যাহারা এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা রাখে;
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনি নিজ বিপুল দয়া অনুসারে মৃতগণের মধ্য হইতে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা, জীবন্ত প্রত্যাশার নিমিত্ত আমাদিগকে পুনর্জন্ম দিয়াছেন,
আমি সদাপ্রভুর বিষয়ে বলিব, ‘তিনি আমার আশ্রয়, আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহাতে নির্ভর করিব’।
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
সেই দিন লোকে বলিবে, এই দেখ, ইনিই আমাদের ঈশ্বর; আমরা ইঁহারই অপেক্ষায় ছিলাম, ইনি আমাদিগকে ত্রাণ করিবেন; ইনিই সদাপ্রভু; আমরা ইঁহারই অপেক্ষায় ছিলাম, আমরা ইঁহার কৃত পরিত্রাণে উল্লসিত হইব, আনন্দ করিব।
যাহাতে তোমাদের হৃদয়ের চক্ষু আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানিতে পাও, তাঁহার আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্রগণের মধ্যে তাঁহার দায়াধিকারের প্রতাপ-ধন কি,
কারণ ইহারই নিমিত্ত আমরা পরিশ্রম ও প্রাণপণ করিতেছি; কেননা যিনি সমস্ত মনুষ্যের, বিশেষতঃ বিশ্বাসীবর্গের ত্রাণকর্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রত্যশা করিয়া আসিতেছি।
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
এই জন্য আমার চিত্ত আনন্দিত ও আমার জিহ্বা উল্লসিত হইল; আবার আমার মাংসও প্রত্যাশায় প্রবাস করিবে;
শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে প্রত্যাশা করিয়া থাকি, তবে আমরা সকল মনুষ্যের মধ্যে অধিক দুর্ভাগা।
হে ইস্রায়েলের আশাভূমি, সঙ্কটকালে তাহার ত্রাণকর্তা, কেন তুমি এই দেশে প্রবাসীর ন্যায়, কিম্বা রাত্রিবাসার্থী পথিকের ন্যায় হও?
কেননা, সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের পক্ষে যে সকল সঙ্কল্প করিতেছি, তাহা আমিই জানি; সেই সকল মঙ্গলের সঙ্কল্প, অমঙ্গলের নয়, তোমাদিগকে শেষ ফল ও আশাসিদ্ধি দিবার সঙ্কল্প!
ধন্য সেই, যাহার সহায় যাকোবের ঈশ্বর, যাহার আশাভূমি সদাপ্রভু, তাহার ঈশ্বর।
তিনি নির্মাণ করিয়াছেন আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও তাহার মধ্যে যাহা কিছু আছে; তিনি অনন্তকাল সত্য পালন করেন।
আর সদাপ্রভু সিয়োন হইতে গর্জন করিবেন, যিরূশালেম হইতে আপন রব শুনাইবেন; এবং আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী কমিপত হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু আপন প্রজাদের আশ্রয় ও ইস্রায়েল-সন্তানগণের দুর্গস্বরূপ হইবেন।
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরে প্রত্যাশা রাখ; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
সদাপ্রভু, প্রাতঃকালে তুমি আমার রব শুনিবে; প্রাতে আমি তোমার উদ্দেশে [প্রার্থনা] সাজাইয়া চাহিয়া থাকিব।
অতএব তুমি আপন ঈশ্বরের নিকটে ফিরিয়া আইস, দয়া ও ন্যায়বিচার রক্ষা কর; নিত্য আপন ঈশ্বরের অপেক্ষায় থাক।
আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন।
কিন্তু আমি সদাপ্রভুর প্রতি দৃষ্টি রাখিব, আমার ত্রাণেশ্বরের অপেক্ষা করিব; আমার ঈশ্বর আমার বাক্য শুনিবেন।
হে আশার বন্দিগণ, তোমরা ফিরিয়া দৃঢ় দুর্গে আইস, আমি অদ্যই অঙ্গীকার করিতেছি, আমি তোমাকে দ্বিগুণ অংশ দিব।
আমি তোমার কাছে কাঁদিলাম, হে সদাপ্রভু, আমি কহিলাম, তুমিই আমার আশ্রয়, তুমি জীবিত লোকদের দেশে আমার অধিকার।
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছি; আমার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছে; আমি তাঁহার বাক্যে প্রত্যাশা করিতেছি।
কেবল তাহা নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্যকে,
ধৈর্য পরীক্ষাসিদ্ধতাকে এবং পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশাকে উৎপন্ন করে;
আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতু আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।
আমি পুনর্বার ইহা মনে করি, তাই আমার প্রত্যাশা আছে।
সদাপ্রভুর বিবিধ দয়ার গুণে আমরা নষ্ট হই নাই; কেননা তাঁহার বিবিধ করুণা শেষ হয় নাই।
নূতন নূতন করুণা প্রতি প্রভাতে! তোমার বিশ্বস্ততা মহৎ।
কারণ পরজাতিগণের মধ্যে সেই নিগূঢ়তত্ত্বের গৌরব-ধন কি, তাহা পবিত্রগণকে জ্ঞাত করিতে ঈশ্বরের বাসনা হইল; তাহা তোমাদের মধ্যবর্তী খ্রীষ্ট, গৌরবের আশা;
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
তোমরা চিরকাল সদাপ্রভুতে নির্ভর রাখ; কেননা সদাপ্রভু যিহোবাতেই যুগসমূহের শৈল।
দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,
মৃত্যু হইতে তাহাদের প্রাণ রক্ষা করিবার জন্য, দুর্ভিক্ষে তাহাদিগকে বাঁচাইয়া রাখিবার জন্য।
তোমরা বীণাতে সদাপ্রভুর স্তব কর, দশতন্ত্রী নেবলে তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও।
আমাদের প্রাণ সদাপ্রভুর অপেক্ষায় রহিয়াছে; তিনিই আমাদের সহায় ও আমাদের ঢাল।
হাঁ, আমাদের চিত্ত তাঁহাতেই আনন্দ করিবে, কেননা আমরা তাঁহার পবিত্র নামে বিশ্বাস করিয়াছি।
সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাদের উপরে বর্তুক, কেননা আমরা তোমার অপেক্ষা করিয়াছি।
যে সত্য সেই অনন্ত জীবনের আশাযুক্ত, যাহা মিথ্যাকথনে অসমর্থ ঈশ্বর অতি পূর্বকালে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন,
এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্যিক মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।
বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকাল স্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে;
আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।
কিন্তু আমরা দিবসের বলিয়া আইস, মিতাচারী হই, বিশ্বাস ও প্রেমরূপ বুকপাটা পরি, এবং পরিত্রাণের আশারূপ শিরস্ত্রাণ মস্তকে দিই;
সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ, ও মম রক্ষাকর্তা, মম ঈশ্বর, মম দৃঢ় শৈল, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণশৃঙ্গ, মম উচ্চদুর্গ।
স্মরণ কর, তৎকালে তোমরা ছিলে খ্রীষ্ট বিহীন, ইস্রায়েলের প্রজাধিকারের বহিঃস্থ, এবং প্রতিজ্ঞাযুক্ত নিয়মগুলির অসমপর্কীয়; তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বরবিহীন ছিলে।
কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছ।
ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কার্য আরম্ভ করিয়াছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত তাহা সিদ্ধ করিবেন।
আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব; কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?
সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।
সকলের চক্ষু তোমার অপেক্ষা করে, তুমিই যথাসময়ে তাহাদিগকে ভক্ষ্য দিতেছ।
তুমিই আপন হস্ত মুক্ত করিয়া থাক, সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাক।
কেননা প্রত্যাশায় আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইয়াছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তাহা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যাহা দেখে, সে তাহার প্রত্যাশা কেন করিবে?
কিন্তু আমরা যাহা দেখিতে না পাই, তাহার প্রত্যাশা যদি করি, তবে ধৈর্য সহকারে তাহার অপেক্ষায় থাকি।
আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তাহা প্রাণের নোঙ্গরস্বরূপ, অটল ও দৃঢ়, এবং তিরস্করিণীর ভিতরে যায়।
জানিও, তোমার প্রাণের পক্ষে প্রজ্ঞা তদ্রূপ; তাহা পাইলে শেষ ফল হইবে, তোমার আশা ছিন্ন হইবে না।
আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন।
আমি তোমার ধর্মশীলতা নিজ হৃদয়মধ্যে সঙ্গোপন করি নাই, তোমার বিশ্বস্ততা ও তোমার পরিত্রাণ প্রচার করিয়াছি; তোমার দয়া ও সত্য মহাসমাজ হইতে গুপ্ত রাখি নাই।
হে সদাপ্রভু, তুমিও আমা হইতে আপন করুণা রুদ্ধ করিও না; তব দয়া ও তব সত্য সতত আমাকে রক্ষা করুক।
কেননা অসংখ্য বিপদ আমাকে ঘেরিয়াছে; আমার অপরাধ সকল আমাকে ধরিয়াছে; আমি দেখিতে পাইতেছি না; আমার মস্তকের কেশ অপেক্ষাও সেই সকল অধিক, আমার হৃদয় আমাকে ছাড়িয়াছে।
সদাপ্রভু, অনুগ্রহ করিয়া আমাকে উদ্ধার কর, সদাপ্রভু, আমার সাহায্য করিতে সত্বর হও।
তাহারা সকলেই লজ্জিত ও হতাশ হউক, যাহারা সংহার করিতে আমার প্রাণের অন্বেষণ করে, তাহারা ফিরিয়া যাউক, অপমানিত হউক, যাহারা আমার বিপদে প্রীত হয়।
তাহারা আপনাদের লজ্জা প্রযুক্ত স্তম্ভিত হউক, যাহারা আমাকে বলে, অহো! অহো!
যাহারা তোমার অন্বেষণ করে, তাহারা সকলে তোমাতে আমোদ ও আনন্দ করুক; যাহারা তোমার পরিত্রাণ ভালবাসে, তাহারা সতত বলুক, সদাপ্রভু মহিমান্বিত হউন।
আমি দুঃখী ও দরিদ্র, প্রভুই আমার পক্ষে চিন্তা করেন; তুমি আমার সহায় ও আমার নিস্তারকর্তা; হে আমার ঈশ্বর, বিলম্ব করিও না।
তিনি বিনাশের গর্ত হইতে, পঙ্কময় ভূমি হইতে, আমাকে তুলিলেন, তিনি শৈলের উপরে আমার চরণ রাখিলেন, আমার পাদসঞ্চার দৃঢ় করিলেন।
তিনি আমার মুখে নূতন গীত, আমাদের ঈশ্বরের স্তব দিলেন; অনেকে ইহা দেখিবে, ভীত হইবে, ও সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিবে।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর; হে আমার অন্তরস্থ সকল, তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।
তিনি আমাদের প্রতি আমাদের পাপানুযায়ী ব্যবহার করেন নাই, আমাদের অধর্মানুযায়ী প্রতিফল আমাদিগকে দেন নাই।
কারণ পৃথিবীর উপরে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে তাঁহার দয়া তত মহৎ।
পশ্চিমদিক্ হইতে পূর্বদিক্ যেমন দূরবর্তী, তিনি আমাদের হইতে আমাদের অপরাধ সকল তেমনি দূরবর্তী করিয়াছেন।
পিতা সন্তানদের প্রতি যেমন করুণা করেন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তাহাদের প্রতি তিনি তেমনি করুণা করেন।
কারণ তিনিই আমাদের গঠন জানেন; আমরা যে ধূলিমাত্র, ইহা তাঁহার স্মরণে আছে।
মর্ত্য, তাহার আয়ু তৃণ সদৃশ; যেমন মাঠের পুষ্প, তেমনি সে প্রফুল্ল হয়।
তাহার উপর দিয়া বায়ু বহিলেই সে আর নাই, তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না।
কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,
তাহাদের প্রতি, যাহারা তাঁহার নিয়ম রক্ষা করে, ও তাঁহার বিধি সকল পালনার্থে স্মরণ করে।
সদাপ্রভু স্বর্গে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন, তাঁহার রাজ্য কর্তৃত্ব করে সমস্তের উপরে।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, তাঁহার সকল উপকার ভুলিয়া যাইও না।
সদাপ্রভুর দূতগণ! তাঁহার ধন্যবাদ কর, তোমরা বলে বীর, তাঁহার বাক্য-সাধক, তাঁহার বাক্যের রব শ্রবণে নিবিষ্ট।
সদাপ্রভুর সমস্ত বাহিনী! তাঁহার ধন্যবাদ কর, তোমরা তাঁহার পরিচারক, তাঁহার অভিমত-সাধক।
সদাপ্রভুর সমস্ত নির্মিত বস্তু! তাঁহার ধন্যবাদ কর, তাঁহার অধিকারের সমস্ত স্থানে। হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর।
তিনি তোমার সমস্ত অধর্ম ক্ষমা করেন, তোমার সমস্ত রোগের প্রতিকার করেন।
তিনি কূপ হইতে তোমার জীবন মুক্ত করেন, দয়া ও করুণার মুকুটে তোমাকে ভূষিত করেন।
তিনি উত্তম দ্রব্যে তোমার মুখ তৃপ্ত করেন, ঈগল পক্ষীর ন্যায় তোমার নূতন যৌবন হয়।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
এই কারণ এত দুঃখভোগও করিতেছি, তথাপি লজ্জিত হই না, কেননা যাঁহাকে বিশ্বাস করিয়াছি, তাঁহাকে জানি, এবং দৃঢ়রূপে প্রত্যয় করিতেছি যে, আমি তাঁহার কাছে যাহা গচ্ছিত রাখিয়াছি, তিনি সেই দিনের জন্য তাহা রক্ষা করিতে সমর্থ।
আর তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।
আর যদি জানি যে, আমরা যাহা যাচ্ঞা করি, তিনি তাহা শুনেন তবে ইহাও জানি যে, আমরা তাঁহার কাছে যাহা যাচ্ঞা করিয়াছি সেই সকল পাইয়াছি।