বিয়ের বন্ধনটা যেন ঈশ্বরকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে, কারণ তাঁর অসীম ক্ষমতা ছাড়া আমরা কী করে জীবনসঙ্গীর প্রতি স্নেহশীল এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে পারি? ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট বিয়ে অনেক বেশি সুদৃঢ় হয়। তাই, উপাসনা এবং পবিত্র আত্মার সান্নিধ্য লাভের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের জন্য খুবই জরুরি।
সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতন, জীবনের সবকিছু ঈশ্বরের কাছে ন্যস্ত করতে হবে প্রার্থনার মাধ্যমে। তাহলেই দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে পারি, আর প্রতিটা বিবাহবার্ষিকীতে আপনজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারি।
ঈশ্বরের অশেষ করুণার কথা স্মরণ করে এবং সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোটা ভুলে গেলে চলবে না। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা উপলব্ধি করতে হবে এবং ঈশ্বরের হাত ধরে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
সূর্যের নিচে ঈশ্বর তোমাকে অসার জীবনের যত দিন দিয়াছেন, তোমার সেই সমস্ত অসার দিন থাকিতে তুমি আপন প্রিয়া স্ত্রীর সহিত সুখে জীবন যাপন কর, কেননা জীবনের মধ্যে, এবং তুমি সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হইতেছ, তাহার মধ্যে ইহাই তোমার অধিকার।
এই কারণ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে।
তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিবেন, সেই দেশে তোমার দীর্ঘ পরমায়ু হয়।
তখন আদম কহিলেন, এইবার [হইয়াছে]; ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস; ইঁহার নাম নারী হইবে, কেননা ইনি নর হইতে গৃহীত হইয়াছেন।
তোমার কুচযুগল দুই হরিণ-শাবকের, হরিণীর দুই যমজ বৎসের ন্যায়, যাহারা শোশন পুষ্পবনে চরে।যাবৎ দিবস শীতল না হয়, ও ছায়া সকল পলায়ন না করে, তাবৎ আমি গন্ধরসের পর্বতে যাইব, আর কুন্দুরুর পর্বতে যাইব।অয়ি মম প্রিয়ে! তুমি সর্বাঙ্গসুন্দরী, তোমাতে কোন দোষ নাই।
স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন;
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।কেননা সদাপ্রভু মঙ্গলময়; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তাঁহার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
আমি তাহাদের নিকট হইতে একটু অগ্রসর হইলাম, অমনি আমার প্রাণ-প্রিয়তমকে পাইলাম, আমি তাঁহাকে ধরিলাম, ছাড়িলাম না, যাবৎ আপন মাতার গৃহে না আনিলাম, আমার জননীর অন্তঃপুরে না আনিলাম।
তুমি আমাকে মোহরের ন্যায় তোমার হৃদয়ে, মোহরের ন্যায় তোমার বাহুতে রাখ; কেননা প্রেম মৃত্যুর ন্যায় বলবান; অন্তর্জ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর; তাহার শিখা অগ্নির শিখা, তাহা সদাপ্রভুরই অগ্নি।বহু জল প্রেম নির্বাপিত করিতে পারে না, স্রোতস্বতীগণ তাহা ডুবাইয়া দিতে পারে না; কেহ যদি প্রেমের জন্য গৃহের সর্বস্ব দেয়, লোকে তাহাকে যার-পর-নাই তুচ্ছ করে।
বস্তুতঃ পর্বতগণ সরিয়া যাইবে, উপপর্বতগণ টলিবে; কিন্তু আমার দয়া তোমা হইতে সরিয়া যাইবে না, এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলিবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই সদাপ্রভু ইহা কহেন।
তিনি উত্তর করিলেন, তোমরা কি পাঠ কর নাই যে, সৃষ্টিকর্তা আদিতে পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে নির্মাণ করিয়াছিলেন, আর বলিয়াছিলেন,“এই কারণ মনুষ্য পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে”?সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ। অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”এইটি মহৎ ও প্রথম আজ্ঞা। আর দ্বিতীয়টি ইহার তুল্য;“তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
কিন্তু সৃষ্টির আদি হইতে ঈশ্বর পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে নির্মাণ করিয়াছেন;“এই কারণ মনুষ্য আপন পিতামাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে,আর সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে;” সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ।অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।
আমার আজ্ঞা এই, তোমরা পরস্পর প্রেম কর, যেমন আমি তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি।কেহ যে আপন বন্ধুদের নিমিত্ত নিজ প্রাণ সমর্পণ করে, ইহা অপেক্ষা অধিক প্রেম কাহারও নাই।
তোমরা কাহারও কিছু ধারিও না, কেবল পরসপর প্রেম ধারিও; কেননা পরকে যে প্রেম করে, সে ব্যবস্থা পূর্ণরূপে পালন করিয়াছে।
প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না,প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না,অধার্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে;সকলই বহন করে, সকলই বিশ্বাস করে, সকলই প্রত্যাশা করে, সকলই ধৈর্যপূর্বক সহ্য করে।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
সম্পূর্ণ নম্রতা ও মৃদুতা সহকারে, দীর্ঘসহিষ্ণুতা সহকারে চল;কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টের বিষয়ে এইরূপ শিক্ষা পাও নাই;তাঁহারই বাক্য ত শুনিয়াছ, এবং যীশুতে যে সত্য আছে, তদনুসারে তাঁহাতেই শিক্ষিত হইয়াছ;যেন তোমরা পূর্বকালীন আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরাতন মনুষ্যকে ত্যাগ কর, যাহা প্রতারণার বিবিধ অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হইয়া পড়িতেছে।আর আপন আপন মনের ভাবে যেন ক্রমশঃ নবীনীকৃত হও,এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান কর, যাহা সত্যের ধার্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে। অতএব তোমরা, যাহা মিথ্যা, তাহা ত্যাগ করিয়া প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীর সহিত সত্য আলাপ করিও; কারণ আমরা পরস্পর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।ক্রুদ্ধ হইলে পাপ করিও না; সূর্য অস্ত না যাইতে যাইতে তোমাদের কোপাবেশ শান্ত হউক;আর দিয়াবলকে স্থান দিও না।চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার হাতে কিছু থাকে।তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজন মতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।প্রেমে পরস্পর ক্ষমাশীল হও, শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করিতে যত্নবান হও।
সর্বপ্রকার কটুকাটব্য, রোষ, ক্রোধ, কলহ, নিন্দা এবং সর্বপ্রকার হিংসা তোমাদের হইতে দূরীকৃত হউক।তোমরা পরস্পর মধুর স্বভাব ও করুণচিত্ত হও, পরস্পর ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন।
যখনই তোমাদিগকে স্মরণ হয়, সর্বদাই আমি আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া,কারণ আমাতে যেরূপ দেখিয়াছ, এবং এখনও আমাতে হইতেছে শুনিতেছ, সেইরূপ প্রাণপণ তোমাদেরও হইতেছে।আমার সমস্ত বিনতিতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে প্রার্থনা করিয়া থাকি;কারণ প্রথম দিবসাবধি অদ্য পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগিতা আছে।
অতএব খ্রীষ্টে যদি কোন আশ্বাস, যদি প্রেমের কোন সান্ত্বনা, যদি আত্মার কোন সহভাগিতা, যদি কোন স্নেহ ও করুণা থাকে,যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের “সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন। অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।তোমরা বচসা ও তর্কবিতর্ক বিনা সমস্ত কার্য কর,যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;ইহাতে খ্রীষ্টের দিনে আমি এই শ্লাঘা করিবার হেতু পাইব যে, আমি বৃথা দৌড়াই নাই, বৃথা পরিশ্রমও করি নাই।কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের যজ্ঞে ও সেবায় যদি আমি পেয় নৈবেদ্যরূপে সেচিতও হই, তথাপি আনন্দ করিতেছি, আর তোমাদের সকলের সঙ্গে আনন্দ করিতেছি।সেই প্রকারে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করিতেছি যে, তীমথিয়কে শীঘ্রই তোমাদের কাছে পাঠাইব, যেন তোমাদের অবস্থা জানিয়া আমারও প্রাণ জুড়ায়।তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
সতত আনন্দ কর;অবিরত প্রার্থনা কর;সর্ববিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ইহাই তোমাদের উদ্দেশে ঈশ্বরের ইচ্ছা।
যাহারা এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা রাখে;যেন পরের উপকার করে, সৎ ক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত, ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
ভ্রাতৃপ্রেম স্থির থাকুক। তোমরা অতিথি সেবা ভুলিয়া যাইও না।আমাদের এক যজ্ঞবেদি আছে, তাহার সামগ্রী ভোজন করিবার ক্ষমতা তাহাদের নাই, যাহারা তাম্বু সম্বন্ধে আরাধনা করে।কারণ যে যে প্রাণীর রক্ত পাপার্থক উপহাররূপে মহাযাজকের দ্বারা পবিত্র স্থানের ভিতরে লইয়া যাওয়া হয়, সেই সকলের দেহ শিবিরের বাহিরে পোড়াইয়া দেওয়া যায়।এই কারণ যীশুও, নিজ রক্ত দ্বারা প্রজাবৃন্দকে পবিত্র করিবার নিমিত্ত, পুরদ্বারের বাহিরে মৃত্যু ভোগ করিলেন।অতএব আইস, আমরা তাঁহার দুর্নাম বহন করিতে করিতে শিবিরের বাহিরে তাঁহার নিকটে গমন করি।কারণ এখানে আমাদের চিরস্থায়ী নগর নাই; কিন্তু আমরা সেই আগামী নগরের অন্বেষণ করিতেছি।অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।আর উপকার ও সহভাগিতার কার্য ভুলিও না, কেননা সেই প্রকার যজ্ঞে ঈশ্বর প্রীত হন।তোমরা তোমাদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য করিতেছেন- যেন তাঁহারা আনন্দপূর্বক সেই কার্য করেন, আর্তস্বরপূর্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, কেননা আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের সৎবিবেক আছে, সর্ববিষয়ে সদাচরণ করিতে বাঞ্ছা করিতেছি।পরন্তু আমি যেন শীঘ্রই তোমাদিগকে পুনর্দত্ত হই, তজ্জন্য অধিক বিনতিপূর্বক তোমাদিগকে প্রার্থনা করিতে বলিলাম।কেননা তদ্দ্বারা কেহ কেহ না জানিয়া দূতগণেরও আতিথ্য করিয়াছেন।
সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর উপর হইতে আইসে, জ্যোতির্গণের সেই পিতা হইতে নামিয়া আইসে, যাঁহাতে অবস্থান্তর কিম্বা পরিবর্তনের ছায়া নাই।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নিচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদিগকে উন্নত করেন;তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁহার উপরে ফেলিয়া দেও; কেননা তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
সদাপ্রভু, তোমার পথ সকল আমাকে জ্ঞাত কর; তোমার পন্থা সকল আমাকে বুঝাইয়া দেও।তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
আহা! তোমার দত্ত মঙ্গল কেমন মহৎ, যাহা তুমি তোমার ভয়কারীদের জন্য সঞ্চয় করিয়াছ, যাহা মনুষ্য-সন্তানদের সাক্ষাতে তোমার শরণাপন্নদের পক্ষে সাধন করিয়াছ।
দুষ্টের অনেক যাতনা হয়; কিন্তু যে ব্যক্তি সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, সে দয়াতে বেষ্টিত হইবে।ধার্মিকগণ, সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, উল্লাস কর; হে সরলচিত্ত সকলে, তোমরা আনন্দ ধ্বনি কর।
সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমিই বাহুল্যরূপে সাধন করিয়াছ আমাদের পক্ষে তোমার আশ্চর্য কার্য সকল ও তোমার সঙ্কল্প সকল; তোমার তুল্য কেহ নাই; আমি সেই সকল বলিতাম ও বর্ণনা করিতাম, কিন্তু সেই সকল গণনা করা যায় না।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর;সানন্দে সদাপ্রভুর সেবা কর; আনন্দগানসহ তাঁহার সম্মুখে আইস।
আর সেই দিন তোমরা বলিবে, সদাপ্রভুর স্তব কর, তাঁহার নামে ডাক, জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জ্ঞাত কর, তাঁহার নাম উন্নত, এই বলিয়া কীর্তন কর।সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত কর; কেননা তিনি মহিমার কর্ম করিয়াছেন; তাহা সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞানগোচর হউক।
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
পরে তিনি আপন শিষ্যগণকে কহিলেন, এই কারণ আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না।কেননা ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর বড় বিষয়।কাকদের বিষয় আলোচনা কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না; তাহাদের ভাণ্ডারও নাই, গোলাঘরও নাই; আর ঈশ্বর তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন;পক্ষিগণ হইতে তোমরা কত অধিক শ্রেষ্ঠ! আর তোমাদের মধ্যে কে ভাবিত হইয়া আপন বয়স এক হস্তমাত্র বৃদ্ধি করিতে পারে?অতএব তোমরা অতি ক্ষুদ্র কর্মও যদি করিতে না পার, তবে অন্য অন্য বিষয়ে কেন ভাবিত হও?
তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক; ঈশ্বরে বিশ্বাস কর, আমাতেও বিশ্বাস কর।তুমি কি বিশ্বাস কর না যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমাতে আছেন? আমি তোমাদিগকে যে সকল কথা বলি, তাহা আপনা হইতে বলি না; কিন্তু পিতা আমাতে থাকিয়া আপনার কার্য সকল সাধন করেন।আমার কথায় বিশ্বাস কর যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমাতে আছেন; আর না হয়, সেই সকল কার্য প্রযুক্তই বিশ্বাস কর।সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে আমাতে বিশ্বাস করে, আমি যে সকল কার্য করিতেছি, সেও করিবে, এমন কি, এই সকল হইতেও বড় বড় কার্য করিবে; কেননা আমি পিতার নিকটে যাইতেছি;আর তোমরা আমার নামে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা আমি সাধন করিব, যেন পিতা পুত্রে মহিমান্বিত হন।যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।তোমরা যদি আমাকে প্রেম কর, তবে আমার আজ্ঞা সকল পালন করিবে।আর আমি পিতার নিকটে নিবেদন করিব, এবং তিনি আর এক সহায় তোমাদিগকে দিবেন, যেন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন; তিনি সত্যের আত্মা;জগৎ তাঁহাকে গ্রহণ করিতে পারে না, কেননা সে তাঁহাকে দেখে না, তাঁহাকে জানেও না; তোমরা তাঁহাকে জান, কারণ তিনি তোমাদের নিকটে অবস্থিতি করেন ও তোমাদের অন্তরে থাকিবেন।আমি তোমাদিগকে অনাথ রাখিয়া যাইব না, আমি তোমাদের নিকটে আসিতেছি।আর অল্পকাল গেলে জগৎ আর আমাকে দেখিতে পাইবে না, কিন্তু তোমরা দেখিতে পাইবে; কারণ আমি জীবিত আছি; এই জন্য তোমরাও জীবিত থাকিবে।আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।সেই দিন তোমরা জানিবে যে, আমি আমার পিতাতে আছি, ও তোমরা আমাতে আছ, এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।যে ব্যক্তি আমার আজ্ঞা সকল প্রাপ্ত হইয়া সেই সকল পালন করে, সেই আমাকে প্রেম করে; আর যে আমাকে প্রেম করে, আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন; এবং আমিও তাহাকে প্রেম করিব, আর আপনাকে তাহার কাছে প্রকাশ করিব।তখন যিহূদা- ঈষ্করিয়োতীয় নয়- তাঁহাকে বলিলেন, প্রভু, কি হইয়াছে যে, আপনি আমাদেরই কাছে আপনাকে প্রকাশ করিবেন, আর জগতের কাছে নয়?যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, কেহ যদি আমাকে প্রেম করে, তবে সে আমার বাক্য সকল পালন করিবে; আর আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন, এবং আমরা তাহার নিকটে আসিব ও তাহার সহিত বাস করিব।যে আমাকে প্রেম করে না, সে আমার বাক্য সকল পালন করে না। আর তোমরা যে বাক্য শুনিতে পাইতেছ, তাহা আমার নয়, কিন্তু পিতার, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন।তোমাদের নিকটে থাকিতে থাকিতেই আমি এই সকল কথা কহিলাম।কিন্তু সেই সহায়, পবিত্র আত্মা, যাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেন, তিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন, এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সকল স্মরণ করাইয়া দিবেন।শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেইরূপ দান করি না। তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক, ভীতও না হউক।তোমরা শুনিয়াছ যে, আমি তোমাদিগকে বলিয়াছি, আমি যাইতেছি, আবার তোমাদের কাছে আসিতেছি। যদি তোমরা আমাকে প্রেম করিতে, তবে আনন্দ করিতে যে, আমি পিতার নিকটে যাইতেছি; কারণ পিতা আমা অপেক্ষা মহান।আর এখন, ঘটিবার পূর্বে, আমি তোমাদিগকে বলিলাম, যেন ঘটিলে পর তোমরা বিশ্বাস কর।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,
আর তাহারা প্রতিদিন একচিত্তে ধর্মধামে নিবিষ্ট থাকিয়া এবং বাটীতে রুটি ভাঙ্গিয়া উল্লাসে ও হৃদয়ের সরলতায় খাদ্য গ্রহণ করিত; তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা করিত, এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হইল।আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল, প্রভু দিন দিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত সংযুক্ত করিতেন।
কেবল তাহা নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্যকে,ধৈর্য পরীক্ষাসিদ্ধতাকে এবং পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশাকে উৎপন্ন করে;আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতু আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদিগকে দত্ত হইয়াছে, তাহার জন্য আমি তোমাদের বিষয়ে নিয়ত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি;কেননা তাঁহাতেই তোমরা সর্ববিষয়ে, সর্ববিধ বাক্যে ও সর্ববিধ জ্ঞানে ধনবান হইয়াছ,এইরূপে খ্রীষ্টের সাক্ষ্য তোমাদের মধ্যে স্থিরীকৃত হইয়াছে।এই জন্য তোমরা কোন বরে পিছাইয়া পড় নাই; আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের অপেক্ষা করিতেছ;আর তিনি তোমাদিগকে শেষ পর্যন্ত স্থির রাখিবেন, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দিনে অনিন্দনীয় রাখিবেন।ঈশ্বর বিশ্বাস্য, যাঁহার দ্বারা তোমরা তাঁহার পুত্র আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সহভাগিতার নিমিত্ত আহূত হইয়াছ।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনিই করুণা-সমষ্টির পিতা এবং সমস্ত সান্ত্বনার ঈশ্বর;তিনি আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমাদিগকে সান্ত্বনা করেন, যেন আমরা নিজে ঈশ্বর-দত্ত যে সান্ত্বনায় সান্ত্বনা প্রাপ্ত হই, সেই সান্ত্বনা দ্বারা সমস্ত ক্লেশের পাত্রদিগকে সান্ত্বনা করিতে পারি।
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,মণ্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে যুগপর্যায়ের যুগে যুগে সমস্ত পুরুষানুক্রমে তাঁহারই মহিমা হউক। আমেন।
অতএব খ্রীষ্ট যীশুকে, প্রভুকে, যেমন গ্রহণ করিয়াছ, তেমনি তাঁহাতেই চল;তাঁহাতেই বদ্ধমূল ও সংগ্রথিত হইয়া প্রাপ্ত শিক্ষানুসারে বিশ্বাসে দৃঢ়ীভূত হও, এবং ধন্যবাদ সহকারে উপচিয়া পড়।
যিনি আমাকে শক্তি দিয়াছেন, আমাদের সেই প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর ধন্যবাদ করিতেছি, কেননা তিনি আমাকে বিশ্বস্ত জ্ঞান করিয়া পরিচর্যায় নিযুক্ত করিয়াছেন,
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা সমুদয় মনুষ্যের জন্য পরিত্রাণ আনয়ন করে,তাহা আমাদিগকে শাসন করিতেছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ সকল অস্বীকার করিয়া সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্তমান যুগে জীবন যাপন করি,এবং পরমধন্য আশাসিদ্ধির জন্য, এবং মহান ঈশ্বর ও আমাদের ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের প্রতাপের প্রকাশ প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করি।ইনি আমাদের নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন, যেন মূল্য দিয়া আমাদিগকে সমস্ত অধর্ম হইতে মুক্ত করেন, এবং আপনার নিমিত্ত নিজস্ব প্রজাবর্গকে, সৎক্রিয়াতে উদ্যোগী প্রজাবর্গকে, শুচি করেন।
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনি নিজ বিপুল দয়া অনুসারে মৃতগণের মধ্য হইতে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা, জীবন্ত প্রত্যাশার নিমিত্ত আমাদিগকে পুনর্জন্ম দিয়াছেন,অক্ষয়, বিমল ও অজর দায়াধিকারের নিমিত্ত দিয়াছেন; সেই দায়াধিকার স্বর্গে তোমাদের নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে;এবং ঈশ্বরের শক্তিতে তোমরাও পরিত্রাণের নিমিত্ত বিশ্বাস দ্বারা রক্ষিত হইতেছ, যে পরিত্রাণ শেষকালে প্রকাশিত হইবার জন্য প্রস্তুত আছে।
তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
প্রিয়তমেরা, আইস, আমরা পরস্পর প্রেম করি; কারণ প্রেম ঈশ্বরের; এবং যে কেহ প্রেম করে, সে ঈশ্বর হইতে জাত এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
হে সদাপ্রভু! মম বল! আমি তোমাতে অনুরক্ত।তিনি করূব আরোহণে উড্ডীন হইলেন, বায়ু-পক্ষভরে উড়িয়া আসিলেন।তিনি অন্ধকারকে আপন অন্তরাল, আপনার চতুর্দিকস্থ তাম্বু করিলেন; জলের তিমির ও গগনের ঘন মেঘমালা।তাঁহার সম্মুখবর্তী তেজ হইতে তাঁহার মেঘমালা চলিয়া গেল, শিলাবৃষ্টি ও প্রজ্বলিত অঙ্গার।আর সদাপ্রভু আকাশে বজ্রনাদ করিলেন, পরাৎপর আপন রব শুনাইলেন; শিলাবৃষ্টি ও প্রজ্বলিত অঙ্গার।তিনি আপন বাণ ছাড়িলেন, তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন; বহু বজ্র ছাড়িয়া তাহাদিগকে উদ্বিগ্ন করিলেন।তখন জলরাশির প্রণালী সকল প্রকাশ পাইল, ভূমণ্ডলের মূল সকল অনাবৃত হইল, তোমার তর্জনে, হে সদাপ্রভু, তোমার নাসিকার প্রশ্বাসবায়ুতে।তিনি ঊর্ধ্ব হইতে [হস্ত] বিস্তার করিলেন, আমাকে ধরিলেন, মহাজলরাশি হইতে আমাকে টানিয়া তুলিলেন;তিনি আমাকে উদ্ধার করিলেন আমার বলবান শত্রু হইতে, আমার বিদ্বেষিগণ হইতে, কেননা তাহারা আমা অপেক্ষা শক্তিমান ছিল।আমার বিপদের দিনে তাহারা আমার কাছে আসিল, কিন্তু সদাপ্রভু আমার অবলম্বন হইলেন।তিনি আমাকে বাহিরে প্রশস্ত স্থানে আনিলেন, আমাকে উদ্ধার করিলেন, কেননা তিনি আমাতে সন্তুষ্ট ছিলেন।সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ, ও মম রক্ষাকর্তা, মম ঈশ্বর, মম দৃঢ় শৈল, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণশৃঙ্গ, মম উচ্চদুর্গ।
সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না।তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান।তিনি আমার প্রাণ ফিরাইয়া আনেন, তিনি নিজ নামের জন্য আমাকে ধর্মপথে গমন করান।
সদাপ্রভু, তোমার দয়া আকাশমণ্ডলে ব্যাপ্ত, তোমার বিশ্বস্ততা গগনস্পর্শী।তোমার ধর্মশীলতা ঈশ্বরের পর্বতসমূহের তুল্য, তোমার শাসন সকল মহাজলধিস্বরূপ; সদাপ্রভু, তুমি মনুষ্য ও পশু রক্ষা করিয়া থাক।হে ঈশ্বর, তোমার দয়া কেমন বহুমূল্য! মনুষ্য-সন্তানবর্গ তোমার পক্ষচ্ছায়ার নিচে শরণ লয়।
আমার প্রাণ নীরবে ঈশ্বরের অপেক্ষা করিতেছে, তাঁহা হইতেই আমার পরিত্রাণ।তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।ঈশ্বর একবার বলিয়াছেন, দুই বার আমি এই কথা শুনিয়াছি; পরাক্রম ঈশ্বরেরই।আর, হে প্রভু, দয়া তোমার, কারণ তুমিই প্রত্যেককে তাহার কর্মানুরূপ ফল দিয়া থাক।কেবল তিনিই মম শৈল ও মম পরিত্রাণ; তিনি মম উচ্চদুর্গ, আমি অতিশয় বিচলিত হইব না।
সমস্ত পৃথিবী! ঈশ্বরের উদ্দেশে আনন্দধ্বনি কর।কেননা, হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের পরীক্ষা করিয়াছ, রৌপ্য পোড় দিবার ন্যায় আমাদিগকে পোড় দিয়াছ;তুমি আমাদিগকে জালে ফেলিয়াছ, আমাদের কটিদেশ ভারগ্রস্ত করিয়াছ।তুমি আমাদের মস্তকের উপর দিয়া অশ্বারোহী মনুষ্যদিগকে চালাইয়াছ; আমরা অগ্নি ও জলমধ্য দিয়া গমন করিয়াছি; তথাপি তুমি আমাদিগকে সমৃদ্ধি-স্থানে আনিয়াছ।আমি হোমবলি লইয়া তোমার গৃহে প্রবেশ করিব, তোমার উদ্দেশে আমার সেই মানত সকল পূর্ণ করিব,যাহা আমার ওষ্ঠাধর উচ্চারণ করিয়াছে, যাহা সঙ্কটের সময়ে আমার মুখ বলিয়াছে।আমি তোমার উদ্দেশে মেদযুক্ত হোমবলি উৎসর্গ করিব, তাহার সহিত মেষরূপ ধূপদাহ করিব; ছাগদের সহিত বৃষদিগকেও বলিদান করিব। [সেলা]হে ঈশ্বর-ভীত লোক সকলে, তোমরা আসিয়া শ্রবণ কর; আমার প্রাণের জন্য তিনি যাহা করিয়াছেন, তাহার বর্ণনা করি।আমি নিজ মুখে তাঁহাকে ডাকিলাম, তাঁহার প্রতিষ্ঠা আমার জিহ্বাগ্রে ছিল।যদি চিত্তে অধর্মের প্রতি তাকাইতাম, তবে প্রভু শুনিতেন না।কিন্তু সত্যই ঈশ্বর শুনিয়াছেন; তিনি আমার প্রার্থনার রবে অবধান করিয়াছেন।তাঁহার নামের গৌরব কীর্তন কর, তাঁহার প্রশংসা গৌরবান্বিত কর।ধন্য ঈশ্বর, যিনি আমার প্রার্থনা, এবং আমা হইতে নিজ দয়া, দূর করেন নাই।ঈশ্বরকে বল, তোমার কর্ম সকল কি ভয়াবহ! তোমার পরাক্রমের মহত্ত্বে তোমার শত্রুগণ তোমার কর্তৃত্ব স্বীকার করিবে।সমস্ত পৃথিবী তোমার কাছে প্রণিপাত করিবে, ও তোমার উদ্দেশে সঙ্গীত করিবে; তাহারা তোমার নাম কীর্তন করিবে। [সেলা]
সদাপ্রভুর স্তব কর, কেননা তিনি মঙ্গলময়, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী।লোকেরা অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়ায় বসিয়াছিল, দুঃখ-পাশে ও লৌহ-শৃঙ্খলে বদ্ধ ছিল;কারণ তাহারা ঈশ্বরের বাক্যের বিরুদ্ধাচরণ করিত, পরাৎপরের মন্ত্রণা তুচ্ছ করিত;তাই তিনি তাহাদের হৃদয় কঠিন আয়াসে অবনত করিলেন; তাহারা পতিত হইল, সাহায্যকারী কেহ ছিল না।সঙ্কটে তাহারা সদাপ্রভুর কাছে ক্রন্দন করিল, আর তিনি তাহাদিগকে কষ্ট হইতে ত্রাণ করিলেন।তিনি অন্ধকার ও মৃত্যুচ্ছায়া হইতে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনিলেন, তাহাদের বন্ধন সকল ছেদন করিলেন।লোকে সদাপ্রভুর স্তব করুক, তাঁহার দয়া প্রযুক্ত, মনুষ্য-সন্তানদের জন্য তাঁহার আশ্চর্য কর্ম প্রযুক্ত!কারণ তিনি পিত্তলের কবাট ভগ্ন করিয়াছেন, লৌহময় অর্গল ছেদন করিয়াছেন।মূর্খেরা আপনাদের অধর্মাচরণ প্রযুক্ত, আপনাদের অপরাধ প্রযুক্ত দুর্দশাপন্ন হয়।তাহাদের প্রাণ সমস্ত খাদ্যদ্রব্য ঘৃণা করে, তাহারা মৃত্যুদ্বারের সমীপে উপস্থিত হয়।সঙ্কটে তাহারা সদাপ্রভুর কাছে ক্রন্দন করে, আর তিনি তাহাদিগকে কষ্ট হইতে ত্রাণ করেন।সদাপ্রভুর মুক্তগণ এই কথা বলুক, যাহাদিগকে তিনি বিপক্ষের হস্ত হইতে মুক্ত করিয়াছেন,
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। হে সদাপ্রভুর দাসগণ, প্রশংসা কর, সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা কর।ধন্য সদাপ্রভুর নাম, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত।সূর্যের উদয়স্থান অবধি তাহার অস্তস্থান পর্যন্ত, সদাপ্রভুর নাম কীর্তনীয়।
হে সদাপ্রভু, আমাদিগকে নয়, আমাদিগকে নয়, কিন্তু তোমারই নাম গৌরবান্বিত কর, তোমার দয়ার অনুরোধে, তোমার সত্যের অনুরোধে।হারোণের কুল, তোমরা সদাপ্রভুতেই নির্ভর কর; ‘তিনিই তাহাদের সহায় ও তাহাদের ঢাল।’সদাপ্রভুর ভয়কারিগণ, সদাপ্রভুতে নির্ভর কর; ‘তিনিই তাহাদের সহায় ও তাহাদের ঢাল।’সদাপ্রভু আমাদিগকে মনে রাখিয়াছেন; তিনি আশীর্বাদ করিবেন, ইস্রায়েলের কুলকে আশীর্বাদ করিবেন, হারোণের কুলকে আশীর্বাদ করিবেন।যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তিনি তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিবেন, ক্ষুদ্র কি মহান সকলকে করিবেন।সদাপ্রভু তোমাদের বৃদ্ধি করুন, তোমাদের ও তোমাদের সন্তানগণের বৃদ্ধি করুন।তোমরা সদাপ্রভুর আশীর্বাদপাত্র, তিনি স্বর্গের ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।স্বর্গ সদাপ্রভুরই স্বর্গ, কিন্তু তিনি পৃথিবী মনুষ্য-সন্তানদিগকে দিয়াছেন।মৃতেরা সদাপ্রভুর প্রশংসা করে না, যাহারা নিস্তব্ধ স্থানে নামে, তাহারা কেহ করে না।কিন্তু আমরা সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করিব, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত করিব। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।জাতিগণ কেন বলিবে, ‘কোথায় উহাদের ঈশ্বর?’আমাদের ঈশ্বর ত স্বর্গে থাকেন; তিনি যাহা ইচ্ছা করিয়াছেন, তাহাই করিয়াছেন।
ধন্য তুমি, হে সদাপ্রভু, আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।আমি ন্যায়বিচার ও ধর্মাচরণ করিয়াছি, আমাকে উপদ্রবীদের হস্তে সমর্পণ করিও না।তুমি মঙ্গলের জন্য নিজ দাসের প্রতিভূ হও, অহঙ্কারীরা আমার প্রতি উপদ্রব না করুক।আমার চক্ষু ক্ষীণ হইতেছে, তোমার পরিত্রাণের জন্য, ও তোমার ধর্মময় বচনের জন্য।তোমার দয়ানুসারে তোমার দাসের সহিত ব্যবহার কর, আর তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দেও, যেন তোমার সাক্ষ্য সকল বুঝিতে পারি।সদাপ্রভুর কার্য করিবার সময় হইল, [কেননা] লোকে তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করিয়াছে।তজ্জন্য আমি তোমার আজ্ঞা সকল ভালবাসি, স্বর্ণ হইতে, নির্মল স্বর্ণ হইতেও ভালবাসি।তজ্জন্য আমি সর্ব বিষয়ে তোমার সমুদয় নিদেশ ন্যায্য জ্ঞান করি, সমস্ত মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।তোমার সাক্ষ্যকলাপ আশ্চর্য, এই জন্য আমার প্রাণ সেই সকল পালন করে।আমি ওষ্ঠাধরে বর্ণনা করিয়াছি তোমার মুখের সমস্ত শাসন।
আমি তোমার প্রতিষ্ঠা করিব, হে আমার ঈশ্বর, হে রাজন্, আমি অনন্তকাল তোমার নামের ধন্যবাদ করিব।হে সদাপ্রভু, তোমার সমস্ত পদার্থ তোমার প্রশংসা করে, এবং তোমার সাধুগণ তোমার ধন্যবাদ করে।তাহারা তোমার রাজ্যের গৌরব বর্ণনা করে, তোমার পরাক্রমের কথা বলে,যেন মনুষ্য-সন্তানগণকে জানাইতে পারে তাঁহার পরাক্রমের কার্য সকল, এবং তাঁহার রাজ্যের প্রতাপের গৌরব।তোমার রাজ্য সর্বযুগের রাজ্য, তোমার কর্তৃত্ব পুরুষে পুরুষে চিরস্থায়ী।সদাপ্রভু পতনোম্মুখ সকলকে ধরিয়া রাখেন, অবনত সকলকে উত্থাপন করেন।সকলের চক্ষু তোমার অপেক্ষা করে, তুমিই যথাসময়ে তাহাদিগকে ভক্ষ্য দিতেছ।তুমিই আপন হস্ত মুক্ত করিয়া থাক, সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাক।সদাপ্রভু আপনার সমস্ত পথে ধর্মশীল, আপনার সমস্ত কার্যে দয়াবান।সদাপ্রভু সেই সকলেরই নিকটবর্তী, যাহারা তাঁহাকে ডাকে, যাহারা সত্যে তাঁহাকে ডাকে।যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তিনি তাহাদের বাঞ্ছা পূর্ণ করেন, আর তাহাদের আর্তনাদ শুনিয়া তাহাদিগকে ত্রাণ করেন।প্রতিদিন আমি তোমার ধন্যবাদ করিব, যুগে যুগে চিরকাল তোমার নামের প্রশংসা করিব।যাহারা সদাপ্রভুকে প্রেম করে, তিনি তাহাদের সকলকে রক্ষা করেন, কিন্তু তিনি সমুদয় দুষ্টকে সংহার করিবেন।আমার মুখ সদাপ্রভুর প্রশংসা বর্ণনা করিবে; আর সমুদয় প্রাণী যুগে যুগে চিরকাল তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ করুক।সদাপ্রভু মহান ও অতীব প্রশংসনীয়; তাঁহার মহিমার তত্ত্ব পাওয়া যায় না।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।সদাপ্রভু অনন্তকাল রাজত্ব করিবেন; তোমার ঈশ্বর, হে সিয়োন, পুরুষানুক্রমে করিবেন। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর প্রশংসা করিব; আমি যত কাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’