মে দিবস। একটা বিশেষ দিন। আমরা যারা পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করি, তাদের শ্রম আর আন্তরিকতাকে স্মরণ করার দিন। এই বিশেষ দিনে বাইবেলের একটা কথা মনে পড়ছে। হিতোপদেশ ১৪:২৩ পদে বলা হয়েছে, "সব পরিশ্রমেই লাভ আছে, কিন্তু অলস কথা দারিদ্র্য আনে।"
কথাটা আমাদের ভাবায়। কাজের আসল মূল্য কী? আমরা যে কাজই করি না কেন, শারীরিক কি মানসিক, ছোট কি বড়, ঈশ্বরের কাছে সব কাজই মূল্যবান। কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের দক্ষতা ব্যবহার করতে পারি, নতুন কিছু শিখতে পারি, আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। আর সবচেয়ে বড় কথা, পৃথিবীতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি।
তবে কাজকে সবকিছুর উপরে রাখা ঠিক নয়। "অলস কথা দারিদ্র্য আনে" -- কথাটা মনে রাখতে হবে। শুধু নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, মান-সম্মানের জন্য কাজ করলে আমরা শূন্যতায় ভুগব।
খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের মনে রাখতে হবে, কাজ হল অন্যদের সেবা করার একটা মাধ্যম। আমাদের পেশা যাই হোক না কেন, আমরা চারপাশের মানুষদের সাহায্য করতে পারি, তাদের উৎসাহ দিতে পারি, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারি। অন্ধকারের মাঝে আলো হতে পারি। যাদের আমাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে সান্ত্বনা নিয়ে যেতে পারি। আমাদের কাজের মাধ্যমেই ঈশ্বরের প্রেম প্রকাশ করতে পারি।
এই মে দিবসে, আমাদের সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সাথে সাথে বাইবেলের শিক্ষাও মনে রাখি। কাজের আসল উদ্দেশ্য কী, তার অর্থ কী, সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। আন্তরিকতা, নম্রতা এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করি। মনে রাখি, আমাদের কাজের মাধ্যমে আমরা অন্যের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি, ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করতে পারি।
যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
আমি জানি, যাবজ্জীবন আনন্দ ও সৎকর্ম করণ ব্যতীত আর মঙ্গল তাহাদের হয় না।আর প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।
চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার হাতে কিছু থাকে।
তোমার হস্ত যে কোন কার্য করিতে পায়, তোমার শক্তির সহিত তাহা কর; কেননা তুমি যে স্থানে যাইতেছ, সেই পাতালে কোন কার্য কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
যে আপন জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট আহার পায়; কিন্তু যে অসারদের পিছনে পিছনে দৌড়ায়, সে বুদ্ধিবিহীন।
আর আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রসন্নভাব আমাদের উপরে বর্তুক; আর তুমি আমাদের পক্ষে আমাদের হস্তের কর্ম স্থায়ী কর, আমাদের হস্তের কর্ম তুমি স্থায়ী কর।
আপনাদের বিষয়ে সাবধান হও; আমরা যাহা সাধন করিয়াছি, তাহা যেন তোমরা না হারাও, কিন্তু যেন সম্পূর্ণ পুরস্কার পাও।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?
কারণ আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, তখন তোমাদিগকে এই আদেশ দিতাম যে, যদি কেহ কার্য করিতে না চায়, তবে সে আহারও না করুক।
কিন্তু তোমাদিগকে বিনয় করিয়া বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, আরও অধিক উপচিয়া পড়, আর শান্ত ভাবে থাকিতে ও আপন আপন কার্য করিতে এবং স্বহস্তে পরিশ্রম করিতে সযত্ন হও-যেমন আমরা তোমাদিগকে আদেশ দিয়াছি- যেন বহিঃস্থ লোকদের প্রতি তোমরা শিষ্টাচারী হও, এবং তোমাদের কিছুরই অভাব না থাকে।
দেখ, আমি দেখিয়াছি, ইহাই উত্তম ও মনোরঞ্জক, ঈশ্বর মনুষ্যকে যে কয় দিন পরমায়ু দেন, সেই সমস্ত দিন সে যেন সূর্যের নিচে আপনার কর্তব্য সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে ভোজন পান ও সুখভোগ করে, কারণ ইহাই তাহার অংশ।
তুমি ঘর্মাক্ত মুখে আহার করিবে, যে পর্যন্ত তুমি মৃত্তিকায় প্রতিগমন না করিবে; তুমি তো তাহা হইতে গৃহীত হইয়াছ; কেননা তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।
সতত আনন্দ কর;অবিরত প্রার্থনা কর;সর্ববিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ইহাই তোমাদের উদ্দেশে ঈশ্বরের ইচ্ছা।
কিন্তু আমি নিজ প্রাণকেও কিছুর মধ্যে গণ্য করি না, আমার পক্ষে মহামূল্য গণ্য করি না, যেন নিরূপিত পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়াইতে পারি, এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহের সুসমাচারের পক্ষে সাক্ষ্য দিবার যে পরিচর্যা পদ প্রভু যীশু হইতে পাইয়াছি, তাহা সমাপ্ত করিতে পারি।
তুমি কি কোন ব্যক্তিকে তাহার ব্যাপারে তৎপর দেখিতেছ? সে রাজগণের সাক্ষাতে দাঁড়াইবে, সে নীচ লোকদের সাক্ষাতে দাঁড়াইবে না।
প্রভুরা, তোমরা দাসদের প্রতি ন্যায় ও সাম্য ব্যবহার কর, জানিও যে, তোমাদেরও এক প্রভু স্বর্গে আছেন।
হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।তাহার বিচারকর্তা কেহ নাই, শাসনকর্তা কি অধ্যক্ষ কেহ নাই,তবু সে গ্রীষমকালে তাহার খাদ্য জমা করে, শস্য কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে।
কিন্তু আমি বলি এই, যে অল্প পরিমাণে বীজ বুনে, সে অল্প পরিমাণে শস্যও কাটিবে; আর যে ব্যক্তি আশীর্বাদের সহিত বীজ বুনে, সে আশীর্বাদের সহিত শস্যও কাটিবে।
আর সেই বাটীতেই থাকিও, এবং তাহারা যাহা দেয়, তাহাই ভোজন পান করিও; কেননা কার্যকারী লোক আপন বেতনের যোগ্য! এক বাটী হইতে অন্য বাটীতে যাইও না।
কারণ শাস্ত্রে বলে, “শস্যমর্দনকারী বলদের মুখে জাল্তি বাঁধিও না;” আর, “কার্যকারী আপন বেতনের যোগ্য।”
যে আপন জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট আহার পায়; কিন্তু যে অসার লোকদের পিছনে পিছনে দৌড়ায়, তাহার ঢের অকুলান হয়।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
আর আমি তাহাকে ঈশ্বরের আত্মায়- জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, বিদ্যায় ও সর্বপ্রকার শিল্প-কৌশলে- পরিপূর্ণ করিলাম;যাহাতে সে কৌশলের কার্য কল্পনা করিতে পারে, স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তলের কার্য করিতে পারে,খচনার্থক মণি কাটিতে, কাষ্ঠ খুদিতে ও সর্বপ্রকার শিল্পকার্য করিতে পারে।
যে সকল লোক জোঁয়ালির অধীন দাস, তাহারা আপন আপন কর্তাদিগকে সম্পূর্ণ সমাদরের যোগ্য জ্ঞান করুক, যেন ঈশ্বরের নাম এবং শিক্ষা নিন্দিত না হয়।
এবং স্বহস্তে কার্য করিয়া পরিশ্রম করিতেছি; নিন্দিত হইতে হইতে আশীর্বাদ করিতেছি, তাড়িত হইতে হইতে সহ্য করিতেছি,
এইরূপে আমরা প্রাচীর গাঁথিলাম, তাহাতে [উচ্চতার] অর্ধ পর্যন্ত সমস্ত প্রাচীর সংযোজিত হইল, কারণ কার্য করিতে লোকদের মন ছিল।
যদি সদাপ্রভু গৃহ নির্মাণ না করেন, তবে নির্মাতারা বৃথাই পরিশ্রম করে; যদি সদাপ্রভু নগর রক্ষা না করেন, রক্ষক বৃথাই জাগরণ করে।
শ্রমজীবী অধিক বা অল্প আহার করুক, নিদ্রা তাহার মিষ্ট লাগে; কিন্তু ধনবানের পূর্ণতা তাহাকে নিদ্রা যাইতে দেয় না।
তুমি তাহাকে অবশ্য দিবে, দিবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হইবে না; কেননা এই কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সমস্ত কর্মে, এবং তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে সেই সকলেতে তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।
সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
ধন্য সেই জন, যে কেহ সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার সকল পথে চলে।বাস্তবিক তুমি স্বহস্তের শ্রম-ফল ভোগ করিবে, তুমি ধন্য হইবে, ও তোমার মঙ্গল হইবে।
কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
তিনি খুদিতে ও শিল্পকর্ম করিতে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সূত্রে সূচিকর্ম করিতে ও তাঁতের কর্ম করিতে, অর্থাৎ যাবতীয় শিল্পকর্ম ও চিত্রকর্ম করিতে তাঁহাদের হৃদয় বিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করিলেন।
যাহার যাহা প্রাপ্য, তাহাকে তাহা দেও। যাঁহাকে কর দিতে হয়, কর দেও; যাঁহাকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দেও; যাঁহাকে ভয় করিতে হয়, ভয় কর; যাঁহাকে সমাদর করিতে হয়, সমাদর কর।
তুমি ছয় দিন পরিশ্রম করিবে, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিবে; চাষের ও ফসল কাটিবার সময়েও বিশ্রাম করিবে।
যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে বিশ্বস্ত, সে প্রচুর বিষয়েও বিশ্বস্ত; আর যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে অধার্মিক, সে প্রচুর বিষয়েও অধার্মিক।
তুমি প্রাতঃকালে আপন বীজ বপন কর, এবং সায়ংকালেও হস্ত নিবৃত্ত করিও না। কেননা ইহা কিম্বা উহা, কোন্টা সফল হইবে, কিম্বা উভয় সমভাবে উৎকৃষ্ট হইবে, তাহা তুমি জান না।
তাহারা গৃহ নির্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না, তাহারা রোপণ করিলে অন্যে ভোগ করিবে না; বস্তুতঃ আমার প্রজাদের আয়ু বৃক্ষের আয়ুর তুল্য হইবে, এবং আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে।
তুমি আপন প্রতিবাসীর উপর অত্যাচার করিও না, এবং তাহার দ্রব্য অপহরণ করিও না। বেতনজীবীর বেতন প্রাতঃকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি রাখিও না।
আর আপনি সর্ববিষয়ে সৎক্রিয়ার আদর্শ হও, শিক্ষাতে অবিকার্যতা, ধীরতা,এবং অদূষ্য নিরাময় বাক্য প্রদর্শন কর; যেন বিপক্ষ আমাদের বিষয়ে মন্দ বলিবার সূত্র না পাওয়াতে লজ্জিত হয়।
কিন্তু যে কেহ হেঁট হইয়া স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে, ও তাহাতে নিবিষ্ট থাকে, ভুলিয়া যাইবার শ্রোতা না হইয়া কার্যকারী হয়, সেই আপন কার্যে ধন্য হইবে।
দাসেরা, যাহারা মাংসের সম্বন্ধে তোমাদের প্রভু, তোমরা তাহাদের আজ্ঞাবহ হও; চাক্ষুষ সেবা দ্বারা মনুষ্যের তুষ্টিকরের মত নয়, কিন্তু অন্তঃকরণের সরলতায় প্রভুকে ভয় করিয়া আজ্ঞাবহ হও।
আমি নিশ্চয় বলিয়াছিলাম; তোমার কুল ও তোমার পিতৃকুল যুগে যুগে আমার সম্মুখে গমনাগমন করিবে, কিন্তু এখন সদাপ্রভু কহেন, তাহা আমা হইতে দূরে থাকুক। কেননা যাহারা আমাকে গৌরবান্বিত করে, তাহাদিগকে আমি গৌরবান্বিত করিব; কিন্তু যাহারা আমাকে তুচ্ছ করে, তাহারা তুচ্ছীকৃত হইবে।
কেননা স্বর্গ-রাজ্য এমন একজন গৃহকর্তার তুল্য, যিনি প্রভাত কালে আপন দ্রাক্ষাক্ষেত্রে মজুর লাগাইবার জন্য বাহিরে গেলেন।পরে যাহারা প্রথমে লাগিয়াছিল, তাহারা আসিয়া মনে করিল, আমরা বেশী পাইব; কিন্তু তাহারাও এক এক সিকি পাইল।পাইয়া তাহারা সেই গৃহকর্তার বিরুদ্ধে বচসা করিয়া বলিতে লাগিল,শেষের ইহারা ত এক ঘণ্টা মাত্র খাটিয়াছে, আমরা সমস্ত দিন খাটিয়াছি ও রৌদ্রে পুড়িয়াছি, আপনি ইহাদিগকে আমাদের সমান করিলেন।তিনি উত্তর করিয়া তাহাদের একজনকে কহিলেন, হে বন্ধু! আমি তোমার প্রতি কোন অন্যায় করি নাই; তুমি কি আমার নিকটে এক সিকিতে স্বীকার কর নাই?তোমার যাহা পাওনা, তাহা লইয়া চলিয়া যাও; আমার ইচ্ছা, তোমাকে যাহা, ঐ শেষের জনকেও তাহাই দিব।আমার নিজের যাহা, তাহা আপনার ইচ্ছামত ব্যবহার করিবার অধিকার কি আমার নাই? না আমি দয়ালু বলিয়া তোমার চক্ষু টাটাইতেছে?এইরূপে যাহারা শেষের, তাহারা প্রথম হইবে, এবং যাহারা প্রথম, তাহারা শেষে পড়িবে।
দেখ, আমি দেখিয়াছি, ইহাই উত্তম ও মনোরঞ্জক, ঈশ্বর মনুষ্যকে যে কয় দিন পরমায়ু দেন, সেই সমস্ত দিন সে যেন সূর্যের নিচে আপনার কর্তব্য সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে ভোজন পান ও সুখভোগ করে, কারণ ইহাই তাহার অংশ।আবার ঈশ্বর যে কোন ব্যক্তিকে ধন-সম্পত্তি দান করেন, তাহাকে তাহা ভোগ করিতে, আপন অংশ লইতে ও আপন পরিশ্রমে আনন্দ করিতে ক্ষমতা দেন, ইহাই ঈশ্বরের দান।
তোমরা বচসা ও তর্কবিতর্ক বিনা সমস্ত কার্য কর,যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;
তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।
তিনি তাহাকে কহিলেন, ধন্য! উত্তম দাস, তুমি অতি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে; এই জন্য দশ নগরের উপরে কর্তৃত্ব কর।
পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।
ভাল, তোমরা যেমন সর্ববিষয়ে উপচিয়া পড়িতেছ- বিশ্বাসে, বক্তৃতায়, জ্ঞানে, সর্বপ্রকার যত্নে, এবং আমাদের প্রতি তোমাদের প্রেমে- তেমনি যেন এই অনুগ্রহ-কার্যেও উপচিয়া পড়।
অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।
ধিক্ তাহাকে, যে অধর্ম দ্বারা আপন বাটী, ও অন্যায় দ্বারা আপন উচ্চ কুঠরি নির্মাণ করে, যে বিনা বেতনে আপন প্রতিবাসীকে খাটায়, এবং তাহার শ্রমের ফল তাহাকে দেয় না;
যে গ্রীষমকালে সঞ্চয় করে, সে বুদ্ধিমান পুত্র; যে শস্য কাটিবার সময় নিদ্রিত থাকে, সে লজ্জাজনক পুত্র।
ভোজন পান করা এবং নিজ পরিশ্রমের মধ্যে প্রাণকে সুখভোগ করানো ব্যতীত আর মঙ্গল মানুষের হয় না; ইহাও আমি দেখিলাম যে, তাহা ঈশ্বরের হস্ত হইতে হয়।
কিন্তু যে না জানিয়া প্রহারের যোগ্য কর্ম করিয়াছে, সে অল্প প্রহারে প্রহারিত হইবে। আর যে কোন ব্যক্তিকে অধিক দত্ত হইয়াছে, তাহার নিকটে অধিক দাবি করা যাইবে; এবং লোকে যাহার কাছে অধিক রাখিয়াছে, তাহার নিকটে অধিক চাহিবে।
শস্য কাটিবার সময়ে যেমন হিমের স্নিগ্ধতা, তেমনি প্রেরণকর্তাদের পক্ষে বিশ্বস্ত দূত; কারণ সে আপন কর্তার প্রাণ জুড়ায়।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
আর পরজাতীয়দের মধ্যে আপন আপন আচার-ব্যবহার উত্তম করিয়া রাখ; তাহা হইলে তাহারা যে বিষয়ে দুষ্কর্মকারী বলিয়া তোমাদের পরিবাদ করে, স্বচক্ষে তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিলে সেই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের দিনে ঈশ্বরের গৌরব করিবে।
তোমার ভ্রাতা হউক, কিম্বা তোমার দেশের নগরদ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী হউক, দীনদুঃখী বেতনজীবীর প্রতি উপদ্রব করিবে না।কার্যের দিবসে তাহার বেতন তাহাকে দিবে; সূর্যের অস্তগমন পর্যন্ত তাহা রাখিবে না; কেননা সে দরিদ্র, এবং সেই বেতনের উপরে তাহার মন পড়িয়া থাকে; পাছে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুকে ডাকে, আর এই বিষয়ে তোমার পাপ হয়।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।
আর সদাপ্রভু যোষেফের সহবর্তী ছিলেন, এবং তিনি সফলকর্মা হইলেন, ও আপন মিসরীয় প্রভুর গৃহে রহিলেন।অতএব যোষেফের প্রভু তাঁহাকে লইয়া কারাগারে রাখিলেন, যে স্থানে রাজার বন্দিগণ বদ্ধ থাকিত; তাহাতে তিনি সেখানে, সেই কারাগারে থাকিলেন।কিন্তু সদাপ্রভু যোষেফের সহবর্তী ছিলেন, এবং তাঁহার প্রতি দয়া করিলেন; ও তাঁহাকে কারারক্ষকের দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র করিলেন।তাহাতে কারারক্ষক কারাস্থিত সমস্ত বন্দির ভার যোষেফের হস্তে সমর্পণ করিলেন, আর তথাকার লোকদের সমস্ত কর্ম যোষেফের আজ্ঞা অনুসারে চলিতে লাগিল।কারারক্ষক তাঁহার হস্তগত কোন বিষয়ে দৃষ্টিপাত করিতেন না, কেননা সদাপ্রভু তাঁহার সহবর্তী ছিলেন, এবং তিনি যাহা কিছু করিতেন সদাপ্রভু তাহা সফল করিতেন।আর সদাপ্রভু তাঁহার সহবর্তী আছেন, এবং তিনি যাহা কিছু করেন, সদাপ্রভু তাঁহার হস্তে তাহা সফল করিতেছেন, ইহা তাঁহার প্রভু দেখিলেন।
অতএব আমি দেখিলাম, আপন কর্মে আনন্দ করণ ব্যতীত আর মঙ্গল মনুষ্যের নাই; কেননা ইহাই তাহার অধিকার। মনুষ্যের মৃত্যুর পরে যাহা ঘটিবে, কে তাহাকে আনিয়া তাহা দেখাইতে পারে?
আর যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার প্রাণের ইষ্ট ভক্ষ্য দেও, ও দুঃখার্ত প্রাণীকে আপ্যায়িত কর, তবে অন্ধকারে তোমার দীপ্তি উদিত হইবে, ও তোমার তিমির মধ্যাহ্নের সমান হইবে।আর সদাপ্রভু নিয়ত তোমাকে পথ প্রদর্শন করিবেন, মরুভূমিতে তোমার প্রাণ তৃপ্ত করিবেন, ও তোমার অস্থি সকল বলবান করিবেন, তাহাতে তুমি জলসিক্ত উদ্যানের ন্যায় হইবে, এবং এমন জলের উনুইয়ের ন্যায় হইবে, যাহার জল শুকায় না।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।