ত্রীকে স্মরণ করিও।যে কেহ আপন প্রাণ লাভ করিতে চেষ্টা করে, সে তাহা হারাইবে; আর যে কেহ প্রাণ হারায়, সে তাহা বাঁচাইবে।আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, সেই রাত্রিতে দুই জন এক বিছানায় থাকিবে, তাহাদের একজনকে লওয়া যাইবে, এবং অন্য জনকে ছাড়িয়া যাওয়া হইবে।দুই জন স্ত্রীলোক একত্রে যাঁতা পিষিবে; তাহাদের একজনকে লওয়া যাইবে, এবং অন্য জনকে ছাড়িয়া যাওয়া হইবে।তখন তাঁহারা উত্তর করিয়া তাঁহাকে বলিলেন, হে প্রভু, কোথায়?তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, যেখানে শব, সেখানেই শকুন যুটিবে।আর যদি সে এক দিনের মধ্যে সাত বার তোমার বিরুদ্ধে পাপ করে, আর সাত বার তোমার কাছে ফিরিয়া আসিয়া বলে, অনুতাপ করিলাম, তবে তাহাকে ক্ষমা করিও।
বালককে শাসন করিতে ত্রুটি করিও না; তুমি দণ্ড দ্বারা তাহাকে মারিলে সে মরিবে না।তুমি তাহাকে দণ্ড দ্বারা প্রহার করিবে, পাতাল হইতে তাহার প্রাণকে রক্ষা করিবে।
বস্তুতঃ বাহিরের লোকদের বিচারে আমার কাজ কি? ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না?কিন্তু বাহিরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করিবেন। তোমরা আপনাদের মধ্য হইতে সেই দুষ্টকে বাহির করিয়া দেও।
যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধার্মিক, জাতিগণ তাহাকে শাপ দিবে, লোকবৃন্দ তাহাকে ঘৃণা করিবে।কিন্তু যাহারা তাহাকে ধমক্ দেয়, তাহারা প্রীতি-পাত্র হইবে, তাহাদের প্রতি উত্তম আশীর্বাদ বর্তিবে।
শাসনের জন্যই তোমরা সহ্য করিতেছ ; যেমন পুত্রদের প্রতি, তেমনি ঈশ্বর তোমাদের প্রতি ব্যবহার করিতেছেন; কেননা পিতা যাহাকে শাসন না করেন, এমন পুত্র কোথায়?কিন্তু তোমাদের শাসন যদি না হয়- সকলেই ত তাহার ভাগী- তবে ত তোমরা জারজ, পুত্র নও।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
যখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না, কেননা তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, তোমার পাঁচনী ও তোমার যষ্টি আমাকে সান্ত্বনা করে।
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
আর যদি তোমার ভ্রাতা তোমার নিকটে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তোমাতে ও তাহাতে থাক, তখন সেই দোষ তাহাকে বুঝাইয়া দেও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভ্রাতাকে লাভ করিলে।কিন্তু যদি সে না শুনে, তবে আর দুই এক ব্যক্তিকে সঙ্গে লইয়া যাও, যেন “দুই কিম্বা তিন জন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা নিষ্পন্ন হয়।”আর যদি সে তাহাদের কথা অমান্য করে, মণ্ডলীকে বল; আর যদি মণ্ডলীর কথাও অমান্য করে, সে তোমার নিকটে পরজাতীয় লোকের ও করগ্রাহীর তুল্য হউক।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।
তোমরা তোমাদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য করিতেছেন- যেন তাঁহারা আনন্দপূর্বক সেই কার্য করেন, আর্তস্বরপূর্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
তোমার চক্ষে যে কড়িকাট আছে, তাহা যখন দেখিতেছ না, তখন তুমি কেমন করিয়া আপন ভ্রাতাকে বলিতে পার, ভাই, আইস, আমি তোমার চক্ষু হইতে কুটাগাছটা বাহির করিয়া দিই? তোমার নিজের চক্ষে যে কড়িকাট আছে, তাহা ত তুমি দেখিতেছ না! হে কপটি, আগে আপনার চক্ষু হইতে কড়িকাট বাহির করিয়া ফেল, তার পর তোমার ভ্রাতার চক্ষে যে কুটা আছে, তাহা বাহির করিবার নিমিত্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইবে।
সদাপ্রভু মঙ্গলময় ও সরল, এই জন্য তিনি পাপীদিগকে পথ দেখান।তিনি নম্রদিগকে ন্যায়বিচারের পথে চালান, নম্রদিগকে আপন পথ দেখাইয়া দেন।
সদাপ্রভু কহিতেছেন, আইস, আমরা উত্তর প্রত্যুত্তর করি; তোমাদের পাপ সকল সিন্দূরবর্ণ হইলেও হিমের ন্যায় শুক্লবর্ণ হইবে; লাক্ষার ন্যায় রাঙ্গা হইলেও মেষলোমের ন্যায় হইবে।তোমরা যদি সম্মত ও আজ্ঞাবহ হও, তবে দেশের উত্তম উত্তম ফল ভোগ করিবে।
কিন্তু কৈফা যখন আন্তিয়খিয়ায় আসিলেন, তখন আমি মুখের উপরেই তাঁহার প্রতিরোধ করিলাম, কারণ তিনি দোষী হইয়াছিলেন।
আর দক্ষিণে কি বামে ফিরিবার সময়ে তোমার কর্ণ পশ্চাৎ হইতে এই বাণী শুনিতে পাইবে, এই পথ, তোমরা এই পথেই চল।
আমি যে এখন পাইয়াছি, কিম্বা এখন সিদ্ধ হইয়াছি, তাহা নয়; কিন্তু যাহার নিমিত্ত খ্রীষ্ট যীশু কর্তৃক ধৃত হইয়াছি, কোন ক্রমে তাহা ধরিবার চেষ্টায় দৌড়াইতেছি।ভ্রাতৃগণ, আমি যে তাহা ধরিয়াছি, আপনার বিষয়ে এমন বিচার করি না; কিন্তু একটি কাজ করি, পশ্চাৎ স্থিত বিষয় সকল ভুলিয়া গিয়া সম্মুখস্থ বিষয়ের চেষ্টায় একাগ্র হইয়া,লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
সহনশীল হওয়া, এবং মৃদুভাবে বিরোধীগণকে শাসন করা তাহার উচিত; হয় ত ঈশ্বর তাহাদিগকে মনপরিবর্তন দান করিবেন, যেন তাঁহারা সত্যের তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্ত হয়,এবং তাঁহার ইচ্ছা সাধনের নিমিত্ত প্রভুর দাসের দ্বারা দিয়াবলের ফাঁদ হইতে জীবনার্থে ধৃত হইয়া চেতনা পাইয়া বাঁচে।
আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।তোমরা অশ্ব ও অশ্বতরের ন্যায় হইও না, যাহাদের বুদ্ধি নাই; বল্গা ও লাগাম ভূষারূপে পরাইয়া তাহাদিগকে দমন করিতে হয়, নতুবা তাহারা তোমার নিকটে আসিবে না।
পাছে বল, ‘হায়, আমি উপদেশ ঘৃণা করিয়াছি, আমার চিত্ত অনুযোগ তুচ্ছ করিয়াছে;আমি নিজ গুরুদের কথা শুনি নাই, নিজ শিক্ষকদের বাক্যে কর্ণপাত করি নাই;আমি প্রায় সর্বপ্রকার মন্দে পড়িয়াছিলাম সমাজের ও মণ্ডলীর মধ্যে।’
আমাতে স্থিত যে কোন শাখায় ফল না ধরে, তাহা তিনি কাটিয়া ফেলিয়া দেন; এবং যে কোন শাখায় ফল ধরে, তাহা পরিষ্কার করেন, যেন তাহাতে আরও অধিক ফল ধরে।
সদাপ্রভু, তোমার মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের পবিত্রতম, এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমার উপকারজনক শিক্ষা দান করি, ও তোমার গন্তব্য পথে তোমাকে গমন করাই।আহা! তুমি কেন আমার আজ্ঞাতে অবধান কর নাই? করিলে তোমার শান্তি নদীর ন্যায়, তোমার ধার্মিকতা সমুদ্র-তরঙ্গের ন্যায় হইত;
আর সেই দাস, যে নিজ প্রভুর ইচ্ছা জানিয়াও প্রস্তুত হয় নাই, ও তাঁহার ইচ্ছানুযায়ী কর্ম করে নাই, সে অনেক প্রহারে প্রহারিত হইবে।কিন্তু যে না জানিয়া প্রহারের যোগ্য কর্ম করিয়াছে, সে অল্প প্রহারে প্রহারিত হইবে। আর যে কোন ব্যক্তিকে অধিক দত্ত হইয়াছে, তাহার নিকটে অধিক দাবি করা যাইবে; এবং লোকে যাহার কাছে অধিক রাখিয়াছে, তাহার নিকটে অধিক চাহিবে।
আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর ন্যায় কথা কহিতাম, শিশুর ন্যায় চিন্তা করিতাম, শিশুর ন্যায় বিচার করিতাম; এখন মানুষ হইয়াছি বলিয়া শিশুভাবগুলি ত্যাগ করিয়াছি।
শমূয়েল কহিলেন, সদাপ্রভুর রবে অবধান করিলে যেমন, তেমন কি হোমে ও বলিদানে সদাপ্রভু প্রসন্ন হন? দেখ, বলিদান অপেক্ষা আজ্ঞা পালন উত্তম, এবং মেষের মেদ অপেক্ষা অবধান করা উত্তম।
কারণ সদাপ্রভু কহেন, আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয়।কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
আর তোমার ভ্রাতার চক্ষে যে কুটা আছে, তাহাই কেন দেখিতেছ, কিন্তু তোমার নিজের চক্ষে যে কড়িকাট আছে, তাহা কেন ভাবিয়া দেখিতেছ না?অথবা তুমি কেমন করিয়া আপন ভ্রাতাকে বলিবে, আইস, আমি তোমার চক্ষু হইতে কুটাগাছটা বাহির করিয়া দিই? আর দেখ, তোমার নিজের চক্ষে কড়িকাট রহিয়াছে!হে কপটি, আগে আপনার চক্ষু হইতে কড়িকাট বাহির করিয়া ফেল, আর তখন তোমার ভ্রাতার চক্ষু হইতে কুটাগাছটা বাহির করিবার নিমিত্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইবে।
আর যুদ্ধ করা প্রভুর দাসের উপযুক্ত নহে; কিন্তু সকলের প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুণ,সহনশীল হওয়া, এবং মৃদুভাবে বিরোধীগণকে শাসন করা তাহার উচিত; হয় ত ঈশ্বর তাহাদিগকে মনপরিবর্তন দান করিবেন, যেন তাঁহারা সত্যের তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্ত হয়,
ভ্রাতৃগণ, তবে দাঁড়াইল কি? তোমরা যখন সমবেত হও, তখন কাহারও গীত থাকে, কাহারও উপদেশ থাকে, কাহারও প্রত্যাদেশ থাকে, কাহারও বিশেষ ভাষা থাকে, কাহারও অর্থ ব্যাখ্যা থাকে, সকলই গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত হউক।
আপনাদের পরীক্ষা করিয়া দেখ, তোমরা বিশ্বাসে আছ কি না; প্রমাণার্থে আপনাদেরই পরীক্ষা কর। অথবা তোমরা কি আপনাদের সম্বন্ধে জান না যে, যীশু খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে আছেন? অবশ্য যদি তোমরা অপ্রামাণিক না হও।
আর ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ,ও সদ্গুণে জ্ঞান ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য,
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।