বিদায় নেওয়া কষ্টের, যেখানে মন থাকে সেখান থেকে বা যাদের ভালোবাসি তাদের থেকে। তুমিও নিশ্চয়ই এই কষ্টটা বুঝো। আমরা সবাই জীবনে বিদায়, ত্যাগ আর পরিবর্তনের মুখোমুখি হই। মনে রেখো, দুঃখ পাওয়া, কান্না করা কোনো পাপ নয়, এটা খুবই স্বাভাবিক।
যখন মন খারাপ, তখন মনের কথাগুলো প্রকাশ করতে হবে, ঈশ্বরের কাছে মন খুলে সব বলতে হবে। তাহলেই আমরা সান্ত্বনা, শক্তি পাবো আর ঈশ্বরের ইচ্ছা পূর্ণ করতে পারবো।
তবে দুঃখ-কষ্টকে জীবনে চিরস্থায়ী করে রাখা যাবে না। ঈশ্বরকে আমাদের চোখের জল মুছে দিতে দিই, আমাদের হৃদয়ে আনন্দ ফিরিয়ে আনতে দিই। তিনি আবার আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবেন, এই বিশ্বাস রাখো। [পবিত্র বাইবেল, যোহন ১৬:২০]
সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন, ও তোমাকে রক্ষা করুন;
সদাপ্রভু তোমার প্রতি আপন মুখ উজ্জ্বল করুন, ও তোমাকে অনুগ্রহ করুন;
সদাপ্রভু তোমার প্রতি নিজ মুখ উত্তোলন করুন, ও তোমাকে শান্তি দান করুন।
তোমরা বলবান হও ও সাহস কর, ভয় করিও না, তাহাদের হইতে মহাভয়ে ভীত হইও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনি তোমার সহিত যাইতেছেন, তিনি তোমাকে ছাড়িবেন না, তোমাকে ত্যাগ করিবেন না।
আর দেখ, আমি তোমার সহবর্তী, যে যে স্থানে তুমি যাইবে, সেই সেই স্থানে তোমাকে রক্ষা করিব, ও পুনর্বার এই দেশে আনিব; কেননা আমি তোমাকে যাহা যাহা বলিলাম, তাহা যাবৎ সফল না করি,তাবৎ তোমাকে ত্যাগ করিব না।
এই জন্য তাহার নাম গিলিয়দ, এবং মিস্পা [প্রহরি-স্থান] রাখা গেল; কেননা তিনি কহিলেন, আমরা পরস্পর অদৃশ্য হইলে সদাপ্রভু আমার ও তোমার প্রহরী থাকিবেন।
আমি তোমাদের পিতার মুখ দেখিয়া বুঝিতে পারিতেছি যে, উহা আর আমার প্রতি পূর্বকার মত নয়, কিন্তু আমার পিতার ঈশ্বর আমার সহবর্তী রহিয়াছেন।
তুমি যদি আমার কন্যাদিগকে দুঃখ দেও, আর যদি আমার কন্যা ব্যতিরেকে অন্য স্ত্রীকে বিবাহ কর, তবে কোন মনুষ্য আমাদের নিকটে থাকিবে না বটে, কিন্তু দেখ, ঈশ্বর আমার ও তোমার সাক্ষী হইবেন।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
অবশেষে বলি, হে ভ্রাতৃগণ, আনন্দ কর, পরিপক্ব হও, আশ্বাস গ্রহণ কর, একভাববিশিষ্ট হও, শান্তিতে থাক; তাহাতে প্রেমের ও শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিবেন।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ, ও ঈশ্বরের প্রেম, এবং পবিত্র আত্মার সহভাগিতা তোমাদের সকলের সহবর্তী হউক।
আর শান্তির প্রভু স্বয়ং সর্বদা সর্বপ্রকারে তোমাদিগকে শান্তি প্রদান করুন। প্রভু তোমাদের সকলের সহবর্তী হউন।
তখন রাত্রিকালেই ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডাকাইয়া কহিলেন, তোমরা উঠ, ইস্র্রায়েল-সন্তানদিগকে লইয়া আমার প্রজাদের মধ্য হইতে বাহির হও, তোমরা যাও, তোমরা গিয়া তোমাদের কথানুসারে সদাপ্রভুর সেবা কর।
আর এখন দেখ, আমি জানি যে, যাহাদের মধ্যে আমি সেই রাজ্য প্রচার করিয়া বেড়াইয়াছি, সেই তোমরা সকলে আমার মুখ আর দেখিতে পাইবে না;
কিন্তু তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, আমাকে বিলম্ব করাইবেন না, কেননা সদাপ্রভু আমার যাত্রা সফল করিলেন; আমাকে বিদায় করুন; আমি আপন কর্তার নিকটে যাই।
আমি সদাপ্রভুর বিষয়ে বলিব, ‘তিনি আমার আশ্রয়, আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহাতে নির্ভর করিব’।
হাঁ, তিনিই তোমাকে ব্যাধের ফাঁদ হইতে, ও সর্বনাশক মারী হইতে রক্ষা করিবেন।
তিনি আপন পালখে তোমাকে আবৃত করিবেন, তাঁহার পক্ষের নিচে তুমি আশ্রয় পাইবে; তাঁহার সত্য ঢাল ও তনুত্রাণস্বরূপ।
তাহাতে তিনি তাঁহাকে কহিলেন, তোমার শ্রীমুখ যদি সঙ্গে না যান, তবে এই স্থান হইতে আমাদিগকে লইয়া যাইও না।
অনাদি ঈশ্বর তোমার বাসস্থান, নিম্নে অনন্তস্থায়ী বাহুযুগল; তিনি তোমার সম্মুখ হইতে শত্রুকে দূর করিলেন, আর বলিলেন, বিনাশ কর।
আর তিনি নূনের পুত্র যিহোশূয়কে আজ্ঞা দিয়া কহিলেন, তুমি বলবান হও ও সাহস কর; কেননা আমি ইস্রায়েল সন্তানগণকে যে দেশ দিতে দিব্য করিয়াছি, সেই দেশে তুমি তাহাদিগকে লইয়া যাইবে, এবং আমি তোমার সহবর্তী হইব।
বালকটি যাইবামাত্র দায়ূদ দক্ষিণদিক্স্থ কোন স্থান হইতে উঠিয়া আসিয়া তিন বার ভূমিতে উবুড় হইয়া পড়িয়া প্রণিপাত করিলেন, এবং তাঁহারা দুই জনে পরস্পর চুম্বন ও রোদন করিলেন, কিন্তু দায়ূদ অধিক রোদন করিলেন।
পরে যোনাথন দায়ূদকে কহিলেন, কুশলে যাও, আমরা ত দুই জন সদাপ্রভুর নামে এই দিব্য করিয়াছি যে, সদাপ্রভু যুগে যুগে আমার ও তোমার মধ্যবর্তী, এবং আমার বংশের ও তোমার বংশের মধ্যবর্তী থাকিবেন। পরে তিনি উঠিয়া প্রস্থান করিলেন, আর যোনাথন নগরে চলিয়া গেলেন।
অতএব লোট আপনার নিমিত্ত যর্দনের সমস্ত অঞ্চল মনোনীত করিয়া পূর্বদিকে প্রস্থান করিলেন; এইরূপে তাঁহারা পরস্পর পৃথক হইলেন।
পরে তিনি তথা হইতে গিয়া শাফটের পুত্র ইলীশায়ের দেখা পাইলেন; সেই সময়ে তিনি হাল বহিতেছিলেন; বারো জোড়া বলদ তাঁহার অগ্রে ছিল, এবং শেষ জোড়ার সহিত তিনি নিজে ছিলেন। এলিয় তাহার নিকট পর্যন্ত অগ্রসর হইয়া আপনার শাল তাঁহার গাত্রে ফেলিয়া দিলেন।
তাহাতে ঈষেবল এলিয়ের নিকটে দূত পাঠাইয়া কহিল, কল্য এমন সময়ে যদি আমি তোমার প্রাণকে তাহাদের একজনের প্রাণের সমান না করি, তবে দেবগণ আমাকে অমুক ও ততোধিক দণ্ড দিউন।
তাহাতে তিনি বলদ সকল ত্যাগ করিয়া এলিয়ের পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়াইয়া গিয়া তাঁহাকে কহিলেন, বিনয় করি, অনুমতি দিউন, আমি আপন মাতা-পিতাকে চুম্বন করিয়া আসি, পরে আপনার পশ্চাদ্গামী হইব। তিনি তাঁহাকে কহিলেন, তুমি ফিরিয়া যাও, বল দেখি, আমি তোমার কি করিলাম?
পরে তিনি তাঁহার পশ্চাদ্গমন হইতে ফিরিয়া গেলেন, এবং সেই বলদ জোড়া লইয়া বলিদান করিলেন, এবং তাহাদের জোয়ালিকাষ্ঠের দ্বারা তাহাদের মাংস পাক করিলেন, পরে লোকদিগকে দিলে তাহারা ভোজন করিল। তখন তিনি উঠিয়া এলিয়ের পশ্চাদ্গামী হইলেন ও তাঁহার পরিচর্যা করিতে লাগিলেন।
কোন শত্রু যে আমাকে তিরস্কার করিয়াছে তাহা নয়, করিলে আমি তাহা সহিতে পারিতাম; বিদ্বেষীও আমার বিরুদ্ধে দর্প করে নাই, করিলে তাহা হইতে আপনাকে লুকাইতাম।
কিন্তু, আমার সমকক্ষ মনুষ্য যে তুমি, আমার মিত্র ও আমার আত্মীয়, তুমিই তাহা করিয়াছ।
আমরা একত্র হইয়া মধুর মন্ত্রণা করিতাম, আমরা সদলে ঈশ্বরের গৃহে গমন করিতাম।
আমি হারানো মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; নিজ দাসের অন্বেষণ কর; কেননা আমি তোমার আজ্ঞাকলাপ ভুলিয়া যাই নাই।
সকল বিষয়েরই সময় আছে, ও আকাশের নিচে সমস্ত ব্যাপারের কাল আছে। জন্মের কাল ও মরণের কাল;
ঈশ্বর মনুষ্য-সন্তানদিগকে কষ্টযুক্ত করণার্থে যে কষ্ট দেন, তাহা আমি দেখিয়াছি।
তিনি সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন, আবার তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্যন্ত যে সকল কার্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।
আমি জানি, যাবজ্জীবন আনন্দ ও সৎকর্ম করণ ব্যতীত আর মঙ্গল তাহাদের হয় না।
আর প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।
আমি জানি, ঈশ্বর যাহা কিছু করেন, তাহা চিরস্থায়ী; তাহা বাড়াইতেও পারা যায় না, কমাইতেও পারা যায় না; আর ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, যেন তাঁহার সম্মুখে মনুষ্যগণ ভীত হয়।
যাহা আছে, তাহাই ছিল এবং যাহা হইবে, তাহাই ছিল; এবং যাহা চলিয়া গিয়াছে, ঈশ্বর তাহার অনুসন্ধান করেন।
আরও আমি সূর্যের নিচে, বিচারের স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে; এবং ধার্মিকতার স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে।
আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।
আমি মনে মনে কহিলাম, ইহা মনুষ্য-সন্তানদের নিমিত্ত হইতেছে, যেন ঈশ্বর তাহাদের পরীক্ষা করেন, আর যেন তাহারা দেখিতে পায় যে, তাহারা নিজেই পশুবৎ।
কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার।
রোপণের কাল ও রোপিত বীজ উৎপাটনের কাল;
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, ‘আমি বালক,’ এমন কথা বলিও না; কিন্তু আমি তোমাকে যাহার কাছে পাঠাইব, তাহারই কাছে তুমি যাইবে, এবং তোমাকে যাহা আজ্ঞা করিব, তাহাই বলিবে।
উহাদের সম্মুখে ভীত হইও না, কেননা তোমার উদ্ধারার্থে আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
কেননা, সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের পক্ষে যে সকল সঙ্কল্প করিতেছি, তাহা আমিই জানি; সেই সকল মঙ্গলের সঙ্কল্প, অমঙ্গলের নয়, তোমাদিগকে শেষ ফল ও আশাসিদ্ধি দিবার সঙ্কল্প!
আর তোমরা আমাকে আহ্বান করিবে, এবং গিয়া আমার কাছে প্রার্থনা করিবে, আর আমি তোমাদের কথায় কর্ণপাত করিব।
আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অন্বেষণ করিবে;
হে মনুষ্য-সন্তান, আমি তোমাকে ইস্রায়েল-কুলের জন্য প্রহরী নিযুক্ত করিলাম; তুমি আমার মুখে কথা শুনিবে, এবং আমার নামে তাহাদিগকে চেতনা দিবে।
অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।
তোমরা পৃথিবীর লবণ, কিন্তু লবণের স্বাদ যদি যায়, তবে তাহা কি প্রকারে লবণের গুণবিশিষ্ট করা যাইবে? তাহা আর কোন কার্যে লাগে না, কেবল বাহিরে ফেলিয়া দিবার ও লোকের পদতলে দলিত হইবার যোগ্য হয়।
তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না।
আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
আর যে কেহ তোমাদিগকে গ্রহণ না করে, এবং তোমাদের কথা না শুনে, সেই গৃহ কিম্বা সেই নগর হইতে বাহির হইবার সময়ে আপন আপন পায়ের ধুলা ঝাড়িয়া ফেলিও।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।
আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।
‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’
কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;
আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।
আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
যীশু বলিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এমন কেহ নাই, যে আমার নিমিত্ত ও সুসমাচারের নিমিত্ত বাটী কি ভ্রাতৃগণ কি ভগিনী কি মাতা কি পিতা কি সন্তানসন্ততি কি ক্ষেত্র ত্যাগ করিয়াছে, কিন্তু এখন ইহকালে তাহার শতগুণ না পাইবে;
তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, মোশি তোমাদিগকে কি আজ্ঞা দিয়াছেন?
সে বাটী, ভ্রাতা, ভগিনী, মাতা, সন্তান ও ক্ষেত্র, তাড়নার সহিত এই সকল পাইবে, এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন পাইবে।
কিন্তু যীশু তাহাকে কহিলেন, যে কোন ব্যক্তি লাঙ্গলে হাত দিয়া পিছনে ফিরিয়া চায়, সে ঈশ্বরের রাজ্যের উপযোগী নয়।
প্রভু কহিলেন, সেই বিশ্বস্ত, সেই বুদ্ধিমান গৃহাধ্যক্ষ কে, যাহাকে তাহার প্রভু নিজ পরিজনদের উপরে নিযুক্ত করিবেন, যেন সে তাহাদিগকে উপযুক্ত সময়ে খাদ্যের নিরূপিত অংশ দেয়?
তোমরা কি মনে করিতেছ, আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে আসিয়াছি? তোমাদিগকে বলিতেছি, তাহা নয়, বরং বিভেদ।
কারণ এখন অবধি এক বাটীতে পাঁচ জন ভিন্ন হইবে, তিন জন দুই জনের বিপক্ষে,
ও দুই জন তিন জনের বিপক্ষে; পিতা পুত্রের বিপক্ষে, এবং পুত্র পিতার বিপক্ষে; মাতা কন্যার বিপক্ষে, এবং কন্যা মাতার বিপক্ষে; শাশুড়ী বধূর বিপক্ষে, এবং বধূ শাশুড়ীর বিপক্ষে ভিন্ন হইবে।
বৎসেরা, এখনও অল্পকাল আমি তোমাদের সঙ্গে আছি; তোমরা আমার অন্বেষণ করিবে, আর আমি যেমন যিহূদীদিগকে বলিয়াছিলাম, ‘আমি যেখানে যাইতেছি, সেখানে তোমরা যাইতে পার না,’ তদ্রূপ এখন তোমাদিগকেও বলিতেছি।
তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক; ঈশ্বরে বিশ্বাস কর, আমাতেও বিশ্বাস কর।
তুমি কি বিশ্বাস কর না যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমাতে আছেন? আমি তোমাদিগকে যে সকল কথা বলি, তাহা আপনা হইতে বলি না; কিন্তু পিতা আমাতে থাকিয়া আপনার কার্য সকল সাধন করেন।
আমার কথায় বিশ্বাস কর যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমাতে আছেন; আর না হয়, সেই সকল কার্য প্রযুক্তই বিশ্বাস কর।
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে আমাতে বিশ্বাস করে, আমি যে সকল কার্য করিতেছি, সেও করিবে, এমন কি, এই সকল হইতেও বড় বড় কার্য করিবে; কেননা আমি পিতার নিকটে যাইতেছি;
আর তোমরা আমার নামে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা আমি সাধন করিব, যেন পিতা পুত্রে মহিমান্বিত হন।
যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।
তোমরা যদি আমাকে প্রেম কর, তবে আমার আজ্ঞা সকল পালন করিবে।
আর আমি পিতার নিকটে নিবেদন করিব, এবং তিনি আর এক সহায় তোমাদিগকে দিবেন, যেন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন; তিনি সত্যের আত্মা;
জগৎ তাঁহাকে গ্রহণ করিতে পারে না, কেননা সে তাঁহাকে দেখে না, তাঁহাকে জানেও না; তোমরা তাঁহাকে জান, কারণ তিনি তোমাদের নিকটে অবস্থিতি করেন ও তোমাদের অন্তরে থাকিবেন।
আমি তোমাদিগকে অনাথ রাখিয়া যাইব না, আমি তোমাদের নিকটে আসিতেছি।
আর অল্পকাল গেলে জগৎ আর আমাকে দেখিতে পাইবে না, কিন্তু তোমরা দেখিতে পাইবে; কারণ আমি জীবিত আছি; এই জন্য তোমরাও জীবিত থাকিবে।
আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।
সেই দিন তোমরা জানিবে যে, আমি আমার পিতাতে আছি, ও তোমরা আমাতে আছ, এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।
যে ব্যক্তি আমার আজ্ঞা সকল প্রাপ্ত হইয়া সেই সকল পালন করে, সেই আমাকে প্রেম করে; আর যে আমাকে প্রেম করে, আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন; এবং আমিও তাহাকে প্রেম করিব, আর আপনাকে তাহার কাছে প্রকাশ করিব।
তখন যিহূদা- ঈষ্করিয়োতীয় নয়- তাঁহাকে বলিলেন, প্রভু, কি হইয়াছে যে, আপনি আমাদেরই কাছে আপনাকে প্রকাশ করিবেন, আর জগতের কাছে নয়?
যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, কেহ যদি আমাকে প্রেম করে, তবে সে আমার বাক্য সকল পালন করিবে; আর আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন, এবং আমরা তাহার নিকটে আসিব ও তাহার সহিত বাস করিব।
যে আমাকে প্রেম করে না, সে আমার বাক্য সকল পালন করে না। আর তোমরা যে বাক্য শুনিতে পাইতেছ, তাহা আমার নয়, কিন্তু পিতার, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন।
তোমাদের নিকটে থাকিতে থাকিতেই আমি এই সকল কথা কহিলাম।
কিন্তু সেই সহায়, পবিত্র আত্মা, যাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেন, তিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন, এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সকল স্মরণ করাইয়া দিবেন।
শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেইরূপ দান করি না। তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক, ভীতও না হউক।
তোমরা শুনিয়াছ যে, আমি তোমাদিগকে বলিয়াছি, আমি যাইতেছি, আবার তোমাদের কাছে আসিতেছি। যদি তোমরা আমাকে প্রেম করিতে, তবে আনন্দ করিতে যে, আমি পিতার নিকটে যাইতেছি; কারণ পিতা আমা অপেক্ষা মহান।
আর এখন, ঘটিবার পূর্বে, আমি তোমাদিগকে বলিলাম, যেন ঘটিলে পর তোমরা বিশ্বাস কর।
আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,
দেখ, এমন সময় আসিতেছে, বরং আসিয়াছে, যখন তোমরা ছিন্নভিন্ন হইয়া প্রত্যেকে আপন আপন স্থানে যাইবে, এবং আমাকে একাকী পরিত্যাগ করিবে; তথাপি আমি একাকী নহি, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন।
এই সমস্ত তোমাদিগকে বলিলাম, যেন তোমরা আমাতে শান্তি প্রাপ্ত হও। জগতে তোমরা ক্লেশ পাইতেছ; কিন্তু সাহস কর, আমিই জগৎকে জয় করিয়াছি।
তাহাতে সকলে বিস্তর রোদন করিলেন,
এবং পৌলের গলা ধরিয়া তাঁহাকে চুম্বন করিতে লাগিলেন; সর্বাপেক্ষা তাঁহার উক্ত এই কথার জন্য অধিক দুঃখ করিলেন যে, তাঁহারা তাঁহার মুখ আর দেখিতে পাইবেন না। পরে জাহাজ পর্যন্ত তাঁহাকে রাখিয়া আসিতে গেলেন।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।
কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সরল লোকদের মন ভুলায়।
কেননা তোমাদের আজ্ঞাবহতার কথা সকল লোকের নিকটে ব্যাপিয়াছে। অতএব তোমাদের জন্য আমি আনন্দ করিতেছি; কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, তোমরা উত্তম বিষয়ে বিজ্ঞ ও মন্দ বিষয়ে অমায়িক হও।
এশিয়ার মণ্ডলী সকল তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছে। আক্কিলা ও প্রিষ্কা এবং তাঁহাদের গৃহস্থিত মণ্ডলী তোমাদিগকে প্রভুতে অনেক মঙ্গলবাদ করিতেছেন।
সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখিয়া আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসিব, তখনই চাঁদা না হয়।
ভ্রাতৃগণ সকলে তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন। তোমরা পবিত্র চুম্বনে পরস্পর মঙ্গলবাদ কর।
কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই তাম্বুরূপ পার্থিব বাটী ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ঈশ্বরদত্ত এক গাঁথনি আমাদের আছে, সেই বাটী অহস্তনির্মিত, অনন্তকালস্থায়ী ও স্বর্গে স্থিত।
কারণ আমাদের সকলকেই খ্রীষ্টের বিচারাসনের সম্মুখে প্রত্যক্ষ হইতে হইবে, যেন সৎকার্য হউক, কি অসৎকার্য হউক, প্রত্যেক জন আপনার কৃত কার্য অনুসারে দেহ দ্বারা উপার্জিত ফল পায়।
অতএব প্রভুর ভয় কি, তাহা জানাতে আমরা মনুষ্যদিগকে বুঝাইয়া লওয়াইতেছি, কিন্তু ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ রহিয়াছি; আর আমি প্রত্যাশা করি যে, আমরা তোমাদের বিবেকেরও প্রত্যক্ষ রহিয়াছি।
আমরা পুনরায় তোমাদের কাছে আপনাদিগকে যোগ্যপাত্র দেখাইতেছি না, কিন্তু আমাদের পক্ষে শ্লাঘা করিবার সুযোগ তোমাদিগকে দিতেছি, যেন, যাহারা হৃদয়ে নয়, সাক্ষাতে শ্লাঘা করে, তোমরা তাহাদিগকে উত্তর দিতে পার।
কেননা যদি আমরা হতবুদ্ধি হইয়া থাকি, তবে তাহা ঈশ্বরের জন্য; এবং যদি সুবুদ্ধি হই, তবে তাহা তোমাদের জন্য।
কারণ খ্রীষ্টের প্রেম আমাদিগকে বশে রাখিয়া চালাইতেছে; কেননা আমরা এইরূপ বিচার করিয়াছি যে, একজন সকলের জন্য মরিলেন, সুতরাং সকলেই মরিল;
আর তিনি সকলের জন্য মরিলেন, যেন, যাহারা জীবিত আছে, তাহারা আর আপনাদের উদ্দেশে নয়, কিন্তু তাঁহারই উদ্দেশে জীবন ধারণ করে, যিনি তাহাদের জন্য মরিয়াছিলেন, ও উত্থাপিত হইলেন।
অতএব এখন অবধি আমরা আর কাহাকেও মাংস অনুসারে জানি না; যদিও খ্রীষ্টকে মাংস অনুসারে জানিয়া থাকি, তথাপি এখন আর জানি না।
ফলতঃ কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল; পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেইগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে।
আর, সকলই ঈশ্বর হইতে হইয়াছে; তিনি খ্রীষ্ট দ্বারা আপনার সহিত আমাদের সম্মিলন করিয়াছেন, এবং সম্মিলনের পরিচর্যা-পদ আমাদিগকে দিয়াছেন;
বস্তুতঃ ঈশ্বর খ্রীষ্টে আপনার সহিত জগতের সম্মিলন করাইয়া দিতেছিলেন, তাহাদের অপরাধ সকল তাহাদের বলিয়া গণনা করিলেন না; এবং সেই সম্মিলনের বার্তা আমাদিগকে সমর্পণ করিয়াছেন।
কারণ বাস্তবিক আমরা এই তাম্বুর মধ্যে থাকিয়া আর্তস্বর করিতেছি, ইহার উপরে স্বর্গ হইতে প্রাপ্য আবাস-পরিহিত হইবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছি;
অতএব খ্রীষ্টের পক্ষেই আমরা রাজ-দূতের কর্ম করিতেছি; ঈশ্বর যেন আমাদের দ্বারা নিবেদন করিতেছেন; আমরা খ্রীষ্টের পক্ষে এই বিনতি করিতেছি, তোমরা ঈশ্বরের সহিত সম্মিলিত হও।
যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হই।
পরিহিত হইলে পর আমরা ত উলঙ্গ থাকিব না।
আর বাস্তবিক এই তাম্বুতে থাকিয়া আমরা ভারাক্রান্ত হওয়াতে আর্তস্বর করিতেছি; কেননা আমরা পরিচ্ছদ-বিহীন হইতে বাঞ্ছা করি না, কিন্তু ইহার উপরে পরিহিত হইতে বাঞ্ছা করি, যেন যাহা মর্ত্য, তাহা জীবনের দ্বারা কবলিত হয়।
তোমরা পরস্পর মধুর স্বভাব ও করুণচিত্ত হও, পরস্পর ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন।
যখনই তোমাদিগকে স্মরণ হয়, সর্বদাই আমি আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া,
কারণ আমাতে যেরূপ দেখিয়াছ, এবং এখনও আমাতে হইতেছে শুনিতেছ, সেইরূপ প্রাণপণ তোমাদেরও হইতেছে।
আমার সমস্ত বিনতিতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে প্রার্থনা করিয়া থাকি;
কারণ প্রথম দিবসাবধি অদ্য পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগিতা আছে।
অতএব খ্রীষ্টে যদি কোন আশ্বাস, যদি প্রেমের কোন সান্ত্বনা, যদি আত্মার কোন সহভাগিতা, যদি কোন স্নেহ ও করুণা থাকে,
যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের “সমুদয় জানু পাতিত হয়,
এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।
কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।
তোমরা বচসা ও তর্কবিতর্ক বিনা সমস্ত কার্য কর,
যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;
ইহাতে খ্রীষ্টের দিনে আমি এই শ্লাঘা করিবার হেতু পাইব যে, আমি বৃথা দৌড়াই নাই, বৃথা পরিশ্রমও করি নাই।
কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের যজ্ঞে ও সেবায় যদি আমি পেয় নৈবেদ্যরূপে সেচিতও হই, তথাপি আনন্দ করিতেছি, আর তোমাদের সকলের সঙ্গে আনন্দ করিতেছি।
সেই প্রকারে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।
আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করিতেছি যে, তীমথিয়কে শীঘ্রই তোমাদের কাছে পাঠাইব, যেন তোমাদের অবস্থা জানিয়া আমারও প্রাণ জুড়ায়।
তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
তাঁহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে খ্রীষ্টে সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি;
আর তাঁহার যে কার্যসাধক শক্তি আমাতে পরাক্রমে নিজ কার্য সাধন করিতেছে, তদনুসারে প্রাণপণ করিয়া আমি সেই অভিপ্রায়ে পরিশ্রমও করিতেছি।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।
আর এই সকলের উপরে প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে নিবেদন করিতেছি; যাঁহারা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন, এবং তোমাদিগকে চেতনা দেন, তাঁহাদিগকে চিনিয়া লও,
আর তাঁহাদের কর্ম প্রযুক্ত তাঁহাদিগকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর।
কিন্তু যেমন স্তন্যদাত্রী নিজ বৎসদের লালন পালন করে, তেমনি তোমাদের মধ্যে কোমল ভাব দেখাইয়াছিলাম;
সেইরূপে আমরা তোমাদিগকে স্নেহ করাতে কেবল ঈশ্বরের সুসমাচার নয়, আপন আপন প্রাণও তোমাদিগকে দিতে স্থির ইচ্ছুক ছিলাম, যেহেতু তোমরা আমাদের প্রিয়পাত্র হইয়াছিলে।
আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদিগকে এই আদেশ দিতেছি, যে কোন ভ্রাতা অনিয়মিতরূপে চলে, এবং তোমরা আমাদের নিকট হইতে যে শিক্ষা পাইয়াছ, তদনুসারে চলে না, তাহার সঙ্গ ত্যাগ কর;
বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
আমি এই উদ্দেশ্যে প্রচারক ও প্রেরিত বলিয়া নিযুক্ত; সত্য বলিতেছি, মিথ্যা বলিতেছি না; বিশ্বাসে ও সত্যে আমি পরজাতীয়দের শিক্ষক।
তুমি আমার কাছে যাহা যাহা শুনিয়াছ, সেই নিরাময় বাক্যসমূহের আদর্শ খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাসে ও প্রেমে ধারণ কর।
তোমার কাছে যে উত্তম ধন গচ্ছিত আছে, তাহা যিনি আমাদের অন্তরে বাস করেন, সেই পবিত্র আত্মা দ্বারা রক্ষা কর।
এই কারণ তোমাকে স্মরণ করাইয়া দিতেছি যে, আমার হস্তার্পণ দ্বারা ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ-দান তোমাতে আছে, তাহা উদ্দীপিত কর।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
আমি তোমাকে এই কারণে ক্রীতীতে রাখিয়া আসিয়াছি, যেন যাহা যাহা অসম্পূর্ণ, তুমি তাহা ঠিক করিয়া দেও, এবং যেমন আমি তোমাকে আদেশ দিয়াছিলাম, প্রত্যেক নগরে প্রাচীনদিগকে নিযুক্ত কর;
আমি উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ করিয়াছি, নিরূপিত পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়াইয়াছি, বিশ্বাস রক্ষা করিয়াছি।
এখন অবধি আমার নিমিত্ত ধার্মিকতার মুকুট তোলা রহিয়াছে; প্রভু, সেই ধর্মময় বিচারকর্তা, সেই দিন আমাকে তাহা দিবেন; কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁহার প্রকাশপ্রাপ্তি ভালবাসিয়াছে, সেই সকলকেও দিবেন।
তুমি তাহাদিগকে স্মরণ করাইয়া দেও, যেন তাহারা আধিপত্যের ও কর্তৃত্বের বশীভূত হয়,
যে ব্যক্তি দলভেদী, তাহাকে দুই একবার চেতনা দিবার পর অগ্রাহ্য কর;
জানিও, এইরূপ ব্যক্তি বিগড়াইয়া গিয়াছে, এবং সে পাপ করে, আপনি আপনাকেই দোষী করে।
আমি যখন তোমার নিকটে আর্তিমাকে কিম্বা তুখিককে পাঠাই, তখন তুমি নীকপলিতে আমার কাছে আসিতে যত্নবান হইও; কেননা সেই স্থানে আমি শীতকাল যাপন করিতে স্থির করিয়াছি।
ব্যবস্থাবেত্তা সীনাকে এবং আপল্লোকে যত্নপূর্বক পাঠাইয়া দেও, তাঁহাদের যেন কোন বিষয়ের অভাব না হয়।
আর আমাদের লোকেরাও প্রয়োজনীয় উপকারার্থে সৎকার্যে ব্যাপৃত হইতে অভ্যাস করুক, যেন ফলহীন হইয়া না পড়ে।
আমার সঙ্গীরা সকলে তোমাকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন। যাঁহারা বিশ্বাস সম্বন্ধে আমাদিগকে ভালবাসেন, তাঁহাদিগকে মঙ্গলবাদ দেও। অনুগ্রহ তোমাদের সকলের সহবর্তী হউক।
বাধ্য হয়, সর্বপ্রকার সৎক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, কাহারও নিন্দা না করে, নির্বিরোধ ও ক্ষান্তশীল হয়, সকল মনুষ্যের কাছে সম্পূর্ণ মৃদুতা দেখায়।
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
ভ্রাতৃপ্রেম স্থির থাকুক। তোমরা অতিথি সেবা ভুলিয়া যাইও না।
আমাদের এক যজ্ঞবেদি আছে, তাহার সামগ্রী ভোজন করিবার ক্ষমতা তাহাদের নাই, যাহারা তাম্বু সম্বন্ধে আরাধনা করে।
কারণ যে যে প্রাণীর রক্ত পাপার্থক উপহাররূপে মহাযাজকের দ্বারা পবিত্র স্থানের ভিতরে লইয়া যাওয়া হয়, সেই সকলের দেহ শিবিরের বাহিরে পোড়াইয়া দেওয়া যায়।
এই কারণ যীশুও, নিজ রক্ত দ্বারা প্রজাবৃন্দকে পবিত্র করিবার নিমিত্ত, পুরদ্বারের বাহিরে মৃত্যু ভোগ করিলেন।
অতএব আইস, আমরা তাঁহার দুর্নাম বহন করিতে করিতে শিবিরের বাহিরে তাঁহার নিকটে গমন করি।
কারণ এখানে আমাদের চিরস্থায়ী নগর নাই; কিন্তু আমরা সেই আগামী নগরের অন্বেষণ করিতেছি।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
আর উপকার ও সহভাগিতার কার্য ভুলিও না, কেননা সেই প্রকার যজ্ঞে ঈশ্বর প্রীত হন।
তোমরা তোমাদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য করিতেছেন- যেন তাঁহারা আনন্দপূর্বক সেই কার্য করেন, আর্তস্বরপূর্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, কেননা আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের সৎবিবেক আছে, সর্ববিষয়ে সদাচরণ করিতে বাঞ্ছা করিতেছি।
পরন্তু আমি যেন শীঘ্রই তোমাদিগকে পুনর্দত্ত হই, তজ্জন্য অধিক বিনতিপূর্বক তোমাদিগকে প্রার্থনা করিতে বলিলাম।
কেননা তদ্দ্বারা কেহ কেহ না জানিয়া দূতগণেরও আতিথ্য করিয়াছেন।
আর শান্তির ঈশ্বর, যিনি অনন্তকালস্থায়ী নিয়মের রক্ত প্রযুক্ত সেই মহান পাল-রক্ষককে, আমাদের প্রভু যীশুকে, মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন,
তিনি আপন ইচ্ছা সাধনার্থে তোমাদিগকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ব করুন, আপনার দৃষ্টিতে যাহা প্রীতিজনক, তাহা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, সমপন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁহার মহিমা হউক। আমেন।
হে ভ্রাতৃগণ, তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা এই উপদেশ-বাক্য সহ্য কর; আমি ত সংক্ষেপে তোমাদিগকে লিখিলাম।
আমাদের ভ্রাতা তীমথিয় মুক্তি পাইয়াছেন, ইহা জ্ঞাত হইবে; তিনি যদি শীঘ্র আইসেন, তবে আমি তাঁহার সহিত তোমাদিগকে দেখিব।
তোমরা আপনাদের সকল নেতাকে ও সকল পবিত্র লোককে মঙ্গলবাদ কর। ইতালিয়ার লোকেরা তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছে।
অনুগ্রহ তোমাদের সকলের সহবর্তী হউক। আমেন।
আপনাদিগকে সহবন্দি জানিয়া বন্দিগণকে স্মরণ করিও, আপনাদিগকে দেহবাসী জানিয়া দুর্দশাপন্ন সকলকে স্মরণ করিও।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,
তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;
তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।
কেননা “মর্ত্যমাত্র তৃণের তুল্য ও তাহার সমস্ত কান্তি তৃণপুষ্পের তুল্য; তৃণ শুষ্ক হইয়া গেল, এবং পুষ্প ঝরিয়া পড়িল,
কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর ইহা সেই সুসমাচারের বাক্য, যাহা তোমাদের নিকটে প্রচারিত হইয়াছে।
আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।
আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে আপনার অনন্ত প্রতাপ প্রদানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, তিনি নিজে তোমাদের ক্ষণিক দুঃখভোগের পর তোমাদিগকে পরিপক্ব, সুস্থির, সবল, বদ্ধমূল করিবেন।
যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই পরাক্রম হউক। আমেন।
কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক। আমেন।
আমরা যাহা দেখিয়াছি ও শুনিয়াছি, তাহার সংবাদ তোমাদিগকেও দিতেছি, যেন আমাদের সহিত তোমাদেরও সহভাগিতা হয়। আর আমাদের যে সহভাগিতা, তাহা পিতার এবং তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সহিত।
দেখ, পিতা আমাদিগকে কেমন প্রেম প্রদান করিয়াছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া আখ্যাত হই; আর আমরা তাহাই বটে। এই জন্য জগৎ আমাদিগকে জানে না, কারণ সে তাঁহাকে জানে নাই।
দেখ, আমি দ্বারে দাঁড়াইয়া আছি, ও আঘাত করিতেছি; কেহ যদি আমার রব শুনে ও দ্বার খুলিয়া দেয়, তবে আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব, ও তাহার সহিত ভোজন করিব, এবং সেও আমার সহিত ভোজন করিবে।
তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন, কখনও ধার্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না।
নিজ মিত্রকে ও পিতার মিত্রকে ত্যাগ করিও না; নিজ বিপদকালে ভ্রাতার গৃহে যাইও না; দূরস্থ ভ্রাতা অপেক্ষা নিকটস্থ প্রতিবাসী ভাল।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
পক্ষিগণ হইতে তোমরা কত অধিক শ্রেষ্ঠ! আর তোমাদের মধ্যে কে ভাবিত হইয়া আপন বয়স এক হস্তমাত্র বৃদ্ধি করিতে পারে?
শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেইরূপ দান করি না। তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক, ভীতও না হউক।
তাঁহারা প্রভুর সেবা ও উপবাস করিতেছিলেন, এমন সময়ে পবিত্র আত্মা কহিলেন, আমি বার্ণবা ও শৌলকে যে কার্যে আহ্বান করিয়াছি, সেই কার্যের নিমিত্ত আমার জন্য এখন তাহাদিগকে পৃথক করিয়া দেও।
কারণ পূর্বকালে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছিল, সেই সকল আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছিল, যেন শাস্ত্রমূলক ধৈর্য ও সান্ত্বনা দ্বারা আমরা প্রত্যাশা প্রাপ্ত হই।
ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ আমাকে দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে আমি জ্ঞানবান গাঁথকের ন্যায় ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছি; আর তাহার উপরে অন্যে গাঁথিতেছে; কিন্তু প্রত্যেক জন দেখুক, কিরূপে সে তাহার উপরে গাঁথে।
প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না,
প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না,
অধার্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে;
সকলই বহন করে, সকলই বিশ্বাস করে, সকলই প্রত্যাশা করে, সকলই ধৈর্যপূর্বক সহ্য করে।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,
মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
অতএব তোমরা আর অসমপর্কীয় ও প্রবাসী নহ, কিন্তু পবিত্রগণের সহপ্রজা এবং ঈশ্বরের বাটীর লোক।
সেই সকলেতে তোমরা পূর্বে চলিতে, এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কর্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য করিতেছে, সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলিতে।
তোমাদিগকে প্রেরিত ও ভাববাদিগণের ভিত্তিমূলের উপরে গাঁথিয়া তোলা হইয়াছে; তাহার প্রধান কোণস্থ প্রস্তর স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশু।
তাঁহাতেই প্রত্যেক গাঁথনি সুসংলগ্ন হইয়া প্রভুতে পবিত্র মন্দির হইবার জন্য বৃদ্ধি পাইতেছে;
তাঁহাতে আত্মাতে ঈশ্বরের আবাস হইবার নিমিত্ত তোমাদিগকেও একসঙ্গে গাঁথিয়া তোলা হইতেছে।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
যেন তাহাদের হৃদয় আশ্বাস পায়, তাহারা প্রেমে পরস্পর সংসক্ত হইয়া জ্ঞানের নিশ্চয়তারূপ সমস্ত ধনে ধনী হইয়া উঠে, যেন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব, অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানিতে পায়।
তোমরা যখন জগতের অক্ষরমালা ছাড়িয়া খ্রীষ্টের সহিত মরিয়াছ, তখন কেন জগজ্জীবীদের ন্যায় এই সকল বিধির অধীন হইতেছ,
যথা, ধরিও না, আস্বাদ লইও না, স্পর্শ করিও না?
সেই সকল বস্তু ত ভোগ দ্বারা ক্ষয় পাইবার নিমিত্তই হইয়াছে। ঐ সকল বিধি মনুষ্যদের বিবিধ আদেশ ও ধর্মসূত্রের অনুরূপ।
আত্মপূজা, নম্রতা ও কৃচ্ছ্রসাধন এই সকল জ্ঞান নামে কীর্তিত বটে, তথাপি মাংসের পোষকতার বিরুদ্ধে কিছুর মধ্যে গণ্য নহে।
ইঁহার মধ্যে জ্ঞানের ও বিদ্যার সমস্ত নিধি গুপ্ত রহিয়াছে।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত না হও।
কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন।
বৎস তীমথিয়, তোমার বিষয়ে পূর্বকার সকল ভাববাণী অনুসারে আমি তোমার নিকটে এই আদেশ সমর্পণ করিলাম, যেন তুমি সেই সকলের গুণে উত্তম যুদ্ধ করিতে পার,
যেন বিশ্বাস ও সৎবিবেক রক্ষা কর; সৎবিবেক দূরে ফেলাতে কাহারও কাহারও বিশ্বাস-রূপ নৌকা ভগ্ন হইয়াছে।
এই কথা বিশ্বাসনীয়; কারণ আমরা যদি তাঁহার সহিত মরিয়া থাকি, তাঁহার সহিত জীবিতও হইব;
যদি সহ্য করি, তাঁহার সহিত রাজত্বও করিব; যদি তাঁহাকে অস্বীকার করি, তিনিও আমাদিগকে অস্বীকার করিবেন;
আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই, তথাপি তিনি বিশ্বস্ত থাকেন; কারণ তিনি আপনাকে অস্বীকার করিতে পারেন না।
কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা সমুদয় মনুষ্যের জন্য পরিত্রাণ আনয়ন করে,
তাহা আমাদিগকে শাসন করিতেছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ সকল অস্বীকার করিয়া সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্তমান যুগে জীবন যাপন করি,
এবং পরমধন্য আশাসিদ্ধির জন্য, এবং মহান ঈশ্বর ও আমাদের ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের প্রতাপের প্রকাশ প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করি।
ইনি আমাদের নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন, যেন মূল্য দিয়া আমাদিগকে সমস্ত অধর্ম হইতে মুক্ত করেন, এবং আপনার নিমিত্ত নিজস্ব প্রজাবর্গকে, সৎক্রিয়াতে উদ্যোগী প্রজাবর্গকে, শুচি করেন।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;
এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর উপর হইতে আইসে, জ্যোতির্গণের সেই পিতা হইতে নামিয়া আইসে, যাঁহাতে অবস্থান্তর কিম্বা পরিবর্তনের ছায়া নাই।
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
কিন্তু সদাপ্রভু, আমি তোমার উপরে নির্ভর করিলাম; আমি কহিলাম, তুমিই আমার ঈশ্বর।
আমার সময় সকল তোমার হস্তে রহিয়াছে; আমার শত্রুগণের হস্ত হইতে, আমার তাড়নাকারিগণ হইতে, আমাকে উদ্ধার কর।
আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন।
আমি তোমার ধর্মশীলতা নিজ হৃদয়মধ্যে সঙ্গোপন করি নাই, তোমার বিশ্বস্ততা ও তোমার পরিত্রাণ প্রচার করিয়াছি; তোমার দয়া ও সত্য মহাসমাজ হইতে গুপ্ত রাখি নাই।
হে সদাপ্রভু, তুমিও আমা হইতে আপন করুণা রুদ্ধ করিও না; তব দয়া ও তব সত্য সতত আমাকে রক্ষা করুক।
কেননা অসংখ্য বিপদ আমাকে ঘেরিয়াছে; আমার অপরাধ সকল আমাকে ধরিয়াছে; আমি দেখিতে পাইতেছি না; আমার মস্তকের কেশ অপেক্ষাও সেই সকল অধিক, আমার হৃদয় আমাকে ছাড়িয়াছে।
সদাপ্রভু, অনুগ্রহ করিয়া আমাকে উদ্ধার কর, সদাপ্রভু, আমার সাহায্য করিতে সত্বর হও।
তাহারা সকলেই লজ্জিত ও হতাশ হউক, যাহারা সংহার করিতে আমার প্রাণের অন্বেষণ করে, তাহারা ফিরিয়া যাউক, অপমানিত হউক, যাহারা আমার বিপদে প্রীত হয়।
তাহারা আপনাদের লজ্জা প্রযুক্ত স্তম্ভিত হউক, যাহারা আমাকে বলে, অহো! অহো!
যাহারা তোমার অন্বেষণ করে, তাহারা সকলে তোমাতে আমোদ ও আনন্দ করুক; যাহারা তোমার পরিত্রাণ ভালবাসে, তাহারা সতত বলুক, সদাপ্রভু মহিমান্বিত হউন।
আমি দুঃখী ও দরিদ্র, প্রভুই আমার পক্ষে চিন্তা করেন; তুমি আমার সহায় ও আমার নিস্তারকর্তা; হে আমার ঈশ্বর, বিলম্ব করিও না।
তিনি বিনাশের গর্ত হইতে, পঙ্কময় ভূমি হইতে, আমাকে তুলিলেন, তিনি শৈলের উপরে আমার চরণ রাখিলেন, আমার পাদসঞ্চার দৃঢ় করিলেন।
তিনি আমার মুখে নূতন গীত, আমাদের ঈশ্বরের স্তব দিলেন; অনেকে ইহা দেখিবে, ভীত হইবে, ও সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিবে।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;
তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে আমার কথা শুনে, যে প্রতিদিন আমার দ্বারে জাগ্রত থাকে, আমার দ্বারের চৌকাঠে থাকিয়া অপেক্ষা করে।
কেননা যে আমাকে পায়, সে জীবন পায়, এবং সদাপ্রভুর অনুগ্রহ ভোগ করে।
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
তোমরা চিরকাল সদাপ্রভুতে নির্ভর রাখ; কেননা সদাপ্রভু যিহোবাতেই যুগসমূহের শৈল।
অতএব কল্যকার নিমিত্ত ভাবিত হইও না, কেননা কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিত হইবে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।
তৎপরে প্রভু আরও সত্তর জনকে নিযুক্ত করিলেন, আর আপনি যেখানে যেখানে যাইতে উদ্যত ছিলেন, সেই সমস্ত নগরে ও স্থানে আপনার অগ্রে দুই দুই জন করিয়া তাহাদিগকে প্রেরণ করিলেন।
কিন্তু তোমরা যে কোন নগরে প্রবেশ কর, লোকেরা যদি তোমাদিগকে গ্রহণ না করে, তবে বাহির হইয়া সেই নগরের পথে পথে গিয়া এই কথা বলিও,
তোমাদের নগরের যে ধুলা আমাদের পায়ে লাগিয়াছে, তাহাও তোমাদের বিরুদ্ধে ঝাড়িয়া দিই; তথাপি ইহা জানিও যে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট হইল।
আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, সেই দিন সেই নগরের দশা হইতে বরং সদোমের দশা সহনীয় হইবে।
কোরাসীন, ধিক্ তোমাকে! বৈৎসৈদা, ধিক্ তোমাকে! কেননা তোমাদের মধ্যে যে সকল পরাক্রম-কার্য করা গিয়াছে, সেই সকল যদি সোর ও সীদোনে করা যাইত, তবে অনেক দিন পূর্বে তাহারা চট পরিয়া ভস্মে বসিয়া মন ফিরাইত।
কিন্তু বিচারে তোমাদের দশা হইতে বরং সোর ও সীদোনের দশা সহনীয় হইবে।
আর হে কফরনাহূম, তুমি না কি স্বর্গ পর্যন্ত উচ্চীকৃত হইবে? তুমি পাতাল পর্যন্ত নামিয়া যাইবে।
যে তোমাদিগকে মানে, সে আমাকেই মানে; এবং যে তোমাদিগকে অগ্রাহ্য করে, সে আমাকেই অগ্রাহ্য করে; আর যে আমাকে অগ্রাহ্য করে, সে তাঁহাকেই অগ্রাহ্য করে, যিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন।
পরে সেই সত্তর জন আনন্দে ফিরিয়া আসিয়া কহিল, প্রভু, আপনার নামে ভূতগণও আমাদের বশীভূত হয়।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, আমি শয়তানকে বিদ্যুতের ন্যায় স্বর্গ হইতে পতিত দেখিতেছিলাম।
দেখ, আমি তোমাদিগকে সর্প ও বৃশ্চিক পদতলে দলিত করিবার, এবং শত্রুর সমস্ত শক্তির উপরে কর্তৃত্ব করিবার ক্ষমতা দিয়াছি। কিছুতেই কোন মতে তোমাদের হানি করিবে না;
তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প; অতএব শস্যক্ষেত্রের মালিকের নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
তথাপি আত্মারা যে তোমাদের বশীভূত হয়, ইহাতে আনন্দ করিও না; কিন্তু তোমাদের নাম যে স্বর্গে লিখিত আছে, ইহাতেই আনন্দ কর।
সেই দণ্ডে তিনি পবিত্র আত্মায় উল্লসিত হইলেন ও কহিলেন, হে পিতঃ, স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার ধন্যবাদ করিতেছি, কেননা তুমি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমানদের হইতে এই সকল বিষয় গুপ্ত রাখিয়া শিশুদের নিকটে এই সকল প্রকাশ করিয়াছ। হাঁ, পিতঃ, কেননা ইহা তোমার দৃষ্টিতে প্রীতিজনক হইল।
সকলই আমার পিতাকর্তৃক আমাকে সমর্পিত হইয়াছে; এবং পুত্র কে, তাহা কেহ জানে না, কেবল পিতা জানেন; আর পিতা কে, তাহা কেহ জানে না, কেবল পুত্র জানেন, আর পুত্র যাহার নিকটে তাঁহাকে প্রকাশ করিতে মানস করেন, সে জানে।
পরে তিনি শিষ্যগণের প্রতি ফিরিয়া বিরলে কহিলেন, ধন্য সেই সকল চক্ষু, তোমরা যাহা যাহা দেখিতেছ, যাহারা তাহা দেখে।
কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা যাহা যাহা দেখিতেছ, তাহা অনেক ভাববাদী ও রাজা দেখিতে বাঞ্ছা করিয়াও দেখিতে পান নাই; এবং তোমরা যাহা যাহা শুনিতেছ, তাহা তাঁহারা শুনিতে বাঞ্ছা করিয়াও শুনিতে পান নাই।
আর দেখ, একজন ব্যবস্থাবেত্তা উঠিয়া তাঁহার পরীক্ষা করিয়া কহিল, হে গুরু, কি করিলে আমি অনন্ত জীবনের অধিকারী হইব?
তিনি তাহাকে কহিলেন, ব্যবস্থায় কি লেখা আছে? কিরূপ পাঠ করিতেছ?
সে উত্তর করিয়া কহিল, “তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত শক্তি ও তোমার সমস্ত চিত্ত দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, এবং তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
তিনি তাহাকে কহিলেন, যথার্থ উত্তর করিলে; তাহাই কর, তাহাতে জীবন পাইবে।
কিন্তু সে আপনাকে নির্দোষ দেখাইবার ইচ্ছায় যীশুকে বলিল, ভাল, আমার প্রতিবাসী কে?
তোমরা যাও, দেখ, কেন্দুয়াদের মধ্যে যেমন মেষশাবক, তদ্রূপ তোমাদিগকে প্রেরণ করিতেছি।
তোমরা যে আমাকে মনোনীত করিয়াছ, এমন নয়, কিন্তু আমিই তোমাদিগকে মনোনীত করিয়াছি; আর আমি তোমাদিগকে নিযুক্ত করিয়াছি, যেন তোমরা গিয়া ফলবান হও, এবং তোমাদের ফল যেন থাকে; যেন তোমরা আমার নামে পিতার নিকটে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা তিনি তোমাদিগকে দেন।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
যাহারা এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা রাখে;
যেন পরের উপকার করে, সৎ ক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;
এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত, ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
অতএব আমরা সাহসপূর্বক বলিতে পারি, “প্রভু আমার সহায়, আমি ভয় করিব না; মনুষ্য আমার কি করিবে?”