কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর।তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
কিন্তু তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার অন্তরাগারে প্রবেশ করিও, আর দ্বার রুদ্ধ করিয়া তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তাঁহার নিকটে প্রার্থনা করিও; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।
সতত আনন্দ কর;অবিরত প্রার্থনা কর;সর্ববিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ইহাই তোমাদের উদ্দেশে ঈশ্বরের ইচ্ছা।
আর তোমরা আমার নামে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা আমি সাধন করিব, যেন পিতা পুত্রে মহিমান্বিত হন।যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।
আর তোমরা আমাকে আহ্বান করিবে, এবং গিয়া আমার কাছে প্রার্থনা করিবে, আর আমি তোমাদের কথায় কর্ণপাত করিব।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।কেননা যে কেহ যাচ্ঞা করে, সে গ্রহণ করে; এবং যে অন্বেষণ করে, সে পায়; আর যে আঘাত করে, তাহার জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।
আর তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।আর যদি জানি যে, আমরা যাহা যাচ্ঞা করি, তিনি তাহা শুনেন তবে ইহাও জানি যে, আমরা তাঁহার কাছে যাহা যাচ্ঞা করিয়াছি সেই সকল পাইয়াছি।
সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক,
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
সদাপ্রভু, প্রাতঃকালে তুমি আমার রব শুনিবে; প্রাতে আমি তোমার উদ্দেশে [প্রার্থনা] সাজাইয়া চাহিয়া থাকিব।
সঙ্কটে আমি সদাপ্রভুকে ডাকিলাম, আমার ঈশ্বরের উদ্দেশে আর্তনাদ করিলাম; তিনি নিজ মন্দির হইতে আমার রব শুনিলেন, তাঁহার সম্মুখে আমার আর্তনাদ তাঁহার কর্ণে প্রবেশ করিল।
[ধার্মিকেরা] ক্রন্দন করিল, সদাপ্রভু শুনিলেন, তাহাদের সকল সঙ্কট হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিলেন।
ইঁহারা সকলে স্ত্রীলোকদের, এবং যীশুর মাতা মরিয়মের ও তাঁহার ভ্রাতাদের সঙ্গে এক চিত্তে প্রার্থনায় নিবিষ্ট রহিলেন।
আর সেইরূপে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা উচিত মতে কি প্রার্থনা করিতে হয়, তাহা আমরা জানি না, কিন্তু আত্মা আপনি অবক্তব্য আর্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।
এবং যাহা কিছু যাচ্ঞা করি, তাহা তাঁহার নিকটে পাই; কেননা আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি, এবং তাঁহার দৃষ্টিতে যাহা যাহা প্রীতিজনক, তাহা করি?
কিন্তু সত্যই ঈশ্বর শুনিয়াছেন; তিনি আমার প্রার্থনার রবে অবধান করিয়াছেন।তাঁহার নামের গৌরব কীর্তন কর, তাঁহার প্রশংসা গৌরবান্বিত কর।ধন্য ঈশ্বর, যিনি আমার প্রার্থনা, এবং আমা হইতে নিজ দয়া, দূর করেন নাই।
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
আমার প্রার্থনা তোমার সম্মুখে সুগন্ধি ধূপরূপে, আমার অঞ্জলি-প্রসারণ সান্ধ্য উপহাররূপে সাজান হউক।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।কিন্তু সে বিশ্বাসপূর্বক যাচ্ঞা করুক, কিছু সন্দেহ না করুক; কেননা যে সন্দেহ করে, সে বায়ুতাড়িত বিলোড়িত সমুদ্র-তরঙ্গের তুল্য।
আর তিনি তাঁহাদিগকে এই ভাবের একটি দৃষ্টান্ত কহিলেন যে, তাঁহাদের সর্বদাই প্রার্থনা করা উচিত, নিরুৎসাহ হওয়া উচিত নয়।
আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন।
কারণ, হে প্রভু, তুমি মঙ্গলময় ও ক্ষমাবান, এবং যাহারা তোমাকে ডাকে, তুমি সেই সকলের পক্ষে দয়াতে মহান।হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনায় কর্ণপাত কর, আমার বিনতির রবে অবধান কর।সঙ্কটের দিনে আমি তোমাকে ডাকিব, কেননা তুমি আমাকে উত্তর দিবে।
হে আমার ধার্মিকতার ঈশ্বর, আমি ডাকিলে আমাকে উত্তর দেও। সঙ্কটে তুমি আমাকে মনের প্রশস্ততা দিয়াছ; আমাকে দয়া কর, আমার প্রার্থনা শুন।
তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না।
আমার প্রজারা, যাহাদের উপরে আমার নাম কীর্তিত হইয়াছে, তাহারা যদি নম্র হইয়া প্রার্থনা করে ও আমার মুখের অন্বেষণ করে, এবং তাহাদের কুপথ হইতে ফিরে, তবে আমি স্বর্গ হইতে তাহা শুনিব, তাহাদের পাপ ক্ষমা করিব ও তাহাদের দেশ আরোগ্য করিব।
কিন্তু বিনা বিশ্বাসে প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়; কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন, এবং যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, তিনি তাহাদের পুরস্কারদাতা।
ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হইবেন। হে পাপিগণ, হস্ত শুচি কর; হে দ্বিমনা লোক সকল, হৃদয় বিশুদ্ধ কর।
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,
আমি এই বালকের জন্য প্রার্থনা করিয়াছিলাম; আর সদাপ্রভুর কাছে যাহা চাহিয়াছিলাম, তাহা তিনি আমাকে দিয়াছেন।
আবার আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, পৃথিবীতে তোমাদের দুই জন যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার স্বর্গস্থ পিতা কর্তৃক তাহাদের জন্য তাহা করা যাইবে।তিনি একটি শিশুকে আপনার নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদের মধ্যে দাঁড় করাইলেন,কেননা যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি।
আমার সর্বপ্রথম নিবেদন এই, যেন সকল মনুষ্যের নিমিত্ত, বিনতি, প্রার্থনা, অনুরোধ, ধন্যবাদ করা হয়;
সেই সময়ে তিনি একদা প্রার্থনা করণার্থে বাহির হইয়া পর্বতে গেলেন, আর ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিতে করিতে সমস্ত রাত্রি যাপন করিলেন।
হে ঈশ্বর, আমার কাকূক্তি শ্রবণ কর, আমার প্রার্থনায় অবধান কর।চিত্ত অবসন্ন হইলে আমি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে তোমাকে ডাকিব; আমা অপেক্ষা উচ্চ শৈলে আমাকে লইয়া যাও।
তোমরা যদি আমাতে থাক, এবং আমার বাক্য যদি তোমাদের মধ্যে থাকে, তবে তোমাদের যাহা ইচ্ছা হয়, যাচ্ঞা করিও, তোমাদের জন্য তাহা করা যাইবে।
আর আমিই যে তোমাদের জন্য প্রার্থনা করিতে বিরত হইয়া সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করিব, তাহা দূরে থাকুক; আমি তোমাদিগকে উত্তম ও সরল পথ শিক্ষা দিব;
কিন্তু হে সদাপ্রভু, আমি তোমারই নিকটে প্রসন্নতার সময়ে প্রার্থনা করিতেছি; হে ঈশ্বর, তোমার দয়ার বাহুল্যে, তোমার পরিত্রাণের সত্যে, আমাকে উত্তর দেও।
কিন্তু তাহাদের ভয়ে আমরা আপনাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিলাম, ও দিবারাত্র তাহাদের বিরুদ্ধে প্রহরিগণকে রাখিলাম।
তথাপি হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি আপন দাসের প্রার্থনায় ও বিনতিতে মনোযোগ কর, তোমার দাস অদ্য তোমার নিকটে যে কাকূক্তি ও প্রার্থনা করিতেছে, তাহা শুন।
সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শুন; আমার বিনতিতে কর্ণপাত কর; তোমার বিশ্বস্ততায় ও তোমার ধর্মশীলতায় আমাকে উত্তর দেও।
যখন আমি তোমার নিকটে আর্তনাদ করি, যখন তোমার পবিত্র অন্তর্গৃহের দিকে অঞ্জলি উঠাই, তখন তুমি আমার বিনতির রব শ্রবণ করিও।
তৎকালে তুমি ডাকিবে ও সদাপ্রভু উত্তর দিবেন; তুমি আর্তনাদ করিবে ও তিনি কহিবেন, এই যে আমি। যদি তুমি আপনার মধ্য হইতে জোঁয়ালি, অঙ্গুলিতর্জন ও অধর্মবাক্য দূর কর,
আমার মধ্যে প্রাণ অবসন্ন হইলে আমি সদাপ্রভুকে স্মরণ করিলাম, আর আমার প্রার্থনা তোমার নিকটে, তোমার পবিত্র মন্দিরে, উপস্থিত হইল।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলি, যাহা কিছু তোমরা প্রার্থনা ও যাচ্ঞা কর, বিশ্বাস করিও যে, তাহা পাইয়াছ, তাহাতে তোমাদের জন্য তাহাই হইবে।
সে আমাকে ডাকিবে, আমি তাহাকে উত্তর দিব; আমি সঙ্কটে তাহার সঙ্গে থাকিব; আমি তাহাকে উদ্ধার করিব, গৌরবান্বিতও করিব।
আমি অধৈর্য হেতু বলিয়াছিলাম, আমি তোমার নয়নগোচর হইতে বিচ্ছিন্ন, কিন্তু তোমার উদ্দেশে আর্তনাদ করিলে তুমি আমার বিনতির রব শ্রবণ করিলে।
বলিলেন, পিতঃ, যদি তোমার অভিমত হয়, আমা হইতে এই পানপাত্র দূর কর; তথাপি আমার ইচ্ছা নয়, তোমারই ইচ্ছা সিদ্ধ হউক;
পরে আমি উপবাস, চট পরিধান ও ভস্ম লেপন করিয়া প্রার্থনার ও বিনতির চেষ্টায় প্রভু ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলাম।
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
অতএব আমার বাসনা এই, সকল স্থানে পুরুষেরা বিনা ক্রোধে ও বিনা বির্তকে শুচি হস্ত তুলিয়া প্রার্থনা করুক।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।
আর তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন কপটীদের ন্যায় হইও না; কারণ তাহারা সমাজ-গৃহে ও পথের কোণে দাঁড়াইয়া লোক-দেখান প্রার্থনা করিতে ভালবাসে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।
তখন তিনি তাঁহার প্রতি একদৃষ্টে চাহিয়া ভীত হইয়া কহিলেন, প্রভু, কি চান? দূত তাঁহাকে বলিলেন, তোমার প্রার্থনা ও তোমার দান সকল স্মরণীয়রূপে ঊর্ধ্বে ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছে।
আমার মন তোমাকে বলিল, [তুমি বলিলে,] ‘তোমরা আমার মুখের অন্বেষণ কর’; সদাপ্রভু, আমি তোমার মুখের অন্বেষণ করিব।
ভ্রাতৃগণ, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নিমিত্ত এবং ঈশ্বরের আত্মার প্রেমের নিমিত্ত আমি তোমাদিগকে বিনতি করি, তোমরা ঈশ্বরের কাছে আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা দ্বারা আমার সহিত প্রাণপণ কর,
আমি তোমাকে ডাকিলাম, কেননা, হে ঈশ্বর, তুমি আমাকে উত্তর দিবে; আমার প্রতি কর্ণপাত কর, আমার বাক্য শুন।
হে প্রভু, বিনয় করি, তোমার এই দাসের প্রার্থনাতে, এবং যাহারা তোমার নাম ভয় করিতে সন্তুষ্ট, তোমার সেই দাসদের প্রার্থনাতে তোমার কর্ণ অবহিত হউক; আর বিনয় করি, অদ্য তোমার এই দাসকে কৃতকার্য কর, ও এই ব্যক্তির সাক্ষাতে করুণাপ্রাপ্ত কর, আমি রাজার পানপাত্র-বাহক ছিলাম।
পরে তিনি কিঞ্চিৎ অগ্রে গিয়া উবুড় হইয়া পড়িয়া প্রার্থনা করিয়া কহিলেন, হে আমার পিতঃ, যদি হইতে পারে, তবে এই পানপাত্র আমার নিকট হইতে দূরে যাউক; তথাপি আমার ইচ্ছামত না হউক, তোমার ইচ্ছামত হউক।
সদাপ্রভু দিবসে আপন দয়াকে আদেশ করিবেন, রাত্রিতে তাঁহার স্তোত্র আমার সঙ্গী হইবে, আমার জীবনেশ্বরের কাছে প্রার্থনা [করিব]।
সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, আর তিনি তাহার প্রতি প্রসন্ন হন, তাই সে হর্ষধ্বনিপূর্বক তাঁহার মুখ দর্শন করে, আর তিনি মর্ত্যকে তাহার ধার্মিকতা ফিরাইয়া দেন।
তবে দাঁড়াইল কি? আমি আত্মাতে প্রার্থনা করিব, বুদ্ধিতেও প্রার্থনা করিব; আত্মাতে গান করিব, বুদ্ধিতেও গান করিব।
হে সদাপ্রভু, তুমি নম্রদের আকাঙ্ক্ষা শুনিয়াছ; তুমি তাহাদের চিত্ত সুস্থির করিবে, তুমি কর্ণপাত করিবে;
কিন্তু করগ্রাহী দূরে দাঁড়াইয়া স্বর্গের দিকে চক্ষু তুলিতেও সাহস পাইল না, বরং সে বক্ষে করাঘাত করিতে করিতে কহিল, হে ঈশ্বর, আমার প্রতি, এই পাপীর প্রতি দয়া কর।
প্রাতে আমাকে তোমার দয়ার বচন শুনাও, কেননা তোমাতে আমি নির্ভর করিতেছি; আমার গন্তব্য পথ আমাকে জানাও, কেননা আমি তোমার দিকে নিজ প্রাণ উত্তোলন করি।
অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা, বলিয়া ডাকি।
আর যাবেষ ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে ডাকিলেন, কহিলেন, আহা, তুমি সত্যই আমাকে আশীর্বাদ কর, আমার অধিকার বৃদ্ধি কর, ও তোমার হস্ত আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকুক; আর আমি যেন দুঃখ প্রাপ্ত না হই, এই জন্য মন্দ হইতে আমাকে রক্ষা কর। তাহাতে ঈশ্বর তাঁহার যাচিত বিষয় দান করিলেন।
আর তোমাদের প্রতি ঈশ্বরের অতি মহৎ অনুগ্রহ হেতু তাহারা তোমাদের নিমিত্তে প্রার্থনা করিতে করিতে তোমাদের জন্য আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।
হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমিই আপন দাসের কাছে প্রকাশ করিয়াছ, বলিয়াছ, “আমি তোমার জন্য এক কুল নির্মাণ করিব,” এই কারণ তোমার কাছে এই প্রার্থনা করিতে তোমার দাসের মনে সাহস জন্মিল।
তাঁহারা প্রার্থনা করিলে, যে স্থানে তাঁহারা সমবেত হইয়াছিলেন, সেই স্থান কাঁপিয়া উঠিল; এবং তাঁহারা সকলেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন ও সাহসপূর্বক ঈশ্বরের বাক্য বলিতে থাকিলেন।
ভাল, আমি যদি তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হইয়া থাকি, তবে বিনয় করি, আমি যেন তোমাকে জানিয়া তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পাই, এই জন্য আমাকে তোমার পথ সকল জ্ঞাত কর, এবং এই জাতি যে তোমার প্রজা, ইহা বিবেচনা কর।
হে ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি সযত্নে তোমার অন্বেষণ করিব; আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসু, আমার মাংস তোমার জন্য লালায়িত, শুষ্ক ও শ্রান্তিকর দেশে, জলবিহীন দেশে।
শিমোন, শিমোন, দেখ, গমের ন্যায় চালিবার জন্য শয়তান তোমাদিগকে আপনার বলিয়া চাহিয়াছে;কিন্তু আমি তোমার নিমিত্ত বিনতি করিয়াছি, যেন তোমার বিশ্বাসের লোপ না হয়; আর তুমিও একবার ফিরিলে পর তোমার ভ্রাতৃগণকে সুস্থির করিও।
অতএব তোমার প্রজাদের বিচার করিতে ও ভাল মন্দের বিশেষ জানিতে তোমার এই দাসকে বুঝিবার চিত্ত প্রদান কর; কারণ তোমার এমন বৃহৎ প্রজাবৃন্দের বিচার করা কাহার সাধ্য?
আমরা যেন তোমাদের মুখ দেখিতে পাই, এবং তোমাদের বিশ্বাসের ত্রুটি সকল পূর্ণ করিতে পারি, এই জন্য রাত দিন অতিশয় প্রার্থনা করিতেছি।
তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন বলিও, পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক।কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের অঙ্গুলি দ্বারা ভূত ছাড়াই, তবে ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে আসিয়া পড়িয়াছে।সেই বলবান ব্যক্তি যখন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকিয়া আপন বাটী রক্ষা করে, তখন তাহার সমপত্তি নিরাপদে থাকে।কিন্তু যিনি তাহা হইতে অধিক বলবান, তিনি আসিয়া যখন তাহাকে পরাজিত করেন, তখন তাহার সর্বাঙ্গরক্ষক যে সজ্জায় তাহার ভরসা ছিল, তাহা হরণ করিয়া লন, ও তাহার লুঠ দ্রব্য বিতরণ করেন।যে আমার সপক্ষ নয়, সে আমার বিপক্ষ, এবং যে আমার সহিত কুড়ায় না, সে ছাড়াইয়া ফেলে।যখন অশুচি আত্মা মনুষ্য হইতে বাহির হইয়া যায়, তখন জলবিহীন নানা স্থান দিয়া ভ্রমণ করতঃ বিশ্রামের অন্বেষণ করে; কিন্তু না পাইয়া বলে, আমি যেখান হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি, আমার সেই গৃহে ফিরিয়া যাই।পরে আসিয়া তাহা মার্জিত ও শোভিত দেখে।তখন সে গিয়া আপনা হইতে দুষ্ট অপর সাতটা আত্মাকে সঙ্গে লইয়া আইসে, এবং তাহারা সেই স্থানে প্রবেশ করিয়া বাস করে; তাহাতে সেই মনুষ্যের প্রথম দশা হইতে শেষ দশা আরও মন্দ হয়।তিনি এই সকল কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে ভিড়ের মধ্য হইতে কোন একজন স্ত্রীলোক উচ্চৈঃস্বরে তাঁহাকে বলিল, ধন্য সেই গর্ভ, যাহা আপনাকে ধারণ করিয়াছিল, আর সেই স্তন, যাহার দুগ্ধ আপনি পান করিয়াছিলেন।তিনি কহিলেন, সত্য, কিন্তু বরং ধন্য তাহারাই, যাহারা ঈশ্বরের বাক্য শুনিয়া পালন করে।পরে তাঁহার নিকটে উত্তর উত্তর অনেক লোকের সমাগম হইলে তিনি বলিতে লাগিলেন, এই কালের লোকেরা দুষ্ট, ইহারা চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাহাদিগকে দেওয়া যাইবে না।তোমার রাজ্য আইসুক। আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রতিদিন আমাদিগকে দেও।কারণ যোনা যেমন নীনবীয়দের কাছে চিহ্নস্বরূপ হইয়াছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও এই কালের লোকদের নিকটে হইবেন।দক্ষিণ দেশের রাণী বিচারে এই কালের লোকদের সহিত উঠিয়া ইহাদিগকে দোষী করিবেন, কেননা শলোমনের জ্ঞানের কথা শুনিবার জন্য তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে আসিয়াছিলেন; আর দেখ, শলোমন হইতেও মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।নীনবীয় লোকেরা বিচারে এই কালের লোকদের সহিত দাঁড়াইয়া ইহাদিগকে দোষী করিবে; কেননা তাহারা যোনার প্রচারে মন ফিরাইয়াছিল, আর দেখ, যোনা হইতে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।প্রদীপ জ্বালিয়া কেহ গুপ্ত কুঠরিতে কিম্বা ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, যেন, যাহারা ভিতরে যায়, তাহারা আলো দেখিতে পায়।তোমার চক্ষুই শরীরের প্রদীপ; তোমার চক্ষু যখন সরল হয়, তখন তোমার সমুদয় শরীরও দীপ্তিময় হয়; কিন্তু চক্ষু মন্দ হইলে তোমার শরীরও অন্ধকারময় হয়।অতএব দেখিও, তোমার অন্তরে যে দীপ্তি আছে, তাহা অন্ধকার কি না।বাস্তবিক, তোমার সমুদয় শরীর যদি দীপ্তিময় হয়, কোনও অংশ অন্ধকারময় না থাকে, তবে প্রদীপ যেমন নিজ তেজে তোমাকে দীপ্তি দান করে, তেমনি তোমার শরীর সম্পূর্ণরূপে দীপ্তিময় হইবে।তিনি কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে একজন ফরীশী তাঁহাকে ভোজনের নিমন্ত্রণ করিল; আর তিনি ভিতরে গিয়া ভোজনে বসিলেন।ফরীশী দেখিয়া আশ্চর্য জ্ঞান করিল যে, ভোজনের অগ্রে তিনি স্নান করেন নাই।কিন্তু প্রভু তাহাকে কহিলেন, তোমরা ফরীশীরা ত পানপাত্র ও ভোজনপাত্র বাহিরে পরিষ্কার করিয়া থাক, কিন্তু তোমাদের ভিতরে দৌরাত্ম্য ও দুষ্টতা ভরা।আর আমাদের পাপ সকল ক্ষমা কর; কেননা আমরাও আপনাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না।
পত্রখানি স্বাক্ষরিত হইয়াছে, ইহা দানিয়েল যখন জানিতে পাইলেন, তখন আপন গৃহে গেলেন; তাঁহার কুঠরির বাতায়ন যিরূশালেমের দিকে খোলা ছিল; তিনি দিনের মধ্যে তিনবার জানু পাতিয়া আপন ঈশ্বরের সম্মুখে প্রার্থনা ও স্তবগান করিলেন, যেমন পূর্বে করিতেন।
হে সদাপ্রভু, আমি তোমাকে ডাকিয়াছি, আমার পক্ষে ত্বরা কর; আমি তোমাকে ডাকিলে আমার রবে কর্ণপাত কর।
যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে, আর সন্দেহ না কর, তবে তোমরা কেবল ডুমুরগাছের প্রতি এইরূপ করিতে পারিবে, তাহা নয়, কিন্তু এই পর্বতকেও যদি বল, ‘উপড়িয়া যাও, আর সমুদ্রে গিয়া পড়,’ তাহাই হইবে।
এই কারণ আমরাও, যে দিন সেই সংবাদ শুনিয়াছি, সেই দিন অবধি তোমাদের নিমিত্তে প্রার্থনা ও বিনতি করিতে ক্ষান্ত হই নাই, যেন তোমরা সমস্ত আত্মিক জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে তাঁহার ইচ্ছার তত্ত্বজ্ঞানে পূর্ণ হও,
আমি নিবেদন করিতেছি না যে, তুমি তাহাদিগকে জগৎ হইতে লইয়া যাও, কিন্তু তাহাদিগকে সেই পাপাত্মা হইতে রক্ষা কর।
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরে প্রত্যাশা রাখ; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
আমরা প্রার্থনাকালে তোমাদের নাম উল্লেখ করিয়া তোমাদের সকলের নিমিত্ত সতত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া থাকি;
এই জন্য, যাহারা তাঁহা দিয়া ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে তিনি সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ করিতে পারেন, কারণ তাহাদের নিমিত্ত অনুরোধ করণার্থে তিনি সতত জীবিত আছেন।
যীশু তাঁহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, তাহা মনুষ্যের অসাধ্য বটে, কিন্তু ঈশ্বরের সকলই সাধ্য।
এই জন্য যখন তোমাকে পাওয়া যায়, প্রত্যেক সাধু তোমার কাছে প্রার্থনা করুক, অবশ্য জলরাশির প্লাবন হইলে তাহা তাহার নিকটে আসিবে না।
যাহাতে তোমাদের হৃদয়ের চক্ষু আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানিতে পাও, তাঁহার আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্রগণের মধ্যে তাঁহার দায়াধিকারের প্রতাপ-ধন কি,
তবে ঈশ্বর কি আপনার সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন না, যাহারা দিবারাত্র তাহার কাছে রোদন করে, যদিও তিনি তাঁহাদের বিষয়ে দীর্ঘসহিষ্ণু?আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তিনি শীঘ্রই তাহাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন। কিন্তু মনুষ্যপুত্র যখন আসিবেন, তখন কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?
তখন যীশু তাঁহাদের সহিত গেৎশিমানী নামক এক স্থানে গেলেন, আর আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন, আমি যতক্ষণ ঐখানে গিয়া প্রার্থনা করি, ততক্ষণ তোমরা এইখানে বসিয়া থাক।
ইহাতে তোমরাও বিনতি দ্বারা আমাদের পক্ষে সাহায্য করিতেছ, যেন অনেকের দ্বারা যে অনুগ্রহ-দান আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে, তন্নিমিত্ত অনেক মুখ হইতে আমাদের পক্ষে ধন্যবাদ প্রদান করা হয়।
হে সদাপ্রভু, ধর্মবাদ শুন, আমার কাকূক্তিতে অবধান কর, আমার প্রার্থনায় কর্ণপাত কর; তাহা ছলনার ওষ্ঠাধর হইতে নির্গত নয়।
ইনি মাংসে প্রবাসকালে প্রবল আর্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে তাঁহারই নিকটে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করিয়াছিলেন, যিনি মৃত্যু হইতে তাঁহাকে রক্ষা করিতে সমর্থ, এবং আপন ভক্তি প্রযুক্ত উত্তর পাইলেন;
আর প্রার্থনাকালে তোমরা অনর্থক পুনরুক্তি করিও না, যেমন জাতিগণ করিয়া থাকে; কেননা তাহারা মনে করে, বাক্যবাহুল্যে তাহাদের প্রার্থনার উত্তর পাইবে।
আর আমি কেবল ইহাদেরই নিমিত্ত নিবেদন করিতেছি, তাহা নয়, কিন্তু ইহাদের বাক্য দ্বারা যাহারা আমাতে বিশ্বাস করে, তাহাদের নিমিত্তও করিতেছি; যেন তাহারা সকলে এক হয়;পিতঃ, যেমন তুমি আমাতে ও আমি তোমাতে, তেমনি তাহারাও যেন আমাদের মধ্যে থাকে; যেন জগৎ বিশ্বাস করে যে, তুমি আমাকে প্রেরণ করিয়াছ।
আর তোমার দাস ও তোমার লোক ইস্রায়েল যখন এই স্থানের অভিমুখে প্রার্থনা করিবে, তখন তাহাদের সকল বিনতিতে কর্ণপাত করিও; তোমার নিবাস-স্থান হইতে, স্বর্গ হইতে, তাহা শুনিও, এবং শুনিয়া ক্ষমা করিও।
এদিকে তাহারা স্তিফানকে পাথর মারিতেছিল, আর তিনি ডাকিয়া প্রার্থনা করিলেন, হে প্রভু যীশু, আমার আত্মাকে গ্রহণ কর।আর ঈশ্বর এইরূপ বলিলেন যে, “তাঁহার বংশ পরদেশে প্রবাসী থাকিবে, এবং লোকে তাহাদিগকে দাসত্ব করাইবে ও তাহাদের প্রতি চারি শত বৎসর পর্যন্ত দৌরাত্ম্য করিবে;পরে তিনি হাঁটু পাতিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, প্রভু, ইহাদের বিপক্ষে এই পাপ ধরিও না। ইহা বলিয়া তিনি নিদ্রাগত হইলেন। আর শৌল তাঁহার হত্যার অনুমোদন করিতেছিলেন।
সেই দিন আমার শত্রুগণ ফিরিয়া যাইবে, যে দিন আমি তোমাকে ডাকি, আমি ইহা জানি যে, ঈশ্বর আমার সপক্ষ।