আল্লাহর কালামে, বিশেষ করে পুরাতন নিয়মের প্রথমভাগে, উত্তরাধিকারের কথা বলা হয়েছে, যেখানে আল্লাহ ইসরাইলিদের প্রতিজ্ঞাত দেশ দিয়েছিলেন। যেহেতু আল্লাহ নিজেই পরিবারগুলোকে জমি দিয়েছিলেন, তাই কেউ চিরতরে জমি বিক্রি করতে পারতো না। ঠিক তেমনি, ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে আমাদের জন্যও আত্মিক আশীর্বাদ রয়েছে।
যারা যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে এবং তাঁকে তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে গ্রহণ করে, তারা স্বর্গরাজ্যে একটি উত্তরাধিকার লাভ করে, যা স্বর্গীয় পিতা তাঁর সন্তানদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন।
আজ আল্লাহ তোমার হাতে একটি উত্তরাধিকার তুলে দিয়েছেন যা তুমি অনন্তকাল ধরে উপভোগ করবে; শুধু তোমার অন্তরে বিশ্বাস রাখো। এই পৃথিবীতে তুমি যতই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হও না কেন, তোমার আল্লাহ তোমাকে কখনোই ত্যাগ করবেন না এবং তোমার জন্য তাঁর অনেক কিছু রাখা আছে, যেখানে আর কোন কষ্ট, দুঃখ থাকবে না এবং কেউ তোমার যা তোমার প্রাপ্য তা কেড়ে নিতে পারবে না।
অক্ষয়, বিমল ও অজর দায়াধিকারের নিমিত্ত দিয়াছেন; সেই দায়াধিকার স্বর্গে তোমাদের নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে;
সদাপ্রভু আমার দায়াংশ ও আমার পানপাত্র; তুমিই আমার অধিকার স্থায়ী করিতেছ।আমার জন্য মানরজ্জু মনোহর স্থানে পড়িয়াছে, আমার অধিকার আমার পক্ষে শোভাযুক্ত।
যাহাতে তোমাদের হৃদয়ের চক্ষু আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানিতে পাও, তাঁহার আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্রগণের মধ্যে তাঁহার দায়াধিকারের প্রতাপ-ধন কি,
কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে স্মরণে রাখিবে, কেননা তিনি তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে আপনার যে নিয়ম বিষয়ক দিব্য করিয়াছেন, তাহা অদ্যকার মত স্থির করণার্থে তিনিই তোমাকে ঐশ্বর্য লাভের সামর্থ দিলেন।
আমার নিকটে যাচ্ঞা কর, আমি জাতিগণকে তোমার দায়াংশ করিব, পৃথিবীর প্রান্ত সকল তোমার অধিকারে আনিয়া দিব।
আমি সেই বিধির বৃত্তান্ত প্রচার করিব; সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, তুমি আমার পুত্র, অদ্য আমি তোমাকে জন্ম দিয়াছি।আমার নিকটে যাচ্ঞা কর, আমি জাতিগণকে তোমার দায়াংশ করিব, পৃথিবীর প্রান্ত সকল তোমার অধিকারে আনিয়া দিব।
কারণ ব্যবস্থা দ্বারা নয়, কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতা দ্বারা অব্রাহামের বা তাঁহার বংশের প্রতি জগতের দায়াধিকারী হইবার প্রতিজ্ঞা করা হইয়াছিল।
আর যখন সন্তান, তখন দায়াদ, ঈশ্বরের দায়াদ ও খ্রীষ্টের সহদায়াদ- যদি বাস্তবিক আমরা তাঁহার সহিত দুঃখভোগ করি, যেন তাঁহার সহিত প্রতাপান্বিতও হই।
ধন্য সেই জাতি, যাহার ঈশ্বর সদাপ্রভু, সেই লোকসমাজ, যাহাকে তিনি নিজ অধিকারার্থে মনোনীত করিয়াছেন।
ফলতঃ সুসমাচার দ্বারা খ্রীষ্ট যীশুতে পরজাতীয়েরাও সহদায়াদ, দেহের সহাঙ্গ ও প্রতিজ্ঞার সহভাগী হয়;
আর এই কারণ তিনি এক নূতন নিয়মের মধ্যস্থ; যেন, প্রথম নিয়ম সম্বন্ধীয় অপরাধ সকলের মোচনার্থ মৃত্যু ঘটিয়াছে বলিয়া, যাহারা আহূত হইয়াছে, তাহারা অনন্তকালীয় দায়াধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল প্রাপ্ত হয়।
আর পিতার ধন্যবাদ কর, যিনি তোমাদিগকে দীপ্তিতে পবিত্রগণের অধিকারের অংশীদার হইবার উপযুক্ত করিয়াছেন।
অতএব কেহ মনুষ্যদের শ্লাঘা না করুক। কেননা সকলই তোমাদের;পৌল, কি আপল্লো, কি কৈফা, কি জগৎ, কি জীবন, কি মরণ, কি উপস্থিত বিষয়, কি ভবিষ্যৎ বিষয়, সকলই তোমাদের;আর তোমরা খ্রীষ্টের, ও খ্রীষ্ট ঈশ্বরের।
দুঃখিতের ন্যায়, কিন্তু সর্বদা আনন্দিত; দীনহীনের ন্যায়, কিন্তু অনেকের ধনদাতা; আমাদের যেন কিছুই নাই, অথচ আমরা সর্বাধিকারী।
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
আত্মা আপনিও আমাদের আত্মার সহিত সাক্ষ্য দিতেছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।আর যখন সন্তান, তখন দায়াদ, ঈশ্বরের দায়াদ ও খ্রীষ্টের সহদায়াদ- যদি বাস্তবিক আমরা তাঁহার সহিত দুঃখভোগ করি, যেন তাঁহার সহিত প্রতাপান্বিতও হই।
তিনি আমাদের জন্য আমাদের অধিকার মনোনীত করেন; তাহা যাকোবের শ্লাঘার বিষয়, যাহাকে তিনি প্রেম করিলেন। [সেলা]
খ্রীষ্টে থাকিয়া তোমরাও সত্যের বাক্য, তোমাদের পরিত্রাণের সুসমাচার, শুনিয়া এবং তাঁহাতে বিশ্বাসও করিয়া সেই অঙ্গীকৃত পবিত্র আত্মা দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছ;সেই আত্মা ঈশ্বরের নিজস্ব লোকদের মুক্তির নিমিত্ত, তাঁহার প্রতাপের প্রশংসার নিমিত্ত আমাদের দায়াধিকারের বায়না।
অপমানের পরিবর্তে লোকেরা আপন আপন অধিকারে আনন্দরব করিবে, তজ্জন্য আপনাদের দেশে দ্বিগুণ অংশ পাইবে; তাহাদের চিরস্থায়ী আহ্লাদ হইবে।
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদিগকে গ্রহণ করিয়াছেন, লৌহের হাফর হইতে, মিসর হইতে তোমাদিগকে বাহির করিয়া আনিয়াছেন, যেন তোমরা তাঁহার অধিকাররূপ প্রজা হও, যেমন অদ্য আছ।
যেন পরের উপকার করে, সৎ ক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত, ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।
আমি এই বলি, ভ্রাতৃগণ, রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হইতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি প্রসন্নতার সময়ে তোমার প্রার্থনার উত্তর দিয়াছি, এবং পরিত্রাণের দিবসে তোমার সাহায্য করিয়াছি; আর আমি তোমাকে রক্ষা করিব, ও তোমাকে প্রজাবৃন্দের সন্ধিরূপে দিয়াছি; তাহাতে তুমি দেশের উন্নতি সাধন করিবে, ও ধ্বংসিত অধিকার সকল অধিকারে আনিবে;
আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে আপনার অনন্ত প্রতাপ প্রদানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, তিনি নিজে তোমাদের ক্ষণিক দুঃখভোগের পর তোমাদিগকে পরিপক্ব, সুস্থির, সবল, বদ্ধমূল করিবেন।
কারণ যিনি নিজ গৌরবে ও সদ্গুণে আমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তাঁহার তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা তাঁহার ঈশ্বরীয় শক্তি আমাদিগকে জীবন ও ভক্তি সম্বন্ধীয় সমস্ত বিষয় প্রদান করিয়াছে।আর ঐ গৌরবে ও উৎকর্ষে তিনি আমাদিগকে মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞা সকল প্রদান করিয়াছেন, যেন তদ্দ্বারা তোমরা অভিলাষমূলক সংসারব্যাপী ক্ষয় হইতে পলায়ন করিয়া, ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।
তুমি নিজ দাস অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবকে স্মরণ কর, যাঁহাদের কাছে তুমি নিজ নামের দিব্য করিয়া বলিয়াছিলে, আমি আকাশের তারকাগণের ন্যায় তোমাদের বংশবৃদ্ধি করিব, এবং এই যে সমস্ত দেশের কথা কহিলাম, ইহা তোমাদের বংশকে দিব, তাহারা চিরকালের জন্য ইহা অধিকার করিবে।
আর আমিই বলিয়াছিলাম, আমি সন্তানগণের মধ্যে তোমাকে কেমন স্থান দিব! মনোরম্য এক দেশ, জাতিগণের পরমরত্নস্বরূপ অধিকার তোমাকে দান করিব! আমি বলিয়াছিলাম, তোমরা আমাকে পিতা বলিয়া ডাকিবে, এবং আমার পশ্চাদ্গমন হইতে ফিরিয়া যাইবে না।
কারণ দায়াধিকার যদি ব্যবস্থামূলক হয়, তবে আর প্রতিজ্ঞামূলক হইতে পারে না; কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা দ্বারাই তাহা দান করিয়াছেন।
যেন তোমরা শিথিল না হও, কিন্তু যাহারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতা দ্বারা প্রতিজ্ঞা সমূহের দায়াধিকারী, তাহাদের অনুকারী হও।
কেননা, হে ঈশ্বর, তুমিই আমার মানত সকল শুনিয়াছ, যাহারা তোমার নাম ভয় করে, তাহাদের অধিকার তাহাদিগকে দিয়াছ।
কারণ আমি যে নূতন আকাশমণ্ডল ও নূতন পৃথিবী গঠন করিব, তাহা যেমন আমার সম্মুখে থাকিবে, তেমনি তোমাদের বংশ ও তোমাদের নাম থাকিবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
কারণ সেই একের অপরাধে যখন সেই একের দ্বারা মৃত্যু রাজত্ব করিল, তখন সেই আর এক ব্যক্তি অর্থাৎ, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, যাহারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তাহারা কত অধিক নিশ্চিতরূপে জীবনে রাজত্ব করিবে।
সৎ লোক পুত্রদের পুত্রগণের জন্য অধিকার রাখিয়া যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকের জন্য সঞ্চিত হয়।
তাঁহাতেই করা যাইবে, যাঁহাতে আমরা ঈশ্বরের অধিকারস্বরূপও হইয়াছি। বাস্তবিক যিনি সকলই আপন ইচ্ছার মন্ত্রণানুসারে সাধন করেন, তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আমরা পূর্বে নিরূপিত হইয়াছিলাম;
যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;
আর এখন প্রভুর নিকটে, ও তাঁহার অনুগ্রহের বাক্যের নিকটে তোমাদিগকে সমর্পণ করিলাম, তিনি তোমাদিগকে গাঁথিয়া তুলিতে ও পবিত্রীকৃত সকলের মধ্যে দায়াধিকার দিতে সমর্থ।
আর ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, কেহ যদি অপুত্রক হইয়া মরে, তবে তোমরা তাহার অধিকার তাহার কন্যাকে দিবে।
ইয়োবের কন্যাগণের তুল্য রূপবতী যুবতী সমস্ত দেশে মিলিত না, এবং তাহাদের পিতা তাহাদের ভ্রাতৃগণের সহিত তাহাদিগকে উত্তরাধিকার দিলেন।
প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, অধ্যক্ষ যদি আপন পুত্রগণের মধ্যে কোন একজনকে কিছু দান করেন, তবে তাহা তাহার অধিকার হইবে, তাহা তাঁহার পুত্রদের হইবে; তাহা অধিকার বলিয়া তাহাদের স্বত্ব হইবে।কিন্তু তিনি যদি আপনার কোন দাসকে আপন অধিকারের কিছু দান করেন, তবে তাহা মুক্তিবৎসর পর্যন্ত তাহার থাকিবে, পরে পুনর্বার অধ্যক্ষের হইবে; কেবল তাঁহার পুত্রগণ তাঁহার অধিকার পাইবে।
আর মোশি ঐ দিবসে দিব্য করিয়া বলিয়াছিলেন, যে ভূমির উপরে তোমার পাদবিক্ষেপ হইয়াছে, সেই ভূমি তোমার ও চিরকাল তোমার সন্তানগণের অধিকার হইবে; কেননা তুমি সম্পূর্ণরূপে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগমন করিয়াছ।
দেখ, আমি সেই দেশ তোমাদের সম্মুখে দিয়াছি; তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবকে এবং তাহাদের পরে তাহাদের বংশকে যে দেশ দিতে সদাপ্রভু দিব্য করিয়াছিলেন, তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করিয়া তাহা অধিকার কর।